নার্সিং ভর্তিচ্ছু প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ কোর্স ভিত্তিক যে বিষয় গুলো পড়বেন।
★ বিএসসিঃ ( বাংলা + ইংরেজি + গণিত + পদার্থ বিজ্ঞান + রসায়ন বিজ্ঞান + জীববিজ্ঞান + সাধারনজ্ঞান)
★ ডিপ্লোমা + মিডওয়াইফারি = ( বাংলা + ইংরেজি + গণিত + সাধারন বিজ্ঞান + সাধারনজ্ঞান
বাংলাঃ ২০
বাংলা গদ্য গুলো একসাথে
গদ্য-বিড়াল
১. বিড়াল একটি কাল্পনিক কথোপকথনমূলক গল্প
২. এ গল্পে ১ম অংশ নিখাদ হাস্যরসাত্মক, পরের
অংশ গূঢ়ার্থে সন্নিহিত।
৩. বিড়ালের কথাগুলো-সোশিয়ালিস্টিক।
৪. বিড়াল প্রবন্ধে বঙ্কিমচন্দ্রের ভাষা ছিলো –
শ্লেষাত্মক
৫. “বিড়াল ” গল্প অনুসারে বিড়ালদের রং –
কালো
৬. কমলাকান্ত হুঁকা হাতে ঝিমাচ্ছিল –
শয়নগৃহে, চারপায়ীর উপর বসে
৭. মিট মিট করে কেমন আলো জ্বলছিল – ক্ষুদ্র
আলো
৮. “বিশেষ অপরিমিত লোভ ভাল নহে ” উক্তি
টি- কমলাকান্তের।
৯. ‘দুধ মঙ্গলার, দুহিয়াছে প্রসন্ন ‘ উক্তিটি –
কমলাকান্তের
১০. কমলাকান্তের জন্য রাখা নির্জল দুধ
খেয়েছিল – একটি ক্ষুদ্র মার্জার
১১. বিড়াল মনে মনে হেসে কী বলল – “কেউ মরে
বিল ছেচেঁ কেই খায় কই ”
১২. বিড়ালের উক্তি অনুযায়ী, বিল ছেঁচার সাথে
সস্পর্কযুক্ত- কমলাকান্ত
কই খাওয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত – বিড়াল
১৩. বিড়াল দুধ খেলেও কমলাকান্ত মার্জারের
উপর রাগ করতে পারে নি – অধিকারের কারণে
১৪. বিড়াল দুধ খেলে বিড়ালকে তাড়িয়ে মারতে
যাওয়া হল – চিরাগত প্রথা
১৫. চিরাগত প্রথা ভঙ্গ করলে কমলাকান্ত –
মনুষ্যকূলে পরিচিত হবে – কুলাঙ্গার হিসেবে
রিড়ালদের কাছে পরিচিত হবে – কাপুরুষ
হিসেবে।
১৬. অতত্রব, পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই ভালো –
উক্তিটি কমলাকান্তের
১৭. অনুসন্ধানে আবিষ্কৃত যষ্টিটি ছিল – ভগ্ন
১৮. কমলাকান্ত মার্জারের কথা বুঝতে পারল –
দিব্যকর্ণ প্রাপ্তির ফলে
১৯. মারপিট কেন? – উক্তিটি বিড়ালের
২০. “পরোপকারই পরম ধর্ম ” উক্তিটি- বিড়ালের
২১. কে ধর্মসঞ্চয়ের মূলীভূত কারণ? – মার্জার
২২. মার্জারের মতে সমাজের ধনবৃদ্ধি মানে –
ধনীদের ধন বৃদ্ধি
২৩. চোরের দণ্ড আছে কিন্তু দণ্ড নাই –
নির্দয়তার
২৪. “না হইলে ত আমার কী ” উক্তিটি- বিড়ালের
২৫. কত দিবস উপবাস করলে কমলাকান্ত নসীরাম
বাবুর ভাণ্ডার ঘরে ধরা পড়বে – তিন (৩) দিবস
২৬. কমলাকান্ত মার্জারকে কার বই পড়ার কথা
বলেছিলো – নিউমান ও পার্কারের বই
২৭. বিড়াল শব্দটি আছে – ৮ বার
২৮. মার্জারী – ৪ বার
২৯. মার্জার আছে – ১১ বার
৩০. ” মেও ” আছে – ১৩ বার
৩১. যুদ্ধ – ওয়াটার লু
৩২. মাদকদ্রব্য – আফিং
৩৩. যষ্টি – লাঠি
অপরিচিতা
।
১. অনুপমের বয়স -২৭
২. “এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যের হিসাবে বড়, না
গুণের হিসাবে ” উক্তিটি- অনুপমের
৩. “তবু ইহার একটি বিশেষ মূল্য আছে ” উক্তিটি-
অনুপমের
৪. পণ্ডিত মশাই অনুপমকে তুলনা করেছেন – শিমুল
ফল ও মাকাল ফলের সাথে।
৫. অনুপমের বাবা কী করে প্রচুর টাকা রোজগার
করত? – ওকালতি
৬. মামা অনুপমদের সংসার টাকে কিসের মতো
নিজের অন্তরের মধ্যে শুষিয়া লইয়াছেন –
ফাল্গুর বালির মত
৭. মামার অস্থিমজ্জায়য় কী জড়িত? – টাকার
প্রতি আসক্তি
৮. কে কানপুরে কাজ করে – হরিশ
৯. হরিশ ছুটিতে কোথায় এসেছিল – কলকাতা
১০. কিছুদিন পূর্বেই অনুপম কী পাস করেছে- এম.এ.
(MA)
১১. একে তো বরের হাট মহার্ঘ তাহার পরে? –
ধনুক ভাঙ্গা পণ
১২. বাপ কেবলই সবুর করিতেছেন কিন্তু সবুর
করিতেছে না – মেয়ের বয়স
১৩. হরিশের কেমন গুণ আছে? – সরস রচনার
১৪. কলিকাতার বাইরের পৃথিবীটাকে মামা
কীসের অন্তর্গত জানেন? – আণ্ডামান দ্বীপ
১৫. বিনু দাদা কে? – অনুপমের পিসততো ভাই
১৬. মেয়ের পিতার নাম – শম্ভুনাথ সেন/বাবু
১৭.কার মুখ অনর্গল ছুটছিল- মামার
১. জীবনে একবার বিশেষ কাজে কোন পর্যন্ত
গিয়েছিলেন – কোন্নগর
২. কার রুচি এবং দক্ষতার উপর কথক/অনুপম ষোল –
আনা নির্ভর করতে পারে- বিনুদাদার
৩. “মন্দ নয় হে! খাঁটি সোনা বটে ” উক্তিটি-
বিনুদাদার
৪. শম্ভুনাথ বাবু কখন অনুপমকে প্রথম দেখেন-
বিবাহের তিন(৩) দিন আগে
৫. কার বয়ম ৪০ এর কিছু ওপারে বা এপারে-
শম্ভুনাথ বাবুর
৬. কার চুল কাঁচা, গোঁফে পাক ধরা আরম্ভ হয়েছে
মাত্র – শম্ভুনাথ বাবুর
৭. মামা কাকে সুদ্ধ এনেছিল – স্যাকরাকে
৮. মামা কোথায় গহনাগুলোর ফর্দ টুকিয়া লইলেন
– নোট বইয়ে
৯. “ঠাট্রার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা
আমার নাই” উক্তিটি- শম্ভুনাথ বাবুর
১০. “কারণ, প্রমাণ হইয়া গেছে, আমি কেউই নই ”
উক্তিটি – অনুপমের
১১. “তাহা হইলে তামাশার যেটুকু বাকি আছে
তাহা পুরা হইবে ” উক্তিটি- হিতৈষীদের
১২. সমস্ত মন কার পানে ছুটিয়া গিয়াছিল –
অপরিচিতার
১৩. কিন্তু কথা এমন করিয়া ফুরাইল না উক্তিটি
– অনুপমের
১৪. কতক্ষণ পরে গাড়ি আসিল – দুই তিন মিনিট
পর
১৫. স্টেশনে দেখা মেয়েটির বয়স কত? – ১৬ বা ১৭
১৬. মেয়েটির সাথে কয়টি ছোটো ছোটো মেয়ে
ছিল – দুটি তিনটি
১৭. খাবারওয়ালাকে ডেকে সে খুব খানিকটা কী
কিনল? – চানা মুঠ
.
গদ্য – চাষার দুক্ষু
১. কখন ভারতবাসী অসভ্য বর্বর ছিলো- ১৫০ বছর
পূর্বে।
২. কাকে সমাজের মেরুদণ্ড বলা হয়েছে –
চাষাকে
৩. জুট মিলের কর্মচারীর মাসিক বেতন কত টাকা
– ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।
৪. ‘নবাবি হালে থাকে, নবাবি চাল চালে ‘
কারা – জুট মিলের কর্মচারীরা।
৫. আমাদের বঙ্গভূমি কেমন- সুজলা, সুফলা, শস্য –
শ্যামল।
৬. “ধান্য তার বসুন্ধরা যার ” উক্তিটি –
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।
৭. কোন মহাযুদ্ধ সমস্ত পৃথিবীটাকে সর্বস্বান্ত
করেছে – ইউরোপের যুদ্ধ।
৮. বাল্যকালে লেখিকা কী শুনিতেন? – টাকায়
৮ সের সরিষা।
৯. কার মাথায় বেশ ঘন ও লম্বা চুল ছিলো- কৃষক
কন্যা জমিরনের।
১০. জমিরনের মাথায় কতটুকু তেল লাগত? – আধ
পোয়াটাক।
১১. কত পয়সায় এক সের তৈল পাওয়া যেত? – দুই
গণ্ডা পয়সায়।
১২. কোন মাছ পরম উপাদেয় ব্যঞ্জন বলে পরিগণিত
হত? – শুঁটকি মাছ।
১৩. কীসের বিনিময়ে কৃষক পত্নী কন্যা বিত্রূয়
করত? – দুই সের খেসারির।
১৪. আসাম ও রংপুর জেলার রেশমকে স্থানীয়
ভাবে কি বলে- ত্রন্ডি
১৫. কি নামক আর একটা ভূত তাহাদের স্কন্ধে
চাপিয়া আছে? – অনুকরণপ্রিয়তা
১৬. কারা পাল্কি নিয়ে ট্রামে যাতায়াত করলে
সভ্যতার চুড়ান্ত হবে? – শিবিকাবাহকগণ
(পালকিবাহকগণ)
১৭. কীসের সঙ্গে সঙ্গে দেশি শিল্পসমূহ ত্রূমশ
বিলুপ্ত হইয়াছে? – সভ্যতা বিস্তারের
১৮. পল্লিগ্রামের দুর্গতির প্রতি কাদের দৃষ্টি
পড়িয়াছে? – দেশবন্ধু নেতৃবৃন্দেরর
।
গদ্য – আহ্বান
.
গুরুত্বপূর্ণ
।
১. লেখকের বাবার পুরাতন বন্ধুর নাম? –
চক্কোত্তি মশায়
২.”বাড়িঘর করবে না? ” উক্তিটি – চক্কোত্তি
মশায়
৩. বড় আম বাগানের মধ্য দিয়ে বাজারে যাচ্ছে
– লেখক
৪. বুড়ির স্বামীরর নাম? – জমির করাতি
৫. বুড়ির স্বামী কাজ করতেন- করাতের
৬. বুড়ির আছে এক – নাত জামাই
৭. লেখক থাকে – এক ঙ্গাতি খুড়োর বাড়ি
৮. বুড়ি আপন মনে খুব খানিকটা বকে গেল-
কাঠাঁলতলায় বসে
৯. পরদিন লেখক চলে গেল- কলকাতা
১০. লেখক তার নতুন তৈরি খড়ের ঘরখানাতে
ত্রসে উঠল- জ্যৈষ্ঠ মাসে,গরমের ছুটিতে
১১. লেখকের মা-পিসি মারা গেছে- বাল্যকালে
১২. লেখক খায় – খুড়ো মশায়ের বাড়ি
১৩. লেখককে দুধ দেয়- ঘুঁটি গোয়ালিনী
১৪. বুড়ি লেখককে সম্বোধন করল – গোপাল বলে
১৫. সে কি! দুধ পেলে কোথায় ত্রতো সকালে –
উক্তিটি লেখকের
১৬. বুড়িকে মা বলে ডাকে- হাজরা ব্যাটার বউ
১৭. “স্নেহের দান-ত্রমন করা ঠিক হয়নি
“উক্তিটি – লেখকের
১৮. লেখক পুনরায় গ্রামে আসল- পাঁচ ছয় মাস পর,
আশ্বিস মাসের শেষে
১৯. বুড়ি শুয়ে আছে- মাদুরের উপর
২০. বুড়ির মাথার বালিশ টা ছিলো-মলিন
২১. লেখক শরতের ছুটিতে গ্রামে ঢুকতেই দেখা
হল- পরশু সর্দারের বউ/ দিগম্বরীর সাথে
২২. “ত্তমা আজই তুমি ত্রলে? ” উত্তিটি-
দিগম্বরীর
২৩. বুড়ি কোন ঝতুতে মারা,যায় -শরত
২৪. লেখক যাদের পাশে গিয়ে বসল তারা হল-
আবদুল,শুকুর মিয়াঁ, নসর
২৫. আবেদালির ছেলের নাম- গণি
২৬. কবর খুঁড়ছে- দুই জন জোয়ান ছেলে
২৭. “দ্যাত্ত বাবা,তুমি দ্যাত্ত “উক্তিটা- শুকুর
মিয়াঁর
আমার পথ
।
১. কুর্নিশ – অভিবাদন
২. মেকি – মিথ্যা
৩. লেখকের পথ দেখাবে – লেখকেরর সত্য
৪. মানুষের মনএ আপনা আপনি বড় একটা জোর
আসে কখন- নিজেকে চিনলে
৫. নিজেকে চিনলে মানুষ আপন সত্য ছাড়া আর
কাইকে- কুর্নিশ করে না
৬. অনেক সময় খুব বেশি বিনয় দেখাতে গিয়ে
অস্বীকার করা হয়- নিজের সত্যকে
৭. “ত্ত রকম বিনয়ের চেয়ে অহংকারেরর পৌরুষ
অনেক-অনেক ভালো ” উক্তিটি – লেখকের
৮. স্পষ্ট কথা বলায় কী থাকে – অবিনয়
৯. কী আমাদের নিষ্ত্রিয় করে ফেলল- পরাবলম্বন
১০. সবচেয়ে বড় দাসত্ব হল – পরাবলম্বন
১১. আত্মনির্ভরতা আসে কখন?- আত্মাকে
চিনলে।
১২. শিখাকে নিভাতে পারবে- মিথ্যার জল।
১৩. সবচেয়ে বড় ধর্ম- মানুষ ধর্ম
১৪. অন্য ধর্মকে ঘৃণা করতে পারে না- যার নিজের
ধর্মে বিশ্বাস আছে।
১৫. লেখক পথে বের হলেন- আগুনের ঝান্ডা
ঝুলিয়ে।
১৬. সত্য প্রকাশে লেখক- নির্ভীক অসংকোচ।
১৭. কবির প্রাণ প্রাচুর্যের উংস বিন্দু – সত্যের
উপলব্ধি।
১৮. ঐক্যের মূল শক্তি হলো- সম্প্রীতি।
১৯. লেখকে বাল্য নাম- দুখু মিয়া(ব্যাঙাচি)
২০. তার ছদ্মনাম- ধূমকেতু।
।
গদ্য – জীবন ও বৃক্ষ
।
১. স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধি, জবরদস্তিপ্রিয় মানুষের
দেবতা – অহংকার
২. জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি সহজ হয় – বৃক্ষের
দিকে তাকালে
৩. রবীন্দ্রনাথেরর মনে মমনুষ্যত্বেরর বেদনা
উপলব্ধি হয়- নদীর গতিতে
৪. তপোবন প্রেমিক কে- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫. গোপন ও নিরব সাধনা অভিব্যক্ত হয় – বৃক্ষে
৬. দোরের কাছে দাঁড়িয়ে থেকে অনবরত নতি,
শান্তি ও সেবার বাণী প্রচার করে কে – বৃক্ষ
৭. “ত্রই তো সাধনার সার্থকতা ” উক্তিটি –
মোতাহের হোসেন চৌধুরীর
৮. সাধনার ব্যাপারে কি বড় জিনিস – প্রাপ্তি
৯. রবীন্দ্রনাথ অন্তরের সৃষ্টিকর্ম উপলব্ধি
করেছেন – বৃক্ষের পানে তাকিয়ে
১০. বৃক্ষ আমাদের স্বার্থকতার গান শোনায় –
নীরব ভাষায়
১১. প্রকৃতির ধর্ম কীসের মত- মানুষের ধর্মের মত
১২. তরুলতা ও জীব জন্তুর বৃদ্ধির উপর কাদের হাত
নেই – মানুষের
১৩. মানুষের বৃদ্ধির উপর হাত রয়েছে – প্রকৃতির
১৪. মানুষের বৃদ্ধি কেমন- দৈহিক ও আত্মিক
১৫. মানুষের শিক্ষার প্রধান বিষয়বস্তু – সাধনা
১৬. শিক্ষার প্রধান বিষয়বস্তু হতে পারে না –
বস্তু জিঙ্গাসা তথা বিঙ্গান
১৭. জীবনবোধ ও মূল্যবোধে অন্তর পরিপূর্ণ হয় –
সাহিত্য শিল্পকলার দ্বারা
১৮. বৃদ্ধির ইশারা ও প্রশান্তির ইঙ্গিত কোথায়
– বৃক্ষে
১৯. বৃক্ষ জীবনের গুরুভার বহন করে – অতি শান্ত ও
সহিষ্ণুতায়
।
– মাসি পিসি
।
১. শেষবেলায় খালে থাকে – পুরো ভাটা
২. খালের ধারে লাগানো সালতিটি কোথায়
ছিলো – কংক্রিটেরর পুলের উপর
৩. সালতি থেকে পাড়ে তোলা হচ্ছে – খড়
৪. মাঝখানে গুটিসুটি হয়ে বসে আছে- আহ্লাদি
৫. অল্প বয়সী বৌটির গায়ে ছিলো – নকশা
পাড়ের সস্তা সাদা শাড়ি
৬. আঁট সাঁট থমথমে গড়ন,গোলগাল মুখ- আহ্লাদির
৭. মাসি-পিসি ফিরছে কৈলেশ উক্তিটি- বুড়ো
লোকটির(রহমানের)
৮. “বেলা আর নেই কৈলেশ ” উক্তিটি – মাসি
বলে বিরক্তির সঙ্গে
৯. “অনেকটা পথ যেতে হবে কৈলেশ ” উক্তিটি –
পিসির
১০. “বেলা বেশি নেই কৈলেশ ” উক্তিটি –
পিসির
১১. কৈলেশের সাথে দেখা হয়েছিল – জগুর
১২. জগু হল- আহ্লাদির স্বামী
১৩. উড়ে ত্রসে জুড়ে বসেছে – মাসি
১৪. পিসির অহংকার আর খোঁচাই সবচেয়ে অসহ্য
লাগত- মাসির
১৫. আহ্লাদিকে বাঁচাতে হবে- শ্বশুরঘরের কবল
থেকে
১৬. আহ্লাদিকে সামলে রাখতে হবে – গাঁয়ের
বজ্জাতদের নজর থেকে
১৭. জগুর বৌ নেবার আগ্রহ- খুবই স্পষ্ট
১৮. “ডারসনি আহ্লাদি ” উক্তিটি – মাসির
১৯. “ডরাসনি,ডর কিসের “? উক্তিটি- পিসির
২০. “কাছারি বাড়ি যেতে হবে ত্রকবার ”
উক্তিটি- কানাইয়ের
২১. গাঁয়ের গুণ্ডা হলো- সাধু বৈদ্য ওসমানেরা
২২. ফেটি-বাধা বাবরি চুল কার- বৈদ্যের
২৩. কাঁঠাল গাছের ছায়ায় কত জন ঘুপটি মেরে
ছিলো- তিন – চারজন।
।
#গুরুত্বপূর্ণ….
.
১. জেলের ভিতর অনশন ধর্মঘট করার জন্য প্রস্তুত
হচ্ছিল – শেখ মুজিব ও মহিউদ্দিন
২. জেল কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে সুপারিন্টেনডেন্ট
ছিলো – আমীর হোসেন সাহেব।
৩. রাজবন্দিদের ডেপুটি জেলার ছিল-
মোখলেসুর রহমান সাহেব।
৪. শেখ মুজিবুর রহমানকে জেলগেটে নিয়ে
যাওয়া হলো- ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালবেলা
৫. লেখকের মালপত্র, কাপড়চোপড় ও বিছানা
নিয়ে হাজির হল- জমাদার সাহেব
৬. নারায়ণগঞ্জ থেকে জাহাজ ছাড়ে – ১১ টায়
৭. লেখকদেরর জন্য আনা হয়েছে – বন্ধ ঘোড়ার
গাড়ি
৮. বন্ধ ঘোড়ার গাড়ির মধ্যে লেখকদের সাথে
বসল – দুইজন
৯. ট্যাক্সি রিজার্ভ করে দাঁড়িয়ে ছিলো –
একজন আর্মড পুলিশ
১০. শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রথমে নেয়া হয় –
নারায়ণগঞ্জ থানায়
১১. পরবর্তীতে নেয়া হয় – ফরিদপুর জেলে
১২. লেখকরা স্টেশনে আসল – রাত ১১ টায়
১৩. জাহাজ ছাড়ল – রাত ১ টায়
১৪. জাহাজ গোয়ালন্দ ঘাটে পৌছল – রাতে
১৫. তারা পেট পরিষ্কার করার জন্য – ঔষধ খেল
১৬. মুহিউদ্দিন ভুগছে – প্লুরিসিস রোগে
১৭. লেখকদের নাক দিয়ে জোর করে খাওয়াতে
লাগল- ৪ দিন পর
১৮. লেখকের একটা ব্যারাম ছিলো – নাকে
১৯. লেখকের নাকে ঘা হয়ে গেছে – দু-তিন দিন
পর
২০. বার বার অনশন করতে নিষেধ করছিলেন –
সিভিল সার্জন সাহেব
।
গদ্য – বায়ান্নর দিনগুলো
গুরুত্বপূর্ণ…. part 2
.
১. শেখ মুজিবুর রহমান ছোট ছোট চিঠি লিখল – ৪
টা
২. শোভাযাত্রা করে জেলগেটে ত্রসেছিল – ২২
তারিখে
৩. অপরিণামদর্শিতার কাজ করল – মুসলিম লীগ
সরকার
৪. দুনিয়ার কোথাও গুলি করে হত্যা করা হয় নাই
– মাতৃভাষা আন্দোলনের জন্য
৫. মানুষের যখন পতন আসে তখন ভুল হতে থাকে –
পদে পদে
৬. খানসাহেব ওসমান আলীর বাড়ি –
নারায়ণগঞ্জ
৭. ত্রক ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে – ঢাকা ও
নারায়ণগঞ্জে
৮. “তোমার অর্ডার এসেছে ” উক্তিটি –
মহিউদ্দিনের
৯. ডাবের পানি আনিয়েছেন – ডাক্তার সাহেব
১০. মহিউদ্দিন লেখকের অনশন ভাঙ্গিয়ে দিলেন-
দুই চামচ ডাবের পানি দিয়ে।
১১. ফরিদপুর জেল থেকে লেখক বাড়ি পৌঁছলেন –
৫ দিন পর
১২. লেখকদের বড় নৌকায় মিল্লা ছিল – ৩ জন
১৩. কথার বাঁধ ভেঙ্গে গেছে- রেণুর
১৪. আমরা আজ স্বাধীন হয়েছি – ২০০ বছর পর
১৫. প্লুরিসিস – বক্ষব্যাধি
১৬. প্রকোষ্ঠ – ঘর বা কুঠরি
.
#গদ্য – জাদুঘরে কেন যাব
।
#গুরুত্বপূর্ণ….
।
১. পৃথিবীর ১ম জাদুঘর স্থাপিত হয় কোথায়? –
আলেক জান্দ্রিয়ায়
২. পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর ছিলো – নিদর্শন,
সংগ্রহ-শালা, গ্রন্থাগার, উদ্ভিদ উদ্যান, উন্মুক্ত
চিড়িয়াখানা
৩. পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর ছিল মুখ্যত – দর্শন
চর্চার কেন্দ্র
৪. কোনটি ফরাসি বিপ্লবের পরে প্রজাতন্ত্র
সৃষ্টি করে – ল্যুভ
৫. ফরাসি বিপ্লবের পরে কী উন্মোচিত হয় –
ভের্সাই প্রাসাদের দ্বার
৬. রুশ বিপ্লবের পরে লেনিনগ্রাদের
রাজপ্রাসাদে গড়ে ওঠে – হার্মিতিয়ে
৭. কোনটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ – টাওয়ার অফ
লন্ডন
৮. ব্রিটেনে জাদুঘরের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে –
গত ত্রিশ বছরে
৯. ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় জাদুঘর কোনটি –
ব্রিটিশ মিউজিয়াম
১০. এখন জাদুঘর বলে বিবেচিত – ম্যস্যাধার ও
নক্ষত্রশালাও
১১. কোনটি ত্রখন খুবই প্রচলিত – উন্মুক্ত জাদুঘর
১২. বাংলাদেশের জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর
কোথায় – চট্রগ্রামে
১৩. রচনায় উল্লিখিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
কণিষ্ঠ শিক্ষক কে – লেখক।
১৪. কে জাদুঘর শব্দের জায়গায় সর্বত্র মিউজিয়াম
পড়ছেন – শিক্ষামন্ত্রী
১৫. শিক্ষকপ্রতিম অর্থমন্ত্রী ড. এম. এন. হুদা
লেখককে কখন ডাকলেন – চা খাওয়ার সময়।
১৬. মিউজিয়ামকে আপনারা জাদুঘর বলেন কেন?
উক্তিটি – গর্ভনরের
১৭. “স্যার জাদুঘরই মিউজিয়ামের বাংলা
প্রতিশব্দ ” উক্তিটি – লেখক হকচকিয়ে বলল
১৮. জাদুঘরকে আজবখানা বলা হয় – উর্দুতে
১৯. জাদুঘরকে অজায়ের-ঘর বলা হয় – হিন্দিতে
২০. কে দ্বিজাতিতত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন –
আব্দুল মোনায়েম খান
২১. লেখক ব্রিটিশ ভারতীয় মুদ্রার সযত্ন স্থান
দেখেছে কোথায়? – কুয়েত
২২. টাওয়ার অফ লন্ডনে সকলে ভিড় করে কেন? –
কোহিনুর দেখতে
২৩. একটা শক্তিশালী সামাজিক সংগঠন
কোনটি – জাদুঘর
২৫. কী আমাদের আনন্দ দেয় – জাদুঘর
।
গদ্য – রেইনকোট
গুরুত্বপূর্ণ…
।
১. রেইনকোট গল্পের কথক কে? – নুরুল হুদা
২. রেইনকোট গল্পে উল্লিখিত জেনারেল
স্টেটমেন্টটি হলো – “শনিতে সাত মঙ্গলে তিন,
আর সব দিন দিন ”
৩. ফুটফাট বন্ধ কয়দিন – অন্তত ৩ দিন
৪. বাদলায় কোনটির জিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা
হয়েছে – বন্দুক বারুদ
৫. মিলিটারির ভয়ে গল্পের নুরুল হুদা কি মুখস্থ
করেছে – সূরা
৬. রাস্তায় বেরুলে নুরুল হুদা ঠোঁটের ওপর কি
রাখে – পাঁচ কালেমা
৭. মাঠ পেরিয়ে একটু বাঁ দিকে –
প্রিন্সিপ্যালের বাড়ি
৮. প্রিন্সিপ্যালেরর কোয়ার্টারের সঙ্গে
কোনটির অবস্থান – মিলিটারি ক্যাম্প
৯. কোনটিকে মিলিটারি ক্যাম্প করা হয়েছে –
কলেজের জিমনেশিয়ামে
১০. রাস্তায় ঘড়ঘড় করছিলো – বেবি ট্যাকসি
১১. কে নাশতার আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছে –
ইসহাক
১২. মিন্টু যেখানে গেছে তার খবর জানে কারা –
নুরুল হুদা ও তার বউ
১৩. কে রোজ,টাইমলি কলেজে যায় – নুরুল হুদা
১৪. নুরুল হুদা রাস্তায় এসে দেখল কি নেই –
রিক্সা
১৫. নুরুল হুদা কিসের পরোয়ানা করে না –
রিক্সার
১৬. কোন বৃষ্টিতে বেশ শীত শীত ভাব – শেষ
হেমন্তের বৃষ্টিতে
১৭. বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে নুরুল হুদাকে কোন দিকে
তাকাতে হয় – উওরে
১৮. কীসের ল্যাজটা দেখা যাচ্ছে না –
মিলিটারি লরির
১৯. কে ত্রকটু বাচাল টাইপের – দোকানদার
ছেলেটা
২০. স্টেট বাসের রং কেমন ছিলো – লাল
২১. বাসে কত গুলো সিট খালি ছিলো – অর্ধকের
বেশি
২২. নুরুল হুদার চাউনি কেমন ছিল – ভোঁতা কিন্তু
গরম
২৩. নুরুল হুদা বাস থেকে নেমে নামল কোথায় –
নিউ মার্কেট
২৪. আলমারি কিসের – লোহার
২৫. মোট আলমারি কতটি – ১০ টি
২৬. আলমারিগুলো আনা হয়েছে – ঠেলাগাড়ি
দিয়ে
২৭. নুরুল হুদার ছেলের বয়স – ৫ বছর
২৮. নুরুল হুদার,মেয়ের বয়স – আড়াই (২.৫) বছর
.
– মহাজাগতিক কিউরেটর
।
১. কোন গ্রহটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে
মহাজাগতিক কিউরেটররা বেশ সন্তুষ্ট – তৃতীয়
গ্রহ (পৃথিবী)
২. কাকে প্রাণহীন বলা যায় – ভাইরাস
৩. ভাইরাসের মাঝে কখন জীবনের লক্ষণ দেখা
যায়- অন্য প্রাণির সংস্পর্শে ত্রলে
৪. কোন ধরনের প্রাণিদের বেঁচে থাকার পদ্ধতি
ভিন্ন – পানিতে থাকা প্রাণিদের
৫. কোন ধরনের প্রাণিদের একটির ভিতরে আবার
অত্যন্ত নিম্নশ্রেণীর বুদ্ধিরর বিকাশ হয়েছে –
গরম রক্তের স্তন্যপায়ী প্রাণিদের
৬. কোথায় কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই – ভিন্ন
ভিন্ন প্রজাতির মাঝে
৭. সব প্রাণির মূল গঠনটি কী দিয়ে হয়েছে – DNA
৮. সব প্রাণির DNA – একই রকম
৯. সবচেয়ে সহজ ও সবচেয়ে কঠিন প্রাণিটির গঠন
কেমন – একই রকম
১০. সব প্রাণি কী দিয়ে তৈরি – একই বেস
পেয়ার দিয়ে
১১. DNA দিয়ে তৈরি আছে – প্রাণিটির
বিকাশের নকশা
১২. আকারে ছোট, গঠন সহজ, মাঝে কোনো
বৈচিত্র নেই – ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার
১৩. আকারে বড় এবং সংরক্ষণ কঠিন – হাতি বা
নীল তিমি
১৪. সাপ – সরীসৃপ
১৫. বাঘ – স্তন্যপায়ী
১৬. একসাথে থাকে ও দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় –
কুকুর
১৭. নিজের স্বকীয়তা হারিয়েছে – কুকুর
১৮. স্বকীয়তা লোপ পাচ্ছে – গৃহপালিত
প্রাণিদের
১৯. দীর্ঘ সময় খেতে হয় ও ঘাস লতা পাতা খেয়ে
কাটায় – হনিণ
২০. সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে – মানুষ
২১. মানুষ ত্রকে অন্যের উপর কোন বোমা ফেলছে
– নিউক্লিয়ার
২২. পৃথিবী ত্রক সময় নিয়ন্ত্রণ করবে কারা –
পিঁপড়া
।
গদ্য – নেকলেস
গুরুত্বপূর্ণ
১. গল্পের নায়কের নাম – মসিঁয়ে/মসিঁয়ে
লোইসেল
২. গল্পের নায়িকার নাম – মাতিলদা লোইসেল /
মাদাম লোইসেল
৩. মাদাম লোইসেলের বান্ধবীর নাম – মাদাম
ফোরস্টিয়ার
৪. নিয়তির ভুলেই যেন মাদাম লোইসেলের জন্ম
হয়েছে – কেরানির ঘরে
৫. মাদাম লোইসেলের বিয়ে হয় কার সাথে –
শিক্ষা পরিষদ আপিসের এক কেরানির সাথে
৬. কীসের অক্ষমতার জন্য সে সাধারণভাবে
থাকত – নিজেকে সজ্জিত করার
৭. তার শ্রেণির অন্যতম হিসাবে মাদাম
লোইসেল কেমন ছিল – অসুখী
৮. কাদের কোনো জাতিবর্ণ নেই – সাধারণ
পরিবারের মেয়েদের
৯. রহিত মাছের রং কি? – গোলাপি
১০. কী খেতে সিংহ মানবী প্রলয়লীলার কথা
শুনবেন – মুরগির পাখনা
১১. সিংহ মানবী কে? – মাদাম লোইসেল
১২. মাদাম লোইসেলের প্রিয় – ফ্রক বা জরোয়া
গহনা
১৩. মাদাম লোইসেলের ধনী বান্ধবীটি কে
ছিলো – “কনভেন্ট ” ত্রর সহকারী
১৪. ত্রক সন্ধ্যায় মসিঁয়ে লোইসেল কি নিয়ে ঘরে
ফিরল – ত্রকটি বড় খাম
১৫. “ত্রই যে তোমার জন্য এক জিনিস ত্রনেছি ”
উক্তিটি – মসিঁয়ে লোইসেলের
১৬. পোশাকের জন্য কত ফ্রাঁ লাগবে – চারশত
ফ্রাঁ
১৭. মসিঁয়ের বন্ধুরা গত রবিবারে “ভরতপাখি ”
শিকারে কোথায় গিয়রছিলো – নানতিয়ারের
সমভূমিতে
১৮. মসিঁয়ের বন্ধুদের সাথে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা –
আগামী গ্রীষ্মে
১৯. মসিঁয়ে চারশত ফ্রাঁ সঞ্চয় করে রেখেছিল –
“বন্দুক ” কেনার জন্য
২০. লোইসেল দম্পতি বাড়ি ফিরল – ভোর ৪ টায়
২১. কারা খুব বেশি ফুর্তিতে মও ছিলো – অন্য
তিন জন ভদ্রলোকের স্ত্রী।
২২. মসিঁয়ে বিশ্রাম কক্ষে আধঘুম বসেছিল –
মধ্যরাত্রি পর্যন্ত
২৩. হতাশ হয়ে কাপঁতে কাপঁতে তারা হাঁটতে
থাকল – সিন নদীর দিকে
২৪. প্যারীতে সন্ধ্যার পর লোকের চোখে পড়ে –
নিশাচর দুই যাত্রীর গাড়ি
২৫. হীরার হারটির মূল্য – ৪০,০০০ ফ্রাঁ
২৬. হারটি কত ফ্রাঁ দিয়ে আনতে পারবে – ৩৬,০০০
ফ্রাঁ।
২৭. ফেব্রুয়ারি মাসের ভিতর হারটি ফেরত দিলে
তারা কত ফ্রাঁ ফেরত দিবে – ৩৪,০০০ ফ্রাঁ
২৮. লোইসেলের কাছে ছিলো – ১৮,০০০ ফ্রাঁ
২৯. মাদাম লোইসেলের নখের রং – গোলাপি
৩০. ফোরস্টিয়ারের হারটির দাম ছিলো – ৫০০
ফ্রাঁ।
সব কবিতা গুলো একসাথে
সব কবিতা গুলো একসাথে (MCQ)
# কবিতা - সাম্যবাদী
.
১.সাম্যবাদী কবিতার চরণ সংখ্যা কত-৩২
২. কবি কীসের গান গায় - সাম্যের
৩. কবি পুঁথি ও কেতাব বহন করতে বলেন - পেটে-পিঠে-কাঁধে-মগজে।
৪. সাম্যবাদী কবিতায় কবি কোথায় দর-কষাকষি হওয়ার কথা বলেন - দোকানে।
৫. সাম্যবাদী কবিতানুসারে তাজা ফুল কোথায় ফুটে- পথে।
৬. সকল শাস্ত্র খুঁজে পাওয়া যায় কোথায় - নিজ প্রাণে।
৭. সকল দেবতার বিশ্ব দেউল কোনটি - মানুষের হৃদয়।
৮. অমৃত -হিয়ার নিভৃত অন্তরালে কে হাসছেন - দেবতা- ঠাকুর।
৯. আপন হৃদয়ে সত্যের পরিচয় পেল কারা - ঈসা- মুসা।
১০. বাঁশির কিশোর কে - কৃষ্ণ।
১১. হৃদয়ের রণ-ভূমে বাঁশির কিশোর কী গাইলেন - মহা - গীতা।
১২. মেষের রাখাল নবিরা কার মিতা - খোদার।
১৩. হৃদয়ের ধ্যান গুহামাঝে বসেছেন - শাক্যমুনি।
১৪. মানবের মহাবেদনার ডাক শুনে রাজ্য ত্যাগ করল - শাক্যমুনি।
১৫. আলাল-দুলাল আহ্বান শুনতেন কোথায় - কন্দরে।
১৬.হৃদয়ের কন্দরে বসে আলাল-দুলাল কীসের গান গাইলেন-কোরানের সাম্য-গান।
১৭. মানুষের হৃদয়েরর চেয়ে বড় কী নেই- মন্দির -কাবা।
.
#কবিতা - তাহারেই পড়ে মনে
.
১. তাহারেই পড়ে মনে সংলাপ নির্ভর কবিতা
২. ১ টি ঝতুর নাম আছে - বসন্ত
৩. ২ টি বাংলা মাসের নাম আছে - মাঘ, ফাল্গুন।
৪. বসন্ত উল্লেখ আছে - ৪ বার
৫. ফাল্গুন উল্লেখ আছে - ৩ বার
৬. লাইন - ৩০ টি
৭. স্তবক - ৫ টি
৮. কোন দুয়ার খুলে গেছে - দক্ষিণ দুয়ার
৯. কিসের ফুল ফুটেছে - বাতাবি নেবুর
১০. কিসের মুকুল ফুটেছে কি? - আমের
১১. সমীর কোন দিকের - দখিনা
১২. সমীর অর্থ - বাতাস
১৩.পাথার অর্থ - সমুদ্র
১৪.কুহেলি অর্থ - কুয়াশা
১৫. উত্তরী অর্থ - চাদর
১৬. অলখ অর্থ - অলক্ষ
১৭.মাধবী কুড়িঁ কি? - বসন্তী লতা বা তার ফুল
১৮. অর্ঘ্য অর্থ - পূঁজার উপকরণ
১৯. ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়
২০. অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত
.
#কবিতা - লোক লোকান্তর
.
১. চরণ সংখ্যা - ১৪ টি
২. রং- সাদা, সবুজ, লাল
৩. গাছ - চন্দন, পান
৪. অঙ্গ - ঠোঁট, চোখ, পা, নখ
৫. অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত
৬. লোক-লোকান্তর কোন ধরনের কবিতা- আত্ম পরিচয়মূলক
৭. কবি তার চেতনাকে কার সাথে তুলনা করেন- একটি সত্যিকার সাদা পাখির সাথে
৮. কবির চেতনারুপ পাখিটি কোথায় বসে আছে- সবুজ অরণ্যে, চন্দনের ডালে
৯. বনচারী বাতাসের তালে দোল খায় - বন্য পানলতা
১০. পাখিটির ঠোঁট কীসে মাখামাখি হয়ে আছে - সুগন্ধ পরাগে
১১. পাখিটির দুটি চোখের কোটরে কীসের রং আছে- কাটা সুপারির রং
১২. পাখিটির পায়ের রং- সবুজ
১৩. পাখিটির নখের রং- তীব্র লাল
১৪. কবির তন্ত্রে- মন্ত্রে কী ভরে আছে - চন্দনের ডাল
১৫. কবি কোথায় চোখ রাখতে পরছেন না- বন্য ঝোপের ওপর
১৬. কবির মতে চেতনার মনি উজ্জ্বল হলে কি কেটে যাবে বা ছিঁড়ে যাবে- সমস্ত বাঁধুনি
১৭. লোকালয়ে কী তুচ্ছ হয়ে যাবে- সমাজ, সংসার, ধর্ম
১৮. লোক- লোকান্তর কবিতায় কবি স্তব্ধ হয়ে কী শুনেন - আহত কবির গান
১৯. কবির মতে কোনটির বিজয় আসন্ন- পরকাল
২০. লোকান্তর শব্দের অর্থ- পরকাল
.
#কবিতা- রক্তে আমার অনাদি অস্থি
.
১. চরণ সংখ্যা - ২৪
২. নদীর নাম ৬ টি
৩. সাগর- বঙ্গোপসাগর
৪. কবিতাটি উৎসর্গ করা হয়েছে - কবীর চৌধরীকে
৫. কবি কার যৌবন চান- পদ্মার
৬. কবি কার প্রেম চান - যমুনার
৭. সুরমা নদীর পলিকে কবি কী বলেন - গলিত হেম
৮. হেম অর্থ- সুবর্ণ, সোনা
৯. "কাজল বুক "কোন নদীর - সুরমা নদীর
১০. কবিতায় উল্লেখিত, "গণমানবের তুলি " কে - কবি নিজে
১১. "তোমার বুকে আমি নিরবধি "এ বাক্যে তোমাদের বলতে বুঝানো হয়েছে - নদীকে
১২.কবির মতে চারদিকে কী খেলা করে - বিচিত্র জীবনের রং
১৩.কোনটি বাঁকে বাঁকে ঘুরে - মুগ্ধ মরণ
১৪.কবি দিলওয়ার তার প্রাণ স্বপ্নকে কোথায় রেখেছেন - বঙ্গোপসাগর
১৫. কবি তার ত্রোূধকে তুলনা করেন- ভয়াল ঘূর্ণির সাথে
১৬. নরদানবের মুখে কী বোঝাই - প্রাণের জাহাজ
১৭. অস্থি শব্দের অর্থ- হাড়.
.
#কবিতা - আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
.
১. চরণ সংখ্যা - ৬৮
২. কবিতা-১৮ বার
৩. যে কবিতা শুনতে জানে না- ৯ বার
৪.কবির পূর্বপুরুষ কি ছিলেন - ত্রীূতদাস
৫. কবির পূর্বপুরুষের করতলে কি ছিলো - পলিমাটির সৌরভ
৬.কবির পূর্বপুরুষ কীসের কথা বলতেন- অতিত্রূান্ত পাহার, অরণ্য এবং শ্বাপদ, পতিত জমির আবাদ এবং কবিতার কথা বলতেন
৭. এ কবিতায় উজ্জ্বল জানালা কীসের আগুনে আলোচিত - উনোনের আগুনে
৮. কবি কার মৃত্যুর কথা বলেছেন- গর্ভবতী বোনের
৯. ভালোবেসে কি আসে- যুদ্ধ
১০. ভালোবাসা দিলে কে মরে যায়- মা
১১. যে কবিতা শুনতে জানে না সে হৃৎপিন্ডে কাকে ধরে রাখতে পারে না - সূর্যকে
১২. যে কবিতা শুনতে জানে না সে কীসের অধিকার থেকে বোনচিতো হবে - দিগন্তের
১৩. শস্যের সম্ভার কাকে সমৃদ্ধ করবে - যে কর্ষণ করে
১৪. প্রবাহমান নদী কাকে পুরষ্কৃত করবে- যে মৎস লালন করে
১৫. জননীর আর্শীবাদ কাকে দীর্ঘায়ু করে- যে গাভীর পরিচর্যা করে
১৬. ইস্পাতের তরবারি কাকে সশস্ত্র করবে- লৌহখণ্ড প্রজ্বলনকারীকে
১৭. কবিতায় কার যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে - ভাইয়ের
১৮.সশস্ত্র সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুণ্থান কী - কবিতা
.
#কবিতা- নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
.
১. চরণ সংখ্যা - ৪২
২. সাল - ১১৮৯
৩. "নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় "- ৬ বার
৪. নিলক্ষা আকাশেরর রং - নীল
৫. "নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় " কবিতায় লোকালয়ের সংখ্যা - উনসত্তর হাজার
৬. পুর্ণিমার চাঁদ কীসের মতো জ্যোৎস্না ঢালছে - ধবল দুধের মতো
৭. নিলক্ষার নীলে কে তীব্র শিস দেয় - চাঁদ
৮. মানুষের বন্ধ দরজায় হঠাৎ কে হানা দেয় - অতীত
৯. উল্লিখিত কবিতায় দীর্ঘদেহ কার- নূরলদীনের
১০. দীর্ঘদেহ নিয়ে নূরলদীন কোথায় দেখা যায় - মরা আঙিনায়
১১. নূরলদীনের বাড়ি কোথায়? - রংপুর
১২. বাংলা কত সালে নূরলদীন ডাক দিয়েছিলো - ১১৮৯ সনে
১৩. শকুন নেমে আসে কোথায় - সোনার বাংলায়
১৪. শকুন হল- পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা
১৫.কবির মতে আমাদের এই দেশ ছেয়ে আছে - দালালের আলখাল্লায়
১৬. দালাল কারা- রাজাকাররা
১৭. নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় কবির কি লুট হয়ে যায়- স্বপ্ন
১৮. কবির মতে জ্যোৎস্নার সাথে কি ঝরে পড়ে - স্মৃতির দুধ
১৯. সমস্ত নদীর অশ্রু অবশেষে কোথায় গিয়ে মেশে- ব্রক্ষপুত্রে
.
#কবিতা-বিভীষণেরর প্রতি মেঘনাদ
.
১.অরিন্দম মেঘনাদের উপাধি।
২.রক্ষপুর বলতে বুঝানো হয়েছে লঙ্কাপুরকে।
৩.মেঘনাদের রাজ্যের নাম লঙ্কাপুর।
৪.মেঘনাদের বাবার নাম রাবণ।
৫.মেঘনাদের চাচার নাম বিভীষণ।
৬.রাবণের মায়ের নাম নিকষা।
৭.রামানুজ হলো লক্ষ্মণ (রামের ছোট ভাই)
৮. লক্ষ্মণের মায়ের নাম সুমিত্রা।
৯. সৌমিিএ বলতে বুঝানো হয়েছে লক্ষ্মণকে
১০. শেষ লাইন "গতি যার নীচ সহ,নীচ সে দুর্মতি "।
১১. কাব্যাংশে "চণ্ডাল "বলা হয়েছে রামকে।
১২. মেঘনাদ বিভীষণকে বলেছে দ্বার ছাড়ার কথা।
১৩. মেঘনাদ লক্ষ্মণকে পাঠাবে -শমন ভবনে।
১৪."লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবর " উক্তিটি- মেঘনাদের।
১৫."রামানুজ "শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ - রাম+ অনুজ।
১৬. "বৃথা এ সাধনা ধীমান "- বিভীষণ, মেঘনাদকে বলল।
১৭. রাঘবদাস হল - বিভীষণ।
১৮. বিভীষণ কাজ করবে না - রাঘবের বিপক্ষে।
১৯. মাটিতে পড়ে ধূলায় গড়াগড়ি খায় না- শশী( চাঁদ)
২০. 'নন্দন কাননে ভ্রমে 'কে - দুরাচার দৈত্য।
২১. দুরাচার দৈত্যের সাথে তুলনা করা হয়েছে - লক্ষ্মণকে।
২২. প্রফুল্ল কমলে বাস করে - কীট।
২৩.মহামন্ত্র বলে যথা নম্রশিরঃ হয় কার - ফণী।
২৪. রাবণ অনুজ হল - বিভীষণ।
২৫. রাবণ আত্মজ হল - মেঘনাদ।
২৬. অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত
.
#কবিতা - ঐকতান
.
১.ঐকতান কবিতার চরণ সংখ্যা -৫৪
২. ঐকতান কবিতার স্তবক সংখ্যা -৪
৩. কবির মন জুড়ে আছে- বিশাল বিশ্বের ক্ষুদ্র এক কোণে
৪. কবি অক্ষয় উৎসাহে পড়েন -ভ্রমণবৃত্তান্ত গ্রন্থ
৫. কবি কুড়িয়ে আনেন - চিএময়ী বর্ণনার বাণী
৬.কবি তার জ্ঞানের দীনতা পূরণ করে নেন - ভিক্ষালব্ধ ধনে
৭. "ঐকতান "কবিতায় কবি নিজেকে উল্লেখ করেছেন - পৃথিবীর কবি হিসেবে।
৮.বিভিন্ন কবিরা নানাদিক থেকে গান ঢালে - প্রকৃতির ঐকতানস্রোতে
৯. শ্রমজীবী মানুষের বিচিত্র কর্মভারে ভর দিয়ে চলছে- সমস্ত সংসার
১০. কবি সমাজের উচ্চ আসনে বসেছেন - সংকীর্ণ বাতায়নে
১১. কবি ওপাড়ার প্রাঙ্গণের ধারে গিয়েছেন - মাঝে মাঝে
১২. গানের পসরা ব্যর্থ হয় - কৃিএম পণ্যে
১৩. কবির কবিতা বিচিত্র পথে অগ্রসর হলেও হয়নি- সর্বএগামী
১৪. "ঐকতান "কবিতার কবি কোন কবির বাণী শুনতে পান- যে কবি আছেন মাটির কাছাকাছি
১৫. কবি আহ্বান করেন- অখ্যাত জনের নির্বাক মনের কবিকে
১৬. কবি এদেশকে বলেন প্রাণহীন
১৭. কবি এদেশের চার ধারকে বলেন - গানহীন
১৮. একতারা যাদের আছে তারাও যেন সম্মান পায়- সাহিত্যের ঐকতান সংগীত সভায়
.
#কবিতা - ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
.
১. চরণ সংখ্যা - ২৮
২. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কোন ধরনের কবিতা - চেতনা, দেশপ্রেম, গণজাগরণেরর কবিতা
৩. কবিতাটির প্রেক্ষাপট - ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান
৪. থরে থরে শহরে পথে নিবিড় হয়ে কোন ফুল ফুটেছে - কৃষ্ণচূড়া
৫. কবিতায় "কৃষ্ণচূড়া " ফুলকে কিসের সাথে তুলনা করা হয়েছে - শহীদের ঝলকিত রক্তের বুদ্বুদ এর সাথে
৬. "আমাদের চেতনারই রং " বলতে বুঝানো হয়েছে - একুশের কৃষ্ণচূড়াকে
৭. "একুশের কৃষ্ণচূড়া " বলতে বুঝানো হয়েছে - একুশে ফেব্রুয়ারির কথা
৮. চেতনার রং এর বিপরীতে আছে - অন্য রং
৯. ঘাতকের আস্তানা কেমন- অশুভ
১০. কবিতানুসারে, কবি এবং কবির মতো বহু লোক এখন কোথায় - ঘাতকের আস্তানায়
১১.চতুর্দিকে কী তছনছ হচ্ছে - মানবিক বাগান ও কমলবন
১২.শূন্যে ফ্ল্যাগ তোলে কে - সালাম
১৩. কে ঘাতকের থাবার সম্মুখে বুক পাতে- বরকত
১৪.কার চোখে আজ আলোচিত ঢাকা - সালামের
১৫. কার মুখে আজ তরুণ শ্যামল পূর্ব বাংলা - সালামের
১৬. কে অবিনাশী বর্ণমালা গাঢ় উচ্চারণে বলে - বরকত
১৭. এ কবিতায় বর্ণমালাকে তুলনা করা হয়েছে - রক্ষত্রের সাথে
.
#কবিতা - আঠারো বছর বয়সে
.
১.ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত
২. মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত
৩. লাইন - ৩২টি
৪. স্তবক - ৮ টি
৫. আঠারো - ৯ বার
৬. আঠারো বছর বয়সে আছে- ৭ বার
৭.লেখক - সুকান্ত ভট্রাচার্য
৮. পদাঘাতে ভাঙতে চায়- পাথর বাধা
৯. আঠারো বছর বয়স জানে না - কাঁদতে
১০. আঠারো বছর বয়স জানে - রক্তদিতে
১১. মানবজীবনেরর উওরণকালীন পর্যায় - আঠারো বছর বয়স
১২. আঠারো বছর বয়স চলে- স্টিমারের মত
১৩. আঠারো বছর বয়সে কানে আসে- মন্ত্রণা
১৪. আঠারো বছর বয়স কাঁপে - বেদনাময় থরোথরো
১৫. আঠারো বছর বয়স বিপদের মুখে - অগ্রণী
১৬. আঠারো বছর বয়স- ভীরু, কাপুরুষ নয়
১৭.পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু - তুফান
১৮. আঠারো বছর বয়সে দুর্যোগে - হাল ঠিকমতো রাখা ভার
১৯. আঠারো বছর বয়সেই অহরহ - বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় উকি
২০. এ দেশের বুকে আসুক নেমে- আঠারো বছর বয়স
.
#কবিতা - সেই অস্ত্র
.
অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত
১.অস্ত্র শব্দটি আছে -১৫ বার
২.রং উল্লেখ আছে -১ টা (সবুজ)
৩. স্থান -ট্রয়নগরী
৪."সেই অস্ত্র" বলতে বুঝানো হয়েছে - ভালোবাসা
৫. ভালোবাসা কীসের প্রতিশ্রুতি - সভ্যতার
৬. সেই অস্ত্র উত্তোলিত হলে অরণ্য হবে - আরও সবুজ
৭. সেই অস্ত্র উত্তোলিত হলে কোথায় আগুন জ্বলবে না- ফসলের মাঠে
৮. সেই অস্ত্র উত্তোলিত হলে কী খাঁ খাঁ করবে না- গৃহস্থালি
৯. ভালোবাসা ব্যাপ্ত হলে নক্ষএখচিত আকাশ থেকে কী ঝরবে না- আগুন
১০. মুহূর্তের অগ্নুৎপাত কোথায় ঘটে- মানব বসতি বুকে
১১.ভালোবাসা মানুষকে কী করে- সমাবিষ্ট
১২.ভালোবাসা কাকে নিশ্চিহ্ন করে - আধিপত্যের লোভকে
১৩. আমাদের চেতনা জুড়ে আর্তনাদ করবে না - পঙ্গু বিকৃতরা
১৪. ভালোবাসা উত্তোলিত হলে বার বার বিধ্বস্ত হবে না - ট্রয়নগরী
১৫. কবি কেমন অস্ত্রের প্রত্যাশী - অবিনাশী অস্ত্রেরর
১৬.কবি আমোঘ অস্ত্র ভালোবাসা, ব্যাপ্ত করতে বলেছেন কোথায় - পৃথিবীতে
.
#কবিতা - এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে।
.
১. কবিতাটির চরণ সংখ্যা -১৪ টি
২."এক স্থান " বলতে বোঝানো হয়েছে - বাংলাদেশ কে
৩. কবির কাছে তার দেশ কেমন- সবচেয়ে সুন্দর করুণ
৪. সবুজ ডাঙা ভরে আছে কীসে - মধুকূপী ঘাসে
৫. এ দেশে নাটার রঙের মতো অরুণ জাগছে কখন - ভোরের মেঘে
৬. কর্ণফুলী, ধলেশ্বরী, পদ্মা জলাঙ্গীরে জল দেয় কে - বরুণ
৭. জলাঙ্গী অর্থ - নদী
৮. পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল কে - শঙ্খচিল
৯. কে ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট, তরুণ - লক্ষ্মীপেঁচা
১০. কোনটি অন্ধকার ঘাসের উপর নুয়ে থাকে - লেবুর শাখা
১১. অন্ধকার সন্ধ্যার বাতাসে কে তার ঘরে উড়ে যায়- সুদর্শন
১২.হলুদ শাড়ি লেগে থাকে কার শরীরে- শঙ্খমালা
১৩. বারুণী কোথায় থাকে- গঙ্গাসাগরের বুকে
১৪. বর দিয়েছিল কে, কাকে- বিশালাক্ষী, শঙ্খমালাকে
১৫. এদেশকে বলা হয়েছে - নীল বাংলার দেশ
১৬. নীল বাংলার ধান ও ঘাসের ভিতর কে জন্মেছে - শঙ্খমালা
১৭. আধুনিক বাংলা সাহিত্যেরর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশ
Bangla 1st All Mcq
Bangla All Mcq
বিড়াল 01
বাংলা ভাষায় পড়োঠোম শিল্প সম্মত উপন্যাস রচনার কৃতিত্ব কার?
