কিছু কিছু অনুভূতি রয়েছে যা কখনো প্রকাশ করা যায় না। কেননা সেই অনুভূতিগুলোর হয়তো কোনো পরিচয় নেই। তবুও তো আমরা স্বপ্ন দেখি এবং কিছু আবেগ তৈরি হয়। হয়তো এটা হলে ভালো হতো, হয়তো এটা যদি নাই হতো। তবুও আমাদের মনতো বেখেয়ালি। এই বেখেয়ালি মনকে পোষ মানানো খুবই কষ্ট। তবুও আমাদের চেষ্টা করা দরকার আমাদের অপরদিকের মানুষটির জন্য। কিন্তু আমরা তা হয়তো চেষ্টা করি আবার তা করি না। কিন্তু আমরা কিন্তু কখনোই আমাদের বিপরীত মানুষটির কথা চিন্তা করি না যে, সে কি চায়। তার মন কি চায়। আমরা শুধুই আমদের কথা চিন্তা করি। কিন্ত তার কথা আমরা একটুও চিন্তা করি না। সে এই সম্পর্কটাকে বন্ধুত্বের দৃষ্টিতে দেখছে। এতে কিন্তু ব্যাক্তির ভুল নেই, ভুলতো ওই বেখেয়ালি মনের যা তাকে ভুলতে দেয় না। কিন্তু সবথেকে বড় দায়িত্ব হচ্ছে বন্ধুত্বটাকে রক্ষা করা। কেননা সবাই কিন্তু ভালো বন্ধু হতে পারে না। সে যাতে ভালো থাকে তার দিকে খেয়াল রাখা। তার দিকে আমরা অন্য সম্পর্ক না, আমরা না হয় আমরা আমাদের বন্ধুত্বের হাতটি বাড়িয়ে দেই, যা এখন তার একান্তই প্রয়োজন। কেননা সে যে তোমার শুধু বন্ধু না, খুবই ভালো বন্ধু। হোক না গল্পের শেষটা একটু অন্যরকম। শুরু হোক বন্ধুত্বের এক নতুন অধ্যায়।
আজকে সকলের ভীষণ খুশীর দিন কেননা HSC পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ দিনে আমার জীবনে আমাবস্যার অন্ধকার নেমে এসেছে। কেননা আমার ফলাফল ভালো হয় নি। আচ্ছা আমাদের সমাজে কি শুধুই GPA-5 এর ই মর্যাদা এবং সম্মান রয়েছে??? অন্য কারো নেই। আমাদের সমাজে এখনও অনেকে মনে করেন যে ডাক্তার - ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া নাকি কোনো মূল্য নেই আর GPA-5 এর কথাতো বাদই দিলাম। যখন একজন দেখে যে তার যোগ্যতা অনুযায়ী সেরুপ ফলাফল করতে পারে নি তখন সে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সমাজে কিছু মানুষ রয়েছে যারা শুধুই অন্যের সমালোচনা করে এবং তার পাশে না দারিয়ে বরং তার আশেপাশের অন্যদেরকে দেখিয়ে বলে ওরা তাহলে কিভাবে ভালো করলো। তারা শান্তনা দেবার বদলে কষ্ট টাকে আরো দ্বিগুণ করে দেয়। তাদের মতে, "তুমি যদি A+ পাও তাহলে তুমি প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছো আর যদি A+ না পাও তাহলে এই ২ বছর কি করেছ? " এর উত্তর একটাই হয়ত এটাই ছিল নিয়তি। কিন্তু একজনের মেধা কি শুধুই কয়েকটা পরীক্ষা নির্ধারণ করে দেয়??? তাহলে জীবনের তো এখনো তো অনেক পরীক্ষাই বাকী। ব্যাক্তি তার পরিবার এবং সমাজের সকলের ইচ্ছা পূরণ করতে করতে যেন সে তার নিজস্বতাকেই হারিয়ে ফেলে। সে যেনো ভুলেই যায় যে তার মন বলে কিছু একটা আছে এবং যার কথা তাকে শুনতে হবে। আচ্ছা কেউ কি বলতে পারে না, ভয় পেয়ো না, চিন্তার কোনো কারণ নেই কিংবা মন খারাপ করো না। জীবনে বাঁধা আসতেই পারে। থেমে থেকো না। