বিশ্বজিৎ পাণ্ডার নেওয়া সাক্ষাৎকার সংকলন
'কলম রেখে কথা হোক ১'
প্রকাশক : সৃষ্টিসুখ
প্রচ্ছদ : প্রণবেশ মাইতি
প্রকাশকাল : ২০২৪
ISBN : 978-81-94658-2-6
একজন শিল্পী–সাহিত্যিক–সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের প্রাথমিক পরিচয় তাঁর কাজে। কিন্তু শুধু কাজের মাধ্যমে একজন সৃষ্টিশীল মানুষকে পুরোপুরি ধরা যায় না। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় উঠে আসে সৃষ্টিশীল মানুষের মনন–চেতনের নানান অনুষঙ্গ, তাঁদের সৃষ্টির উৎসকথা ও বিচিত্র মুহূর্ত, জীবন ও সাহিত্য দর্শনের খুঁটিনাটি। প্রতিটি মানুষকে ধীরে ধীরে হয়ে উঠতে হয়। এই হয়ে ওঠার আখ্যানও উঠে আসে একান্ত আলাপে। কারও সৃষ্টিকে সম্পূর্ণভাবে অনুধাবন করতে হলে তাঁর শিল্পযাপনের প্রতিটি স্তরের সঙ্গে পরিচয় থাকা জরুরি। এই পরিচয়ের কাজটি করবে বিশ্বজিৎ পাণ্ডার নেওয়া সাক্ষাৎকারগুলি। সাক্ষাৎকারগুলিতে ব্যক্তিজীবনের থেকে অধিক গুরুত্ব পেয়েছে জীবনদর্শন, শিল্পজীবন এবং সাংস্কৃতিক যাপনের বিভিন্ন পর্যায়। সাম্প্রতিক সাহিত্যের তন্নিষ্ঠ পাঠক বিশ্বজিৎ সাক্ষাৎকারগুলি নেওয়ার আগে গবেষকের নিষ্ঠায় নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। তাই শিল্পী–সাহিত্যিকদের সৃষ্টির জায়গাগুলিকে ধরে ধরে প্রশ্ন করতে পেরেছেন। প্রাসঙ্গিকভাবে সাহিত্য–শিল্পের বিশ্লেষণ করেছেন। তার বহুকৌণিক–বহুমাত্রিক প্রশ্ন সাক্ষাৎকারগুলিতে অবশ্যই একটা স্বাতন্ত্র্য এনে দিয়েছে। সাক্ষাৎকারদাতারাও প্রাণ খুলে কথা বলেছেন তাঁর সঙ্গে। ‘কলম রেখে কথা হোক’ সংকলনটিতে সৃষ্টিশীল মানুষদের অনালোকিত–অনাবিষ্কৃত একটি জগৎ আলোকিত হয়েছে ; তাঁদের অকথিত আখ্যান বিধৃত হয়েছে। ধীমান পাঠকের পাঠ অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে এই সংকলন।
—প্রকাশক
যাঁদের সাক্ষাৎকারে সমৃদ্ধ এই সংকলন :
সবিতেন্দ্রনাথ রায়
পবিত্র সরকার
রমানাথ রায়
মদনগোপাল মুখোপাধ্যায়
অভিজিৎ সেন
সন্দীপ দত্ত
স্বপ্নময় চক্রবর্তী
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
মৃদুল দাশগুপ্ত
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়
গৌতম হালদার
জয়ন্ত দে
বিশ্বজিৎ পাণ্ডার গবেষণামূলক বই
'স্বাধীনতা-উত্তর ছোটগল্পে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম-মানস''
প্রকাশক : সৃষ্টিসুখ
প্রচ্ছদ : পার্থপ্রতিম দাস
প্রকাশকাল : ২০২৪
ISBN : 978-93-89953-06-0
বাঙালি মুসলমান-মানস অনুধাবনে আমাদের প্রধান ও প্রথম অন্তরায় যে মুসলমান জনজীবন সম্পর্কে সমাজের অন্যান্যদের ধারণা খুবই কম। তার নানাবিধ কারণ আছে। মুসলমান জনজীবন থেকে কারণে কিংবা অকারণেই অন্যদের যে দূরত্ব বেড়েছে, তার মূল কারণ এই অজ্ঞতা। আমাদের ইতিহাসচেতনা সম্প্রীতির সেতুবন্ধনে প্রয়াসী হলেও, সেক্ষেত্রেও উপাদানের অভাব লক্ষ্যণীয়। কারণ, সে-ইতিহাস মূলত বিজিতের। রবীন্দ্রনাথ কথিত মানুষের ইতিহাস তা কখনওই হয়ে উঠতে পারেনি। এখানেই ব্যতিক্রমী ভূমিকা