ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের ধর্মীয় সামাজিক উৎসব। ইসলাম ধর্ম মহান আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম। এই ধর্ম শেষ ধর্ম এবং ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মোহাম্মদ সঃ সর্বশেষ নবী। যার ফলে এই ধর্ম সকল মানুষকে একত্রিত করার, সকল মানুষের অধিকার রক্ষার এবং সকল মানুষকে শান্তির ছায়াতলে ঢেকে রাখার সকল উপায় বাৎলে দিয়েছে। যে উপায়ে বিশ্বের সকল মানুষকে কল্যাণের ভাগিদার করা যায়, ভালোবাসার বন্ধনে জড়িয়ে রাখা যায়, কলহপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা নির্মুল করে শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ করা যায় তার অন্যতম উপায় হচ্ছে মুসলমানদের দুইটি ধর্মীয় উৎসব; ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা।
মুসলিম জীবনে ঈদ মানে হচ্ছে যতো রেষারেষি, মানঅভিমান থাকুক সব ভুলে বুকে বুক মিলানো। আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, আমরা ছোটবেলার বন্ধুরা একে অপরের সাথে কতো বিষয় নিয়ে, কতো ঠুনকো কারণেই এক অপরের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হই, মারামারি করি, অভিমান করে একজন আরেকজনের বাড়িতে যাতায়াত ছেড়ে দেই, কিন্তু যেই না ঈদ চলে আসে আমরা সবকিছু ভুলে আবার একে অপরের সাথে বুক মিলাই, এক অপরের বাসায় যাই, মিষ্টি খাই, হাসি আনন্দে মেতে উঠি। ঈদের এই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থান মুসলিম সমাজে এতটাই দৃঢ় যে যুগ যুগ ধরে হাজার বছর ধরে মুসলমানরা হাজারো কলহ-বিবাদ সত্ত্বেও আজও সর্বাধিক পারিবারিক কাঠামো রক্ষা করে চলা সামাজিক জীব।
কলহ-বিবাদে একদিকে যখন পরিবারগুলো, আত্মীয়-পরম্পরা ভেঙে যায় যায় অবস্থা দাঁড়ায় ঈদের আগমনে আবার তা জোড়া লেগে যায়। এভাবে ভাবতে গেলে ঈদের মাহাত্ম অনেক। আর ঈদের সামাজিক গুরুত্বও অনেক।
পবিত্র ঈদুল ফিতর আসে পবিত্র রমজান পালন শেষে, আরবি শাওয়াল মাসের প্রথম দিন। রমজান মাস হচ্ছে মুসলমানদের জন্য নানাবিধ ট্রেনিং এর মাস। সবচেয়ে বড় ট্রেনিং হচ্ছে সংযমের ট্রেনিং আর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে প্রতিটি ভালো কাজের প্রতিদান ৭০ থেকে ৭০০গুণ বেশি পাওয়া। আবার এই রমজান মাসেই মহান আল্লাহ তায়ালা এমন একটি রাত দিয়েছেন যে রাত হাজার রাতের চেয়ে উত্তম রাত। অর্থাৎ পবিত্র রমজান মাস, রমজান মাসের বিশেষ রাত লাইলাতুল কদর এবং রমজান শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর হচ্ছে মুসলমানদের বিশাল প্রাপ্তির একটি প্যাকেজ প্রোগ্রাম। তাই এই সময়টার অপেক্ষায় থাকে মুসলমানরা সারাটি বছর।
চন্দ্রবছর ঘুরে এই এই দিনটি আবার আমাদের মাঝে আসন্ন। গত দুইটি বছর সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনা নামক মহামারির আঘাতে এই মহিমান্বিত মাস, মহিমান্বিত রাত, মহিমান্বিত দিনটি অনেকটাই ম্লান হয়ে গেলেও এবার আমরা কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শিখেছি। মহান আল্লাহর একান্ত রহমতে করোানা নামক মহামারির করাল গ্রাসকে আমরা আমাদের অভ্যস্ততা দ্বারা মোকাবেলা করতে শিখে গেছি। তাই এ কথা বলতে দ্বিধা নেই এবারের ঈদের দিনটি হবে আমাদের গত দুই বছরের ঈদের চেয়ে অনেক বেশি আনন্দের, অনেক বেশি প্রাপ্তির এবং অনেক বেশি সামাজিক।
করোনার কারণে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক থাকায়, গত দুই বছর ধর্মীয় এই উৎসব সামাজিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়লেও এবার নিশ্চই সে তার স্বরূপে ফিরবে ইনশা আল্লাহ।
ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা যারা এবার ঈদ উদযাপনের জন্য বেশ কৌতূহল নিয়ে অপেক্ষা করছো, তোমরা কি জানো ঈদ আসলে কী? কখন কীভাবে এই ঈদ এলো?
