ARTICLE

Date : 06/11/2021

রক্তদান

রক্তদান হল কোন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের স্বেচ্ছায় রক্ত দেবার প্রক্রিয়া। এই দান করা রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয় অথবা অংশীকরণের মাধ্যমে ঔষধে পরিণত করা হয়।

রক্তদান

উন্নত দেশে বেশিরভাগ রক্তদাতাই হলেন স্বেচ্ছায় রক্তদাতা, যারা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে রক্তদান করেন। দরিদ্র দেশগুলোতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা বেশ কম, বেশিরভাগ রক্তদাতাই কেবল তাদের পরিচিতজনদের প্রয়োজনে রক্তদান করে থাকেন। বেশির ভাগ রক্তদাতাই সমাজসেবামূলক কাজ হিসেবে রক্তদান করেন, তবে কিছু মানুষ পেশাদার রক্তদাতা, অর্থাৎ তারা অর্থ বা কোন ভাতার বিনিময়ে রক্তদান করে থাকেন। আবার রক্তদাতা তার ভবিষ্যত প্রয়োজনে রক্ত পেতে পারেন। রক্তদান অপেক্ষাকৃত নিরাপদ, তবে কিছু রক্তদাতার যে জায়গায় সূঁচ প্রবেশ করানো হয় সেখানে কালশিরে পড়ে, আবার কেউ কেউ রক্তদানের পর দুর্বলতা অনুভব করেন।

সম্ভাব্য রক্তদাতার রক্ত ব্যবহার যে সব কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তার সবকিছুই পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাগুলোর মধ্যে রক্তের মাধ্যমে ছড়ায় এমন রোগ (যেমন এইচআইভি ও ভাইরাল হেপাটাইটিস) এর পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত। রক্তদাতাকে তার চিকিৎসার ইতিহাস জিজ্ঞাসা করা হয় এবং তার একটি সংক্ষিপ্ত শারীরিক পরীক্ষা করা হয় তা নিশ্চিত করার জন্যে যে রক্তদান তার শরীরের জন্যে ক্ষতিকর হবে না। একজন রক্তদাতা কতদিন পরপর রক্তদান করতে পারবেন তা নির্ভর করে তিনি কী দান করছেন তার ওপর এবং যে দেশে রক্তদান সম্পন্ন হচ্ছে সে দেশের আইনের উপর । তবে প্রতি চারমাস অন্তর অর্থাৎ ১২০ দিন পর পর মানবদেহে নতুন রক্ত তৈরি হয়।

গৃহীত রক্তের পরিমাণ ও পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণতঃ ৫০০ মিলিলিটার (অথবা প্রায় ১ ইউএস পাইন্ট)[১]সম্পূর্ণ রক্ত নেওয়া হয়। পরিসঞ্চালনে ব্যবহৃত বেশির ভাগ রক্ত উপাদানই অল্প আয়ু বিশিষ্ট, এবং এ কারণে অপরিবর্তিত সরবরাহ নিশ্চিত করা একটি সবসময়কার সমস্যা।

Facebook Link : https://www.facebook.com/101919148174851/posts/426365549063541/

Date : 31/10/2021

আজ অর্থাৎ 31.10.2021 তারিখটি আমাদের সকলের প্রিয় সংগঠন WBPWA এর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ।

আজ WBPWA এর সদস্য তথা দার্জিলিং ডিস্ট্রিক্ট ফটোগ্রাফিক অ্যাসোসিয়েশন এর বোর্ড মেম্বার অমল ভট্টাচার্য্য কাঞ্চন কন্যা নামক ট্রেনে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি ফিরছিলেন । গন্তব্য শিলিগুড়ি তে নামার পরে উনি লক্ষ্য করেন যে সদ্য কেনা Godax এর 85MM এর Octa ট্রেনে ছেড়ে গেছেন । ততক্ষণে ট্রেনটি আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে । তৎক্ষণাৎ উনি ওনার দার্জিলিং জেলা সংগঠনের what's app এ ঘটনার বর্ণনা ও কোচ নাম্বার, বার্থ নাম্বার জানিয়ে একটি মেসেজ করেন । রাজ্য সংগঠনের তরফে মেসেজটি সাথে সাথেই পাশের জেলা জলপাইগুড়ির জেলা সংগঠন JDPA এর সদস্য দের what's app গ্রুপে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । কিন্তু দুঃখের বিষয় আলিপুর দুয়ারে আমাদের কোনো সংগঠন নেই, তা সত্বেও শুরু হল তৎপরতা । দার্জিলিং ডিস্ট্রিক্ট ও জলপাইগুড়ি ডিস্ট্রিক্ট সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের পরিচিতি কাজে লাগিয়ে মালবাজার ও আলিপুরদুয়ারে ফোন যোগে ওখান কার ফটোগ্রাফার দের সাথে যোগাযোগ করে । ততক্ষণে ট্রেন মালবাজার ছেড়েও চলে গেছে ।

