কবিতা-১
কবিতা:
৪২ ফিট অজগর!
সবকিছু ভুলে যেতে ইচ্ছে করে আজ
সব কষ্ট, সব স্মৃতি সব নষ্টসুখের দুঃখ,
ভুলে যেতে ইচ্ছে করে অতীত আমার,
ভুলে যেতেেইচ্ছে করে সব শত্রুতা
ভুলে যেতে ইচ্ছে করে সব বিতর্ক।
আবার হারিয়ে যেতেে ইচ্ছে করে
হারিয়ে যাবার বয়সটাতে, ইচ্ছে করে
সব টেনশন দায়িত্ব ভুলে প্রাণ খুলে হাসি আবার।
ইচ্ছে করে মিথ্যে বলি প্রিয়তমাকে।
ইচ্ছে করে সব দুঃখ পাল্টে ফেলি মিথ্যা গল্পে,
ইচ্ছে করে বানিয়ে বানিয়ে বলি আরও অনেক কিছু।
ইচ্ছে হয় স্বাধীন হতে, সংসার আর সত্যজীবন থেকে,
ইচ্ছে হয় গল্পের মধ্যে ডুবে থাকি সকাল সন্ধ্যা।
ইচ্ছে হয় আনোয়ার কাকার আযান শুনে
সবার আগে দরজা খুলে বের হই ঘর থেকে,
মাসুদ লুৎফর হায়দার কাকাকে ডাকি উচ্চস্বরে।
ইচ্ছে করে নামাজ শেষে ইমাম সাবের জন্য অপেক্ষা করি,
আযমত কাকার দোকান থেকে বাকী খাই ক্রিমরোল বিস্কিট।
ইচ্ছে করে কেচকি দিয়ে সাইকেল চালাই পুরো কলোনীর মাঠ।
সহোদরের সাথে ঝগড়া করি, আর নালিশ করি সারাক্ষণ,
ইচ্ছে করে ক্যানেলে গোসল করি, সাঁতার কাটি লুঙ্গীটাকে ঢোল বানিয়ে।
ইচ্ছে করে কাকীর বাসায় দাওয়াত খাই, কবুতরের নরম গোশত দিয়ে।
কত অদ্ভূৎ ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। কত অদ্ভূৎ লাগে জীবনের
এই গোটা পরিব্যাপ্তি!...যেন আমি নই, কোনও অজগর
জড়িয়ে আছে আমাকে সারাটি জীবন।
আমি বাঁচতে চাই এই অজগর থেকে।
সময় আজ অনেক বড় অজগর, না চাইতেই জড়িযে আছে
আমার সারাটি জীবন।
সময় এক বড় অজগর এখন। ৪২ ফিট দৈর্ঘ নিয়ে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে আমার বিনাশের দিকে।
কবিতা-২
আমিও শেষ ট্রেনের অপেক্ষায়...
আজ একজন কবির একটা কবিতা চোখে পড়ল। কবিতাটা পড়লাম। একবার, দু’বার, তিনবার...বারবার একটা লাইনে এসে থমকে যাই। ‘আমিও শেষ ট্রেনের অপেক্ষায়...’
কবিতাটা প্রেমের কবিতা। তাহলে শেষ ট্রেনের অপেক্ষা কেন? ‘আমিও ট্রেনের অপেক্ষায়’ হলেই কি হতো না? কিন্তু যখনই কবি বললেন শেষ ট্রেনের অপেক্ষায় তখনই ভেতরটা কেঁপে উঠলো। কবি কি তবে বিদায়ের সুর শুনতে পাচ্ছেন মৃদু স্বরে? বুকটা ভারি হয়ে উঠলো। এই কবি শুধু প্রিয় কবি নয়, বরং আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয় একজন শিক্ষক। বাংলাবিভাগের একজন অধ্যাপক। স্যার যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করেন, তখন আমরা আমাদের সামর্থ্যানুযায়ী একটা অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান করেছিলাম। আমাদের সঙ্গেই স্যারের প্রথম ক্লাস শুরু হয়। সেই সেকেন্ড ইয়ার থেকে আজ অব্দি কতো স্মৃতি স্যারের সঙ্গে! প্রায় ১৮-২০ বছর।
তাই কবিতায় ‘শেষ ট্রেনের অপেক্ষায়’ লাইনটা পড়ে থমকে গেলাম!....
তারপর মন খারাপ নিয়ে কবিতাটা আবৃত্তি করলাম।...আমার ছেলে সেটাকে এডিট করে...কিছু একটা বানিয়েছে।...