নিয়েছেন বাংলার গল্পকাররা। ছোটগল্পের শিল্পিত পরিসরেই তাঁরা ধরে রেখেছেন মুসলমান জনজীবনের আশা-নিরাশা, গোঁড়ামি-উদারতা, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের চিহ্নগুলি। আখ্যানই মূলত আমাদের উৎসাহিত করে মুসলমান জনজীবনকে 'অপর' হিসেবে না-দেখতে। ধর্মীয় কিংবা রাজনীতির কারণে, মানুষ হিসেবে মুসলমানরাও যে কতভাবে ব্যবহৃত, ব্যথিত তা আমাদের আখ্যানকাররা তুলে এনেছেন। কিন্তু সেই প্রসারিত অরণ্য থেকে একমুখী রাস্তাটা খুঁজে পাওয়া সহজ ছিল না। বিশ্বজিৎ পাণ্ডা কঠিন কাজটিতেই ব্রতী হয়েছেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের লেখক হামিরুদ্দিন মিদ্যা, আবুল বাশার সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, আফসার আহমেদ থেকে অমর মিত্র, কিন্নর রায়, তিলোত্তমা মজুমদার- বাংলা ছোটগল্পের সমুদ্রমন্থন করে তিনি তুলে এনেছেন বাঙালি মুসলিম-মানসের বহুরৈখিক মানচিত্র। আগ্রহী পাঠক এ-বইতে তাই যেমন পাবেন বাংলা ছোটগল্পের বিচিত্র ও ঐশ্বর্যময় আকাশ, তেমনই পাবেন প্রতিবেশী মানুষটির মন ও মননের হদিশও।
—প্রকাশক
বিশ্বজিৎ পাণ্ডার গবেষণাগ্রন্থ
'বিপন্ন পরিবেশের আখ্যান'
প্রকাশক : সোপান
প্রচ্ছদ : প্রণবেশ মাইতি
প্রকাশকাল : ২০২২
ISBN : 978-93-90717-81-1
পৃথিবী আজ সর্বনাশের পথে। বিপন্ন মানব সভ্যতা, সমগ্র জীবজগৎ। জল-বায়ু-আকাশ-বাতাস-নদী-সমুদ্র সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে সভ্যতার দূষণ। বিশ্ব-উষ্ণায়ন ও দূষণ তছনছ করে দিয়েছে ঋতু মানচিত্র, বস্তুতন্ত্র, খাদ্য-শৃঙ্খল ও জীব-বৈচিত্র্যকে। পরিবেশ রক্ষার জন্য পরিবেশবিদ, পরিবেশ-বিজ্ঞানীরা চিন্তিত। পিছিয়ে নেই লেখকরাও। সমসাময়িক পরিবেশ-কেন্দ্রিক সমস্যাকে তাঁরা সাহিত্যের বিষয় করে তুলছেন। পরিবেশের সর্বনাশের খতিয়ান ধরে রেখেছে বাংলা সাহিত্য।
গবেষক বিশ্বজিৎ পাণ্ডা এই গ্রন্থে পরিবেশবাদী দৃষ্টি থেকে সাম্প্রতিক কথা সাহিত্যের বিশ্লেষণ করেছেন। পরিবেশ-বিষয়ক উপন্যাস, ছোটোগল্প এবং কবিতার সূত্রে পরিবেশের সংকটের স্বরূপটিকে অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি পরিবেশ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক তথ্যও দিয়েছেন। পরিবেশ এবং সাহিত্যের সম্পর্ক নিয়ে এরকম তথ্য সমৃদ্ধ গ্রন্থ ইতিপূর্বে আমাদের নজরে পড়েনি।
—প্রকাশক
বিশ্বজিৎ পাণ্ডার
'যৌনতা ও বাংলা সাহিত্যের পালাবদল'
প্রকাশক : লেখাজোকা
প্রচ্ছদ : প্রণবেশ মাইতি
প্রকাশকাল : ২০২৩
ISBN : 978-81-959274-1-8
সৃষ্টি-উৎপাদন-বংশবৃদ্ধি যেমন যৌনতার উদ্দেশ্য, তেমনি আনন্দ, যৌন-আনন্দ, কামনা চরিতার্থ করাও। যৌনতা—প্রজননকেন্দ্রিক এবং আশ্লেষকেন্দ্রিক। শুধু বংশবৃদ্ধি নয়, পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা নয়, পুরাণ-শাস্ত্র-প্রাচীন সাহিত্য সর্বত্রই প্রধান্য পেয়েছে কামনাও। তান্ত্রিকরা যে পঞ্চ-ম-কারের সাধনা করেন তাতে মৈথুনও আছে— মদ্য, মাংস, মৎস, মুদ্রা ও মৈথুন। হিন্দুদের মন্দিরগাত্রে, শাস্ত্রে-পুরাণে-সাহিত্যে অবাধ যৌনতা এসেছে। শাস্ত্রমতে এর জন্য একজন নির্দিষ্ট দেবতাও আছেন। কামদেব—মদন—কন্দর্প।