তার পর DDPWA এর বোর্ড মেম্বার Jayanta Das আলিপুরদুয়ারের এক জন ফটোগ্রাফার এর সাথে কথা হয়, তার পরিচিত একজন টিকিট পরীক্ষকের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত অমল বাবুর হারিয়ে যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করা হয় ।

ধন্যবাদ আলিপুরদুয়ারের Pronay Roy বাবুকে যার ততপরতায় এই কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। এবং ধন্যবাদ JAYANTA DAS কে, উনি ছাড়া এই জিনিসটা ফিরে পাওয়া সম্ভব হত না।

আমরা সংগঠিত আছি বলেই এমন একটি কাজ সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হলো ।

এমন উদাহরণ সংগঠনকে নতুন ভাবে ভালোবাসতে অনুপ্রেরণা দিলো ।

সকল ফটোগ্রাফারদের স্বার্থেই সংগঠন দীর্ঘ জীবন লাভ করুক এই প্রার্থনা জানাই ।

Darjeeling District Photographers Welfare Association

Jalpaiguri District Photographic Association Reg No. S0002353 of 2018-2019

Facebook Link : https://fb.watch/8-KaNvpTZP/

Date 29/10/2021

শ্রদ্ধাঞ্জলি

এই তো সেদিনের কথা! 27 তারিখ সন্ধ্যায় ফোন বেজে উঠল। সেই পরিচিত প্রত্যয় আর আবেগ মেশানো কন্ঠস্বর, 'দাদা কাল সকাল ন'টার মধ্যে চলে আসুন সোদপুরে। আমি আসছি'। আমি তো অবাক! 'সে কি? আপনি তো এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ নন! এই অবস্থায় আপনার বাড়ি ছেড়ে বেড়োনো একদম উচিত নয়।' প্রত্যুত্তরে সেই পরিচিত হাসি ছড়িয়ে দৃঢ় ঘোষণা, ' আমি একদম সুস্থ। আর হুগলী জেলায় যে কাল সম্মেলন! ওখানে না গেলে কি চলে?' এক নিমেষেই বুঝে নিলাম সিদ্ধান্ত যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। এর কোনো নড়চড় হবার যো নেই। শুধু মৃদুভাবে বললাম 'সম্মেলন তো সেই সন্ধ্যায়! এত ভোরবেলা এই শরীর নিয়ে প্লিজ বেড়োবেন না।' শুনে বললেন' বেশ, তবে বারোটায় পৌঁছাবো। আপনাদের সাথে দুপুরে খাব দাদা বৌদির বিরিয়ানি।'

পৌঁছলাম লালের দোকানে। ততক্ষণে অভিজিত চলে এসেছে। তারপর সারাদিন সেই হুল্লোর আর আনন্দের মধ্য দিয়ে সময়টা যে কি ভাবে কেটে গেল মনে নেই। শুধু মনে আছে যেখানেই যাচ্ছিলাম ছেলেমানুষের মতো উচ্ছাসে ভেসে যাচ্ছিলেন আর সমানে চলছিল ছবির তোলার বায়না।

তারপর হঠাৎ বললেন 'দক্ষিণেশ্বর যাব'। সেখানে গঙ্গার ঘাটে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে কি ওঁকে একটু উদাস দেখাচ্ছিল? কি জানি, হয়তো বা মনের ভুল। তারপর সম্মেলনের মঞ্চে আমার হাত চেপে বললেন 'দাদা, যা বলার আপনি বলুন। আমি কিছু বলবো না'।