কবিতা-৩
কবিতা: প্রদীপ শিখা
প্রিয় প্রদীপ শিখা
একবার এসে আমায় আলোকিত করে দাও,
আমি অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছি ক্রমশঃ
আমায় উজ্জ্বল করে দাও আবার।
দূর করে দাও আমার জীবনের,
আমার মনের সকল অন্ধকার।
আমি তোমার থেকে একটু আলো আর উষ্ণতা পেতে চাই।
প্রদীপ শিখা!
আমি তোমার থেকে নেয়া আলোয় আলোকিত করতে চাই
সারাপৃথিবী।
যে আলো আমাকে কাঁদতে শেখাবে রাতে প্রভূর দরবারে
যে আলো দূর করে দেবে সব হিংসা, ক্রোধ, ঘৃণা আর স্বার্থপরতা।
প্রিয় প্রদীপ শিখা
তোমাকে নেভাতে চাই না কখনও।
কারও ভয়ে ভীত হয়ে, কোনও বৈরি বাতাসে
তোমার পথরুদ্ধ করতে চাই না আর।
তুমি প্রোজ্জ্বলিত হও সকল প্রতিকূলতা মাড়িয়ে
আলোর সন্ধানী করো আমায়।
তুমি এসো হৃদয়ে আমার
গহীন থেকে গহীনে, সকল অরণ্যে,আর অজস্র বর্ষণে
যে বর্ষণে আমি শুদ্ধ হবো, হবো
সদ্যোজাত শিশুটির মতো নিষ্পাপ
যে বর্ষণে ঘুচে যাবে আমার সকল অভাব।
প্রদীপ শিখা, এখনও ভালোবসি তোমাকে
যতই অন্ধকারে ডুবে থাকি আমি,
কিংবা আমার মনোভূমি!..
কবিতা-৪
তরুণদের কবিতা ও তাদের প্রশংসা!...
সাধারণত যেটা হয় যে কোনও নবীন সাংবাদিক, লেখক, কবি বা উদ্যোক্তার কাজে যখন প্রশংসা করা হয় তখন সেটা অনেকটাই উৎসাহ দেয়ার নিমিত্তে করা।
কিন্তু অনেক তরুণ সেটাকে ফাইনাল জাজমেন্ট মনে করে নিজেকে নিয়ে বড়াই করতে শুরু করে।...নিজেকে বড় কবি ভাবতে শুরু করে, বড় লেখক, শিল্পী, ইত্যাদি ভাবতে শুরু করে।....
ছোটবেলার ২টা স্মৃতির কথা বলবো।
১...তখন আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী। থাকতাম দারুল আমান ছাত্রাবাসে। তো প্রতিমাসে বা কোনও বিশেষ উপলক্ষে মেসের সবাইকে নিয়ে প্রোগ্রাম হতো। ৫তলা বাড়ির প্রায় পুরোটাই ছিল মেস। তো মেসের বর্ডার মিলে অনেক সদস্য। তাদের নিয়ে যখন কোনও প্রোগ্রাম হতো, সেটাও একটা বড় গেটটুগেদার হয়ে যেত।...তো সেই অনুষ্ঠানে মাঝে মাঝেই একজনকে গান গাইতে বলা হতো। ছেলেটা ছিল খুবই সরল প্রকৃতির। হাবাগোবা। গান গাইতে বললেই গান গাইতো। কিন্তু না হতো সুর, না ছিল গানের গলা। স্রেফ মজা করার জন্যই এটা করা হতো, আর গান শেষে সবাই চিৎকার করে মারহাবা দিতাম। কিন্তুেআড়ালে সবাই মুখটিপে হাসতো। গানের মাঝখানে থামিয়ে বরতো, গান খুব ভালো হয়েছে, আরেকটা ধরেন...সে আরেকটা ধরতো...হাসির রোল পড়ে যেত কখনও কখনও। যদিও বড়রা সেটা নিয়ন্ত্রণ করতেন। কিন্তু তারাও হাসতো। এসব দেখেও ছেলেটা বুঝত না....
এমন না বুঝা পাবলিক অনেক আছে। যে বা যারা নিজের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত নয়। তাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য কোনও কথা বলা বা প্রশংসা করা হলে তারা সেটাকেই ফিক্সড করে নিয়ে নিজেকে হামবড়া ভাবতে শুরু করে। ....
দ্বিতীয় স্মৃতিটি হলো--- কবি আল মাহমুদকে নিয়ে। আমরা প্রতি বুধবার সাহিত্য সভা করতাম। সেই সভায় অনেক গুণীজন, প্রথিতযশা কবি, লেখক লেখিকা উপস্থিত থাকতেন। সাহিত্যসভা পরিচালনা করতেন সাধারণত কবি জাকির আবু জাফর। তো এক সভায় অতিথি ছিলেন কবি আল মাহমুদ।...
