বাংলা
ল্যাঙ্গুয়েজের পাশাপাশি যা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
- XYZ ল্যাঙ্গুয়েজ শিখেছি। এখন আমার আর কি শেখা উচিত?
:: বর্তমান যুগে টেকনোলজি বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর যে কোন সেক্টরে কাজ করতে হলে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর পাশাপাশি আরও অনেক বিষয়েই জ্ঞান রাখতে হয়। শুধুমাত্র কোন নির্দিষ্ট একটা ল্যাঙ্গুয়েজ বা ফ্রেমওয়ার্ক বা টুল শিখে ক্যারিয়ারে বেশি দূর যাওয়া সম্ভব নয়।
ডাটা স্ট্রাকচার, এ্যালগোরিদম, প্রবলেম সল্ভিং এর পাশাপাশি নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর ব্যাপারেও কিছু জ্ঞান রাখা জরুরি।
১। নেটওয়ার্ক প্রোটোকলসমূহ
এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে বা এক নেটওয়ার্ক থেকে অপর নেটওয়ার্কে Communication করতে হলে, কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়। এই সকল নিয়ম-নীতিকে নেটওয়ার্কিং এর ভাষায় নেটওয়ার্ক প্রোটোকল (network protocol) বলে। জনপ্রিয় কিছু প্রোটোকল হচ্ছে TCP, IP, HTTP, FTP, SMTP, WebSocket ইত্যাদি। এই সব বহুল প্রচলিত প্রোটোকল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা উচিত।
২। স্টোরেজ
যে কোন সফটওয়ার বা সিস্টেম এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে ডাটা। বিভিন্ন ডিভাইস কিভাবে ডাটা সংরক্ষণ করে, কোন ধরনের স্টোরেজ সিস্টেম কোন কাজে ব্যবহার করা যায় ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। Volatility, Mutability, Accessibility, Addressability, Capacity, Performance, Security ইত্যাদি সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে।
৩। ডাটাবেজ
রিলেশনাল, নন-রিলেশনাল, গ্রাফসহ বিভিন্ন ধরনের ডাটাবেজ সিস্টেম সম্পর্কে জানা উচিত। Indexing, ACID transactions, data consistency, security এগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে ভালো।
৪। লগিং এবং মনিটরিং
সব সিস্টেমকেই সুন্দর ভাবে কার্যক্ষম রাখার জন্য সিস্টেমের পারফরমেন্স নিয়মিত মনিটরিং করতে হয়। সিস্টেম ঠিক মত কাজ করছে কিনা বা কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছে কিনা - এই সব খুঁজে বের করতে দরকারি তথ্য লগ করে রাখতে হয়। তাই লগিং এবং মনিটরিং এর বিভিন্ন সিস্টেম, টুলস বা সার্ভিস সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।
৫। ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম ও সিস্টেম ডিজাইন
প্রোগ্রামিং এবং কোডিং এর পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম কি, একটা সিস্টেম তৈরি করতে কোন কোন কম্পোনেন্ট এর প্রয়োজন হতে পারে, এক সিস্টেম বা কম্পোনেন্ট অন্য আরও সিস্টেম বা কম্পোনেন্ট এর সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।
৬। ডিজাইন প্যাটার্ন
সিস্টেম বা সফ্টওয়্যারকে maintainable, sustainable, extensible রাখার জন্য সুন্দর ভাবে, পরিকল্পনা করে গুছিয়ে কোড লিখতে হয়। এই ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফ্টওয়্যার ডিজাইন প্যাটার্ন রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ডিজাইন প্যাটার্ন হলো Creational patterns, Structural patterns, Behavioral patterns ইত্যাদি। এসব প্যাটার্নগুলোরও আবার বিভিন্ন ধরনের ইমপ্লিমেন্টেশন রয়েছে।
এসবের পাশাপাশি প্রফেশনাল পরিবেশে কাজ করার জন্য ভার্শন কন্ট্রোল সিস্টেম (গিট), নির্দিষ্ট ল্যাঙ্গুয়েজ এর কোডিং স্ট্যান্ডার্ড বা বেস্ট প্র্যাকটিস সমূহ, ক্লাউড কম্পিউটিং এর বিভিন্ন সার্ভিস সম্পর্কেও জানা থাকলে ভালো।
