Debate

How to be a good debater


How to be a good debater

"If you can't approach, someone confuses you" this is the main philosophy of debate. So, a dcbater must have some responsibilities to establish his/her position in a smart way. He has to represent his speech lively by giving emphasis on his motion. Because he knows better that a creative work is always a source of permanent joy. And a debate is that type of creative art. With the help of this creativity one can easily refute one's argument by his power of wit, self confidence and spontaneity. Certainly, debate improves that power of expression. In this sense a debater is quite different from an ordinary man. An ordinary man may search updated information, quotations or statistics. But like a debater, they haven't the power of arrangement or expression of thought lively because of their lacking 0f impression, presentation and practice. On the other hand, a debater can present the topic lively as he practices regularly. He can arrange the words easily and refute the arguments boldly. And this type of dazzling performance we can't find in an ordinary man. So, you the debaters now see the importance of debating and feel how you can be a good debater yes, we must think of our self-dependence, wit and spontaneity. We should arrange a number of questions with answers for both defensive and offensive side. Not only that, at the time of arguing, we should remember certain points and arrest the attention of the opposition as well as judges and the audiences. If we want to be a good debater, of course, we must fallow some important features. They are --

*Topic of the debate must be mentioned correctly.

* Starting must be impressive.

* Argument should be presented smartly

* Be logical to refute the argument in time.

* Don't attack your opponent personally.

* Writing script should be arranged in a sequence and don't depend on It fully but take it as a helper.

* Think how to deliver relevant information, quotations and argument.

* Maintain a personal diary for your betterment.

* Practice debating regularly.

* Enjoy debate competitions more and more to build yourself.

Finally we wish for our betterment in this competitive world. SO, you, the debaters, enrich your knowledge to become a good debater and and always get ready to make your goal highly appreciated.

Writer: Ex- General Secretary Debating Society (Bitorko Porishod)

Carmichael College, Rangpur.


বিতর্ক হোক পাঠ্যসূচির অংশ




বিতর্ক মানে যুক্তি-তর্ক দিয়ে সত্যকে প্রকাশ করা আর নিজেকে যুক্তিবাদী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। সবাই মনে করে বিতর্ক মানে নিজেকে বুঝতে শেখা,নিজেকে সত্য ও মিথ্যার মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করা আর সত্যকে মেনে নিতে প্রয়োজনে পরাজয় বরণ করে নেয়া। আসলে বিতর্ক এটাই, যেখানে যুক্তি,তথ্য আর তর্কের খেলা।

বিতর্ক মানে প্রত্যয়ের সঙ্গে নিজের কথা বলতে পারা। প্রতিপক্ষের কথা মন দিয়ে শোনা। লেখাপড়ার ক্ষেত্রেও এই গুণটি দারুণ কাজে লাগে।

সেই গ্রিক সভ্যতার সময় থেকেই বিতর্কের শুরু। ক্লিওন,ডায়োডটাস,সিসেরোর মতো ব্যক্তিরা সে যুগে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কার্যক্রমের ভালো-মন্দ বিচার করতেন,সুপারিশ করতেন জনসম্মুখে বিতর্ক করে। দু’হাজার বছর পরে এসেও,রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা-সবাই যুক্ত হচ্ছে বিতর্কের সাথে। কেউবা সক্রিয়ভাবে বিতর্ক করে,কেউ বিতর্ক দেখে,আর কেউ দূরে দাঁড়িয়ে বিতার্কিকদের ‘ঝগড়াটে’ উপাধি দিয়ে ব্যঙ্গ করে। তবে স্কুল,কলেজ বা বিশ^বিদ্যালয়ে বিতর্কের নাম শোনে নি,এ রকম মানুষ মেলা ভার।


বিতর্কের নিয়ম গুলো আমাদের সকলেরই জানা। আমরা অনেকেই স্কুল-কলেজে বা পাড়ায় কিংবা ক্লাবে কখনো না কখনো বিতর্কে অংশ নিয়েছি,শ্রোতা হিসেবে উপস্থিত থেকেছি। কিন্তু,বিতর্কের মঞ্চে না বসেও শুধু বিতর্কের নিয়মগুলো ঠিকমতো পালন করে গেলে নিজের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে,ভাবনা-চিন্তার ক্ষেত্রে কতখানি এগিয়ে যাওয়া সম্ভব সেটা তেমন করে ভেবে দেখেছি কী?

বিতর্ক মানুষকে উপলব্ধি করতে শেখায় তার সীমাবদ্ধতা, চিনিয়ে দেয় তার ভুলকে, বুঝতে শেখায় প্রতিপক্ষের যুক্তিকে। নিজের মতবাদের বাইরেও যে অর্থপূর্ণ সত্য ও বাস্তবতা থাকতে পারে তা মানুষকে বুঝতে শেখায় বিতর্ক। তাই বলা হয়ে থাকে,বিতর্ক উদ্বুদ্ধকরণের সৃজনশীল শিল্প। এখন প্রশ্ন হতে পারে, কেন আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচি বা সিলেবাসের বহিভর্‚ত বিতর্ক নিয়ে চর্চা করার উপর জোর দিচ্ছি ?