প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষে যৌন-সম্ভোগ শাস্ত্র আলোচিত হয়ে আসছে। যাপিত জীবনে যেমন যৌনতা ব্রাত্য নয়, তেমনি সাহিত্যেও তাকে আড়াল করা হয়নি। যৌনতার সঙ্গে শ্লীল-অশ্লীলের কোনও সংযোগ নেই। সংস্কৃত সাহিত্য-তাত্ত্বিক আলংকারিকরা শ্লীল-অশ্লীল নিয়ে মাস্টারি করেননি কখনও। নির্জলা যৌনতাও শৈল্পিক অবয়বে প্রকাশিত হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যে। সেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা পরবর্তীকালেও বহমান।
প্রাগাধুনিক বাংলা সাহিত্য, আধুনিক উপন্যাস-ছোটোগল্প-কবিতা-নাটকের আলোচনার সূত্রে যৌনতার স্বরূপ ও নান্দনিকতাকে অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন প্রাবন্ধিক বিশ্বজিৎ পাণ্ডা। সাহিত্যের যৌনবৈচিত্র্য নিয়ে এরকম তথ্য সমৃদ্ধ মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ ইতিপূর্বে আমাদের নজরে পড়েনি।
—প্রকাশক
বিশ্বজিৎ পাণ্ডার
'পথের পাঁচালীর আঁকেবাঁকে'
প্রকাশক : রত্নাবলী
প্রচ্ছদ : অরিন্দম বসু
প্রকাশকাল : ২০১২
ISBN : 978-93-81329-21-4
বাংলা সাহিত্যের একটি অবিস্মরণীয় গ্রন্থ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’। এখনও পর্যন্ত বহু পঠিত বহু আলোচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে অন্যতম এটি। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিশ্বজিৎ পাণ্ডা এই মহাগ্রন্থের আলোচনা করেছেন ‘পথের পাঁচালীর আঁকেবাঁকে’ বইটিতে।
বিভিন্ন কোণ থেকে আলো ফেলে ‘পথের পাঁচালী’-কে আলোকিত করেছেন। তরুণ গবেষক, প্রাবন্ধিক বিশ্বজিতের বহুকৌণিক-বহুমাত্রিক বিচার বিশ্লেষণ মূল্যায়নের মধ্যেও সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়। অকারণ পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে গিয়ে বিষয় অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত ও যথাযথ আলোচনায় ঋদ্ধ করেছেন প্রতিটি অধ্যায়।
মূল ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসটিও সংকলিত হয়েছে এই গ্রন্থে। উৎসাহী পাঠককে পৃথকভাবে আর সংগ্রহ করতে হবে না বিভূতিভূষণের উপন্যাসটি। দু-মলাটের মধ্যে মূল উপন্যাস ও তার আলোচনা—একত্রে। একুশ শতকের নতুন চোখের ফোকাস এই আলোচনা গ্রন্থটিকে অবশ্যই এক স্বাতন্ত্র্য এনে দিয়েছে।
—প্রকাশক
বিশ্বজিৎ পাণ্ডার
'আরণ্যকের আলোছায়া'
প্রকাশক : রত্নাবলী
প্রচ্ছদ : মধুসূদন চট্টোপাধ্যায়
প্রকাশকাল : ২০১৩
ISBN : 978-93-81329-40-5
(মূল উপন্যাস সম্বলিত )