আইইএলটিএস: প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
আইইএলটিএস পরীক্ষার ধরন
আইইএলটিএস পরীক্ষা ২ ধরনের পদ্ধতিতে নেওয়া হয়। একাডেমিক ও জেনারেল ট্রেনিং।
একাডেমিক মডিউল
বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য একাডেমিক মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়।
জেনারেল ট্রেনিং
কোনো শিক্ষার্থী যদি কারিগরি বিষয় বা প্রশিক্ষণে ভর্তি হতে চান, তবে তাকে জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। এ ছাড়া যারা ইমিগ্রেশনের জন্য যেতে চান, তাদেরকেও জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়।
পরীক্ষা পদ্ধতি
আইইএলটিএস পরীক্ষায় দুই ধরনের মডিউলেই ৪টি অংশ থাকে। লিসেনিং (Listening), রিডিং (Reading), রাইটিং (Writing) ও স্পিকিং (Speaking)।
লিসেনিং
রেকর্ডিং কথোপকথন শুনে এ অংশে প্রশ্নের উত্তর করতে হয় পরীক্ষার্থীদের। কথোপকথন শুনে বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। যেখানে ৪০টি প্রশ্ন থাকে। ৩০ মিনিটে ৪টি অংশে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। একটি বিষয় কেবল একবারই বাজিয়ে শোনানো হয়।
এ অংশে পরীক্ষার্থীদের অ্যাকসেন্ট বুঝতে হয়। তারা ৪ রকম অ্যাকসেন্টের মুখোমুখি হতে পারেন। যেমন- ব্রিটিশ, আমেরিকান, ক্যানাডিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন অনলাইন ভিডিও ও ইউটিউব ভিডিও, চলচ্চিত্র, খেলার ধারাভাষ্য সহায়ক হতে পারে।
রাইটিং
এ অংশে ইংরেজি লেখার দক্ষতা যাচাই করা হয়। যেখানে ১ ঘণ্টায় দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে প্রথম প্রশ্নের চেয়ে বেশি নম্বর থাকে।
রাইটিং-এ ২ ধরণের টাস্ক থাকে। টাস্ক-১-এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন লেখচিত্র বা গ্রাফ-এর বর্ণনা দিতে হতে পারে।
টাস্ক-২-এর ক্ষেত্রে মূলত বিশ্লেষণী দক্ষতা, সমালোচনামূলক মূল্যায়ন এর দরকার হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন বা সমালোচনামূলক প্রবন্ধ-নিবন্ধ বিস্তারিতভাবে পড়া থাকলে বেশ সহায়ক হয়।
এক্ষেত্রে একটি ফরম্যাট অনুসরণ করা যায়। প্রথম ও দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে আগে সূচনা। এরপর মূল কথা বা আইডিয়া, তারপর কারণ বা যৌক্তিক বিশ্লেষণ। সবশেষে উদাহরণ। এ নিয়মটি অনুসরণ করলে স্কোর ভালো এসে থাকে।
আবার রাইটিং এর জন্য বিবিসি বা ইকোনোমিস্টের মতো সংবাদমাধ্যমগুলোর নিবন্ধ নিয়মিত পড়ার অভ্যাস থাকলে ভালো হয়। টেড টক বা টেডএক্স-এর মতো অনলাইন পডকাস্টগুলোতে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলা হয়। ভিডিওগুলো লেখার পাশাপাশি শোনা ও পড়ার দক্ষতাও বৃদ্ধি করতে পারে।
স্পিকিং
স্পিকিং অংশে পরীক্ষার্থীদের মোটামুটি ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথম অংশে পরীক্ষার্থীকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয়, যেমন: পরিবার, পড়াশোনা, শখ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
দ্বিতীয় অংশে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ২ মিনিট কথা বলতে হয়। এর আগে প্রস্তুতির জন্য এক মিনিট সময় দেওয়া হয়।
তৃতীয় অংশে থাকে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে পরীক্ষকের সঙ্গে ৪-৫ মিনিটের কথোপকথন।