অনেকেই হয়তো জানো তাই সংক্ষেপে বলছি, ইসলাম ধর্মের আগে অর্থাৎ মুসলমানদের আগে যারা ধর্মীয়প্রভাব নিয়ে বিশ্বের মাঝে মাথা উঁচু করে ছিল সেই ইহুদীদের অনেকগুলো ঈদ ছিল। এখনও আছে। যেমন ১, ঈদুল ফেসাখ (Passover or Pesach)- এই দিন মিসরের শাসক ফেরাউনের হাত থেকে ইহুদিরা যেদিন উদ্ধার পেয়েছিল।
২, ঈদুল মাত‘ছ (Matzah)- ঈদুল ফেসাখের পরের সাত দিন ধরে এই ঈদ পালন করা হয়, খামি দিয়ে রুটি না খাওয়া এই ঈদের একটি বিশেষ দিক;
৩, ঈদুল খেমীশশীম (Khemishim)- ঈদুল ফেসাখের পরে পঞ্চাশ দিনের দিন এই ঈদটি পালন করা হয়;
৪, ঈদুল সুক্ক (Sukkos) ইহুদিরা মরু এলাকায় ৪০-বৎসর পথ হারিয়ে তাবুতে বাস করেছিল। সেকথা মনে করার জন্যে বৎসরের এক বিশেষ সময়ে আট দিন ধরে তারা গাছের ডাল-পালায় তৈরী কুঁড়েঘরে বাস করে, এর নাম ঈদুল সুক্ক;
৫, ঈদুল হানাকা (Hanukkah)-
৬, ঈদুল ইয়োম কিপ্পুর (Yom Kippur)- এই দিনে ইহুদিরা রোজা রাখে এবং মহা-ঈমাম (রাব্বি) তার নিজের এবং সমগ্র ইহুদি জাতির পাপ মোচনের জন্যে কোরবাণী করা পশুর রক্ত নিয়ে মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করেন। ইহুদিরা ‘পুরীম’(Purim) নামে একটি ভোজের উৎসব পালন করে থাকে। এটাও ওদের আরকেটা ঈদ! তবে তিনটি ঈদ তারা খুব জাঁকজমকভাবে পালন করে এবং সবাই জেরুজালেমে একত্রিক হয়। সেই হিসেবে তাদের বড় ঈদ বা উৎসবের দিন তিনটি। ইহুদী সংস্কৃতির প্রভাবে তৎকালিন আরবেও দু’টি বড় উৎসব পালিত হতো। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা মোকাররমা থেকে হিজরত করে পবিত্র মদিনায় গেলেন, তখন সেখানকার অধিবাসীরা ‘নওরোজ’ ও ‘মেহেরজান’ নামে দু’টি আনন্দ দিবস উদযাপন করতো। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) মহানবী (সা.)-এর কাছে তাদের আনন্দ-উদযাপনে অংশগ্রহণ করবেন কি-না সে ব্যাপারে জানতে চাইলেন।
উত্তরে মহানবী (সা.) পবিত্র কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে মুসলমানদের সুসংবাদ দিলেন, ‘আল্লাহতায়ালা তোমাদের এর পরিবর্তে আরও উৎকৃষ্ট দু’টি দিন দান করেছেন- একটি ঈদুল ফিতরের দিন, অপরটি ঈদুল আজহার দিন। ’
আর সেই থেকেঐতিহাসিক ঈদ বা মানুষের তৈরি সব ঈদের দিন ছাপিয়ে মুসলমানদের জন্য দু’টি ঈদ নির্দিষ্ট হলো। ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা। অন্য ধর্মের লোকেরাও বিভিন্ন উৎসব পালন করে থাকে। যেমন খ্রিস্টানরা বড়দিন পালন করে, হিন্দুরা কৃষ্ণের জন্মোৎসব করে থাকে।