আমরা নবীনরা বরাবারের মত সেই সভায় কবিতা পাঠ করলাম। স্বরচিত কবিতা। কবিতা পাঠের পর সমালোচনার পালা। কবি আল মাহমুদ এত কট্টর সমালোচনা করলেন, আমাদের কারও কারও চোখে পানি চলে আসছিল।...
মোটামুটি কারও কবিতাই প্রশংসা পেলো না। ভাগ্যিস কবি জাকির আবু জাফর ভাই তার সমালোচনার পর্বে নবীনদের সান্ত্বনা দিলেন। তা নয়তো অনেকেই হয়তো আর কবিতা লেখার চেষ্টাই করতো না।...
কবিতা-৫
কবিতা- ক্ষমা করে দিও হে প্রিয়তমা!
(উদ্দেশ্য: কবিতার সমঝদার ব্যক্তিগণ)
আমি ধৈর্য ধরতে জানি, শিখেছি এটা দীর্ঘ জীবনে।
কিন্তু মাঝে মাঝে ধৈর্যচ্যুতি ঘটে যখন, তখন
নিজেকেও সামাল দিতে পারি না। কত কাউন্সেলিং হলো,
‘মেজাজের ভারসাম্য রক্ষা করো মামুন’...
কিন্তু ফলাফল জিরো দশমিক নাইন।
ধৈর্যের সীমা হয়তো বাড়ে কিছুটা, কিন্তু পরক্ষণেই ভেঙে পড়ে ভূমিকম্পের মতো।
ইদানীং আমি নিজেই নিজেকে ভয় পেতে শুরু করেছি ভীষণ!
কারণ মানুষ হিসেবে পাওয়া আমার ইগো, আমার সীমাবদ্ধতা,
আমার রাগ ক্ষোভ রিপু মাঝে মাঝে জয়ী হয়ে যায়।...
এই যেমন এখন অনেক কিছু মেনে নিচ্ছি...
আমার ব্যক্তিস্বাধীনতায় তোমার হস্তক্ষেপ। তোমার রুঢ়তা।
তোমার অতিরিক্ত সন্দেহ! সবই...
মেনে নিচ্ছি দ্রব্যমূলের উর্দ্ধগতি, ভৌতিক বিদ্যুৎবিল,
গুলিস্তানের কুত্তা যানযট, ধর্মের নামে অধর্মের আস্ফালন,
মেনে নিচ্ছি সাগর চুরি, দুর্নীতি আর ইভ্যালিদের অর্থ লোপাট!
মেনে নিচ্ছি ‘সৌভাগ্যবান’ মাতাল ছেলের দুর্ভাগ্য!
মেনে নিচ্ছি চীনের সস্তা পণ্যের বিশাল বাজার!
মেনে নিচ্ছি নিত্য নতুন ভিনদেশি তাঁবেদার...
সব মেনে নিচ্ছি একটু সুখের আশায়, হয়তো আমায় তুমি মুক্তি দেবে
তোমার অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে।
কিন্তু কোথায় সে মুক্তি?
মৃত্যু দূত এসে গেছে শিয়রের পাশে, হাতে ফাঁসির দড়ি...
প্রতি রাতেই এমন স্বপ্ন দেখে আমি ধড়ফড় করে উঠে পড়ি।
জানি, শেষ যামানার স্বপ্নগুলো সব দুঃস্বপ্ন হয় না কখনও,
কখনও ইঙ্গীত দেয় নতুন সত্যের, আমি তাই ধৈর্যহারা এখন।
বড়ই ধৈর্য হারা। আমাকে ক্ষমা করে দিও হে প্রিয়তমা!
কবিতা-৬
কবিতা: দুই পাহাড়ের মালিক
আমি তোমার দুই পাহাড়ের পাদদেশে
কিছুটা সময় বিশ্রাম নিতে চাই।
কী অপরূপ রূপ তার, যেন লালমাটির প্রলেপ সারা গায়।
আমি সেই লালমাটি সরিয়ে, সাদা পাথর বসাবো,
তারপর চাষ করবো বলাকা পাখি।
পাহাড়ের পাদদেশ থেকে চূড়ায় উঠবো কখনও,
তুমি বাধা দিলে নেমে আসবো ফের।
তারপর পাহাড় চূড়ার কম্পমান পাতাগুলো দেখে
আবার এগুবো সামনে, যতটা সামনে এগুনো যায়।
তুমিতো রাঙামাটি গিয়েছিলে একদা।
সেখান থেকেই কি পেয়েছ এই পাহাড়-যুগল?