এ অংশে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। যেমন- কথার গতি ও সাবলীলতা (ফ্লুয়েন্সি), শব্দভাণ্ডারের বিস্তৃতি (লেক্সিকাল), ব্যাকরণের বৈচিত্র্যময় ও নির্ভুল ব্যবহার (গ্রামাটিক্যাল রেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাকুরেসি) এবং নির্ভুল ও বোধগম্য উচ্চারণ (প্রনানসিয়েশন)।
রিডিং
এ অংশে পরীক্ষার্থীদের ১ ঘণ্টায় ৩টি অনুচ্ছেদ থেকে মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। বিভিন্ন জার্নাল, বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন থেকে কিছু অংশ তুলে দেওয়া হয়ে থাকে। সেখান থেকেই বাক্য পূরণ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা ইত্যাদি প্রশ্ন থাকে।
রিডিংয়ের ক্ষেত্রে আগে প্রশ্ন পড়ে নেওয়া ভালো। তা না হলে পুরো অনুচ্ছেদ পড়তে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা খেই হারিয়ে ফেলতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যাদের নিয়মিত ইংরেজি পত্র-পত্রিকা পড়ার অভ্যাস আছে তারা ভালো করতে পারেন। ইংরেজি সাহিত্যে দখল থাকলে আরও ভালো। আর বিশেষত ভোকাবুলারি বা শব্দভান্ডার যার যত ভালো, রিডিং টেস্ট বা পড়ে বোঝার ক্ষমতায় তারা ততটাই এগিয়ে থাকেন।
আইইএলটিএস প্রস্তুতি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন তাওসিফ ফেরদৌস তান। তিনি সম্প্রতি আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়ে বেশ ভালো স্কোর করেছেন। এখন অপেক্ষায় আছেন ইউরোপের কোনো দেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়ার।
তাওসিফ তার প্রস্তুতি সম্পর্কে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি কোনো কোচিংয়ে ভর্তি হইনি। নিজেই পড়তাম। এমনিতে কেমব্রিজের আইইএলটিএস বইটাই বেশি প্রচলিত। তবে, আমি ইন্ডিয়ান বই ফলো করেছি। বিভিন্ন মক টেস্ট দিতাম। লিজ (Liz) কিংবা ইংলিশ উইথ স্পিকারস সার্চ-এর মতো কিছু ইউটিউব চ্যানেল অনুসরণ করেছি।'
রিডিং-এ ৯, স্পিকিং ও লিসেনিং এ ৮.৫ ও রাইটিং এ ৭ ছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় রিডিং ও লিসেনিং আনুপাতিকভাবে সহজ। যারা নিয়মিত পেপার পড়েন, ইংলিশ বই পড়েন তাদের সমস্যা হবার কথা না। আমি ক্রিকেট খেলার ধারাভাষ্য কিংবা বিভিন্ন সিনেমা বা সিরিজের ডায়ালগগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতাম। আর ভালোভাবে প্রিপারেশন নিয়েছিলাম ১৫ দিন। যদি আপনার বেসিক ইংরেজিতে ঘাটতি থাকে, তাহলে কোনো কোচিংয়ের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।'
তিনি বলেন, 'আমি ইউটিউবে ১.২৫ গুণ গতিতে ভিডিওগুলো শুনতাম। এটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আর স্পিকিং-এ বেশি দরকার ফ্লুয়েন্সি। আপনি কতটা সাবলীল, ভোকাবুলারি কিংবা বেসিক কতটা ভালো- এটা গুরুত্বপূর্ণ। রিডিং এ গাইড সলভ করলে ভালো ফল আশা করা যায়। রাইটিং এর জন্য ইংরেজিতে বিভিন্ন আর্টিকেল নিয়মিত পড়া দরকার। এখানে কিছু ফরম্যাটের ব্যাপার আছে। ফরম্যাট অনুসরণ করে লিখলে নাম্বার আরও ভালো আসতে পারে।'
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিদ্যুৎ ও তড়িত প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ঋত্বিক দত্ত বর্তমানে প্রভাষক পদে কর্মরত আছেন চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। আইইএলটিএস নিয়ে তার আগ্রহ এবং এর সুবিধা-সুবিধার বিষয়ে বললেন, 'আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা সাধারণত উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ যাবার জন্য IELTS, TOEFL, DUOLINGO ও PTE- এই টেস্টগুলো দেয়। এর ভেতর প্রথম দুটো বেশি প্রচলিত। আমি আইইএলটিএস নিয়ে আগ্রহী হয় কারণ, ইউরোপের দেশগুলোর স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাবার ইচ্ছা ছিল। তাই আগে থেকেই এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা অর্জন করি। আমি সামনে আমেরিকায় যাচ্ছি। এজন্য সাধারণত টোফেল বেশি কার্যকর। তবে আইইএলটিএস দিয়েও আমি ওখানে স্কলারশিপ পেয়েছি। এতে কোনো সমস্যা হয়নি।