মুসলমানদের উৎসবের দিনটি কোনও স্মৃতিচারণের নিমিত্তে নয়। বরং মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামতপূর্ণ দু’টি আলাদা এবং বিশেষ দিন। অন্যান্য ধর্মের উৎসবের বিশেষ দিনগুলোর বিশেষ স্মৃতি বা স্মরণ ছাড়া কোনও বিশেষত্ব নেই। কিন্তু মুসলমানদের দুই ঈদেরই বিশেষ ফজিলত আছে। ঈদুল ফিতর আসে দীর্ঘ একমাসের সিয়াম সাধনার পর এবং বিশেষ মাত্মপূর্ণ লাইলাতুর কদরের পর। আর ঈদুল আযহা আসে পবিত্র কা’বাকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের মহা মিলন শেষে পশু কোরবানীকে কেন্দ্র করে। যদিও এই কোরবানী মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম আঃ এর শিশুপুত্র কোরবানীর স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয় কিন্তু কোরবানীর দিন স্মৃতির সংশ্লিষ্ট নয় বরং হজের বিশেষ আনুষ্ঠানিকতা পশু কোরবানীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
সে যাই হোক, আনন্দ ও উৎসবের দিনগুলো যদি সকলে সম্মিলিতভাবে উদযাপন করে থাকে তাহলে এর সামাজিক মূল্য অনেক। অন্যদিকে এর অর্থনৈতিক গুরুত্বও অপরিসীম।
ঈদের সামাজিক গুরুত্ব কী?
ঈদের সবচেয়ে বড় সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ঈদ মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বারতা নিয়ে হাজির হয়। তোমরা নিশ্চই জানো যে মদিনার দু’টি গোত্রের মাঝে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ-সংঘর্ষ লেগেই থাকতো। আওস খাজরাজ নামক সেই দুই গোত্রের হানাহানি মহানবী সঃ মদিনায় হিজরতের পর বন্ধ হয়ে গেলো। আওস ও খাজরাজ গোত্র একে অপরের ভাই ও বন্ধু হয়ে গেলো। মহান আল্লাহ মহাগ্রন্থ আলকোরআনের সূরা আলে ইমরানের ১০৩ নম্বর আয়াতে বলেন-তোমরা তোমাদের ওপর আল্লাহর সেই নিয়ামতের কথা স্মরণ করো, যখন তোমরা একে অপরের দুশমন ছিলে, অতঃপর আল্লাহতায়ালা তোমাদের একের জন্য অপরের অন্তরে ভালোবাসা সঞ্চার করে দিলেন। অতঃপর তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহে ‘ভাই ভাই’ হয়ে গেলে। অথচ তোমরা ছিলে অগ্নিকুণ্ডের প্রান্ত সীমানায়। অতঃপর সেখান থেকে আল্লাহতায়ালা তোমাদের উদ্ধার করলেন, আল্লাহতায়ালা এভাবেই তার নিদর্শনগুলো তোমাদের কাছে স্পষ্ট করেন, যাতে তোমরা সঠিক পথের সন্ধান পাও।”
(সূরা আলে ইমরান: ১০৩)
এ থেকে বোঝা যায় মানুষে মানুষে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, ভ্রাতৃত্ববোধ কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। মহান আল্লাহর অনেক বড় নিয়ামত এই পারস্পরিক ভালোবাসা, সহানুভূতি, সম্পর্ক। পবিত্র কোরআনের সূরা হুজুরাতের ১০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। কাজেই তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে আপস- মীমাংসা করে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আশা করা যায় তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হবে।”
আর এই পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি ও পুনর্গঠনে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখে ঈদ। এই ঈদে কবিরাও আহ্বান সব দ্বেষ-বিদ্বেষ ভুলে এক হয়ে যেতে। কবি কাজী নজরুল ইসলাম একটি গানে বলেন-