এখন পরিবেশ আর দূষণ নিয়ে দুশ্চিন্তা সর্বত্র। বিশ্ব-উষ্ণায়ণ নিয়ে চিন্তিত পৃথিবীর পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। জল-বায়ু-আকাশ-বাতাস-নদী-সমুদ্র সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে সভ্যতার দূষণ। হারিয়ে যাচ্ছে একোলজিক্যাল ব্যাল্যান্স। নির্বিচারে অরণ্য নিধন বিপন্ন করছে পরিবেশকে--প্রকৃতিকে। এক টুকরো সবুজের জন্য আমাদের দৌড়তে হয় ডুয়ার্সে বা সুন্দরবনে। আমরা উন্নয়ন নিয়ে ভাবতে এতই ব্যস্ত যে প্রকৃতির উপর তার প্রভাব কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা নিয়ে ভাবনার সময় পাই না। তখন আমরা নতুন করে অনুভব করি অরণ্যের প্রয়োজনীয়তা। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'আরণ্যক' উপন্যাসটিকে এরকম একটা প্রেক্ষিতে বড়ো প্রাসঙ্গিক মনে হয়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্য পাঠের দৃষ্টিভঙ্গিরও বদল ঘটে। এখন সাহিত্যের আলোচনায় তার পরিবেশগত মূল্য (ecological value)-কেও অস্বীকার করা যায় না। তরুণ গবেষক বিশ্বজিৎ পাণ্ডা তাঁর 'আরণ্যকের আলোছায়া' গ্রন্থে পরিবেশবাদী দৃষ্টি থেকে 'আরণ্যক'-এর বিশ্লেষণ করেছেন। প্রায় আট দশক আগে লেখা একটি গ্রন্থের এহেন পরিবেশবাদী পাঠের উদ্যোগ ইতিপূর্বে আমাদের নজরে পড়েনি। বিশ্বজিতের মৌলিক বিশ্লেষণের আলোকে 'আরণ্যক'-এর অসামান্যতা নতুন করে আবিষ্কার করি আমরা।
—প্রকাশক
বিশ্বজিৎ পাণ্ডার
'বাংলা লিটল ম্যাগাজিন'
প্রকাশক : রত্নাবলী
প্রচ্ছদ : মধুসূদন চট্টোপাধ্যায়
প্রকাশকাল : ২০১৬
ISBN : 978-93-81329-58-0
বিশ্বজিৎ পাণ্ডা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তরের পর বাংলা লিট্ল ম্যাগাজিন নিয়ে পি-এইচ ডি করেন। তাঁর সেই গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা ও অনুভবের ভিত্তিতে এই গ্রন্থটি লেখা হয়েছে। বাংলা লিট্ল ম্যাগাজিনের ইতিহাস নয়, তার চরিত্র বৈশিষ্ট্য, আদর্শ, উদ্ভব, সময়ের সঙ্গে বদলে যাওয়া নন্দন-সমাজতত্ত্ব, বাংলা সাহিত্যে অবদান—বাংলা সংস্কৃতিতে তার অনিবার্য অভিঘাত বিষয় হয়ে উঠেছে এই গ্রন্থে। বিচ্ছিন্নভাবে বহু লেখা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলেও শুধু বাংলা লিট্ল ম্যাগাজিনকে কেন্দ্র করে এরকম তত্ত্ব ও তথ্যনির্ভর কোনও গ্রন্থ ইতিপূর্বে আমাদের নজরে পড়েনি। লিট্ল ম্যাগাজিন সম্পর্কে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় তরুণ গবেষক প্রাবন্ধিক বিশ্বজিতের এই গ্রন্থে। তাঁর মৌলিক গবেষণার আলোকে বাংলা লিট্ল ম্যাগাজিনকে নতুন করে আবিষ্কার করি আমরা।
—প্রকাশক
সাহিত্য সাধক চরিতমালা সিরিজের জীবনীগ্রন্থ
'উৎপল দত্ত'
প্রকাশক : বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ
প্রকাশকাল : ২০১৫
ISBN : 978-93-84816-01-8
উৎপল দত্তের নির্ভরযোগ্য জীবনী গ্রন্থ
'নির্বাচিত বাংলা ছোটোগল্প ২০২২'
প্রকাশক : রক্তকরবী (Antonym)
প্রচ্ছদ : প্রণবেশ মাইতি
প্রকাশকাল : ২০২৩
ISBN : 978-81-963959-6-4