প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি মূলত নিজে নিজেই পড়তাম। মক টেস্ট দিতাম। লিজ (Liz) নামে একটি ওয়েবসাইট আছে। এদের চ্যানেল ও সাইট খুবই সহায়ক। লিসেনিং ও রিডিং এর জন্য ইউটিউবে ভিডিও দেখেছি, বিভিন্ন বই-পত্র, আর্টিকেল পড়েছি। এ দুটো আমার মনে হয় তুলনামূলক সহজ। তবে, স্পিকিং ও রাইটিং এর জন্য একজন শিক্ষক বা মূল্যায়নকারী থাকা ভালো, যিনি আপনাকে এক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারবেন। আমি এরকম একজনের সাহায্য নিয়েছিলাম। উনি মক টেস্টের মূল্যায়ন করে আমাকে সাহায্য করেছেন। তবে একটা অসুবিধার কথাও বলি। টোফেল এর ফল নিজেই সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো যায়, কিন্তু আইইএলটিএস-এর ফল আইডিপি বা ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে পাঠাতে হয়। যাতে প্রায় পনের দিন সময় লাগে।'
নিজে নিজে প্রস্তুতি নিতে চাইলে কেমব্রিজ আইইএলটিএস স্টুডেন্টস' বুক এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া Ielts liz, Ielts Simon, Ielts exam, Ielts for free, Ielts mentor, Ielts fighter, Ielts podcast, Ielts buddy ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো সহায়ক হতে পারে।
কী-বোর্ডের কিছু শর্টকাট, জানা থাকলে বাড়বে কাজের গতি
কম্পিউটারে কাজ করার সময় মাউসের ক্লিক বা ড্র্যাগ করার ঝামেলা অনেকাংশে কমানো সম্ভব, যদি আপনার কী-বোর্ডের শর্টকাট নিয়মগুলো জানা থাকে। এতে যেমন সময় সাশ্রয় হয়, তেমনি কাজ করতেও আনন্দ পাওয়া যায়। বেসিক থেকে নেভিগেশন ও অ্যাডভান্সড কী-বোর্ড শর্টকাট বিষয়ে আজকের আলোচনা।
বেসিক কী-বোর্ড শর্টকাট
Ctrl+Z
কোনো প্রোগ্রামে কাজ করার সময় ভুল করে সঠিক শব্দের স্থানে ভুল শব্দ লিখে ফেলা বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলার পর আবারও লিখতে গেলে সবারই বিরক্ত লাগে। এক্ষেত্রে Ctrl+Z দিতে পারে খানিকটা প্রশান্তি। Ctrl+Z লিখলে ফিরে আসবে আগের লেখাগুলো।
Ctrl+W
প্রায়ই একাধিক ফাইল, ব্রাউজার ট্যাব নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন পড়ে। যার ফলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বেশ চাপ পড়ে। তাই যখনই কোনো ফাইল, মেনু বা ব্রাউজারের কাজ শেষ হয়ে যায়, সেটি বন্ধ করার জন্য সুবিধা দিতে পারে Ctrl+W শর্টকাট।
Ctrl+A
কোনো ডকুমেন্টের সবগুলো টেক্সট সিলেক্ট করার জন্য মাউসের পয়েন্টার ধরে ক্লিক ও ড্র্যাগ করা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আর যদি বড় কোনো ডকুমেন্ট হয়, তাহলে তো আর কথাই নেই। আর চিন্তা নয়, Ctrl+A শর্টকাটে দীর্ঘ সময়ের সিলেক্ট করার কাজটি করা যাবে এক সেকেন্ডে।
Alt+Tab
এক ট্যাব থেকে অন্য ট্যাবে যাওয়ার কাজটি বেশ ঝামেলা হয়ে দাঁড়ায় যখন একাধিক ট্যাব খোলা রেখে কাজ করার প্রয়োজন হয়। দুইটি ট্যাব খোলা থাকলে Alt+Tab ব্যবহার করে সহজেই পূর্ববর্তী ট্যাবে যাওয়া যাবে। আর কয়েকটি ট্যাব খোলা থাকলে Alt+Tab বাটনে ক্লিক করার পর Alt বাটনটি চেপে ধরে রাখলে ট্যাবগুলোর প্রিভিউ থেকে নির্দিষ্ট ট্যাবে যাওয়া যাবে।