তুমিতো চূড়ায় উঠেছিলে সবার আগে,
আমায় কেন তবে বাধা দেও এখন?
আমার সরলতা বুঝি সীমাবদ্ধতা খুব?
না, মানি না আমি। আমিও চূড়ায় চড়তে চাই তোমার মত।
আমিও ভুলে থাকতে চাই নির্লিপ্ত সমতটী পৃথিবীকে।
পাহাড়ের গা বেয়ে গহীন জঙ্গল!
আমি ভয় পাই না তাতে। জঙ্গলের ভিতর
গহীন গুহা আমাকে টানে খুব।
দু’পাহাড়ের মালিক তুমিই অপরূপ।
কবিতা-৭
কবিতা হৃষ্টপুষ্ট অগ্নিশিখা
তুমি আগুন দেখেছ, আগুন দেখে ভয় পেয়েছ?
অথচ সে আগুন দেখেছি আমি কাল রাতে
তোমার হৃষ্টপুষ্ট শরীর থেকে যে আগুন ছড়িয়েছিল
সারারাত আমার বিছানায়, আমি কিছুতেই তা ভুলতে পারি না।
রাতের অন্ধকার শীতলতাও পারেনি আমাকে এতটুকু শান্তি দিতে।
তুমি নিজেই এক জ্বলন্ত অগ্নিশিখা,
আমাকে সারারাত পুড়িয়েছে যে অবিরাম
ভোর থেকে যতবার ঘুমিয়েছি, লাফিয়ে উঠেছি বারবার
সারা শরীর জুড়ে শুধু কাম আর কাম-
কাল রাতে তুমি কি কোনও আগুন দেখেছিলে?
দেখোনি, তাই ভোর হতেই সেই আগুন ছিটকে পড়লো
তোমার নির্মাণাধীন বাড়ির চারপাশে।সেই আগুন
বিশ্বাস করো আমার কামনার আগুন থেকে বেশি নয়।
তাই আগুন তোমাকে ছুঁতে পারেনি, আমার আগুন তোমাকে ছোঁবে
তোমাকে উত্তপ্ত করবে ভীষণ, করবে শীতল আবার, তোমাকে বর্ষণসিক্ত
জবা ফুলের মতো ম্লান করবে, তোমাকে ডুবিয়ে মারবে সব নিয়মনীতি সংষ্কার ভেঙে।
একদিন দেখে নিও অগ্নিশিখা
আমার হৃষ্টপুষ্ট অগ্নিশিখা।
কবিতা-৮
কবিতা
একটা ছাতার জন্য
মামুন মাহফুজ।
টং দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম।
হঠাৎ দেখলাম, একটা মেয়ে এসে দাঁড়িয়েছে সামনে।
হাতে বই, কাঁধে বইয়ের ব্যাগ। মেয়েটা দেখতে সুন্দর!
বলাই বাহুল্য, প্রথম দেখায় সব মেয়েকেই আমার বড় সুন্দর মনে হয়। তারপর ফিকে হয় যায় সব রং।
বৃষ্টিতে মেয়েটি তার গন্তব্যে যেতে পারছিল না।
এরই মধ্যে এসে দাঁড়ালো আলু অর্জুনের মতো একটি সুঠামদেহী ছেলে।
আমি নিজের দিকে তাকিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে বেটার দেখে চোখ নামিয়ে নিলাম।
ছেলেটি হাতে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হয়তো মেয়েটিকেই দেখছে সে।
পুরুষের স্বভাবতো আমার জানা।
ধীরে ধীরে সে কিছুটা এগিয়ে এলো মেয়েটির দিকে।
হয়তো এখনই শুরু হবে সিনেমার ডায়লগ! এক্সকিউজ মি...
কিন্তু আমাকে অবাক করে প্রথম ডায়লগ আলু অর্জুন নয় মেয়েটি উচ্চারণ করলো...ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?
হয় নিজে যান, না হয় আমাকে দেন ছাতাটা...
আর ছেলেটিও এগিয়ে দিল, বলে আমার কোনও তাড়া নেই। আপনি যান।
- তারপর?
- তারপর ছাতাটা এই দোকানে রেখে যাবেন, আমি পরে নিয়ে নেবো।
মেয়েটি আর বিলম্ব করেনি এক মুহূর্ত...
এক লাফে নেমে গেলো বৃষ্টির মাঝে ছাতা নিয়ে।...
বুঝলিরে রানা, জীবনে একটা ছাতা ছিল না বলে আমার প্রেম হলো না...
