আত্ম ভাবনায় বাণী চিরন্তন
সন্দেহাতীতভাবে কোনো ব্যক্তিকে অপরাধী মনে করা বোকামির দন্ড ছাড়া আর কিছুই নয় ।
একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো মানুষের ভালোবাসা আর আর্শীবাদ।
কোনো বিষয়ে আবেগ থাকা ভালো কিন্তু অতি আবেগ পাগলেরই নামান্তর ছাড়া আর কিছু নয়।
মুখের পর্দা নয়, মনের পর্দাই আসল পর্দা।
সময়ের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত তাঁর চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন ঘটায়।
মানুষের মন হলো আত্মভোলা এক উদাসীন পথিক।
মুর্খেরা গড়ে বিত্তের বৈভব আর জ্ঞানীরা গড়ে চিত্তের বৈভব।
প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রতিটি মুহুর্তে নিজের অজান্তেই এক অদৃশ্য অশুভ শক্তি কাজ করে।
সত্যই সুন্দর আর সুন্দরই সত্য ।
অর্থ, চেহারা আর পোশাকে নয় কর্ম আর যোগ্যতায় মানুষের সম্মান বিবেচ্য।
ধর্মের চেয়ে মানবতা বড়।
মানুষের জীবনে সুখ ও স্বপ্নগুলো ক্ষণস্থায়ী আর দুঃখগুলো চিরস্থায়ী।
ধন সম্পদ দিয়ে যেমন মানুষের চরিত্র বোঝা যায় না, তেমনিভাবে বইয়ের অনেক সংখ্যা দিয়ে ভালো লেখক বিচার্য হয় না।
একটা সরকারী চাকুরি, একটা সুন্দর বাড়ি, একটা সুন্দর গাড়ি আর একটা সুন্দরী নারী থাকা মানেই সুশিক্ষিত লোক নয়, যদি না তিনি সমাজ-দেশ কথা মানুষের কল্যাণে না আসেন।
ভেবে দেখো মন, কিভাবে তুমি-আমি বাঁচি, স্বার্থ বিনা ভবে কেউ কি আমরা আছি?
মানুষের অনেক কিছু না পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা চিরকালীন।
পরহিংসায় হয় আপন ক্ষয়, ভালোবাসায় হয় মানুষ জয়।
সুখ আর দুঃখের বেড়াজালেই মানুষের জীবন।
বর্ণ আমার অলঙ্কার আর মায়ের ভাষা আমার অহংকার ।
কোনো কিছু ধ্বংস করা যতটা সহজ, সৃষ্টি করা ততটাই কঠিন।
একজন ভালো লেখক হওয়ার আগে একজন ভালো মানুষ হওয়ার প্রয়োজন বোধ বেশি।
আমরা অহেতুক অনেক সময় পাগলামি করে সময় নষ্ট করি, তবে সেই পাগলামীর একটা সীমা থাকা উচিত ।
ভালো কাজে বাধা-বিপত্তি বেশি আসে আর খারাপ কাজে মানুষের উৎসাহ বেশি আসে ।
মুখে অনেক কিছু অতি সহজে বলা যায়, কিন্তু বাস্তবে করাটা অনেক কঠিন।
অভাব অনটন মানুষকে বুঝতে ও জানতে শেখায়।
ফুলে সুগন্ধ ও মধু থাকলে ভ্রমর গুনগুন করবেই আর প্রজাপতি উড়বেই ।
ভালো মানুষ সব সময় ভালো চিন্তা করে আর খারাপ মানুষ সব সময় কুচিন্তা করে।
এই পৃথিবীতে অনেক আত্মীয় স্বজন ও পরিচিতজন থাকা সত্বেও নিজেকে অনেক সময় বড় অসহায় মনে হয়।
অতিরঞ্জিত কোনো কিছুই ভালো নয়, সকল কাজে একটা শালীনতা থাকা দরকার।
সাফল্যে শুধু কর্মই নয়, ভাগ্যেরও প্রয়োজন আছে।
হটকারী সিদ্ধান্ত মানুষকে অস্বস্তি আর বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়।
মমতাময়ী মাকে ভালোবাসলে নিজের দেশ আর মাটিকে ভালোবাসা যায়।
আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে কোনো কাজ না করাই শ্রেয়।
আজকে যাঁকে অবজ্ঞা ও অবহেলা করছো আগামী দিনে তাঁকে আপনার খুব প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিটি মানুষই তাঁর নিজের বিবেকের কাঠগড়ায় অপরাধী।
শুধু চেহারা সুন্দর হলেই মানুষ ভালো হয় না।
এ পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই তাঁর নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তি আর ক্ষমতার রাজত্ব গড়তে চায় ।
সম্পদ আর ক্ষমতার লোভ এ সুন্দর পৃথিবীকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলছে।
সৎ পথে চলতে গেলে কষ্ট আর প্রতিবন্ধকতা বেশি কিন্তু মানসিক প্রশান্তি অনেক।
আত্ম উপলব্ধি মানুষকে সজাগ ও সচেতন করে তোলে।
মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতিটি সৃষ্টির মধ্যেই রয়েছে অপার রহস্য।
জীবনে অনেক কিছু না পাওয়ার হতাশা মানুষের চিরকালই থেকেই যায়।
আপনি যেটুকু পেয়েছেন, তাতে তৃপ্ত থাকুন-অনেক ভালো থাকবেন ও সুখি হবেন আর এর জন্য প্রতিনিয়ত পরম করুণাময়কে স্মরণ করুন।
জীবনে সুবর্ণ সুযোগ একবারই আসে আর বিপদ বার বার হানা দেয় নিত্য নতুন সাজে।
আজ আপনি যাকে বন্ধু ভাবছেন, সে আগামিকাল আপনার শত্রু হতে পারে ।
শুধু সুন্দর পোষাক পড়লেই মানুষ স্মার্ট হয় না, স্মার্ট হওয়ার জন্য নৈতিকতা বোধ জরুরি।
খারাপ মানুষগুলোর ভীড়ে সৎ আর নীতিবান মানুষগুলো আজ বড় অসহায় ।
বিপদে সাহস আর ধৈর্য না হারিয়ে প্রতিটি মুহুর্তে সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করা উচিত।
কান্ডজ্ঞানহীন ও মুর্খেরা যে কোনো কাজে হই হুল্লোড় করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, কিন্তু জ্ঞানীরা নিরবে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে তা সমাধানের চেষ্টা করে।
নতুন কোনো কিছুর রস আস্বাদন এবং পাবার ইচ্ছা, আশা- আকাঙ্খা মানুষের চিরকালের ।
আত্মতৃপ্তি ও প্রশান্তিই সুখানুভুতির সৃষ্টি করে, আসলে সুখের অস্তিত্ব ও নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই ।
সুকর্মই মানুষকে চিরস্মরণীয়-চিরভাস্কর করে, অপকর্ম মানুষকে অপবাদ দেয় অতি ঘৃণা ভরে।
এই সমগ্র জগৎ সংসার আমাদের নিজেরই পরিবার। দুঃখ-কষ্ট, মায়া-মমতা, ভালোবাসা আর সম্পদের বিভাজন মনুষ্য দ্বারা সৃষ্ট।
মানুষের অন্তরের দুঃখ-কষ্ট ও ক্ষতগুলো বাইরে থেকে দেখা যায় না, অনুভুতি শক্তি দিয়ে পড়ে নিতে হয় ।
যে ব্যক্তির নিজের উপর বিশ্বাস কম তিনি অন্যের আস্থাভাজন হওয়ার ক্ষমতা সহজে হারিয়ে ফেলেন।
কর্মই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায় আর কপাল বা ভাগ্য সেই পথকে সুপ্রশস্ত ও মধুময় করে তোলে।