ক) প্যারীটাদ মিত্রের
খ) কালীপ্রসন্ন সিংহের
গ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের
ঘ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপাধি কোনটি?
ক) সাহিত্য সম্রাট
খ) অপরাজেয় কথাশিল্পী
গ) কবি সম্রাট
ঘ) সাহিত্য রত্ন
কমলাকান্ত ভাল ভাবে দেখলে ওয়েলিংটনের পরিবর্তে কাকে দেখতে পান?
ক) কবুতরকে
খ) প্রসন্নকে
গ) মার্জারকে
ঘ) নসীবাবুকে
কমলাকান্ত কাকে ‘মার্জার সুন্দরী’ বলেছেন?
ক) বিড়াল
খ) প্রসন্ন
গ) নেপোলিয়য়ান
ঘ) নসীবাবুকে
বিড়াল অতি মধুর স্বরে ‘মেও’ বলেছে কেন?
ক) ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে
খ) পরিতৃপ্ত হওয়ার কারণে
গ) করুণা পাওয়ার জন্য
ঘ) অপরাধবোধের জন্য
প্রসন্ন যে গাভীর দুধ দোহন করেছিল তার নাম কী?
ক) মার্জারী
খ) মঙ্গলা
গ) ধবলী
ঘ) শ্যামলী
মনুষ্যকূলে কুলাঙ্গার হতে চান না কে?
ক) কমলাকান্ত
খ) প্রসন্ন
গ) নেপোলিয়ন
ঘ) ওয়েলিংটন
সন্তু সারাদিন না খেতে পেয়ে ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে হোটেল থেকে খাবার চুরি করে। সন্তুর সঙ্গে ‘বিড়াল’ রচনার কার মিল আছে?
ক) প্রসন্নের
খ) মঙ্গলার
গ) বিড়ালের
ঘ) কমলাকান্তের
‘সংসারে ক্ষীর, সর, দুগ্ধ, দধি, মৎস্য, মাংস সকলই তোমরা খাইবে’- এখানে ‘তোমরা’ কারা?
ক) বিড়ালরা
খ) মানুষরা
গ) অধার্মিকেরা
ঘ) চোরেরা
কমলাকান্ত কী পেয়ে মার্জারের সকল বন্তব্য বুঝতে পারলেন?
ক) আফিং
খ) দৈবশক্তি
গ) দিব্যকর্ণ
ঘ) ক্ষুৎপিপাসা
‘বিড়াল’ রচনায় শিরোমণি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক) পরিবারের প্রধান ব্যক্তিকে
খ) সমাজের প্রধান ব্যক্তিকে
গ) পরিবারের নিম্ন আয়ের ব্যক্তিকে
ঘ) সমাজের নিম্নশ্রেণির ব্যক্তিকে
ক) চোরদের
খ) ধনীদের
গ) বিড়ালদের
ঘ) অধার্মিকদের
ক) পানি পর্ণ করা
খ) জলদান
গ) হালকা খাবার
ঘ) তরল খাবার
ক) এশীয় সমাজে
খ) ইউরোপীয় সমাজে
গ) আফ্রিকান সমাজে
ঘ) আমেরিকার সমাজে
. আত্মরক্ষামলক
।।. শ্লেষাত্মক
।।।. যুক্তিনিষ্ঠ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
ধর্মাচারণে মন দেয় না বলে
অন্যের খাদ্য চুরি করে খেয়েছে বলে
তুচ্ছ প্রাণী হয়ে বিজ্ঞ মনোভাব পোষণ করেছে বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
দরিদ্রকে চুরি করতে বাধ্য করে
ii. ধর্মের কথা বলে বেড়ায়
iii. ধন সঞ্জয় করে রাখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও:
‘আপনারে রাখিলে ব্যর্থ জীবন সাধনা
জনম বিশ্বের তরে পরার্থে কামনা ।’
ক) স্বার্থপরতা
খ) স্বজনগ্রীতি
গ) পরহিতব্রত
ঘ) বিচ্ছিন্নতা
দরিদ্রের ক্ষুধা সবার বোঝা উচিত
অনাহারে মরে যাবার জন্য পৃথিবীতে কেউ আসেনি
সামাজিক ধনবৃদ্ধি ব্যতীত সমাজের উন্নতি নাই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i,ii ও iii
অপরিচিতা 02
ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ক) অনুপম রুচিবান
খ) অনুপম রূপবান
গ) অনুপম সৎপাত্র
ঘ) অনুপম ব্যতিত্বসম্পন্ন
ক) অনুপমের
খ) শম্ভুনাথের
গ) হরিশের
ঘ) মামার
ক) হরিশ
খ) বিনুদা
গ) কল্যাণী
ঘ) শম্ভুনাথ
ক) বিনুদার
খ) হরিশের
গ) মামার
ঘ) ঘটকের
ক) মামা
খ) হরিশ
গ) শম্ভুনাথ সেন
ঘ) মা
ক) সংসার অনভিজ্ঞ
খ) কমবয়সী হিসেবে
গ) বিয়ের অনুপযুক্ত
ঘ) মামার ওপর নির্ভরশীল
ক) হরিশ
খ) শম্ভুনাথ
গ) অনুপম
ঘ) মামা
ক) তিন দিন
খ) সাত দিন
গ) পাঁচ দিন
ঘ) নয় দিন ও
ক) চতুরতা
খ) হীনন্মন্যতা
গ) সচেতনতা
ঘ) দায়িত্বপরায়ণতা
ক) কন্যার পিতা গরিব বলে
খ) যৌতুক দিতে না পারায়
গ) মামার হীন ব্যবহার
ঘ) শম্ভুনাথ বাবুর অনিচ্ছায়
ক) বই
খ) ব্যাগ
গ) ক্যামেরা
ঘ) চশমা
ক) আহ্লাদির
খ) কল্যাণীর
গ) জমিরনের
ঘ) মাদাম লোইসেলের
ক) খঞ্জনী
খ) মৃদঙ্গ
গ) তবলা
ঘ) একতারা
ক) উত্তম
খ) নাম
গ) মধ্যম
ঘ) উত্তম ও মধ্যম
i. দৈর্ঘ্যের হিসেবে
ii. গুণের হিসেবে
iii. তাৎপর্যের হিসেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii, ও iii
i. অক্ষমতা
ii. নির্ভরতা
iii. ব্যক্তিত্বহীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii, ও iii
i. বিনুদাদা
ii. হরিশ
iii. অনুপমের পিসতুতো ভাই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii, ও iii
ক) সিদ্দিকা কবীর
খ) সুফিয়া কামাল
গ) সেলিনা হোসেন
ঘ) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
ক) চাষীদের
খ) শিশুদের
গ) শিক্ষকদের
ঘ) চাকুরিজীবীদের
ক) পোকা
খ) সুতা
গ) এন্ডি
ঘ) কাপড়
ক) রেশমী সুতা
খ) পশমী সুতা
গ) মিহি সুতা
ঘ) রঙ্গিন সুতা
ক) কুমিল্লা
খ) রংপুর
গ) ঢাকা
ঘ) ফেনী
ক) সচেতনতা বৃদ্ধি করতে
খ) আধুনিক করতে
গ) সমৃদ্ধ করতে
ঘ) এক্য সৃষ্টি করতে
ক) পাঠশালা
খ) হাসপাতাল
গ) কারখানা
ঘ) সভ্যতা
ক) ইউরোপের মহাযুদ্ধ
খ) ক্রিমিয়ার যুদ্ধ
গ) মুক্তিযুদ্ধ
ঘ) ব্রিটিশ যুদ্ধ
ক) ছমিরন
খ) জমিরন
গ) আমিরন
ঘ) করিমন
ক) চাষার দুক্ষু
খ) আমার পথ
গ) জীবন ও বৃক্ষ
ঘ) রেইনকোট
ক) ধন-সম্পদের প্রাচুর্য
খ) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
গ) যোগাযোগের উন্নতি
ঘ) আত্মীয়তার বন্ধন
ক) অহেতুক শ্রম
খ) আলস্য
গ) বিলাসিতা
ঘ) কাজের প্রতি অনিহা
ক) ক্যানভাস
খ) এন্ডি
গ) জামদানি
ঘ) মসলিন
ক) হাত পাখা
খ) পান্তা ভাত
গ) পাখির ডানা
ঘ) এক ধরনের খাদ্য
ক) চাষার সমৃদ্ধি
খ) চাষাদের দুর্দশা
গ) চাষাদের সুখ-দুক্ষু
ঘ) চাষাদের সচ্ছলতা
i. বেশ গরম
ii. দীর্ঘস্থায়ী
iii. রেশম থেকে তৈরি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
i. সভ্যতার বিকাশে
ii. শিক্ষার বিস্তার ঘটলে
iii. দেশীয় শিল্পের প্রসারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে নিচের দুইটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা
দেশ মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা-
উদ্দীপকের সঙ্গে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের কোন উক্তিটির সাদৃশ্য রয়েছে?
ক) ধান্য তার বসুন্ধরা যার
খ) চাষাই সমাজের মেরুদণ্ড
গ) চাষার দারিদ্র্য
ঘ) ধান ভানিতে শিবের গীত
ক) চাষির দুঃখ
খ) চাষির অবদান
গ) চাষির বেদনা
ঘ) চাষির হতাশা
‘আহ্বান’ 04
ক) ১৮৯২
খ) ১৮৯৪
গ) ১৮৯৬
ঘ) ১৮৯৮
ক) রূপকাশ্রয়ী
খ) কাব্যময়
গ) বর্ণনায়
ঘ) বিশ্লেষণাত্মক
ক) পথের পাচালী
খ) দেবযান
গ) আরণ্যক
ঘ) ইছামতি
ক) আহ্বান
খ) বায়ান্নর দিনগুলো
গ) মাসি-পিসি
ঘ) রেইনকোট
ক) গল্পকথক
খ) আবদুল
গ) শুকুর মিয়া
ঘ) চক্কত্তি মশায়
ক) দিগম্বরীকে
খ) পরশু সর্দারকে
গ) বৃদ্ধাকে
ঘ) আবদুলকে
ক) গণির
খ) নসরের
গ) বৃদ্ধার
ঘ) খুঁটির
ক) চক্কোত্তি মশায়কে
খ) কথকের খুড়োকে
গ) গল্পকথককে
ঘ) বৃদ্ধার নাত-জামাইকে
ক) ভদ্রতা
খ) স্নেহ-ভালোবাসা
গ) সৌজন্যবোধ
ঘ) সম্ভ্রমবোধ
ক) আবদুল
খ) গল্পকথক
গ) চক্কোতি মশায়
ঘ ) হাজরা ব্যাটার বউ
ক) গ্রামের প্রতি অধিকার
খ) গ্রামের প্রতি কর্তব্যবোধ
গ) গ্রামের প্রতি দায়িত
ঘ) গ্রামের প্রতি কাতরতা
ক) উপযোগ
খ) বিরন্তি
গ) নালিশ
ঘ) স্বীকারোস্তি
ক) গঙ্গোপাধ্যায়
খ) বন্দ্যোপাধ্যায়
গ) চক্রবর্তী
ঘ) মুখোপাধ্যায়
i. বৃদ্ধার মৃত্যুর ইচ্ছা
ii. বৃদ্ধার মনের হতাশা
iii. বৃদ্ধার নিয়তি নির্ভরতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ)i, ii ও iii
i. স্নেহ
ii. দয়া
iii. মমতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
ক) শাসক গোষ্ঠীর বিরোধিতার জন্য
খ) ধনিক গোষ্ঠীর বিরোধিতার জন্য
গ) অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য
ঘ) কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য
ক) সিন্ধু-হিল্লোল
খ) যুগবাণী
গ) কুহেলিকা
ঘ) শিউলিমালা
ক) ১৩৮১ বঙ্গাব্দে
খ) ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ
গ) ১৩৮৫ বঙ্গাবন্দে
ঘ) ১৩৮৭ বঙ্গাব্দে
ক প্রাবন্ধিক
খ) উপন্যাসিক
গ) কবি
ঘ) গীতিকার
ক) এটা দন্ত নয়, এটা অহংকার নয়
খ) যার ভিতরে ভয়, সেই বাইরে ভয় পায়
গ) মিথ্যা বিনয়ের চেয়ে অনেক বেশি ভালো
ঘ) বিনয়ের চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক- অনেক ভালো
ক) ভুলের
খ) আগুনের
গ) অনীহার
ঘ) বিনয়ের
ক) দেশকে
খ) জাতিকে
গ) আত্মাকে
ঘ)) মাটিকে
ক) নিজে বলবান হলে
খ) নিজে আদর্শবান হলে
গ) নিজেকে চিনলে
ঘ) সর্বদা চিন্তা করলে
ক) সৃষ্টির পথ
খ) আলোর পথ
গ) জয়ের পথ
ঘ) সত্যের পথ
ক) অগ্নিকুণ্ডলী
খ) অগ্নিপতাকা
গ) আগ্নেয়গিরি
ঘ) অগ্নিদেবতা
ক) সম্মান করা
খ) সম্মাননা
গ) মেজে ঘষে পরিষ্কার করা
ঘ) সম্মান প্রদর্শন
ক) যুগবাণী
খ) দুর্দিনের যাত্রী
গ) রুদ্রমঙ্গল
ঘ) রাজবন্দির জবানবন্দি
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে নিচের দুইটি প্রশ্নের উতর দাও।
নূর হোসেন নামের যুবকটি মিছিলে গিয়েছিল । স্বৈরাচারী শাসকের নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মিছিলে অংশ নিয়ে মারা যাবে জেনেও আগামীর প্রত্যাশায় সে এগিয়ে যায় ।
ক) মিথ্যার
খ) আমিত্বের
গ) সত্যের
ঘ) অন্ধত্বের
i. সতের জয়গান করা
ii. দৃঢ় মনোবলে এগিয়ে যাওয়া
iii. প্রতিবাদী মনোভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
ক) গী দ্য মোপাসা
খ) ক্লাইভ বেল
গ) বারট্রান্ড রাসেল
ঘ) জর্জ অরওয়েল
ক) বাঙালি ইংরেজি শিক্ষার অগ্রগতি
খ) বাঙালি ধর্মীয় শিক্ষার অগ্রগতি
গ) বাঙালি হিন্দু সমাজের অগ্রগতি
ঘ) বাঙালি মুসলমান সমাজের অগ্রগতি
ক) ধীরস্থির ভাব
খ) মৌন ভাব
গ) অস্থির ভাব
ঘ) স্থিতিশীল ভাব
ক) বৃক্ষকে
খ) নদীকে
গ) সাধারণ মানুষকে
ঘ) সৃজনশীল মানুষকে
ক) যারা ক্ষুদ্রমনা
খ) যারা প্রাণহীন
গ) যারা স্বল্পায়ু
ঘ) যারা পরশ্রীকাতর
ক) স্বপ্ন
খ) পূর্ণতা
গ) আশা
ঘ) ছবি
ক) নদীকে
খ) বৃক্ষকে
গ) পাহাড়কে
ঘ) প্রকৃতিকে
ক) আত্মা
খ) মন
গ) দেহ
ঘ) মস্তিষ্ক
ক) অপ্রাপ্তি
খ) প্রাপ্তি
গ) ধৈর্য্য
ঘ) সহনশীলতা
ক) যার মন বড়
খ) যে লম্বায় বড়
গ) যে জ্ঞানে বড়
ঘ) যে চেতনায় বড়
ক) গুণ
খ) বৃদ্ধি
গ) প্রাপ্তি
ঘ) অর্জন
ক) স্থির ও মৌনতা
খ) সার্থকতা ও সজীবতা
গ) গতি ও প্রকৃতি
ঘ) গতি ও বিকাশ
ক) জীবনাদর্শ
খ) বাস্তবতা
গ) অভিজ্ঞতা
ঘ) সাধনা
ক) সুক্ষ্ম বিচার-বুদ্ধিহীন
খ) অভিজ্ঞতাহীন
গ) জ্ঞানহীন
ঘ) উপলব্ধিহীন
ক) চিহ্ন
খ) পতাকা
গ) লক্ষ্য
ঘ) পরিচয়
ক) চামড়ার চোখ
খ) দৈহিক চক্ষু
গ) মানসিক চোখ
ঘ) মানস চক্ষু
i. স্থুলবুদ্ধি .
ii. বিকৃতবুদ্ধি
ii. জবরদস্তি প্রিয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
ক) টিকটিকি
খ) সরীসৃপ
গ) অতসীমামী
ঘ) হলুদপোড়া
ক) নাটক
খ) উপন্যাস
গ) পালাগান
ঘ) ছোটগল্প
ক) সেগুন কাঠে নির্মিত নৌকা
খ) গর্জন কাঠে নির্মিত নৌকা
গ) মেহগনি কাঠে নির্মিত নৌকা
ঘ) তাল কাঠে নির্মিত ডোঙা
ক) বৃদ্ধ লোকটির
খ) জগুর
গ) কানাইয়ের
ঘ) কৈলাশের
ক) মাসির
খ) পিসির
গ) বুড়ো রহমানের
ঘ) জগুর
ক) জগুর
খ) কৈলেশের
গ) দারোয়ানের
ঘ) রহমানের
ক) আশঙ্কা
খ) দুঃখ
গ) ঘৃণা
ঘ) আনন্দ
ক) ব্যবসার ভাবনা
খ) নতুন সংসারের ভাবনা
গ) আহ্লাদিকে রক্ষার ভাবনা
ঘ) পালিয়ে যাবার
ক) কর্তাবাবু
খ) কৈলাশ
গ) রহমান
ঘ) গোকুল
ক) ন্যায়বোধ
খ) নমনীয়তা
গ) সামাজিকতা
ঘ) পুরুষতান্ত্রিকতা
ক) রামদা
খ) ছুরি
গ) লাঠি
ঘ) কাটারি
ক) গোকুল ও কৈলেশের
খ) গোকুল ও দারোগাবাবু
গ) দারোগাবাবু ও জগুর
ঘ) জগু ও কৈলেশের
ক) ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে
খ) ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে
গ) ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে
ঘ) ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে
উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্ন দুইটির উত্তর দাও:
মরিয়মকে তার স্বামী মারধোর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে আবার মরিয়মকে নিতে চাইলে মরিয়মের মা
তাকে স্বামীর বাড়ি পাঠায়।
i. আত্ম রক্ষার্থে
ii. প্রতিরোধ করতে
iii. জমি রক্ষার্থে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
i. এরা আপনজনের ভালো চায়
ii. অসহায় হওয়ায় আপোষ করে
iii. পুরুষের শত অপরাধ ক্ষমা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
i. নারীর লাঞ্ছনার চিত্র
ii. তৎকালীন সমাজ বাস্তবতা
iii. প্রান্তিক জীবনের অসহায়ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্ন দুইটির উত্তর দাও:
ঘরে পুরুষ মানুষ নাই । বিধবা রমলা ও তার মেয়ে কমলা । এক রাতে ডাকাত আসে। কমলার জীবনে ঘটে বড় সর্বনাশ।
ক) মাসির
খ পিসির
গ) কানুর মায়ের
ঘ) আহ্লাদির
i. দুজনেই অসহায়
ii. কমলা আহ্লাদির চেয়ে বেশি দুঃখী
iii. এরা দুজনেই সুখী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্ন দুইটির উত্তর দাও:
সাথিকে প্রায় খুন করে ফেলেছিল তার স্বামী সাদিক। সাথি মায়ের কাছে চলে এলো একেবারে । দুদিন পরে সাদিক শ্বশুরবাড়ি এলে সাথির মা সাদিককে জামাই আদর করলো ।
ক) স্ত্রী নির্যাতন
খ) মদ্যপ
গ) সন্তান বাৎসল্য
ঘ) সাহসী ভমিকা
ক) দারিদ্র
খ) জামাই আদর
গ) দুর্ভিক্ষ
ঘ) দাম্পত্য সংকট
উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্ন দুইটির উত্তর দাও:
আবুল বউকে মেরে শান্তি পায়! পাশবিক নির্যাতনে তার বউ অবশেষে আত্মহত্যা করে । আবুল পুনরায় বিয়ে করে এবং আবারও স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করে।
ক) নারী নির্যাতন
খ) পুরুষের আধিপত্যবাদী মনোভাব
গ) নারীর অসহায়ত্ব
ঘ) উগ্রতা
ক) জগু
খ) কৈলেশ
গ) কানাই
ঘ) গোকুল
ক) ১৭ই মার্চ, ১৯২০
খ) ১৭ই এপ্রিল, ১৯২০
গ) ১৭ই মার্চ, ১৯২১
ঘ) ১৭ই এপ্রিল, ১৯২১
ক) মাওলানা ভাসানী
খ) মহিউদ্দিন আহমদ
গ) খয়রাত হোসেন
ঘ) শেখ মুজিবুর রহমান
ক) ১৯৭১ সালে
খ) ১৯৭৩ সালে
গ) ১৯৭৪ সালে
ঘ) ১৯৭৫ সালে
ক) রেহেনার
খ) কামালের
গ) হাচুর
ঘ) রাসেলের
ক) বন্দিদের শোনানোর জন্য
খ) বন্দিদের সহানুভূতির জন্য
গ) বন্দিদের ক্ষিপ্ত করার জন্য
ঘ) বন্দিদের জাগ্রত করার জন্য
ক) দেশপ্রেম
খ) উন্মাদনা
খ) ধর্মীয় প্রেম
ঘ) হুজুগ
ক) সত্যিকারের রাজা
খ) সত্যিকারের দেশদ্রহী
গ) সত্যিকারের আলবদর
ঘ) সত্যিকারের দেশপ্রেমিক
ক) হাচু ও কামাল
খ) হাচু ও রেহানা
গ) হাচু ও জামাল
ঘ) কামাল ও রেহানা
ক) ২টি
খ) ৩টি
গ) ৪টি
ঘ) ১টি
ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
খ) মহিউদ্দিন আহমদ
গ) মওলানা ভাসানী
ঘ) মোহাম্মদ আবুল হোসেন
ক) ১৯৬৯
খ) ১৯৭০
গ) ১৯৭১.
ঘ) ১৯৭২
ক) বিজ্ঞান মনস্কতা
খ) দেশপ্রেম
গ) মানবতাবোধ
ঘ) স্বাধিকার চেতনা
‘প্রকোষ্ঠ’ শব্দটির অর্থ কি?
ক) দরজা
খ) কুঠুরি
গ) পুস্তক বিশেষ
ঘ) রোগ বিশেষ
ক) ক্ষুদে বার্তা
খ) তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থা
গ) বেতার বার্তা
ঘ) বেতার সম্প্রচার
ক) ১৯৬৫ সালে
খ) ১৯৭১ সালে
গ) ১৯৬৭ সালে
ঘ) ১৯৫২ সালে
i. বঙ্গবন্ধুর আপসহীনতা
ii. বঙ্গবন্ধুর নির্ভীকতা
iii. বঙ্গবন্ধুর বিচিত্র অভিজ্ঞতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
i. ছাত্রনেতা
ii. প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ
iii. আদর্শবান পুরুষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে নিচের দুইটি প্রশ্নের উত্তর দাও।
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিবাদ স্বরূপ মিছিল মিটিং করে বিভিন্ন জায়গায়। ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ গুলি বর্ষণ করলে নূরুল হক নামে একজন ছাত্র শহিদ হন।
ক) ছাত্রদের উপর হস্তক্ষেপ
খ) ছাত্রদের লাঠিচার্জ
গ) অতর্কিত গুলিবর্ষণ
ঘ) কাদানো গ্যাস প্রয়োগ
ক) ভাষা আন্দোলন
খ) স্বৈরাচারী শাসন
গ) দেশ বিভাগ
ঘ) মুক্তিযুদ্ধ
ক) আনিসুজ্জামান
খ) আবদুল হক
গ) শওকত আলী
ঘ) আবুল্লাহ আল মুতী
ক) খ্রি. পু. প্রথম শতাব্দী
খ) খ্রি, পু. দ্বিতীয় শতাব্দী
গ) খ্রি. পু. তৃতীয় শতাব্দী
ঘ) খ্রি. পু: চতুর্থ শতাব্দী
ক) ১৯১৭ সালে
খ) ১৭৮৯ সালে
গ) ১৮৫৭ সালে
ঘ) ১৯৭১ সালে
ক) কায়রো মিউজিয়ম
খ) ব্রিটিশ মিউজিয়ম
গ) ল্যুভ মিউজিয়ম
ঘ) অ্যাশমল
ক হার্মিতিয়ে মিউজিয়ম
খ) ল্যুভ মিউজিয়ম
গ) কায়রো মিউজিয়ম
ঘ) অ্যাশমোলিয়ান মিউজিয়ম
ক) ল্যুভ মিউজিয়ম
খ) ব্রিটিশ মিউজিয়ম
গ) টাওয়ার অব লন্ডন
ঘ) আ্যাশমোলিয়ান মিউজিয়ম
ক) ২০টি
খ) ২২টি
গ) ২৫টি
ঘ) ২৯টি
ক) আমার পথ
খ) জাদুঘরে কেন যাব
গ)ট রেইনকোট
ঘ) মহাজাগতিক কিউরেটর
ক) মুহম্মদ আলী জিন্নাহ
খ) আবদুল মোনায়েম খান
গ) ড. আফাজ উদ্দীন
ঘ) ড. এম এন হুদা
ক) যা বিদিত হয়েছে
খ) জানা আছে এমন
গ) জানা নেই এমন
ঘ) জানানো হয়েছে এমন
ক) রেনেসার
খ) রুশ বিপ্লবের
গ) ফরাসি বিপ্লবের
ঘ) শিল্প বিপ্লবের
ক) ১৯০৮ খ্রি,
খ) ১৯০৯ খ্রি.
গ) ১৯১০ খ্রি.
ঘ) ১৯১৪ খ্রি.
i. পুঁজিবাদের সমৃদ্ধির ফলে
ii. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশের ফলে
iii. অজানা কৌতুহল বেড়ে যাওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
i. মিউজিওলজি
ii. মিউজিওগ্রাফি
iii. মিউজিয়ম স্টাডিজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
i. স্যার হ্যানস মোন
ii. স্যার রবার্ট কটন
iii. রবার্ট হার্লি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
ক) আনিসুজ্জামান
খ) আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
গ) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
ক) খুলনা
খ) চট্টগ্রাম
গ) ঢাকা
ঘ) সিলেট
ক) পরিকল্পনা
খ) আয়োজন
গ) আরাম
ঘ) পূর্ব প্রস্তুতি
ক) জানুয়ারি
খ) ফেব্রুয়ারি
গ) মার্চ
ঘ) এপ্রিল
ক) ক্যাপ্টেন
খ) মিলিটারির খাস চামচা
গ) মিলিটারির কর্নেল
ঘ) প্রিন্সিপালের বন্ধু
ক) আইয়ুব খান
খ) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
গ) ইয়াহিয়া খান
ঘ) কিসিনজার
ক) মিলিটারি
খ) ইসহাক মিয়া
গ) ড. আফাজ
ঘ) মিন্টু
ক) ইসহাক
খ) ইকরাম
গ) মিন্টু
ঘ) আরমান
ক) আব্দুস সাত্তার মৃধা
খ) ড. আফাজ আহমদ
গ) আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
ঘ) নুরুল হুদা
ক) বাংলা
খ) কেমিস্ট্রি
গ) উর্দু
ঘ) জিওগ্রাফি
ক) বাংলা
খ) আরবি
গ) কেমিস্ট্রি
ঘ) উর্দু
ক) মুক্তিযোদ্ধা বলে
খ) প্রিন্সিপ্যালের নির্দেশে
গ) পাকিস্তান বিরোধী বলে
ঘ) মিসক্রিয়ান্টরা তার নাম বলায়
ক) রেইনকোটের ভিতরের উষ্ণতা
খ) মিলিটারিদের অত্যাচারের বেদনা
গ) মিন্টুর দেশপ্রেমের চেতনা
ঘ) বৃষ্টির মধ্যেও রেইনকোটের উষ্ণতা
ক) শহিদ মিনার
খ) স্মৃতিসৌধ
গ) জাতীয় সংসদ
ঘ) মসজিদ
ক) স্কুল
খ) বিমা অফিস
গ) কলেজ
ঘ) আদালত
ক) স্মৃতিসৌধ
খ) শহিদ বেদি
গ) স্মৃতিস্তম্ভ
ঘ) স্মৃতিফলক
ক) ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
খ) ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন
গ) ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান
ঘ) ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ
i. দোয়া
ii. স্থাপত্য উৎখাত
iii. শহিদ মিনার হটানো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্ন দুইটির উত্তর দাও:
মুক্তিযোদ্ধের দিনগুলো ছিল ভয়ংকর অনিশ্চয়তায় ভরা । কেউ যুদ্ধ করেছে প্রাণপণে, আবার কেউ পাকিস্তানি হানাদারদের ভয়ে তাদের তোষামোদ করেছে। আবার কেউবা ভয়কে জয় করে শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছে।
ক) প্রিন্সিপালের
খ) নুরুল হুদার
গ) মিন্টুর
ঘ) আকবর সাজিদের
ক) মিলিটারিদের সঠিক উত্তর না দেয়া
খ) নিজের কল্পনায় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অংশ ভাবা
গ) বাসযাত্রীদের রাজাকার ভাবা
ঘ) মিন্টুর রেইনকোটটি পরা
ক) যশোর
খ) কুমিল্লা
গ) গাজীপুর
ঘ) নেত্রকোনা
ক) চন্দ্র
খ) সূর্য
গ) পৃথিবী
ঘ) মঙ্গাল
ক) বুধ
খ) বৃহস্পতি
গ)নেপচুন
ঘ)পৃথিবী
ক) কুকুরের
খ) হরিণের
গ) সাপের
ঘ) বাঘের
ক) হাতি
খ) ঘোড়া
গ) বাঘ
ঘ) সিংহ
ক) সরীসৃপ
খ) কুকুর
গ) হরিণ
ঘ) মানুষ
ক) পিঁপড়াকে
খ) হরিণকে
গ) বাঘকে
ঘ) শিয়ালকে
ক) পিঁপড়া
খ) হরিণ
গ) মানুষ
ঘ) বাঘ
ক) পরিশ্রমী হওয়ায়
খ) চেতনাশীল হওয়ায়
গ) সুবিবেচক হওয়ায়
ঘ) গতিশীল হওয়ায়
ক) পিঁপড়ার
খ) মানুষের
গ) গাধার
ঘ) কুকুরের
ক) বাঘ
খ) হরিণ
গ) পিঁপড়া
ঘ) হাতি
ক) তিমি
খ) মানুষ
গ) হাতি
ঘ) সাপ
ক) সুপারম্যান
খ) জাদুঘর রক্ষক
গ) সর্বশ্রেষ্ঠ
ঘ) সমন্বয়কারী
i. অলসতা
ii. নির্বুদ্ধিতা
iii. বিবেকবোধহীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
ক) ইংল্যান্ড
খ) জার্মানি
গ) ইতালি
ঘ) ফ্রান্স
ক) সিরাজুল ইসলাম
খ) মুনীর চৌধুরী
গ) পূর্নেন্দু দস্তিদার
ঘ) বুদ্ধদেব বসু
ক) অধ্যাপক
খ) প্রকৌশলী
গ) ব্যবসায়ী
ঘ) আইনজীবী
ক) অর্থমন্ত্রী
খ) সংস্কৃতিমন্ত্রী
গ) কৃষিমন্ত্রী
ঘ) জনশিক্ষামন্ত্রী
ক) স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা
খ) স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা
গ) স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ববোধ
ঘ) স্ত্রীর প্রতি উদাসীনতা
ক) ১৮ই জানুয়ারি
খ) ১৮ই ফেব্রুয়ারি
গ) ১৮ই মার্চ
ঘ) ১৮ই এপ্রিল
ক) গর্ব ও উৎসাহ
খ) আবেগ ও উৎসাহ
গ) সাফল্য ও আবেগ
ঘ) গর্ব ও আবেগ
ক) আকাঙ্খা
খ) অক্ষমতা
গ) উচ্চাশা
ঘ) প্রতিহিংসা
ক) বিশ হাজার ফ্রাঁ
খ) ত্রিশ হাজার ফ্রাঁ
গ) চল্লিশ হাজার ফ্রাঁ
ঘ) পঞ্চাশ হাজার ফ্রাঁ
ক) প্রতিশোধপরায়ণতা
খ) মিথ্যাচারিতা
গ) উচ্চাভিলাষ
ঘ) স্বার্থপরতা
ক) স্বামী চাকরি হারালে
খ) পিতা চাকরি হারালে
গ) দুঃখজনক ঋণের কারণে
ঘ) পিতার মৃত্যুর কারণে
ক) নিকৃষ্ট বা মূল্যহীন
খ) সাধারণ বা খারাপ
গ) অতি সামান্য বা কমদামি
ঘ) সাধারণ বা কৃত্রিম
ক) মাদাম ফোরসটিয়ার ও মি. লোইসেল
খ) মাদাম লোইসেল ও ব্রেটন
গ) মি. লোইসেল ও মাদাম লোইসেল
ঘ) মাদাম ফোরসটিয়ার ও মাদাম লোইসেল
ক) সুখী করার, কাম্য হওয়ার, কতই না তার ইচ্ছে
খ) সেকি ওই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলবে? হ্যা, অবশ্যই বলবে
গ) যদি সে গলার সেই হারখানা না হারাত তাহলে কেমন হতো?
ঘ) সাফল্যের গৌরবে সে আর কিছুই ভাবে না
ক) জাপানি
খ) স্প্যানিশ
গ) ল্যাটিন
ঘ) ফরাসি
ক) La Parure
খ) La Villa
গ) La Luvre
ঘ) La Museum
i. দাসীকে বিদায় করে
ii. বাসা পরিবর্তন করে
iii. আবশ্যিক ব্যয় কমায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
বাংলা ব্যাকরণ
সূচিপত্র
1. ভাষা
5. বাংলা ভাষারীতি (শ্রেণীবিভাগ)
ü সাধুরীতি
ü চলিতরীতি
1. এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো
মানুষের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ভাষা। দেশ, কাল ও পরিবেশভেদে ভাষার পার্থক্য ও পরিবর্তন ঘটে। বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ৩৫০০ ভাষা প্রচলিত রয়েছে।
প্রত্যেক ভাষার ৪টি (মতান্তরে ৩টি) মৌলিক অংশ থাকে। যথা: ধ্বনি, শব্দ, অর্থ ও বাক্য।
ভাষার মূল উপাদান ধ্বনি। বাকযন্ত্রের সাহায্য ধ্বনির সৃষ্টি হয়। কিন্তু ভাষার মৌলিক উপাদান হচ্ছে শব্দ। কারণ ভাষার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থবাচকতা প্রকাশ করা। ধ্বনিগুলো অর্থ প্রকাশ নাও করতে পারে (যেমন শিশুর মুখের ধ্বনি)। কিন্তু শব্দের সাথে অর্থের সংশ্লিষ্টতা দেখা যায়। আবার একাধিক শব্দের উপযুক্ত সমন্নয়ে বাক্য গঠিত হয়। একটি সম্পূর্ণ বাক্যই ভাষার প্রাণ। বাক্যকে ভাষার মূল উপকরণ বলা হয়।
ভাষার মূল উপাদান / ভাষার বাহন বা স্বর বা ক্ষুদ্রতম একক
ধ্বনি
শব্দের মূল উপাদান / মূল উপকরণ / ক্ষুদ্রতম একক
ধ্বনি
ভাষার মূল উপকরণ / ভাষার ছাদ / ভাষার বৃহত্তম একক
বাক্য
বাক্যের মূল উপাদান / উপকরণ বা মৌলিক উপাদান / উপকরণ বা মূল একক / ক্ষুদ্রতম একক
শব্দ
শব্দের গঠনগত একক / ভাষার ইট
বর্ণ
বাক প্রতঙ্গজাত ধ্বনির ক্ষুদ্রতম একক বা মৌলিক অংশ
ধ্বনিমূল
ভাষা পরিবার বলতে বংশগতভাবে সম্পর্কিত একাধিক ভাষাকে বোঝায়। একই পরিবারভুক্ত ভাষাগুলো একটি সাধারণ আদিভাষা থেকে উদ্ভুত হয়েছে বলে মনে করা হয়। পৃথিবীতে ১০০টিরও বেশি ভাষা পরিবার আছে। উপমহাদেশের ভাষাগুলোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য দুটি ভাষা পরিবার হল: ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবার ও দ্রাবিড় ভাষা পরিবার।
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত ভাষাগুলো হল: ইংরেজী, উর্দু, সিন্দি, হিন্দি, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, মারাঠি, বাংলা, ওড়িয়া, অসমিয়া, ভোজপুরি ইত্যাদি।
দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত ভাষাগুলো হল: তামিল, তেলেগু, কন্নড ও মালয়ালয়।
বাংলা ভাষা একটি ইন্দো-আর্য ভাষা। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতির প্রধান কথ্য ও লেখ্য ভাষা। মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মাতৃভাষা।
বাংলা ভাষা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা। এছাড়াও বাংলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষাও বাংলা। এছাড়া ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, উড়িষ্যা রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাংলাভাষী মানুষ রয়েছে। ভারতে হিন্দির পরেই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা। সারা বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটির মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ভাষা ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ও স্তোত্র বাংলাতে রচিত।
বাংলা ভাষার আদি উৎস ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা। মধ্য এশিয়ার পশ্চিম এবং ইউরোপের মধ্যভাগ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব ভূখন্ডের মধ্যে যে জাতি বসবাস করত তাদের ভাষার নাম ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার শাখা ২টি। যথা: কেন্তম ও শতম। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে আলবেনীয় ও বাল্টোস্লাভনীয় ছাড়া বাকিগুলো কেন্তমের শাখাভুক্ত। কেন্তমের এশিয়ার অন্তর্গত দুটি শাখা হল হিরিক ও তুখারিক। শতম শাখাভুক্ত ভাষাভাষীদের একটি গোষ্ঠী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দিকে চলে আসে। তারা আর্য নামে পরিচিত। বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে এই শতম থেকে।
ü বাংলা ভাষার ধারাবাহিক রূপ
ড. মুহাম্মাদ শহীদুল্লার মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে ৭ম শতাব্দীতে, গৌড়ীয় প্রাকৃত থেকে। অপরদিকে ড. সুনীতি কুমার চট্টপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে ১০ম শতাব্দীতে, মাগধী প্রাকৃত থেকে।
লিপি হল লিখন পদ্ধতি। পৃথিবীর সকল লিপি ফিনিসিয় লিপি থেকে উদ্ভূত হয়েছে। প্রাচীন ভারতীয় লিপি ২টি: ব্রক্ষী লিপি ও খরোষ্টী লিপি। বাংলা লিপির উদ্ভব হয়েছে ব্রক্ষী লিপি থেকে। অন্যদিকে উর্দু ও ফরাসি লিপির উদ্ভব হয়েছে খরোষ্টী লিপি থেকে।
মহাস্থানগড় থেকে মৌর্য সম্রাট অশোকের শাসনামলে লিখিত ব্রক্ষীলিপি পাওয়া গেছে। বাংলা লিপির প্রসার ঘটেছিল পাল আমলে এবং সেন শাসনামলে লিপি গঠন কাজ শুরু হয়। এরপর পাঠান যুগে বাংলা লিপি সাময়িক স্থায়িত্ব লাভ করেছিল।
বাংলা ছাড়াও বাংলা লিপি ব্যবহৃত হয় মণিপুরি, ককবরক ও অসমীয়া ভাষায়। এ লিপির গঠন তুলনামূলকভাবে কম আয়তাকার ও বেশি সর্পিল। বাংলা লিপি সিদ্ধং লিপি থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে করা হয়। বর্তমানে বাংলা লিপি বিশ্বের ৬ষ্ঠ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লিখন পদ্ধতি।
বাংলা লিপির বিবর্তন
বাংলা ভাষার মৌলিক রূপ দুইটি। যথা:
মৌখিক বা কথ্য (চলিত ও আঞ্চলিক বা উপভাষা)
লৈখিক বা লেখ্য (সাধু ও চলিত)
প্রাচীনকাল থেকে সাহিত্যের ভাষা হিসেবে সাধুভাষা ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন ভাষাকে সাধু ভাষা হিসেবে অভিহিত করা হয়। প্রথম দিকের বাংলা গদ্যে সাধুরীতির ব্যাপক প্রচলন ছিল। রাজা রামমোহন রায় সাহিত্যে প্রথম সাধু ভাষার প্রয়োগ করেন। সাধু ভাষার কিছু বৈশিষ্ট্য-
নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে
পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত
গুরুগম্ভীর
তৎসম শব্দবহুল
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে
সর্বনাম, ক্রিয়া ও অনুসর্গের পূর্ণরূপ ব্যবহার করা হয়
সাধুরীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার অনুপযোগী
সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাকে চলিত ভাষা বলা হয়। ভাষার এ রীতি নিয়ত পরিবর্তনশীল। অঞ্চলভেদে মানুষের মুখের ভাষায় (চলিত রীতিতে) উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা যায়। বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের জনগণ নিজ নিজ অঞ্চলের ভাষায় কথা বলে। এগুলোকে আঞ্চলিক কথ্য ভাষা বা উপভাষা বলে। পৃথিবীর সব ভাষারই উপভাষা রয়েছে। বাংলা ভাষার উপভাষা ৫টি। যথা: রাঢ়ি, ঝাড়খন্ডি, বরেন্দ্রি, বঙ্গালি ও কামরূপি। এক অঞ্চলের মানুষের ভাষার সাথে অন্য অঞ্চলের মানুষের ভাষায় পার্থক্যের জন্য পণ্ডিতগণ একটি আদর্শ ভাষা ব্যবহার করেন। এ ভাষাই আদর্শ চলিত ভাষা বা প্রমিত ভাষা। অর্থ্যাৎ চলিতভাষার আদর্শরূপই হল প্রমিত ভাষা। চলিত ভাষার কিছু বৈশিষ্ট্য-
পরিবর্তনশীল
তদ্ভব শব্দবহুল
নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার উপযোগী
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ- এর গঠন সহজরূপ লাভ করে
সর্বনাম, ক্রিয়া ও অনুসর্গের সংক্ষিপ্তরূপ ব্যবহার করা হয়
বাংলা গদ্যে চলিতরীতির প্রবর্তন করেছিলেন প্রমথ চৌধুরি। তিনি সবুজপত্র (১৯১৪) পত্রিকার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে চলিতরীতি প্রবর্তনের জন্য সংগ্রাম করেন।
উল্লেখ্য বাংলা উপভাষার শ্রেণীবিভাগে অবদান রেখেছেন ব্রিটিশ রাজ্যের উচ্চপদস্থ আমলা জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন। তিনি ১৮৭৩ সালে প্রকাশিত তার ‘লিংগুয়েস্টিক সার্ভে অব ইন্ডিয়া’ গ্রন্থে বাংলা উপভাষার বিভিন্ন নমুনা তুলে ধরেন।
বিভিন্ন শব্দের সাধু ও চলিত রীতি:-
পদ
সাধু
চলিত
বিশেষ্য
মস্তক
মাথা
বিশেষ্য
জুতা
জুতো
বিশেষ্য
তুলা
তুলো
বিশেষ্য
জোসনা
জোছনা
বিশেষ্য
সর্প
সাপ
বিশেষ্য
সুতা
সুতো
বিশেষ্য
হস্ত
হাত
বিশেষণ
শুষ্ক / শুকনা
শুকনো
বিশেষণ
বন্য
বুনো
বিশেষণ
কিয়াক্ষণ
কিছুক্ষণ
বিশেষণ
রঙ্গিন
রঙিন
বিশেষণ
সাতিশয়
অত্যন্ত
সর্বনাম
তহারা / উহারা
তারা / ওঁরা
অব্যয়
অপেক্ষা
চেয়ে
অব্যয়
পূর্বেই
আগেই
ক্রিয়া
করিল
করল
ক্রিয়া
পাইয়াছিলেন
পেয়েছিলেন
ক্রিয়া
করিয়া
করে
ü প্রত্যেক ভাষার ব্যাকরণেই চারটি বিষয় আলোচনা করা হয়। যথা:
ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology)
শব্দতত্ত্ব (Morphology)
বাক্যতত্ত্ব (Syntax)
অর্থতত্ত্ব (Semantics)
ধ্বনিতত্ত্ব: ধ্বনিতত্ত্বের আলচ্য বিষয় হচ্ছে বাগযন্ত্র, ধ্বনি, ধ্বনির উচ্চারণ প্রণালী, ধ্বনির উচ্চারণ স্থান, ধ্বনি পরিবর্তন ও লোপ, ণ-তত্ব ও ষ-ত্ব বিধান, সন্ধি বা ধ্বনি সংযোগ।
শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ব: এর আলচ্য বিষয়গুলো হচ্ছে শব্দ, দ্বিরুক্ত শব্দ বা শব্দদ্বৈত, লিঙ্গ, বচন, পদাশ্রিত নির্দেশক, সমাস, উপসর্গ ও অনুসর্গ, কারক, ধাতু, পদ, অনুজ্ঞা, ক্রিয়ার কাল, ক্রিয়ামূল ও পুরুষ ইত্যাদি। এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক সম্মিলনে শব্দ তৈরি হয়। শব্দের ক্ষুদ্রাংশকে বলা হয় রূপ। এজন্য শব্দতত্বকে রূপতত্বও বলা হয়।
অর্থতত্ত্ব: অর্থতত্ত্বের কাজ হল শব্দের অর্থবিচার, বাক্যের অর্থবিচার ও অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ নির্ণয় করা। বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দজোড়, বাগধারা ইত্যাদি অর্থতত্ত্বের আলচ্য বিষয়। এছাড়া শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা নিয়েও ব্যাকরণের এ অংশ আলোচনা করে। অর্থতত্ত্বের অন্যনাম বাগর্থতত্ত্ব।
বাক্যতত্ত্ব: এর আলাচ্য বিষয় হল বাক্যের সঠিক গঠনপ্রণালী, বিভিন্ন উপাদানের সংযোজন, বিয়োজন, এদের সার্থক ব্যবহারযোগ্যতা, বাক্যমধ্যে শব্দ বা পদের স্থান বা ক্রম, পদের রূপ পরিবর্তন, বাচ্য, উক্তি ইত্যাদি।
এছাড়া অভিধানতত্ত্ব, ছন্দ ও অলংকার প্রভৃতিও ব্যাকরণের আলচ্য বিষয়।
মানুষের বস্তু ও ভাবের প্রতীক – ভাষা
ভাষার মৌলিক অংশ – ৪টি(মতান্তরে ৩টি): ধ্বনি, শব্দ, অর্থ, বাক্য।
ব্যকরণ ও ভাষার মধ্যে আগে সৃষ্টি হয়েছে – ভাষা
বাংলা ভাষার মৌলিক রূপ – ২টি (সাধু ও চলিত)
ভাষার কোন রীতি কেবল লেখ্যরূপে ব্যবহার করা হয় – সাধু রীতি
‘সাধুভাষা’ পরিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেন – রাজা রামমোহন রায়
প্রমিত উচ্চারণ – চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্য
উপভাষা কি – অঞ্চল বিশেষের মানুষের মুখের ভাষা
নাটকের সংলাপে অনুপযোগী – সাধুভাষা
সাধুভাষা থেকে চলিত ভাষায় লিখতে কোন পদযুগলের পরিবর্তন হয় – সর্বনাম ও ক্রিয়া
লোকজ শব্দ ‘দইয়ল’ এর প্রমিত রুপ হলো – দোয়েল
ব্যাকরণ শব্দটি এসেছে – সংস্কৃত ভাষা থেকে
ব্যাকরণ শব্দের বুৎপত্তি কোনটি – বি+আ+√কৃ+অন
ব্যাকরণ শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ – বিশেষভাবে বিশ্লেষণ
ব্যাকরণের প্রধান কাজ – ভাষার বিশ্লেষণ
বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন – মনোএল দ্য আসসুম্পসাঁও
বাংলা ব্যাকরণ প্রথম বাংলা টাইপ সহকারে রচনা করেন – এন. বি. হ্যালহেড
রাজা রামমোহন রায় রচিত বাংলা ব্যাকরণের নাম – গৌড়িয় ব্যাকরণ
‘The origin and development of the Bengali language’ গ্রন্থটি রচনা করেছেন- ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
‘সন্ধি’ ব্যাকরণের কোন অংশের আলচ্য বিষয় – ধ্বনিতত্ত্ব
‘ণ-তত্ত্ব’ ও ‘ষ-তত্ত্ব’ বিধান ব্যাকরণের কোন অংশের আলচ্য বিষয় – ধ্বনিতত্ত্ব
কারক সম্পর্কে আলোচনা করা হয় – রূপতত্ত্ব
রূপতত্ত্বের অপর নাম – শব্দতত্ত্ব
1.
বাংলা ভাষার মৌলিক রূপ কয়টি?
ক.
২
খ.
৩
গ.
৪
ঘ.
৬
উত্তরঃ
ক
2.
বাংলা ভাষার প্রধান দুইটি রূপ কি কি?
ক.
লেখ্য ও আঞ্চলিক
খ.
আঞ্চলিক ও সর্বজনীন
গ.
কথ্য ও আঞ্চলিক
ঘ.
মৌখিক ও লৈখিক
উত্তরঃ
ঘ
3.
ভাষার মৌলিক রীতি কোনটি?
ক.
বক্তৃতার রীতি
খ.
লেখার রীতি
গ.
কথার বলার রীতি
ঘ.
লেখা ও বলার রীতি
উত্তরঃ
খ
4.
ভাষার কোন রীতি কেবলমাত্র লেখ্যরূপে ব্যবহৃত হয়?
ক.
কথ্য রীতি
খ.
আঞ্চলিক রীতি
গ.
সাধু রীতি
ঘ.
চলিত রীতি
উত্তরঃ
গ
5.
সাধু ও চলিত রীতি বাংলা ভাষার কোনরূপে বিদ্যামান?
ক.
আঞ্চলিক
খ.
উপভাষা
গ.
লেখ্য
ঘ.
কথ্য
উত্তরঃ
গ
6.
‘সাধুভাষা’ পরিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেন-
ক.
রাঝা মনিমোহন রায়
খ.
রাজা রামমোহন রায়
গ.
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঘ.
অক্ষয় কুমার দত্ত
উত্তরঃ
খ
7.
বাংলা গদ্যের প্রথম যুগে কোন রীতির প্রচলন ছিল?
ক.
মিশ্র রীতি
খ.
কথ্য রীতি
গ.
চলিত রীতি
ঘ.
সাধু রীতি
উত্তরঃ
ঘ
8.
চলিত ভাষার আদর্শরূপে গৃহীত ভাষাকে বলা হয়-
ক.
সাধু ভাষা
খ.
প্রমিত ভাষা
গ.
আঞ্চলিক ভাষা
ঘ.
উপভাষা
উত্তরঃ
খ
9.
কোনটি চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্য?
ক.
গাম্ভীয
খ.
প্রমিত উচ্চারণ
গ.
তৎসম শব্দের বহুল ব্যবহার
ঘ.
ব্যাকরণ অনুসরণ করে চলে
উত্তরঃ
খ
10.
কোন লেখক চলিত ভাষাকে মান ভাষারূপে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আন্দোলন করেছিলেন?
ক.
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ.
রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী
গ.
প্রমথ চৌধুরী
ঘ.
বুদ্ধদেব বসু
উত্তরঃ
গ
11.
মনের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম কোনটি?
ক.
চিত্র
খ.
ভাষা
গ.
ইঙ্গিত
ঘ.
আচরণ
উত্তরঃ
খ
12.
ভাষা কি?
ক.
শব্দের উচ্চারণ
খ.
ধ্বনির উচ্চারণ
গ.
বাক্যের উচ্চারণ
ঘ.
ভাবের উচ্চারণ
উত্তরঃ
ঘ
13.
নির্দিষ্ট পরিবেশের মানুষের বস্তু ও ভাবের প্রতীক কোনটি?
ক.
ভাষা
খ.
শব্দ
গ.
ধ্বনি
ঘ.
বাক্য
উত্তরঃ
ক
14.
মানুষের মুখে উচ্চারিত অর্থবোধক ও মনোভাব প্রকাশক ধ্বনি সমস্টিকে বলে-
ক.
বর্ণ
খ.
শব্দ
গ.
বাক্য
ঘ.
ভাষা
উত্তরঃ
ঘ
15.
ব্যাকরণ ও ভাষার মধ্যে কোনটি আগে সৃষ্টি হয়েছে?
ক.
ব্যাকরণ
খ.
ভাষা
গ.
ব্যাকরণ ও ভাষা উভয়ই একসাথে
ঘ.
কোনোটিই নয়
উত্তরঃ
খ
16.
কোনটি ভাষার বৈশিষ্ট্য নয়?
ক.
অর্থদ্যোতকতা
খ.
ইশারা বা অঙ্গভঙ্গি
গ.
মানুষের কণ্ঠনিঃসৃত ধ্বনি
ঘ.
জনসমাজে ব্যবহার যোগ্যতা
উত্তরঃ
খ
17.
উপভাষা (Dialect) কোনটি?
ক.
সাহিত্যের ভাষা
খ.
পাঠ্যপুস্তকের ভাষা
গ.
অঞ্চল বিশেষের মানুষের মুখের ভাষা
ঘ.
লেখ্য ভাষা
উত্তরঃ
গ
18.
দেশ-কাল ও পরিবেশভেদে কিসের পার্থক্য ঘটে?
ক.
ধ্বনির
খ.
ভাষার
গ.
অর্থের
ঘ.
শব্দের
উত্তরঃ
খ
19.
ভাষার মৌলিক অংশ কয়টি
ক.
২টি
খ.
৩টি
গ.
৪টি
ঘ.
৬টি
উত্তরঃ
গ
20.
প্রত্যেক ভাষারই তিনটি মৌলিক অংশ হলো-
ক.
ধ্বনি, শব্দ, বাক্য
খ.
শব্দ, সন্ধি, সমাস
গ.
ধ্বনি, শব্দ, বর্ণ
ঘ.
অনুসর্গ, উপসর্গ, শব্দ
উত্তরঃ
ক
21.
কোন অঞ্চলের মৌলিক ভাষাকে ভিত্তি করে চলিত ভাষা গড়ে উঠেছে?
ক.
যশোর
খ.
ঢাকা
গ.
কলকাতা
ঘ.
বিহার
উত্তরঃ
গ
22.
নিচের কোনটি সাধু রীতির উদাহরণ?
ক.
তখন গভীর ছায়া নেমে আসে সর্বত্র
খ.
তখন গভীর ছায়া নামিয়া আসিল সবখানে
গ.
তখন গভীর ছায়া নামিয়া আসে সর্বত্র
ঘ.
তখন গভীর ছায়ায় সর্বত্র ঢেকে গিয়েছে
উত্তরঃ
খ
23.
বাংলা ভাষার কোন রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের অনুসারী?
ক.
সাধু রীতি
খ.
চলিত রীতি
গ.
কথ্য রীতি
ঘ.
লেখ্য রীতি
উত্তরঃ
ক
24.
কোন ভাষারীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত এবং সুনির্দিষ্ট?
ক.
চলিত ভাষা
খ.
কথ্য ভাষা
গ.
লেখ্য ভাষা
ঘ.
সাধু ভাষা
উত্তরঃ
ঘ
25.
ভাষার কোন রীতি পরিবর্তনশীল?
ক.
সাধু রীতি
খ.
চলিত রীতি
গ.
কথ্য রীতি
ঘ.