রানা বলে- হ বুঝছি ভাই... একটা ছাতার জন্য...
আমার ছেলে কবিতা লিখেছে,
গরু গেল ছুটে ছুটে
পাইনি আর খুজে খুজে
গরু গেলো বাঘের কোলে
বাঘ বলে খাবো তোকে
ভয়ে গরু পালালো দৌরিয়ে
বাঘ গেলো পিছনে পিছনে
কবিতা-৯
কবিতা
সাহস!
মামুন মাহফুজ।।
তোমাকে দেখতে চাই, বললে কি
খুব অন্যায় হবে আমার? কিংবা
তোমাকে ছুঁতে চাই, বললে কি তুমি
লজ্জাবতী গাছের মতো মূর্ছা যাবে?
তোমাকে পেতে চাই বললে কী করবে তুমি?
ঠোঁট বাকিয়ে বলবে, কী সাহস লোকটার!
না কি বিরক্ত হয়ে, ঠোঁটের কোনায়
ফুটিয়ে তুলবে অবজ্ঞার শ্লেষ?
আমি খুব ভয় পাই তোমাকে, তোমার
আবেগী বয়সটাকে, কোমল মন
আর অহঙ্কারী স্বভাবটাকে।
ভয় পাই তোমার চোখের গভীরতাকে।
একদিন আমার অনেক সাহস হবে,
আমি তোমার চোখে চোখ রেখে
অকপটে বলবো সব না বলা কথা...
একদিন আমাকে সব বলতেই হবে...তোমাকে!
(উৎসর্গ: আমার একমাত্র কবিতা শোনার মানুষটাকে।)
কবিতা-১০
কবিতা:
একদিন আমি বিকেল হব,
হব ঘোর সন্ধ্যেবেলা।
তারপর রাত্রি জুড়ে নেমে আসবে
শিশির কুয়াশা।
নতুন ভোর হতে পারব না আর কখনো।
জীবন চক্রের এই নিয়তি মেনে নিতে
খুব কষ্ট, কষ্ট হয় সন্ধ্যেবেলার অপেক্ষায়, কষ্ট হয় রাত্রির ঘোর অন্ধকারে ঢলে পড়তে।
থাক আর নয় স্বপ্ন পূরণের পথে চলা,
আর নয় মিথ্যে সান্ত্বনা প্রবোধ,
এখন সময় বিশ্বস্ততার সাথে সব বাস্তবতা মেনে নেওয়ার।
চলো মেনে নেই, চলো হাসিমুখে
বরণ করি অসময়।
কবিতা-১১
যারা কবিতা চর্চা করেন তাদের জন্য মেছাল স্বরূপ একখানা কবিতা পেশ করছি.....
"এই যে তুমি মস্ত মুমিন, মুসলমানের ছেলে;
বক্ষ ভাসাও, ফিলিস্তিনে খুনের খবর পেলে।
রোহিঙ্গাদের দুঃখে তুমি এমন কাঁদা কাঁদো;
ভাসাও পুরো আকাশ-পাতাল, ভাসাও তুমি চাঁদও!
অশ্রু তোমার তৈরি থাকে— স্বচ্ছ এবং তাজা;
হ্যাশের পরে লিখছ তুমি— বাঁচাও, বাঁচাও গাজা।
কোথায় থাকে অশ্রু তোমার— শুধোই নরম স্বরে,
তোমার-আমার বাংলাদেশে হিন্দু যখন মরে?
মালেক-খালেক মরলে পরে শক্ত তোমার চোয়াল;
যখন মরে নরেশ-পরেশ, শূন্য তোমার ওয়াল!
তখন তোমার ওয়ালজুড়ে পুষ্প এবং পাখি,
কেমন করে পারছ এমন— প্রশ্ন গেলাম রাখি।
তোমরা যারা দত্ত বা দাশ, মৎস্য ঢাকো শাকে;
কবির লেখা পক্ষে গেলেই ভজন করো তাকে।
মুসলমানের নিন্দে করে লিখলে কোথাও কিছু;
তালির পরে দিচ্ছ তালি, নিচ্ছ কবির পিছু।
কিন্তু তোমার অশ্রু, আহা, কেবল তখন ঝরে;
বাংলাদেশের কোথাও কেবল হিন্দু যখন মরে!
কালীর ডেরায় লাগলে আগুন তখন কেবল ডাকো,
রহিম-করিম মরলে তখন কোথায় তুমি থাকো?
বাংলাদেশে সুশীল তুমি, ভারতজুড়ে যম;
মুসলমানের মূল্য তখন গরুর চেয়ে কম!