আপনার ভুল ধরার জন্য লোকের অভাব নেই কিন্তু ভালো পরামর্শের জন্য লোকের বড়ই অভাব হয়।
ডিগ্রীধারী শিক্ষিত বটে অনেকেই হয়, সুশিক্ষায়-স্বশিক্ষিত কিন্তু সবাই নয়।
মানুষ তাঁর বিত্তবৈভব এর কথা, আত্ম অহংকারের রাজত্ব আর ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার কথা ভুলে যান ।
ব্যবহারে বংশের পরিচয়, আপনা কর্মে ধর্ম শ্রেষ্ঠ হয়।
যে ব্যক্তি অন্যের মঙ্গল কামনা করে তাতে নিজের মঙ্গল সাধিত হয়।
চেহারায় প্রতিটি মানুষ দেখতে ভালো হলেও প্রকৃত স্বরুপ ভিন্ন।
প্রতিনিয়তই নতুন নতুন স্বপ্ন আর পরিকল্পনাই মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় ।
আজ হোক, কাল হোক সত্য একদিন প্রকাশিত হবেই, আর সত্যের জয় অনিবার্য।
একজন মানুষের শিক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই যথেষ্ট নয়, পরিবেশ- প্রকৃতির মাঝে নিহিত আছে অনেক শিক্ষণীয় ।
সময় থাকতে সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিত, নইলে তার জন্য অনেক সময় খেসারত দিতে হয় ।
কিছু ভুল সংশোধনযোগ্য কিন্তু এমন কিছু ভুল হয়, যা আমরা কোনোভাবেই সংশোধন করতে পারি না, সারাজীবন তার মাশুল গুনতে হয়।
দুচোখ দিয়ে কোনো কিছুকে দেখা মানেই প্রকৃত দেখা নয়, তৃতীয় নয়ন বা অন্তরচক্ষু দিয়ে উপলব্ধিই হচ্ছে প্রকৃত দেখা।
জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণ বড় কথা নয়, আসলে একজন মানুষ হিসেবে আমরা নিজেকে কতটা তৈরি করছি এটাই বড় কথা।
আমাদের একটি ভুল সিদ্ধান্ত বা অপকর্ম অন্য আর দশটি ভালো কাজের স্বীকৃতিকে ধূলিস্যাৎ করে দেয়ার জন্যই যথেষ্ট।
অন্যের সাফল্যে যে মানুষ কাতর হয়ে পড়ে, সে মানুষ সমাজ বা দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।
জ্ঞান বাড়ে ধ্যানে আর বিবেক পুড়ে জ্ঞানে।
দুঃখ কষ্টকে মেনে নিয়েই আমাদের জীবনে বেঁচে থাকা, আর এই অসমতল চলার পথে অর্জিত হয় নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা ।
ক্লাশে প্রথম হওয়াটাই মূখ্য নয়,একজন শিক্ষার্থী হাতে-কলমে কতটা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করলো সেটাই বিবেচ্য হওয়া উচিত ।
চিনলে সোনা হয় খাঁটি, না চিনলে হয় ধূলো-মাটি।
ভালোবাসায় হয় বিশ্ব জয়, পরহিংসায় হয় আপন ক্ষয়।
একজন ভালো লেখকের চেয়ে আমাদের বেশি প্রয়োজন একজন ভালো মনের মানুষ ।
অপকৌশলের চেয়ে সুকৌশল অনেক শ্রেয়।
আপনার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ভালো কাজগুলোকে কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে আবার কেউবা ভালোবেসে-দেখে।
একজন মানুষ সবার কাছে প্রিয় হয় না ।
ব্যক্তির চেয়ে পরিবার বড়, পরিবারের চেয়ে সমাজ বড়, সমাজের চেয়ে ধর্ম বড় আর ধর্মের চেয়ে যদি রাষ্ট্র বড় হয় তাহলে মানবতার চেয়ে বড় আর কি হতে পারে?