লেখ্য রীতি
উত্তরঃ
খ
সূচিপত্র
1. শব্দ
এক বা একাধিক বর্ণ বা ধ্বনি মিলিত হয়ে যদি কোন অর্থ প্রকাশ করে তবে তাকে শব্দ বলে। অর্থ্যাৎ অর্থ– শব্দের একটি আবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্য। অর্থ প্রকাশিত না হলে কোন ধ্বনি শব্দ হিসেবে গন্য হয় না। সহজভাষায়,অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টিকে শব্দ বলা হয় ।
শব্দের প্রকারভেদকে প্রধানত ৩ শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা:
গঠন অনুসারে
অর্থ অনুসারে
উৎপত্তি অনুসারে
গঠনের দিক দিয়ে শব্দকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
মৌলিক শব্দ
সাধিত শব্দ
মৌলিক শব্দ: যে শব্দকে বিশ্লেষণ করা যায় না এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশে সক্ষম তাকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন: গোলাপ, তিন, হাত, ফুল, লাল, নাক, বই ইত্যাদি।
সাধিত শব্দ: মৌলিক শব্দ বা ধাতু প্রকৃতির সঙ্গে উপসর্গ বা প্রত্যয় যোগে যেসব শব্দ গঠিত হয় তাদের সাধিত শব্দ বলা হয়। অর্থ্যাৎ সহজভাষায়, সাধিত শব্দকে বিশ্লেষণ করা যায়। যেমন: পরাজয় (পরা উপসর্গ যোগে গঠিত), পড়ন্ত ইত্যাদি।
অর্থ অনুসারে শব্দকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
যৌগিক শব্দ
রূঢ়ি শব্দ
যোগরূঢ় শব্দ
যৌগিক শব্দ: যেসব শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয় যোগে গঠিত হয় এবং প্রকৃতি ও প্রত্যয় বিশ্লেষণ করলে যে সকলে শব্দের অর্থ পাওয়া যায় অর্থ্যাৎ যে সকল শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই তাদের যৌগিক শব্দ বলে। যেমন: গৈ + অক = গায়ক, কৃ + তব্য = কর্তব্য ইত্যাদি।
রূঢ়ি শব্দ: যে সকল প্রত্যয় নিস্পন্ন বা উপসর্গযুক্ত শব্দ এর প্রকৃতি ও প্রত্যয়গত অর্থ প্রকাশ না করে জনসমাজে প্রচলিত পৃথক অর্থ বোঝায় তাদেরকে বলা হয় রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ। যেমন: হস্তী = হস্ত + ইন, অর্থ- হস্ত আছে যার, কিন্তু হস্তী বলতে হাতিকে বোঝায়। অনুরূপভাবে, গবেষণা = গো + এষণা(গরু খোজা, কিন্তু ব্যবহারিক অর্থ প্রচুর অধ্যয়ন।), বাঁশি, তৈল, প্রবীণ, সন্দেশ ইত্যাদি।
মনে রাখার কৌশল
প্রবীণ ব্যক্তি হস্তীতে চড়ে তৈল নিয়ে গবেষণা করে সন্দেশ বানিয়ে বাঁশি বাজায়।
যোগরূঢ় শব্দ: সমাস নিষ্পন্ন যে সকল শব্দ পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অর্থের অনুগামী না হয়ে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে যোগরূঢ় শব্দ বলে। যেমন: পঙ্কজ = পঙ্কে জন্মে যা; পঙ্কে জন্মে অনেককিছুই কিন্তু পঙ্কজ বলতে পদ্মফুলকে বোঝায়; অনুরূপভাবে সরোজ, জলধি, রাজপুত, মহাযাত্রা , তুরঙ্গম ইত্যাদি।
উৎস অনুসারে শব্দকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
তৎসম
তদ্ভব শব্দ
দেশি শব্দ
বিদেশি শব্দ
উল্লেখ্য নতুন বাংলা ব্যাকরণে অর্ধ-তৎসম শব্দ বাদ দেওয়া হয়েছে।
তৎসম শব্দগুলো সংস্কৃত ভাষা থেকে কোন পরিবর্তন ছাড়াই বাংলা ভাষায় গৃহিত হয়েছে। তৎসম একটি পরিভাষিক (সংস্কৃত) শব্দ। তৎ অর্থ তার এবং সম অর্থ সমান। অর্থ্যাৎ তৎসম অর্থ সংস্কৃতের সমান। উদাহরণ-
চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মানুষ্য, মস্তক, অন্ন, বস্ত্র, গৃহ, হস্তী, অশ্ব, কর্ম, বায়ু, অরণ্য, পদ, বৃক্ষ, বস্তু, ভোজন, অদ্য, কল্য, পুষ্প, লতা, দন্ত্য, কর্ণ, নাসিক্য, মাতৃ, পিতৃ, দধি, ভক্তি, কৃষ্ণ, লাভ, ক্ষতি, মুক্তি, শক্তি, বিমান ইত্যাদি।
তৎসম শব্দ মনে রাখার উপায়
ণ, ষ, ক্ষ, হ্ম, ষ্ণ যুক্ত শব্দগুলো সাধারণত তৎসম শব্দ হয়।
তৎসম উপসর্গ বা প্রত্যয় দ্বারা গঠিত শব্দগুলো তৎসম শব্দ।
ক্রমবাচক শব্দগুলো তৎসম শব্দ। যেমন: প্রথম, দ্বিতীয় ইত্যাদি।
যুক্ত বর্ণের অধিকাংশ শব্দই তৎসম শব্দ।
অর্ধ-তৎসম শব্দ সংস্কৃত থেকে কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহিত হয়েছে। (উল্লেখ্য বর্তমান ৯-১০ শ্রেণীর বইয়ে এর উল্লেখ নেই)
তৎসম বা সংস্কৃত
অর্ধ-তৎসম
জ্যোৎস্না ***
জোছনা ***
শ্রাদ্ধ
ছেরাদ্ধ
শ্রী
ছিরি
গৃহিণী ***
গিন্নি ***
ঔষধ **
ওষুদ **
বৈষ্ণব **
বোষ্টম **
ক্ষুধা
ক্ষিধে
বৃষ্টি
বিষ্টি
তদ্ভব শব্দগুলো ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তনের ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহিত হয়েছে। এ শব্দগুলোকে খাটি বাংলা শব্দও বলা হয়। তদ্ভব একটি পরিভাষিক শব্দ। তৎ অর্থ তার এবং ভব অর্থ উৎপন্ন। অর্থ্যাৎ তার (সংস্কৃত) থেকে উৎপন্ন।
সংস্কৃত
প্রাকৃত
তদ্ভব
হস্ত ***
হত্থ
হাত ***
চর্মকার ***
চম্মআর
চামার ***
ঘৃত
ঘিঅ
ঘি
চন্দ্র ***
চন্দ
চাঁদ ***
পাদ
পাঅ
পা
মাতা ***
মাআ
মা ***
কর্ণ **
কন্ন
কান **
মস্তক **
মস্থক
মাথা **
বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের ব্যবহৃত শব্দগুলোকে দেশি শব্দ বলা হয়। যেমন: কুড়ি (কোল ভাষা), পেট (তামিল ভাষা), চুলা (মুন্ডারি ভাষা), কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডোবা, ডিঙ্গা, ডাগর, ঢ়েঁকি, টেংরা ইত্যাদি।
বাংলায় আগত বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বহু শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহিত হয়েছে। এগুলোকে বিদেশী ভাষা বলে। উল্লেখযোগ্য বিদেশী ভাষা হল – আরবি, ফারসি, পর্তুগিজ, ইংরেজি, ওলন্দাজ ইত্যাদি। (মোটা অক্ষরে লেখাগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ)
ফারসি
খোদা, গুনাহ, দোযখ, নামায, রোযা, পযগম্বর, ফেরেস্তা, বেহেশত,
আইন, অছিয়তনামা, দরবার, বাদশাহ, বাহাদুর, জমিদার, তখত, জায়নামাজ, ঈদগাহ, খনকাহ, ফেরেস্তা, কাগজ, আতশবাজী, চশমা, জবানবন্দি, তারিখ, দফতর, দোকান, দস্তখত, আমদানি, রপ্তানি, বারান্দা, হাঙ্গামা, আলু, একতারা, একটা, দোতারা, সেতারা, ওস্তাদ, কামান, কারিগর, কারখানা, খুচরা, গ্রেপ্তার, চাঁদা, চেহারা, জামা, জামদানি, তরমুজ, তোষামদ, দরজা, দালান, পাইকারী, সরকার, সাদা, সবুজ, বরখাস্ত, শাবাশ, রসিদ, রসদ, হাজার, সুদ, সুপারিশ ইত্যাদি।
আরবি
আল্লাহ, ইসলাম, ইমান, ওজু, কোরবানি, কুরআন, কিয়ামত, গোসল, জান্নাত, জাহান্নাম, তওবা, তসবি, যাকাত, হজ, হাদিস, হারাম, হালাল, আলেম, ইনসান, ঈদ, ওজর, এলেম।
আদালত, উকিল, এজলাস, কানুন, খারিজ, রায়, কাজী/কাজি (বিচারক), কেচ্ছা, গায়েব, মুন্সফ, মোক্তার, মহকুমা, কলম, কিতাব, দোয়াত, নগদ, বাকি ইত্যাদি।
পর্তুগিজ
আনারস, আতা, আলপিন, পাউরুটি, চাবি, কফি, কেরানি, গাঁদা, গির্জা, গোলাপ, গরাদ, আলকাতরা, আচার, আলমারি, আয়া, বেহালা, বোতাম, বোমা, বালতি, বন্দর, মিস্ত্রি, নিলাম, পেঁপে, পিস্তল, পেরেক, ক্রুশ, পাদ্রি, যিশু, পেয়ারা, কামরাঙা, কপি, তোয়ালে, গুদাম, তামাক, সাবান, সাবু, টুপি, ফিরিঙ্গি, ইংরেজ ইত্যাদি।
তুর্কি
বাবা, উজবুক, উর্দু, কঞ্চি, কুর্নিশ, খাঁ, খান, চারু, ঠাকুর, দারোগা, বন্দুক, বাবুর্চি, বেগম, মোঘল, লাশ, সওগত, কাঁচি, কুলি, চাকর, চাকু, মুচলেকা ইত্যাদি।
ফরাসি
কার্তুজ, কুপন, ডিপো, রেস্তরা, ক্যাফে, বুর্জোয়া, গ্যারেজ, এলিট, ওলন্দাজ, মেনু, বুফে, পিজা, বিস্কুট, আঁশ, আঁতত, ম্যাটিনি, রেনেসাঁ, দিনেমার ইত্যাদি।
ওলন্দাজ
হরতন, ইস্কাপন, টেককা, তুরুপ, রুইতন।
গুজরাটি
খদ্দর, হরতাল।
চীনা
চা, চিনি, লিচু, এলাচি, তুফান, সাম্পান ইত্যাদি।
জাপানি
রিক্সা, হারিকিরি, প্যাগোডা, জুডো, হাসনাহেনা।
ইতালিয়ান
সনেট, ফ্যাসিস্ট, মাফিয়া ইত্যাদি।
হিন্দি
পানি, টহল, বাচ্চা, চানাচুর, মিঠাই, কাহিনি, বার্তা, খানাপিনা, দাদা, নানা ইত্যাদি।
বার্মি
লুঙ্গি, ফুঙ্গি
গ্রিক
দাম, কেন্দ্র, সুরঙ্গ
জার্মান
কিন্ডারগার্ডেন
মেক্সিকান
চকলেট
পাঞ্জাবি
চাহিদা
তামিল
চুরুট
পেরু
কুইনাইন
শব্দ মনে রাখার কৌশল-
রাজ্য/প্রশাসন সম্পর্কিত বিদেশি শব্দগুলো অধিকাংশই ফারসি শব্দ। যেমন: সরকার, বাদশাহ, বাহাদুর, দরবার, তখত। মহকুমা আরবি শব্দ।
আদালত সম্পর্কিত শব্দগুলো অধিকাংশই আরবি শব্দ। ব্যতিক্রম হচ্ছে আইন, অছিয়তনামা, জবানবন্দি। এগুলো ফারসি শব্দ। উল্লেখ্য আইন ফারসি কিন্তু কানুন আরবি শব্দ।
কলম, কিতাব, দোয়াত আরবি শব্দ কিন্তু কাগজ ফারসি শব্দ।
ইদ/ঈদ আরবি শব্দ কিন্ত ইদগাহ/ঈদগাহ ফারসি শব্দ।
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত শব্দ: অধিকাংশই ফারসি শব্দ। যেমন- আমদানি, রপ্তানি, পাইকারি, খুচরা, রসিদ, কারখানা, দোকান। তবে নগদ, বাকি আরবি শব্দ, দাম গ্রিক শব্দ, চাহিদা পাঞ্জাবি শব্দ ও নিলাম পর্তুগিজ শব্দ। লাভ, ক্ষতি তৎসম শব্দ।
অফিস সম্পর্কিত শব্দ: দফতর, দস্তখত, বরখাস্ত ফারসি শব্দ। কেরানি পর্তুগিজ শব্দ।
পুলিশ সম্পর্কিত শব্দ: গ্রেপ্তার ফারসি শব্দ। পিস্তল পর্তুগিজ শব্দ। দারোগা, মুচলেকা তুর্কি শব্দ। টহল হিন্দি শব্দ।
খাদ্য সম্পর্কিত শব্দ: আলু, তরমুজ ফারসি শব্দ। আনারস, পাউরুটি, কফি, আচার, পেঁপে, পেয়ারা, কামরাঙ্গা, কপি, তামাক, আতা পুর্তুগিজ শব্দ। মেনু, বুফে, পিজা, বিস্কুট ফরাসি শব্দ। চা, চিনি, লিচু, এলাচি চীনা শব্দ। পানি, চানাচুর, মিঠাই, খানাপিনা হিন্দি শব্দ। চকলেট মেক্সিকান শব্দ। বাবুর্চি তুর্কি শব্দ।
অন্ত্র সম্পর্কিত শব্দ: কামান ফারসি শব্দ। পিস্তল পর্তুগিজ শব্দ। চাকু, বন্দুক তুর্কি শব্দ। কার্তুজ ফরাসি শব্দ।
আত্মীয়বাচক শব্দগুলো অধিকাংশই হিন্দি। যেমন- ভাই, বোন, মামা, মামি, দাদা, দাদি, চাচা, চাচি, ফুফা ইত্যাদি। তবে মা তদ্ভব শব্দ, বাবা তুর্কি শব্দ এবং খালা আরবি শব্দ।
জাতিবাচক শব্দ: ইংরেজ পর্তুগিজ শব্দ। মোঘল তুর্কি শব্দ। ওলন্দাজ ফরাসি শব্দ।
একতারা, দোতারা, সেতারা ফারসি শব্দ কিন্তু বেহালা পর্তুগিজ শব্দ।
বায়ু তৎসম শব্দ; বাতাস, আকাশ তদ্ভব শব্দ।
আইনজীবী
ফারসি + আরবি
রাজাবাদশা
তৎসম + ফারসি
হাটবাজার
বাংলা + ফারসি
শাকসবজি
তৎসম + ফারসি
মিনতি
সংস্কৃত + আরবি
খ্রিস্টাব্দ
ইংরেজি + তৎসম
কালিকলম
বাংলা + আরবি
চৌহদ্দি
ফারসি + আরবি
তাজমহল
ফারসি + আরবি
তৎসম শব্দ – ২৫%
অর্ধ-তৎসম শব্দ – ০৫%
তদ্ভব শব্দ – ৬০%
দেশি শব্দ – ০২%
বিদেশি শব্দ – ০৮%
বাংলা ভাষার নতুন শব্দগুলো নানা উপায়ে গঠিত হয়ে থাকে। নিচে শব্দ গঠনের উল্লেখযোগ্য উপায়গুলো দেওয়া হলো:
শব্দের মূল অংশকে বলা হয় শব্দমূল। শব্দমূল বা প্রকৃতির পূর্বে উপসর্গ বা পরে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়।
একাধিক পদ একপদে পরিণত হয়ে বা সমাসবদ্ধ হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: আমি, তুমি ও সে = আমরা।
শব্দের দ্বৈত ব্যবহারে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: ঠকঠক।
ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ‘কার’ বা ‘ফলা’ যোগ করে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: ম + া (আকার) = মা।
সন্ধির সাহায্যে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়।
শব্দের শেষে বিভক্তি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: কল + এর = কলের।
পদ পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: মূল (বিশেষ্য) > মৌলিক (বিশেষণ)।
ধ্বন্যাত্মক শব্দের মাধ্যমে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন : কনকন।
উল্লেখ্য শব্দের অংশ উপসর্গ ও প্রত্যয়। অপরদিকে পদের অংশ বিভক্তি, নির্দেশক, বচন ও বলক।
সূচিপত্র
ধ্বনি ভাষার মূল উপাদান। মানুষের বাক প্রতঙ্গের সাহায্যে উচ্চারিত সকল আওয়াজই ধ্বনি। এক বা একাধিক ধ্বনির সমন্বয়ে গঠিত হয় শব্দ। ধ্বনির নিজস্ব কোন অর্থ নেই। সাধারণত কয়েকটি ধ্বনি মিলিত হয়ে অর্থের সৃষ্টি করে। বাক প্রত্যঙ্গজাত এসব ধ্বনির একটি সূক্ষ্মতম মৌলিক অংশ থাকে যাকে ধ্বনিমূল বলে। বাংলাভাষার ধ্বনিগুলোকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:-
স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় মুখবিবরে বাতাস বাধা পায় না, স্বাধীনভাবে উচ্চারণ করা যায়।
ব্যঞ্জনধ্বনি: উচ্চারণের সময় মুখবিবরের কোথাও না কোথাও বাতাস বাধা পায়, স্বাধীনভাবে উচ্চারণ করা যায় না। ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণে আবশ্যিকভাবে স্বরধ্বনির আগমন ঘটে।
উল্লেখ্য প্রত্যেক ভাষাতেই কিছু মৌলিক ধ্বনি আছে। বাংলা ভাষায় মৌলিক ধ্বনি ৩৭টি (স্বরধ্বনি ৭টি ও ব্যঞ্জনধ্বনি ৩০ টি)।
স্বরধ্বনিকে আবার ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
মৌলিক স্বর: এ ধ্বনিকে ভেঙে উচ্চারণ করা যায় না বা বিশ্লেষণ করা যায় না। মৌলিক স্বরধ্বনি ৭ টি। যথা: অ, আ, ই, উ, এ্যা, এ এবং ও। এগুলোকে পূর্ণ স্বরধ্বনিও বলে।
যৌগিক স্বর: দুটি স্বরধ্বনি একাক্ষর হিসেবে উচ্চারিত হলে তাকে যৌগিক স্বর বা দ্বিস্বর বা সন্ধিস্বর বলে। বাংলায় যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা ২৫ টি। যেমন: অ + এ = অয়, আ + এ = আয় ইত্যাদি।
উচ্চারণের ভিত্তিতে স্বরধ্বনিকে আবার নিম্নোক্তভাবেও ভাগ করা যায়-
পূর্ণস্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় পূর্ণভাবে উচ্চারিত স্বরধ্বনিগুলোই পূর্ণস্বরধ্বনি।
অর্ধস্বরধ্বনি: যে স্বরধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় পুরোপুরি উচ্চারিত হয় না তাদের অর্ধস্বরধ্বনি বলে। বাংলা ভাষায় অর্ধ স্বরধ্বনি ৪টি: [ই্], [উ্], [এ্] এবং [ও্}। উল্লেখ্য এ চারটি স্বরধ্বনিকে সবসময় অর্ধস্বরধ্বনি বলা হয় না। শুধুমাত্র যেসব ক্ষেত্রে এরা অর্ধরূপে উচ্চারিত হয় সেগুলো শব্দেই তাদের অর্ধস্বরধ্বনি বলা হয়। যেমন: লাউ = ল + আ + উ্; এ শব্দের আ পূর্ণস্বরধ্বনি এবং উ্ অর্ধস্বরধ্বনি। পূর্ণ স্বরধ্বনি উচ্চারণ করার সময়ে টেনে দীর্ঘ করা যায়, কিন্তু অর্ধস্বরধ্বনিকে কোনােভাবেই দীর্ঘ করা যায় না।
দ্বিস্বরধ্বনি: পূর্ণ স্বরধ্বনি ও অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হলে দ্বিস্বরধ্বনি হয়। যেমন: অয়, আয় ইত্যাদি। বাংলা বর্ণমালায় শুধুমাত্র দুটি দ্বিস্বরধ্বনির জন্য আলাদা বর্ণ নির্ধারিত আছে: ঐ এবং ঔ। ঐ-এর মধ্যে দুটি ধ্বনি আছে: পূর্ণ স্বরধ্বনি ‘ও’ এবং একটি অর্ধস্বরধ্বনি ‘ই’। একইভাবে ঔ = পূর্ণ স্বরধ্বনি ‘ও’ + অর্ধস্বরধ্বনি ‘উ’।
উচ্চারণের সময় জিভের উচ্চতা, জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান এবং ঠোঁটের উন্মুক্তি অনুযায়ী স্বরধ্বনিকে নিম্নোক্তভাবে ভাগ করা যায় –
জিভের উচ্চতা
জিভ-সম্মুখ
জিভ-মধ্য
জিভ-পশ্চাৎ
ঠোঁটের উন্মুক্তি
উচ্চ
ই
উ
সংবৃত
উচ্চ-মধ্য
নিম্ন-মধ্য
এ
অ্যা
ও
অ
অর্ধ-সংবৃত
অর্ধ-বিবৃত
নিম্ন
আ
বিবৃত
ধ্বনি উচ্চারণের জন্য ব্যবহৃত প্রতঙ্গগুলো- ঠোঁট, দাতের পাটি, দন্তমূল, অগ্রদন্তমূল, অগ্রতালু, শক্ততালু, পশ্চাত্তালু, নরম তালু, মূর্ধা, আলজিভ, জিহবাগ্র, সম্মুখ জিহবা, পশ্চাদজিহবা, জিহবামূল, নাসা-গহ্বর, স্বর-পল্লব, স্বরতন্ত্রী, ফুসফুস।
স্পর্শধ্বনি
ক থেকে ম পর্যন্ত মোট ২৫ টি ধ্বনিকে স্পর্শধ্বনি বলা হয়।
অঘোষ
(অল্পপ্রাণ)
অঘোষ
(মহাপ্রাণ)
ঘোষ
(অল্পপ্রাণ)
ঘোষ
(মহাপ্রাণ)
ঘোষ
(অল্পপ্রাণ)
উচ্চারণ স্থান
ক
খ
গ
ঘ
ঙ
কণ্ঠ্য (জিহ্বামূল)
চ
ছ
জ
ঝ
ঞ
শ, য, য়
তালব্য (অগ্রতালু)
ট
ঠ
ড
ঢ
ণ
ষ, র, ড়, ঢ়
মূর্ধণ্য (পশ্চাৎ দন্তমূল)
ত
থ
দ
ধ
ন
ল, স
দন্ত্য (অগ্র দন্তমূল)
প
ফ
ব
ভ
ম
ওষ্ঠ্য (ঠোট)
বিভিন্ন প্রকার ধ্বনি
এখানে –
ঘোষ ধ্বনি: উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয়।
অঘোষ ধ্বনি: উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না।
অল্পপ্রাণ ধ্বনি: উচ্চারণে নিঃশ্বাস অল্প আকারে সংযোজিত হয়।
মহাপ্রাণ ধ্বনি: উচ্চারণে নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয়।
উপরোক্ত টেবিলে ক-ম পর্যন্ত ধ্বনিকে বর্গাকারে সাজানো হয়েছে। বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় ধ্বনিকে (১ম ও ২য় কলাম) অঘোষ ধ্বনি এবং তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ধ্বনিকে ঘোষ ধ্বনি বলে। এছাড়া বর্গের ১ম, ৩য় ও ৫ম ধ্বনিকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি এবং ২য় ও ৪র্থ ধ্বনিকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। আবার বর্গের ধ্বনিগুলোকে সারির প্রথম বর্ণের নাম অনুসারেও নামকরণ করা হয়। যেমন: প্রথম সারির ধ্বনিগুলোকে (ক, খ, গ, ঘ, ঙ) ক-বর্গীয় ধ্বনি বলা হয়। অনুরূপভাবে দ্বিতীয় সারির ধ্বনিগুলোকে (চ, ছ, জ, ঝ, ঞ) চ-বর্গীয় ধ্বনি, তৃতীয় সারিকে ট-বর্গীয়, চতুর্থ সারিকে ত-বর্গীয় এবং পঞ্চম সারিকে প-বর্গীয় ধ্বনি বলা হয়।
উল্লেখ্য উপরোক্ত ধ্বনিগুলো ছাড়াও (বর্গের বাইরে) অঘোষ অল্পপ্রাণ দ্যোতিত ধ্বনি ৩টি: শ, ষ, স এবং ঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি ‘হ’।
আরও বিভিন্ন প্রকার ধ্বনি
উষ্মধ্বনি: এসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখবিবরের কোথাও বাঁধা না পেয়ে কেবল ঘর্ষণপ্রাপ্ত হয়। উষ্মধ্বনি ৩টি: শ, স, হ। তবে পুরাতন ব্যাকরণ বইয়ে ‘ষ’-কেউ উষ্মবর্ণ বলা হয়েছিল।
অন্তঃস্থ ধ্বনি: এসব ধ্বনির উচ্চারণ স্থান স্পর্শ ও উষ্মধ্বনির মাঝামাঝি। অন্তঃস্থ ধ্বনি ৪টি: ব, য, র, ল। এর মধ্যে আবার য তালব্য ধ্বনি, র কম্পনজাত ধ্বনি ও ল – কে পার্শ্বিক ধ্বনি বলা হয়।
নাসিক্য ধ্বনি: উচ্চারণের সময় নাক বা মুখ বা উভয় দিয়ে বাতাস বের হয়। নাসিক্য ধ্বনি ৫টি: ঙ, ঞ, ণ, ন, ম। মূলত বর্গের পঞ্চম ধ্বনিগুলোই নাসিক্য ধ্বনি। উল্লেখ্য ‘ ঁ’ পরবর্তী স্বরধ্বনির অনুনাসিকতার দ্যোতনা করে তাই একে অনুনাসিক ধ্বনি বলে।
তাড়নজাত ধ্বনি: উচ্চারণের সময় দ্যোতিত ধ্বনি জিহ্বার উল্টো পিঠের দ্বারা দন্তমূলে দ্রুত আঘাত বা তাড়না করে। তড়নজাত ধ্বনি ২টি: ড়, ঢ়।
অযোগবাহ ধ্বনি: এসব ধ্বনির স্বর ও ব্যঞ্জনের সাথে কোন যোগ নেই। অযোগবহ ধ্বনি ২টি: (ং, ঃ)।
খণ্ড ব্যঞ্জণধ্বনি ১টি (ৎ)।
নিলীন ধ্বনি ১টি (অ)।
পরাশ্রায়ী বর্ণ ৩ টি ( ং, ঃ, ৺ )।
আরও তথ্য –
অঘোষ ‘হ’ ধ্বনির বর্ণরূপ ( ঃ)।
‘ং’ এর উচ্চারণ ‘ঙ’ এর মতো।
এক প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টিকে অক্ষর বলে।
অক্ষর উচ্চারণের কাল পরিমাণকে মাত্রা বলে।
পদের মধ্যে ‘ঃ’ থাকলে ব্যাঞ্জন দ্বিত্ব হয়। যেমন: দুঃখ(দুখ্খ)।
এক নজরে –
ক
খ
গ
ঘ
ঙ
চ
ছ
জ
ঝ
ঞ
ট
ঠ
ড
ঢ
ণ
ত
থ
দ
ধ
ন
প
ফ
ব
ভ
ম
য
র
ল
শ
ষ
স
হ
ড়
ঢ়
ৎ
ং
ঃ
ঁ
ধ্বনি নির্দেশক চিহ্নকে বলা হয় বর্ণ। কোন ভাষায় ব্যবহৃত লিখিত বর্ণসমষ্টিকে সে ভাষার বর্ণমালা বলা হয়। যে বর্ণমালায় বাংলা বর্ণ লিখিত হয় তাকে বলা হয় বঙ্গলিপি। বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ ৫০টি।
বর্ণ দুই প্রকার। যথা:-
স্বরবর্ণ
ব্যঞ্জনবর্ণ
স্বরবর্ণ: স্বরধ্বনি নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত বর্ণ বা স্বরধ্বনির দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় স্বরবর্ণ। বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ ১১ টি: হ্রস্ব স্বর ৪টি (অ, ই, উ, ঋ), দীর্ঘ স্বর ৭টি (হ্রস্ব স্বর বাদে বাকিগুলো)।
স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ হল ‘কার’। কার আছে এমন স্বরবর্ণ ১০টি (শুধুমাত্র “অ” এর সংক্ষিপ্ত রূপ নেই)।
মৌলিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ ৭টি: অ, আ, ই, উ, এ, ও, অ্যা।
যৌগিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ ২টি: ঐ = অ + ই, ঔ = অ + উ। অন্যান্য যৌগিক স্বরের কোন আলাদা বর্ণ নেই।
ব্যঞ্জনবর্ণ: ব্যঞ্জনধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ।
বাংলা বর্ণমালায় ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি (প্রকৃত ৩৫টি + অপ্রকৃত ৪টি)
ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ হল ‘ফলা’।
ফলা আছে এমন ব্যঞ্জণবর্ণ ৬টি: ম, ন, ব, য, র, ল ।
মাত্রা: বর্ণের উপরে যে রেখা ( ¯ ) বা দাগ দেওয়া থাকে তাই মাত্রা। মাত্রা অনুযায়ী বাংলা বর্ণ তিন ভাগে বিভক্ত। যথা:
পূর্ণমাত্রাযুক্ত বর্ণ: বর্ণের উপর পূর্ণ মাত্রা থাকে।
অর্ধমাত্রাযুক্ত বর্ণ: বর্ণের উপর অর্ধেক মাত্রা থাকে।
মাত্রাহীন বর্ণ: বর্ণের উপর কোন মাত্রা থাকে না।
মাত্রা
স্বরবর্ণ
ব্যঞ্জনবর্ণ
মোট
মাত্রাহীন
৪টি (এ, ঐ, ও, ঔ)
৬টি (ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ)
১০টি
অর্ধমাত্রাযুক্ত
১টি (ঋ)
৭টি (খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ)
৮টি
পূর্ণ মাত্রাযুক্ত
৬টি (অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ)
২৬টি
৩২টি
মোট
১১টি
৩৯টি
৫০টি
বাংলাভাষার কিছু ব্যঞ্জনবর্ণের নিজস্ব ধ্বনি নেই। এগুলো হল – ঞ, ণ, ক্ষ, ঢ়, য়, ষ, স, ৎ, ং, ঃ, ঁ।
‘অ’ বাদে বাকি স্বরবর্ণগুলো ও কিছু কিছু ব্যঞ্জনবর্ণ দুটি ভিন্ন রূপে ভাষায় ব্যবহৃত হয়। এরা স্বাধীনভাবে শব্দের মাঝে ব্যবহৃত হয়; আবার অন্য কোন বর্ণের সাথে যুক্ত হয়ে সংক্ষিপ্ত রূপে বা আশ্রিত রূপেও ব্যবহৃত হয়। যেমন, ‘আ’ বর্ণটি ‘আবার’ শব্দ স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং একইসাথে ‘ব’-র (ব + আ = বা) আশ্রিত হয়ে সংক্ষিপ্ত রূপেও (া ) ব্যবহৃত হয়েছে। ‘আ’-র এই সংক্ষিপ্ত রূপটিকে (া ) আ-কার বলা হয়। অনুরূপভাবে ই-কার(ি) , ঈ-কার(ী) , উ-কার(ু) , ঊ-কার(ূ) ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
বাংলা বর্ণমালায় ফলা ৬ টি। যথা: ণ/ন-ফলা, য-ফলা , ব-ফলা, ম-ফলা, র-ফলা ও ল-ফলা। যেমন: ‘চিহ্ন’ শব্দে ‘ন’ ফলা ব্যবহৃত হয়েছে। অনুরূপভাবে বিশ্বাস, তন্ময়, অত্যন্ত, গ্রহ, উল্লাস শব্দগুলোতে যথাক্রমে ব-ফলা, ম-ফলা, য-ফলা, র-ফলা ও ল-ফলা ব্যবহৃত হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ যুক্তবর্ণগুরো নিম্নরূপ –
ক্র = ক্ + র
ক্ষ = ক্ + ষ
ঙ্গ = ঙ্ + গ
জ্ঞ = জ্ +ঞ
ঞ্চ = ঞ্ + জ
ত্র = ত্ + র
ত্থ = ত্ + থ
শ্রু = শ্ + র্ + উ
শ্রূ = শ্ + র্ + ঊ
ষ্ণ = ষ্ + ণ
হৃ = হ্ + ঋ
হ্ন = হ্ + ন
হ্ম = হ্ + ম
ভাষার শব্দগুলো বহুজনে ব্যবহৃত হতে হতে কখনো কখনো সেই শব্দের ধ্বনিসমূহের মধ্যে কোনো কোনো ধ্বনি লোপ পায় কিংবা নতুন ধ্বনির আগমন ঘটে, কিন্তু শব্দটি দ্বারা পূর্বের অর্থই বোঝায়। ধ্বনির এরকম পরিবর্তনকে ধ্বনিপরিবর্তন বলে। যেমন: স্কুল>ইস্কুল; পিশাচ> পিচাশ ইত্যাদি। বিভিন্ন প্রকার ধ্বনি পরিবর্তন নিম্নরূপ –
আদি স্বরাগম (Prothesis): মূল শব্দের আদিতে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন:
স্কুল > ইস্কুল
স্পর্ধা > আস্পর্ধা
স্তাবল > আস্তাবল
স্টিমার > ইস্টিমার ইত্যাদি।
মধ্য স্বরাগম (Anaptyxis): মূল শব্দের মধ্যে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে মধ্য স্বরাগম বলে। যেমন:
রত্ন > রতন (র্+অ+ত+ন)
ধর্ম > ধরম
স্বপ্ন > স্বপন
ফিল্ম > ফিলিম
মুক্ত > মুকুতা
ভ্রু >ভুরু
গ্রাম > গেরাম
শ্লোক > শোলক
মুরগ > মুরোগ
ক্লি > কিলিপ ইত্যাদি।
অন্ত স্বরাগম (Apotheosis): মূল শব্দের শেষে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে অন্ত স্বরাগম বলে। যেমন:
সত্য>সত্যি
বেঞ্চ>বেঞ্চি
পোখত্ > পোক্ত
দিশ্> দিশা ইত্যাদি।
অপিনিহিতি (Apenthesis): শব্দমধ্যস্থ পরের ই বা উ ধ্বনি আগে উচ্চারণের প্রবণতাকে অপিনিহিত বলে। অর্থ্যাৎ শব্দে ই বা উ ধ্বনি থাকলে তাদের উচ্চারণ যথাস্থানের আগে করার প্রবণতাই অপিনিহিতি। যেমন:
আজি > আইজ
চারি > চাইর
রাখিয়া > রাইখ্যা
বাক্য > বাইক্য ইত্যাদি।
অসমীকরণ (Dissimilation): সমধ্বনি পাশাপাশি উচ্চারণের সময় অনেক ক্ষেত্রে মাঝখানে একটি স্বরধ্বনি যুক্ত হয়, তাকে অসমীকরণ বলে। একই ধ্বনির পুনরাবৃত্তি দুর করতে মাঝখানে স্বরধ্বনি যুক্ত হয়। যেমন:
ফট+ফট= ফটাফট
ধপ+ধপ=ধপাধপ
টপ+টপ=টপাটপ ইত্যাদি।
স্বরসঙ্গতি (Vowel Harmony): পরপর দুটি স্বরধ্বনি থাকলে উচ্চারণের সময় একটি পরিবর্তিত হয়ে অন্যটির মতো হওয়াকে স্বরসঙ্গতি বা উচ্চতাসাম্য বলে। যেমন: কবুল>কোবুল; বিলাতি>বিলিতি; মুলা>মুলো; বিদ্যা>বিদ্যে; দেশি>দিশি; তুলা>তুলো; মোজা>মুজো; জুতা>জুতো; ফিতা>ফিতে; নৌকা>নৌকো; পূজা>পূজো; সুতা>সুতো; শিয়াল>শেয়াল; ধুলা>ধুলো ইত্যাদি। একে আবার ৫ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
প্রগত: আদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে। যেমন: মুলা>মুলো, তুলা>তুলো ইত্যাদি।
পরাগত: অন্ত্যস্বর অনুযায়ী আদিস্বর পরিবর্তিত হলে। যেমন: দেশি>দিশি।
মধ্যগত: আদিস্বর ও অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে। যেমন: বিলাতি>বিলিতি
অন্যোন্য: আদিস্বর ও অন্ত্যস্বর দুটিই পরস্পর প্রভাবিত হলে। যেমন: মোজা>মুজো
চলিত বাংলা সরসঙ্গতি: মিঠা > মিঠে, চুলা > চুলো, ইচ্ছা>ইচ্ছে ইত্যাদি।
বিশেষ নিয়মে – এখনি > এখুনি।
ধ্বনিলোপ: উচ্চারণের সময় শব্দস্থিত কিছু ধ্বনি উচ্চারিত হয়না। এই প্রক্রিয়াকে ধ্বনিলোপ বলে। স্বরধ্বনি লুপ্ত হলে বা উচ্চারিত না হলে স্বরধ্বনিলোপ বা সম্প্রকর্ষ, ব্যঞ্জনধ্বনি লুপ্ত হলে ব্যঞ্জনধ্বনিলোপ বা ব্যঞ্জনচ্যুতি বলে। স্বরধ্বনির ক্ষেত্রে-
আদিস্বর লোপ: শব্দের আদি বা প্রথমে স্বরধ্বনিলোপ পেলে। যেমন: অলাবু>লাবু>লাউ; উদ্ধার>উধার>ধার ইত্যাদি।
মধ্যস্বর লোপ: শব্দের মধ্যে স্বরধ্বনি লোপ পেলে। যেমন: বসতি>বস্ তি; গামোছা>গাম্ ছা ইত্যাদি।
অন্ত্যস্বর লোপ: শব্দের অন্তে বা শেষে লোপ পেলে। যেমন: আজি (ই)>আজ; চারি (ই)>চার ইত্যাদি।
উল্লেখ্য স্বরাগম এবং স্বরালোপ সম্পর্কে পরস্পর বিপরীত। অনুরূপভাবে ব্যঞ্জনধ্বনির ক্ষেত্রে-
আদি ব্যঞ্জনলোপ: রংপুর>অংপুর; শ্রাবণ>শাবন
মধ্যব্যঞ্জনলোপ: মজদুর>মজুর; দুগ্ধ> দুধ
অন্তব্যঞ্জনলোপ: বৌদিদি>বৌদি; ছোটকাকা>ছোটকা; শিয়ালদহ>শিয়ালদ
ধ্বনি বিপর্যয়: উচ্চারণের সময় শব্দের দুটি ব্যঞ্জন পরস্পর স্থান পরিবর্তন করলে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে। যেমন:
নকশা > নশকা
কলমি > কমলি
পিশাচ > পিচাশ
রিক্সা > রিস্কা
লোকসান > লোসকান ইত্যাদি।
সমীভবন: উচ্চারণের সময় পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি একই রকম হয়ে যাওয়া কিংবা একই রকম হওয়ার প্রবনতাকে সমীভবন বলে। একে ব্যঞ্জনসঙ্গতিও বলা হয়। যেমন: দুর্গা>দুগ্গা; জন্ম>জম্ম ইত্যাদি।
বিসমীভবন: দুটো সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে বিষমীভবন বলে। যেমন:
শরীর > শরীল
লাল > নাল
জরুরি > জরুলি
লাঙ্গল > নাঙ্গল ইত্যাদি।
ব্যঞ্জন বিকৃতি: শব্দের মধ্যে কোন ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে কোন নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়, তাকে ব্যঞ্জন বিকৃতি বলে। যেমন:
কবাট>কপাট
ধোবা>ধোপা
ধাইমা>দাইমা
শাক>শাগ ইত্যাদি।
ব্যঞ্জনদ্বিত্বতা: জোর দেওয়ার জন্য শব্দের অন্তর্গত ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব উচ্চারণ হলে তাকে ব্যঞ্জনদ্বিত্বতা বলে। যেমন: পাকা > পাক্কা, সকাল > সক্কাল ইত্যাদি।
অন্তর্হতি: শব্দের মধ্যে কোন ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্তর্হতি বলে। যেমন: ফাল্গুন>ফাগুন, ফলাহার > ফলার, আলাদিয়া > আলাদা ইত্যাদি।
অভিশ্রুতি: অপিনিহিতি ও পরে বিপর্যয়ের ফলে পরিবর্তিত ধ্বনিতে যদি অপিনিহিতির প্রভাবজনিত ই কিংবা উ ধ্বনি পূর্বধ্বনির সঙ্গে মিলে শব্দের পরিবর্তন ঘটায় তাকে অভিশ্রুতি বলে। যেমন: (করিয়া>করিইয়া>কইরা>করে) করিয়া থেকে অপিনিহিতির ফলে করিইয়া হয়, তা থাকে বিপর্যয়ের ফলে কইরা হয় এবং শেষে অভিশ্রুতির ফলে করে শব্দ গঠিত হয়। অনুরূপভাবে, মানিয়া > মাইন্যা > মেনে; আজি > আইজ > আজ ইত্যাদি।
সমীকরণ: পর পর দুটি ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণ স্থান পৃথক হলে এবং এর মধ্যে একটির ধ্বনি বদলে গেলে, (যাতে ধ্বনি দুটির উচ্চারণ স্থান কাছাকাছি হয়) তাকে সমীকরণ বলে। যেমন: অনু+স্থান = অনুষ্ঠান।
র-কার লোপ: আধুনিক চলিত বাংলায় অনেক ক্ষেত্রে র-কার লোপ পায় এবং পরবর্তী ব্যঞ্জন দ্বিত্ব হয়। যেমন: তর্ক>তক্ক, করতে, কত্তে।
হ-কার লোপ: দুই স্বরের মাঝামাঝে হ-কারের লোপ হয়। যেমন: পুরোহিত>পুরুত, গাহিল>গাইল, শাহ্>শা ইত্যাদি।
সূচিপত্র
ü সরল বাক্যকে মিশ্র বাক্যে রূপান্তর
ü মিশ্র বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর
ü সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর
ü যৌগিক বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর
ü যৌগিক বাক্যকে মিশ্র বাক্যে রূপান্তর
ü মিশ্র বাক্যকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর
বাক্য শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কথ্য বা কথিত বিষয়। একাধিক পদের সমন্নয়ে বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হলে সেই অর্থবোধক পদসমষ্টিকে বাক্য বলে। অর্থ্যাৎ বাক্য হল সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি বা শব্দসমষ্টি যা দ্বারা বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়। যেমন: রহিম ঢাকা গেছে। এখানে উল্লেখ্য-
যে কোন পদসমষ্টিই বাক্য নয়। বাক্য গঠনের জন্য পদসমষ্টির-
বিভিন্ন পদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বা অন্নয় থাকা এবং
পদগুলো মিলিতভাবে একটি অখণ্ডভাব পূর্ণরূপে প্রকাশিত হওয়া প্রয়োজন।
ভাষার মূল উপকরণ হল বাক্য এবং বাক্যের মৌলিক উপাদান শব্দ। শব্দকে বাক্যের বাহনও বলা হয়।প্রতিটি বাক্যের ২টি অংশ থাকে: উদ্দেশ্য ও বিধেয়।
উদ্দেশ্য: বাক্যের যে অংশে কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয় তাকে উদ্দেশ্য বলে। যেমন: আব্দুর রহিম স্কুলে যায়। এখানে আব্দুর রহিম উদ্দেশ্য। উদ্দেশ্য আবার ২ প্রকার। একটিমাত্র পদবিশিষ্ট কর্তৃপদকে সরল উদ্দেশ্য এবং উদ্দেশ্যের সাথে বিশেষণাদি যুক্ত থাকলে তাকে সম্প্রসারিত উদ্দেশ্য বলে।
সম্প্রসারিত উদ্দেশ্য
সরল উদ্দেশ্য
বিধেয়
কুখ্যাত
দস্যুদল
ধরা পড়েছে
বিধেয়: বাক্যের যে অংশে উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বলা হয় তাই বিধেয়। যেমন: কুখ্যাত দস্যুদল ধরা পড়েছে। এখানে ধরা পড়েছে বাক্যের বিধেয়, কারণ এর দ্বারা দস্যুদল সম্বন্ধে বলা হয়েছে।
বাক্য তৈরির জন্য দুই বা ততোধিক পদ বা শব্দের প্রয়োজন হয়। কথোপকথনের ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে মাত্র একটি শব্দ বা পদ দ্বারা বাক্য গঠিত হতে দেখা যায়। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে বাকি শব্দগুলো উহ্য থাকে। যেমন:
ব্যক্তি ১: তুমি কাকে বেশি সম্মান কর?
ব্যক্তি ২: শিক্ষককে। (আমি আমার শিক্ষককে বেশি সম্মান করি)
এখানে ‘শিক্ষককে’ শব্দটি দ্বারা একটি বাক্য নির্দেশ করছে। কারণ বাকি শব্দগুলো এখানে উহ্য থাকে।
একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ থাকা প্রয়োজন। যথা: আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও যোগ্যতা।
আকাঙ্ক্ষা: বাক্যের এক পদের পর অন্যপদ শোনার যে ইচ্ছা তাই আকাঙ্ক্ষা। যেমন: চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে– এই পদসমষ্টিটুকু দ্বারা মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় না, শ্রোতার আরও কিছু জানার/শোনার ইচ্ছা থাকে। অপরদিকে চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে পদসমষ্টিটি দ্বারা শ্রোতার শোনার ইচ্ছা সম্পূর্ণ হয় (বা বাক্যটি সম্পূর্ণ হয়), কারণ বাক্যটি দ্বারা শ্রোতার আকাঙ্ক্ষা নিবৃত হয়েছে। অর্থ্যাৎ কোনো বাক্য শ্রবণ করে যদি বক্তার উদ্দেশ্য বোঝা যায়, তাহলে বাক্যটি আকাঙ্ক্ষা গুণসম্পন্ন।
আসত্তি: বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসই আসত্তি। যেমন: কাল বিতরণী হবে উৎসব আমাদের পুরস্কার স্কুলে অনুষ্ঠিত – বাক্যটি আসত্তি গুণসম্পন্ন নয়। পদ সন্নিবেশ ঠিকভাবে না হওয়ায় শব্দগুলোর অন্তর্নিহিত ভাবটি যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়নি। তাই এটি কোন বাক্য হয়নি। বাক্যের শব্দগুলোকে এমনভাবে পরপর সাজাতে হবে যাতে বক্তার মনোভাব প্রকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়। যেমন: কাল আমাদের স্কুলে পুরস্কার বিতরণী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে– বাক্যটি আসত্তি গুণসম্পন্ন। অর্থ্যাৎ বাক্যের পদগুলো যদি এমনভাবে সজ্জিত থাকে যে বাক্যের সম্পূর্ণ অর্থ স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, তবে বাক্যটি আসত্তিগুণ সম্পন্ন।
যোগ্যতা:বাক্যস্থিত পদসমূহের অর্থগত ও ভাবগত মেলবন্ধনের নাম যোগ্যতা। যেমন: বর্ষার বৃষ্টিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয় – বাক্যটি যোগ্যতা সম্পন্ন, কিন্তু বর্ষার রোদে প্লাবনের সৃষ্টি হয় বললে বাক্যটি তার যোগ্যতা হারাবে। কারণ, রোদের কারণে কখনো প্লাবণ সংঘঠিত হয় না। অর্থ্যাৎ বাক্যের অর্থ যদি সত্য ও যুক্তিযুক্ত হয় তাহলেই বাক্যের যোগ্যতা গুণ থাকবে।
অর্থ অনুযায়ী বাক্য দুই প্রকার। যথা: ১. ইতিবাচক ২. নেতিবাচক
ইতিবাচক: যে বাক্য দ্বারা হ্যাঁ বোধক অর্থ প্রকাশ করা হয়,তাকে হ্যাঁবাচক বা ইতিবাচক বাক্য বলে। যেমন: আমি লেখালেখি করি। সে স্কুলে যায়।
নেতিবাচক: যে বাক্য দ্বারা নাবোধক অর্থ প্রকাশ পায় তাকে নেতিবাচক বাক্য বলে। যেমন: আমি লেখালেখি করি না। সে স্কুলে যায় না।
গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। যথা:
সরল বাক্য
জটিল বাক্য
যৌগিক বাক্য
সরল বাক্য: যে বাক্যে একটিমাত্র কর্তা (উদ্দেশ্য) এবং একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া (বিধেয়) থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন: ছেলেরা ফুটবল খেলছে। এখানে ছেলারা বাক্যের কর্তা ও খেলছে সমাপিকা ক্রিয়া
জটিল বাক্য: যে বাক্যে একটি প্রধান বাক্যাংশ এবং এক বা একাধিক অপ্রধান বা আশ্রিত বাক্যাংশ থাকে, তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে। যেমন: যে মানুষের সেবা করে, সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ। এখানে যে মানুষের সেবা করে আশ্রিত বাক্যাংশ ও সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ প্রধান বাক্যাংশ।
যৌগিক বাক্য: পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা দুয়ের অধিক বাক্য যখন কোনো সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য তৈরি করে, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন: সে দরিদ্র, কিন্তু সুখী। এখানে কিন্তু অব্যয় দ্বারা সে দরিদ্র ও সুখী বাক্যাংশদুটি যুক্ত আছে।
বর্ণনা অনুসারে বাক্য পাঁচ প্রকার।
বর্ণনামূলক বাক্য
প্রশ্নবাচক বাক্য
অনুজ্ঞামূলক বাক্য
প্রার্থনাসূচক বাক্য
আবেগসূচক বাক্য
শব্দের যোগ্যতার সঙ্গে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জড়িত থাকে:
রীতিসিদ্ধ অর্থবাচকতা: প্রকৃতি-প্রত্যয়জাত অর্থে শব্দ সর্বদা ব্যবহৃত হয়। যোগ্যতার দিক থেকে রীতিসিদ্ধ অর্থের প্রতি লক্ষ রেখে কতগুলো শব্দ ব্যবহার করতে হয়। যেমন:
বাধিত শব্দের রীতিসিদ্ধ অর্থ অনুগৃহীত বা কৃতজ্ঞ কিন্তু প্রকৃতি প্রত্যয়জাত অর্থ (বাধ + ইত) – বাধাপ্রাপ্ত।
তৈল শব্দের রীতিসিদ্ধ অর্থ তিল জাতীয় কিন্তু প্রকৃতি প্রত্যয়জাত অর্থ (তিল + ষ্ণ) তিলজাত স্নেহ পদার্থ, বিশেষ কোনো শস্যের রস।
দুর্বোধ্যতা: অপ্রচলিত, দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার করলে বাক্যের যোগ্যতা বিনষ্ট হয়। যেমন: তুমি আমার সঙ্গে প্রপঞ্চ করেছ। এখানে প্রপঞ্চ অর্থ চাতুরী বা মায়া কিন্তু বাংলা ভাষায় ‘প্রপঞ্চ’ শব্দটি অপ্রচলিত।
উপমার ভুল প্রয়োগ: ঠিকভাবে উপমা ব্যবহার না করলে যোগ্যতা হানি ঘটে। যেমন: আমার হৃদয়-মন্দিরে আশার বীজ উপ্ত হলো। বীজ ক্ষেতে উপ্ত করা হয়, মন্দিরে নয়। কাজেই বাক্যটি হওয়া উচিত: আমার হৃদয়-ক্ষেত্রে আশার বীজ উপ্ত হইল। অথবা, আমার হৃদয়-মন্দিরে আশার প্রদীপ জ্বলে উঠল।
বাহুল্য দোষ: প্রয়োজনের অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার করলে বাহুল্য দোষ ঘটে এবং এর ফলে বাক্য তার যোগ্যতা গুণ হারিয়ে থাকে।যেমন: দেশের সব আলেমগণ এ ব্যাপারে আমাদের সমর্থন দান করেন। ’আলেমগণ’ বহুবচনবাচক শব্দ। এর সঙ্গে ‘সব’ শব্দটি বাহুল্য দোষ করেছে। সঠিক বাক্য: দেশের সব আলেম এ ব্যাপারে আমাদের সমর্থন দান করেন। অথবা দেশের আলেমগণ এ ব্যাপারে আমাদের সমর্থন দান করেন।
বাগধারার শব্দ পরিবর্তন: বাগধারা ভাষাবিশেষের ঐতিহ্য। এর যথেচ্ছ পরিবর্তন করলে শব্দ তার যোগ্যতা হারায়। যেমন: ‘অরণ্যে রোদন’(অর্থ: নিষ্ফল আবেদন)-এর পরিবর্তে যদি বলা হয়,’বনে ক্রন্দন’ তবে বাগধারাটি তার যোগ্যতা হারাবে।
গুরুচণ্ডালি দোষ: তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের প্রয়োগ কখনো কখনো গুরুচণ্ডালি দোষ সৃষ্টি করে। এ দোষে দুষ্ট শব্দ তার যোগ্যতা হারায়। যেমন: ’গরুর গাড়ি’, ‘শবদাহ’, ‘মড়াপোড়া’ প্রভৃতি স্খলে যথাক্রমে ‘গরুর শকট’, ‘শবপোড়া’, ’মড়াদাহ’ প্রভৃতির ব্যবহার গুরুচণ্ডালি দোষ সৃষ্টি করে।
অর্থের কোনোরূপ রূপান্তর না করে এক প্রকারের বাক্যকে অন্য প্রকার বাক্যে রূপান্তর করার নামই বাক্য রূপান্তর। বাক্য রূপান্তরের সময় মনে রাখতে হবে বাক্যের অর্থ যেন পরিবর্তন না হয়।
সরল বাক্যকে মিশ্র বাক্যে পরিনত করতে হলে-
খণ্ডবাক্য
সরল বাক্যের সমাপিকা ক্রিয়া ও কর্তার পরিবর্তন না করে একে প্রধান উপবাক্য এবং অন্য অংশকে খণ্ডবাক্যে পরিণত করতে হয়।
ধাপ ১
সম্বন্ধসূচক পদ
প্রধান উপবাক্যকে এবং অপ্রধান উপবাক্যকে সম্বন্ধীয় অব্যয় দিয়ে সংযুক্ত করতে হয় যেন তারা পরস্পরের সাপেক্ষ হয়।
ধাপ ২
মিশ্র বাক্যের সংযোগবিধানে ব্যবহৃত সম্বন্ধসূচক পদ: যদি, তবে, যে, সে, যারা-তারা, যে-সেই, যেই-সেই, যে-তাকে/তারা, যা-তা, যেসব-তাদের/যেসকল-তারা, যাদের-তাদের/তারাই, যে-সেটি।
উদাহরণ: “ভালো ছেলেরা শিক্ষকের আদেশ পালন করে” একটি সরল বাক্য। এখানে বাক্যের কর্তার ভাল ছেলে এবং সমাপিকা ক্রিয়া পালন করে। একে মিশ্র বা জটিল করা যায় এভাবে – “যারা ভালো ছেলে, তারা শিক্ষকের আদেশ পালন করে”। এখানে “তারা শিক্ষকের আদেশ পালন করে” এবং “যারা ভালো ছেলে” যথাক্রমে প্রধান খন্ডবাক্য ও আশ্রিত বাক্য। “যারা-তারা” হল এ বাক্যের সম্মন্ধসূচক পদ যা দ্বারা বাক্য দুটিকে পরস্পরের সাপেক্ষ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে-
সরল বাক্য
মিশ্র বাক্য
তার দর্শনমাত্রই আমরা প্রস্থান করলাম।
যেই তার দর্শন পেলাম, সেই আমরা প্রস্থান করলাম।
ভিক্ষুককে দান কর।
যে ভিক্ষা চায়, তাকে দান কর।
মিশ্র বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হলে –
কর্তা ও সমাপিকা ক্রিয়া অপরিবর্তিত
মিশ্র বাক্যের প্রধান খণ্ডবাক্যের কর্তা ও সমাপিকা ক্রিয়া অপরিবর্তিত থাকবে
ধাপ ১
অব্যয় বিলুপ্তি
সম্মন্ধসূচক অব্যয় বিলুপ্ত হবে
ধাপ ২
অপ্রধান খণ্ডবাক্য সংকোচন
অপ্রধান খণ্ডবাক্যটিকে সংকুচিত করে একটি পদ বা একটি বাক্যাংশে পরিণত করতে হয়। সংকোচনের ক্ষেত্রে সমাস, প্রত্যয় বা নতুন শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে।
ধাপ ৩
উদাহরণ: যাদের বুদ্ধি নেই তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। এখানে বাক্যের কর্তা হল যাদের বুদ্ধি নেই বা নির্বোধ এবং সমাপিকা ক্রিয়া হল বিশ্বাস করবে। বাক্যটিকে এভাবে সরল বাক্যে পরিণত করা যায়: নির্বোধরা/ বুদ্ধিহীনরা এ কথা বিশ্বাস করবে। অনুরূপভাবে-
মিশ্র বাক্য: যতদিন জীবিত থাকব ততদিন এ ঋণ স্বীকার করব।
সরল বাক্য: আজীবন এ ঋণ স্বীকার করব।
মিশ্র বাক্য: যে সকল পশু মাংস ভোজন করে তারা অত্যন্ত বলবান।
সরল বাক্য: মাংসভোজী পশু অত্যন্ত বলবান।
সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে পরিণত করতে হলে-
নিরপেক্ষ বাক্য
সরল বাক্যের কোনো অংশকে নিরপেক্ষ বাক্যে রূপান্তর করতে হয়।
ধাপ ১
সংযোজক বা বিয়োজক অব্যয়
যথাসম্ভব সংযোজক বা বিয়োজক অব্যয়ের প্রয়োগ করতে হয়।
ধাপ ২
যৌগিক বাক্যের সংযোজক অব্যয়: এবং, কিন্তু, তথাপি, তবে, তাই।
উদাহরণ: “তিনি আমাকে পাঁচ টাকা দিয়ে বাড়ি যেতে বললেন” একটি সরল বাক্য। একে যৌগিক বাক্য করলে দাড়ায় – “তিনি আমাকে পাঁচটি টাকা দিলেন এবং বাড়ি যেতে বললেন”। এখানে “তিনি আমাকে পাঁচটি টাকা দিলেন” এবং “বাড়ি যেতে বললেন” দুটি নিরপেক্ষ অংশ ও ‘এবং’ তাদের সংয়োজক অব্যয়।
সরল বাক্য : পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এখন থেকেই তোমার পড়া উচিত।যৌগিক বাক্য : এখন থেকেই তোমার পড়া উচিত তবেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে।
সরল বাক্য : আমি বহু কষ্টে শিক্ষা লাভ করেছি।যৌগিক বাক্য : আমি বহু কষ্ট করেছি ফলে শিক্ষা লাভ করেছি।
যৌগিক বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হলে –
সমাপিকা ক্রিয়া
বাক্যসমূহের একটি সমাপিকা ক্রিয়াকে অপরিবর্তিত রাখতে হয় এবং অন্যান্য সমাপিকা ক্রিয়াকে অসমাপিকা ক্রিয়ায় পরিণত করতে হয়।
ধাপ ১
হেতুবোধক বাক্যাংশ
কোনো কোনো স্থলে একটি বাক্যকে হেতুবোধক বাক্যাংশে পরিণত করতে হয়।
ধাপ ২
অব্যয় পদ
অব্যয় পদ থাকলে তা বর্জন করতে হয়।
ধাপ ৩
উদাহরণ: সত্য কথা বলিনি তাই বিপদে পড়েছি – একটি যৌগিক বাক্য। একে সরল বাক্যে পরিণত করলে দাড়ায়- সত্য কথা না বলে বিপদে পড়েছি। এখানে “পড়েছি” সমাপিকা ক্রিয়াটি অপরিবর্তিত আছে এবং ‘বলিনি’ ক্রিয়াটি অসমাপিকায় ক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে। বলিনিকে হেতুবোধক ‘না বলে’ বাক্যাংশে পরিণত করা হয়েছে এবং ‘তাই’ অব্যয় পদ বিলুপ্ত হয়েছে।
যৌগিক বাক্য : তার বয়স হয়েছে কিন্তু বুদ্ধি হয়নি।সরল বাক্য : তার বয়স হলেও বুদ্ধি হয়নি।
যৌগিক বাক্য : মেঘ গর্জন করে তবে ময়ূর নৃত্য করে।সরল বাক্য : মেঘ গর্জন করলে ময়ূর নৃত্য করে।
যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত পরস্পর নিরপেক্ষ বাক্য দুটির প্রথমটির পূর্বে ‘যদি’ কিংবা ‘যদিও’ এবং দ্বিতীয়টির পূর্বে ‘তাহলে’ (তাহা হইলে) কিংবা ‘তথাপি’ অব্যয়গুলো ব্যবহার করতে হয়। যেমন:
যৌগিক বাক্য: দোষ স্বীকার কর তবে তোমাকে কোনো শাস্তি দেব না। মিশ্র বাক্য: যদি দোষ স্বীকার কর তাহলে তোমাকে কোনো শাস্তি দেব না।
যৌগিক বাক্য: তিনি অত্যন্ত দরিদ্র কিন্তু তাঁর অন্তঃকরণ অতিশয় উচ্চ। মিশ্র বাক্য: যদিও তিনি অত্যন্ত দরিদ্র তথাপি তাঁর অন্তঃকরণ অতিশয় উচ্চ।সাপেক্ষ অব্যয়ের সাহায্যেও যৌগিক বাক্যকে মিশ্র বাক্যে পরিবর্তন করা যায়। যেমন :
যৌগিক বাক্য: এ গ্রামে একটি দরগাহ আছে সেটি পাঠানযুগে নির্মিত হয়েছে। মিশ্র বাক্য: এ গ্রামে যে দরগাহ আছে সেটি পাঠানযুগে নির্মিত হয়েছে।
মিশ্র বাক্যকে যৌগিক বাক্যে পরিবর্তন করতে হলে খণ্ডবাক্যকে এক একটি স্বাধীন বাক্যে পরিবর্তন করে তাদের মধ্যে সংযোজক অব্যয়ের ব্যবহার করতে হয়। যেমন :
মিশ্র বাক্য: যদি সে কাল আসে তাহলে আমি যাব। যৌগিক বাক্য: সে কাল আসবে এবং আমি যাব।
মিশ্র বাক্য: যখন বিপদ আসে তখন দুঃখও আসে। যৌগিক বাক্য: বিপদ এবং দুঃখ এক সময়ে আসে।
মিশ্র বাক্য: যদিও তাঁর টাকা আছে তথাপি তিনি দান করেন না। যৌগিক বাক্য: তাঁর টাকা আছে কিন্তু তিনি দান করেন না।
'তার বয়স বাড়লেও বুদ্ধি বাড়ে নি' এটি কোন ধরনের বাক্য?