জ্ঞানের বহুমুখিতা কেবল শ্রেণিকক্ষে কিংবা পাঠ্যবই হতে অর্জন করা সম্ভব নয়। এই জন্য বিতর্কচর্চা শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। বিতর্ক করতে গিয়ে একজন শিক্ষার্থী বহুবিধ বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে সক্ষম । বাণিজ্যের ছাত্র হয়েও একজন শিক্ষার্থী যেমন যুক্তিবিদ্যা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা লাভ করতে পারে তেমনি একজন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীও বিতর্ক করতে গিয়ে অর্থনীতি,ইতিহাস,দর্শন,রাজনীতি ইত্যাদি সম্পর্কে প্রাথমিক পর্যায়ের জ্ঞান অর্জন করতে পারে । এভাবে একজন পূর্ণাঙ্গ সৃষ্টিশীল ও দায়িত্ববান যোগ্য নাগরিক হওয়ার জন্য বহুমাত্রিক জ্ঞান তার শিক্ষাক্ষেত্রে পরিপূর্ণতা এনে দেয়। শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে নতুনত্ব সৃষ্টি,নিজ এবং পরিপাশর্^ সম্পর্কে দৃষ্টির উন্মেষ। আর এই উন্মেষ সাধিত হতে পারে বিতর্কে উত্থাপিত বিষয়গুলোর পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় বিতর্কের অনুশীলন মানসিক উৎকর্ষের জন্য বিশেষ ভ‚মিকা রাখতে সক্ষম। কেননা বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে কোন বিষয়কে একই সঙ্গে পরস্পর বিরোধী বিচার করতে শেখে। ফলে তারা জীবনপ্রবাহে প্রকৃত আত্মবিশ^াসী হয়ে উঠতে পারে। বিতর্ক শিক্ষার্থীর ভাষা ও সাহিত্যবোধকে যেমন সম্প্রসারিত করতে পারে ঠিক তেমনি চিন্তা ও বাক্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারে। এভাবে একজন শিক্ষার্থী নেতৃত্বদানের গুণাবলীতে গুণান্বিত হতে পারে।

যুক্তি হচ্ছে বিতর্কের প্রাণ। তাই বিতর্ক একজন শিক্ষার্থীকে যুক্তিবাদী হতে শিক্ষা দেয়। বিতর্কের নিদিষ্ট সময়ে সাহিত্য,ইতিহাস,গল্প ,তথ্য ও তত্ত¡ যা কিছুই নিবেদিত হোক না কেন এর মূল উদ্দেশ্যই হলো যুক্তির কৌশল বা যুক্তির বিনির্মাণ। বিতর্ক শিক্ষার্থীকে পড়াশুনার অভ্যাস গঠনে সহয়তা প্রদান করে থাকে।বিতর্কের মাধ্যমে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের মুখস্থ বিদ্যার প্রবণতা কমবে ঠিক অন্যদিকে সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটবে।


ব্যক্তিগত জীবনে শিক্ষকতা ও বিতর্ক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার সুবাদে বিতর্ক চর্চার গুরুত্বের দিকটি বিশেষভাবে অনুধাবন করেছি। একজন শিক্ষার্থীকে সুনাগরিক,সত্যবাদী ও যুক্তিবাদী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর স্কুল-কলেজ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক চর্চার অন্যতম ক্ষেত্র। বর্তমানে স্কুল,কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় গুলোতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল থেকে শুরু করে শহরের নামী-দামী স্কুল-কলেজে আজকাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। বছরের বিভিন্ন সময়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে এসব বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজে নিজস্ব তত্ত¡াবধানে ক্লাবের মাধ্যমেও বিতর্ক চর্চা হয়ে আসছে। তবে তা নিয়মিত নয়। কিছুদিন পূর্বেও স্কুল-কলেজগুলোতে যেভাবে বিতর্ক চর্চা করা হতো তা ছিল অনেকটা বিচ্ছিন্নভাবে। আবার দেখা যায়,অনেক স্কুল-কলেজে নিয়মিত বিতর্ক চর্চা না থাকলেও অনেক সময় চাপের মুখে কোনরকম দায়সাড়াভাবে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক শেখায়। ফলে,বিতর্ক চর্চার যে প্রকৃত উদ্দেশ্য তা অনেকাংশে ব্যাহত হয়।

আশার কথা,বর্তমানে বিতর্ক চর্চা একটি আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। বিস্তৃত পরিসরে,ব্যাপকভাবে চর্চা হচ্ছে বিতর্কের। সমানতালে সবখানে সমাদৃত হচ্ছে বিতর্কশিল্প। দেশের প্রতিটি উপজেলা,জেলায় হচ্ছে বিতর্ক উৎসব,তৈরি হচ্ছে অনেক স্কুল-কলেজে নতুন নতুন বিতর্ক ক্লাব। তবে বিতর্ক চর্চার গুরুত্ব বিবেচনা করলে স্কুল-কলেজে এই বিতর্ক চর্চা যথেষ্ট নয়। তাইতো দাবী উঠেছে,বিতর্ককে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করার। একজন শিক্ষার্থীকে সৃজনশীল,চৌকষ,বুদ্ধিদীপ্ত ও জ্ঞানমুখী করে গড়ে তোলায় এর (বিতর্ক) কোন বিকল্প নেই। বিতর্ককে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হলে বিতর্ক চর্চায় যেমন আসবে আমূল পরিবর্তন তেমনিভাবে ছাত্রÑছাত্রীদের মাঝেও আসবে যৌক্তিক পরিবর্তন। বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাক। তৈরী হোক যুক্তিবাদী মানবসমাজ। জয়তু বিতর্ক।