প্রতি বছর বাংলা ভাষায় কয়েক হাজার গল্প প্রকাশিত হয়। তার মধ্যে ভালো গল্প খুঁজে পাওয়া যে কোনো পাঠকের কাছেই দুঃসাধ্য। সেই কাজটি সহজ করে দেবে এই সংকলন। সারা বছর ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সেরা গল্পগুলির নির্বাচিত সংকলন এটি। পাঠক একসঙ্গে অনেকগুলি ভালো গল্প পড়তে পারবেন একটি সংকলনে। বিষয়ের অনন্যতায়, ভাষার প্রয়োগে, উপস্থাপনার সৌকর্যে, আঙ্গিকের স্বাতন্ত্র্যে সংকলিত প্রতিটি গল্পই স্বমহিম। প্রতিটি গল্পই যত্ন নিয়ে লেখা। কোনো কোনো গল্প এমনই যে বিশ্লেষণ করা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায়। জীবনের গহন বিচিত্রচারিতা কিংবা সমাজ পরিবার রাষ্ট্রের প্রবল প্রতাপে আক্রান্ত মানুষের তীব্র যন্ত্রণা আশ্চর্য ভাবে তুলে ধরেছেন লেখকেরা। ধীমান পাঠকের পাঠ অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে এই সংকলন।
'প্রসঙ্গ শবর চরিত'
প্রকাশক : প্রিয়ংবদা
প্রচ্ছদ : প্রণবেশ মাইতি
প্রকাশকাল : ২০০৭
কোনো কোনো বই পড়ে হতচকিত হতে হয়। কোনো কোনো বই আমাদের অন্যরকম করে ভালো লাগে। কোনো কোনো বই-এর পাঠক্রিয়ায় মনে হয়—এগুলিকে পড়তে হয়, না-হলে পিছিয়ে পড়তে হয়। ‘শবর চরিত’ এরকম একটি বই।
‘শবর চরিত’ সম্পর্কে কয়েকজন মান্য লেখক-সমালোচক-পাঠক-এর আলোচনা ও অভিমত নিয়ে এই সংকলন। ‘শবর চরিত’কার শ্রী নলিনী বেরার সাক্ষাৎকার ও লেখায় উপন্যাসটি সম্পর্কে তাঁর অনুভব ব্যক্ত করেছেন, অনেক অজানা তথ্য শুনিয়েছেন, জানিয়েছেন ‘শবর চরিত’-এর নেপথ্য-কাহিনি।
আমাদের বিশ্বাস মহাকাব্যোপম এই উপন্যাসটি সম্পর্কে পাঠকের সবরকম কৌতূহলের নিরসন ঘটাবে ‘প্রসঙ্গ শবর চরিত’।
'সরস রচনা সম্ভার'
সম্পাদনা : তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ পাণ্ডা এবং অনুপম মুখোপাধ্যায়
প্রকাশক : সাহিত্য সৃজনী
প্রচ্ছদ : ঋতুপর্ণ বসু
প্রকাশকাল : ২০১৮
ISBN : 978-93-5288-934-1
প্রবন্ধ, নিবন্ধ, রম্য রচনা, রম্য গল্প, সরস গল্প, কবিতা ও ছড়া এবং নাটক সরসতায় মোড়া এই সবকিছু নিয়ে যে সম্ভার তার মধ্যে রয়েছে প্রবীণ ও নবীন লেখক-লেখিকাদের তেরোটি প্রবন্ধ, সতেরোটি রম্য-রচনা, চল্লিশটি গল্প, এক ডজন কবিতা ও একটি নাটক—দু মলাটের মধ্যে—সরসতার এই বিপুল সম্ভার ‘দ্যুৎ আর ভাল্লাগেনা’ জীবনটাতে বয়ে আনবে এক ঝলক মিষ্টি হাওয়া। আনবেই!
—প্রকাশক
বিরল হাসির সরল সম্ভার
সম্পাদনা : তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ পাণ্ডা এবং অনুপম মুখোপাধ্যায়
প্রকাশক : সাহিত্য সৃজনী
প্রচ্ছদ : সুমন্ত্র ও শৈবাল
প্রকাশকাল : ২০০৫
বাংলা সাহিত্যের জন্মলগ্ন—চর্যাপদ থেকে শুরু করে বঙ্কিমচন্দ্র ত্রৈলোক্যনাথ প্রমথ চৌধুরী প্রভাতকুমার পরশুরাম বিভূতিভূষণ মুজতবা আলি শিব্রাম পেরিয়ে বিমল কর সঞ্জীব তারাপদ নবনীতা ভগীরথ স্বপ্নময় তপন… বাংলা রসসাহিত্যের সামগ্রিক আলোচনা—বাংলা সরস পত্রপত্রিকার সামগ্রিক ইতিহাস—
গোপাল ভাঁড় মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প থেকে শুরু করে প্রচলিত হাসির অজস্র চুট্কি—
তাছাড়া হাসির বিজ্ঞান চিকিৎসায় হাসি ইত্যাদি হাসির হরেকরকম বিষয়—
সাম্প্রতিক বেশ কিছু হাসির ছড়া নাটক ও ছোটোগল্প—
দুমলাটের মধ্যে হাসি নিয়ে অ্যাত্তো!!