বাংলাদেশের কস্তা-গোমেজ— যিশুর দলের লোক;
বোমায় ওড়ে গির্জা যখন, তখন কেবল শোক।
বস্তাভরা শোকের রঙে কস্তা তখন রাঙে,
যিশুর নামে মারলে মানুষ নিদ্রা কি আর ভাঙে!
মরণ হলে মুসলমানের, হয় না কাঁদার ইশু;
গভীর ঘুমে থাকেন তখন বাংলাদেশের যিশু!
খেলার ওপর চলছে খেলা— টমের সাথে জেরি;
বঙ্গদেশের সন্তানেরা এমন কেন, মেরি?
তোমরা যারা কস্তা-গোমেজ কিংবা রোজারিও;
মুখের মোহন মুখোশ খুলে জবাব এবার দিয়ো।
রোহিঙ্গাদের রক্তে যখন বার্মা মরণ-কূপ;
বাংলাদেশের বৌদ্ধ যারা, মড়ার মতোন চুপ!
ভিক্ষু যখন বলছে হেঁকে— রোহিঙ্গাদের কাটো;
তখন কেন, হে বড়ুয়া, ওষ্ঠে কুলুপ আঁটো?
এমন করেই মরছে মানুষ ধর্ম নামের ছলে;
বাংলাদেশের বৌদ্ধ কাঁদে, বুদ্ধ যখন জ্বলে।
যখন জ্বলে বৌদ্ধবিহার, যখন রামুর পাহাড়;
বড়ুয়াদের জবানজুড়ে শান্তিবাণীর বাহার!
শান্তিবাণীর এমন বাহার তখন কোথায় থাকে,
রোহিঙ্গারা যখন মরে নাফের জলের বাঁকে?
পাগড়ি দেখি, পৈতা দেখি, আকাশজুড়ে ফানুশ;
চতুর্দিকে চতুষ্পদী, হচ্ছি কজন মানুষ!
জগৎজুড়ে সৈয়দ কত, কত্ত গোমেজ-বসু;
খতম কজন করতে পারি মনের মাঝের পশু!
রক্তখেলা অনেক হলো, সময় এবার থামার;
বিভেদ ভুলে বলুক সবে— সকল মানুষ আমার।
বন্ধ ঘরের দরজা ভাঙো, অন্ধ দু-চোখ খোলো;
মরল কেন আমার ভাইয়ে— আওয়াজ এবার তোলো।"
- আখতারুজ্জামান আজাদ
২২ এপ্রিল ২০১৯
কবিতা-১২
কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের চেতনার কবি, জাগরণের কবি।
চেতনা কী?
চেতনা হলো চৈতন্য,আমরা চৈতন্য বলি কাকে? চৈতন্য বলি চেতন পাওয়াকে। আর চেতন পাওয়া মানে জাগা। চেতনাহীন মানে? নির্জীব, অনুভূতিহীন, কোনও কিছু হলে টের পায় না এমন। বা টের পেলেও অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না। যেমন মৃত মানুষ। তার কি চৈতন্য আছে? সেকি আর জেগে উঠতে পারে?
চেতনা মানে তাই সংজ্ঞা। বা বোধজ্ঞান থাকা। হুঁস থাকা।
নজরুল আমাদের সেই কবি যে আমাদের চৈতন্য ঘটালেন।
কোত্থেকে ঘটালেন? আমরা তথা গোটা ভারতবর্ষ এক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলাম। সেই ঘুম থেকে নজরুল আমাদের জাগিয়ে তুললেন। তার প্রথম কবিতাটি তিনি লেখেন ক্লাস ফোরে পড়ার সময়। সেই কবিতাতেই তিনি জেগে উঠতে বললেন।
ভোর হলো দোর খোল
খুকুমণি ওঠো রে
ঐ ডাকে জুঁই শাঁখে
ফুল খুকি ছোট রে।
খুলি হাল তুলি পাল
ঐ তরী চলল
এইবার এইবার
খুকু চোখ খুলল।
এ ছিল তার শৈশবের জাগৃতি। তারপর যৌবনে লিখলেন সত্যিকারের চৈতন্যকে জাগিয়ে দেয়ার দুর্লঙঘ্য, দুর্দমনীয়, বারুদের মতো ইস্পাতদৃঢ় চেতনার কবিতা।
কী সেটা?
বিদ্রোহী।
বল বীর -
বল উন্নত মম শির
শির নেহারি আমারি নতশির ঐ শিখর হিমাদ্রির !
বল বীর-
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
খোদার আসন আরশ ছেদিয়া
উঠিয়াছে চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাত্রীর !