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলো। জয় তোমার নিশ্চিত হবেই। অথচ এই সময় কেউ সাহস দেবার মতো থাকে না। প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষ্য ভাবে তাকেই দোষারোপ করে। আর বন্ধুবান্ধব - আত্নীয় স্বজন যাদেরকে সবথেকে বেশী দরকার তারাই যেনো দূরে চলে যায়। আচ্ছা আমরা কি আমাদের চিন্তাধারাটাকে বদলাতে পারি না এবং তাদেরকে কি বলতে পারি না তুমি পারবে, তোমাকে পারতেই হবে, তুমিই বাংলার ভবিষ্যৎ। কেননা তুমিই বাংলাদেশ।
কিছু অনুভূতি রয়েছে যা কখনো প্রকাশ করা যায় না। মনের কোনো এক জায়গায় তা জমে থাকে। জমে থাকে কিছু আবেগের গল্প। কিন্তু এই আবেগ, অনুভূতির সঙ্গে বিশ্বাস এর এক অন্যরকম সম্পর্ক লুকিয়ে আছে। কথায় বলে, “সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না”। ঠিক সেই রকমই আবেগ ও অনুভূতিও সময়ের স্রোতের মতোই বহমান। যা মানুষের জীবনের মোড়কে সম্পূর্ণ পাল্টে দেয়। তেমনি প্রতিটি মানুষের সূক্ষ্ণ কিছু অনুভূতি থাকে, কিছু সূক্ষ্ণ ভালোলাগা থাকে, কিছু সূক্ষ্ণ কষ্ট থাকে, যা কখনো বহিঃপ্রকাশ করা যায় না। কিন্তু যখন খুব কাছের মানুষ সেই অনুভূতি নিয়ে খেলা করে, তখন মনের অজানায় গভীর এক ক্ষতের সৃষ্টি হয়। শত চেষ্টা করা শর্তেও তা ভোলা যায় না। আর মন সে তো বেখেয়ালি, যা কোনো বাঁধাকে মানে না। তাইতো কিছু অনুভূতি রয়েছে যা কখনো যায় না ভোলা। শুধু মনকে ভীষণ পীড়া দেয়। তবুও সময় কি থমকে যায়? না, সময় কারো জন্য থেমে থাকে না। জীবন তো সময়ের স্রোতের সঙ্গে বহমান। শুধু আবেগকে মুছে দিয়ে অনুভূতিগুলোকে আকড়ে ধরে জীবনের নতুন এক অধ্যায় শুরু হওয়ার অপেক্ষায় ………..
বলা হয় যে, " জন্ম, মৃত্যু,বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। " এই তিন কালের মধ্যবর্তী সময়ে পৃথিবীর সঙ্গে নানা সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। আত্মীয়তার এক নতুন মেলবন্ধন তৈরি হয়। তার মধ্যে এক সুমিষ্ট মেলবন্ধনের নাম বন্ধু। প্রতিটি মানুষ তার এই ক্ষুদ্র জীবনের অনেকের সঙ্গেই মেলামেশা করে, কিন্তু বন্ধু শব্দের সঙ্গে ব্যক্তির আলাদা জগৎ তৈরি হয়। যার সঙ্গে মিশে আছে কিছু সুখ-দুঃখের স্মৃতি, ভালোলাগা-মন্দলাগা, আর কিছু অভিমানের গল্প। এই সবকিছু মিলিয়েই তৈরি হয় টক-ঝাল-মিষ্টির এক মধুর সম্পর্ক। কিন্তু এই সম্পর্কের মাঝেও কিছু কিছু সময়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।কিন্তু যখন আমরা কাউকে প্রচণ্ড ভালোবাসি ঠিক তার উপরই সবচেয়ে বেশী ঘৃণা করি। ঠিক এর বোলাতেও তাই। কিন্তু এক সময়ে সেই অভিমানের অবসান ঘটিয়ে আবার নতুন সূর্যের আর্বিভাব ঘটে। কেননা রাত যত গভীর হয় প্রভাত ততো নিকটে আসে। যাইহোক, এই বন্ধু শব্দটার প্রতি একটা অন্যরকম ভালোবাসা কাজ করে। এক অন্যরকম মায়ার সৃষ্টি হয়। আর আমরা সেই মায়াজালে আবব্দ হয়ে পুরনো অভিমানের কথাগুলো ভুলে গিয়ে শুধু স্মৃতিগুলো আকড়ে ধরে আমাদের জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আর একে অপরকে বিশ্বাস করতে শুরু করি। এই থেকেই শুরু হয় বন্ধুত্বের আরেক নতুন অধ্যায়। তাইতো বন্ধু শব্দটা যতটা নিবিড়, ঠিক ততোটাই গতিশীল।