Ctrl+S
অনেক সময় উইন্ডোজ ভার্সনের ভিন্নতা থাকার কারণে কোনো ডকুমেন্ট সেইভ করা নিয়ে বেশ দ্বিধায় পড়ে যায় নতুন কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা। তাছাড়া লোডশেডিং বা অন্য কোনো কারণে হঠাৎ কাজে বিঘ্ন ঘটলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হারিয়ে ফেলার অসুবিধায় Ctrl+S শর্টকাট হলো অন্যতম সমাধান।
Ctrl+Home এবং Ctrl+End
বড় ডকুমেন্টে কাজ করার সময় প্রথম পেজে যাওয়ার ক্ষেত্রে সময় বাঁচাবে Ctrl+Home শর্টকাট। আর ডকুমেন্টের শেষ পেজে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে Ctrl+End শর্টকাট।
Ctrl+Backspace
ডকুমেন্টে লিখিত টেক্সটগুলোর কোনো তথ্য অপ্রয়োজনীয় মনে হলে প্রতি অক্ষর মুছে ফেলার বিপরীতে পুরো শব্দটি মুছে ফেলতে পারে Ctrl+Backspace শর্টকাট।
Ctrl+Left/Right Arrow
ডকুমেন্টে টেক্সট সিলেক্ট বা ডিলিট করার জন্য Ctrl+Left Arrow শর্টকাটের মাধ্যমে বাম দিকে কার্সর সরানো যায় এবং Ctrl+Right Arrow দিয়ে ডান দিকে কার্সর সরানো যায়। আর Ctrl+Shift চেপে Left/Right Arrow ব্যবহার করে শব্দ সিলেক্ট করা যায়।
নেভিগেশন কী-বোর্ড শর্টকাট
Win+D
কোনো কারণে উইন্ডোজ স্ক্রিনে যাওয়ার প্রয়োজন হলে সবগুলো ট্যাব, ফাইল আলাদা করে বন্ধ করে পুনরায় খোলার মতো ঝামেলার কাজটি সহজ করবে Win+D শর্টকাট।
Win+Left/Right Arrow
কোনো ট্যাবকে ডানপাশে সরিয়ে অন্য ট্যাবে কাজ করতে চাইলে প্রয়োজন হবে Win+Right Arrow। আর বামপাশে সরাতে গেলে ব্যবহার করা যাবে Win+Left Arrow
Win+Tab
Alt+Tab-এর মতোই অন্য ট্যাবে যাওয়ার কাজ করে Win+Tab। তবে, আপডেটেড উইন্ডোজে এটি উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন সুইচার হিসেবেও কাজ করে। এই শর্টকাটের মাধ্যমে স্ক্রিনে থাকা সবগুলো ট্যাবের টাস্ক দেখা যাবে।
Tab এবং Shift+Tab
কোনো ডায়লগ বক্সে কমান্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করার জন্য Tab এবং পূর্ববর্তী অপশনে ক্লিক করার জন্য Shift+Tab ব্যবহার করা যায়।
Ctrl+Esc
কোনো কী-বোর্ডে যদি উইন্ডোজ বাটন না থাকে তবে স্টার্ট মেনুতে যাওয়ার জন্য Ctrl+Esc ব্যবহার করা যাবে। তারপর Tab এবং Shift+Tab নেভিগেট করে কাজ করা যাবে।
অ্যাডভান্সড কী-বোর্ড শর্টকাট
Win+L
কম্পিউটারে কাজ করার সময় যদি কেউ উঁকিঝুঁকি দেয়, সেক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ আড়াল করার সময় না পেলে ভরসা দিতে পারে Win+L। কালক্ষেপণ না করে এটি স্ক্রিন লক করবে সহজে। পুনরায় কাজে ফিরতে গেলে দিতে হবে পাসওয়ার্ড বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট।
Win+I
স্টার্ট মেনু কিংবা অ্যাপের ঝামেলায় না গিয়ে Win+I শর্টকাটের মাধ্যমে সেটিংসে যাওয়া যাবে অনায়াসে।
Win+S
সার্চ বারে কোনো কিছু খুঁজতে চাইলে Win+S শর্টকাট ব্যবহার করা যাবে।
Win+PrintScreen
কোনো ট্যাবের স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য আর প্রয়োজন হবে না কোনো স্ক্রিনশট টুল। Win+PrintScreen শর্টকাট পুরো স্ক্রিন একই সঙ্গে ক্লিপবোর্ডে কপি করার পাশাপাশি পিএনজি ফাইল হিসেবে ফোল্ডারে সংরক্ষণ করবে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু কোর্স
কোর্সের বিশাল ভান্ডার🔥🔥[Repost]
মনে রাখবেন,
লাইফে কোন কিছু ফ্রি নয়; আপনি আমাকে কিছু দিলে তবেই আমি আপনাকে রিটার্ন কিছু দিবো এটাই জগতের সবচেয়ে কঠিন সত্য।
বাঙ্গালিদের এই একটাই দোষ তারা ফ্রি পেলে আলকাতরা খায় কিন্তু ফ্রি আলতা পায়ে মাখে না!!