ü সরল বাক্য
· জটিল বাক্য
· যৌগিক বাক্য
· ব্যাস বাক্য
'বল বীর, চির উন্নত মম শির' বাক্যটি কী?
· ইচ্ছাসূচক
· প্রশ্নসূচক
ü আদেশসূচক
· বিস্ময়সূচক
'আমি যাব, তবে কাল যাব' এটি কোন শ্রেণীর বাক্য?
· সরল বাক্য
· জটিল বাক্য
· মিশ্র বাক্য
ü যৌগিক বাক্য
'গাড়িঘোড়া চড়লে লেখাপড়া কর' এই সরল বাক্যটির যৌগিকরূপ কোনটি?
ü লেখাপড়া কর, তাহলে গাড়িঘোড়া চড় পারবে
· লেখাপড়া কর, গাড়িঘোড়া চড় পারবে
· লেখাপড়া করে যেই, গাড়িঘোড়া চড়ে সেই
· গাড়িঘোড়া চড়ার জন্য প্রয়োজন লেখাপড়া
'জ্ঞানী লোক সকলের শ্রদ্ধার পাত্র' এটি কোন ধরনের বাক্য?
· জটিল বাক্য
ü সরল বাক্য
· যৌগিক বাক্য
· মিশ্র বাক্য
'সকল আলেমগণ আজ উপস্থিত।' বাক্যটি কোন দোষে দুষ্ট?
· গুরুচণ্ডালী দোষে
ü বাহুল্য দোষে
· দুর্বেধ্যতা
· বিদেশি শব্দ দোষে
গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার?
· দুই প্রকার
· পাঁচ প্রকার
· ছয় প্রকার
ü তিন প্রকার
কোনটি বাক্যের বাহন?
ü শব্দ
· পদ
· আশ্রিত খন্ডবাক্য
· ধ্বনি
আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি ও যোগ্যতা - এ তিনটি কিসের গুণ?
· শব্দের
· অর্থের
ü বাক্যের
· পদের
'গুরুচণ্ডালী দোষ' বলতে বোঝায়-
ü সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ
· সাধু ও আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রণ
· বিদেশি ও দেশি ভাষার মিশ্রণ
· বাংলা ও ইংরেজি ভাষার মিশ্রণ
সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপণ, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ। পরস্পর অর্থসঙ্গতি সম্পন্ন দুই বা ততোধিক পদের এক পদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে। বাক্যে শব্দের ব্যবহার সংক্ষিপ্ত করার উদ্দেশ্যে সমাসের সৃষ্টি। এটি নতুন শব্দ তৈরি ও ব্যবহারের একটি বিশেষ রীতি। সংস্কৃত ভাষা থেকে এই রীতি বাংলা ভাষায় এসেছে। তবে খাঁটি বাংলা সমাসের দৃষ্টান্তও পাওয়া যায়।
উদাহরণ: “বিলাত ফেরত রাজকুমার সিংহাসনে বসলেন।” এখানে ‘বিলাত-ফেরত’, ‘রাজকুমার’ ও ‘সিংহাসন’ শব্দগুলো সমাসবদ্ধ পদ। সমাস সম্পর্কিত কিছু শব্দ-
সমস্ত পদ: সমাসবদ্ধ বা সমাস নিষ্পন্ন পদটির নাম সমস্ত পদ।
সমাস্যমান পদ: যে যে পদে সমাস হয় তাদের প্রত্যেককে সমস্যমান পদ বলে।
পূর্বপদ: সমাসযুক্ত পদের প্রথম অংশ, পরপদ: সমাসযুক্ত পদের শেষ অংশ
ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য: সমস্ত পদকে ভাঙলে যে বাক্যাংশ পাওয়া যায় তাকে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বলে।
উদাহরণ: সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন; এখানে সমস্তপদ = সিংহাসন; সমাস্যমান পদ= ‘সিংহ’ ও ‘আসন’; পূর্বপদ = সিংহ (সিংহাসন) এবং পরপদ = আসন (সিংহাসন)। অনুরূপভাবে –
নীল যে আকাশ = নীলাকাশ। এখানে সমস্তপদ = ‘নীলাকাশ’; সমস্যমান পদ দুটি: ‘নীল’, ‘আকাশ’; পূর্বপদ = নীল; পরপদ = আকাশ; ব্যাসবাক্য = নীল যে আকাশ।
বিলাত হতে ফেরত= বিলাতফেরত। এখানে সমস্তপদ = ‘বিলাতফেরত‘; সমস্যমান পদ = ‘বিলাত‘, ‘ফেরত‘; পূর্বপদ = বিলাত; পরপদ = ফেরত; ব্যাসবাক্য = বিলাত হতে ফেরত।
রাজার পুত্র = রাজপুত্র। এখানে সমস্তপদ = ‘রাজপুত্র’; সমস্যমান পদ = ‘রাজার’, ‘পুত্র’; পূর্বপদ = রাজা; পরপদ = পুত্র; ব্যাসবাক্য = রাজার পুত্র।
মীনের অক্ষির ন্যায় অক্ষি যার = মীনাক্ষি। এখানে সমস্তপদ = মীনক্ষি; সমস্যমান পদ = ‘মীনের‘ ও ‘অক্ষি‘; পূর্বপদ = মীন; পরপদ = অক্ষি; ব্যাসবাক্য = মীনের অক্ষির ন্যায় অক্ষি যার।
সন্ধি ও সমাসের পার্থক্য
সন্ধিতে মিলন ঘটে সন্নিহিত ধ্বনি বা বর্ণের, সমাসে মিলন ঘটে পাশাপাশি থাকা দুই, তিন বা তার বেশি সংখ্যক পদের। যেমন: সংখ্যা+অতীত= সংখ্যাতীত; সংখ্যাকে অতীত= সংখ্যাতীত।
সমাস প্রধানত ৬ প্রকার । যথা:
দ্বন্দ সমাস
কর্মধারায় সমাস
তৎপুরুষ সমাস
বহুব্রীহি সমাস
দ্বিগু সমাস
অব্যয়ীভাব সমাস
তবে বৈশিষ্ট্যের বিচারে কিছু ভাষাবিদ সমাসকে ৪ ভাগে ভাগ করেন। যথা:
দ্বন্দ সমাস
উভয়পদের অর্থ প্রাধান্য পায়
অব্যয়ীভাব সমাস
পূর্বপদের বা অব্যয়পদের অর্থ প্রাধান্য পায়
তৎপুরুষ সমাস
পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়
বহুব্রীহি সমাস
পূর্ব ও পর কোন পদকে প্রাধান্য না দিয়ে তৃতীয় কোন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে
*******দ্বিগু সমাসকে কর্মধারায় সমাস এবং কর্মধারায় সমাসকে তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সূচিপত্র
যে সমাসে প্রত্যেকটি সমাস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ সমাস বলে। এ সমাসের উভয় পদই (পূর্বপদ ও পরপদ) সমজাতীয় পদ হয়। অর্থ্যাৎ পূর্বপদ বিশেষ্য হলে পরপদও বিশেষ্য হবে। অনুরূপভাবে পূর্বপদ বিশেষণ, সর্বনাম বা ক্রিয়া হলে যথাক্রমে পরপদটিও বিশেষণ, সর্বনাম বা ক্রিয়া হবে। দ্বন্দ সমাসে এবং, ও, আর অব্যয় পদ ব্যবহার করা হয়। যেমন: আলো ও ছায়া = আলোছায়া, নয় ও ছয় = নয় ছয়। বিভিন্ন প্রকার দ্বন্দ সমাস –
অলুক দ্বন্দ: যে দ্বন্দ সমাসে বিভক্তি লোপ পায় না তাই অলুক দ্বন্দ সমাস। যেমন: হাতে ও কলমে = হাতে-কলমে। অনুরূপ: কোলেপিঠে, ঘরে-বাইরে ইত্যাদি।
বহুপদী দ্বন্দ: তিন বা বহু পদের দ্বন্দ সমাসই বহুপদী দ্বন্দ সমাস। যেমন: সাহেব-বিবি-গোলাম।
একশেষ দ্বন্দ: প্রধান পদটি অবশিষ্ট থেকে অন্যপদ লোপ পায় বা শেষপদ অনুসারে শব্দের রূপ নির্ধারিত হলে তাকে একশেষ দ্বন্দ সমাস বলে। যেমন: সে, তুমি ও আমি = আমরা। শেষপদ ‘আমি’ অনুসারে সমস্ত পদ ‘আমরা’ নির্ধারিত হয়েছে। অনুরূপ, জয়া ও পতি = দম্পতি।
সমার্থক দ্বন্দ: কাজ ও কর্ম = কাজ-কর্ম। অনুরূপ: হটা-বাজার, নাম-ডাক, আইন-আদালত ইত্যদি।
মিলনার্থক দ্বন্দ: মা ও বাপ = মা-বাপ। অনুরূপ: চা-বিস্কুট ইত্যাদি।
বিরোধার্থক দ্বন্দ: দা ও কুমড়া = দা-কুমড়া। অনুরূপ: অহি-নকুল, সাদা-কালো ইত্যাদি।
বিপরীতার্থক দ্বন্দ: আয় ও ব্যায় = আয়-ব্যায়, ছোট ও বড় = ছোট-বড় ইত্যাদি।
সর্বনামযোগে গঠিত দ্বন্দ: যা ও তা = যা-তা, যথা ও তথা = যথা-তথা ইত্যাদি।
বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ মিলে যে সমাস তাকে কর্মধারায় সমাস বলে। যথা: নীল যে উৎপল = নীলোৎপল। কর্মধারয় সমাসে পর/উত্তর পদের অর্থই প্রধান হয়। কর্মধারয় সমাস প্রধানত পাঁচ প্রকার। যথা:-
বিশেষ্য ও বিশেষণ, বিশেষ্য ও বিশেষ্য অথবা বিশেষণ ও বিশেষণ পদের মধ্যে যে সমাস তাই সাধারণ কর্মধারয় সমাস। যেমন:
মহান যে নবী = মহানবী
মহান যে জন = মহাজন
নীল যে আকাশ = নীলাকাশ
উড়ে যে জাহাজ = উড়োজাহাজ
জন যে এক = জনৈক
কু যে পুরুষ = কাপুরুষ
খাস যে মহল = খাসমহল
কাঁচা যে কলা = কাঁচকলা
যিনি জজ তিনিই সাহেব = জজসাহেব
যিনি মৌলভী তিনিই সাহেব = মৌলভীসাহেব
যিনি রাজা তিনিই ঋষি = রাজর্ষি
যিনি লাট তিনিই সাহেব = লাটসাহেব
খানিক কাঁচা খানিক পাকা = কাঁচাপাকা
যা কাঁচা তা-ই মিঠা = কাঁচামিঠা
· যে শান্ত সেই শিষ্ট = শান্তশিষ্ট
ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়ে যে কর্মধারয় সমস গঠিত হয় তাই মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস। যেমন: সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন। এখানে “চিহ্নিত” পদ লুপ্ত হয়েছে। আরও –
সাহিত্য বিষয়ক সভা = সাহিত্যসভা
স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ্য = স্মৃতিসৌধ
জ্যোৎস্না শোভিত রাত = জ্যোৎস্নারাত
সংবাদ যুক্ত পত্র = সংবাদপত্র
প্রাণ যাওয়ার ভয় = প্রাণভয়
পল (মাংস) মিশ্রিত অন্ন = পলান্ন
বৌ পরিবেশন করা ভাত = বৌভাত
ঘরে আশ্রিত জামাই = ঘরজামাই
ঘি মাখা ভাত = ঘিভাত
চালে ধরে যে কুমড়া = চালকুমড়া
ছায়া প্রদান করে যে তরু = ছায়াতরু
ধর্ম রক্ষার্থে যে ঘট = ধর্মঘট
· নব যে অন্ন = নবান্ন
তুলনার ক্ষেত্রে সমাস সম্পর্কিত কিছু শব্দ-
উপমান পদ: যার সাথে তুলনা করা হয়।
উপমেয় পদ: যাকে তুলনা করা হয়।
সাধারণ ধর্ম: উপমান ও উপমেয় পদের একটি সাধারণ ধর্ম বা গুণ।
উদাহরণ: ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণ কেশ। এখানে ভ্রমর উপমান পদ, কেশ উপমেয় পদ এবং কৃষ্ণ (কালো) তাদের সাধারণ ধর্ম (ভ্রমর ও কেশ উভয়ের সাধারণ রং কালো)।
উপমানবাচক পদের সাথে সাধারণ ধর্মবাচক পদের মিলনে যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: শশের (খরগোশের) ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত। এখানে ‘শশ’ উপমান পদ এবং ‘ব্যস্ত’ সাধারণ ধর্ম। অনুরূপ-
বকের ন্যায় ধার্মিক = বকধার্মিক
বজ্রের ন্যায় কন্ঠ = বজ্রকণ্ঠ
তুষারের ন্যায় শুভ্র = তুষারশুভ্র
কুসুমের ন্যায় কোমল = কুসুমকোমল
কাজলের ন্যয় কালো = কাজলকালো
মিশের ন্যায় কালো = মিশকালো
গজের ন্যয় মূর্খ = গজমূর্খ ইত্যাদি। উল্লেখ্য গজ অর্থ হাতি।
সাধারণ ধর্মবাচক পদের প্রয়োগ না থাকলে উপমেয় ও উপমান পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: মুখ চন্দ্র সদৃশ / মুখ চন্দ্রের ন্যায় = মুখচন্দ্র। এখানে ‘চন্দ্র’ উপমান ও ‘মুখ’ উপমেয় পদ। কিন্তু মুখ ও চন্দ্রের কোন সাধারণ ধর্ম নেই। অনুরূপ-
মুখ চন্দ্রের ন্যায় = চন্দ্রমুখ
পুরুষ সিংহের ন্যায় = পুরুষসিংহ
কুমারী ফুলের ন্যায় = ফুলকুমারী
কর পল্লবের ন্যায় = করপল্লব (অর্থ সুন্দর হাত)। ইত্যাদি কর অর্থ হাত এবং পল্লব অর্থ গাছের নতুন পাতা।
উপমান ও উপমেয় পদের মধ্যে অভিন্নতা কল্পনা করা হলে, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। এতে উপমেয় পদের পূর্বে ‘রূপ’ শব্দ যুক্ত থাকে এবং সাধারণ ধর্মের উল্লেখ থাকে না। যেমন: বিদ্যা রূপ ধন = বিদ্যাধন। এখানে ‘বিদ্যা’ ও ‘ধন’ যেন অভিন্ন এমন ভাব প্রকাশিত হয়েছে।
প্রাণ রূপ পাখি = প্রাণপাখি
বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু
ভব রূপ নদী = ভবনদী
মন রূপ মাঝি = মনমাঝি
শোক রূপ অনল = শোকানল
হৃদয় রূপ মন্দির = হৃদয়মন্দির
বিষ রূপ বৃক্ষ = বিষবৃক্ষ
যে সমাসে পূর্ব পদে বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: লবণ দ্বারা অক্ত (যুক্ত) = লবণাক্ত। “‘তৎপুরুষ” শব্দটির অর্থ হল “তার পুরুষ”; ‘তার’, ‘পুরুষ’ – এই শব্দ গুলির একপদীকরণে তৎপুরুষ শব্দটির সৃষ্টি হয়েছে। এখানে পূর্বপদ থেকে সম্বন্ধ পদের বিভক্তি ‘র’ লোপ পেয়েছে ও পরপদের (অক্ত) অর্থ প্রাধান্য পাচ্ছে। একইভাবে তৎপুরুষ সমাসের অধিকাংশ উদাহরণে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় ও পরপদের অর্থের প্রাধান্য থাকে। তৎপুরুষ শব্দটি এই রীতিতে নিষ্পন্ন সমাসের একটি বিশিষ্ট উদাহরণ। তাই উদাহরণের নামেই এর সাধারণ নামকরণ করা হয়েছে তৎপুরুষ সমাস। তৎপুরুষ সমাসের আরও উদাহরণ –
নিম রূপে/ভাবে রাজি = নিমরাজি
অন্ধ করে যে = অন্ধকার
বিয়ের জন্য পাগলা = বিয়ে পাগলা
স্নাতক হতে উত্তর = স্নাতকোত্তর
দৃঢ় ভাবে বদ্ধ = দৃঢ়বদ্ধ ইত্যাদি।
বিভক্তি সম্পর্কিত তথ্য
তৎপুরুষ সমাস বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। যথা:-
পূর্বপদে দ্বিতীয়া-বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস, তাকে দ্বিতীয়া-তৎপুরুষ বলে। যেমন: স্বর্গকে গত = স্বর্গগত। সাধারণত কে, রে, ব্যাপিয়া ইত্যাদি লোপ পায়। আরও উদাহরণ-
বইকে পড়া = বইপড়া
বিস্ময়কে আপন্ন = বিস্ময়াপন্ন
বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন
আমকে কুড়ানো = আমকুড়ানো
দেবকে দত্ত = দেবদত্ত
গাকে ঢাকা = গা-ঢাকা
ছেলেকে ভুলানো = ছেলে-ভুলানো
দুঃখকে অতীত = দুঃখাতীত
রথকে দেখা = রথদেখা
পূর্বপদে তৃতীয়া-বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস, তাকে তৃতীয়া-তৎপুরুষ বলে। যেমন: রজ্জু দ্বারা বন্ধ = রজ্জুবন্ধ। তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাসে সাধারণত ব্যাসবাক্যের দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি লোপ পায়। উদাহরণ-
মন দিয়ে গড়া = মনগড়া
মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা
শ্রম দ্বারা লব্ধ = শ্রমলব্ধ
ধনে আঢ্য(সমৃদ্ধ) = ধনাঢ্য
বাক্ দ্বারা বিতন্ডা = বাকবিতন্ডা
হীরক দ্বারা খচিত = হীরকখচিত
চন্দন দ্বারা চর্চিত = চন্দনচর্চিত
স্বর্ণ দ্বারা মণ্ডিত = স্বর্ণমণ্ডিত
রত্ন দ্বারা শোভিত = রত্নশোভিত
মেঘ দ্বারা শূন্য = মেঘশূন্য
বাক্(কথা) দ্বারা দত্তা = বাগদত্তা
বিদ্যা দ্বারা হীন(শূন্য) = বিদ্যাহীন
এক দ্বারা ঊন(কম) = একোন(এক কম এমন)
জ্ঞান দ্বারা শূন্য = জ্ঞানশূন্য
পাঁচ দ্বারা কম = পাঁচকম
অলুক তৃতীয় তৎপুরুষ: তৎপুরুষ সমাসে তৃতীয়া বিভক্তি লোপ না পেলে সে সমাসকে অলুক তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে।
তেলে ভাজা = তেলেভাজা
কলে ছাঁটা = কলেছাটা
তাঁতে বোনা = তাঁতেবোনা
পোকায় কাটা = পোকায়কাটা
পূর্বপদে চতুর্থী-বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস, তাকে চতুর্থী-তৎপুরুষ বলে। যেমন: যজ্ঞের নিমিত্ত ভূমি = যজ্ঞভূমি। চতুর্থী তৎপুরুষ সমাসে সাধারণত ব্যাসবাক্যের কে, জন্য, নিমিত্ত ইত্যাদি লোপ পায়। উদাহরণ-
গুরুকে ভক্তি = গুরুভক্তি
হজ্জের নিমিত্ত যাত্রা = হজ্জযাত্রা
তপের নিমিত্ত বন = তপোবন
রান্নার নিমিত্তে ঘর = রান্নাঘর
ছাত্রের জন্য আবাস = ছাত্রাবাস
চোষের জন্য কাগজ = চোষকাগজ
ডাকের জন্য মাসুল = ডাকমাসুল
মুসাফিরের জন্য খানা = মুসাফিরখানা
মালের জন্য গুদাম = মালগুদাম
মাপের জন্য কাঠি = মাপকাঠি
পূর্বপদে পঞ্চমী-বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস, তাকে পঞ্চমী-তৎপুরুষ বলে। যেমন: মুখ হইতে ভ্রষ্ট = মুখভ্রষ্ট। পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাসে সাধারণত ব্যাসবাক্যের হইতে, থেকে, চেয়ে ইত্যাদি লোপ পায়। উদাহরণ-
ইতি হতে আদি = ইত্যাদি
স্কুল থেকে পালানো = স্কুলপালানো
পরানের চেয়ে প্রিয় = পরানপ্রিয়
জেল থেকে মুক্ত = জেলমুক্ত
আগা থেকে গোড়া = আগাগোড়া
জেল থেকে খালাস = জেলখালাস
ঋণ থেকে মুক্ত = ঋণমুক্ত
পূর্বপদে ষষ্ঠী-বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস, তাকে ষষ্ঠী-তৎপুরুষ বলে। যেমন: দীনের বন্ধু = দীনবন্ধু। ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসে সাধারণত ব্যাসবাক্যের র, এর লোপ পায়। উদাহরণ-
বিশ্বের কবি = বিশ্বকবি
অহ্নের পূর্ব = পূর্বাহ্ন
চন্দ্রের অর্ধ = অর্ধচন্দ্র
হস্তীর যূথ = হস্তীযূথ
হাঁসের রাজা = রাজহাঁস
দিনের অর্ধ = অর্ধদিন
দেশের সেবা = দেশসেবা
পথের রাজা = রাজপথ
পূর্বপদে সপ্তমী-বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস, তাকে সপ্তমী-তৎপুরুষ বলে। যেমন: দিবাতে নিদ্রা = দিবানিদ্রা। সপ্তমী তৎপুরুষ সমাসে সাধারণত ব্যাসবাক্যের এ, য়, তে বিভক্তি লোপ পায়। উদাহরণ-
গাছে পাকা = গাছপাকা
অনুরূপ- বাকপটু, গোলাভরা, বিশ্ববিখ্যাত, রাতকানা ইত্যাদি
পূর্বে ভূত = ভূতপূর্ব
পূর্ব অদৃষ্ট = অদৃষ্টপূর্ব
দিবায় নিদ্রা = দিবানিদ্রা
নঞ্ অব্যয় বা না বাচক অব্যয় পূর্বে থেকে যে সমাস হয়, তাকে নঞ তৎপুরুষ বলে। যেমন:
নয়-কাতর = অকাতর
নয় কাঁড়া = আকাঁড়া
নয় ধর্ম = অধর্ম
নয় উচিত = অনুচিত
নয় পর্যাপ্ত = অপর্যাপ্ত
নয় এক = অনেক
নয় হাজির = গরহাজির
ন অতিশীতোষ্ণ = নাতিশীতোষ্ণ
ন-আচার = অনাচার
ন গাছ = আগাছা
ন উক্ত = অনুক্ত
ন বিশ্বাস = অবিশ্বাস
ন অতি দীর্ঘ = নাতিদীর্ঘ
ন অতি খর্ব = নাতিখর্ব
ন মঞ্জুর = নামঞ্জুর
ন বালক = নাবালক
ন মানুষ = অমানুষ
ন ভাব = অভাব
ন সঙ্গত = অসঙ্গত
ন অন্য = অনন্য
ন চেনা = অচেনা
নাই মিল = গরমিল
নাই হুঁশ = বেহুঁশ
কৃদন্ত-পদের পূর্বে যে পদ থাকে, তাকে উপপদ বলে এবং উপপদের সাথে কৃদন্ত-পদের যে সমাস হয়, তাকে উপপদ সমাস বলে। যেমন:
পঙ্কে জন্মে যা = পঙ্কজ
জলে জন্মে যা = জলজ
জল দেয় যা = জলদ
খ তে চরে যা = খেচর
পকেট মারে যে = পকেটমার
সত্য কথা বলে যে = সত্যবাদী
বর্ণ চুরি করে যে = বর্ণচোরা
ছ-পোষে যে = ছা-পোষা
ঘর পুড়েছে যার = ঘরপোড়া
মধু পান করে যে = মধুপ
হাড় ভাঙ্গে যাতে = হাড়ভাঙ্গা
ইন্দ্রকে জয় করে যে = ইন্দ্রজিৎ
ক্ষীণভাবে বাঁচে যে = ক্ষীণজীবী
একান্নে বর্তে যে = একান্নবর্তী
মনে মরেছে যে = মনমরা
অর্থ করা যায় যার দ্বারা = অর্থকারী ইত্যাদি
যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্ব পদের দ্বিতীয়াদি বিভক্তি লোপ হয় না তাকে অলুক তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: ঘিয়ে ভাজা, গরুর গাড়ি, গায়েপড়া ইত্যাদি।
দ্বিগু শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল ‘দুটি গরু’। কিন্তু ব্যাকরণ সম্মত অর্থ হল ‘দুটি গরুর মূল্যে কেনা’। শুরুতে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকলে এবং সমাহার বুঝালে যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। মূলত সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে বিশেষ্য পদের সমাসই দ্বিগু সমাস। সমাসনিষ্পন্ন পদটি বিশেষ্য পদ হয়। যেমন:
পঞ্চ (পাঁচটি) গো দ্বারা ক্রীত = পঞ্চগু [এখানে গো পূর্বপদ, পঞ্চ সংখ্যাবাচক শব্দ]
পঞ্চ হস্ত প্রমাণ ইহার = পঞ্চহস্তপ্রমাণ
পঞ্চ বটের সমাহার = পঞ্চবটী
চৌ রাস্তার সমাহার = চৌরাস্তা
ত্রি (তিন) কালের সমাহার = ত্রিকাল
সপ্ত অপের সমাহার = সপ্তাহ
শত অব্দের সমাহার= শতাব্দী
অষ্ট ধাতুর সমাহার = অষ্টধাতু
তিন ভূজের সমাহার = ত্রিভূজ
অনুরূপভাবে – চতুর্ভূজ, ত্রিমোহিনী, সাতসমুদ্র ইত্যাদি দ্বিগু সমাস।
যে সমাসের সমস্তপদে পূর্বপদ ও পরপদের অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কোন পদকে বোঝায় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার = বহুব্রীহি। এখানে ‘বহুব্রীহি’ দ্বারা ‘বহু’ কিংবা ‘ব্রীহি’ কোনটির অর্থ প্রধানভাবে না বুঝিয়ে দুটি শব্দ সমষ্টিগতভাবে বহু ধান আছে এমন ব্যক্তিকে বোঝাচ্ছে।
আরও কিছু উদাহরণ-
আয়ত লোচন যার = আয়তলোচনা
মহান আত্মা যার = মহাত্মা
স্বচ্ছ সলিল যার = স্বচ্চসলিলা
স্থির প্রতিজ্ঞা যার = স্থির প্রতিজ্ঞ
‘সহ’ কিংবা ‘সহিত’ শব্দের সাথে অন্য বহুব্রীহি সমাস হলে ‘সহ’ কিংবা ‘সহিত’ এর স্থলে ‘স’ হয়। যেমন: বান্ধবসহ বর্তমান = সবান্ধব। অনুরূপ-
সহ উদর যার = সহোদর > সোদর
জলের সঙ্গে বর্তমান = সজল
ফলের সহিত বর্তমান = সফল
দর্পের সঙ্গে বর্তমান = সদর্প
পরপদে মাতৃ, পিতৃ, পুত্র, স্ত্রী ইত্যাদি শব্দ থাকলে এ শব্দগুলোর সাথে ‘ক’ যুক্ত হয়। যেমন: নদী মাতা যার = নদীমাতৃক। অনুরূপ-
বি(গত) হয়েছে পত্নী যার = বিপত্নীক
স্ত্রীর সহিত বর্তমান = সস্ত্রীক
পুত্রের সহিত বর্তমান = সপুত্রক
বহুব্রীহি সমাসে-
পরপদের ‘জয়া’ শব্দের স্থানে ‘জানি’ হয়। যেমন: যুবতী জয়া যার = যুবজানী।
পরপদের ‘চূড়া’ শব্দে স্থানে ‘চূড়’ হয়। যেমন: চন্দ্র চুড়া যার = চন্দ্রচূড়।
পরপদের ‘কর্ম’ শব্দে স্থানে ‘কর্মা’ হয়। যেমন: বিচিত্র কর্ম যার = বিচিত্রকর্মা।
‘সমান’ শব্দের স্থানে ‘স’ এবং ‘সহ’ হয়। যেমন: সমান কর্মী যে = সহকর্মী; সমান র্বণ যার = সমবর্ণ, সমান উদর যাদের = সহদর।
পরপদের ‘গান্ধ’ শব্দে স্থানে ‘গান্ধি’ বা ‘গান্ধা’ হয়। যেমন: সুগন্ধ যার = সুগন্ধি।
বহুব্রীহি সমাস ৮ প্রকার। যথা:
পূর্বপদ বিশেষণ এবং পরপদে বিশেষ্য থাকলে যে বহুব্রীহি সমাস হয় তাকে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি বলে। যেমন: হত হয়েছে শ্রী যার= হতশ্রী। অনুরূপভাবে –
হৃত হয়েছে সর্বস্ব যার = হৃতসর্বস্ব
খোশ মেজাজ যার = খোশমেজাজ
উচ্চ শির যার = উচ্চশির
পীত অম্বর যার = পীতাম্বর
নীল কণ্ঠ যার = নীলকণ্ঠ
জবর দস্ত যার = জবরদস্তি
সু শীল যার = সুশীল
সু শ্রী যার = সুশ্রী ইত্যাদি।
উল্লেখ্য মহানবী (মহান যে নবী) ও মহাজন (মহান যে জন) কর্মধারয় সমাস। কিন্তু মহাত্না (মহান আত্মা যার) বহুব্রীহি সমাস। অধ্যাত্ম (আত্মাকে অধি) অব্যয়ীভাব সমাস। নবান্ন, নীলপদ্ম মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস। কিন্তু নবরত্ন (নব রত্নের সমাহার) দ্বিগু সমাস ও নীলকণ্ঠ (নীল কণ্ঠ যার) সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস।
যে বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ এবং পরপদ কোনোটিই বিশেষণ পদ না, তাকে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি বলে। যেমন: কথা সর্বস্ব যার = কথাসর্বস্ব। পরপদ কৃদন্ত বিশেষণ হলেও ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়। যেমন: দুই কান কাটা যার= দু কানকাটা, বোঁটা খসেছে যার= বোঁটাখসা। অনুরূপভাবে-
আশীতে (দাঁতে) বিষ যার = আশীবিষ
ছা পুষেছে যে = ছা-পোষা
পা চাটে যে = পা-চাটা,
পাতা চাটে যে = পাতা-চাটা,
পাতা ছেঁড়ে যে = পাতাছেঁড়া,
ধামা ধরে যে = ধামাধরা ইত্যাদি।
যে বহুব্রীহি সমাসের ব্যাখ্যার জন্য ব্যবহৃত বাক্যাংশের কোনো অংশ সমস্তপদে লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি বলে। যেমন:
গোঁফে খেজুর পড়ে থালেও খায় না যে = গোঁফ-খেজুরে
হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে= হাতেখড়ি
গায়ে হলুদ দেয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = গায়ে হলুদ
মেনির ন্যায় মুখ যার = মেনিমুখো
জন্ম হয়েছে অষ্টমীর দিনে যার = জন্মাষ্টমী
সোনার ন্যায়মূল্যপূর্ন অক্ষি যার = সোনাক্ষি
বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর= বিড়ালচোখী
বিড়ালের মতো অক্ষি যার = বিড়ালাক্ষী
রুদ্র রূপ হইতে অক্ষি যার = রুদ্রাক্ষী
ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি হয়। অর্থ্যাৎ একই রূপ দুটি বিশেষ্য পদ একসাথে বসে পরস্পর একই জাতীয় কাজ করে। এ সমাসে পূর্বপদে ‘আ’ এবং পরপদে ‘ই’ যুক্ত হয়। যেমন:
হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি
কানে কানে যে কথা = কানাকানি
অনুরূপ – চুলাচুলি, কাড়াকাড়ি, গালাগালি, দেখাদেখি, কোলাকুলি ইত্যাদি।
যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্ব বা পরপদের কোনো পরিবর্তন হয় না, তাকে অলুক বহুব্রীহি বলে। এতে সমস্ত পদটি বিশেষণ হয়। যেমন:
মাথায় পাগড়ি যার= মাথায়পাগড়ি
গলায় গামছা যার= গলায়গামছা
এরূপ- হাতে-ছড়ি, কানে-কলম, গায়ে-পড়া, মুখে-ভাত, কানে-খাটো ইত্যাদি।
বিশেষ্য পূর্বপদের আগে নঞ্ বা না অর্থবোধক অব্যয় যোগ করে যে বহুব্রীহি সমাস করা হয় তাকে নঞ্ বহুব্রীহি বলে। এতে সাধিত পদটি বিশেষণ হয়। যেমন:
ন (নাই) জ্ঞান যার= অজ্ঞান
না (নাই) চারা (উপায়) যার= নাচার
নি (নাই) ভুল যার= নির্ভুল,
না (নয়) জানা যা= নাজানা/অজানা
অনুরূপ- নির্ঝঞ্ঝাট, নিরুপায়, নাহক, অবুঝ, অকেজো, অনন্ত, বে-পরোয়া, বেঁহুশ, বেতার ইত্যাদি।
নঞ তৎপুরুষ, নঞ বহুব্রীহি ও অব্যয়ীভাব সমাসের মধ্যে পার্থক্য
কোন শব্দ কোন সমাসের অন্তর্ভুক্ত হবে তা ব্যাসবাক্যের উপর নির্ভর করে। আবার একই শব্দের একাধিক ব্যাসবাক্য করা সম্ভব। ফলে একই শব্দ শুধুমাত্র ব্যাসবাক্য কিভাবে করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে নঞ তৎপুরুষ, নঞ বহুব্রীহি বা অব্যয়ীভাব সমাস হতে পারে। যেমন:
নয় ওয়ারিশ = বেওয়ারিশ (নঞ তৎপুরুষ)
ওয়ারিশ নাই যার = বেওয়ারিশ (নঞ বহুব্রীহি)
ওয়ারিশের অভাব = বেওয়ারিশ (অব্যয়ীভাব)
সাধারণত ব্যাসবাক্যের শুরুতে ন, নাই এবং শেষে যে/যার/যা থাকলে সেটি নঞ বহুব্রীহি সমাস হয়।
ন (নাই) জানা = অজানা (নঞ তৎপুরুষ)
নাই জানা যা = অজানা (নঞ বহুব্রীহি)
যে বহুব্রীহি সমাসের সমস্তপদে আ, এ, ও ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি বলা হয়। যেমন:
এক দিকে চোখ (দৃষ্টি) যার= একচোখা
ঘরের দিকে মুখ যার= ঘরমুখো
নিঃ (নেই) খরচ যার= নি-খরচে
তিন (তে) ভাগ যার= তেভাগা
অনুরূপ- অকেজো, একগুঁয়ে, একঘরে, ঊনপাঁজুরে, দোটানা, দোতলা ইত্যাদি।
পূর্বপদ সংখ্যাবাচক এবং পরপদ বিশেষ্য পদ থাকলে এবং সমস্তপদটি বিশেষণ বোঝালে তাকে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি বলা হয়। এ সমাসে সমস্তপদে ‘আ’, ‘ই’ বা ‘ঈ’ যুক্ত হয়। যেমন:
চৌ (চার) চাল যে ঘরের= চৌচালা
চার হাত পরিমাণ যার = চারহাতি
তে (তিন) পা যার = তেপায়া ইত্যাদি।
ব্যতিক্রম, সে (তিন) তার (যে যন্ত্রের)= সেতার (বিশেষ্য)।
যে বহুব্রীহি সমাস কোন নিয়মের অধীনে নয়। যেমন:
দু দিকে অপ (জল বা পানি) যার = দ্বীপ
অন্তর্গত অপ যার = অন্তরীপ
নরাকারের পশু যে = নরপশু
জীবিত থেকেও যে মৃত = জীবন্মৃত
পণ্ডিত হয়েও যে মূর্খ = পণ্ডিতমূর্খ
অব্যয় পদ পূর্বে থেকে যে সমাস হয় এবং যাতে পূর্বপদের অর্থেরই প্রাধান্য থাকে, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। এই সমাসকে বর্তমানে উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: আত্মাকে অধি (অধিকার করিয়া) = অধ্যাত্ম। উল্লেখ্য উপসর্গকে অব্যয়জাত শব্দাংশ বলে। অব্যয়ীভাব সমাসের সমস্ত পদে প্রথমে উপসর্গ থাকে। সামীপ্য, বিপ্সা, পর্যন্ত, অভাব প্রভৃতি অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়। যেমন –
অব্যয়
অব্যয়ের অর্থ
উদাহরণ
অনু
পশ্চাৎ
পশ্চাৎ গমন = অনুগমন
পশ্চাৎ ধাবন = অনুধাবন
অনু
বিপসা
(পৌনঃপুনিকতা)
ক্ষণ ক্ষণ = অনুক্ষণ
আ
পর্যন্ত
সমুদ্র থেকে হিমাচল পর্যন্ত = আসমুদ্রহিমাচল
পা থেকে মাথা পর্যন্ত = আপাদমস্তক
আ
ঈষৎ
ঈষৎ নত = আনত
ঈষৎ রক্তিম = আরক্তিম
উপ
সামীপ্য
কণ্ঠের সমীপে = উপকণ্ঠ
কূলের সমীপে = উপকূল
উপ
সাদৃশ্য
শহরের সাদৃশ = উপশহর
গ্রহের তুল্য = উপগ্রহ
বনের সাদৃশ = উপবন
বৃত্তির সাদৃশ = উপবৃত্তি
উপ
ক্ষুদ্র
ক্ষুদ্র গ্রহ = উপগ্রহ
ক্ষুদ্র নদী = উপনদী
উৎ
অতিক্রান্ত
বেলাকে অতিক্রান্ত = উদ্বেল
শৃঙ্খলাকে অতিক্রান্ত = উচ্ছৃঙ্খল
প্র, পর
দূরবর্তী
অক্ষির অগোচরে = পরোক্ষ
পিতামহের পূর্বে/দূরবর্তীতে = প্রপিতামহ
প্রতি
বিপসা
দিন দিন = প্রতিদিন
ক্ষণে ক্ষণে = প্রতিক্ষণে
প্রতি
বিরোধ
বিরুদ্ধ বাদ = প্রতিবাদ
বিরুদ্ধ কূল = প্রতিকূল
প্রতি
প্রতিনিধি
ছায়ার প্রতি = প্রতিচ্ছায়া
ছবির প্রতিনিধি = প্রতিচ্ছবি
বিম্বের প্রতিনিধি = প্রতিবিম্ব
প্রতি
প্রতিদ্বন্দী
পক্ষের বিপরীত/বিরুদ্ধে= প্রতিপক্ষ
উত্তরের বিপরীত = প্রত্যুত্তর
পরি
পূর্ণ/সমগ্র
পরিপূর্ণ, সম্পূর্ণ
নিঃ বা নির
অভাব
আমিষের অভাব = নিরামিষ
ভাবনার অভাব = নির্ভাবনা
জলের অভাব = নির্জল
উৎসাহের অভাব = নিরুৎসাহ
যথা
অনতিক্রম্যতা
রীতিকে অতিক্রম না করে = যথারীতি
সাধ্যকে অতিক্রম না করে = যথাসাধ্য
বিধিকে অতিক্রম না করে = যথাবিধি
যোগ্যকে অতিক্রম না করে = যথাযোগ্য
ছয়টি প্রধান সমাস ছাড়াও কয়েকটি অপ্রধান সমাস রয়েছে। যেমন: প্রাদি, নিত্য, অলুক, উপপদ ইত্যাদি। এসব সমাসের প্রচুর উদাহরণ পাওয়া যায় না। এজন্য এগুলোকে অপ্রধান মনে করা হয়।
যে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাস-বাক্য হয় না, অন্য পদের দ্বারা সমস্ত পদের অর্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। অর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়। যেমন: কেবল তা = তন্মাত্র, অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র, অন্য গৃহ = গৃহান্তর, (বিষাক্ত) কাল (যম) তুল্য (কাল বর্ণের নয়) সাপ = কালসাপ, তুমি আমি ও সে = আমরা, দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।
প্র, পরা প্রভৃতি ২০টি উপসর্গের সাথে কৃৎ প্রত্যয়সাধিত বিশেষ্য পদের সমাস হলে, তাকে প্রাদি সমাস বলে। যেমন: সম্ (সম্যক্) যে আদর = সমাদর, প্র (প্রকৃষ্ট) যে বচন = প্রবচন, পরি (চতুর্দিকে) যে ভ্রমণ = পরিভ্রমণ, অনুতে (পশ্চাতে) যে তাপ = অনুতাপ, প্র (প্রকৃষ্ট রূপে) ভাত (আলোকিত) = প্রভাত, প্র (প্রকৃষ্ট রূপে) গতি = প্রগতি ইত্যাদি, প্রদর্শন = প্রকৃত রুপে দর্শন, প্রনাম = প্রত্যয় দ্বারা নাম।
যে সমাসে সমাসবদ্ধ পদগুলি একমাত্রায় লেখা হয় না এমনকি সবসময় পদসংযোজক চিহ্ন দ্বারাও যুক্ত করে লেখা হয় না – বিচ্ছিন্নভাবে লিখিত এই সমাসকে বলা হয় বাক্যাশ্রয়ী সমাস। যেমন: ‘বসে আঁকো প্রতিযোগিতা’, ‘সব পেয়েছির দেশ’ ইত্যাদি ।
'বেতনভোগী' কোন সমাস?
ü উপপদ তৎপুরুষ
· ষষ্ঠী তৎপুরুষ
· অলুক তৎপুরুষ
· নঞ্ তৎপুরুষ
'জীবনবীমা' কোন সমাস?
ü কর্মধারয়
· তৎপুরুষ
· অব্যয়ীভাব
· দ্বন্দ
'ইত্যাদি' কোন সমাস?
· অব্যয়ীভাব কর্মধারয় তৎপুরুষ বহুব্রীহি
'অশীবিষ' (অশীতে বিষ যার) কোন সমাস?
· কর্মধারয় অব্যয়ীভাব বহুব্রীহি তৎপুরুষ
'গোঁফ খেজুরে' কোন সমাস
· ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি
· দ্বিগু
· ব্যাতিহার বহুব্রীহি
ü মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি
'বীণাপাণি' কোন সমাস?
· তৎপুরুষ
· অব্যয়ীভাব
ü বহুব্রীহি
· কর্মধারয়
'মহাকীর্তি' এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
· মহান কীর্তি যার
· মহান যে কীর্তি
· মহা যে কীর্তি
ü মহতী যে কীর্তি
'মনমাঝি' কোন সমাসের উদাহরণ?
· বহুব্রীহি
ü রূপক কর্মধারয়
· নিত্য সমাস
· দ্বিগু
'জয়া ও পতি' সমাস করলে কি হয়?
ü দম্পতি
· স্বামী-স্ত্রী
· পতি-পত্নী
· জয়া-পতি
নিচের কোনটি কর্মধারয় সমাস?
· হেডমাস্টার
· আকন্ঠ
· মৌলভী সাহেব
ü খাসমহল
সূচিপত্র
1. বচন
· একবচন
· বহুবচন
বচন একটি পারিভাষিক শব্দ যার অর্থ সংখ্যার ধারণা। বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সংখ্যার ধারণা প্রকাশের উপায়কে বচন বলে। এটি গণনাবাচক বিশেষ্য ও সর্বনাম শব্দের সংখ্যা নির্দেশ করে। অর্থাৎ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ যে ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর প্রতিনিধিত্ব করছে বা বোঝাচ্ছে, সেই ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর সংখ্যা, অর্থাৎ সেটি একসংখ্যক না একাধিক সংখ্যাক, তা বোঝানোর পদ্ধতিকেই বচন বলে। বচন ২ প্রকার: একবচন ও বহুবচন।
একবচন: যখন কোন শব্দ দ্বারা কেবল একটি ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীকে বোঝানো হয়, তখন তাকে একবচন বলে। যেমন- ছেলেটা, গরচটা, কলমটা, ইত্যাদি। একবচন বাচক শব্দের শেষে টা, টি, খানা, খানি প্রভৃতি যুক্ত হয়।
বহুবচন: যখন কোন শব্দ দ্বারা একাধিক ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীকে বোঝানো হয়, তখন তাকে বহুবচন বলে। যেমন- ছেলেগুলো, গরচগুলো, কলমগুলি, ইত্যাদি। বহুবচনবাচক শব্দের শেষে রা, এরা, গুলা, গুলি, গুলো, দিগ, দের (শব্দাংশ বা বিভক্তি); সব, সকল, সমুদয়, কুল, বৃন্দ, বর্গ, নিচয়, রাজি, রাশি, পাল, দাম, নিকর, মালা, আবলি (শব্দ) প্রভৃতি যুক্ত হয়।
উল্লেখ্য বাংলায় বহুবচন বোঝানোর জন্য যে শব্দ বা শব্দাংশগুলো (বিভক্তি) ব্যবহৃত হয় তার অধিকাংশই এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে। অর্থাৎ এগুলোর বেশিরভাগই তৎসম শব্দ বা শব্দাংশ।
শুধু বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের বচনভেদ হয়। বিশেষণ পদের বচনভেদ হয় না। কিন্তু কোন বিশেষণবাচক শব্দ বাক্যে বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হলে তখন তার বচনভেদ হয়। আবার দ্রব্য, গুণ বা ক্রিয়াবচক বিশেষ্যের বচনভেদ হয় না।
১. রা/এরা: শুধু উন্নত প্রাণিবাচক শব্দের সঙ্গে (অর্থাৎ মানুষ বা মনুষ্যবাচক শব্দের সঙ্গে) ‘রা/এরা’ ব্যবহৃত হয়। যেমন:
ছাত্ররা লেখাপড়া করে।
শিক্ষকেরা জ্ঞান দান করেন।
তারা সবাই লেখাপড়া করতে ভালোবাসে।
২. গণ/বৃন্দ/মণ্ডলী/বর্গ: উন্নত প্রাণিবাচক বা সম্মানীয় ব্যক্তিবাচক শব্দের সঙ্গে গণ/বৃন্দ/মন্ডলী/বর্গ ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। যেমন:
দেবগণ
নরগণ
জনগণ
শিক্ষকমণ্ডলী
সম্পাদকমণ্ডলী
সুধীবৃন্দ
শিক্ষকবৃন্দ
পণ্ডিতবর্গ
মন্ত্রিবর্গ ইত্যাদি
৩. গুলা/গুলি/গুলো: প্রাণিবাচক ও অপ্রাণিবাচক শব্দের সঙ্গে ‘গুলা/গুলি/গুলো’ যুক্ত হয়। যেমন:
বানরগুলো দাঁত কেলাচ্ছে।
অতগুলো আম কে খাবে?