মিটিং শেষে সবাইকে নিয়ে একসাথে বসালেন। ঘোষণা করলেন ৫ই নভেম্বর দীঘায় বিজয়া সম্মেলনীর সিদ্ধান্ত। ফেরার পথে আমাদের ছেড়ে গেলেন ডানলপে। শেষ কথা বলেছিলেন 'ভাল থাকবেন'।

আজ এক বছর হলো আপনি নেই। যে দিশেহারা সময়ে আপনাকে আমরা হারিয়েছি সেই সময়টা একটু একটু করে বদলেছে। আমরা আবার আসতে আসতে ফিরছি স্বাভাবিক ছন্দে। আপনার ভাবনা, আপনার প্রত্যয় একটু একটু করে আমাদের মধ্যে সঞ্চারিত হচ্ছে। যে লড়াইয়ের ভাবনা নিয়ে আপনার সাধের সংগঠনকে গড়েছিলেন সেই পথে আমাদের সম্মিলিত পথচলা শুরু হয়েছে।

তুর্কি কবি নাজিম হিকমতের সেই পংক্তি 'বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড়জোর এক বছর' কে সম্পূর্ণ মিথ্যে করে দিয়ে বলতে চাই আজও আমরা আপনাকে ভুলিনি। আজও আপনি ভীষণ ভাবে আছেন আমাদের মাঝে সূর্যের মতো ঔজ্জ্বল্য নিয়ে, প্রত্যয় নিয়ে। তাই আজও আপনি আমাদের শক্তি, আমাদের প্রেরণা, আমাদের পথ নির্দেশক।

প্রথম প্রয়াণ দিবসে আপনার জন্য রইল শ্রদ্ধাঞ্জলি আর বুকভরা ভালবাসা।

সংগঠন দীর্ঘজীবী হোক। সুবীর সামন্ত অমর রহে।

মানবেন চক্রবর্ত্তী

Facebook Link : https://www.facebook.com/103625574312886/posts/589117512430354/?sfnsn=wiwspmo

জীবনের সবসময়ই সংগবদ্ধ থাকা জরুরি।আপনি ভাবতেই পারেন যে আপনি খুব বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী কিন্তু যখন সময় খারাপ আসবে তখন আপনার পরিবার আর বন্ধুরা এগিয়ে আসবে।তারা আপনাকে কঠিন পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করবে।আপনি একা একটা লড়াই কোনোমতেই জিততে পারবেন না।তাই এই বন্ধুত্বর বা পারিবারিক বতাবরনকে আরো সমৃদ্ধ করবো আমরা এই প্রতিজ্ঞা করুন।সবাইকে কর্তব্য আর ভালোবাসা দিয়ে আপন করে নিতে হবে।

আমাদের একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে 98%মানুষ চাইছে ভালো কিছু হোক তারা স্বপ্ন দেখছে।তাদের বিশ্বাসের জন্যই আজ আপনাদের সামনে এতবড়ো সংগঠন তৈরি হয়েছে।তাই বন্ধুরা মনে রেখো 2%লোক প্রতিটা ক্ষেত্রেই নেগেটিভ থাকে ওদের কনো স্বপ্ন থাকে না।ওরা স্বপ্ন দেখতে পারেওনা আর দেখাতেও পারেনা।মাথায় আমরা রোজ চিরুনি দিয়ে মাথা আচড়াই কিছু চুল চিরুনির সঙ্গে উঠে আসে কিন্তু সে জন্য কি পুরো মাথার চুল উঠে যায়?যায়না তো?ঠিক তেমনিই 98%লোক একসঙ্গে স্বপ্ন দেখলে 2%লোক সেই স্বপ্নের ধারেকাছেও আসতে পারে না।নিজেদের বিশ্বাস নিজেদের বন্ধুত্ব এই দুটো জিনিস দিয়ে ফটোগ্রাফারদের আমরা সবাই সাংগঠনিক ভাবে সুশিক্ষিত করতে পারবো।একটু সময় লাগবে 1বছর আগে কি কেউ ভাবতে পেরেছিল বেঙ্গলের এতো ফটোগ্রাফার এক জায়গায় হবে।সময়ের দিকে তাকাও কি ছিলো আমাদের আর 1বছরে কি পেয়েছি শুধু ভেবে দেখো তারপর গর্ভ অনুভব করবে।

Article Writer

Mr Kanchan Bhattacharya