আমরা আসলে সবকিছুতেই ফ্রি খুজতে পছন্দ করি আবার যখন সত্যি সত্যিই ফ্রি পায় তখন তার খুত ধরতে ওস্তাদ যেই স্বভাবটা ত্যাগ করা উচিত; জ্ঞান বা শিক্ষা যেখান হতেই পান সেখান হতে গ্রহণ করুন তাতে শিক্ষকের নাড়ী নক্ষত্র বিশ্লেষণ করতে সময় ফুরালে শিখবেন কখন??
সুতরাং চিপ মেন্টালিটি এবং কনফিউজড মাইন্ড পরিহার করুন, নজর বড় করুন যেন তা আকাশ ছুয়ে যায়।
তাহলে একটি একটি করে কোর্স দেখা শুরু করি।
লেটস স্টার্ট...... কোর্স দেখা দেখি😁😁😁
এপ ডেভেলপমেন্টঃযারা এপ ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য আগ্রহী তাদের জন্য এই কোর্স।অবসর সময়কে কাজে লাগান আর দক্ষতা অর্জন করুন।
জাভাঃবর্তমানে অনলাইনে কাজ করতে গেলে প্রোগ্রামিং এর ধারণা থাকতে হয়।যাদের প্রোগ্রামিং এর নেশা আছে তারা চাইলে শিখতে পারেন।শিখলে বিফলে যাবে না।
ডিজিটাল মার্কেটিংঃএকটু পরিশ্রম করতে পারলে ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এই কোর্সটি করে ইনকাম শুরু করে দেন।
ফাইভার গিগঃফাইবার নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে তারা চাইলে শেখা শুরু ফাইবারে লেগে থাকুন। ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু করতে পারবেন।
https://drive.google.com/drive/u/3/folders/1ijGVe8d_eQflcP4AX5nwWGaGoMtjMIY7
ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ এই কোর্স করলে আপনারা ওয়েবসাইট বানানো শিখতে পারবেন।এখানে বেসিক শেখানো হয়েছে।তাই অবসর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই শেখা শুরু করে দেন।
গেমস ডেভেলপমেন্টঃ যারা গেমস ডেভেলপমেন্ট করে ক্যারিয়ার গড়তে চান তারা এই কোর্স করতে পারেন।বেসিক লেভেল থেকে এখানে শেখানো হয়েছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কোর্স হলো গ্রাফিক্স।যাদের শেখার ইচ্ছা আছে ডাউনলোড করে শেখা শুরু করে দেন।
https://drive.google.com/drive/folders/1vCqu3ze8LR41NM6WC4FwSK-Jhz-eUlXG?fbclid=IwAR3Tmu6lHZ_pw1wS_w7Z1UL4rwlDHbuQmtRCCAv6Oja5PnK2BVmYpPTjnUA
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্টঃ যারা দ্রুত ওয়েবসাইট বানানো শিখতে চান তাদের জন্য আজকের কোর্স।
ই থি ক্যা ল হ্যা কিং কোর্স
সব কোর্স ই তো দিলাম... কি মন ভরে নি... এগুলো আগেও পেয়েছেন😌😔
আচ্চা নতুন কিছু দেই এগুলা দেখেন।
Course (বাংলা)
01)Typography and caligraphi
https://drive.google.com/drive/folders/1QreRShsa09p-r2f5a7ozwpoX6kNIOsEi?usp=sharing
02)Digital marketing tolls and technic
https://drive.google.com/drive/folders/1kdinoh2Vaz69bK0oNbT37vTlEktKG0Zv?usp=sharing
03)LinekdIn Marketing
https://drive.google.com/drive/folders/1XNBUcKNIId2F_MvJLMgJM3iTgtqmdHpG?usp=sharing
04)Learn UIUX Design from Scratch
https://drive.google.com/drive/folders/1AJSqjJXPXS06iQ_UEqwIaTrL6IRDURru?usp=sharing
05)IT FIRM BD Class Completed
https://drive.google.com/drive/folders/1qSqapm1Ob0Az-9NhwGB6At153YV7qgY9?usp=sharing
06)Instagram Marketing Expand Your Business
https://drive.google.com/drive/folders/1GkR-zVyYtu5r-CcO9-o9SlavB8CQKdkZ?usp=sharing