গুলিগুলো মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিলো।
৪. কুল/সকল/সব/সমূহ: বস্তু ও প্রাণিবাচক শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
পর্বতসকল
মনুষ্যসকল
বৃক্ষসমূহ
মনুষ্যসমূহ
ভাইসব
পাখিসব
পক্ষিকুল, বৃক্ষকুল
কবিকুল, মাতৃকুল ইত্যাদি
৫. পাল/যূথ: ‘পাল’ ও ‘যূথ’ শুধুমাত্র জন্তুবাচক শব্দের সাথে ব্যবহৃত হয়। যেমন: গরুর পাল, হস্তিযূথ ইত্যাদি।
৬. আবলি/গুচ্ছ/দাম/নিকর/পুঞ্জ/মালা/রাজি/রাশি/নিচয়/গ্রাম: বস্তুবাচক বা অপ্রাণিবাচক শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
পুস্তকাবলি
পদাবলি
মেঘপুঞ্জ
দ্বীপপুঞ্জ
কুসুমনিচয়
কবিতাগুচ্ছ
কেশগুচ্ছ
পর্বতমালা
বর্ণমালা
গুণগ্রাম ইত্যাদি।
কুসুমদাম
শৈবালদাম
তারকারাজি
বৃক্ষরাজি
কমলনিকর
বালিরাশি
জলরাশি
১. একবচন বোধক বিশেষ্য ব্যবহার করেও বহুবচন বোঝানো যায়। যেমন:
সিংহ বনে থাকে। (সব সিংহ বনে থাকে বোঝাচ্ছে।)
পোকার আক্রমণে ফসল নষ্ট হয়। (অনেক পোকার আক্রমণ বোঝাচ্ছে।)
বাজারে লোক জমেছে। (অনেক লোক জমেছে বোঝাচ্ছে।)
বাগানে ফুল ফুটেছে। (অনেক ফুল ফুটেছে বোঝাচ্ছে।)
২. একবচন বোধক বিশেষ্যের আগে বহুত্ব বোধক শব্দ ব্যবহার করেও বহুবচন বোঝানো যেতে পারে। যেমন: অজস্র লোক, অনেক ছাত্র, বিস্তর টাকা, বহু মেহমান, নানা কথা, ঢের খরচ, অঢেল টাকা ইত্যাদি।
৩. বিশেষ্য পদ বা তার সম্পর্কে বর্ণনাকারী বিশেষণ পদের দ্বিত্ব প্রয়োগে (অর্থাৎ পদটি পরপর দুইবার ব্যবহার করে) বহুবচন বোঝানো যেতে পারে। যেমন: হাঁড়ি হাঁড়ি সন্দেশ, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, লাল লাল ফুল, বড় বড় মাঠ।
৪. বিশেষ নিয়মে সাধিত বহুবচন:
মেয়েরা কানাকানি করছে। (‘মেয়েরা’ বলতে এখানে নির্দিষ্ট কিছু মেয়েদের বোঝাচ্ছে, যারা কানাকানি করছে।)
এটাই করিমদের বাড়ি। (‘করিমদের’ বলতে এখানে করিমের পরিবারকে বোঝানো হচ্ছে।)
রবীন্দ্রনাথরা প্রতিদিন জন্মায় না। (‘রবীন্দ্রনাথরা’ বলতে রবীন্দ্রনাথের মতো সাহিত্যিকদের বোঝানো হচ্ছে।)
সকলে সব জানে না।
৫. বুজুর্গ, সাহেব প্রভৃতি কিছু বিদেশি শব্দে বাংলা ভাষার বহুবচনের পদ্ধতির পাশাপাশি বিদেশি ভাষার অনুকরণেও বহুবচন করা হয়ে থাকে। যেমন: বুজুর্গাইন, সাহেবান ইত্যাদি।।
বাক্যে অশুদ্ধি সংশোধন:
বাক্যে একই সঙ্গে একটির বেশি বহুবচন বোধক শব্দ ও শব্দাংশ ব্যবহার করা যায় না। যেমন- ‘সব মানুষেরা’ বললে তা ভুল হবে। সঠিক হল ‘সব মানুষ’ বা ‘মানুষেরা’।
যেসব শব্দ দ্বারা সংখ্যা বোঝায় তাই সংখ্যাবাচক শব্দ বা সংখ্যাশব্দ। যেমন: এক, প্রথম ইত্যাদি। আবার সংখ্যাবাচক শব্দগুলোকে কিছু বর্ণ বা সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা যায়। যেমন: ১, ২, ৩ ইত্যাদি। সংখ্যাশব্দ দুই প্রকার। যথা:
ক্রমবাচক
পূরণবাচক
একের পর এক ক্রমান্নয়ে যে সংখ্যাগুলো আসে তাই ক্রমবাচক সংখ্যাশব্দ। যেমন: ১, ২, ৩, ৪ ইত্যাদি। ক্রমবাচক শব্দের এক বা একধিক প্রতিশব্দ আছে। যেমন: ১ সংখ্যাশব্দের প্রতিশব্দ ‘এক’, ‘প্রথম’; ২ এর প্রতিশব্দ ‘দ্বি’, ‘দুই’, ‘দো’; ৩ এর প্রতিশব্দ ‘ত্রি’ (ত্রিভুজ), ‘তে’ (তেসোরা)।
যে সংখ্যাশব্দ কোন সংখ্যার ক্রমিক অবস্থান ও পরিমাপ বোঝায় তাকে পূরণবাচক সংখ্যাশব্দ বলে। যেমন: প্রথম, প্রথমা, পহেলা ইত্যাদি। পূরণবাচক সংখ্যাশব্দ তিন ধরণের। যথা:
সাধারণ পূরণবাচক
ভগ্নাংশ পূরণবাচক
তারিখ পূরণবাচক
সাধারণ পূরণবাচক: পূরণবাচক সংখ্যার পর্যায় বা অবস্থানকে নির্দেশ করে সাধারণ পূরণবাচক। যেমন: প্রথম, একাদশতম ইত্যাদি।
সাধারণ পূরণবাচক শব্দকে সংক্ষিপ্তরূপে লেখা যায়। যেমন: ১ম, ২য়, ৩য় ইত্যাদি। ১১-১৮ সংখ্যাশব্দের পূর্ণ পূরণবাচক ও সংক্ষিপ্ত পূরণবাচক দুইরকম। যথা: একাদশ (১১শ), এগারোতম (১১তম) ইত্যাদি। ১৯-৯৯ সংখ্যাশব্দের সংক্ষিপ্ত পূরণবাচক একটি। যেমন: ‘একুশতম’ ও ‘একবিংশতিতম’ উভয়ের সংক্ষিপ্তরূপ ‘২১তম’।
সাধারণ পূরণবাচকের নারীবাচক রূপ – প্রথমা (১মা), দ্বিতীয়া(২য়া), চতুর্দশী(১৪শী) ইত্যাদি।
তারিখ পূরণবাচক: পহেলা(১লা), দোসরা(২রা), তেসরা(৩রা), আটই(৮ই) ইত্যাদি তারিখ পূরণবাচক সংখ্যাশব্দ।
ভগ্নাংশ পূরণবাচক: আধ, সাড়ে, পোয়া, দেড়, সোয়া, আড়াই, তেহাই ইত্যাদি ভগ্নংশ পূরণবাচক সংখ্যাশব্দ।
একনজরে-
ক্রমবাচক
সাধারণ পূরণবাচক
তারিখ পূরণবাচক
১(এক)
প্রথম (১ম)
পহেলা (১লা)
১১(এগারো)
একাদশ(১১শ)/এগারোতম(১১তম)
এগারোই(১১ই)
২০(বিশ)
বিশতম(২০তম)/বিংশতিতম(২০তম)
বিশে(২০শে)
'বনে বনে ফুল ফুটেছে।' এখানে 'ফুল'-
· একবচন
ü বহুবচন
· একবচন ও বহুবচন দুটোই
· কোনোটিই না
'বার' সংখ্যাটির তারিখবাচক শব্দ কোনটি?
· বারতম
· বারশ
ü বারই
· দ্বাদশ
'কাগজ' এর বহুবচন কোনটি?
ü কাগজাত
· কাগজগুলো
· কাগজসমূহ
· কাগজাদী
'ডালে ডালে কুসুম ভার' এখানে 'ভার' কোন অর্থ প্রকাশ করেছে?
ü সমূহ
· বোঝা
· গুরুত্ব
· বিষাদ
কোনটি সঠিক?
· তরঙ্গপুঞ্জ
ü মেঘপুঞ্জ
· কুসুমপুঞ্জ
· কবিতাপুঞ্জ
'পুষ্প' শব্দের বহুবচন কোনটি?
· পুষ্পপাল
ü পুষ্পদাম
· পুষ্পবৃন্দ
· পুষ্পবর্গ
নিচের কোনটি বহুবচন বাচক শব্দ নয়?
গ্রাম সভা
কুল মঙ্গল
'সাহেব' শব্দের বহুবচন কোনটি?
সাহেবকুল সাহেবসমূহ
সাহেবান সাহেবগুলো
সূচিপত্র
পদ
1. বিশেষণ
2. সর্বনাম
3. অব্যয়
1. ক্রিয়া
বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে পদ বলে। বাক্যের প্রত্যেকটি শব্দই একেকটি পদ। সাধারণ শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয়, তখন তার নাম হয় পদ। পদে পরিণত হওয়ার জন্য শব্দের সঙ্গে যে শব্দাংশগুলো যুক্ত হয় তাদের লগ্নক বলে। গঠনগতভাবে পদ দুই প্রকার। যথা:
সলগ্নক পদ: যেসব পদে লগ্নক থাকে সেগুলোকে সলগ্নক পদ বলে।
অলগ্নক পদ: যেসব পদে লগ্নক থাকে না সেগুলোকে অলগ্নক পদ বলে।
উদাহরণ: “ছেলেরা ক্রিকেট খেলে” – এই বাক্যের ‘ছেলেরা’ (ছেলে + রা) ও ‘খেলে’ (খেল + এ) সলগ্নক পদ আর ‘ক্রিকেট’ অলগ্নক পদ।
লগ্নক চার ধরনের। যথা:-
বিভক্তি: ক্রিয়ার কাল নির্দেশের জন্য এবং কারক বোঝাতে পদের সঙ্গে যেসব শব্দাংশ যুক্ত থাকে, সেগুলোকে বিভক্তি বলে। যেমন: ‘করলাম’ (শব্দমূল ‘কর’), ‘কৃষকের’ (শব্দমূল ‘কৃষক’) ইত্যাদি।
নির্দেশক: যেসব শব্দাংশ পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পদকে নির্দিষ্ট করে, সেগুলোকে নির্দেশক বা পদাশ্রিত নির্দেশক বলে। “লোকটি” বা “ভালোটুকু” পদের ‘টি’ বা ‘টুকু’ হলো নির্দেশকের উদাহরণ।
বচন: যেসব শব্দাংশ পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পদের সংখ্যা বোঝায়, সেগুলোকে বচন বলে। “ছেলেরা” বা “বইগুলো” পদের ‘রা’ বা ‘গুলো’ হলো বচনের উদাহরণ।
বলক: যেসব শব্দাংশ পদের সঙ্গে যুক্ত হলে বক্তব্য জোরালো হয়, সেগুলোকে বলক বলে। “তখনই” বা “এখনও” পদের ‘ই’ বা ‘ও’ হলো বলকের উদাহরণ।
বর্তমানে বাংলা ভাষায় পদ ৮ প্রকার। যথা: (বর্তমান ৯-১০ম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণে ‘অব্যয়’ অন্তর্ভুক্ত নেই)
বিশেষ্য
বিশেষণ
সর্বনাম
ক্রিয়া
ক্রিয়া বিশেষণ
অনুসর্গ
যোজক
আবেগ
উল্লেখ্য শব্দ ও পদের মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে – “শব্দ হল ধ্বনির সমষ্টি এবং শব্দ বিভক্তিযুক্ত হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হলে তাকে বলা হয় পদ।” যেমন: ‘বাংলাদেশ’ একটি শব্দ। অপরদিকে “ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী”; এখানে ‘বাংলাদেশ’ শব্দের সাথে বিভক্তি (‘এর’) যুক্ত হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে ‘বাংলাদেশের’ একটি পদ। তবে অনেকসময় বাক্যের পদগুলোতে বিভক্তি দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে শূন্য বিভিক্তি যুক্ত হয়েছে বলে ধরা হয়। যেমন: বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। বিভক্তি যুক্ত না হলেও এক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ’ একটি পদ হিসেবে গণ্য হবে। অর্থ্যাৎ সহজ ভাষায় বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি উপাদানই একেকটি পদ। উল্লেখ্য শব্দ শুধু রূপতত্ত্বে আলোচিত হয়, কিন্তু পদ একই সাথে রূপতত্ত্বে ও বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়।
যে শব্দ দিয়ে কোন কিছুর নাম বোঝায় তাই বিশেষ্য পদ। যেমন: করিম পরীক্ষায় ভাল ফল করেছে। এখানে করিম বিশেষ্য পদ।
বিশেষ্য পদ সাধারণত ৬ প্রকার। যথা:
নাম বা সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য
ব্যক্তি, স্থান ইত্যাদির নাম বোঝায়। যেমন: রহিম, ঢাকা, রবিবার, মেঘনা, হিমালয়, গীতাঞ্জলি ইত্যাদি।
জাতিবাচক বিশেষ্য
একই জাতীয় বস্তু বা প্রাণীর সাধারণ নাম বোঝায়। যেমন: কবি, মাছ, মানুষ, ইংরেজ, নদী, পর্বত, গাছ ইত্যাদি।
বস্তুবাচক বিশেষ্য
উপাদানবাচক পদার্থের নাম বোঝায়। যেমন: টেবিল, কাঠ, ধান, পানি, লবণ, মাটি, কলম ইত্যাদি।
সমষ্টিবাচক বিশেষ্য
বেশ কিছু বস্তু বা প্রাণীর সমষ্টিগত নামকে বোঝায়। যেমন: সেনাবাহিনী, দল, জনতা, সমিতি, মহফিল, বহর, সভা ইত্যাদি।
গুণবাচক বিশেষ্য
কোন কিছুর দোষ বা গুণের নাম বোঝায়। যেমন: দারিদ্র, দীনতা, সততা, ধৈর্য, গুরুত্ব, যৌবন, সৌরভ ইত্যাদি।
ক্রিয়া-বিশেষ্য
কোন কাজের নাম বোঝায়। যেমন: পঠন, শয়ন, গমন, দর্শন ইত্যাদি।
যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের দোষ, গুণ, অবস্থা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে তাকে বিশেষণ পদ বলে। যেমন: চলন্ত গাড়ি। এখানে চলন্ত গাড়ির একটি অবস্থা নির্দেশ করেছে, তাই এটি বিশেষণ পদ।
বিশেষণ দুইভাগে বিভক্ত। যথা: নাম বিশেষণ ও ভাব বিশেষণ।
নাম বিশেষণ
যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষায়িত করে তাই নাম বিশেষণ। যেমন: হাজার লোক। এখানে লোক বিশেষ্য পদ এবং হাজার শব্দ লোক শব্দটিকে বিশেষিত করেছে। নাম বিশেষণের প্রকারভেদ-
রূপবাচক –নীল আকাশ, কালো মেঘ, সবুজ মাঠ
গুণবাচক –চৌকশ লোক, দক্ষ কারিগর
অবস্থাবাচক – তাজা মাছ, রোগা ছেলে
সংখ্যাবাচক – শ টাকা
ক্রমবাচক – দশম শ্রেনী
পরিমাণবাচক – এক কেজি চাল
অংশবাচক – সিঁকি পথ
উপাদানবাচক – বেলে মাটি
প্রশ্নবাচক – কতদূর পথ?
নির্দিষ্টতাজ্ঞাপক – এই লোক, সেই ছেলে, ছাব্বিশে মার্চ
ভাববাচক বিশেষণ
যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম ব্যাতীত অন্য পদকে বিশেষায়িত করে তাকে ভাববাচক বিশেষণ বলে। যেমন: ধীরে ধীরে বায়ু বয়। ভাববাচক বিশেষণ ৪ প্রকার। যথা:
ক্রিয়া বিশেষণ: ক্রিয়া সংঘটনের ভাব, কাল বা রূপ নির্দেশ করে। যেমন: পরে একবার আসবে।
বিশেষণীয় বিশেষণ: বিশেষণ বা ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে। যেমন: রকেট অতি দ্রুত চলে।
অব্যয়ের বিশেষণ: অব্যয়-পদ বা তার অর্থকে বিশেষিত করে। যেমন: ধিক্ তারে।+
বাক্যের বিশেষণ: সম্পূর্ণ বাক্যকে বিশেষিত করে। যেমন: বাস্তবিকই আজ আমাদের কঠিন পরিশ্রমের প্রয়োজন।
নাম বিশেষণ ও ভাব বিশেষণের মধ্যে পার্থক্য
নাম বিশেষণ শুধু বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষায়িত করে। অপরদিকে ভাব বিশেষণ বিশেষ্য ও সর্বনাম ব্যাতীত অন্য পদকে বিশেষায়িত করে।
বিশেষণের অতিশায়ন
বিশেষণ পদ যখন দুই বা ততোধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা, পরিমাণ প্রভৃতি বিষয়ে তুলনায় একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বুঝিয়ে থাকে, তখন তাকে বিশেষণের অতিশায়ন বলে। যেমন: যমুনা একটি দীর্ঘ নদী, পদ্মা দীর্ঘতর, কিন্তু মেঘনা দীর্ঘতম নদী।
বাংলা শব্দের অতিশায়ন
দুয়ের মধ্যে চাইতে, চেয়ে, হইতে, হতে, অপেক্ষা, থেকে ইত্যাদি শব্দ এবং বহুর মধ্যে সবচাইতে, সবচেয়ে, সব থেকে, সর্বাপেক্ষা, সর্বাধিক প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয়। জোর দেওয়ার জন্য অনেক, অধিক, বেশি, কম ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। যেমন:
গরুর থেকে ঘোড়ার দাম বেশি
দশম শ্রেণীর ছাত্রদের মধ্যে করিম সবচেয়ে বুদ্ধিমান
পদ্মফুল গোলাপের চাইতে অনেক সুন্দর।
তৎসম শব্দের অতিশায়ন
দুয়ের মধ্যে তর, তম, ঈয়স এবং বহুর মধ্যে তম, ইষ্ঠ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন-
ঘোড়া হাতি অপেক্ষা অধিকতর সুশ্রী।
নির্মান শেষ হলে পাদ্মা সেতু বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু হবে।
উল্লেখ্য একই পদ বিশেষ্য ও বিশেষণ উভয়রূপে প্রয়োগ হতে পারে। যেমন-
ভালো বাড়ি পাওয়া কঠিন (বিশেষণ)
আপন ভালো সবাই চায় (বিশেষ্য)
বিশেষ্যের পরিবর্তে বাক্যে যে পদ ব্যবহৃত হয় তাই সর্বনাম। যেমন: সে কাজটি করেছে। সর্বনামকে ৯ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক – আমি, তুমি, সে, আমরা, তোমরা, তারা, তাহারা, তিনি ইত্যাদি
আত্মবাচক – নিজে, খোদ, স্বয়ং, আপনি
নির্দেশক বা সামীপ্যবাচক – এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি ইত্যাদি
অনির্দিষ্ট – কেউ, কোন, কেহ, কিছু, কোথাও, কিছু, একজন ইত্যাদি।
সকলবাচক – সবাই, সকল, সমুদয়, তাবৎ ইত্যাদি।
প্রশ্নবাচক – কে, কি, কী, কোন ইত্যাদি
সাপেক্ষ – যেমন-তেমন, যারা-তারা ইত্যাদি।
পারস্পারিক বা ব্যতিহারিক – আপনা আপনি, নিজ নিজে, নিজেরা-নিজেরা, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি
অন্যবাচক – অন্য, অপর, পর ইত্যাদি
ন-ব্যয় = অব্যয়। যার ব্যয় বা পরিবর্তন হয়না তাই অব্যয়। অব্যয়ের বৈশিষ্ট্য-
বিভাক্তিচিহ্ন যুক্ত হয় না
একবচন বা বহুবচন হয় না
স্ত্রী ও পুরুষবাচকতা নির্ণয় করা যায় না
ক্রিয়ার কাল দ্বারা প্রভাবিত হয় না
বাংলা ভাষায় অব্যয় ৩ প্রকার (উৎস হিসেবে)। যথা:
বাংলা অব্যয় শব্দ: আর, আবার, ও, হ্যাঁ, না ইত্যাদি।
তৎসম অব্যয় শব্দ: যদি, যথা, সদা, সহসা, হঠাৎ, অর্থ্যাৎ, বরং, পুনশ্চ, আপাতত, বস্তুত ইত্যাদি।
বিদেশী অব্যয় শব্দ: আলবত, বহুত, খুব, খাসা, মাইরি, খুব, শাবাশ, মারহাবা ইত্যাদি।
অব্যয় শব্দ গঠনের বিবিধ উপায়-
একাধিক অব্যয় শব্দযোগে
আনন্দ বা দুঃখ প্রকাশক একই শব্দের দুবার প্রয়োগ
দুটো ভিন্ন শব্দযোগে
অনুকার শব্দযোগে
অব্যয় প্রধানত ৪ প্রকার। যথা:
সমুচ্চায়ী অব্যয়
· সংযোজক অব্যয়
· বিয়োজক অব্যয়
· সংকোচক অব্যয়
· অনুগামী সমুচ্চায়ী অব্যয়
অনন্বয়ী অব্যয়
· বাক্যালঙ্কার অব্যয়
অনুসর্গ অব্যয়
অনুকার/ধ্বন্যাত্মক অব্যয়
সমুচ্চায়ী অব্যয়
একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যের অথবা বাক্যস্থিত একটি পদের সঙ্গে অন্য একটি পদের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে সমুচ্চায়ী অব্যয় বা সম্বন্ধবাচক অব্যয় বলে। যেমন:
সংযোজক অব্যয়: ও, এবং, তাই, আর, অধিকন্তু, সুতরাং ইত্যাদি। যেমন: উচ্চপদ ও সামাজিক মর্যাদা সকলেই চায় (উচ্চপদ, সামাজিক মর্যাদা- দুটোই চায়)।
বিয়োজক অব্যয়: কিংবা, কিন্তু, বা, অথবা, নতুবা, না হয়, নয়তো ইত্যাদি। যেমন: আবুল কিংবা আব্দুল এই কাজ করেছে। এখানে আবুল, আব্দুল- এদের একজন করেছে, আরেকজন করেনি। সম্পর্কটি বিয়োগাত্মক, একজন করলে অন্যজন করেনি।
সংকোচক অব্যয়: কিন্তু, অথচ, বরং ইত্যাদি। যেমন: তিনি শিক্ষিত, কিন্তু অসৎ। এখানে ‘শিক্ষিত’ ও ‘অসৎ’ দুটোই সত্য, কিন্তু শব্দগুলোর মধ্যে সংযোগ ঘটেনি। কারণ, বৈশিষ্ট্য দুটো একরকম নয়, বরং বিপরীতধর্মী। ফলে তিনি অসৎ বলে তিনি শিক্ষিত বাক্যাংশটির ভাবের সংকোচ ঘটেছে।
নোট
‘কিন্তু’ বিয়োজক ও সংকোচক উভয় প্রকার অব্যয় হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। যেমন: আমি চেষ্টা করেছি, কিন্তু কৃতকার্য হতে পারিনি(বিয়োজক); তিনি বিদ্বান, কিন্তু/অথচ সৎ ব্যক্তি নন (সংকোচক)।
অথবা, নতুবা বিয়োজক অব্যয়; অথচ সংকোচক অব্যয়।
অনুগামী সমুচ্চায়ী অব্যয়
যে, যদি, যদিও, যেন প্রভৃতি কয়েকটি শব্দ সংযোজক অব্যয়ের কাজ করে থাকে, তাই এদের অনুগামী সমুচ্চায়ী অব্যয় বলে। যেমন: তিনি এত পরিশ্রম করেন যে তার স্বাস্থ্যভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা আছে।
অনন্বয়ী অব্যয়
যে সব অব্যয় পদ স্বাধীনভাবে ভাব প্রকাশ করে, তাদেরকে অনন্বয়ী অব্যয় বলে। এগুলো বাক্যের অন্য কোন পদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে বাক্যে ব্যবহৃত হয়। যেমন-
উচ্ছ্বাস প্রকাশে: মরি মরি! কী সুন্দর সকাল!
স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি প্রকাশে: হ্যা, আমি যাব। না, তুমি যাবে না।
সম্মতি প্রকাশে: আমি আজ নিশ্চয়ই যাব।
অনুমোদন প্রকাশে: এতো করে যখন বললে, বেশ তো আমি আসবো।
সমর্থন প্রকাশে: আপনি তো ঠিকই বলছেন।
যন্ত্রণা প্রকাশে: উঃ! বড্ড লেগেছে।
ঘৃণা বা বিরক্তি প্রকাশে: ছি ছি, তুমি এতো খারাপ!
সম্বোধন প্রকাশে: ওগো, তোরা আজ যাসনে ঘরের বাহিরে।
সম্ভাবনা প্রকাশে: সংশয়ে সংকল্প সদা টলে/ পাছে লোকে কিছু বলে। কত না হারানো স্মৃতি জাগে আজ মনে।
বাক্যালংকার হিসেবে: হায়রে ভাগ্য, হায়রে লজ্জা, কোথায় সভা, কোথায় সজ্জা।
অনুসর্গ অব্যয়
যে সকল অব্যয় শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের পরে বিভক্তির ন্যায় বসে অন্য পদের অন্বয় বা সম্পর্ক নির্দেশ করে তাকে পদান্বয়ী বা অনুসর্গ অব্যয় বলে। যেমন: দিয়ে, থেকে, চেয়ে বিনা প্রভৃতি। উদাহরণ: ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না।
অনুকার/ধ্বন্যাত্মক অব্যয়
যে অব্যয় অব্যক্ত রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয় তাকে অনুকার বা ধ্বনাত্মক অব্যয় বলে। যেমন: শনশন, চকচক, ছমছম, টনটন প্রভৃতি।
কিছু বিশেষ অব্যয়
অব্যয় বিশেষণ: কোন অব্যয় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বিশেষণের কাজ করলে, তাকে অব্যয় বিশেষণ বলে। যেমন: ধিক্ তারে শত ধিক্ নির্লজ্জ যে জন।
নাম বিশেষণ: অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।
ক্রিয়া বিশেষণ: আবার যেতে হবে।
বিশেষণীয় বিশেষণ: রকেট অতি দ্রুত চলে।
নিত্য সম্বন্ধীয় বিশেষণ: কিছু কিছু যুগ্ম অব্যয় বাক্যে একসাথে ব্যবহৃত হয় এবং তাদের একটির অর্থ আরেকটির উপর নির্ভর করে। এদের নিত্য সম্বন্ধীয় বিশেষণ বলে। যেমন: যথা-তথা, যত-তত, যখন-তখন ইত্যাদি। উদাহরণ: যত গর্জে তত বর্ষে না, যেমন কর্ম তেমন ফল ইত্যাদি।
ত প্রত্যয়ান্ত বিশেষণ: সংস্কৃত তস্ প্রত্যয়ান্ত থেকে বাংলায় ত প্রত্যয়ান্ত হয়ে কিছু তৎসম অব্যয় বাংলায় ব্যবহৃত হয়। যেমন: ধর্মত, দুর্ভাগ্যবশত, অন্তত ইত্যাদি। উদাহরণ: দুর্ভাগ্যবশত করিম এখনো আসে নি।
যে পদ দ্বারা কোন কার্য সম্পাদন করা বুঝায় তাই ক্রিয়া পদ। যেমন: করিম বই পড়ছে। ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সাথে পুরুষ অনুযায়ী কালসূচক ক্রিয়াবিভক্তি যোগকরে ক্রিয়াপ গঠন করতে হয়। যেমন: পড়ছে – পড়্ (ধাতু) + ছে (বিভক্তি)। ক্রিয়াপদ বাক্যগঠনের অপরিহার্য অঙ্গ। ক্রিয়াপদ ছাড়া কোন বাক্য গঠিত হয় না। কখনও কখনও ক্রিয়াপদ বাক্যে উহ্য বা অনুক্ত থাকে। যেমন: আজ প্রচন্ড গরম = আজ প্রচন্ড গরম (অনুভূত হচ্ছে)।
ক্রিয়াপদকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। ভাব প্রকাশের দিক দিয়ে ক্রিয়াপদকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
সমাপিকা ক্রিয়া: বাক্যের দ্বারা বক্তার মনোভাবের পরিসমাপ্তি জ্ঞাপিত হয়। যেমন: বন্যায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
অসমাপিকা ক্রিয়া: বাক্যের দ্বারা বক্তার মনোভাবের পরিসমাপ্তি জ্ঞাপিত হয় না। যেমন: সকালে সূর্য উঠলে…। এ ধরণের ক্রিয়ার ক্ষেত্রে বাক্যটি সমাপ্ত হয়েছে কি না বোঝায় না।
বাক্যে অসমাপিকা ক্রিয়া থাকতেও পারে, না–ও পারে। কিন্তু সমাপিকা ক্রিয়া থাকতেই হবে, না হলে বাক্যটির অর্থ সম্পূর্ণ হয় না। যেমন: ‘এ কথা শুনে তিনি হাসলেন’ বাক্যটি সম্পূর্ণ, সুতরাং ‘হাসলেন’—সমাপিকা ক্রিয়া। কিন্তু ‘এ কথা শুনে’—এই পর্যন্ত বাক্যটি বললে অর্থ অসম্পূর্ণ থাকে, তাই ‘শুনে’ ক্রিয়াপদটি অসমাপিকা। প্রথম বাক্যে ‘হাসলেন’ সমাপিকা ক্রিয়ার মাধ্যমে ‘শোনা’ ক্রিয়াটির অর্থ সম্পূর্ণতা পায়। আরও উদাহরণ: আমি বাড়ি এসে (অসমাপিকা) তোমাকে দেখলাম (সমাপিকা)। অনুরূপভাবে-
চারটা বাজলে স্কুলের ছুটি হবে
একবার মরলে কি কেউ ফেরে
তিনি গেলে কাজ হবে
এখন বৃষ্টি হলে ফসলের ক্ষতি হবে
জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?
হাত-মুখ ধুয়ে পড়তে বস।
এখন আমি যেতে চাই।
সাধারণ ভাবে ক্রিয়াপদ ৬ প্রকার। যথা:
কর্মের উপর ভিত্তি করে-
· সকর্মক ক্রিয়া
· অকর্মক ক্রিয়া
· দ্বিকর্মক ক্রিয়া
· সমধাতুজ কর্মপদের ক্রিয়া
· প্রযোজক ক্রিয়া
গঠন বৈশিষ্ট্য অণুসারে-
· যৌগিক ক্রিয়া
· মিশ্র ক্রিয়া
সকর্মক ক্রিয়া: বাক্যে কোন ক্রিয়াপদের কর্মপদ থাকলে তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন: মা রান্না করছেন। এখানে ‘করছেন’ ক্রিয়াপদ এবং এর কর্ম হল ‘রান্না’। সুতরাং উক্ত বাক্যে ‘করছেন’ সকর্মক ক্রিয়া।
উল্লেখ্য বাক্যের ক্রিয়াপদকে কী?/কাকে? প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্ম পদ। যেমন: উপরিউক্ত বাক্যে ক্রিয়া ‘করছেন’ কে কী করছেন? প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘রান্না’।
অকর্মক ক্রিয়া: বাক্যে কোন ক্রিয়ার কর্মপদ না থাকলে তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন: করিম পড়ে। এখানে ‘পড়ে’ ক্রিয়াপদ, কিন্তু এর কোন কর্ম নেই। ‘পড়ে’- পদকে কী পড়ে? প্রশ্ন করলে কোন উত্তর উক্ত বাক্য থেকে পাওয়া যায় না। সুতরাং এখানে ‘পড়ে’ অকর্মক ক্রিয়া।
দ্বিকর্মক ক্রিয়া: বাক্যে যে ক্রিয়াপদের দুটি কর্মপদ থাকে তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন: শিক্ষক ছাত্রদের বাংলা পড়াচ্ছেন। এখানে ক্রিয়াপদ ‘পড়াচ্ছেন’-কে কী পড়াচ্ছেন? প্রশ্ন করলে উত্তর আসে ‘বাংলা’, আবার কাকে পড়াচ্ছেন? প্রশ্ন করলে উত্তর আসে ‘ছাত্রদের’। সুতরাং উক্ত বাক্যে পড়াচ্ছেন ক্রিয়াপদের দুটি কর্ম আছে: ‘বাংলা’ ও ‘ছাত্রদের’।
সমধাতুজ কর্ম ও ক্রিয়া: বাক্যের ক্রিয়া ও কর্মপদ একই ধাতু থেকে গঠিত হলে ঐ কর্মপদকে সমধাতুজ কর্ম বা ধাত্বর্থক কর্মপদ বলে। যেমন: বেশ একটা ঘুম ঘুমিয়েছি। এখানে ‘ঘুমিয়েছি’ ক্রিয়াপদের কর্ম ‘ঘুম’, যারা একই ধাতু ‘ঘুম’ দ্বারা গঠিত। সুতরাং ‘ঘুম’ সমধাতুজ কর্ম এবং ‘ঘুমিয়েছি’ সমধাতুজ কর্মের ক্রিয়া।
প্রযোজক ক্রিয়া: যে ক্রিয়া একজনের প্রযোজনা বা চালনায় অন্য কর্তৃক অনুষ্টিত হয়, তাই প্রযোজক ক্রিয়া। যেমন: মা খোকাকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। এখানে মায়ের প্রযোজনায় ‘খোকা’ ক্রিয়া সম্পন্ন করছে বা চাঁদ দেখছে।
যৌগিক ক্রিয়া: একটি সমাপিকা ও একটি অসমাপিকা ক্রিয়া যদি একত্রে একটি বিশেষ বা সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে তবে তাই যৌগিক ক্রিয়া। যেমন: সাইরেন বেজে (অসমাপিকা) উঠল (সমাপিকা)।
মিশ্র ক্রিয়া: বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধ্বনাত্বক অব্যয়ের সাথে ধাতুযোগে গঠিত ক্রিয়াপদ বিশেষ অর্থে মিশ্র ক্রিয়া গঠন করে। যেমন: আমরা তাজমহল দর্শন করলাম।
একনজরে
বাবা আমাকে একটি কলম কিনে দিয়েছেন। কী কিনে দিয়েছেন – কলম (কর্মপদ), কাকে দিয়েছেন – আমাকে(কর্মপদ)। এ বাক্যে দুটি কর্মপদ আছে। (সকর্মক ক্রিয়া ও দ্বিকর্মক ক্রিয়া)
মেয়েটি হাসে (অকর্মক ক্রিয়া)।
মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন (প্রযোজক ক্রিয়া)। এখানে মা প্রযোজক (যে ক্রিয়া প্রযোজনা করে) এবং শিশু প্রযোজ্য (যাকে দিয়ে ক্রিয়া অনুষ্টিত হয়) কর্তা।
ঘটনাটা শুনে রাখ (যৌগিক ক্রিয়া)।
মাথা ঝিম ঝিম করছে (মিশ্র ক্রিয়া)।
সমাপিকা ক্রিয়া সকর্মক ও অকর্মক দুই-ই হতে পারে। যেমন: অনেক দিন ধরে ভাবছি লিখব (অকর্মক-সমাপিকা); কাল তোমাকে চিঠি লিখেছি (সকর্মক-সমাপিকা)।
সূচিপত্র
2.
4. এক নজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
বাংলা (দেশি), তদ্ভব ও বিদেশি শব্দের বানানে মূর্ধন্য-ণ বর্ণ লেখার প্রয়োজন হয় না। বাংলা ভাষায় ‘ণ’ ব্যবহৃত হয় শুধু তৎসম শব্দে। তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর ব্যবহারের নিয়মগুলোকে ণ-ত্ব বিধান বলে।
ট-বর্গীয় ধ্বনির (ট, ঠ, ড, ঢ) পূর্বে তৎসম শব্দে সবসময় মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন:
ঘণ্টা (ণ্ট = ণ্ + ট)
বণ্টন
লুণ্ঠন
খণ্ড (ণ্ড = ণ্ + ড) ইত্যাদি।
ঋ, র, ষ বর্ণের পরে মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন:
ঋণ
তৃণ
বর্ণ
বর্ণনা
উদাহরণ
আচরণ
অরণ্য
অক্ষুণ্ণ
আবরণ
আচরণ
উচ্চারণ
কারণ
জাগরণ
ধারণা
ব্যাকরণ
আমন্ত্রণ (ন্ত্র = ন্ + ত্ + র)
ঘ্রাণ (ঘ্র = ঘ্ + র)
অর্ণব (র্ণ = র্ + ণ)
অন্বেষণ
আকর্ষণ
বর্ধিষ্ণু (ষ্ণ = ষ্ + ণ)
প্রশিক্ষণ (ক্ষ = ক্ + ষ) ইত্যাদি।
যদি ঋ, র, ষ বর্ণের পরে স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, য, ব, হ,য় অথবা অনুস্বার (ং) থাকে, তার পরে মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন:
কৃপণ (ঋ কারের পরে প, তার পরে ণ)
নির্বাণ
লক্ষণ
গ্রহণ ইত্যাদি।
প্র, পরা, পরি, নির – এ চারটি উপসর্গের পর স্বরবর্ণ থাকলে কৃৎ প্রত্যয়ে ণ-হয়। যেমন:
পরিণত
প্রণাম
প্রমাণ
প্রণীত
নির্ণয় ইত্যাদি।
কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: (ছন্দ আকারে)
চাণক্য মাণিক্য গণ বাণিজ্য লবণ মণ
বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা।
কল্যাণ শোণিত মণি স্থাণু গুণ পুণ্য বেণী
ফণী অণু বিপণি গণিকা।
আপণ লাবণ্য বাণী নিপুণ ভণিতা পাণি
গৌণ কোণ ভাণ পণ শাণ।
চিক্কণ নিক্কণ তূণ কফণি (কনুই) বণিক গুণ
গণনা পিণাক পণ্য বাণ।
উল্লেখ্য এখানে শোণিত অর্থ রক্ত, স্থানু অর্থ স্থির/নিশ্চল, বিপণি অর্থ বিক্রয়কেন্দ্র, গণিকা অর্থ যৌনকর্ম করে যারা, আপন অর্থ দোকান, পাণি অর্থ হাত, ভাণ অর্থ সংস্কৃত নাটকবিশেষ, চিক্কণ অর্থ সুপারি গাছ বা স্নিগ্ধ/মসৃণ, নিক্কণ অর্থ ধ্বনি/শব্দ, তূণ অর্থ যাতে বাণ রাখা হয় বা নিষঙ্গ, পিণাক অর্থ ত্রিশূল।
নিম্নক্তো ক্ষেত্রগুলোতে ণ-তত্ত্ব বিধানের নিয়মাবলি খাটে না-
ত-বর্গের (ত, থ, দ, ধ) ধ্বনির সাথে দন্ত্য-ন হয়। যেমন: বৃন্ত, বৃন্দ, গ্রন্থ ইত্যাদি।
বাংলা ক্রিয়াপদের অন্তঃস্থিত দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয় না। যেমন: ধরেন, মারেন, করেন, যাবেন, খাবেন, হবেন, নিবেন, দিবেন ইত্যাদি।
বিদেশী শব্দে দন্ত্য-ন হয়। যেমন: কোরআন, জার্মান, জবান, নিশান, ফরমান, রিপন ইত্যাদি।
পূর্বপদে ঋ, র, ষ থাকলে পরপদে মূর্ধন্য-ণ হয় না। যেমন: মৃগনাভি, দুর্নাম, ত্রিনেত্র, মৃন্ময়।
সমাসবদ্ধ শব্দে ণ-ত্ব বিধান খাটে না। যেমন: ত্রিনয়ন, সর্বনাম ইত্যাদি।
যেসব তৎসম শব্দে ‘ষ’ রয়েছে তা বাংলায় অবিকৃত আছে। তৎসম শব্দের বানানে ষ এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ষত্ব বিধান।
অ, আ বাদে অন্য স্বরধ্বনি, ক ও র- এরপরের প্রত্যয়াদির দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন:
ভবিষ্যৎ (ভ + অ + ব + ই + ষ + …)
পরিষ্কার, আবিষ্কার
মুমূর্ষু
চিকির্ষা (চ + ই + ক + ই + র্ + ষ +…)
অতি, অভি এমন শব্দের শেষে ই-কার উপসর্গ এবং অনু ও সু উপসর্গের পরে কতগুলো ধাতুর দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন:
অতিষ্ঠ
অনুষ্ঠান
নিষেধ
অভিষেক
বিষণ্ন(‘ণ্ন’ মূর্ধ-ণ পরে দন্ত্য-ন)
সুষম ইত্যাদি
ঋ-কারে পরে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন:
ঋষি
কৃষক
বৃর্ষা, বর্ষণ, বৃষ্টি
তৃষ্ণা ইত্যাদি
র-ধ্বনির পরে যদি অ, আ ভিন্ন অন্য ধ্বনি থাকে তবে তার পরে ষ হয়। যেমন: পরিষ্কার, আবিষ্কার। কিন্তু অ,আ থাকলে স হয়। যেমন: পুরস্কার।
নিঃ, দুঃ, বহিঃ, আবিঃ, চতুঃ, প্রাদুঃ এ শব্দগুলোর পর ক্, খ্, প্, ফ্ থাকলে বিসর্গ (ঃ) এর জায়গায় মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: নিঃ + কাম > নিষ্কাম, দুঃ + কর > দুষ্কর, বহিঃ + কার > বহিষ্কার, নিঃ + পাপ > নিষ্পাপ।
ট ও ঠ এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে ষ হয়। যেমন: স্পষ্ট, কাষ্ট ইত্যাদি।
কিছু শব্দ স্বভাবতই মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: আষাঢ়, নিষ্কর, পাষাণ, ষোড়শ ইত্যাদি।
কতগুলো শব্দ বিশেষ নিয়মে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: আষাঢ়, ষোড়শ, আভাষ, অভিলাস, পোষণ, পাষাণ, তোষণ, শোষণ, বিষাণ, সুষুপ্তি, বিষম, বিষয়, দুর্বিষহ, যুধিষ্ঠির ইত্যাদি।
সাৎ প্রত্যয়ের দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ হয় না। যেমন-
· ভূমিসাৎ, ধূলিসাৎ, আকস্মাৎ।
খাঁটি বাংলা ও বিদেশী শব্দে মূর্ধন্য-ষ হয় না। যেমন-
· টেক্স, পুলিশ, জিনিস, মিসর, গ্রিস, স্টেশন, মুসাবিদা।
অঃ বা আঃ থাকলে তার পরে ক্, খ্, প্, ফ্ সন্ধিযুক্ত হলে বিসর্গ (ঃ) এর জায়গায় দন্ত্য-স হয়। যেমন-
· পুরঃ + কার = পুরস্কার, ভাঃ + কর = ভাস্কর, তিরঃ + কার = তিরস্কার, পরঃ+ পর= পরস্পর, স্বতঃ + ফূর্ত= স্বতঃস্ফূর্ত
অঃ বা আঃ থাকলে তার পরে ক্, খ্, প্, ফ্ ছাড়াও ত থাকলেও স হতে পারে। যেমন-
· মনঃ+ তাপ = মনস্তাপ, শিরঃ + ত্রাণ= শিরস্ত্রাণ।
ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান কাকে বলে? উ: ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান বাংলা ব্যাকরণের বিশেষ নিয়ম। বাংলা ভাষার অন্তর্গত শব্দে ণ ও ষ ব্যবহারের যে নিয়ম তাকে যথাক্রমে ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান বলে।
ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়? উ: ধ্বনিতত্ত্বে। কারণ এটি ধ্বনি সম্বন্ধীয় বিষয়।
ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান কোন শব্দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? উ: বাংলা ভাষায় ৫ প্রকার শব্দ রয়েছে। যথা: তৎসম, অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি। এর মধ্যে শুধু তৎসম শব্দের বানানের ক্ষেত্রে ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য।
কোন শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়? উ: তৎসম শব্দ ব্যতিত অন্যান্য শব্দের ক্ষেত্রে ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়।
সূচিপত্র
· অতীত কাল
1. ক্রিয়ার ভাব
পুরুষভেদে ক্রিয়ার রূপের পার্থক্য দেখা যায়। যেমন: আমি যাই। তুমি যাও। আপনি যান।
বচনভেদে ক্রিয়ার রূপের কোনো পার্থক্য হয় না। যেমন: আমি (বা আমরা) যাই। তুমি (বা তোমরা) যাও। তিনি (বা তারা) যান।
সাধারণ, সম্ভ্রমাত্মক, তুচ্ছার্থকভেদে মধ্যম ও নাম পুরুষের ক্রিয়ার রূপের পার্থক্য হয়ে থাকে। তবে উত্তম পুরুষে কোন পার্থক্য হয় না। যেমন: মধ্যম পুরুষের ক্ষেত্রে – তুমি(সাধারণ) যাও, আপনি (সম্ভ্রমাত্মক) যান, তুই(তুচ্ছার্থক) যা ইত্যাদি। নাম পুরুষের ক্ষেত্রে – সে(সাধারণ) যায়, তিনি(সম্ভ্রমাত্মক) যান, এটা(তুচ্ছার্থক) যায় ইত্যাদি।
ক্রিয়ার কাল প্রধানত তিন প্রকার। তবে প্রধান তিন কালকেও আবার ভাগ করা যায়। যথা:
বর্তমান কাল
· সাধারণ বর্তমান বা নিত্যবৃত্ত বর্তমান
· ঘটমান বর্তমান
· পুরাঘটিত বর্তমান
অতীত কাল
· সাধারণ অতীত
· নিত্যবৃত্ত অতীত
· ঘটমান অতীত
· পুরাঘটিত অতীত
ভবিষ্যৎ কাল
· সাধারণ ভবিষ্যৎ
· ঘটমান ভবিষ্যৎ
· পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ
সহজ ভাষায়, যে ক্রিয়া বর্তমানে সংঘটিত হয় তাই বর্তমান কাল। যেমন: আমি ভাত খাই। একে আবার সাধারণ বা নিত্যবৃত্ত, ঘটমান ও পুরাঘটিত বর্তমান কালে ভাগ করা যায়।
সাধারণ বর্তমান বা নিত্যবৃত্ত বর্তমান
যে ক্রিয়া বর্তমানে সাধারণভাবে বা স্বাভাবিকভাবে ঘটে, তার কালকে সাধারণ বর্তমান কাল বলে। যেমন: সে ভাত খায়। আবার সাধারণ বর্তমান কালের ক্রিয়া স্বাভাবিক বা অভ্যস্ততা বোঝালে তাকে নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল বলে। যেমন: সকালে সূর্য ওঠে (স্বাভাবিকতা), সন্ধ্যায় সূর্য অস্ত যায় (স্বাভাবিকতা), দুই আর দুইয়ে চার হয় (স্বাভাবিকতা), আমি রোজ সকালে বেড়াতে যাই (অভ্যস্ততা)।
আরও উদাহরণ-
বাবরের মৃত্যুর পর হুমায়ুন দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। (ঐতিহাসিক বর্তমান)
মহাভারতের কথা অমৃত সমান, কাশীরাম দাস তনে শুনে পুণ্যবান। (কাব্যের ভনিতা)
কে জানে দেশে আবার সুদিন আসবে কি না। (অনিশ্চয়তা প্রকাশে)
বৃষ্টি যদি আসে (বর্তমান কাল), আমি বাড়ি চলে যাব (ভবিষ্যৎ কাল)।
চণ্ডীদাস বলেন, “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।”
এখন তবে আসি।(ভবিষ্যৎ কালের অর্থে)
আমি দেখেছি, বাচ্চাটি রোজ রাতে কাদে। এখানে অতীতের জায়গায় বর্তমান ব্যবহৃত হয়েছে।
তিনি গতকাল হাটে যাননি। এখানে ঘটনা অতীতে ঘটেছে কিন্তু ঘটনার বর্ননা করা হচ্ছে বর্তমান কালে।
ঘটমান বর্তমান কাল
যে ক্রিয়ার দ্বারা বর্তমানে চলমান কাজকে বোঝায় তার কালকে ঘটমান বর্তমান কাল বলে। অর্থ্যাৎ এক্ষেত্রে ক্রিয়ার দ্বারা বর্ণিত কাজটি শেষ হয়নি, এখনও চলছে। যেমন: হাসান বই পড়ছে, নীরা গান গাইছে।
আরও উদাহরণ-
তিনি বললেন, “শত্রুর অত্যাচারে দেশ আজ বিপন্ন, ধন-সম্পদ লুঠিত হচ্ছে, দিকে দিকে আগুন জ্বলছে।”
চিন্তা করো না, কালই আসছি।
পুরাঘটিত বর্তমান কাল
ক্রিয়ার দ্বারা প্রকাশিত কাজটি পূর্বে শেষ হয়ে গেছে কিন্তু তার ফল এখনও বর্তমান আছে এমন বোঝালে ক্রিয়ার কালকে পুরাঘটিত বর্তমান কাল বলা হয়। যেমন: এবার আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি; এতক্ষণ আমি অঙ্ক করেছি।
যে ক্রিয়া দ্বারা অতীতে কোন কাজ সংঘটিত হওয়া বোঝায় তার কালকে অতীত কাল বলে। যেমন: আমি কাজটি করেছিলাম। একে আবার সাধারণ বা নিত্যবৃত্ত, ঘটমান ও পুরাঘটিত অতীত কালে ভাগ করা যায়।
সাধারণ অতীত কাল
বর্তমান কালের পূর্বে যে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, তার সংঘটন কালই সাধারণ অতীত কাল। যেমন: প্রদীপ নিতে গেল। আরও উদাহরণ-
শিকারি পাখিটিকে গুলি করল
এক্ষণে জানিলাম, কুসুমে কীট আছে।
তোমরা যা খুশি কর, আমি বিদায় হলাম।
নিত্যবৃত্ত অতীত কাল
যে ক্রিয়া অতীত কালের সাধারণ অভ্যস্ততা অর্থে ব্যবহৃত হয়, তার কালই নিত্যবৃত্ত অতীত কাল। যেমন: আমরা তখন রোজ সকালে নদী তীরে ভ্রমণ করতাম। আরও উদাহরণ-
ছুটিতে প্রতিবছর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যেতাম।
আজ যদি করিম আসত, কত মজা হত।
দশ হতো যদি একশ দশ
তুমি যদি যেতে, তবে ভালোই হতো।
ঘটমান অতীত কাল: অতীত কালে একটি কাজ চলছিল এবং যে সময়ের কথা বলা হয়েছে, তখনও কাজটি সমাপ্ত হয়নি- ক্রিয়া সংঘটনের এরূপ ভাব বোঝালে ক্রিয়ার ঘটমান অতীত কাল হয়। যেমন: কাল সন্ধ্যায় বৃষ্টি পড়ছিল; আমরা তখন বই পড়ছিলাম; বাবা আমাদের পড়াশুনা দেখছিলেন।
পুরাঘটিত অতীত কাল
যে ক্রিয়া অতীতের বহু পূর্বেই সংঘটিত হয়ে গিয়েছে এবং যার পরে আরও কিছু ঘটনা ঘটে গেছে, তার কালকে পুরাঘটিত অতীত কাল বলা হয়। যেমন: সেবার তাকে সুস্থই দেখেছিলাম। আরও উদাহরণ-
কাজটি কি তুমি করেছিলে?
পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে এক লক্ষ সৈন্য মারা গিয়েছিল।
আমি সমিতিতে সেদিন পীচ টাকা নগদ দিয়েছিলাম ।
বৃষ্টি শেষ হওয়ার পূর্বেই আমরা বাড়ি গৌছেছিলাম।
কাজ পরবর্তীতে হবে এমন ভাব প্রকাশ করলে ক্রিয়ার কালকে ভবিষ্যৎ কাল বলা হয়। যেমন: আমি ভাত খাব।
সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল
যে ক্রিয়া পরে বা অনাগত কালে সংঘটিত হবে, তার কালকে সাধারণ তবিষ্যৎ কাল বলে। যেমন: আমরা মাঠে খেলতে যাব ইত্যাদি। আরও উদাহরণ –
শীঘ্রই বৃষ্টি আসবে
কে জানত, আমার ভাগ্য এমন হবে?
সেদিন কে জানত যে ইউরোপে আবার মহাযুদ্ধের ভেরি বাজবে?
ভাবলাম, তিনি এখন বাড়ি গিয়ে থাকবেন।
তোমরা হয়তো “বিশ্বনবী” পড়ে থাকবে।
ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল
যে কাজ ভবিষ্যৎ কালে চলতে থাকবে তার কালকে ঘটমান ভবিষ্যৎ বলে। যেমন: সুমন হয়তো তখন দেখতে থাকবে। জ্ঞাতব্য : অনেকে ঘটমান ভবিষ্যতের ক্রিয়াপদের রূপ আছে বলে স্বীকার করেন না।
পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল
যে ক্রিয়া সম্ভবত ঘটে গিয়েছে, সাধারণ ভবিষ্যৎ কালবোধক শব্দ ব্যবহার করে তা বোঝাতে পুরাঘটিত তবিষ্যৎ কাল হয়। যেমন: সম্ভবত পরীক্ষার ফল বের হয়ে থাকবে।
ক্রিয়ার ভাব দ্বারা ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার বিভিন্ন রীতি বোঝা যায়। ক্রিয়ার ভাব ৪ প্রকার। যথা-
নির্দেশক ভাব
অনুজ্ঞা ভাব
সাপেক্ষ ভাব
আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব
মূল শব্দ
পারিভাষিক শব্দ
তথ্য
Abeyance
স্থগিতাবস্থা
a state of temporary disuse or suspension.
Abolition
বিলোপ
সিস্টেম, অনুশীলন বা প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করার ক্রিয়া।
Aborginal
আদিবাসী
যেমন Aboriginal Australians বলতে অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন আদিবাসীদের বোঝায়।
Absconder
ফেরারি, পলাতক
Abstract
বিমূর্ত
Abstract এর বেশ কয়েকটি অর্থ আছে। তবে অন্যতম অর্থ বিমূর্ত। শব্দটি দ্বারা চিন্তা বা একটি ধারণা হিসাবে বিদ্যমান কিন্তু কোন গঠনগত অস্তিত্ব নেই এমন কিছুকে বোঝায়। যেমন: abstract concepts বলতে love বা beauty ইত্যাদিকে বোঝায়। অথবা abstract pictures বলতে এমন আর্টকে বোঝায় যা বিমূর্ত।
Adam’s Apple
কণ্ঠমণি
গলার সামনের দিকে একটি অভিক্ষেপ বা শক্ত উঁচু অংশ যা গলার স্বর থাইরয়েড কার্টিলেজ দ্বারা গঠিত। এটি প্রায়শই পুরুষদের মধ্যে দেখা যায়।
Adam’s Ale
পানি
Ale বলতে সাধারণত এক ধরণের মদ বা পানীয়কে বোঝায়। কিন্তু Adam’s Ale বা আদমের এল বলতে পানিকে বোঝায়।
Adhoc
অনানুষ্ঠানিক
যেমন অনেক প্রতিষ্ঠানে Adhoc ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পদগুলো মূলত প্রয়োজনের ভিত্তিতে বা একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়। প্রয়োজন শেষ হলে উক্ত পদের অস্তিত্বও বিলীন হয়ে যায়।
Adjournment
মূলতবি
বিরতি/বিরাম নেওয়া বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
Aesthetics
নন্দনতত্ত্ব
সৌন্দর্য সম্পর্কিত বিষয়াদি।
Affidavit
হলফনামা/শপথপত্র
একটি লিখিত বিবৃতি যা শপথ দ্বারা নিশ্চিতকরণ করা হয়। কোর্টে প্রমাণ হিসাবে এটি ব্যবহার করা হয়।
Agenda
আলোচ্যসূচি
একটি সভায় আলোচিত বিষয়গুলির তালিকা।
Agora
মুক্তাঞ্চল
(প্রাচীন গ্রিকের) সমাবেশ এবং বাজারের জন্য ব্যবহৃত একটি সর্বজনীন খোলা জায়গা।
Acknowledgement
প্রাপ্তিস্বীকারপত্র
কোন কিছুর সত্যতা বা অস্তিত্ব গ্রহণ/স্বীকার।
Allegory
রূপক
একটি গল্প, কবিতা বা ছবি যার একটি লুকানো অর্থ থাকতে পারে বা যাকে ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে লুকানো অর্থ পাওয়া যেতে পারে। সাধারণত অর্থটি একটি নৈতিক বা রাজনৈতিক বিষয়ের সাথে যুক্ত থাকে।
Alias
উপনাম/উরফে
একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির একটি নাম ছাড়াও অন্য আরেকটি নামেও পরিচিত বা অধিক পরিচিত তা নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
Alibi
ওজর
যেকোন ওজর হতে পারে। তবে সাধরণত Alibi দ্বারা একটি দাবি বা প্রমাণের অংশ বোঝায় যা অপরাধমূলক ঘটনার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না এই মর্মে আর্জি বা নিবেদন করে।
Amazon
নারী সৈনিক
খুব লম্বা এবং শক্তিশালী বা athletic মহিলা (মর্দানি মেয়ে)।
Amendment
সংশোধনী
যেমন সংবিধানের দ্বাদশ Amendment (সংশধনী)।
Amplification
পরিবর্ধন
গল্প বা বিবৃতিতে বিস্তারিত যুক্ত করে আকার/আকৃতি বাড়ানোর প্রক্রিয়া অথবা (অ্যাম্লিফায়ার ব্যবহার করে) শব্দের পরিমাণ/তীব্রতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া
Annotation
টীকা
কোন ব্যাখ্যা বা মন্তব্য সংবলিত একটি নোট।
Ancestor
পূর্বপুরুষ
a person, typically one more remote than a grandparent, from whom one is descended.
Anonymous
বেনামী
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন।
Annexure
ক্রোড়পত্র
একটি লিখিত নথির পরিশিষ্ট।
Appendix
পরিশিষ্ঠ
একটি বই বা নথির শেষে একটি সাবসিডিয়ারি বিষয়ের বিভাগ বা টেবিল।
Archives
মহাফেজখানা
তথ্য সরবরাহকারী (সাধারণত ঐতিহাসিক) দলিল বা রেকর্ডের সংগ্রহ।
Asylum
আশ্রয়
Archetype
আদিরূপ
সাহিত্য, শিল্প বা পুরাণের একটি প্রতীক বা মোটিফ (সাধারণত প্রত্নতত্ত্ববিষয়ক)।
Architech
স্থপতি
Article
অনুচ্ছেদ
Attested
সত্যায়িত
Autograph
স্বলেখন
Autonomous
স্বায়ত্তশাসিত
নিজের শাসন বা নিজের বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করার স্বাধীনতা অর্জন করেছে যে প্রতিষ্ঠান বা অঞ্চল।
Balance sheet
স্থিতিপত্র
Ballad
গীতিকা
Barren
ঊষর
ফসল হয় না এমন জমি।
Basin
অববাহিকা
একটি বৃত্তাকার বা ডিম্বাকৃতি উপত্যকা বা পৃথিবীর উপরিভাগে প্রাকৃতিক নিচু জায়গা যা জল ধারণকারী।
Bill
মূল্যপত্র
Bloc
শক্তিজোট/জোট
Blockade
অবরোধ
Blue Print
নকশা/প্রতিচিত্র/নীল নকশা
Bulletin
জ্ঞাপনপত্র
সংক্ষিপ্ত সরকারি বিবৃতি বা সংবাদের সংক্ষিপ্তসার।
Bullock
বৃষ
বৃষ অর্থ ষাড়।
Booklet
পুস্তিকা
ক্ষুদ্র পুস্তককে পুস্তিকা বলে।
Book Post
খোলাডাক
Bribe
ঘুষ
By election
উপনির্বাচন
By product
উপজাত
By heart
মুখস্ত করা
Cartoon
ব্যঙ্গচিত্র
Campaign
প্রচারাভিযান
Canvass
ভোট চাওয়া
Casual
নৈমিত্তিক/অনিয়মিত
Cease fire
অস্ত্র সংবরণ/যুদ্ধ বিরোতি
যুদ্ধের সাময়িক স্থগিতাদেশ
Corona
পুষ্পমুকুট
Charter
সনদ
দেশের সার্বভৌম বা আইনী ক্ষমতা দ্বারা লিখিত অনুমতি, সাধারণত যার দ্বারা শহর, কোম্পানি বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তার অধিকার ও বিশেষাধিকার সংজ্ঞায়িত করা হয়।
Circular
পরিপত্র
Civil War
গৃহযুদ্ধ
Climax
মহামুহূর্ত
কোন কিছুর সবচেয়ে তীব্র, উত্তেজনাপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
Compound Interest
চক্রবৃদ্ধি সুদ
Conduct
আচরণ
Context
প্রসঙ্গ
Concoct
বানিয়ে বলা
Constipation
কোষ্ঠ কাঠিন্য
Constituency
নির্বাচনী এলাকা
Consul
বাণিজ্য দূত
an official appointed by a state to live in a foreign city and protect the state’s citizens and interests there.
