Poems

মা দূর্গা

কোলে বাচ্চা, মাথায় ঝাঁকা,

ক্লান্তিতে তার কোমর বাঁকা |

বিক্রি করে হরেক রকম-

বিন্দি, চুড়ি, ক্লিপ |

“চুড়ি নেবে গো, চুড়ি ?

দুটো দশ, পাঁচটা নিলে কুড়ি” |

লোক ওঠে আর লোক নামে

যখন যেথায় ট্রেন থামে |

আমি তখন অফিস যাত্রী,

ঠেলে ভিড়, ভিতরে ঢুকি-

লোকাল ট্রেন ভিড়ে ঠাসা |

এগিয়ে দেখি, দশ দিক সামলিয়ে -

সামনে আমার গনেশ কাঁখে মা দূর্গা!

প্রতীক্ষা

সন্ধ্যা নামে ধীর পায়ে

আরব সাগর পারে;

দূর জাহাজের আলো

সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালে,

যেখানে আকাশ মেশে সাগরে|

গাং-চিল শেষ চক্র কেটে

বাসায় ফেরে প্রেয়সীর তরে|

একা আমি, অনন্ত প্রতীক্ষায়

বসে থাকি জানালার ধারে|

মেয়েবেলা

মেয়ের এখন স্কুলের ছুটি,

ব্যস্ত সারাবেলা-

কম্পুটারে করছে খালি খেলা|

রাগে গজ-গজ চ্যাচাই আমি-

“পড়ার টেবিল গুছিয়ে রাখো,

ফেলে কাজ আজে বাজে,

দুদিন পরে খুলবে স্কুল-

পাবে না কিছু-ই খুঁজে ”|

কথা কি আর কানে যায়!

নিমেষে তা হওয়ায় মিলায়,

লাগি সাফাই কাজে |

ছোট ছোট কাগজ কাটা,

পিছনে সাটা গদের-আটা |

হটাত করে পিছলে গেলাম,

বছর কয়েক কুড়ি-

সংহিতার পিছনে টিকি,

বেঁধেছিলাম এই আমি!

শৈশব মোর উঁকি মারে,

মেয়ের দুষ্টু চোখে-

কোপাই আজ মিশে গেছে,

আরব সাগর বুকে |

সব কিছু সেই একই আছে,

সময় শুধু এগিয়ে গেছে,

বছর কয়েক কুড়ি-

পাক ধরেছে কালো চুলে,

দুষ্টুমি হায় গেছি ভুলে ||

সারদা

বিজ্ঞানের দেবালয়ে

সূর্য গেছেন অস্তাচলে,

অসুরেরা সব দাড়িয়ে দ্বারে,

ঝোপ বুঝে কোপ মারবে ঘাড়ে-

পাশের ওই বাদাম তলায়

বিহাগ রাগে বীনা বাজে,

চোখের জলে সারদা ভাসে |

কলঙ্ক

হে চন্দ্র, তুমি সূর্য নাহি হবে-

দিনান্তের সূর্যালোক ভাগ করি লবে|

সত্যরে ভুলে সবে করে তব জয়গান,

হে কুমার শশী, দেখ আরশি-

কলঙ্ক তব ভালে ||