তিনি গোটা ভারতবর্ষকে জাগিয়ে তুললেন শোষকের বিরুদ্ধে।
বললেন
চল চল চল
উর্ধ গগনে বাজে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরনী তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চলরে চলরে চল...
জাগিয়ে তুললেন শাসকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে। শেখালেন জুলুমের আগল ভেঙে জেগে উঠতে। বললেন
কারার ওই লৌহ কপাট,
ভেঙে ফেল কররে লোপাট।
বললেন;
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভুমে রণিবে না
বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হবো শান্ত’
নজরুলের এই জাগরণ শুধু মুসলমান কিংবা হিন্দু ধর্মের লোকদের জন্য ছিল না। বরং উভয়কেই তিনি স্ব স্ব ধর্মবিশ্বাসের আলোকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন। মুসিলিমকে বলেছেন
বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা
শির উচুঁ করি মুসলমান
দাওয়াত এসেছে নয়া যামানার
ভাঙা কেল্লায় ওড়ে নিশান
আর হিন্দুধর্মের লোকদের বলেছেন;
আর কতকাল থাকবি বেটী মাটির ঢেলার মূর্তি আড়াল?
স্বর্গ যে আজ জয় করেছে অত্যাচারী শক্তি চাঁড়াল।
দেব–শিশুদের মারছে চাবুক, বীর যুবকদের দিচ্ছে ফাঁসি,
ভূ-ভারত আজ কসাইখানা, আসবি কখন সর্বনাশী?
নজরুল এভাবে সমগ্র জাতি-গোষ্ঠীকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, শোষণের বিরুদ্ধে, শোষকের বিরুদ্ধে জাগিয়ে তুলেছিলেন। বৃটিশদের নাগপাশ থেকে, বন্দিদশা থেকে মুক্তির প্রথম বাণী বা আহ্বানই ছিল তাঁর।
আজ ১১ই জৈষ্ঠ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী। কবি নজরুল ইসলাম বাংলা ১৩০৬ সালের এইদিনে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার,চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
কবিতা-১৩
কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটা কবিতা আছে, যেটা আসলে 'কথা কাজে মিল নাই' এর উদাহরণ...
আকাশ পানে মারলো ছুরি
লাগলো কলাগাছে,
হাঁটু বেয়ে রক্ত ঝরে
চোখ গেলোরে বাবা।
আকাশে ছুরি মারলে কলাগাছে লাগে ক্যামনে?
আর যদিওবা লাগে, হাঁটু বেয়ে রক্ত ঝরবে কেন?
মানে যা ইচ্ছা বললেই সেটা কবিতা নয়... এই কথাই বুঝাতে চেয়েছেন কবি...
আজ কিন্তু অনেকেই এরকম কবিতা লিখছেন
বিশেষকরে সরকার ও সরকারের পর্ণমাধ্যম।
যেমন ধরেন
গুলশানে হামলা করলো কে?
স্বীকার করলো আইএস
পুলিশ বললো জে এমবি...
জঙ্গীদের বাবারা আওয়ামীলীগ নেতা
কিন্তু নাসিম দোষ দিল জামায়াতের।
কথিত জঙ্গীরা পড়ে নর্থ সাউথে
কিন্তু বন্ধ করা হলো পিস টিভি।
কারো সাথে কারো মিল আছে?
এ কেমন মগেরমুল্লুক?
কবিতা-১৪
কবিতা
আমি ধৈর্য ধরতে জানি, শিখেছি এটা দীর্ঘ জীবনে।
কিন্তু মাঝে মাঝে ধৈর্যচ্যুতি ঘটে যখন, তখন
নিজেকেও সামাল দিতে পারি না। কত কাউন্সেলিং হলো,
‘মেজাজের ভারসাম্য রক্ষা করো মামুন’...
কিন্তু ফলাফল জিরো দশমিক নাইন।
ধৈর্যের সীমা হয়তো বাড়ে কিছুটা, কিন্তু পরক্ষণেই ভেঙে পড়ে ভূমিকম্পের মতো।
ইদানীং আমি নিজেই নিজেকে ভয় পেতে শুরু করেছি ভীষণ!
কারণ মানুষ হিসেবে পাওয়া আমার ইগো, আমার সীমাবদ্ধতা,
আমার রাগ ক্ষোভ রিপু মাঝে মাঝে জয়ী হয়ে যায়।...
এই যেমন এখন অনেক কিছু মেনে নিচ্ছি...
আমার ব্যক্তিস্বাধীনতায় তোমার হস্তক্ষেপ। তোমার রুঢ়তা।
তোমার অতিরিক্ত সন্দেহ! সবই...