Consultant
উপদেষ্টা
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে/যারা পেশাদার পরামর্শ প্রদান করেন।
Co-opted
সহযোজিত
যেমন বিদ্যমান সদস্যদের আমন্ত্রণ দ্বারা একটি কমিটি বা সংস্থার সদস্যপদে কাউকে সংযুক্ত/সহযোজন করা।
Corrigendum
শুদ্ধিপত্র
ত্রুটি সংশোধন করার নথি। যেমন একটি মুদ্রিত বইয়ের ত্রুটিগুলো।
Cosmic
মহাজাগতিক
Curtail
সংক্ষিপ্ত করা
Custom
প্রথা
Customs
শুল্ক
Dead letter
নির্লক্ষ্য পত্র
একটি আইন বা চুক্তি যা বাতিল করা হয়নি কিন্তু কার্যত অকার্যকর বা অনুপস্থিত।
Deed
দলিল
Delegate
প্রতিনিধি
Demonstrator
প্রদর্শক
একজন ব্যক্তি যিনি দেখান কিভাবে একটি যন্ত্রপাতি কাজ করে অথবা কিভাবে একটি দক্ষতা বা নৈপুণ্য সঞ্চালিত হয়।
Deputation
প্রেষণ
সাধারণত কোন গোষ্ঠীর পক্ষে একটি মিশন বা একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে নিযুক্ত (সাধারণত অস্থায়ীভাবে) ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের দল।
Dialect
উপভাষা
a particular form of a language which is peculiar to a specific region or social group.
Directorate
পরিদপ্তর
Diploma
উপাধিপত্র
Diplomat
কূটনীতিক
Epic
মহাকাব্য
Episode
উপকাহিনী
Etiquette
শিষ্ঠাচার
সমাজে বা একটি বিশেষ পেশা বা গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে ভদ্র আচরণের প্রথাগত রীতি।
Endorsement
সত্যায়ন
Enterprise
উদ্যোগ
Ethics
নীতিবিদ্যা
Executive
নির্বাহী
Excise duty
আবগারি শুল্ক
দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত দ্রব্যের ওপর আরোপিত কর।
Fiction
কথাসাহিত্য
Fiction describes imaginary events and people.
Fiend
শয়তান
Fiscal policy
রাজস্বনীতি
Foe
শত্রু
Forgery
জালিয়াতি
Genocide
গণহত্যা
Gist
সারমর্ম
Glossary
টীকাপঞ্জি
Good will
সুনাম
Graphic
রৈখিক
Gratuity
পরিতোষিক
চাকরির মেয়াদ শেষে কর্মচারীকে দেওয়া অর্থ।
Handy
ব্যবহারে সুবিধাজনক
Handicraft
হস্তশিল্প
Hand out
জ্ঞাপনপত্র
a piece of printed information provided free of charge, especially to accompany a lecture or advertise something.
Heavenly body
জ্যোতিস্ক
High tide
জোয়ার
Hierarchy
আধিপত্য পরম্পরা
a system in which members of an organization or society are ranked according to relative status or authority.
Honorary
অবৈতনিক
স্বাভাবিক কার্যাবলী ছাড়াই সম্মান হিসাবে প্রদান করা পদ বা দায়িত্ব (সাধারণত বেতন ছাড়া)।
Horoscope
কোষ্ঠী
Hybrid
সংকর
Hydrogen
উদযান
Hygiene
স্বাস্থ্যবিদ্যা
Idiolect
ব্যক্তিভাষা
Idiolect is the speech habits peculiar to a particular person. (ব্যক্তিবিশেষের নিজস্ব ভাষারীতি)
Index
নির্ঘণ্ট, সূচক
Intellectual
বুদ্ধিজীবী
Insomnia
অনিদ্রা
Invoice
চালান
Invigilator
প্রত্যবেক্ষক
Isolation
বিচ্ছিন্ন
Journal
পত্রিকা
Juvenile
কিশোর
Key-note
মূলভাব
Knave
প্রতারক
Knight
সম্ভ্রান্ত বংশীয়
Kinship
জ্ঞাতিসম্পর্ক
blood relationship.
Kinsman
জ্ঞাতি
Laissez faire
অবাধনীতি
Latitude
অক্ষাংশ
Latter of credit
স্বীকৃতিপত্র
Leap-year
অধিবর্ষ
License
অনুজ্ঞাপত্র
Longitude
দ্রাঘিমাংশ
Manifesto
ইসতেহার
a public declaration of policy and aims, especially one issued before an election by a political party or candidate.
Manuscript
পাণ্ডুলিপি
a book, document, or piece of music written by hand rather than typed or printed.
Mortgage
বন্ধক
Midwife
ধাত্রী
Millennium
সহস্রাব্দ
Meteor
উল্কা
Memorandum
স্মারকলিপি
Malafide
অসদবুদ্ধি
Mobile Court
ভ্রাম্যমাণ আদালত
Mint
টাকশাল
a place where money is coined, especially under state authority.
Nautical
নৌ
Nomads
যাযাবর
Notification
প্রজ্ঞাপন
Non co-operation
অসহযোগ
North Star
ধ্রুবতারা
Obligatory
বাধ্যতামূলক
Octroi duty
নগর শুল্ক
Ombudsman
ন্যায়পাল
Ordnance
সমরাস্ত্র
Ordinance
অধ্যাদেশ
Oxygen
অম্লজান
Pamphlet
পুস্তিকা
Postage
ডাকমাশুল
Pen-name
ছদ্মনাম
Prominant
উল্লেখযোগ্য, বিশিষ্ট
Plaza
চত্বর
Preface
ভূমিকা
Profile
পার্শ্বচিত্র
Prologue
ভূমিকা
Portfolio
দপ্তর
Quarterly
ত্রৈমাসিক
Quotation
মূল্যজ্ঞাপন
a formal statement setting out the estimated cost for a particular job or service.
Revenue
রাজস্ব
Riot
দাঙ্গা
Skeleton
কঙ্কাল
Subconscious
অবচেতন
Summons
আহ্বানপত্র
an order to appear before a judge or magistrate, or the writ containing such an order.
Superstition
কুসংস্কার
Successor
উত্তরাধিকার
Surgeon
শল্য চিকিৎসক
Tenancy
প্রজাস্বত্ব
possession of land or property as a tenant.
Traffic
শুল্ক
Transliteration
প্রতিবর্ণীকরণ
Virile
পুরুষোচিত
Whrilpool
ঘূর্ণি
Wisdom
প্রজ্ঞা
Quarantine
সঙ্গরোধ
ü চোখ সম্পর্কিত
অক্ষির সমীপে = সমক্ষ
অক্ষির অভিমুখে = প্রত্যক্ষ
অক্ষির অগোচরে = পরক্ষ
চোখের কোণ = অপাঙ্গ
অক্ষি পত্রের লোম (চোখের লোম) = অক্ষিপক্ষ্ম
চক্ষুর সামনে সংঘটিত = চাক্ষুষ
চোখে দেখা যায় এমন = চক্ষুগোচর
চোখের নিমেষ না ফেলিয়া = অনিমেষ
পুণ্ডরীক্ষের (পদ্ম) ন্যায় অক্ষি যার = পুণ্ডরীকাক্ষ
ü বছর পূর্তি
পঁচিশ বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব = রজত জয়ন্তী
পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব = সুবর্ণ জয়ন্তী
ষাট বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব = হীরক জয়ন্তী
একশত পঞ্চাশ বছর = সার্ধশতবর্ষ
প্রতি সপ্তাহে তিন দিন = বারত্রয়িক
ü ডাক
সিংহের নাদ/ডাক = হুঙ্কার
বাঘের ডাক = গর্জন।
রাজহাসের কর্কশ ডাক = ক্রেঙ্কার
ময়ূরের ডাক = কেকা
হাতির ডাক = বৃংহণ / বৃংহতি
কুকুরের ডাক = বুক্কন
অশ্বের ডাক = হ্রেষা
গাধার ডাক = রাসভ
মোরগের ডাক = শকুনিবাদ
পেঁচা বা উলূকের ডাক = ঘূৎকার
বিহঙ্গের ডাক/ধ্বনি=কূজন/কাকলি
ধ্বনি/শব্দ
ধনুকের ধ্বনি = টঙ্কার
ভ্রমরের শব্দ = গুঞ্জন
সমুদ্রের ঢেউ = ঊর্মি
সুমদ্রের ঢেউয়ের শব্দ = কল্লোল
অসির শব্দ = ঝঞ্জনা
নূপুরের ধ্বনি = নিক্বণ
অলঙ্কারের ধ্বনি = শিঞ্জন
গম্ভীর ধ্বনি=মন্দ্র
আনন্দজনক ধ্বনি = নন্দিঘোষ
মেঘের ধ্বনি = জীমূতমন্ত্র
অতি উচ্চ ধ্বনি = মহানাদ
তোপের ধ্বনি = গুড়ুম
কঠিন
যাহা সহজে লঙ্ঘন করা যায় না = দুলঙ্ঘ্য
যাহা সহজে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না = দুস্তর
যা শুনলে দুঃখ দূর হয় = দুঃশ্রব
ইচ্ছা সম্পর্কিত
জানবার ইচ্ছা = জিঞ্জাসা
সৃষ্টি করার ইচ্ছা = সিসৃক্ষা
দেখবার ইচ্ছা = দিদৃক্ষা
সেবা করার ইচ্ছা = শুশ্রূষা
লাভ করার ইচ্ছা = লিপ্সা
পাওয়ার ইচ্ছা = ঈপ্সা
পান করার ইচ্ছা = পিপাসা
নিন্দা করার ইচ্ছা = জুগুপ্সা
হনন করবার ইচ্ছা = জিঘাংসা
জয় করার ইচ্ছা = জিগীষা
বিজয় লাভের ইচ্ছা=বিজিগীষা
বেঁচে থাকার ইচ্ছা = জিজীবিষা
গমন করার ইচ্ছা = জিগমিষা
ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা = তিতীর্ষা
করার ইচ্ছা = চিকীর্ষা
ক্ষমা করার ইচ্ছা = চিক্ষমিষা/তিতিক্ষা
হিত করার ইচ্ছা = হিতৈষা
মুক্তি পাওয়ার/পেতে ইচ্ছা = মুমুক্ষা
প্রবেশ করার ইচ্ছা = বিবক্ষা
ভোজন করার ইচ্ছা = বুভুক্ষা
রমণ বা সঙ্গমের ইচ্ছা = রিরংসা
রোদন করার ইচ্ছা = রুরুদিষা
বমন করিবার ইচ্ছা = বিবমিষা
দান করার ইচ্ছা = দিৎসা
বাস করার ইচ্ছা = বিবৎসা
প্রতিবিধান করার ইচ্ছা = প্রতিবিধিৎসা
অন্বেষণ করার ইচ্ছা = অন্বেষা
খাওয়ার ইচ্ছা = ক্ষুধা
প্রাণী সম্পর্কিত
বাঘের চর্ম = কৃত্তি
হরিণের চর্ম = অজিন
হাতির শাবক = করভ
সাপের খোলস = নির্মোক, কঞ্চুক
ভূজের সাহায্যে চলে যে = ভুজগ, ভুজঙ্গ (সাপ); পা দিয়ে চলে না যে = পন্নগ (সাপ); উরস দিয়ে হাঁটে যে = উরগ (সাপ)।
যা বুকে হাঁটে = সরীসৃপ।
লাফিয়ে চলে যে = প্লবগ (ব্যাঙ, বানর)
ত্বরিত গমন করতে পারে যে = তুরগ (ঘোড়া)
বিহায়সে (আকাশে) বিচরণ করে যে = বিহগ, বিহঙ্গ
যে আকাশে চরে = খেচর।
পরকে পালন করে যে = পরভৃৎ (কাক)
পরের দ্বারা প্রতিপালিত যে = পরভৃত (কোকিল)
যার দুটি মাত্র দাঁত = দ্বিরদ (হাতি)
বাতাসে চরে যে = কপোত
যে বন হিংস্র জীবজন্তুতে পরিপূর্ণ = শ্বাপদসংকুল
প্রাণিদেহ থেকে লব্ধ = প্রাণিজ
যে গাভী প্রসবও করে না, দুধও দেয় না = গোবশা
মধু সংগ্রহকারী পতঙ্গ বিশেষ = মৌমাছি
গবাদি পশুর চর্বিত চর্বণ = জাবর
বস্তু/স্থান সম্পর্কিত
যার চারদিকে জল = দ্বীপ
যার চারদিকে স্থল = হ্রদ
যে গমন করে না = নগ (পাহাড়)
যে জমিতে ফসল জন্মায় না = ঊষর
উচ্চস্থানে অবস্থিত ক্ষুদ্র কুটির = টঙ্গি
যেখানে মৃত জীবজন্তু ফেলা হয় = ভাগাড় / উপশল্য
ঐতিহাসিককালেরও আগের = প্রাগৈতিহাসিক
জলবহুল স্থান = অনুপ,জলা
তৃণাচ্ছাদিত ভূমি = শাদ্বল
নিচের লিংকে ক্লিক করে পদার্থবিজ্ঞান সকল অধ্যায়ের লেকচার পড়ে নিন।
https://edpdu.com/bn/node/2657
‘বাংলা’ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার একটি আপাত গুরুত্বহীন কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ‘খ’ ইউনিট ছাড়া অন্য কোনো ইউনিটেই বাংলার প্রশ্ন তেমন কঠিন হয় না। বরং বাংলায় সবাই-ই ভালো স্কোর করতে পারে। কিন্তু বাংলার গুরুত্ব এখানেই যে, বাংলায় কারো স্কোর কমে গেলে সেটাই তার ব্যর্থতার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। তাই বাংলা নিয়ে যত্নবান হওয়া জরুরি।
edpdbd-তে বাংলা পড়ার আগে এটা মাথায় রাখা জরুরি, বাংলা থেকে ব্যাকরণভিত্তিক যেরকম প্রশ্ন আসে, তেমনি বাংলা গদ্য ও কবিতা থেকেও অনেক প্রশ্ন আসে। আর সেগুলোর উত্তর দেয়ার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সংকলন (মাধ্যমিক বা HSC-র বাংলা ১ম পত্র বই) পড়ার কোনো বিকল্প নেই। edpdbd-র ‘বাংলা’য় গদ্য ও কবিতার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, চরণ, বাক্য, কোটেশন, শব্দার্থ ও টীকাসহ আরো অনেক কিছু রাখা হলেও মূল পাঠ্য গদ্য ও কবিতাগুলো বারবার পড়ে আত্মস্থ করা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি মূল বইয়ের পাঠ পরিচিতি ও লেখক পরিচিতিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে edpdbd-তে এখান থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যান্য তথ্য সংকলিত করা হয়েছে।
ইংরেজীঃ ২০
বাক্যে subject যদি 3rd person হয় তাহলে verb-এরসাথে s বা es যোগ করতে হয়। এটাই হল subject verb agreement-এর মুল নিয়ম। কিন্তু পরীক্ষায় subject এবং verb এমন ভাবে দেয়া থাকে যে বুঝতে খুব অসুবিধা হয়।
যেমন: His grasp of many areas of radio and television technology makes/make it easy for him to find a job. এই বাক্যে verb খুব সহজে বোঝা গেলেও subject বের করতে বেশ সমস্যা হয়। এই বাক্যে subject হল his grasp একটি singular subject তাই verb হবে makes. এখানে subject এবং verbএর মধ্যে একটি prepositional phrase (of many areas in radio and television technology) আছে তাই subject বুঝতে সমস্যা হয়।
নিচে subject verb agreement-এর কিছু নিয়ম দেয়া হল।
Subject এবং verb এর মাঝে prepositional phrase আসলে তা verb-এর ওপর কোন প্রভাব ফেলে না।
Prepositional phrase সাধারণত একটি preposition দিয়ে সুরু হয় এবং একটি noun দিয়ে শেষ হয়। ওপরের বাক্যে at=preposition এবং technology= noun.
Either….or, neither….nor, not only….but also ইত্যাদি থাকলে সবচে কাছের subject অনুযায়ী verb হবে। যেমন: neither john nor his brothers have done this. এখানে verb have হয়েছে কারণ সবচে কাছের subject-টি (his brothers) plural.
Collective noun-এর (army, jury, and committee) পর সাধারণত verb-এর main form বসে। যেমন: the jury agrees on the verdict.
তবে যদি সবাই কোন কাজ একসাথে না করে আলাদা আলাদা ভাবে করে তাহলে verb-এর সাথে s বা es যোগ করতে হবে না। যেমন: the jury disagree on the verdict. এখানে disagree করার কারণে দলটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। তাই এখানে verb-এর সাথে s বা es যোগ হয় নি।
–ics দিয়ে শেষ হয় এমন শব্দ গুলো যদি কোন বিষয় এর নাম বোঝায় তাহলে তার পর verb এর singular form হয়। যেমন: economics is my favorite subject.
The number-এর পর singular verb হয় এবং a number-এর পর plural verb হয়। যেমন: a number of students fail every year.
The number of students who pass is increasing.
Each, every, somebody, everybody, anybody, nobody এই pronoun-গুলর পর singular verb হয়। যেমন: everybody wants to study in Dhaka university.
কখনো কখনোSubject এবং verb-এর মাঝে Along with…., together with……. আসতে পারে। কিন্তু verb subject-এর person অনুযায়ী হবে। যেমন: john along with his friends is going to the cinema. এখানে verb-এর আগে plural noun থাকলেও subject (john) অনুযায়ী singular verb হয়েছে।
বাক্যে countable noun ব্যবহার হলেই তার সামনে একটা শব্দ বসে যে শব্দটা ঐ nounএর সংখ্যা নির্দেশ করে। nounটা singular হলে সাধারণতঃ বসে a, an অথবা the।
এ কথাটা মনে রাখা জরুরি যে countable noun থাকলেই সংখ্যাবাচক শব্দ থাকবে,কারণ এটার উপর ভিত্তি করে ভর্তি পরীক্ষায় অনেক প্রশ্ন আসে। এই প্রশ্নটা দেখুনঃ
I will return to you ________. (DU D-Unit 2010-11)
Within quarter of hour
Within the quarter of hour
Within a quarter of an hour
Within quarter of the hour
এই প্রশ্নের উত্তর হল c।
আবার uncountable noun হলেও সেটার সামনে পরিমাণ (কম, বেশি) বোঝাতে শব্দ বসতে পারে । এসব শব্দ মিলেই determiners । এ শব্দগুলো মূলতঃ একধরণের adjective ।
THE
The শব্দটি determinerগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই শব্দটি proper nounএর সাথেও যুক্ত হয়। এ সংক্রান্ত কিছু নিয়ম নিচে দেয়া হলঃ
সাগর, নদী, পাহাড়ের নামঃ
The Pacific, The Ganges, The Himalayas
ব্যতিক্রম: লেকের নামঃ
Kaptai Lake
স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় যখন of দিয়ে হয়ঃ
The University of Dhaka
ব্যতিক্রম: যখন নিজস্ব নাম দিয়ে শুরু হয়ঃ
Northsouth University
দেশের নামের ক্ষেত্রে শুধু যেগুলো united দিয়ে শুরু বা republic আছে সেগুলোর আগে the বসবে।
The United States of America, the Czech Republic. আবার the democratic republic of Bangladesh ঠিক কিন্তু the Bangladesh ভুল।
A এবং AN
একটা বাক্যে প্রথমবারের মত কিছু বা কাউকে উল্লেখ করা হলে (noun) তার আগে aঅথবা an বসে। দু'টো শব্দেরই অর্থ একটি (one)।
অ, আ, অ্যা, ই, এ, ও – এগুলো ধ্বনি দিযে য়েসব শব্দ শুরু হয তাদের আগে an বসে।
An orphan (অরফান) An umbrella (আমব্রেলা) An hour (আওযার) An apple (অ্যাপল) An insult (ইনসাল্ট) An ape (এপ) An oar (ওর)
লক্ষ্যণীয় যে H দিয়ে শুরু কিছু শব্দে H উচ্চারিত হয়না। যেমন:
hour, heir, herbal, honour, honest
এগুলোর আগেও an বসবে।
সকল consonant এবং 'ইউ' এবং 'ওয়া' ধ্বনি দিযে যেসব শব্দ শুরু তাদের আগে a বসে।
A house A boy A chicken
'ইউ' ধ্বনি দিযে শুরু শব্দ:
European, eulogy, euphemism, eucalyptus, ewe, uniform, university, universal, union, unicorn, useful + noun
'ওয়া' ধ্বনি দিযে শুরু শব্দ:
One (শব্দটা নিজে noun না হলেও countable nounএর অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন: one-taka note)
OTHER
এ শব্দটি বিভিন্ন রূপে অনেকটা the এবং a এর মত ব্যবহৃত হয়।
SOME, ANY
কিছু, কয়েকজন, কয়েকটা - এরকম বোঝাতে countable noun -এর আগে এই দু'টি শব্দ ব্যবহার হয়। Some ব্যবহার হয় হ্যাঁ-বাচক অর্থে আর না-বাচক এবং প্রশ্নবাচক অর্থে Any ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ
- Do you have any eggs?
Ans: Yes, I have some eggs in the fridge. / No, I don't have any eggs.
MUCH, MANY, A LOT OF, PLENTY
চারটা শব্দের অর্থই অনেক। এদের মধ্যে much uncountable noun এর সামনে বসে।
The jug does not have much water.
Many flowers have bloomed.
A lot of boys are wearing these pants now-a-days.
I have plenty of shirts.
FEW, A FEW, LITLE, A LITTLE
এই চারটা শব্দের অর্থ হল অল্প, সামান্য । few এবং a few বসে countable noun এর সামনে আর little এবং a little বসে uncountable noun এর সামনে।
Few men are capable of going through this pain.
A few bad apples may spoil the bunch.
ONE, NO
one যখন একটি অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং no যখন কোনটাই নয় এই অর্থে ব্যবহৃত হয় তখন এগুলো determiner। দুটি শব্দই singular countable noun এর আগে বসবে।
I met one Fred Miller in New York.
No boy in the class would volunteer for the work.
SOME MORE, A FEW MORE, A LITTLE MORE, MUCH MORE, MANY MORE
Translationএর প্রশ্নগুলো অনেকটা correct sentence এর প্রশ্নের মত। একই বাক্যের চারটা রকমফের দেয়া থাকবে, যেগুলোর থেকে সঠিকটা বের করতে হবে।
নির্দিষ্ট কোন নিয়ম না থাকলেও কিছু জিনিস মনে রাখলে translationটা সহজ হতে পারে।
‘সে বন্দুক তাক করতে না করতেই পাখিটি উড়ে গেল’ — সঠিক অনুবাদ কি হবে?
As soon as he aimed at the bird than it flew away.
No sooner had he aimed at the bird than it flew away.
The bird flew away before he aimed at the bird.
The bird flew away no sooner he aimed at the bird.
এই অনুবাদটার পুরোটাই ‘no sooner — than’ — এই conjunctionটির উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। তাই বাংলা বাক্যে ঐ key word বা phrase টি চিহ্নিত করতে পারলে এবং তার সমার্থক ইংরেজি word বা phrase টির ব্যবহার জানলে প্রশ্নটা উত্তর করা যাবে।
২. Verb form. বাংলার কোন Verb form এর সাথে ইংরেজি কোন Verb form মেলে তার একটা মোটামুটি তালিকা নিচে দেয়া হল। (‘করি’ বা ‘do’ verb দিয়ে)
৩. কিছু শব্দ ভাষান্তর হবার সময় বচন পরিবর্তন হয়।
A Unit 2001-02
22. যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো?
A. I can go, but why shall go?
B. I may go, but why I will go?
C. I can go, but why should I?
D. I can go, but why do I?
23. আমি তার কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম।
A. I was thundered to hear his words
B. I was surprise to hear his words
C. I surprised to hear his words
D. I was stunned to hear his words.
A Unit 2002-03
23. সেই কনকনে শীতে আমি কাঁপিতে লাগিলাম
a. I began trembling in that biting cold
b. The trembling of me began in that biting cold
c. I began to tremble in that biting cold
d. I was trembling in that terrible coldness.
24. তিনি রাগে গরগর করছেন
a. He is burning with anger
b. He is shouting in rage
c. He is bursting into anger
d. He is boiling with rage.
Translation
গত রাতে তোমার ভাল ঘুম হয়েছে
You had a sound sleep at last night
তুমি কি এ বছর পরীক্ষা দিবে?
Will you sit for the examination this year?
বাজারে আমার বইয়ের দারুন কাটতি
My books sell like hot cakes
শিশুটি নাচতে নাচতে মায়ের কাছে গেল
The child went to the mother dancing
তোমার বড় ভাই আমার ভাইয়ের চেয়ে বড়
Your elder brother is older than my brother
আমি ঘর থেকে আসতে না আসতেই বৃষ্টি শুরু হল
No sooner had I got out of the house than it began to rain
ভদ্রলোকের সুদিন ছিল বলে মনে হয়
The gentleman seems to have seen better days
হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছ কেন?
Why do you stand foolishly?
কয়লা শত ধুইলেও ময়লা যায় না
Black will take no other hue.
সে এসেছিল বন্ধু বেশে
He came in the guise of a friend
সবার সাথে খাপ খাইয়ে চলা কত না কঠিন
How difficult is to adjust with all!
দুই ঘন্টা ধরে মুশল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে
It has been raining cats and dogs for two hours
তিলকে তাল করা
To make a mountain of a mole hill.
আমরা নিরক্ষতার অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই
We want get rid of the course of illiteracy
মানুষ মৃত্যুকে এড়াতে পারে না
Man cannot avoid death
তার কথায় আমি না হেসে পারলাম না
I could not but laugh at his words
জুরিগণ ভিন্নমত পোষণ করলেন
The Jury were divided in their opinions
শরতের চাঁদ কি সুন্দর
How beautiful the autumn moon is!
সুখ আত্মতুষ্টির উপর নির্ভরশীল
Happiness consists of self contentment
শিশুটি কথা বলতে জানে না
The child does not know how to speak
সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে
It has been drizzling since morning
সে না যাওয়া পর্যন্ত আমি যাব না
I will not go until he leaves
সংসারে তার মা ছড়া কেউ নেই
He has none but mother in the world
গুজবটি সম্পূর্ণ মিথ্যা
The rumor is quite false
সে সুযোগ টি গ্রহণ করতে পারল না
He could not avail himself of the opportunity
সে ও তুমি উভয়েই সমান দোষী
Both you and he are equally guilty
সে ভয়ে থরথর করে কাঁপতেছিল
He was trembling in fear
আকাশে গুড় গুড় শব্দ হইতেছিল
There was a rumbling noise in the sky
নানা মুনির নানা মত
Many men, many minds
চকচক করলেই সোনা হয় না
All that glitters is not gold
কাল তেমন গরম ছিল না
It was not so hot yesterday
এখন চারটা বেজে পনের মিনিট
It is fifteen minutes past four
মেয়েটি কি রাঁধতে জানে
Does not the girl know how to cook?
সূর্য কি আমাদের কিরণ দেয় না
Does not the sun give us light?
তিনি আতি কষ্টে তার সংসার চালান
He maintains his family in great hardship
অপমানের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়
Death is preferable to dishonor
আমরা শান্তি চাই , যুদ্ধ চাই না
We want peace, not war
তিনি নরম প্রকৃতির লোক
He is a man of mild nature
দুঃসংবাদ বাতাসের আগে যায়
Ill news runs apace
এক মুখে দুই কথা বলিও না
Do not blow hot and cold in the same breath
স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার
Freedom is man’s birth right
অতীতের জন্য দুঃখ করো না
Don’t regret for the past
লোকটিকে একজন বিদ্যান বলে মনে হয়
The man seems to be a learned person
গরিবেরা কষ্টের জন্যই জন্মায়
The poor are born to suffer
আবার যদি আমরা শিশু হতাম
Would that I were a child again!
আমি এখন অভাবগ্রস্ত
I m hard up now
এক কথায় বল কি চাও?
Tell me in a word what you want?
তোমার এখন কেমন লাগছে
How do you feel now?
বাতি নিভানোর পর সে শুয়ে পড়ল
He went to bed after put out the light?
সে অংকে কাঁচা
He is weak in mathematics.
Noun (বিশেষ্য) হলো নাম। যেকোন জিনিসের নাম। এটা আমরা সবাই জানি। ব্যবহারিক প্রয়োগের জন্য মূলতঃ nounর যে বিষয়টি আপনাকে জানতে হবে তা হলো সেই জিনিসটা গোনা যায় কি যায় না (countable or uncountable) । এর উপর ভিত্তি করে দু’টো ঘটনা ঘটে।
১. Noun টা singular হবে না plural হবে সেটা ঠিক করা হয়।
কোন nounটা countable হবে আর কোনটা uncountable, এ সম্পর্কিত কতগুলা নিয়ম আমরা ছোটবেলা থেকেই পড়ে আসছি। সেগুলো হলোঃ
১। যেগুলো গোনা যায় সেগুলো যেমন কোন বস্তু, ব্যক্তি বা প্রাণী countable।
২। কিছু বস্তু গোনা যায়না, যেমন পানি, চাল, আকাশ। এগুলো uncountable। মনে রাখতে হবে :
uncountable বস্তুগুলোর কিন্তু পাত্রটা সবসময় countable, যেমন two glasses of water, four bags of rice।
আবার uncountable গুলোর যেকোন আলাদা অবস্থা বুঝালেও countable হয়ে যেতে পারে, যেমন a cloudy sky, a strong wind।
লক্ষ্য রাখতে হবে article কার জন্য বসছে। an economics student এর an কিন্তু student এর জন্য, economics এর জন্য নয়।
Article বা determiner একটা বিস্তারিত বিষয় তাই এটা আমরা আলাদা আলোচনা করব।
Countable noun এর দুইটি রুপ হয়, একটা singular, যা দিয়ে একটি জিনিস বোঝায়, আর plural, যা দিয়ে একের বেশি জিনিস বোঝায়। অধিকাংশ পরিচিত countable noun কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে singular থেকে plural করা যায়। সাধারণ পদ্ধতিটা হল noun-এর singular রুপটার পেছনে একটা s বসিয়ে দিলেই সেটা plural হয়ে যায়। যেমন :
book-books cat-cats pen-pens chair-chairs girl-girls ball-balls
তবে কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে singular থেকে plural করা হয় :
১। শুধু s যোগ হয়ঃ
Noun -এর শেষে y এবং তার আগের অক্ষরটি vowel হলে।
Boy-boys day-days monkey-monkeys
Noun-এর শেষে o থাকলে এবং তার আগে তার আগের অক্ষরটি vowel হলে।
Radio-radios bamboo-bamboos
২। es যোগ হয়ঃ
noun-এর শেষে s, sh, ch, x ও z থাকলে।
glass-glasses bush-bushes branch-branches fox-foxes
noun -এর শেষে o এবং তার আগের অক্ষরটি consonant হলে।
mango-mangoes buffalo-buffaloes hero-heroes
noun -এর শেষে y এবং তার আগের অক্ষরটি consonant হলে y বের করে দিয়ে es যোগ হয়।
Lady-ladies story-stories family-families
৩। noun-এর শেষে f অথবা fe থাকলে সেগুলো ফেলে দিয়ে ves যোগ হয়।
Leaf-leaves knife-knives
৪। কিছু nounএর singular আর plural একই। এদের একটা তালিকা নিচে রয়েছে, পড়ে দেখুন অপরিচিত কোন nounআছে কিনা।
sheep, deer, salmon, aircraft, pair, dozen, gross, series, species, hundred, thousand
৫। কিছু শুধু plural হয়, যেমন:
scissors, glasses, spectacles, trousers, drawers, jeans, pajamas, thanks, proceeds, assets, tidings, earnings, dues
৬। কিছু noun দেখে plural মনে হলেও আসলে তারা singular। যেমন:
mathematics, physics, electronics, measles, mumps, innings, news
৭। গ্রীক ভাষা থেকে ইংরেজিতে আসা কিছু noun গ্রীক ভাষার নিয়মেই singular থেকে plural হয়:
axis – axes, crisis – crises, basis – bases, analysis – analyses, parenthesis – parentheses, hypothesis – hypotheses, basis – bases, phenomenon – phenomena, analysis – analyses, criterion – criteria
৭। আবার লাটিন ভাষা থেকে ইংরেজিতে আসা কিছু nounও লাটিন ভাষার নিয়মেই singular থেকে plural হয়:
index – indices, radius – radii, formula – formulae, memorandum – memoranda
তারপরও কিছু noun আছে যেগুলো আমরা দৈনন্দিন ইংরেজিতে ব্যবহার করি এবং সেগুলো singular থেকে plural হতে এসব নিয়মের কোনটাই মানে না। যেমন :
Singular
Plural
alga
Algae
Alumnus
Alumni
Analysis
Analyses
Antenna
antennas, antennae
Appendix
appendices, appendixes
Axis
Axes
Bacterium
Bacteria
Basis
Bases
Bus
Buses
Cactus
Cactuses
Child
Children
Crisis
Crises
Criterion
Criteria
Curriculum
Curricula
Datum
Data
Deer
Deer
Die
Die
Diagnosis
Diagnoses
Foot
Feet
Formula
Formulas
Fungus
Fungi
Genus
Genera
Hippopotamus
Hippopotami hippopotamuses
Hypothesis
Hypotheses
Index
Indices
Indexes
Louse
Lice
Nucleus
Nuclei
Potato
Potatoes
Zero
Zeros
Zeroes
Sheep
Sheep
Mouse
Mice
Ox
Oxen
Pronoun বা সর্বনাম।
১. Possessive pronoun: ইংরেজি ভাষায় সর্বনামের সমস্যা হল ‘আমার ঘর’ আর ‘ঘরটা আমার’ — এখানে আমরা একটা শব্দ ব্যবহার করলেও ইংরেজিতে হয় দু’টা। একটা হয় ‘my house’ আরেকটা ‘The house is mine’।
Myকে বলা হয় Possessive adjective আর Mine কে বলা হয় Possessive pronoun।
adjective খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ টপিক নয়। এখান থেকে দু’রকমের প্রশ্ন আসে :
১. form এবং position এর প্রশ্ন। adjective দুইটা জায়গায় বসে। nounএর আগে এবং sentenceএ objectএর জায়গায়, অর্থাৎ verbএর পর। একইসাথে adjectiveএর noun অথবা adverb formটা ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীকে ধন্দে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
যেমনঃ
Positionএর উদাহরণঃ
Formএর উদাহরণঃ
The president said that the _ situation was very serious. (D Unit 2004-05)
Economical
Economy
Economic
Economics
এটা একটা জনপ্রিয় প্রশ্ন, কারণ economy - এই noun টার দুইটা adjective হয়, Economical এবং Economic। একটার অর্থ মিতব্যয়ী আর আরেকটার অর্থ অর্থনৈতিক।
ইংরেজিতে adjective ব্যবহারের একটা ক্রম আছে। মোটামুটিভাবে ক্রমটা এইরকমঃ
Opinion or judgment -- beautiful, ugly, easy, fast, interesting
Dimension -- small, tall, short, big
Age -- young, old, new, historic, ancient
Shape -- round, square, rectangular
Colour -- red, black, green, purple
Origin -- French, Asian, American, Canadian, Japanese
Material -- wooden, metallic, plastic, glass, paper
Purpose or Qualifier -- foldout sofa, fishing boat, racing car
উদাহরণঃ
The "beautiful long curved old red Italian steel racing car"
২. আরেকটা হল vocabulary প্রশ্ন। আপনি শব্দটার অর্থ জানেন কিনা এটাই পরীক্ষা করে দেখা হয়।
উদাহরণঃ
12. Find the correct antonym of 'Superficial'. (2002-03 D unit)
a. artificial
b. sufficient
c. indifferent
d. deep
এই প্রশ্নটার সমস্যা হল পাঁচটা শব্দের অন্তত দু’টা আপনাকে জানতে হবে। একটা list ধরে শব্দগুলো মুখস্ত করে ফেলা ছাড়া কোন উপায় নেই। এ প্রসঙ্গে আমাদের vocubulary listএর adjective অংশটা দেখতে পারেন।
তবে adjectiveএর সাথে জড়িত আরও কতগুলো বিষয় আছে। সেগুলো হল gerund, participle, determiners এবং degree। adjective এর প্রশ্নগুলো দেখার পর ওগুলো একটু দেখে নেবেন।
Adverbএর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল verbকে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়। verb কখন, কোথায়, কিভাবে, কতটুকু হচ্ছে এটা যে word বা একাধিক wordএ বোঝা যাবে সেটাই adverb।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে Adverb এর যে বিষয় দু’টো বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো হল adjectiveএর আগে বসানো Adverb এবং adverbial phrase.
যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রিয় একটা form হল too + adjective + infinitive.
He is too weak to walk. এই too হল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত Adverb।
ভর্তি পরীক্ষায় প্রায়ই আসে এরকম adverb গুলোর ব্যবহার সম্পর্কে আপনাদের মৌলিক ধারণা দেবার চেষ্টা করব।
Adverbs of frequency:
once/twice/thrice – সংখ্যাসূচক, একবার, দুইবার, তিনবার -
seldom – মাঝে মাঝে,
often – প্রায়ই -,
frequently -
again - আবার,
always – সবসময়ই,
Adverbs of time:
before - আগে,
after - পরে,
now - এখন,
ago - ,
soon - তাড়াতাড়ি,
late - দেরি,
lately - ,
daily - , already, never, since
Adverbs of place:
Here - এখানে
there- সেখানে
everywhere - সবখানে
up - উপরে,
out - বাইরে,
within ভিতরে,
in - ভিতরে,
away - ,
backward - পেছনে
Adverbs of manner:
Adverbs of affirmation and negation:
Voice থেকে একটাই প্রশ্ন আসে। একটা active sentence দিয়ে বলা হয় কোনটা সঠিক passive form? উল্টোটাও হয়, কিন্তু কম।
Passive voiceএ sentenceএর একটা মৌলিক গঠন আছে। গঠনটা হলঃ
[Object] + [be verb] + past participle of main verb + by + [objective form of subject]
এই ফর্মূলা মুখস্ত করে ফেলতে হবে। এবং এই একটা করলেই হবে। কারণ এই গঠনটা দিয়ে সমস্ত passive sentenceকেই ব্যাখ্যা করা যায়।
উদাহরণঃ
Active: The rich hate the poor.
Passive: The poor [object] are [be verb] hated [past participle of main verb] by the rich [objective form of subject].
এই গঠনের মধ্যে যে অন্যান্য extensionগুলো হতে পারে তা হলঃ
১. Main verb যদি group verb হয়, group verb এর prepositionটা একই জায়গায় থাকবে।
২. By এর জায়গায়ঃ
To — যখন verbটা হলঃ know. উদাহরণঃ I know him. Passive: He is known to me.
At— যখন verbটা হলঃ astonish, annoy, agitate, amaze, alarm, disappoint, displease, surprise, rejoice উদাহরণঃ His behaviour surprised me. Passive: I was surprised at his behaviour.
With— যখন verbটা হলঃ disgust, bother, line, cover, crowd, satisfy, overgrow. উদাহরণঃ He disgusts me. Passive: I am disgusted with him.
In— যখন verbটা হলঃ contain, embody, interest উদাহরণঃ The bowl contains rice. Passive: Rice is contained in the bowl.
About— যখন verbটা হলঃ worry উদাহরণঃ He worries me. Passive: I am worried about him.
Of— যখন verbটা হলঃ frighten উদাহরণঃ He frightens me. Passive: I am frightened of him.
৩. Auxiliary verb থাকলে সেটা be verbএর আগে বসিয়ে দিতে হবে।
Active: I must eat rice.
Passive: Rice must be eaten by me.
৪. Double object থাকলে ব্যক্তিবাচক object কে সামনে দিয়ে অন্যটাকে main verb এর পেছনে বসিয়ে passive করতে হবে।
Active: He gave me rice.
Passive: I was given rice by him.
৫. মাঝে মাঝে interrogative sentence এর passive প্রশ্নে আসে।
লক্ষ্য করলে দেখা যাবেঃ
Active sentence এর [subject] + [verb] + [object] গঠনটা interrogativeএ গিয়ে [question word] + [aux.] + [subject] + [verb] + [object]?
তাহলে আমাদের ঐ ফর্মূলা অনুযায়ী passive voice কি হবে?
[Question word] + [be verb] + [Object] + past participle of main verb + by + [objective form of subject]?
Active: Why do you eat rice?
Passive: Why is rice eaten by you?
A Unit 2001-02
21. The passive of 'who taught you French?' is
A. By whom you were taught French?
B. By whom French was taught you?
C. French was taught you by who?
D. By whom were you taught French?
প্রায় প্রতিবছরই Tag question থেকে ভর্তিপরীক্ষায় প্রশ্ন আসে।বিষয়টি বেশ সহজ।সামান্য চর্চা করলেই আয়ত্তে আনা সম্ভব।
Tag question ব্যবহার করা হয়, যখন বক্তা কোন একটা বিষয় নিয়ে সম্পুর্ণ নিশ্চিত নয় এবং তাই সে তার statement এর সাথে শ্রোতাকে একটি প্রশ্ন জুড়ে দেয়। যেমনঃ I think Sunil will not come, will he? speaker এখানে sure নন Sunil আসবে কি আসবে না তা নিয়ে, তাই সে শ্রোতার মতামত জানতে চাইছে।
এবার কয়েকটি সাধারণ নিয়ম দেখা যাক tag question এর;
1. প্রধান বাক্যের Auxiliary Verb ই Tag Question এ ব্যবহার করতে হবে।যদি না থাকে তবে do,does,did ব্যবহার করতে হবে।
He plays cricket, doesn’t he?
এ বাক্যে কোন Auxiliary verb (is,am,are,will) নেই, তাই does not’ ব্যবহার করা হয়েছে।
2.যদি বাক্য positive থাকে তবে tag question এ negative, এবং যদি বাক্য negative থাকে তবে tag question এ positive রাখতে হবে।
This little boy is not guilty, is he?
এখানে বাক্যটি negative হওয়াতে tag question positive হল।
3.খুবই সাধারণ নিয়ম,tense বদলানো যাবেনা।
4.subject এর pronoun ব্যবহার করতে হবে,ব্যক্তি হলে he/she/I/you, বস্তু হলে this/that/it.
This is a very comfortable pillow, isn’t it?
এ কয়টি নিয়ম মেনে চললে অনেক tag question উত্তর করা সম্ভব। যেমনঃ
Q.Sohrab was a brave man, ________ ? (A unit; 2005-06)
অবশ্যই এখানে উত্তর হবে wasn’t he, আরেকটি দেখা যাক,
Q.It’s summer in Australia, ________ ? (A unit; 2001-03)
আর এটার উত্তর isn’t it হবে সেটা 2nd নিয়ম থেকেই বলা যায়।এবার আরও একটা,
Q.He always lags behind, _________ ? (B unit; 2002-03)
এবার কিছুটা সমস্যা হওয়ারই কথা!কারণ বাক্যটিতে কোন Auxiliary verb নেই যেটা দিয়ে tag question বানানো যাবে।তাই এখানে কিছুটা common sense এবং english sense ব্যবহার করতে হবে, option গুলো খেয়াল করুন,
a. won’t he? b. can’t he? c.didn’t he? d.doesn’t he?
প্রথমে বাক্যটির tense খেয়াল করুন, তাহলেই কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।বাক্যটি রয়েছে present indefinite tense এ, কেননা ‘lag’ verb টির সাথে s’ যুক্ত হয়েছে যা কেবল present indefinite tense এই হয়।এখন 3rd নিয়ম মনে করুন, যেটা বলছে tag question এর tense ,প্রধান বাক্যের tesne একই থাকবে।তাই আমরা বলতে পারি a. won’t he হবেনা কারন এটা future tense . একই ভাবে c.didn’t he? আমরা
incorrect বলতে পারি যেহেতু এটা past tense.
b. can’t he? এটা কি শুদ্ধ হবে?এখানে আপনাকে common sense এর পরিচয় দিতে হবে!প্রধান বাক্যের কোথাও কোন কিছু “পারা” এমন কথা বলা হয়নি, তাই can’t he সম্পুর্ণ অপ্রাসংগিক। অতএব correct answer হবে, d. doesn’t he?
tense এর নিয়ম অনুযায়ী বলুনতো এই প্রশ্নের উত্তরটা,
Q. You forgot my birthday, _________ ? (DU,B unit; 2002-03)
a. haven’t you b.didn’t you? c. aren’t you? d. wouldn’t you?
আমাদের past tense খুজতে হবে,সেটা আছে option b আর option d তে। wouldn’t you, কখনও উত্তর হবেনা কারন তাতে কোনো অর্থবহ বাক্য তৈরী করবেনা।তাই সঠিক option b. কয়েকটি উদাহরণ দেখে নিনঃ
1. You and I talked with that girl, didn’t we?
2. You won’t be leaving for another hour , will you?
3. You have two children, don’t you? (American English)
4. You have two children, haven’t you? (British English)
দুটোই ঠিক, তবে উভয় option থাকলে British টি preferable.
Special Examples
Let us go for a walk, shall we?
Imperative বাক্য বুঝালে tag question এর এই বিশেষ নিয়ম হয়, উভয় বাক্যই এখানে positive.
Let us help them, shall we?
Let me have a book, will you?
Stop the noise, will you?
Open the door, can you?
তাই যখনই বাক্যটি অনুরোধ বা প্রস্তাবমূলক হবে তখন এই বিশেষ উদাহরণগুলো মনে রাখতে হবে।
আরেকটি সমস্যা হয় যখন subject একটু different হয়,যেমনঃ
6. None can make it, can they?
7. Nobody went there, did they?
8. Anyone is qualified, are they?
9. Neither of them has gone, have they?
তাহলে যখন subject none,nobody,neither,anyone হবে তখন tag question এ they ব্যবহার করতে হবে,statement positive থাকলে positive ই রাখতে হবে tag question এ।
আর বাক্যে seldom,barely,hardly,scarcely থাকলে বুঝতে হবে এটা negative statement,তাই tag question এ not বসানো যাবেনা।এটা আরেকটা বিশেষ নিয়ম।
10.He barely wins here, does he?
গণিতঃ ১০
গণিত
নিচের লিংকে ক্লিক করে পদার্থবিজ্ঞান সকল অধ্যায়ের লেকচার পড়ে নিন।
বলা হয়ে থাকে, বিজ্ঞানের ভাষা হল গণিত । তাই বিজ্ঞানের যে কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে গণিতে গভীর জ্ঞান অত্যাবশ্যক ।তবে দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের বিষয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় গণিত অংশে জটিল কিংবা কড়াকড়ি (Rigorous) প্রমাণনির্ভর কোন প্রশ্ন আসে না বললেই চলে ।এসব পরীক্ষার MCQ based গাণিতিক সমস্যায় অধিক গুরত্ব দেওয়া হয়ে থাকে ।কিন্তু, এরূপ প্রশ্নগুলোর সমাধানে বেশ সময়সাপেক্ষ হওয়ায় অনেকেই লড়াইয়ের আগেই হাল ছেড়ে দেন অর্থাৎ ধরেই নেন যে গণিতে ভালো করা যাবে না ।
আসলে আপাত দৃষ্টিতে অতন্ত্য সময়সাপেক্ষ প্রশ্নগুলো কিছু সূক্ষ্ম কৌশল, short-cut ও calculator প্রয়েগের মাধ্যমে অল্প সময়ে সহজেই করে ফেলা যায় । তবে পূর্বশর্ত হিসেবে থাকছে strong basic ও প্রচুর অনুশীলন । Practice makes a man perfect.
আশা করি গণিতে perfect score পেতে edpdbd আপনার সহায়ক হবে ।
পদার্থ বিজ্ঞান ১০
পদার্থ বিজ্ঞান
নিচের লিংকে ক্লিক করে পদার্থবিজ্ঞান সকল অধ্যায়ের লেকচার পড়ে নিন।
রসায়ন বিজ্ঞানঃ ১০
রসায়ন বিজ্ঞান
নিচের লিংকে ক্লিক করে পদার্থবিজ্ঞান সকল অধ্যায়ের লেকচার পড়ে নিন।
যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তির হওয়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় রসায়ন (Chemistry) উত্তর করা বাধ্যতামূলক। আর রসায়নে ভালো নম্বর পাওয়া আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে রসায়ন সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে পড়তে চাইলে রসায়নে ভারো নম্বর পাওয়ার কোন বিকল্প নেই। আর রসায়নে যাতে ভালো নম্বর/ স্কোর তোলা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তৈরি করা হয়েছে edpdbd-র রসায়ন বিষয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় রসায়নে ১ম পত্র থেকেই আসে ৬০-৭০% প্রশ্ন। আর ২য় পত্র থেকে আসে ৩০-৪০%। আর ১ম পত্র থেকে গাণিতিক সমস্যা যেমন আসে তেমনি আসে তত্ত্বীয় (theory) প্রশ্নও। বিশেষ করে পরমাণুর গঠন, পর্যায় সারণী, রাসায়নিক গণনা, জারণ বিজারণ, রাসায়নিক গঠন- এই অধ্যায়গুলো থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন একটু বেশি-ই আসে। আর তাই এই অধ্যায়গুলো সহজে আয়ত্ত্ব করার জন্য edpdbd-র রসায়নে কিছু সহজ টেকনিক দেখানো হয়েছে; যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে প্রশ্ন দেখেই উত্তর করতে পারে।
আর ২য় পত্রে বিক্রিয়াগুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সংকেত, মৌলের রাসায়নিক ও বাণিজ্যিক নাম, এগুলোর ব্যবহার ও প্রস্তুতি- এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। তবে উত্তর করার সময় বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিক্রিয়ক ও উৎপাদের সংকেতগুলো বিশেষভাবে খেয়াল করতে হবে। তবে ২য় পত্র থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন খুব একটা আসে না।
তবে মনে রাখা জরুরি, edpdbd-র রসায়ন অংশটি তৈরি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে। আর তাই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলোকে অনেক ক্ষেত্রেইে উপেক্ষা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য edpdbd-র রসায়নে সংযোজিত বিষয়গুলোই অধিক জরুরি। তবে বিস্তারিত পড়ার জন্য মূল পাঠ্য বইগুলোর বিকল্প নেই।
জীববিজ্ঞানঃ ১০
১। জীববিজ্ঞানের জনক
= এ্যারিস্টোটল
২। জীবের সার্বিক অঙ্গস্থানিক গঠন বর্ণনা করে জীববিজ্ঞানের কোন শাখা?
= মরফোলজি বা অঙ্গসংস্থান
৩। প্রাগৈতিহাসিক জীবের বিবরণ ও জীবাশ্ম সম্পর্কে আলোচিত হ য়?
= প্যালিওনটলজি বা প্রত্নতত্ত্ববিদ্যায়
৪। জীবের শ্রেণিবিন্যাস ও দ্বি নাম করণের জনক কে ?
= ক্যারোলাস লিনিয়াস
৫। জীবের শ্রেণিবিন্যাসে কতটি ধাপ রয়েছে ?
= ৭টি
৬। দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম
=Copsychus saularis
7। জীববিজ্ঞানের কোন শাখায় কীটপতঙ্গ নিয়ে আলোচনা করা হয় ?
= এন্টোমোলজি
৮। নিউক্লিয়াসের সংগঠনের ভিত্তিতে কোষ কত প্রকার ?
= ২প্রকার । যথা : আদি কোষ , প্রকত কোষ
৯ । কাজের ভিত্তিতে কোষ কত প্রকার ?
=২প্রকার । দেহ কোষ , জনন কোষ
১০ । কোষের শক্তির উৎপাদন কেন্দ্র বা পাওয়ার হাউস হলো
= মাইটোকণ্ড্রিয়া
১১। প্লাস্টিড কত প্রকার ?
= ৩প্রকার । ক্রোমো, ক্লোরো , লিউকো
১২। প্রাণিকোষ বিভাজনে সহায়তা করে কোন কোষীয় অঙ্গানু ?
= সেন্ট্রিওল্
১৩। গলজি বস্তু কোথায় পাওয়া যায় ?
= প্রাণি কোষে
১৪ । জীব কোষকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে
= লাইসোজোম
১৫। উদ্ভিদ টিস্যু প্রধানত কত প্রকার ?
= ২প্রকার । ভাজক , স্থায়ী
১৬। স্থায়ী টিস্যু কত প্রকার ?
= ২ প্রকার । সরল , জটিল
১৭। সরল টিস্যু কত প্রকার ?
= ৩প্রকার । প্যারেনকাইমা, কোলেনকাইমা , স্কেরেনকামইমা
১৮ । জটিল টিস্যু কত প্রকার ?
= ২ প্রকার । জাইলেম ও ফ্লোয়েম
১৯ । জাইলেম টিস্যুর কোষ কোন গুলো
= ট্রাকিড , ভেসেল , জাইলেম , প্যারেনকাইমা, জাইলেম ফাইবার ।
২০। প্রাণিটিস্যুর কত প্রকার ?
= ৪ প্রকার । আবরণী, যোজক, পেশি, স্নায়ু টিস্যু ।
২১। আবরণী টিস্যু কত প্রকার ?
= ৩ প্রকার
২২। হৃদপেশি বা কার্ডিয়াক পেশি কেমন ?
= এক ধরণের অনৈচ্ছিক পেশি ।
২৩। স্নায়ু টিস্যুর একক কী?
= নিউরণ
২৪। বৃক্কের একক
= নেফ্রণ
২৫। কোষ বিভাজন কত প্রকার ?
= ৩ প্রকার । অ্যামাইটোসিস, মাইটোসিস (দেহ কোষে), মিয়োসিস (জনন কোষো।
২৬। ব্যাকটেরিয়া, নীলাভ সবুজ শৈবাল , ঈস্ট প্রভৃতিতে কোন কোষ বিভাজন হয় ?
= অ্যামাইটোসিস
২৭। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ধাপ কয়টি?
= ৫ টি । প্রোফেজ, প্রো-মেটাফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ, টেলোফেজ ।
২৮। কোষ বিভাজনের কোন পর্যাযে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ও নিউক্লিওলাসের সম্পূর্ণ বিলুপ্তি ঘটে ?
= মেটাফেজ
২৯ । কোন কোষ বিভাজনের কারণে বহুকোষী জীবের দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে ?
= মাইটোসিসে ।
৩০ । জৈব মুদ্রা বা জৈব শক্তি নামে পরিচিত
= ATP
৩১। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ATP – কত কিলোক্যালরি শক্তি আবদ্ধ হয় ?
= ৭৩০০
৩২। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার পর্যায় কতটি ?
= ২টি ।
৩৩. C4 – উদ্ভিদ কারা ?
= ভুট্টা, আখ, মুথা ঘাস ।
৩৪ ।কোন আলোতে সালেকসংশ্লেষণ হয় না ?
= সবুজ ও হলুদ ( লাল আলোতে বেশি)
৩৫। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার অপটিমাম তাপমাত্রা
= ২২-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
৩৬। ক্লোরোফিলের প্রধান উপাদান
= নাইট্রোজেন ও ম্যাগনেসিয়াম
৩৭। শ্বসনের অপটিমাম তাপমাত্রা
= ২০-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
৩৮।সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উপজাত হিসেবে নির্গত হয় কোনটি ?