07)Motion graphics 2D and 3D With After effect and Autodesk
https://drive.google.com/drive/folders/1k4eZ7DRgjZ3Kyv0FUcF_CMsI6WI2YNvQ?usp=sharing
08)Zero to Hero in PhotoShop
https://drive.google.com/drive/folders/1iTx-E3fIp5ZetfF_vYI7YWL4v4F_a_6u?usp=sharing
09)C Program
https://drive.google.com/drive/folders/19CBueP0UebsLL473VfmXEIGhLMEoIiJm?usp=sharing
10)The Complete Android App Development Course By Kotlin
https://drive.google.com/drive/folders/1wZzc2xnVEFjYuXd1JaLp4Lj1sJw2Odxg?usp=sharing
13.Graphics Design Update Tutorial Course
https://drive.google.com/drive/folders/1vCqu3ze8LR41NM6WC4FwSK-Jhz-eUlXG?usp=sharing
15.SEO
https://drive.google.com/drive/folders/1BiUimpLkuwMjHwHBS_kymTKROhlpTVdC?usp=sharing
16.Online Market Place A-Z
https://drive.google.com/drive/folders/1ljaVMqtQN7F3jNiM5j0MY8as78JTylvH?usp=sharing
17.Ethical Hacking Full Course
https://drive.google.com/drive/folders/1GoYnQ4R_IO0QyBEJsdfOO8gu1n9LP8mi?usp=sharing
18.Cyber_71
https://drive.google.com/drive/folders/136qhPf3s1JDgIQC7abJt3V314kJZ2OtH?usp=sharing
19.CPA MARKETING
https://drive.google.com/drive/folders/1AAIwLS85aecMhgLIIO1M8f8uhKPFlfU6?usp=sharing
20.Digital Marketing Full Course
https://drive.google.com/drive/folders/13wJSQ2GC-MZwcAmNYhCRFSrOsPRdsZnu?usp=sharing
21.Learn Spo
গুগল ক্রোমের কিছু টিপস অ্যান্ড ট্রিকস
ইন্টারনেট থেকে কোনো তথ্য পেতে প্রথমে যার সহায়তা নিতে হয় সেটা হলো ব্রাউজার। এ ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের তালিকা উপস্থাপন, বিভিন্ন ফিচারের সুবিধা আর আকর্ষণীয় ইন্টারফেসের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গুগলের ক্রোম ব্রাউজার। বর্তমানে এটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ বিলিয়নের অধিক।
তবে কয়েকটি কৌশল অনুসরণ করলে ব্রাউজিংয়ের ক্ষেত্রে আরও কিছু সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।
কী-বোর্ড শর্টকাট
সাধারণত ব্রাউজারে অনেকগুলো ট্যাব নিয়ে কাজ করার সময় কিছুক্ষণ পরপরই এক ট্যাব থেকে অন্য ট্যাবে শিফট করতে হয়। এক্ষেত্রে অন্যান্য ব্রাউজারের মতো গুগল ক্রোমেও রয়েছে কিছু সহজ কী-বোর্ড শর্টকাট। যেগুলো কাজের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি পরিশ্রম লাঘব করবে।
Ctrl+1 থেকে 8 পর্যন্ত বাটন চাপলে সংখ্যা মোতাবেক নির্দিষ্ট ট্যাবে যাওয়া যাবে।
Ctrl+9 দিয়ে শেষের ট্যাবে যাওয়া যাবে।
Ctrl+H ক্রোমের হিস্ট্রি দেখতে সাহায্য করে।
Ctrl+J ডাউনলোড উইন্ডো ওপেন করে।
Ctrl+K সরাসরি অ্যাড্রেস বারে নিয়ে যায়।
Ctrl+T নতুন ট্যাব খোলা যায়।
Ctrl+Shift+T বন্ধ হওয়া ট্যাব পুনরায় ওপেন করে।
অমনিবক্সে গাণিতিক সমাধান
গুগল ক্রোমের অ্যাড্রেস বার বা অমনিবক্স কেবল তথ্যের ইউআরএল লিঙ্ক প্রদর্শন করে না, গণিতের সহজ সমাধানও দিতে পারে। এমনকি কত কাপ পানি ২ লিটারের সমপরিমাণ হবে এরূপ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব। ক্যালকুলেটরের মতো গণিতের যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগের সমাধান পেতে অমনিবক্সে প্রশ্ন লিখে এন্টার না দিলে নিচে দেখা যাবে সমাধান।