মেনে নিচ্ছি দ্রব্যমূলের উর্দ্ধগতি, ভৌতিক বিদ্যুৎবিল,
গুলিস্তানের কুত্তা যানযট, ধর্মের নামে অধর্মের আস্ফালন,
মেনে নিচ্ছি সাগর চুরি, দুর্নীতি আর ইভ্যালিদের অর্থ লোপাট!
মেনে নিচ্ছি ‘সৌভাগ্যবান’ মাতাল ছেলের দুর্ভাগ্য!
মেনি নিচ্ছি চীনের সস্তা পণ্যের বিশাল বাজার!
মেনে নিচ্ছি নিত্য নতুন ভিনদেশি তাঁবেদার...
সব মেনে নিচ্ছি একটু সুখের আশায়, হয়তো আমায় তুমি মুক্তি দেবে
তোমার অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে।
কিন্তু কোথায় সে মুক্তি?
মৃত্যু দূত এসে গেছে শিয়রের পাশে, হাতে ফাঁসির দড়ি...
প্রতি রাতেই এমন স্বপ্ন দেখে আমি ধড়ফড় করে উঠে পড়ি।
জানি, শেষ যামানার স্বপ্নগুলো সব দুঃস্বপ্ন হয় না কখনও,
কখনও ইঙ্গীত দেয় নতুন সত্যের, আমি তাই ধৈর্যহারা এখন।
বড়ই ধৈর্য হারা। আমাকে ক্ষমা করে দিও হে প্রিয়তমা!
কবিতা-১৫
রাসুল (সঃ) দেখতে কেমন?
-মামুন মাহফুজ
কেমন ছিলেন রাসুল তিনি, কেমন ছিল নবী?
আমাদের কাছে কি তার নেই কোনও ছবি!
ভাবতে গিয়ে দেখি তিনি পূর্ণিমারই চাঁদ
আছেন তিনি দিনদুপুরে কিংবা গভীর রাত।
দেখলে তাকে হতভম্ব হত আগন্তুক,
তিনি আরও সুন্দর বটে নস্যি চাঁদের মুখ।
গোলাকার ছিল মুখখানি তার, পুরোপুরি নয়
প্রশস্ত কপাল, চিকন, বাাঁকা ভ্রু, এত ঘন হয়!
গায়ের রংটা গমের মতো, বরং আরও সাদা
সাদার সাথে লাল মেশানো, বলতেতো নেই বাধা।
কালো চোখ, লম্বা পলক আনত নয়ন তার
চোখেরমণি কালো অনেক মতটি বিন আবি হালার।
নাকটা খানিক উঁচু আবার জ্যোতির্ময়ী চমক
মিষ্টি ভাষার মানুষ তিনি দেয়নি কারেও ধমক।
গাল দেখতে হালকা সমতল, সজীব আভা জুড়ে
নীচের দিকে মাংসপেশি, দেখতো সবাই ঘুরে ঘুরে।
ঝিলিক দিত মুক্তোর মত চিকন চকচকে দাঁত
হাসতো যখন মিষ্টি করে সেই হাসিতে ভূবন মাত।
দাড়ি ছিল মুখভরা তার, ঘন খিলাল করা
লম্বা পাতলা ঘাড়টি যেন থাকতো সদাই খাড়া।
মাথা বড় মধ্যম আকার, দেখতে সুষম বটে
সেই মাথাতেই আল্লাহ তায়ালার সব নেয়ামত জোটে।
চুল ছিল কোকড়ানো তার কিন্তু বেশি নয়
আনাস বলেন সামান্য তা, সঙ্গে যিনি রয়।
সিঁথি ছিল দু’পাশে আর, লম্বা ছু’লো ঘাড়
কানের লতি অব্দি ছিল ঘন চুলের সার।
নয়তো মোটা নয়তো চিকন মাঝামাঝি নবী
পেটের সাথে মেদ ছিল না, সুঠাম ও মযবুতই।
হাতের বাহু লম্বা ছিল, আঙুল ছিল বড়
কোমল ছিল রেশমি যেমন, কিংবা বেশি তারও।
পা ছিল তার চুপসানো আর হালকা মাংস পেশি
ওজুর পানি দাঁড়াইতো না, আঙুল ঘেষাঘেষি।
এমন নবীর দেখা যদি পাই গো প্রভূ কভূ
হাজার সালাম দিব তারে মিটবে কি স্বাদ তবু?
তথ্যসূত্র:
বই: মানবতার বন্ধু মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ সঃ
লেখক: নঈম সিদ্দিকী। পৃষ্ঠা- ৬৯-৭৩