= অক্সিজেন ।
৩৯। উদ্ভিদের মুখ্য পুষ্টি কয়টি ?
= ৯টি । Mg, K, Na, C, H , O, P, S
৪০। উদ্ভিদের গৌণ পুষ্টি কয়টি ?
= ৭টি ।
৪১। কিসের অভাবে পাতা হলুদ হয়ে যায় ?
= নাইট্রোজেন
৪২। কিসের অভাবে পাতা, ফুল, ফল ঝরে যায় ও উদ্ভিদ খর্বাকার হয় ?
= ফসফরাসের
৪৩। কিসের অভাবে পাতার শীর্ষ ও কিনারা হলুদ ও মৃত অঞ্চল সৃষ্টি হয় ?
= পটাসিয়াম
৪৪। কিসের অভাবে উদ্ভিদের ফুলের কুড়ি জন্ম ব্যাহত হয় ?
= বোরন
৪৫। খাদ্যপ্রাণ বলা হয় কাকে ?
= ভিটামিনকে
৪৬। সুষম খাদ্যে আমিষ: চর্বি : শর্করা
= ৪: ১:১
৪৭। দৈনিক কত গ্লাস পানি পান করা উচিত ?
= ৭-৮ গ্লাস
৪৮। কোন খাবারে সবচেয়ে বেশি আমিষ আছে ?
= মুরগির মাংস ( ২৫.৯/ ১০০ গ্রাম ) মসুর ২৫.১ গ্রাম ।
৪৯। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈহিক ওজনের কত % পানি ?
= ৪৫-৬০ % ( অন্য জায়গা দেওয়া আছে > ৬০-৭৫%)
৫০। রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব হলে কোন রোগ হ য় ?
= রক্তশূন্যতা বা এ্যানিমিয়া
৫১। মুখগহ্বরে খাদ্যকে পিচ্ছিল করে কে ?
= লালা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত মিউসিন
৫২। লালা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত এনজাইমের নাম ?
= টায়ালিন ও মলটেজ।
৫৩। মানুষদের স্থায়ী দাঁত কত প্রকার ?
= ৪ প্রকার ।
৫৪। মানবদেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি কোনটি ?
= যকৃত । একে জীবনের রসায়ন গবেষণাগার বলা হয় ।
৫৫। কোন এনজাইম আমিষকে এ্যামাইনো এসিড এসিডে পরিণত করে ?
= পেপসিন ও ট্রিপসিন (
৫৬। কোন এসিড পাকস্থলীতে খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে ?
= হাইড্রোক্লোরিক এসিড
৫৭। ডায়ারিয়া হয় কিসের কারণে?
= রোটা ভাইরাসের
৫৮। সুগন্ধ ও দুর্গন্ধ কোন প্রক্রিয়া বাতাসে ছড়ায় ?
= ব্যাপন
৫৯। প্রোটোপ্লাজমের কত % পানি ?
= ৯০ %
৬০ । শুকনা কিসমিস ফুলে ওঠে কোন প্রক্রিয়া ?
= অভিস্রবণ
৬১ । গাছের পাতা শুকিয়ে যায় না কেন ?
= প্রস্বেদনের কারণে
৬২। রক্ত উপাদান কত প্রকার ?
২ প্রকার । রক্তরস ও রক্তকনিকা
৬৩। রক্ত কণিকা কত প্রকার ?
– ৩ প্রকার । লোহিত , শ্বেত ও অনুচক্রিকা
৫৪। জীবনীশক্তির মুল কী ?
= রক্ত
৫৫। রক্তে রক্তরসের পরিমাণ কত ?
= ৫৫ভাগ
৫৬। কিসের জন্য রক্ত লাল হয় ?
= হিমোগ্লোবিনের জন্য ।
৫৭। হিমোগ্লোবিনের কাজ কী?
= অক্সিজেন পরিবহন
৫৮। শ্বেত কণিকা কোন প্রক্রিয়া রোগ জীবাণু ধ্বংস করে ?
= ফ্যাগোসাইটোসিস
৫৯। রক্ত তঞ্চনে সহায়তা করে ?
= অনুচক্রিকা
৬০। রক্তের গ্রুপ কয়টি ?
= ৪টি । A, B, AB, O .
৬১. সর্বজনীন দাতা গ্রুপ কে ?
= ও
৬২। সর্বজনীন গ্রহিতা কে ?
= AB
৬৩। একজন সুস্থ মানুষের দেহ থেকে কত লিটার রক্ত বাহির করে নিলে কোন অসুবিধা হয না ?
= ৪৫০ মি.লি
৬৪ । মানবদেহে প্রতি সেকেন্ড কি পরিমাণ লোহিত কণিকা উৎপন্ন হ য়?
= ২০ লক্ষ
৬৫। হৃদপিন্ডের প্রকোষ্ঠ কয়টি ?
= ৪টি
৬৬। হৃদপিন্ডের সংকোচনকে বলে
= সিস্টোল
৬৭। হৃদপিন্ডের প্রসারণকে বলে
= ডায়াস্টোল
৬৮। একজন আদর্শ মানুষের রক্তচাপ
= ৮০/১২০ ।
৬৯। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ২০২০ সালে বিশ্বের এক নম্বর মরণব্যাধি হবে
= স্ট্রোক ও করোনারি ধমনির চাপ
৭০। রক্তচাপ মাপা হয
= স্ফিগমোম্যানোমিটার
৭১। আমাদের শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টরল কোনটি ?
= HDL
72. আমাদের রক্তে LDL – এর পরিমাণ
= ৭০%
৭৩. অ্যানজিনা কী?
= হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচল কমে গেলে ব্যথা অনুভূত হওয়া
৭৪। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে চামড়ায় ভিটামিন তৈরিতে ভূমিকা রাখে কে ? –
= কোলেস্টেরল
৭৫। ব্লাড ক্যান্সারকে বলা হয়
= লিউকোমিয়া ( শ্বেত কণিকার আধিক্য
৭৬। বাতজ্বর হয় কী কারণে ?
= স্ট্রেপটোকক্কাস অনুজীবের কারণে
৭৭। শ্বাসনালি সংক্রান্ত রোগ
= হাপানি, ব্রংকাইটিস , নিউমোনিয়া (ফুসফুসের । ব্যাকটেরিয়া) , যক্ষ্মা ( বায়ু বাহিত) ।
৭৮। রক্ত সম্পূর্ণ অকোজো ও বা বিকল হবার পর বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ত পরিশোধিত করার পদ্ধতিকে বলে
= ডায়ালাইসিস
৭৯। মানব দেহে কতটি হাড় রয়েছে ?
= ২০৬টি
৮০। কলমে মূল গজানো, অকালে ফল ঝড়ে যাওয়া রোধ ও বীজহীন ফল তৈরি ব্যবহৃত হয় কোনটি?
= অক্সিন
৮১ । ফুল ফোটাতে, বীজের সুপ্তাবস্থা দৈর্ঘ্য কমাতে , এবং অঙ্কুরোদগমে ব্যবহৃত হয় ?
= জিবেরেলিন
৮২। ফল পাকাতে
= ইথিলিন
৮৩। জীবনের রাসায়নিক দূত হলো
= হরমোন
৮৪। গুরু মস্তিষ্ক বলা হয়
= সেরিব্রামকে
৮৫। পনস কোথায় থাকে ?
= পশ্চাৎমস্তিষ্কে
৮৬। অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইট কার অংশ
= নিউরণের
৮৭। মানব মস্তিষ্কে উদ্দীপনার বেগ
= প্রায় ১০০ মিটার
৮৮। েএকটি নিউরণের অ্যাক্সেনের সাথে দ্বিতীয় নিউরণের ডেনড্রাইটের সংযোগ স্থলকে বলা হয়
= সিনাপসিস
৮৯। ইনসুলিন হরমোন নিঃসৃত হয় ……
= আইলেটস অব ল্যাঙ্গার হ্যান্স থেকে ।
৯০ । পারকিনসন্স রোগ কিসের ?
= মস্তিষ্কের
৯১। এপিলেপসি রোগ কিসের ?
=মস্তিষ্কের
৯২। একটি সম্পূর্ণ ফুলে কয়টি অংশ ?
= ৫টি
৯৩। জবা, কুমড়া , সরিষা ফুলের পরাগায়ন হয় কিসের মাধ্যমে?
= কীটপতঙ্গ
৯৪। ধানের ফুলের পরাগায়ন হয় কিসের মাধ্যমে?
= বায়ুর মাধ্যমে
৯৫। পাতা শ্যাওলা ফুলের পরাগায়ন হয় কিসের মাধ্যমে?
= পানি
৯৬। কদম , শিমুল , কচু ফুলের পরাগায়ন হয় কিসের মাধ্যমে?
= প্রাণীপরাগী
৯৭। প্রাণীর প্রজনন হয় কত প্রকারে?
= ২ প্রকারে / যৌন ও অযৌন
৯৮ । এইডস রোগ আবিষ্কৃত হয় কবে ?
= ১৯৮১
৯৯। এইডস রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশের কতদিন পর লক্ষণ প্রকাশ পায় ?
= ৬মাস
১০০। জীবের বংশগতি ও বিবর্তন আলোচিত হয়
= জেনেটিক্সে
১০১ । বংশগতির বাহক ও ধারক
= জিন
১০২ । ক্রোমোজোমের যে স্থানে জিন থাকে তাকে বলে
= লোকাস
১০৩। বংশগতির ভৌতভিত্তি হলো
= ক্রোমোসোম
১০ ৪। ডিএনএর আনবিক গঠন আবিষ্কার করেছেন কে?
= ওয়াটসন ও ক্রিক ( ১৯৫৩সালে )
১০৫। মানবদেহে ক্রোমোজোমের সংখ্যা
= ৪৬টি বা ২৩ জোড়া । ২২ জোড়া অটোজোম , ১ জোড়া সেক্স ।
১০৬। ডিএনএ বিশ্লেষণ পদ্ধতিকে বলা হয়
= সেরোলজি
১০৭। জেনেটিক ডিসঅর্ডার জনিত রোগ
= থ্যালাসেমিয়া ( লোহিত কণিকার আধিক্য ) , ক্লালার ব্লাইন্ড
১০৮। পরিবেশে জীব উপাদানগুলো কত প্রকার ?
= ৩ প্রকার । খাদক, উৎপাদক, বিয়োজক
১০৯। কমেনসেলিজমের ( দুটি উদ্ভিদের মধ্যে একজন উপকৃত হওয়া) উদাহরণ
= রোহিণী উদ্ভিদ
১১০। মিউচুয়ালিজম ( উভয় উদ্ভিদ উপকৃত হওয়া) উদাহরণ
= মৌমাছি, প্রজাপতি, পোকামাকড়ের বাদুড় এর সাথে গাছের সম্পর্ক
১১১ । সিমবায়োসিস কি?
= একই সাথে একাধিক উদ্ভিদ বসবাসের করলে তাদের সাথে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ।
১১২। বায়োটেকনলোজি শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন
= কার্ল এরিক
১১৩। টিস্যুকালচারের উদ্দেশ্যে উদ্ভিদের যে অংশ পৃথক করা হয় তাকে কি বলে ?
= এক্সপ্লান্ট
১১৪। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে উৎপাদিত জীবকে বলে
= GMO ( Genetically Modified Organism ) , GE ( Genetically Engineered , Transgenic
১১৫। ছোট দিনের উদ্ভিদ
= চন্দ্রমল্লিকা , ডালিয়া
১১৬। বড় দিনের উদ্ভিদ
= লেটুস , ঝিঙা
১১৭। আলোক নিরপেক্ষ দিনের উদ্ভিদ
=শসা , সূর্যমুখী
১১৮।শৈত প্রদান করে ফুল ধারণ কে ত্বরান্বিত করার প্রক্রিয়াকে বলে
= ভার্নালাইজেশন
১১৯। বীজ বপনের পর কত তাপমাত্রা প্রয়োগ করলে উদ্ভিদের স্বাভাবিক পুষ্প প্রস্ফুটন ঘটে ?
= ২-৫ডিগ্রি সেলসিয়াস
জীববিজ্ঞান সব গুলো একসাথে
নিচের লিংকে ক্লিক করে পদার্থবিজ্ঞান সকল অধ্যায়ের লেকচার পড়ে নিন।
এটা সত্য যে জীববিজ্ঞান বিষয়টি বেশিরভাগ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিকট কিছুটা বিরক্তিকর। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতের প্রতি শিক্ষার্থীরা যেমন আগ্রহ খুঁজে পায়, জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সচরাচর তেমনটা ঘটে না। আলাদা একটা ভীতি ধীরে ধীরে গড়ে উঠে জীববিজ্ঞানের প্রতি।এর প্রভাব প্রকটভাবে পরিলক্ষিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে। অথচ বিজ্ঞান বিভাগের অন্যান্য বিষয়ের মত জীববিজ্ঞান বিষয়টিও ভর্তি পরীক্ষায় ভালো স্কোর তুলতে সমান গুরুত্ব বহন করে। আর মেডিকেল এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় এ বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই অনাগ্রহী মনোভাব আর একগাদা মুখস্তবিদ্যা ভীতির কথা বিবেচনা করে edpdbd এ বিষয়টিকে উপস্থাপন করেছে সরল ও সহজবোধ্য আঙ্গিকে। জীববিজ্ঞান পুরোটুকুই যে স্রেফ মুখস্ত করা না, মনে রাখার কিছু ব্যাপার আছে, কিছু বোঝার ব্যাপার আছে, কিছু চিন্তা করার জায়গা আছে, জীববিজ্ঞানের এই স্বল্প পরিচিত রূপটিও তোমাদের চোখে পড়বে। আশা করি, ভর্তি পরীক্ষার সম্পূর্ণ ও ভালো প্রস্তুতির জন্য edpdbd এর জীববিজ্ঞান বিভাগটি প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য যথেষ্ট অবদান রাখবে। শুভ কামনা রইলো সবার জন্যে।
সাধারণ বিজ্ঞানঃ ২৫
সাধারণ বিজ্ঞান নবম-দশম শ্রেণি
সাধারণ বিজ্ঞান: নবম-দশম শ্রেণি: প্রথম অধ্যায়
০১। প্রাণীদেহে শুষ্ক ওজনের কতভাগ প্রোটিন – ৫০%।
০২। খাদ্যের উপাদান – ৬টি।
০৩। আমিষের গঠনের একক – অ্যামাইনো এসিড।
০৪। মানবদেহে কয়ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে – ২০ ধরনের।
০৫। মানুষের প্রধান খাদ্য – শর্করা।
০৬। পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন – B,C।
০৭। ঢেকি ছাটা চাল ও আটার ভিটামিন থাকে – থায়ামিন।
০৮। দৈনিক পানি পান করা উচিত – ২-৩ লিটার।
০৯। ব্রাইন বলা হয় – লবনের দ্রবনকে।
১০। পুষ্টির ইংরেজী শব্দ – Nutrition।
১১। কোষ গঠনে সাহায্য ও নিয়ন্ত্রন করে – ভিটামিন ই ও লাইসিন।
১২। কার্বোহাইড্রেট C:H:O এর অনুপাত – ১:২:১।
১৩। খাদ্যের কোন উপাদানটি মিষ্টি স্বাদযুক্ত – শর্করা।
১৪। FRUIT SUGAR বলা হয় – ফ্রুকটোজকে।
১৫। আমিষের শতকরা নাইট্রোজেন পরিমান – ১৬%
১৬। আমিষের মৌলিক উপাদান কয়টি – ৪টি
১৭। ইলিশের প্রোটিন আছে – ২০
১৮। মাছ থেকে কতভাগ প্রোটিন আসে – ৮০ ভাগ।
১৯। আমিষের অভাবে হয় – ম্যারাসমাস রোগ।
২০। মহিষের দুধে শক্তির পরিমান – ১১৭ ক্যালরী।
২১। শক্তি উৎপাদক খাদ্য – শর্করা।
২২। ভিটামিন এভাবে রোগ – রাতকানা জেরপথ্যালমিয়া।
২৩। খাদ্যে ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় – ২০ ধরনের।
২৪। ভিটামিন বি – ২০ প্রকার।
২৫। প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের লৌহের প্রয়োজন – ৯গ্রাম।
২৬। খাদ্যের মধ্যে নিহিত শক্তির একক – কিলোক্যালরী।
২৭। Quetelet Index বলা হয় – BMI।
২৮। BMI- Body Mass index
২৯। দেহের চর্বি পরিমান নিদের্শক – BMI।
৩০। BMI- ওজন/ (উচ্চতা)^২।
৩১। BMIএর অপর নাম – QLI।
৩২। বোরহানিতে পাওয়া যায় – ল্যাকটিক এসিড।
৩৩। ভিনেগার কী – অ্যাসেটিক এসিডের ৫% দ্রবন।
৩৪। তামাকে কোন পদার্থ থাকে – নিকোটিন, ক্যাফেইন।
৩৫। ধূমপান করার উপাদানটি নাম – Nicotina।
৩৬। সর্বপ্রথম এইডস চিহ্নিত হয় – আফ্রিকায়।
৩৭। পরিপোষক ইংরেজী শব্দ – Nurtrients।
৩৮। উৎপত্তিগত আমিষ – ২ প্রকার।
৩৯। মানবদেহে ওজনের মোট ক্যালসিয়াম – ২ভাগ।
৪০। মানবদেহে ওজনের মোট পানি – ৬০ থেকে ৭৫ভাগ।
৪১। মানবদেহে ফসফরাসের প্রয়োজন – ৫গ্রাম।
৪২। এসিডোমিস হয় – পানির অভাবে।
৪৩। মানুষের মৃত্যু হয় – ১০% পানির অভাবে।
৪৪। মানবদেহের বৃদ্ধির সময়সীমা – ২০ থেকে ২৪ বছর।
৪৫। পুষ্টি – ৪ প্রকার।
৪৬। এইডসের ভাইরাসের নাম – HIV।
৪৭। এ পযর্ন্ত অ্যামোইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে – ২০ ধরনের।
৪৮। খাদ্যে ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় – ২০।
৪৯। স্নেহ – ২ প্রকার।
৫০। বিজ্ঞান শব্দের অর্থ – বিশেষ জ্ঞান।
৫১। স্নেহে দ্রবনীয় – ভিটামিন A,D,E,K।
৫২। ফল পাকানোর জন্য দায়ী – ক্যালসিয়াম কার্বোইড।
৫৩। HIV আক্রমন করে – রক্তে শ্বেতকনিকায় লিম্ফোসাইটকে।
৫৪। আমাশয় – ২ প্রকার।এমিবিক ও ব্যাসিলারি।
৫৫। ভাইরাস – প্রকৃত পরজীবী।
৫৬। ভাইরাসকে বলা হয় – অকোষীয় জীব।
৫৭। ছত্রাকে বলা হয় – মৃতজীবী জীব।
৫৮। অনুজীবকে বলা হয় -আদিজীব।
৫৯। প্রথম ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান – বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক।
৬০। ধূমপানের উপাদানটির বিজ্ঞানিক নাম – Nicotiana Tabacum
সাধারণ বিজ্ঞান: নবম-দশম শ্রেণি: দ্বিতীয় অধ্যায়
০১। পানির ঘনত্ব নির্ভরশীল – তাপমাত্রা উপর।
০২। ভূ-পৃষ্টের মোট পানির শতকরা মিঠাপানি – ১ ভাগ।
০৩। পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি – ৪ ডিগ্রী সে:।
০৪। বিশুদ্ধ পানির ধর্ম – স্বাদহীন,বর্ণহীন,গন্ধহীন।
০৫। কোন জলীয় দ্রবণ এসিডীয় হলে এর pH – ৬.৫।
০৬। বিশুদ্ধ পানির pH – ৭।
০৭। শুধু পানিতে জন্মায় – সিংগারা।
০৮। ওষুধ তৈরিতে পানি বিশুদ্ধ করা হয় – পাতন প্রক্রিয়ায়।
০৯। এসিডের পরিমান বাড়লে pH এর মান – কমে।
১০। ব্লিচিং পাউডারের সংকেত – Ca(OC1)C1।
১১। আমেরিকায় উত্তর ওহাইও অঙ্গরাজ্যের মরা হ্রদটি নাম – এরি।
১২। রামসায় চুক্তি হয় – ১৯৭১ সালে।
১৩। রামসায় কনভেনশন সংশোধন হয় – ১৯৮২ সালে।
১৪। গঙ্গা পানি বন্টন চুক্তি হয় – ১৯৭৭ সালে।
১৫। বুড়িগঙ্গা নদীর সাথে তুলনা করা হয় – এরি হ্রদের সাথে।
১৬। পানির স্ফুটনাঙ্ক – ৯৯.৯৮ ডিগ্রী সে:।
১৭। সমুদ্রের পানিকে বলে – Marine Water।
১৮। পানির অনুতে আছে – ২টি হাইড্রোজেন।
১৯। পৃথিবীর পানির মধ্যে শতকরা সমুদ্রের পানি – ৯০ ভাগ।
২০। পানির দ্রবীভূত অক্সিজেন মাত্রা ঠিক থাকে – সালোকসংশ্লেষনের মাধ্যমে।
২১। নদনদীর পানি – ক্ষারীয়।
২২। একলিটার বিশুদ্ধ পানির pH – ৭।
২৩। ত্বক ও ফুসফুসে ক্যান্সার সৃষ্টি করে – পারদ/U।
২৪। রক্ত শূন্যতা হয় – সীসার অভাবে।
২৫। রামসায় চুক্তিতে বাংলাদেশ সম্মতি জ্ঞাপন ও স্বাক্ষর করে – ১৯৭৩ সালে।
২৬। লোনা পানির ইংরেজী শব্দ – Saline Water।
২৭। নাব্যতা হ্রাসকালে ভূমিকা আছে – তেল।
২৮। pH কমলে প্রাণীদেহে হতে নিগৃত হয় – Ca।
২৯। ইলিশ মিঠা পানিতে আসে – প্রজনেন জন্য।
৩০। ইলিশ ডিম নষ্ট করে – লবণাক্ত পানিতে।
৩১। ভূ-গর্ভস্থ শতকরা লবণাক্ত পানির পরিমান – ৯৭ ভাগ।
৩২। বন্যার সময় পানি বিশুদ্ধকরন করার জন্য ব্যবহার করা হয় – সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড।
৩৩। পানির মধ্যে ধূলিকনা পৃথক করার প্রক্রিয়া – পরিস্রাবন।
৩৪। খাওয়ার পানির জন্য সহজলভ্য প্রক্রিয়া – স্ফুটন।
৩৫। কঠিন বর্জ্য পঁচতে সময় লাগে – ১ থেকে ২ দিন।
৩৬। সম্প্রতি তেজস্ক্রিয়া ঘটেছে – জাপানের ফুকুশিমা।
৩৭। মানুষ বিকলাঙ্গ হয় – পারদের অভাবে।
৩৮। এরি হ্রদকে মরা হ্রদ ঘোষণা করা হয় – ১৯৬০ সালে।
৩৯। প্রাণীশূন্য নদীকে বলে – Dead Lake।
৪০। ETP – Effluent Treatment Plant।
৪১। ঢাকা শহরে প্রতিনিয়ত কঠিন পদার্থ উৎপন্ন হয় – ৫০০ মে: টন।
৪২। বাংলাদেশ ভারত হতে গঙ্গা পানির ন্যায্য হিসাবে পাওয়ার চুক্তি হয় – ১৯৯৬ সালে।
৪৩। ভারত সরকার গঙ্গা পানির গতিপথ পরিবর্তন করে – ১৯৭৫ সালে।
৪৪। মানুষের মৌলিক অধিকার – ৫টি। (আমরা জানি, মৌলিক অধিকার ৬টি।কিন্তু ৯ম শ্রেনীর বইয়ে ৫ টি।আবার ৩য় শ্রেনীর বইয়ে ৬টি)।
৪৫। রামসার কনভেনশন সংশোধন হয় – ২ বার।
৪৬। অম্লীয় পানির pH – ৪।
৪৭। বরফের গলনাঙ্ক – ০ ডিগ্রী সে:।
৪৮। ১ কিউসেক পানির ভর – ১০০০ কেজি।
৪৯। পানির অনুর আকৃতি – কৌণিক।
৫০। পানি একটি – উভধর্মী পদার্থ।
সাধারণ বিজ্ঞান: নবম-দশম শ্রেণি: তৃতীয় অধ্যায়
০১। রক্তে লোহিত কণিকা সঞ্চিত থাকে – প্লীহাতে।
০২। অনুচক্রিকার গড় আয়ু – ৫ থেকে ১০ দিন।
লোহিত রক্ত কণিকায় গড় আয়ু – ১২০ দিন।
শ্বেতকণিকার গড় আয়ু – ১-১৫ দিন।
০৩। লোহিত কণিকার আকৃতি – চ্যাপ্টা।
০৪। সর্বজন দাতা গ্রুপ – O+ গ্রুপ।
০৫। রক্তে অ্যান্টিজেন নেই – O+ গ্রুপে।
০৬। হৃৎপিন্ডের আকৃতি – ত্রিকোণাকার।
০৭। রক্তে কিসের পরিমান বেশি থাকা শরীরে জন্য উপকারি – HDL।
০৮। রক্তে কোলেস্টেরল স্বাভাবিক পরিমান – ১০০-২০০mg/dl।
০৯। মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ -১২০/৮০ mmHg।
১০। মানুষের মোট ওজন শতকরা – ৮% রক্ত।
১১। ধমনির রক্তের pH – ৭.৪।
১২। পূর্ণবয়স্ক মানুষের রক্তের পরিমান – ৫-৬ লিটার।
১৩। রক্ত গঠিত – যোজক টিস্যু।
১৪। রক্তের প্রধান উপাদান – লৌহ।
১৫। রক্তের প্রধান উপাদান – ২টি।
১৬। রক্তে রেচন পদার্থ – ইউরিয়া।
১৭। রক্ত লাল দেখায় – হিমোগ্লোবিন থাকায়।
১৮। দেহের প্রহরী – শ্বেতকণা।
১৯। রক্তে লিম্ফোসাইটের পরিমান – ২০-৪৫%।
২০। হিমোগ্লোবিন থাকে না – শ্বেতকণিকায়।
২১। রক্তে অ্যান্টিজেন থাকে – ২টি।
২২। AB গ্রুপে রক্তের মানুষ – ৩%।
২৩। হৃৎপিন্ড বেষ্টনকারী পদার্থের নাম – পেরিকার্ডিয়াম (২ স্তর)।
২৪। নিলয়ের অপর নাম – ভেন্টিকল।
২৫। একটি হৃৎস্পন্দনের সময় লাগে ০.৮ সেকেন্ড।
২৬। হৃৎপিন্ড প্রসারণকে বলা হয় – ডায়াস্টোল।
২৭। প্রতিমিনিটে হার্টবিটকে বলে – ডাব।
২৮। কার্ডিয়াক চক্রের ধাপ – ৪টি।
২৯। LDL এর পূর্ণরুপ -Low Density Lipoprotein।
৩০। সমগ্র রক্তে -৫৫% রক্তরস, ৪৫% রক্তকণিকা।
৩১। রক্তের তরল অংশকে বলে – প্লাজমা।
৩২। রক্ত কণিকা – ৩ প্রকার।
৩৩। রক্ত রসের -১০% জৈব ও অজৈব।
৩৪। রক্তরস আলাদা করলে রক্তের রং হবে – হালকা হলুদ।
৩৫। প্লেটলেট অর্থ – অণুচক্রিকা।
৩৬। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে কোন অবস্থার সৃষ্টি হয় – পারপুরা।
৩৭। মানুষের রক্তের A গ্রুপ শতকরা – ৪২%।
৩৮। মানুষের রক্তের B গ্রুপ শতকরা – ৯%।
৩৯। মানুষের রক্তের AB গ্রুপ শতকরা – ৩%।
৪০। মানুষের রক্তের O+ গ্রুপ শতকরা – ৪৬%।
৪১। RBC – Red Blood cell।
৪২। রেসাস ফ্যাক্টরের সংকেত – Rh।
৪৩। রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে – ডা. কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার (১৯০০ সালে)।
৪৪। Rh ফ্যাক্টরের নামকরন করা হয় – বানর দ্বারা।
৪৫। হৃৎপিন্ডের অবস্থান – দুই ফুসফুসের মাঝে।
৪৬। হৃৎপিন্ডের ওজন – ৩০০ গ্রাম।
৪৭। হৃৎপিন্ডের সংকোচনকে বলা হয় – সিস্টোল।
৪৮। মানুষের হৃৎপিন্ড প্রকোষ্ঠ – ৪ ভাগে।
৪৯। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা – ৮০ থেকে ১২০ গ্রাম/ডেসি.লিটার।
৫০। HDL এর পূর্ণরুপ -High Density লিপপ্রতেইন
সাধারণ বিজ্ঞান: নবম-দশম শ্রেণি: চতুর্থ অধ্যায়
০১। বয়:সন্ধিকালের সময়কাল – ১১ হতে ১৯ বছর।
০২। টেস্টটিউবের প্রথম সফলতা পায় -ড.প্যাট্রিক স্টেপটো ও ড. রবার্ট এডওয়ার্ডের, ইংল্যান্ড।
১৯৭৮ সালে ২৫ জুলাই ১১.৫৭ মিনিটে লুইস জয় ব্রাউন নামের এক বেবি।
০৩। শৈশবকাল বলা হয় – ৫ বছর পর্যন্ত।
০৪। মানুষের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য দায়ী – ২টি।
০৫। ছেলেদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের জন্য দায়ী – টেস্টোস্টেরন।
মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের জন্য দায়ী – ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন।
০৬। প্রথম টেস্টিটিউব বেবি উদ্ভাবন করন – পেট্রুসি(১৯৫৯ সালে,ইটালিতে)।
০৭। লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম সংখ্যা – ১ জোড়া।
০৮। স্ত্রী লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম সংখ্যা – XX।
পুরুষের লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম সংখ্যা -XY।
০৯। মানব কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা – ২৩ জোড়া।
১০। পৃথিবীর উৎপত্তি ও জীনের উৎপত্তি ঘটনা প্রবাহকে বলে – রাসায়নিক বিবর্তন।
১১। সর্বপ্রথম জীনের উৎপত্তি – সমুদ্রের পানিতে।
১২। সংযোগকারী জীব বলা হয় – প্লাটিপাস (সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণির মধ্যে)
১৩। বয়:সন্ধিকালে কোন হরমোন প্রভাব নেই – ইনসুলিন।
১৪। বয়:সন্ধিকালে পরিবর্তনের জন্য দায়ী – হরমোন।
১৫। বয়:সন্ধিকালে পরিবর্তন প্রধানত – ৩ প্রকার।
১৬। সর্বপ্রথম জন্ম নেয়া টেস্টিটিউব বেবি বাঁচে – ২৯ দিন।(জন্ম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ইটালির বিজ্ঞানী ড.পেট্রুসি,১৯৫৯ সালে।)
১৭। বাংলাদেশের জন্ম নেয়া প্রথম ৩টি টেস্টিটিউব বেবির নাম – হিরা,মনি ও মুক্তা (২০০১ সালে)।
১৮। মানুষের অটোসোম – ৪৪ টি।
১৯। জীবাশ্ম আবিষ্কার করে – জেনোফেন।
২০। নিউক্লিক এসিড সৃষ্টিতে ভূমিকা রয়েছে – অতি বেগুনি রশ্মি।
২১। পৃথিবী একটি জ্বলন্ত গ্যাসপিন্ড ছিল – ৪৫০ কোটি বছর।
২২। সর্বপ্রথম কে “ইভোলিউশন” শব্দটি ব্যবহার করেন – হার্বাট স্পেনসার।
২৩। প্রাণ সৃষ্টিতে শুরুতে সর্বপ্রথম যৌগটি তৈরি হয় – অ্যামাইনো এসিড।
২৪। সময়ের সাথে নতুন প্রজাতির সৃষ্টিকে বলে – জৈব বিবর্তন।
২৫। অসম্পূর্ণ বিভক্ত নিলয় থাকে – সরীসৃপের।
২৬। উভচরের (ব্যাঙ) হৃৎপিন্ড প্রকোষ্ঠের সংখ্যা – ৩।
পাখির হৃৎপিন্ড প্রকোষ্ঠের সংখ্যা – ৪।
২৭। মানবদেহে লুপ্তপ্রায় অঙ্গটি – ককসিস।
২৮। “বায়োলজি” শব্দের প্রতিষ্ঠাতা” – ল্যামার্ক।
২৯। বংশগতির মতবাদ দেন – মেন্ডেল।
বংশগতির বিদ্যার জনক – গ্রেগর জোহান মেন্ডেল।
৩০। মানবদেহে নিষ্কিয় অঙ্গটি – অ্যাপেন্ডিক্স।
৩১। “Origin of species by meanse of natural selection” বইটির লেখক – চালর্স ডারউইন (১৮৫৯ সালে)।
(জন্ম -১৮০৯ সালে, ইংল্যান্ড সাসবেরি এবং
মৃত্যু-১৮৮২ সালে)।
৩২। স্যামন মাছ প্রজননের ঋতুতে ডিম পাড়ে – ৩ কোটি।
৩৩। “ফিলোসোফিক জুওলজিক” বইটির লেখক – ল্যামার্ক (১৮০৯ সালে)।
৩৪। “প্রাকৃতিক নির্বাচনে দায় প্রজাতির উদ্ভব” – গ্রন্থেরটি লেখক – চালর্স ডারউইন।
৩৫। ভাইরাস সৃষ্টি হয় – প্রোটোজোয়া থেকে।
৩৬। জৈব বিবর্তনের জনক – চার্লস ডারউইন।
৩৭। পৃথিবীর উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা – প্রায় ৪ লাখ।
৩৮। তিমি সাতাঁরে জন্য ব্যবহার করে – ফ্লিপার।
৩৯। “অনটোজেনি রিপিটস ফাইলোজেনি” কার ভাষ্য – হেকেল।
৪০। একটি সরিষা গাছ হতে বছরে বীজ জন্মায় – ৭,৩০,০০০।
এক জোড়া হাতির থেকে উদ্ভূত সবগুলো হাতি বেঁচে থাকলে ৭৫০ বছরে হাতির সংখ্যা হবে ১ কোটি ৯০ লাখ।
সাধারণ বিজ্ঞান: নবম-দশম শ্রেণি: পঞ্চম অধ্যায়
০১। গাড়ির দুইপাশে ও পিছনে হতে কয়টি দর্পণ ব্যবহার হয় – ৩টি।
০২। চাঁদ দিগন্তে দিকে লাল দেখায় কেন – বায়ুমণ্ডলীয় প্রতিসরণের জন্য।
০৩। +2D লেন্সটির ফোকাস দূরত্ব – ০.৫ মি।
-2D লেন্সটির ফোকাস দূরত্ব – ৫০ সে.মি।
০৪। লেন্সের ক্ষমতা এস. আই একক – রেডিয়ান/মিটার।
০৫। শিশুর স্বাভাবিক চোখের স্পষ্ট দৃষ্টির নূন্যতম দূরত্ব – ৫ সেমি।
০৬। চোখের কোন অংশে উল্টো প্রতিবিম্ব গঠিত হয় – রেটিনা।
০৭। বয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক চোখের স্পষ্ট দৃষ্টির নূন্যতম দূরত্ব – ২৫ সেমি।
০৮। অাবছা আলোয় সংবেদনশীল হয় – রড।
০৯। রড অনুভূতি ও রঙের পার্থক্য নির্ধারণে সাহায্য করে – কোণ।
১০। আপতিত রশ্মি ও অভিলম্বের মধ্যবর্তী কোণকে বলে – আপতন কোণ।
১১। সংকট কোনের ক্ষেত্রে প্রতিসরণ কোণ – ৯০ ডিগ্রী।
১২। ঘন মাধ্যমে আলোর বেগ – কমে যায়।
১৩। উভয় লেন্সের বক্রতার ব্যাসার্ধ ও কেন্দ্র – ২টি।
১৪। উভয় লেন্সের আলোক কেন্দ্র – ১টি।
১৫। অবতল লেন্সের অপর নাম – অপসারী লেন্স।
১৬। আলো এক প্রকার – শক্তি।
১৭। লেন্স প্রধানত – ২ প্রকার।
১৮। চোখ কাজ করে – অভিসারী লেন্সের মতো।
১৯। চোখের ত্রুটি – ৪ ধরনের।
২০। চোখ ভালো রাখার জন্য বেশি প্রয়োজন – প্রোটিন যুক্ত খাবার।
২১। যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে – দর্পণ বলে।
২২। নিরাপদ ড্রাইভিং এর শর্ত – নিজ গাড়ির আশে পাশে সর্বদা খেয়াল রাখা।
২৩। পাহাড়ি রাস্তার বিপদজনক বাঁকে সমতল দর্পণ ব্যবহার হয় – ৯০ ডিগ্রী।
২৪। আলোর প্রতিসরণের সূত্র – ২ টি।
২৫। মানুষের দর্শনানুভুতির স্থায়িত্বকাল – ০.১ সেকেন্ড।
২৬। চোখের আলোক সংবেদন আবরণ – রেটিনা।
২৭। দর্পণ বিশেষভাবে ব্যবহার হয় – নিরাপদ ড্রাইভিং এ।
২৮। আলোর প্রতিসরণ ব্যবহার হয় – এক্স-রে তে।
২৯। চোখের রেটিনার রং – গোলাপি।
৩০। চোখের উপাদান নয় – আইভ্রু।
৩১। পানিতে নৌকার বৈঠা বাঁকা দেখা যাওয়ার কারন – আলোর প্রতিসরণের কারনে।
৩২। স্বাভাবিক চোখের দূরবিন্দুর দূরত্ব – অসীম।
৩৩। +1D ক্ষমতা লেন্সের ফোকাস দূরত্ব -100cm উত্তল।
৩৪। বায়ু সাপেক্ষ কাচের প্রতিসরণাঙ্ক – ১.৫।
৩৫। রাস্তার বাতিতে ব্যবহার হয় – উত্তল দর্পণ।
সাধারণ বিজ্ঞান: নবম-দশম শ্রেণি: ষষ্ঠ অধ্যায়
০১। প্রাকৃতিক পলিমার – রাবার।
০২। ভিনাইল ক্লোরাইড নামক মনোমার থেকে তৈরি হয় -পি ভি সি পাইপ।
০৩। কৃত্রিম পলিমার – পলিথিন।
০৪। প্যারাসুটের কাপড় তৈরিতে ব্যবহার – নাইলন।
০৫। আলফা কী – পশম।
০৬। প্লাষ্টিক শব্দের অর্থ – সহজে ছাঁচযোগ্য।
০৭। পলিথিনের সংকেত – [-CH2-CH2-]n
০৮। পলিমারের ক্ষুদ্র অনুকে বলে – মনোমার।
০৯। পলিমার শব্দটি – গ্রীক।
১০। গ্রীক শব্দ “মেরোস” এর অর্থ – অংশ।
১১। মানুষের চুলে আর নখে থাকে – কেরাটিন প্রোটিন।
১২। তন্তুর রানী – রেশম।
১৩। চেল্লার অপর নাম – পিল।
১৪। জন্মদিনে ব্যবহারিত বেলুনে দ্রবীভূত হয় – বেনজিন।
১৫। রাবার সাধারণত কোন ধরনের হয় – হালকা বাদামি।
১৬। “পলি” অর্থ – অনেক।
১৭। উৎস অনুযায়ী পলিমার – ২ ভাগে ভাগ করা যায়।
১৮। আমরা যে পলিথিন ব্যবহার করি তা – “ইথিলিন” নামক মনোমার হতে তৈরি পলিমার।
১৯। তন্তু – ২ প্রকার।
২০। প্রায় ৪০ জাতের মেষ হতে পশম তৈরি হয় – ২০০ প্রকার।
সাধারণ বিজ্ঞান: নবম-দশম শ্রেণি: সপ্তম অধ্যায়
০১। ভিনেগারের সংকেত – (CH3COOH)।
০২। শক্তিশালী এসিড – সালফিউরিক এসিড,নাইট্রিক এসিড,হাইড্রোক্লোরিক এসিড।
০৩। এসিড নীল লিটমাসকে কোন রং এ পরিবর্তন করে – লাল।
০৪। লাল লিটমাস কাগজকে ক্ষারের মধ্যে ডুবালে কোন রং হবে – নীল।
০৫। হিস্টামিনকে অকার্যকর করে – ভিনেগার।
০৬। ভিনেগারের অপর নাম – এসিটিক এসিড,সিরকা।
০৭। টেস্টিংসল্ট যে নামে পরিচিতি – মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট।
০৮। জৈব এসিড – (CH3COOH)।
০৯। অম্লীয় দ্রবণের জন্য সঠিক – pH<7।
১০। আমাদের ধমনির রক্তের pH -7.4।
১১। ক্ষারক – (NaOH)।
NaOH (সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড) ক্ষারক। তেমনি ১২ নাম্বার Ca(OH)2(ক্যালসিয়াম হাইড্রোঅক্সাইড) ও ক্ষারক। যে সকল যৌগে OH( হাইড্রোক্সাইড) থাকে তার সব ই ক্ষারক।
যেমন: Al(OH)3 (এলুমিনিয়াম হাইড্রোঅক্সাইড)।Mg(OH)2 (ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড)।
১২। স্লাক লাইম – [Ca(OH)2]।
১৩। পিঁপড়া কামরে নি:সৃত হয় – ফরমিক।
১৪। মৌমাছি হুল ফুটালে ব্যবহার করা হয় – জিংক কার্বোনেট (ZnCO3)।
১৫। চামড়া ট্যানিং করতে ব্যবহার হয় – খাবারের লবন।
১৬। জীবানুনাশক হিসেবে ব্যবহার হয় – (CuSO4)।
১৭। অ্যামোনিয়া নাইট্রেট তৈরি হয় – HNO3 থেকে।
১৮। NaCl+HCl= NaOH(লবন)+H2O( পানি)
১৯। কাপড় কাচার সোডার সাথে থাকে – ১০ অনু পানি।
২০। আইপিএস এর অত্যাবশ্যকীয় উপাদান – সালফিউরিক এসিড (H2SO4)।
২১। ভিনেগার সংকেতে থাকে – ৪টি হাইড্রোজেন।
২২। বেকিং সোডার সংকেতে হাইড্রোজেন পরমানুর সংখ্যা – ১টি।
২৩। মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক এসিড – হাইড্রোক্লোরিক।
২৪। নির্দেশক হলো – রাসায়নিক পদার্থ।
২৫। নির্দেশক – ৪ ধরনের।
২৬। রক্তে pH এর মান কতটুকু পরিবর্তিত হলে মৃত্যু হতে পারে – 0.4।
২৭। এসিডের পরিমান বাড়লে, pH এর মান – কমে।
২৮। পাকস্থলী pH কত কম বা বেশি হলে বদহজম সৃষ্টি হয় – 0.5।
২৯। শিশুদের ত্বকের pH এর মান – 7।
৩০। আমাদের পাকস্থলীর খাদ্য হজমের জন্য দরকারি pH – 2।
৩১। ক্যালমিনের মূল উপাদান – (ZnCO3)।
৩২। টুথপেস্টের pH সাধারণত – ৯ হতে ১১ মধ্যে হয়।
৩৩। অ্যান্টাসিড হলো – ক্ষার।
৩৪। প্রশমন কিক্রিয়ার মান হয় – ৭।
৩৫। কপার সালফেটকে বলা হয় – তুঁত।
৩৬। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট – সার।
৩৭। দইয়ে ও বোরহানিতে থাকে – ল্যাকটিক এসিড।
৩৮। বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইন অনুযায়ী এসিড ছোড়ার শাস্তি – মৃতুদন্ড (১৯৯৫ সালের আইন)।
৩৯। জবা ফুলের রং এসিডের মধ্যে উৎপন্ন করে – লাল রং।
৪০। জবা ফুলের রং ক্ষারকের মধ্যে উৎপন্ন করে – নীল রং।
৪১। আমাদের জিহ্বার লালায় কার্যকরী pH – 6.6।
৪২। নিরপেক্ষ জলীয় দ্রবণ pH এর মান – 7।
৪৩। আমাদের ত্বকের pH এর মান – 4-6।
৪৪। টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয় – খাবার স্বাদ বৃদ্ধির জন্য।
৪৫। কাপড় কাঁচার মূল উপাদান – সোডিয়াম স্টিয়ারেট।
৪৬। দূর্বল এসিড – এসিটিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, অক্সালিক এসিড।
৪৭। শক্তিশালী এসিড – সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড।
৪৮। চিনির রাসায়নিক নাম -সুক্রোজ।
৪৯। ব্লিচিং পাউডার-Ca(OCl)Cl
ফিটকিরি-K2SO4.Al2(SO4)3.24H2O
এই দুইটি রাসায়নিক পদার্থ পানি বিশুদ্ধ করনে ব্যবহার করা হয়।
৫০।নির্দেশক হলো অই সকল রাসায়নিক পদার্থ যারা নিজেদের রঙ পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো পদার্থ এসিড, ক্ষারক না নিরপেক্ষ তা নির্দেশ করে। যেমন: লিটমাস পেপার, মিথাইল অরেঞ্জ, মিথাইল রেড, ফ্যানফথেলিন।
সংকেতসমূহ (১-৩০):
০১।এসিটিক এসিড – (CH3COOH)।
০২।সাইট্রিক এসিড – (C6H8O7)।
০৩।অক্সালিক এসিড – (HOOC-COOH)।
০৪।সালফিউরিক এসিড – (H2SO4)।
০৫।নাইট্রিক এসিড – (HNO3)।
০৬।হাইড্রোক্লোরিক এসিড – (HCl)।
০৭।কার্বোনিক এসিড – (H2CO3)।
০৮।তুতের – (CoSO4.5H2O)।
০৯।অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এসিড – (NH4NO3)।
১০।অ্যামোনিয়াম সালফেট এসিড – ((NH4)2SO4)।
১১।অ্যামোনিয়াম ফসফেট – ((NH4)3PO4)।
১২।পটাসিয়াম স্টেয়ারেট এসিড – (Cl7H35COOKa)।
১৩।ফসফরিক এসিড – (H3PO4)।
১৪।জিংক কার্বোনেট এসিড – (ZnCO3)।
১৫।চুনাপাথর – (CaCO3)।
১৬।ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এসিড – (Mg(OH)2)।
১৭।অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এসিড – (Al(OH)3)।
১৮।খাবার সোডা – (NaHCO3)।
১৯।ক্যালসিয়াম কার্বোনেট এসিড – (CaCO3)।
২০।সিলভার সালফেট – (Ag2SO4)।
২১।মারকিউরিক সালফেট এসিড – (HgSO4)।
২২।মারকিউরিক ক্লোরাইড এসিড – (AgCl)।
২৩।সোডিয়াম ক্লোরাইড – (NaCl)।
২৪।সোডিয়াম স্টেয়ারেট এসিড – (Cl7H35COONa)।
২৫।সোডিয়াম কার্বোনেট এসিড – (Na2CO3)।
২৬।কপার সালফেট এসিড – (CuSO4)।
২৭।পটাসিয়াম নাইট্রেট এসিড – (KNO3)।
২৮।ম্যাগনেটাইট – (Fe3O4)
২৯।কোয়ার্টজ – (SiO2)
৩০।জিপসাম – (CaSO4.2H2O)।
উল্লেখ্য, জিপসামের 2 ও তুতের মাঝখানের 5 বাদে সবসংখ্যাগুলো একটু নিচে হবে।
সাধারণ বিজ্ঞান: নবম-দশম শ্রেণি: অষ্টম অধ্যায়
০১। হিউমাস তৈরি হয় – মৃত গাছপালা আর প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে।মাটিতে বিদ্যমান কালচের রংয়ের জৈব পদার্থ।
০২। মাটিতে বিদ্যমান পানির পরিমান – ২৫%।
০৩। মাটিতে pH কত হলে গম উৎপাদনের পরিমান সবচেয়ে বেশি হয় – ৫-৬।
০৪। কোন মাটির কণা সবচেয়ে বড় হয় – বালু মাটির।
০৫। মাটির গঠন অনুযায়ী জৈব পদার্থের শতকরা পরিমান – ৫%।অজৈব – ৪৫%,বায়বীয় ২৫%,পানি ২৫%।
০৬। কোন মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি – পলি মাটির।
০৭। মাটির বৈশিষ্ট্য উপর ভিত্তি করে মাটি – ৪ প্রকার।
০৮। চেরনোবিল দুর্ঘটনার কারন ছিল – তৈজস্ক্রিয় পদার্থ।
০৯। সিমেন্ট ও প্লাস্টার অব প্যারিস তৈরির কাঁচামাল – জিপসাম।
১০। সবচেয়ে নরম খনিজ – ট্যালক।
১১। ফসল চাষাবাদের জন্য খুবই উপযোগী – দো-আঁশ মাটি।
১২। প্রকৃৃতিতে খনিজ পদার্থ পাওয়া গেছে – ২৫০০ ধরনের।
১৩। সিএনজি এর মূল উপাদান – মিথেন গ্যাস।
১৪। পেট্রোলিয়াম ব্যবহার হয় – আলকাতরা তৈরিতে।
১৫। কয়লায় কার্বনের পরিমান – অ্যানথ্রাসাইট-৯৫%, বিটুমিনাস-৫০ থেকে ৮০%, লিগনাইট – ৫০%।
১৬। সবচেয়ে পুরোনো কয়লা – অ্যানথ্রাসাইট।
১৭। ইউরিয়ার সারের কাঁচামাল হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার – ২১ ভাগ।
১৮। বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার – ৫১ ভাগ।
১৯। শিল্প কারখানায় প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার – ২২ ভাগ।
২০। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার – ১ ভাগ।
২১। বাসা বাড়িতে রান্নার প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার – ১১ ভাগ।
২২। মাটির কোন স্তরে উদ্ভিদ ও প্রানীর পচন শুরু হয় – হরাইজোন A।
২৩। সবচেয়ে কঠিন খনিজ – হীরা।
২৪। কোয়ার্টজের অপর নাম – সিলিকন ড্রাই অক্সাইড (SiO2)।
২৫। কার্বনের রুপভেদ – ২টি।
২৬। পেট্রোলিয়ামকে পরিশোধনের জন্য আংশিক পাতন প্রক্রিয়ার তাপমাত্রা ব্যবহার হয় – ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৭। মাটিতে বিদ্যমান বায়বীয় পদার্থের পরিমান – ২৫%।
২৮। মাটির নিরপেক্ষ হলে এর pH মান – ৭।
২৯। মাটির pH এর মান কত হলে জব উৎপাদন সর্বোচ্চ হয় – ৮।
৩০। মাটিতে চুন যোগ করা হয় – pH বাড়াতে।
৩১। ধাতব মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহার হয় – Ag।
৩২। ট্যালকম পাউডারে ব্যবহার হয় – Talc।
৩৩। আমাদের দেশে জ্বালানী হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে – ২০০৩ সাল হতে।
৩৪। কয়লা ৩ প্রকার – অ্যানথ্রাসাইট,ল
িগনাইট, বিটুমিনাস।
৩৫। কয়লা উত্তোলনের পদ্ধতি – ২ টি।
৩৬। প্রাকৃতিক গ্যাসের শতকরা সিস্টেম লস হয় – ৫ ভাগ।
৩৭। ওয়াটার প্রুফ দ্রব্য প্রস্তুতে ব্যবহার হয় – বিটুমিন।
৩৮। CNG অর্থ – Compressed Natural Gas।
৩৯। মাটির ২য় স্তর – হরাইজোন বি / সাবসয়েল।
৪০। মাটির ৩য় স্তর – হরাইজোন সি।
মাটির ৪র্থ স্তর – হরাইজোন ডি।
সাধারণ বিজ্ঞান: নবম-দশম শ্রেণি: নবম অধ্যায়
০১। অ্যানথাক্স রোগ হয় – গবাদিপশুর।
০২। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয় যাবে – ৩০%।
০৩। সামুদ্রিক প্রবালে জীবনযাপনের উপযোগী তাপমাত্রা – ২২-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৪। সমুদ্রের পানি ২ মিটার বাড়লে বাংলাদেশের যে পরিমান এলাকা পানির নিচে যাবে – ১/১০ অংশ।
০৫। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারন – উষ্ণতা বৃদ্ধি।
০৬। ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়তে পারে – ১.১-৬.৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৭। বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী সাইক্লোণ আঘাত হানে – ১৯৯১ সালে (২২৫ কি.মি/ঘণ্টায়)।
০৮। টর্নেডো শব্দটি এসেছে – স্প্যানিশ ভাষা হতে (দৈর্ঘ্য – ৫-৩০ কি.মি)।
০৯। ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের নাম – রিখটার স্কেল।
১০। খাদ্য ঘাটতির কারনে প্রতিবছর খাদ্য আমদানি করতে হয় – ২ মিলিয়ন মেট্রিক টন।
১১। যে রাসায়নিক দ্রব্য বাতাশে ছড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ কমানো যায় – সিলভার আয়োডাই (AgI)।
১২। সুনামি – জাপানি শব্দ।
১৩। সাইক্লোন তৈরি হতে সাগরের তাপমাত্রা প্রয়োজন – ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৪। আমেরিকাতে ঘূর্ণিঝড়কে বলে – হারিকেন।
দূরপ্রাচ্যের দেশগুলো ঘূর্ণিঝড়কে বলে – টাইফুন।
১৫। বাতাশে অক্সিজেন ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে – ৪০-৫০ সেকেন্ড।
১৬। গত ১০০ বছরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে – ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৭। ভূমিকম্পের ফলে বাংলাদেশের যে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয় – ব্রহ্মপুত্র।
১৮। জীবানু জন্মানোর সহায়ক তাপমাত্রা – ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৯। সমুদ্রের পানির উচ্চতা ৪৫ সে.মি বাড়লে সুন্দরবন তলিয়ে যাবে – ৭৫%।
২০। ২০১০ সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রবাল বিলীন হয়ে যায় – ৭০ ভাগ।
২১। বাংলাদেশের নদীর মধ্যে ভারত,নেপাল,ভুটানে উৎপত্তি লাভ করছে – ৫৮ টি।
২২। বাংলাদেশের একমাত্র ম্যানগ্রোভ বন – সুন্দরবন।
২৩। বেশি প্রবাল পাওয়া যায় – সেন্টমার্টিনে।
২৪। ২০৫০ সালে লবণাক্ততার পরিমান হবে – ১৬%।
২৫। IPCC- Intergovernmental Panel on Climate Change.