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।
------------------------
------------------------
আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
অর্থাৎ ঈদ হচ্ছে দুশমনি ভুলে এক অপরের বন্ধু হওয়া, সম্পর্ক জোড়া লাগানো, সম্পর্ক পুনর্গঠনের নিয়মক শক্তি। যদি আমরা সবাই নিজেদের হিংসা-ক্রোধ-জিঘাংসা-ঘৃণা-দুঃখ কষ্ট- মান অভিমান সব পরিত্যাগ করে দুশমনি ভুলে একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাতে পারি, কাঁধে কাঁধ মেলাতে পারি তবেই ঈদ স্বার্থক হয়। আর এটাই ঈদের সামাজিক উপকার। সমাজ থেকে হানাহানি দূর করে ভালোবাসার পরিবেশ সৃষ্টি করে ঈদ।
তাই করোনা থাকুক বা কারও হৃদয়ে পাওয়া না পাওয়া, প্রিয়জন হারানোর যতো বেদনাই থাকুক সকলেই উচিৎ সবকিছু ভুলে নিজিকে উজাড় করে ঈদের দিন সবার সঙ্গে মিলে আনন্দে মেতে ওঠা। কোনও কারণেই এই দিনটির মাহাত্ম নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। বরং মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ পারষ্পরিক ভালোবাসা দিয়ে দিনটিকে স্মরণীয় ও মহিমান্বিত করাই আমাদের দায়িত্ব। আর সেই দায়িত্বের কথাই বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আমাদের কবি সাহিত্যিকেরাও। যদিও প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় সাহিত্যে ঈদের কবিতা দেখা যায়নি। কিন্তু বিংশশতাব্দীর গোড়ার দিকে বাংলা সাহিত্যে ঈদের চাঁদ উদিত হতে শুরু করে।। সৈয়দ এমদাদ আলী’ ঈদের মূল চেতনা সাম্য ও সম্প্রীতি গণ্য করে লেখেন-
‘কুহেলি তিমির সরায়ে দূরে
তরুণ অরুণ উঠিছে ধীরে
রাঙিয়া প্রতি তরুর শিরে
আজ কি হর্ষ ভরে।
আজি প্রভাতের মৃদুল বায়
রঙে নাচিয়া যেন কয়ে যায়
মুসলিম জাহান আজি একতায়
দেখ কত বল ধরে।’
‘ঈদ আবাহন’ কবি কায়কোবাদ ‘ঈদ আবাহন’ কবিতায় মুসলিম ঐক্যের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন-
‘আজি এই ঈদের দিনে হয়ে সব এক মনঃপ্রাণ,
জাগায়ে মোম্লেম সবে গাহ আজি মিলনের গান।
ডুবিবে না তবে আর ঈদের এ জ্যোতিষ্মান রবি,
জীবন সার্থক হবে, ধন্য হইবে এ দরিদ্র কবি।’ ( অশ্রুমালা)
কবি গোলাম মোস্তাফা লেখেন-
‘আজ নতুন ঈদের চাঁদ উঠেছে নীল আকাশের গায়,
তোরা দেখবি কারা ভাই-বোনেরা আয়রে ছুটে আয়।’
---------
‘ওরে চাঁদ নহে ও, ওযে মোদের নূরেরি খঞ্জর
ওই খঞ্জরেতে কাটবো মোরা শয়তানের পঞ্জর
মোরা ভুলবো আজি সকল বিরোধ মিলবো গো ঈদগায়।’’
ইসলামী জাগরণের কবি ফররুখ আহমদ এর ভাষায়-
‘আজ ঈদগাহে নেমেছে নতুন দিন,
চিত্তের ধনে সকলে বিত্তবান,
বড় ছোট নাই, ভেদাভেদ নাই কোন;
সকলে সমান- সকলে মহীয়ান।’;
এভাবে প্রায় সকল কবিই ঈদকে মহা মিলনের, সম্প্রীতির, বন্ধনের, ভ্রাতৃত্বের উপলক্ষ হিসেবেই চিত্রিত করেছেন।
তাই এসো ঈদের দিনটিতে আর কোনও বেদনার বেলাভূমে ক্রন্দন নয়, চাই সব ভুলে সব জনে মিলে একাকার হয়ে যাই প্রাণের বন্ধনে।