সময়ের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত তাঁর চিন্তা- চেতনার পরিবর্তন ঘটায় ।
পরিমিত আহারে দেহ সুস্থ্, অধিক আহারে দেহ নষ্ট।
বিজ্ঞান আর সময়ের সাথে মানুষ অনেকটাই এখন আত্মসচেতন হয়েছে কিন্তু আত্মকেন্দ্রিকও হয়েছে অনেকখানি ।
কোনটি রাজনীতি, কোনটি কূটনীতি আর কোনটি অর্থনীতি বুঝা বড় দায় - আমজনতাকে বোবা আর বোকাই থাকতে হয়।
উচিৎ কথায় বন্ধু বেজার আর অতি সাজে নষ্ট বাহার।
আপনি যে ভালো কাজটি করছেন, সেই কাজটি সৃষ্টিকর্তা আপনার মাধ্যমে করিয়ে নিচ্ছে আর অবশ্যই জানবেন এটি আপনার জন্য পরম সৌভাগ্যের কিন্তু সকল প্রশংসা সৃষ্টিকর্তার।
কিছু লোক ভালো কাজ করে নেশায়, কিছু লোক কাজ করে পুরস্কারের আশায়।
বড় বড় নামি দামি কবি সাহিত্যিকদের সাথে ছবি থাকলেই বড় লেখক বা কবি হওয়া যায় না।
লেখকের বয়স নয়, লেখার গুরুত্ব ও মান বিবেচ্য ।
সময় বড় নিষ্ঠুর, যে কখনো তার গতি বদলায় না-বিরামহীনভাবে চলে সব সময়।
নিজ কর্মে রচিত হয় ভাগ্য আপন, কপালের লিখন না যায় খন্ডন।
পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়ের সাথে মানুষের মেজাজ, মনন ও মানসিকতার পরিবর্তন ঘটে থাকে।
পুরস্কার ও সম্মাননা যেখানে সহজলভ্য, সেখানে বিবেক ও বোধের ঘাটতি রয়েছে।
অনেক সময় মানুষের মায়া মমতা ও ভালোবাসার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ককেও ছাড়িয়ে যায় |
পদক, পুরস্কার কিংবা সম্মাননা কাউকে পাইয়ে দেবার বিষয় নয়, পরিশ্রম ও সুকর্মের জন্য শ্রদ্ধা নিবেন।
ভুল বোঝাবুঝির কারণে তৈরি হয় দূরত্ব আর দূরত্ব তৈরির কারণে ঘটে সম্পর্কের টানাপোড়েন।
অন্যের কথায় কান না দিয়ে কোনো কিছুকে বিচার-বিশ্লেষণ ও যাচাই করে নেয়াই একজন বুদ্ধিমান মানুষের কাজ।
বিপদে সাহস আর ধৈর্য না হারিয়ে প্রতিটি মুহুর্তে সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করা উচিত।
নতুন কোনো কিছুর রস আস্বাদন এবং পাবার ইচ্ছা, আশা- আকাঙ্খা মানুষের চিরকালের ।
এই সমগ্র জগৎ সংসার আমাদের নিজেরই পরিবার। দুঃখ-কষ্ট, মায়া-মমতা, ভালোবাসা আর সম্পদের বিভাজন মনুষ্য দ্বারা সৃষ্ট।
সুকর্মই মানুষকে চিরস্মরণীয়-চিরভাস্কর করে, অপকর্মে মানুষ অপবাদ দেয় অতি ঘৃণা ভরে।
কোনো ব্যক্তির নৈতিক দর্শন ও আত্ম উপলব্ধিই তাঁকে সচেতন করে তোলে ।
একটু খানি অবহেলা বা অসচেতনতা হাজারো বিপদ বা মহাবিপদ ডেকে আনে।
যাঁর মধ্যে আত্মসম্মানবোধ আছে, নীতি-নৈতিকতার দিক থেকে তিনি অনেকটাই আত্মসচেতন ।
কেউ কারো জীবন গড়ে দেয় না, সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ আর কর্মের মাধ্যমে নিজেকে গড়তে হয়।
আপনার অজান্তেই কেউ আপনার উপকার বা ক্ষতিসাধন করতে পারে।
সাধ থাকলেও সাধ্য না থাকার কারণে মানুষের স্বপ্নগুলো পূরণ হয় না সারাজীবন।
নানা বিষয়ে একমত ও মনের মিলের কারণে মানুষের সখ্যতা গড়ে ওঠে।
একজন মানুষের শিক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই যথেষ্ট নয়, পরিবেশ- প্রকৃতির মাঝে নিহিত আছে অনেক শিক্ষণীয়।
মানুষের জীবনে শূন্যতা ও হাহাকার থাকবে, সেই শূন্যতা ও হাহাকারকে জয় করে এগিয়ে যেতে হবে।
মানুষ নন্দিত ও ভালোবাসায় সিক্ত হন তাঁর সুকর্মে আর নিন্দিত ও ঘৃনিত হন কুকর্মে।
মানুষের বাইরের ভদ্র চেহারা, সুন্দর পোষাক আর নম্র কথাবার্তা শুনে মনে হবে দেবতা কিন্তু ভিতরের হিংস্র জানোয়ারের রূপ ভিন্ন।
লেখাপড়ায় অনেক ডিগ্রী থাকলেই তো সুশিক্ষিত নয়, জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেকেই তো মানুষ রচিত হয়।