—প্রকাশক
আমাদের রবীন্দ্রনাথ
যুগ্ম সম্পাদক : অর্ণব চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ পাণ্ডা ও শ্যামসুন্দর প্রধান
প্রকাশক : বাংলা বিভাগ, বীরপাড়া কলেজ
প্রকাশকাল : ২০১১
ISBN : 978-81-910832-3-1
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা উপন্যাস
যুগ্ম সম্পাদক : অর্ণব চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ পাণ্ডা ও শ্যামসুন্দর প্রধান
প্রকাশক : পরশপাথর প্রকাশন
প্রচ্ছদ : মধুসূদন চট্টোপাধ্যায়
প্রকাশকাল : ২০১৪
ISBN : 978-93-82046-37-0
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলা উপন্যাসের যে গতিপ্রকৃতি, তাকেই চিহ্নিত করতে চেয়েছে এই গ্রন্থ। লেখকের লেখায় তাই উঠে এসেছে দেশভাগ, দাঙ্গা, ব্রাহ্মণ্যবাদ, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবর্গের অবস্থান ইত্যাদি বহু বিষয়। আবার তার পাশপাশি পরিবেশ ভাবনা, আদিবাসী জীবন, বাদা অঞ্চলের আখ্যান নিয়েও আলোচনা রয়েছে। মেয়েদের লেখায় মেয়েদের কথা কীভাবে এসেছে তা নিয়েও সুচিন্তিত প্রবন্ধ এই বইয়ের সম্পদ। বাদ নেই পাঠকদের পাঠের আঙ্গিকের কথাও। শুধু প্রাবন্ধিকরাই নন, ঔপন্যাসিকরা নিজেরাও কলম ধরেছেন তাঁদের লেখার ব্যাখ্যায়। সব মিলিয়ে নির্মিত হয়েছে এক বিশেষ কালপর্বের পরে বাংলা উপন্যাসের চালচিত্র।
—প্রকাশক
বিশ্বজিৎ পাণ্ডার
'যৌনতা ও বাংলা সাহিত্যের পালাবদল'
প্রকাশক : পরশপাথর প্রকাশন
প্রচ্ছদ : দেবাশিস সাহা
দ্বিতীয় সংস্করণ
প্রকাশকাল : ২০১৬
ISBN : 978-81-908516-0-2
বিশ্বজিৎ পাণ্ডার
'যৌনতা ও বাংলা সাহিত্যের পালাবদল'
প্রকাশক : পরশপাথর প্রকাশন
প্রচ্ছদ : অরিন্দম বসু
প্রথম সংস্করণ : ২০০৯
ISBN : 978-81-908516-0-2
সাহিত্যে—সংস্কৃত এবং বাংলা সাহিত্যে—উপাদান হিসেবে যৌনতা নতুন কিছু নয়। জীবনে যা স্বাভাবিক সাহিত্যেও তাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। সাহিত্যে যৌনতা এসেছে এবং জীবনের বৈচিত্র্যের কারণেই সাহিত্যেও যৌনতার রকমফের কিছু কম দ্রষ্টব্য নয়। অথচ এই বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো ধারাবাহিক বা সংকলিত কোনো আলোচনা চোখে পড়েনি বললে ভুল হবে না। সেদিক থেকে এই গ্রন্থটি দীর্ঘদিনের একটি অভাব পূরণ করল এমন দাবিও নিতান্ত অসংগত হবে না বলে আমরা মনে করছি। বিশ্বজিৎ পাণ্ডা অনেক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে চর্চা করছেন এবং এই গ্রন্থটি পাঠকদের সামনে উপস্থিত করতে পেরে বাংলা সমালোচনা সাহিত্যে বা প্রবন্ধ সাহিত্যে আমরা নতুন কিছু সংযোজন করতে পারলাম, পাঠকদের কাছে এই নিবেদনটুকুই রইল। পরবর্তী বিবেচনা তাঁদেরই।
—প্রকাশক