২৬। জলবায়ু প্রভাব সম্পর্কিত IPCC সংস্থার মূল্যায়ন রিপোর্টির নাম – AR4।
২৭। বিশ্বের জনসংখ্যা – ৬.৬ বিলিয়ন।
২৮। কত সালের বন্যায় মানুষের দুভির্ক্ষ দেখা দেয় – ১৯৭৪ সালের।
২৯। El-nino শব্দটি সম্পর্কিত – খরার সাথে।
৩০। বাংলাদেশে ভয়াবহ খরা হয় – ১৯৭৮-৭৯ সালে।
৩১। খরার অন্যতম কারন – গভীর নলকূপ স্থাপন করা।
৩২। “সিডর” শব্দের অর্থ – চোখ।
বাংলাদেশে আঘাত হানে -২০০৭ সালে।
৩৩। “Tornado” শব্দের অর্থ – বজ্রঝড়।
“Kyklos” শব্দের অর্থ – সাপের কুন্ডলী।
৩৪। সুনামীকে পৃথিবীর কত নম্বর প্রাকৃতিক দূর্যোগ বলা হয় – ৩য়।
৩৫। বাংলাদেশ সুনামীতে ক্ষতিগ্রস্ত হন – ১৯৬২ সালে ২ এপ্রিল।
৩৬। pH এর মান কত হলে মাছের বেশিরভাগ ডিম নষ্ট হয়ে যায় – ৫ এর কম।
৩৭। পানিতে এসিড থাকলে pH এর মান হয় – ৭ এর কম।
৩৮। “Disaster” শব্দের অর্থ – দুর্যোগ।
৩৯। বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে ভারতে জন্ম প্রায় – ৫৫ টি নদীর।
৪০। রিখটার স্কেলে ১ মাত্রা বাড়া মানে ভূমিকম্পের শক্তি – ৩০ গুণ বেড়ে যাওয়া।
সাধারণ বিজ্ঞান : নবম-দশম শ্রেণি : দশম অধ্যায়
০১। কোনটি ভেক্টর রাশি – বল, ত্বরণ।
০২। চলন্ত বাস থেমে গেলে বাসের যাত্রীরা সামনে ঝুঁকে যায় কেন – গতির জড়তার কারনে।
০৩। নিউটনের প্রথম সূত্র হতে কোন বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায় – জড়তা ও বল।
০৪। নিউটনের ২য় সূত্র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য – বল=ভর*ত্বরণ।
০৫। শক্তিশালী নিউক্লিয় বল দূর্বল নিউক্লিয় বলের তুলনায় কতগুন বেশি -১০^১২।
০৬। বলের একক – নিউটন।
গতিবিষয়ে সূত্র প্রদান করে – নিউটন।
০৭। স্যুটকেসের নিচে চাকা লাগনো হয় কেন – ঘর্ষণ কমাতে।
ঘর্ষণ কমাতে ব্যবহান হয় – লুব্রিকেন্ট।
০৮। গাছ হতে নিচে ফল পড়ে – মাধ্যাকর্ষণ বলের কারনে।
০৯। বেগের পরিবর্তন হারকে বলে – ত্বরণ।
১০। নিউটনের কোন সূত্র ব্যবহার করে রকেট চলে – ৩য়।
১১। চৌম্বক বল কয়টি ধর্ম প্রদর্শন করে – ২টি।
১২। শক্তিশালী নিউক্লিয় বলের পাল্লা কেমন – অতিক্ষুদ্র।
১৩। পৃথিবীর ও একটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাকে বলে – অভিকর্ষ।
১৪। লেপটন ও হাউন হচ্ছে -মৌল কনিকা।
১৫। নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘোরে – ইলেকট্রন।
১৬। নিউটনের গতিসূত্র প্রকাশ হয় – ১৬৮৭।
১৭। নিউটন কয়টি বিষয়ে উপর সম্পর্ক স্থাপন করে – ৪টি।
মৌলিক বল – ৪টি।
১৮। জড়তা – ২ প্রকার।
১৯। হাঁটতে গেলে উচু নিচু জায়গায় হোঁচট খাই কেন – স্থিতি জড়তার জন্য।
২০। সময়ের সাথে বস্তুর অবস্থান পরিবর্তনকে বলে – গতি।
২১। ঝুরঝুর বালিতে হাঁটা যায় না কেন – বল প্রয়োগ হয় না তাই।
২২। যে বলের কারনে রকেট জ্বালানী নির্গত হওয়ার বিপরীত দিকে চলে – ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া বলের কারনে।
২৩। ক্রিকেট বল ব্যাটের ওপর কোন বল ক্রিয়া করে – প্রতিক্রিয়া বল।
২৪। পদার্থের নিজস্ব অবস্থা বজায় রাখতে চাওয়ার ধর্মকে বলে – জড়তা।
পদার্থের জড়তা পরিমাপ হচ্ছে – ভর।
২৫। প্যারাসুট নিয়ে প্লেন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লে কোন ঘর্ষণের কারনে নিচে নামতে পারে – প্রবাহী ঘর্ষণ।
২৬। ঘর্ষণ বল কয়টি বিষয়ে নির্ভর করে – ২টি।
২৭। তেল বা গ্রিজ তলগুলোকে কী করে – মসৃণ।
২৮। গাড়ির টায়ারে সুতোর ব্যবহার হয় – সড়ক আঁকরে ধরার জন্য।
২৯। কিসের কারনে আমরা বই খাতা ধরে রাখতে পারি – ঘর্ষণের কারনে।
৩০। চাঁদ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে কেন- মাধ্যাকর্ষণ বলের জন্য।
৩১। যে পদার্থ চুম্বকে আকর্ষণ করে তাকে -চুম্বক পদার্থ বলে।
৩২। সকল পদার্থ – পরমানু দিয়ে গঠিত।
৩৩। যা বস্তুর অবস্থান পরিবর্তন করতে চায় – বল।
৩৪। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির তুলনায় তড়িৎ চৌম্বক বল কতগুণ বেশি শক্তিশালী – ১০^২০ গুন।
৩৫। নিউটনের প্রথম সূত্র – বাইরে থেকে কোন বল প্রয়োগ না করে স্থির বস্তু স্থিরই থাকবে এবং সমবেগে চলতে থাকা বস্তু সমবেগে চলতে থাকবে।
৩৬। নিউটনের ২য় সূত্র – বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক।
৩৭। নিউটনের ৩য় সূত্র – প্রত্যেক ক্রিয়া বলেরই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া বল আছে।
৩৮। ভরের একক – কেজি।
৩৯। রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটনের জন্য দায়ী – তাড়িৎ চৌম্বক বল।
সাধারণ জ্ঞানঃ ২০
এক নজরে বাংলাদেশ
ü সরকারি নাম- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ (Peoples Republic of Bangladesh)
ü সরকার পদ্ধতি- সংসদীয় গণতন্ত্র/সরকার
ü সংসদ- এককক্ষ বিশিষ্ট
ü আয়তন- ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার
ü জনসংখ্যা- ১৬,১০,৮৩,৮০৪ (২০১২)
· ১৪,২৩,১৯,০০০ (প্রাথমিক জনসংখ্যা রিপোর্ট)
· ১৫,৭৯,০০,০০০ (অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১১)
ü রাজধানী- ঢাকা
ü মুদ্রা- টাকা
ü মোট সীমা- ৫,১৩৮ কিলোমিটার
ü গড় আয়ু- ৬০(৬০.২৫) বছর (৬৭.২ বছর; অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১১)
ü স্বাক্ষরতার হার- ৫৬.৭% (অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১১)
ü মাথাপিছু আয়- ৮১৮ মার্কিন ডলার (অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১১)
ü স্থানীয় সময়- গ্রিনিচ সময়ের চেয়ে ৬ ঘণ্টা আগে (গ্রিনিচ +৬)
ü ধর্ম- মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, অন্যান্য
ü বিভাগ- ৭টি (সর্বশেষ বিভাগ- রংপুর)
ü জেলা- ৬৪টি
ü উপজেলা- ৪৮৩টি (সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মির্জাপুর, বর্তমান নাম বিজয়নগর)
ü ৪৮৪ তম উপজেলা কুমিল্লার ভাঙ্গুরা
ü থানা- ৬০৩টি
ü ইউনিয়ন- ৪৪৮৫টি
ü গ্রাম- ৮৭৩১৯টি
ü সিটি কর্পোরেশন- ৮টি (সর্বশেষ- নারায়ণগঞ্জ, ৭ম; কুমিল্লা, ৮ম)
জেলা
ü সর্ব উত্তরের জেলা- পঞ্চগড় (থানা- তেঁতুলিয়া)
ü সর্ব দক্ষিণের জেলা- কক্সবাজার (থানা- টেকনাফ)
ü সর্ব পশ্চিমের জেলা- চাঁপাই নবাবগঞ্জ (থানা- শিবগঞ্জ)
ü সর্ব পূর্বের জেলা- বান্দরবান (থানা- থানচি)
ü সর্ব দক্ষিণের স্থান- ছেঁড়া দ্বীপ (সেন্ট মার্টিন দ্বীপ)
ü আয়তনে সবচেয়ে বড় জেলা- রাঙামাটি
ü আয়তনে সবচেয়ে ছোট জেলা- মেহেরপুর
ü জনসংখ্যায় সবচেয়ে বড় জেলা- ঢাকা
ü জনসংখ্যায় সবচেয়ে ছোট জেলা- বান্দরবান
ü বৃহত্তম পাহাড়- গারো পাহাড় (ময়মনসিংহ জেলায়)
ü উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ- তাজিনডং বা বিজয় (বান্দরবান জেলায়)
ü বাংলাদেশের পাহাড়গুলো গঠিত- টারশিয়ারি যুগে
ü বাংলাদেশের উপর দিয়ে গেছে- কর্কটক্রান্তি রেখা (Tropic of Cancer)
ü সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড- বঙ্গোপসাগরে
জাতীয় বিষয়াবলী
v জাতীয় প্রতীক- উভয় পাশে ধানের শীষ বেষ্টিত পানিতে ভাসমান শাপলা; শাপলা ফুলের মাথায় পাটগাছের পরস্পর সংযুক্ত তিনটি পাতা; পাতার দুই পাশে দুটি করে তারকা বা তারা
v জাতীয় প্রতীকের ডিজাইনার- কামরুল হাসান
v জাতীয় পাখি- দোয়েল
v জাতীয় ফুল- শাপলা
v জাতীয় ফল- কাঁঠাল
v জাতীয় পশু- রয়েল বেঙ্গল টাইগার
v জাতীয় মাছ- ইলিশ
v জাতীয় বন- সুন্দরবন
জাতীয় গাছ- আমগাছ
v জাতীয় মসজিদ- বায়তুল মোকাররম (১৯৮২ সালে ঘোষণা করা হয়)
v জাতীয় গ্রন্থাগার- গুলিস্তানে
v জাতীয় যাদুঘর- শাহবাগে
v জাতীয় উদ্যান- সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
v জাতীয় বিমানবন্দর- শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (পুরাতন নাম- জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর)
v জাতীয় খেলা- কাবাডি (হা-ডুডু)
v জাতীয় কবি- কাজী নজরুল ইসলাম
v জাতীয় শিশু পার্ক- শাহবাগ শিশু পার্ক
v জাতীয় উৎসব- বাংলা নববর্ষ/বাংলা বর্ষবরণ
v জাতীয় দিবস- ২৬ মার্চ (১৯৮০ সালে ঘোষণা করা হয়)
v রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম- লালবৃত্তের মাঝে হলুদ মানচিত্র; তার উপরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এবং নিচে সরকার; উভয় পাশে ২টি করে মোট ৪টি তারা
v রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামের ডিজাইনার- এ. এন. এ. সাহা
জাতীয় সঙ্গীত
Ø জাতীয় সঙ্গীত- ‘আমার সোনার বাংলা’ গানের প্রথম ১০ চরণ
Ø গীতিকার ও সুরকার- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Ø রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে গাওয়া/বাজানো হয়- প্রথম ৪ চরণ
Ø সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়- বঙ্গদর্শন পত্রিকায়
Ø স্বরবিতান কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত
Ø জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়- ৩ মার্চ, ১৯৭১, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে
রণ সঙ্গীত
Ø রণ সঙ্গীত- ‘চল চল চল’ গানের প্রথম ২১ চরণ
Ø গীতিকার ও সুরকার- কাজী নজরুল ইসলাম
Ø রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে গাওয়া/বাজানো হয়- প্রথম ২১ চরণ
Ø প্রথম প্রকাশিত হয়- শিখা পত্রিকায়
Ø প্রথম প্রকাশিত হয়- ‘নতুনের গান’ নামে
Ø সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত
জাতীয় পতাকা
v ডিজাইন- গাঢ় সবুজের মাঝে লাল বৃত্ত
v ডিজাইনার- কামরুল হাসান
v মানচিত্রখচিত বাংলাদেশের প্রথম পতাকার ডিজাইনার- শিব নারায়ণ দাশ
v দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত- ১০:৬ বা ৫:৩
v লাল বৃত্তের মাপ- পতাকার ৫ ভাগের ১ ভাগ (১/৫ অংশ)
v পতাকা দিবস- ২ মার্চ
v প্রথম উত্তোলন করেন- আ স ম আব্দুর রব (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায়)
v বিদেশে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন- ভারতের কলকাতায়, বাংলাদেশ মিশনে
v বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে মিল আছে- জাপানের পতাকার
প্রথম বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকেন- মেজর জেমস রেনেল (বাংলার তথা ভারতবর্ষের প্রথম সার্ভেয়ার)
ü আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
ü আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- ২১ ফেব্রুয়ারি
ü আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে- ইউনেস্কো (১৯৯৯ সালে)
ü ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রথম পালিত হয়- ২০০০ সালে
ü ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে- ১৮৮টি দেশ
গুরুত্বপূর্ণ দিবসসমূহ
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
১০ জানুয়ারি
শহীদ আসাদ দিবস
২০ জানুয়ারি
জনসংখ্যা দিবস
২ ফেব্রুয়ারি
শহীদ দিবস/আন্তঃ মাতৃভাষা দিবস
২১ ফেব্রুয়ারি
জাতীয় পতাকা দিবস
২ মার্চ
রাষ্ট্রভাষা দিবস
১১ মার্চ
শিশু দিবস
১৭ মার্চ
ছয়দফা দিবস
২৩ মার্চ
কালোরাত্রি দিবস
২৫ মার্চ
স্বাধীনতা দিবস/জাতীয় দিবস
২৬ মার্চ
প্রতিবন্ধী দিবস
৫ এপ্রিল
মুজিবনগর দিবস
১৭ এপ্রিল
পলাশী দিবস
২৩ এপ্রিল
পরিবেশ দিবস
৫ জুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
১ জুলাই
জাতীয় শোক দিবস
১৫ আগস্ট
আয়কর দিবস
১৫ সেপ্টেম্বর
জেলহত্যা দিবস
৩ নভেম্বর
সংবিধান দিবস
৪ নভেম্বর
জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস
৭ নভেম্বর
শহীদ নূর হোসেন দিবস
১০ নভেম্বর
মুক্তিযোদ্ধা দিবস
১ ডিসেম্বর
স্বৈরাচার পতন দিবস
৬ ডিসেম্বর
বেগম রোকেয়া দিবস
৯ ডিসেম্বর
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
১৪ ডিসেম্বর
বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর
ü বাংলাদেশ- একটি গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র
ü বাংলাদেশের সরকার পদ্ধতি- এককেন্দ্রীক
ü গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন- সংবিধান
ü দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষ- শাসন বিভাগ
ü বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ভাগ- ১১টি
ü সংবিধানে অনুচ্ছেদ আছে- ১৫৩টি
ü সংবিধানে ভাগ- ১১টি, অনুচ্ছেদ- ১৫৩টি
ü সংবিধানে তফসিল আছে- ৪টি
ü সংবিধানে মূলনীতি আছে- ৪টি
v সংবিধানের রূপকার- ড. কামাল হোসেন
v সংবিধান রচনা কমিটির সদস্য- ৩৪ জন(প্রধান ছিলেন- ড. কামাল হোসেন)
v সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য- সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
ü সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য- বেগম রাজিয়া বানু
ü বাংলাদেশের সংবিধান তৈরি করা হয়- ভারত ও বৃটেনের সংবিধানের আলোকে
ü বাংলাদেশের সংবিধান জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন- ড. কামাল হোসেন
ü সংবিধান সর্বপ্রথম গণপরিষদে উত্থাপিত হয়- ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর
ü সংবিধান গণপরিষদে গৃহীত হয়- ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর
ü সংবিধান কার্যকর হয়- ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২
ü সংবিধান দিবস- ৪ নভেম্বর
v হস্তলিখিত লিখিত সংবিধানের অঙ্গসজ্জা করেন- শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন
ü সংবিধান- ২ প্রকার; লিখিত সংবিধান ও অলিখিত সংবিধান
ü বাংলাদেশের সংবিধান- লিখিত সংবিধান
ü লিখিত সংবিধান নেই- বৃটেন, নিউজিল্যান্ড, স্পেন ও সৌদি আরব
ü বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংবিধান- ভারতের; আর ছোট- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
ü বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী- ১৪ বছরের নিচের শিশুদের শ্রমে নিয়োগ করা যাবে না
সংসদের বিভিন্ন সময়সীমা
ü সংসদ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন আহ্বান করতে হয়
ü সংসদের দুই অধিবেশনের মধ্যবর্তী সময় সর্বোচ্চ- ৬০ দিন
ü সংসদ অধিবেশনের কোরাম- ৬০ জন
ü স্পিকারের অনুমতি ছাড়া সংসদে অনুপস্থিত থাকা যায়- ৯০ দিন
ü (স্পিকারের অনুমতি ছাড়া ৯০ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যায়)
ü সংসদ ভেঙে গেলে বা মেয়াদে শেষ হয়ে গেলে নির্বাচন দিতে হয়- ৯০ দিনের মধ্যে
সুপ্রিম কোর্ট
ü বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত- সুপ্রিম কোর্ট
ü সুপ্রিম কোর্টের বিভাগ- ২টি (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ)
ü সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব দিয়েছে- হাইকোর্টকে
ü প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেন- রাষ্ট্রপতি
ü প্রথম প্রধান বিচারপতি- এ এস এম সায়েম
নির্বাচন কমিশন
ü নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন- রাষ্ট্রপতি
ü প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার- বিচারপতি এম ইদ্রিস
ü বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার- কে.এম. নুরুল হুদা।
তৈরি পোশাক শিল্প
v প্রধান শিল্প- তৈরি পোশাক
v বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ আসে- তৈরি পোশাক থেকে
v রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে- তৈরি পোশাক থেকে (৭৭.১৭%)
v সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করা হয়- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে
পাটশিল্প
v এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল- আদমজী পাটকল; প্রতিষ্ঠিত- ১৯৫১ সালে
v আদমজী পাটকল বন্ধ হয়- ২০০২ সালে
সার শিল্প
v বাংলাদেশে মোট সার কারখানা ১৫ টি (এর মধ্যে সরকারি ৮ টি)। সবচেয়ে বড় সার কারখানা- যমুনা (জামালপুর) (সহায়তা- জাপান)
v বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বড় সার কারখানা- কাফকো (সহায়তা- জাপান)
কাগজ শিল্প
v মোট কাগজ কল- ৭টি
v সবচেয়ে বড় কাগজ কল- কর্ণফুলী পেপার মিল (চন্দ্রঘোনা, রাঙামাটি) (কাঁচামাল- বাঁশ)
v প্রথম কাগজ কল স্থাপিত হয়- ১৯৫৩ সালে (কর্ণফুলী)
v উত্তরবঙ্গ কাগজ কল- পাকশী, পাবনা (কাঁচামাল- আখের ছোবড়া)
অন্যান্য
v জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত কারখানা- ৩টি
v একমাত্র অস্ত্র নির্মাণ কারখানা- এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড, টঙ্গী, গাজীপুর।
v একমাত্র তেল শোধনাগার- ইস্টার্ন রিফাইনারী, চট্টগ্রাম
v একমাত্র রেয়ন মিল- কর্ণফুলী রেয়ন মিল, চন্দ্রঘোনা, রাঙামাটি
v লৌহ ও ইস্পাত কারখানা- চট্টগ্রাম
v রাইফেল কারখানা- গাজীপুর সেনানিবাসে
বিভিন্ন কারখানার সংখ্যা
পাটকল
৩৮টি
বস্ত্রকল
২৪টি
চিনিকল
২৪টি
কাগজকল
৭টি
সার কারখানা
৮টি
সিমেন্ট
১৪টি
জাহাজ নির্মাণ
৩টি
তেল শোধনাগার
১টি
খনিজ সম্পদ
প্রাকৃতিক গ্যাস
প্রধান খনিজ সম্পদ- গ্যাস
প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়- ১৯৫৫ সালে
প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়- ১৯৫৭ সালে
বাংলাদেশকে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য- ২৩টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে
মোট গ্যাসক্ষেত্র- ২৫টি (২৪টি)
সর্বশেষ গ্যাস ক্ষেত্র- শাহজাদপুর গ্যাস ক্ষেত্র
অবস্থান- নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুর গ্রামে
গ্যাসব্লকে অবস্থান- ১৫ নং ব্লকে
আবিষ্কারক- বাপেক্স
আবিষ্কারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা- ১৭ আগস্ট ২০১১
আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়- পেট্রোবাংলা
অন্য নাম/ পুরোনো নাম- সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্র
গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে- ১৭টি থেকে
সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র- তিতাস (ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়)
সবচেয়ে বেশি গ্যাস উত্তোলন করা হয়- তিতাস গ্যাসক্ষেত্র থেকে
ঢাকা শহরে গ্যাস সরবরাহ করা হয়- তিতাস গ্যাসক্ষেত্র থেকে
সর্বশেষ আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র- ভাঙ্গুরা
সামুদ্রিক গ্যাসক্ষেত্র- সাঙ্গু
সমুদ্র উপকূলে গ্যাসক্ষেত্র- ২টি (সাঙ্গু ও কুতুবদিয়া)
প্রথম সামুদ্রিক গ্যাসক্ষেত্র- সাঙ্গু (সাঙ্গুভ্যালী)
সবচেয়ে বেশি গ্যাস ব্যবহার করা হয়- বিদ্যুৎ উৎপাদনে
গ্যাসের মোট মজুদ- ২৮.৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট
পেট্রোবাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৪৭ সালে
BAPEX- Bangladesh Petroleum Exploration & Production Company Limited
গ্যাসক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ড-
মাগুরছড়া
Ø জেলা- মৌলভীবাজার
Ø সাল- ১৯৯৭
Ø কোম্পানি- অক্সিডেন্টাল(USA)
টেংরাটিলা
Ø জেলা- সুনামগঞ্জ
Ø সাল- ২০০৫
কোম্পানি- নাইকো(Canada)
খনিজ তেল
প্রথম খনিজ তেল আবিষ্কার- ১৯৮৬ সালে
প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তেল উত্তোলন-১৯৮৭ সালে
একমাত্র তেল শোধনাগার- ইস্টার্ন রিফাইনারী (চট্টগ্রাম)
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান- মিথেন
কয়লা
সবচেয়ে বড় কয়লা খনি- দিনাজপুরের দীঘিপাড়া
উন্মুক্ত খনি না করার জন্য আন্দোলন হয়- দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায়/ফুলবাড়িয়ায়
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আয়তন- ৬.৬৮ বর্গকিমি
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মোট মজুদ- ৩৯০ মিলিয়ন মেট্রিক টন
বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নতমানের কয়লা- বিটুমিনাস (জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ, বড়পুকুরিয়া)
সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে- দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কয়লাখনিতে
রূপা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে- দিনাজপুরের দীঘিপাড়া ও নওগাঁর পত্নীতলায়
দস্তা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে- দিনাজপুরের মধ্যপাড়া
কোথায় কোন খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়
খনিজ তেল
সিলেটের হরিপুর
কয়লা
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া, দীঘিপাড়া, ফুলবাড়িয়া,
সিলেটের লালঘাট ও টেকেরহাট
ফরিদপুরের চান্দাবিল ও রাখিয়া বিল
জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ, নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, খুলনার কোলাবিল
তেজস্ক্রিয় বালি
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে (ইলমেনাইট)
ইউরেনিয়াম
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পাহাড়ে
চীনামাটি
নেক্রকোনার বিজয়পুর, নওগাঁর পত্নীতলা, চট্টগ্রামের পটিয়া
চুনাপাথর
সিলেটের টেকেরহাট, ভাঙ্গারহাট, জাফলং, লালঘাট, বাগলিবাজার
জয়পুরহাট, কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন
সিলিকা বালি
হবিগঞ্জের শাহজীবাজার, জামালপুরের বালিঝুরি, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
কঠিন শিলা
রংপুরের বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর, দিনাজপুরের পার্বতীপুর
গন্ধক
কুতুবদিয়া
বর্তমান নাম
পুরাতন নাম
বর্তমান নাম
পুরাতন নাম
ঢাকা
জাহাঙ্গীরনগর
সোনারগাঁও
সুবর্ণগ্রাম
চট্টগ্রাম
ইসলামাবাদ/চট্টলা/চাটগাঁ
ময়নামতি
রোহিতগিরি
বরিশাল
চন্দ্রদ্বীপ/বাকলা
লালবাগ দূর্গ
ফতেহাবাগ দূর্গ
নোয়াখালী
সুধারামপুর/ভুলুয়া
ময়মনসিংহ
নাসিরাবাদ
কুমিল্লা
ত্রিপুরা
সিলেট
শ্রীহট্ট/জালালাবাদ
কুষ্টিয়া
নদীয়া
খুলনা
জাহানাবাদ
মুজিবনগর
বৈদ্যনাথতলা
বাগেরহাট
খলিফাতাবাদ
আসাদ গেট
আইয়ুব গেট
সাতক্ষীরা
সাতঘরিয়া
শেরে বাংলা নগর
আইয়ুব নগর
রাঙামাটি
হরিকেল
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
নারিকেল জিঞ্জিরা
ফরিদপুর
ফতেহাবাদ
নিঝুম দ্বীপ
বাউলার চর
কক্সবাজার
ফালকিং
ফেনী
শমসের নগর
জামালপুর
সিংহজানী
গাইবান্ধা
ভবানীগঞ্জ
দিনাজপুর
গণ্ডোয়ানাল্যান্ড
বাহাদুর শাহ পার্ক
ভিক্টোরিয়া পার্ক
রাজবাড়ি
গোয়ালন্দ
বাংলা একাডেমী
বর্ধমান হাউজ
ভোলা
শাহবাজপুর
সিরডাপ কার্যালয়
চামেলি হাউজ
মুন্সিগঞ্জ
বিক্রমপুর
প্রধানমন্ত্রীর ভবন
গণভবন (করতোয়া)
চাঁপাই নবাবগঞ্জ
গৌড়
বঙ্গভবন
গভর্নর হাউজ
এক নজরে বাংলাদেশ
ü সাংবিধানিক নাম: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
ü সাপ্তাহিক ছুটি: শুক্রবার ও শনিবার। কিছু কিছু অফিস শনিবার খোলা থাকে।
ü আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড : +৮৮০
ü আন্তর্জাতিক সময় অঞ্চল: বিএসটি (জিএমটি +৬ ঘণ্টা)
জনগণ
ü জনসংখ্যা : ১৬.১৭ কোটি (সূত্রঃ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো)
ü পুরুষ : ৮.১০ কোটি
ü মহিলা : ৮.০৭ কোটি
ü শিক্ষার হার : ৬৩.৬%
ü ভাষা :
ü বাংলা (জাতীয় ভাষা) - ৯৫% জনগণ
ü অন্যান্য ভাষা - ৫%
ü ইংরেজির ব্যবহার প্রচলিত আছে।
ধর্ম
ü মুসলিম - ৮৬.৬%,
ü হিন্দু - ১২.১%
ü বৌদ্ধ - ০.৬%
ü খ্রিস্টান - ০.৪% এবং
ü অন্যান্য - ০.৩%.
বয়স-ভিত্তিক বণ্টন :
ü ০-১৪ বছর : ৩০.৮%
ü ১৫-৪৯ বছর : ৫৩.৭%
ü ৫০-৫৯ বছর : ৮.২%
ü ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে : ৮.১%
ü (সূত্রঃ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো)
ü জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার: ১.৩৭%
ü জন্মহার: প্রতি হাজারে ১৮.৮ জন
ü মৃত্যুহার : প্রতি হাজারে ৫.১ জন
লিঙ্গ বণ্টন :
ü লিঙ্গ অনুপাত (প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষ) : ১০০.৩
ü উর্বরতা হার : নারীপ্রতি ২.৩ শিশু (সূত্র)
জাতিগোষ্ঠী:
ü বাঙালি : ৯৮%
ü ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী : ২%
ü প্রধান নৃ গোষ্ঠীসমূহ : চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, গারো, মনিপুরী, ত্রিপুরা, তনচংগা
ভূগোল
ü ভৌগোলিক অবস্থান :
ü ২৬° ৩৮' উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২০° ৩৪' উত্তর অক্ষাংশ এবং
ü ৮৮° ০১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯২° ৪১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ
ü আয়তন : ১৪৭,৫৭০ বর্গকিমি (ভূমি : ১৩৩,৯১০ বর্গকিমি, জলজ : ১০,০৯০ বর্গকিমি)
সীমানা :
ü উত্তরে ভারত (পশ্চিমবঙ্গ আর মেঘালয়)
ü পশ্চিমে ভারত (পশ্চিম বঙ্গ )
ü পূর্বে ভারত (ত্রিপুরা ও আসাম) এবং মিয়ানমার
ü দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর
ü সীমানা দৈর্ঘ্য : ৪,২৪৬ কিমি. (মায়ানমার : ১৯৩ কিমি., ভারত : ৪,০৫৩ কিমি.)
ü সমুদ্র সীমানা : ৫৮০ কিমি.
ü মহীসোপান : মহাদ্বীপীয় মার্জিন বাইরের সীমা অবধি
ü বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা : ২০০ নটিক্যাল মাইল
ü সমুদ্র এলাকা : ১২ নটিক্যাল মাইল
ü ভুমির ধরন : প্রধানত সমভুমি, পূর্ব ও দক্ষিনপূর্বে পাহাড়ি ভুমি
ü রাজধানী : ঢাকা
এলাকাভিত্তিক পরিসংখ্যান :
ü বিভাগ ৮টি - ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর,ময়মনসিংহ
ü জেলা ৬৪ টি
ü উপজেলা ৪৯১ টি
ü প্রধান নদীসমূহ : পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমা, ব্রম্মপুত্র, কর্ণফুলী, তিস্তা, শীতলক্ষ্যা, রূপসা, মধুমতি, গড়াই, মহানন্দা
জলবায়ু
ü জলবায়ুর ধরন : উপ ক্রান্তীয় মৌসুমি বায়ু
ü গড় তাপমাত্রা : শীতকালে ১১° সি - ২০° সি (অক্টোবর - ফেব্রুয়ারি)
ü গ্রীষ্মকালে ২১° সি - ৩৮° সি (মার্চ - সেপ্টেম্বর)
ü বৃষ্টিপাত : ১১০০ মিমি. - ৩৪০০ মিমি. (জুন - আগস্ট)
আর্দ্রতা :
ü সর্বোচ্চ ৯৯% (জুলাই),
ü সর্বনিম্ন ৩৬% (ডিসেম্বর - জানুয়ারি)
অর্থনীতি
ü অর্জন : বাংলাদেশ D-8 এর সদস্য।
গোল্ডম্যান স্যাস কর্তৃক “Next Eleven Economy of the world” হিসেবে বিবেচিত।
ü মাথাপিছু আয় : $১,৬০২ (সুত্র: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা - ২০১৭)
ü জিডিপি প্রবৃদ্ধি (%) : ৭.২৪ (সুত্র: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা - ২০১৭)
ü দারিদ্র্যের হার : ২৩.৫% (সুত্র: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা - ২০১৭)
ü মানব উন্নয়ন সূচকে অবস্থান : ১৩৯ তম
ü আন্তর্জাতিক অনুদান নির্ভরতা: ২%
ü প্রধান ফসল : ধান, পাট, চা, গম, আঁখ, ডাল, সরিষা, আলু, সবজি, ইত্যাদি।
ü প্রধান শিল্প : পোশাকশিল্প (পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম শিল্প), পাট (বিশ্বের সর্ববৃহৎ উৎপাদনকারী), চা, সিরামিক, সিমেন্ট, চামড়া, রাসায়নিক দ্রব্য, সার, চিংড়ি প্রক্রিয়াজাত, চিনি, কাগজ, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, ঔষধ, মৎস্য।
ü প্রধান রপ্তানি : পোশাক (পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম শিল্প), হিমায়িত চিংড়ি, চা, চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্যাদি, পাট ও পাটজাত দ্রব্য (পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম), সিরামিক্স, আইটি আউটসোর্সিং, ইত্যাদি।
ü প্রধান আমদানি : গম, সার, পেট্রোলিয়াম দ্রব্যাদি, তুলা, খাবার তেল, ইত্যাদি।
ü প্রধান খনিজ সম্পদ : প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল, কয়লা, চিনামাটি, কাচ বালি, ইত্যাদি।
ü মুদ্রা : টাকা (বিডিটি - প্রতীক ৳)
ü ১০০০, ৫০০, ১০০, ৫০, ২০, ১০, ৫, ২, ও ১ টাকার নোট আর
ü ৫০, ২৫, ১০, ৫, ২৫, ১০, ৫ ও ১ পয়সা
ü শ্রমিক বণ্টন: ৫.৪১ কোটি
ü পুরুষঃ ৩.৭৯ কোটি,
ü নারীঃ ১.৬২ কোটি (সূত্র : বিইএস)
শিল্প-ভিত্তিক শ্রমিক বণ্টন:
ü কৃষি : ৪৮.৪%,
ü শিল্প : ২৪.৩%,
ü অন্যান্য : ২৭.৩%
সুত্র : বাংলাদেশ পরিসংখান ব্যুরো
ইপিজেড : ঢাকা, উত্তরা, আদমজী, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, ঈশ্বরদী, কর্ণফুলী, এবং মংলা।
ঐতিহাসিক দিনসমূহ
ü স্বাধীনতা দিবস: ২৬ মার্চ
ü বিজয় দিবস: ১৬ ডিসেম্বর
ü শহীদ দিবস: ২১ ফেব্রুয়ারি (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও পরিচিত)
পর্যটন
ü পর্যটন আকর্ষণ: ঢাকা, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কুয়াকাটা, বগুড়া, খুলনা, সুন্দারবন, সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর, এবং কুমিল্লা
ü বিমানবন্দর: ঢাকা (আন্তর্জাতিক), চট্রগ্রাম (আন্তর্জাতিক), সিলেট (আন্তর্জাতিক), যশোর, রাজশাহী, সৈয়দপুর, বরিশাল, কক্সবাজার
তথ্য প্রযুক্তি (আইটি)
ü জাতীয় ডোমেইন: .bd
ü ইন্টারনেট অনুপ্রবেশ : ৬.৬৭ কোটি (২০১৭) সূত্রঃ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
ü মোবাইল ব্যাবহারকারী : ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ (২০১৭) সূত্রঃ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
মোবাইল অনুপ্রবেশ : জনসংখ্যার ৮০%
বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রম
· জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর ৮ম বৃহত্তম দেশ
· ৪র্থ বৃহৎ মুসলিম দেশ, মুসলিম সংখাগরিষ্ঠ দেশ হিসাবে বিশ্বের ৩য় দেশ
· জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক দিয়ে বিশ্বের ৭ম বৃহৎ দেশ, ১০ কোটির উপর জনসংখ্যার দেশ হিসাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ (সূত্র)
· গাঙ্গেয় বদ্বীপে অবস্থিত, যা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বদ্বীপ
· কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত
· জিডিপির দিক থেকে, বাংলাদেশের অর্থনীতি পৃথিবীর ৩৫তম দেশ কিন্তু জিডিপি বৃদ্ধির দিক থেকে পৃথিবীর ২৮তম অর্থনীতি (সূত্র)
· বাংলাদেশের পোশাকশিল্প পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম পোশাকশিল্প (সূত্র)
· পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পাট উৎপাদনকারী দেশ (পাট উদ্ভিজ্জ আঁশের মধ্যে উৎপাদনের দিক দিয়ে ২য়, তুলার পরেই অবস্থান)
· সুন্দরবন (বাংলাদেশ ও ভারত) পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন
· বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে নূন্যতম মজুরি পৃথিবীর সর্বনিম্ন (বেসরকারি সুত্র)
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে বাংলাদেশে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪৫টি। এগুলো হচ্ছে:
· চাকমা (৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৪৮ জন)
· মারমা (২ লক্ষ ২ হাজার ৯৭৪ জন)
· সাঁওতাল (১ লক্ষ ৪৭ হাজার ১১২ জন)
· ত্রিপুরা (১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭৯৮ জন)
· গারো (৮৪ হাজার ৫৬৫ জন)
· ওঁরাও (৮০ হাজার ৩৮৬ জন)
· তঞ্চ্যঙ্গা (৪৪ হাজার ২৫৪ জন)
· ম্রো (৩৯ হাজার ৪ জন)
· বম (১২ হাজার ৪২৪ জন)
· পাংখো (দুই হাজার ২৭৪ জন)
· চাক (দুই হাজার ৮৩৫ জন)
· খেয়াং (তিন হাজার ৮৯৯ জন)
· খুমি (তিন হাজার ৩৬৯ জন)
· লুসাই (৯৫৯ জন)
· কোচ (১৬ হাজার ৯০৩ জন)
· ডালু (৮০৬ জন)
· কুকি (৩৪৭ জন)
· রাখাইন (১৩ হাজার ২৫৪ জন)
· মণিপুরী (২৪ হাজার৬৯৫ জন)
· হাজং (৯ হাজার ১৬২ জন)
· খাসিয়া বা খাসি (১১ হাজার ৬৯৭ জন)
· মং (২৬৩ জন)
· বর্মন (৫৩ হাজার ৭৯২ জন)
· পাহাড়ি পাহাড়ি (পাঁচ হাজার ৯০৮ জন)
· মালপাহাড়ি (দুই হাজার ৮৪০ জন)
· মুন্ডা (৩৮ হাজার ২১২ জন)
· কন্দ
· পাঙন মুসলিম
· লাওরা মুসলিম
· মুরং (২০,০০০-২৫,০০০ জন)
· রাজবংশী
· পাত্র,(৩০০০ জন)
বাংলাদেশের নদ-নদী, চড় ও দ্বীপ
সূচিপত্র
2. নদী তীরবর্তী শহর ও গুরুত্বপূর্ণ/ঐতিহাসিক জায়গা-
3. বিভিন্ন নদীর পূর্ব নাম
7. চর
নদী বলতে মিষ্টি জলের একটি প্রাকৃতিক আধারকে বোঝায়। নদ ও নদীর মধ্যে পার্থক্য ব্যাকরণগত। সাধারণত নারীবাচক নামগুলো নদী এবং পুরুষবাচক নামগুলো নদ হিসেবে চিহ্নিত। নদী সম্পর্কিত কিছু সংজ্ঞা –
দীর্ঘতম নদী: যে নদী সবচেয়ে বেশি পথ অতিক্রম করে।
বৃহত্তম নদী: যে নদী দিয়ে প্রতি মিনিটে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয়।
প্রশস্ততম নদী: যে নদীর প্রস্থ সবচেয়ে বেশি।
শাখা নদী: যে নদী অন্য কোনো নদী থেকে সৃষ্টি হয়।
উপনদী: যে নদী অন্য কোনো নদীতে গিয়ে মেশে।
মোহনা: নদী ও সাগর যেখানে মিলিত হয়।
খাড়ি: নদীর প্রশস্ত মোহনাকে খাড়ি বলে।
সবচেয়ে নাব্য / বৃহত্তম / প্রশস্ততম / দীর্ঘতম / গভীরতম নদী
মেঘনা
সবচেয়ে দীর্ঘতম নদ
ব্রহ্মপুত্র
সবচেয়ে খরস্রোতা নদী
কর্ণফুলী
বাংলাদেশের সীমানায় হালদা ও সাঙ্গু নদীর উৎপত্তি এবং সমপ্তি ঘটেছে। হালদা নদী দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন কেন্দ্র। এখানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছের পোনা সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী একটি নদীর নাম হাড়িয়াভাঙ্গা। হাড়িয়াভাঙ্গার মোহনায় দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ অবস্থিত (ভারতে নাম পূর্বাশা)। এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানপ্রধান নদীগুলো –
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
পদ্মা নদীর উৎপত্তি হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে। এর অপর নাম কীর্তিনাশা। ভারতের গঙ্গা নদী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-কুষ্টিয়া জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ‘পদ্মা’ নাম ধারণ করেছে।
প্রধান শাখানদীগুলো হল: ভৈরব, কুমার, মাথাভাঙ্গা, গড়াই, মধুমতী, ইছামতি, আড়িয়াল খাঁ, কপোতাক্ষ। কপোতাক্ষ ভৈরব নদীর একটি শাখা।
পদ্মার উপনদীগুলো হল: পুনর্ভবা, মহানন্দা, নাগর, পাগলা, কুলিক, টাংগন ইত্যাদি।
পুনর্ভবা, নাগর, কুলিক, টাংগন মূলত মহানন্দার উপনদী।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
পদ্মা নদী দৌলতদিয়ার কছে গোয়ালন্দে (বা অপরপারে আরিচায়) যমুনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এ দুই নদীর মিলিত ধারা পদ্মা নামে অগ্রসর হয়ে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। মেঘনা নামেই এ তিন নদীর মিলিত ধারা বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি হয়েছে হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের মানস সরোবর হতে। সংস্কৃত ভাষায় ব্রহ্মপুত্রের অর্থ ব্রহ্মার পুত্র। এর পূর্ব নাম ছিল লৌহিত্য। নদটি ৩টি দেশ: চীন, ভারত ও বাংলাদেশ -এর সীমানার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি কুড়িগ্রাম জেলায় মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এরপর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে মধুপুর গড়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরব বাজারের কাছে মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের –
শাখানদী: যমুনা, বংশী ও শীতলক্ষ্যা।
উপনদী: তিস্তা ও ধরলা।
১৭৮৭ সালে এক ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ উত্থিত হয়ে নতুন স্রোতধারার সৃষ্টি করে। জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের কাছে এ স্রোতধারা ‘যমুনা’ নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চড় আছে যমুনা নদীতে। যমুনার প্রধান –
শাখানদী: ধলেশ্বরী।
উপনদী: তিস্তা, করতোয়া ও আত্রাই।
আবার ধলেশ্বরী নদীর গুরুত্বপূর্ণ শাখানদী বুড়িগঙ্গা।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
বাংলাদেশের বৃহত্তম, প্রশস্ততম, গভীরতম ও দীর্ঘতম নদী মেঘনা। আসামের নাগা মনিপুর পাহাড়ের দক্ষিণে লুসাই পাহাড় থেকে নদীটির উৎপত্তি এবং সিলেট জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারতে এ নদীর নাম বরাক। বরাক নদীর প্রবাহের সাথে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে সুরমা ও কুশিয়ারা নদী মিলিত হয়ে মেঘনা নাম ধারণ করেছে। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৩০ কি.মি। মেঘনাকে বাংলাদেশের চিরযৌবনা নদী বলা হয়।
উপনদী: শীতলক্ষ্যা, ডাকাতিয়া, মনু, বাউলাউ, তিতাস, গোমতী।
নদীটি –
· পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়েছে – ভৈরব বাজারে।
· পদ্মা ও যমুনার মিলিত প্রবাহ (বা পদ্মা)-র সাথে মিলিত হয়েছে – চাঁদপুরে।
কর্ণফুলী নদী মিজোরামের লুসাই পাহাড়ের লংলেহ থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এর প্রধান উপনদী হলো কাসালং, হালদা ও বোয়ালখালী।
বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন কেন্দ্র। নদীটি খাগড়াছড়ির বাদনাতলী পর্বতশৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
বিভিন্ন নদীর পূর্বনাম
বর্তমান নাম
পূর্বনাম
যমুনা
জোনাই নদী
বুড়িগঙ্গা
দোলাই নদী (দোলাই খাল)
ব্রহ্মপুত্র
লৌহিত্য
পদ্মা
কীর্তিনাশা
বিভিন্ন নদীর উৎপত্তিস্থল-
নদী
উৎপত্তিস্থল
পদ্মা
হিমালয়ের গঙ্গৌত্রি হিমবাহ
ব্রহ্মপুত্র
তিব্বতের মানস সরোবর
যমুনা
তিব্বতের মানস সরোবার
মেঘনা
আসামের লুসাই পাহাড়
কর্ণফুলী
মিজোরামের লুসাই পাহাড়
বিভিন্ন নদীর মিলিতস্থল-
পদ্মা
+
মেঘনা
চাঁদপুর
পদ্মা
+
যমুনা
গোয়ালন্দ
সুরমা
+
কুশিয়ারা
ভৈরব (আজমিরীগঞ্জ)
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র
+
মেঘনা
ভৈরব বাজার
নদী তীরবর্তী শহর ও গুরুত্বপূর্ণ/ঐতিহাসিক জায়গা-
শহর/জায়গা
নদী
শহর/জায়গা
নদী
ঢাকা
বুড়িগঙ্গা
সিলেট
সুরমা
চট্টগ্রাম
কর্ণফুলী
মাদারীপুর
পদ্মা
কুমিল্লা
গোমতী
বাংলাবান্ধা
মহানন্দা
রাজশাহী
পদ্মা
টেকনাফ
নাফ
মহাস্থানগড়
করতোয়া
বগুড়া
করতোয়া
বরিশাল
কীর্তনখোলা
চন্দ্রঘোনা
কর্ণফুলী
খুলনা
রূপসা
কাপ্তাই
কর্ণফুলী
টঙ্গী
তুরাগ
গোপালগঞ্জ
মধুমতী
চাঁদপুর
মেঘনা
ঘোড়াশাল
শীতলক্ষ্যা
গাজীপুর
তুরাগ
টুঙ্গীপাড়া
মধুমতি
সুনামগঞ্জ
সুরমা
লালবাগ কেল্লা
বুড়িগঙ্গা
মংলা
পশুর
শরীয়তপুর
পদ্মা
ভৈরব
মেঘনা
রাজবাড়ি
পদ্মা
রংপুর
তিস্তা
নোয়াখালি
মেঘনা ও ডাকাতিয়া
টাঙ্গাইল
যমুনা
মানিকগঞ্জ
যমুনা
পঞ্চগড়
করতোয়া
নরসিংদী
মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা
কক্সবাজার
নাফ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তিতাস
নাটোর
আত্রাই
রংপুর
তিস্তা
দৌলতদিয়া
পদ্মা
গোয়ালন্দ
পদ্মা
কুষ্টিয়া
গড়াই
তিনবিঘা করিডোর
তিস্তা
বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল হাওড় অধূষিত এলাকা। উল্লেখযোগ্য হাওরগুলো নিম্নরূপ-
অবস্থান
হাওর
কিশোরগঞ্জ
নিকলী হাওর, ইটনার হাওর, তল্লার হাওর, বাড়ির হাওর, মাহমুদপুর হাওর, সুরমা বাউলার হাওর, সোমাই হাওর, হুমাইপুর হাওর
সুনামগঞ্জ
টাঙ্গুয়ার হাওর, নলুয়ার হাওর, পচাশোল হাওর, মইয়ার হাওর, শনির হাওর
মৌলভীবাজার
হাকালুকি হাওর, হাইল হাওর
সিলেট
রায়ের গাঁও হাওর
জলপ্রপাত
তথ্য
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখার পাথুড়িয়া পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়েছে।
হামহাম জলপ্রপাত
মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত।
শৈল প্রপাত
বান্দরবন জেলায় অবস্থিত।
হিমছড়ি ঝর্ণা
কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত।
শুভলং ঝর্ণা
রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত।
চলন বিল
বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল। এটি পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলা জুড়ে বিস্তৃত।
ডাকাতিয়া বিল
খুলনা জেলায় অবস্থিত।
কট্টলী বিল
যশোর জেলায় অবস্থিত।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ চড় যমুনা নদীতে। নদনদীর ভাঙাগড়ার প্রক্রিয়ায় নদীর প্রবাহখাতে দ্বীপচর হিসেবে অথবা নদীতীরে সংযুক্ত ভূভাগ হিসেবে বালুচর গড়ে ওঠে। উল্লেখযোগ্য চড়গুলো নিম্নরূপ –
অবস্থান
চর
ভোলা
চর ফ্যাসান, চর মানিক, চর জব্বার, চর নিউটন, চর কুকুড়ি, চর নিজাম, চর মনপুরা
ফেনী
মুহুরীর চর
নোয়াখালী
চর শ্রীজনি, উড়ির চর, ভাসান চর
লক্ষীপুর
চর আলেকজান্ডার, চর গজারিয়া
রাজশাহী
নির্মল চর
দ্বীপ
তথ্য
ভোলা
বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ এবং একমাত্র দ্বীপ জেলা। এটি মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। দ্বীপটি ‘বাংলাদেশের দ্বীপের রানী’ নামে পরিচিত।
সেন্টমার্টিন
দেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। দ্বীপটি নাফ নদীর মুখে অবস্থিত। দ্বীপটি একটি ইউনিয়ন। এর স্থানীয় নাম নারিকেল জিঞ্জিরা। দ্বীপের দক্ষিণাংশ ছেড়া দ্বীপ নামে পরিচিত। জোয়ারের সময় এ অংশটি মূল অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দক্ষিণ তালপট্টি
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ একটি দ্বীপ। এটি হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় অবস্থিত।
মহেশখালী
বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ। এ দ্বীপের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন করা হচ্ছে।
নিঝুম দ্বীপ
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি দ্বীপ। মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত।
কুতুবদিয়া
নৌ চলাচলের সুবিধার জন্য বাতিঘর আছে।
সন্দীপ
চট্টগ্রাম জেলার একটি দ্বীপ উপজেলা।
সোনাদিয়া
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত একটি দ্বীপ।
নদ ও নদীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো এক নজরে ও অন্যান্য তথ্য –
নদ ও নদীর মধ্যে পার্থক্য ব্যাকরণগত।
বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা প্রায় ৭০০টি এবং নদের সংখ্যা ৩টি (ব্রহ্মপুত্র, আড়িয়াল খাঁ ও কপোতাক্ষ)। আন্তর্জাতিক/আন্তসীমান্ত নদী মোট ৫৭টি। মিয়ানমারের সাথে ৩টি: সাঙ্গু, মাতামুহুরী, নাফ এবং ভারতের সাথে ৫৪টি নদী রয়েছে।
কুলিখ, আত্রাই, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদী বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে।
হালদা ও সাঙ্গু নদীর উৎপত্তি এবং সমপ্তি বাংলাদেশে।
ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নদী – হাড়িয়াভাঙ্গা। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নদী – নাফ।
পদ্মার গুরুত্বপূর্ণ শাখানদী – ভৈরব, কুমার, গড়াই, মধুমতী, ইছামতি, আড়িয়াল খাঁ।
পদ্মার গুরুত্বপূর্ণ উপনদী – পুনর্ভবা, মহানন্দা।
ব্রহ্মপুত্রের গুরুত্বপূর্ণ শাখানদী – যমুনা, শীতলক্ষ্যা। উপনদী – তিস্তা, ধরলা।
যমুনার গুরুত্বপূর্ণ শাখানদী – ধলেশ্বরী। উপনদী – তিস্তা, আত্রাই। ধলেশ্বরী নদীর শাখানদী বুড়িগঙ্গা।
বাংলাদেশের বৃহত্তম, প্রশস্ততম, গভীরতম ও দীর্ঘতম নদী মেঘনা। অপর নাম বরাক।
মেঘনার গুরুত্বপূর্ণ উপনদী – শীতলক্ষ্যা, ডাকাতিয়া, তিতাস, গোমতী।
কর্ণফুলীর উপনদী হালদা।
ডকাতিয়া বিল খুলনা জেলায় অবস্থিত।
ডাকাতিয়া নদী মেঘনার উপনদী।
ধরলা ব্রহ্মপুত্রের উপনদী। ধলেশ্বরী যমুনার শাখানদী।
দীঘিনালা বনাঞ্চল খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত।
সাম্প্রতিক তথ্য: পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে শুরু হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে পর্যন্ত সড়কটি হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মেরিন ড্রাইভ। এর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২৫০ কিলোমিটারের।
18. মোট নদ-নদী- প্রায় ৭০০টি (তথ্যসূত্র : www.banglapedia.org)
i. প্রায় ৮০০টি (তথ্যসূত্র : www.wikipedia.org)
ii. প্রচলিত তথ্য- ২৩০টি
19. নদের সংখ্যা ৩টি: ব্রহ্মপুত্র, আড়িয়াল খাঁ ও কপোতাক্ষ
20. নদ-নদীর মোট আয়তন – ২৪,১৪০ কিমি (তথ্যসূত্র : www.banglapedia.org)
21. ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা নদী- ৫৫টি
22. মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা নদী- ৩টি
23. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদী- ১টি (পদ্মা)
24. মোট আন্তঃসীমান্ত নদী- ৫৮টি
25. বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া নদী- ১টি (কুলিখ)
26. বাংলাদেশে উৎপত্তি ও সমাপ্তি এমন নদী- ২টি (হালদা ও সাঙ্গু)
27. বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে- আত্রাই
28. বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে বিভক্তকারী নদী- নাফ
29. বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী- হাড়িয়াভাঙ্গা
30. হাড়িয়াভাঙ্গার মোহনায় অবস্থিত- দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ (ভারতে নাম পূর্বাশা, এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বন্দ্ব
31. চলছে।)
32. প্রধান নদী- পদ্মা
33. দীর্ঘতম নদী- সুরমা (৩৯৯কিমি)
34. দীর্ঘতম নদ- ব্রহ্মপুত্র (একমাত্র নদ) (দীর্ঘতম নদীর উত্তরে ব্রহ্মপুত্র থাকলে ব্রহ্মপুত্র-ই উত্তর হবে)
35. প্রশস্ততম নদী- যমুনা
36. সবচেয়ে খরস্রোতা নদী- কর্ণফুলী
37. বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক নদী- পদ্মা
38. চলন বিলের মধ্য দিয় প্রবাহিত নদী- আত্রাই
39. জোয়ার-ভাঁটা হয় না- গোমতী নদীতে
40. প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র- হালদা নদী
41. বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে বিভক্তকারী নদী- নাফ
42. বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী- হাড়িয়াভাঙ্গা
43. বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে- আত্রাই
44. বরাক নদী বাংলাদেশে ঢুকেছে- সুরমা হয়ে (পরে মেঘনায় গিয়ে মিশেছে)
45. যমুনার সৃষ্টি হয়- ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পে
46. নদী সিকস্তি- নদী ভাঙনে সর্বস্বান্ত
47. নদী পয়স্তি- নদীর চরে যারা চাষাবাদ করে
48. ফারাক্কা বাঁধ- গঙ্গা নদীর উপরে (বাংলাদেশে এসে গঙ্গা ‘পদ্মা’ নাম নিয়েছে)
49. বাকল্যান্ড বাঁধ- বুড়িগঙ্গার তীরে (১৮৬৪ সালে নির্মিত)
50. টিপাইমুখ বাঁধ- বরাক নদীর উপরে (ভারতের মণিপুর রাজ্যে)
51. কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র- কর্ণফুলী নদীর উপর (১৯৬২ সালে নির্মিত)
52. চট্টগ্রাম বন্দর- কর্ণফুলী নদীর তীরে
53. মংলা (খুলনা) বন্দর- পশুর নদীর তীরে
54. মাওয়া ফেরিঘাট- পদ্মার তীরে
55. প্রধান নদীবন্দর- নারায়ণগঞ্জ
56. নদী গবেষণা ইন্সটিটউট- ফরিদপুর
57. নদী উন্নয়ন বোর্ড- ঢাকায়
সাধারণ জ্ঞান সব গুলো একসাথে
নিচের লিংকে ক্লিক করে পদার্থবিজ্ঞান সকল অধ্যায়ের লেকচার পড়ে নিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যে বিষয়গুলোর উপর পরীক্ষা দিতে হয়, তার সবগুলোই শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ে আসে; শুধু ‘সাধারণ জ্ঞান’ ছাড়া। এটি মূলত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ও নয়; আমাদের দেশ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, আমাদের পৃথিবী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, পৃথিবীর ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি, সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অবস্থা, খেলাধুলা, ইত্যাদি বিষয়গুলোর সমন্বয়ে ‘সাধারণ জ্ঞান’ বিষয়টি তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জানাশোনার/জ্ঞানের গভীরতা বোঝার জন্য বেশ কার্যকরীও বটে।
কিন্তু সমস্যা হল, কোন শিক্ষার্থী-ই একসাথে এত বেশি বিষয়ে আগ্রহী থাকে না, ফলে কোন শিক্ষার্থী-ই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতগুলো বিষয়ে জ্ঞান রাখে না বা রাখতে পারে না। আর তাই edpdbd বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞানের যে সব তথ্যাবলী জানা দরকার, সেগুলোকে একত্রিত করে ‘সাধারণ জ্ঞান’ বিষয়ে অন্তর্ভূক্ত করেছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত একত্রিত করে পড়ার জন্য সুবিধাজনকভাবে সজ্জিত করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে মনে রাখা জরুরি, সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞানের কোন বিষয়েই খুঁটিনাটি তথ্যের উপর প্রশ্ন আসে না। নানা বিষয়ের বেসিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্ন করা হয়। আর edpdbd-র ‘সাধারণ জ্ঞান’ বিষয়ের অধ্যায়গুলো রচনা করার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই জানার জন্য অতিরিক্ত অনেক তথ্যও দেয়া হয়েছে। কারণ edpdbd ‘হীরক রাজার দেশে’র হীরকরাজের মত বলে না- ‘জানার কোন শেষ নাই/ জানার চেষ্টা বৃথা তাই।’ বরং edpdbd জানতে এবং জানাতে ভালবাসে।