যে মানুষটা কর্মব্যস্ত দিন কাটায়, যে ছাত্রটা সারাদিন বইয়ে মুখ গুঁজে বসে থাকে, যে মেয়েটা নারীবাদীতার তুমুল ঝড় তুলে তারা প্রত্যেকেই আসলে দিন শেষে কাউকে না কাউকে মিস করে।
প্রতিটা মানুষের জীবনেই এমন একটা সময় আসে যখন সে "তুমি হীনতায়" ভুগে। বাবা,মা,ভাই,বন্ধু সবাই আছে, কত কত উল্লাস, হাস্যজ্জ্বল দিন কাটে তবু হুট করে বুকের ভিতরটা কেমন করে উঠে,একটা শুন্যতা ভর করে।
অনেক কথা অনেকের সাথে বলা হয় তবু মনে হয় কি যেন বলতে পারছিনা,কথাগুলো জমে আছে অন্যকাউকে বলার জন্য। মুঠোফোন ঘেটে সেই অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়না। আহা..তুমি থাকলে আজ বিকেলটা তোমার সাথেই কাটিয়ে দিতাম। রাতে ঘুমাতে যাবার সময় হুট করেই মনে হয় যদি কেউ থাকত দিনের ক্লান্তিগুলো মুছে নিতাম তার সাথে ভাগাভাগি করে..নাহয় আজকের রাতটি পার করে দিতাম নির্ঘুম হয়ে একে অন্যের দিকে তাকিয়ে কিংবা ফিসফিস করা আলাপনে।
খুব ব্যস্ত সময় হুট করেই মনে হয় কেউ একটু আমার খোঁজ নিক। বাবা ভাই মায়ের খোঁজ যেন পুর্নতা দেয়না। দিকনা সেই মানুষটা ফোন.. জিজ্ঞাসা করুক তুমি খেয়েছো কিনা??
পড়তে পড়তে ক্লান্ত,এক সেকেন্ড সময় নষ্ট করা যাবেনা, তবু পড়ার ফাঁকে খুব লোডিং ব্রেইন হুট করেই মনে করিয়ে দেয় যদি ওর সাথে একটু কথা বলা যেত ক্লান্তি দূর হত, হোকনা সেটা এক মিনিটের আলাপ। তবুওতো ভাললাগত।
কিছু সুক্ষ্ম অনুভূতি থাকে..কিছু সুক্ষ্ম ভাললাগা থাকে..কিছু সুক্ষ্ম কষ্ট থাকে, কিছু সুক্ষ্ম স্বপ্ন থাকে যার মালিক শুধুই অজানা অচেনা "তুমি" মানুষটিকে ঘিরে। দুনিয়ার সমস্ত কিছু পায়ের কাছে এনে দিলেও সেই "তুমি" মানুষটির শুন্যতা পুরণ হয়না। আর এই শুন্যতা পুরনের ফলাফল হয়ে আসে "ভালবাসা, প্রেম, বিয়ে"।
এই শুন্যতা অনুভবই একটা মানুষকে আর একটা মানুষের সাথে মিলিয়ে দেয়। সামাজিক প্রথা বিয়ে অসম্ভব ছিল এই "তুমি" মানুষটির শুন্যতা অনুভব ছাড়া।
বয়সের স্রোতে কোন এককালে নিজের অজান্তেই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে "তুমি থাকলে ভালই হত"।
নিস্তব্ধ এই পৃথিবীতে একা আমি ভালোই আছি..... দিনকাল গুলো ভালোই কেটে যাচ্ছে ..... কিন্তু পুরাতন স্মৃতিগুলো কেনো জানি আজও পিছু নেয়..... বলে ডাকিস না আর আমায়...... তুই চলে যা আরো দূরে ....... অনেক দূরে যেখানে আমি অতীত আর নেই .....তুই দুর্বার গতিতে ছুটে চল আমি ভবিষ্যত আছি তোর সাথে...... তুই ছুটে চল।