ইনকগনিটো মোড ব্যবহার
গুগলে কোনো তথ্য অনুসন্ধান করলে সাধারণত ব্রাউজিং হিস্ট্রি হিসেবে সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকে। পরবর্তী সময়ে সে অনুযায়ী তথ্য উপস্থাপন করে গুগল। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি নজর এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই সার্চ এন্ট্রির রেকর্ড, ডাউনলোড হিস্ট্রি সংরক্ষণ করতে না চাইলে গুগল ক্রোমে ব্যবহার করা যেতে পারে ইনকগনিটো মোড।
এ জন্য সার্চ বারের ডান পাশে থাকা তিনটি বিন্দু বিশিষ্ট আইকনে ক্লিক করলে দেখা যাবে ইনকগনিটো উইন্ডোর অপশন। এটি ক্লিক করলে ইনকগনিটো লেখা ডার্ক মোডের নতুন উইন্ডো ওপেন হবে। সহজে ব্যবহার করার জন্য সাহায্য করবে Ctrl+Shift শর্টকাট।
ওয়েব পেজ বুকমার্ক করা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা প্রয়োজনীয় ওয়েব পেজ বেশি ব্যবহার করা হয় সেগুলো সার্চ বারের নিচে সেভ করে রাখাকে বলে বুকমার্ক। এটি করলে একই ওয়েব পেজে প্রবেশ করার জন্য বারবার সার্চ করার প্রয়োজন হয় না। এক ক্লিকে সহজে কাঙ্ক্ষিত তথ্যও খুঁজে পাওয়া যায়।
এজন্য প্রথমে প্রয়োজনীয় ওয়েব পেজের ইউআরএল বা নাম অ্যাড্রেস বার বা সার্চ বারে লিখে প্রবেশ করতে হবে। তারপর ইউআরএল প্রদর্শিত সার্চ বারের ডান দিকে থাকা স্টার আইকনে ক্লিক করলে নাম ও ফোল্ডারের টেক্সট বক্স দেখা যাবে। সেখানে পছন্দমতো নাম ও ফোল্ডার দিয়ে বুকমার্ক করা যাবে যেকোনো ওয়েব পেজ।
ব্রাউজিং হিস্ট্রি দেখা
অনেক ট্যাব নিয়ে কাজ করতে গেলে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সোর্স হারিয়ে ফেলা কিংবা ভুল করে ট্যাব ডিলিট করার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেকের। বিশেষ করে তথ্যসূত্র দিতে গেলে এমন ঝামেলায় বেশি পড়তে হয়। টানা কাজ করার পর পুনরায় একই তথ্য খুঁজে বের করার ধৈর্য বা স্মৃতিশক্তি না থাকলে ব্যাপারটি বেশ চিন্তার হয়ে দাঁড়ায়। তবে, ব্রাউজিং হিস্ট্রি দেখার উপায় জানা থাকলে কাজ অনেকটা আরামদায়ক হয়ে যায়।
এ জন্য Ctrl+H শর্টকাটের মাধ্যমে যেসব ওয়েব পেজ ভিজিট করা হয়েছে সেগুলোর তালিকা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী তথ্য পুনরায় সংগ্রহ করা যাবে।
ট্যাব খোলা ও বন্ধ করা
ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহারকারীদের অনেকে মাউসের বাটনে ক্লিক করার চেয়ে কী-বোর্ডের মাধ্যমে কাজ সেরে ফেলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অনেকের কাছে টাইপ করার মাঝে মাউসের ব্যবহার খানিকটা সময় ও মনোযোগও নষ্ট করে। যেহেতু সার্চ ইঞ্জিনে কাজ করার সময় প্রায়ই নতুন ট্যাব খোলা ও বন্ধ করার প্রয়োজন হয়, কী-বোর্ড শর্টকাট আয়ত্তে থাকলে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়।
এ ক্ষেত্রে নতুন ট্যাব খোলার জন্য প্লাস চিহ্নে ক্লিক না করে যেমন Ctrl+T বাটন ব্যবহার করা যায়, তেমনি ট্যাব বন্ধ করতে চাইলে ক্রস চিহ্নে ক্লিক করার বিপরীতে Ctrl+W বা Ctrl+F4 বাটন ব্যবহার করা যাবে।