বিগত দিনে যারা আমাদের ছেড়ে শারীরিক ভাবে চলে গেছেন কিন্তু তাদের কাজ ও নির্দেশিত পথে আমাদের এগিয়ে দিয়ে গেছেন তাঁদের আমরা স্মরণ করি। আমাদের সভাপতি স্বর্গীয় সুবীর সামন্ত, স্বর্গীয় অনিল চ্যাটার্জ্জী, স্বর্গীয় হেমন্ত গুছাইত এবং আরও যাঁরা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন তাঁদের প্রতি রইল আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।
১২ই অক্টোবর ২০১৮
বর্ধমান
স্বর্গীয় সুবীর সামন্ত, শ্রী সঞ্জীব বিষয়ী, শ্রী অভিজিৎ ব্যানার্জ্জী, শ্রী নিরুপম সাহা, শ্রী মানবেশ চক্রবর্তী , শ্রী রাজীব দাস, শ্রী বিমল বসাক, শ্রী সত্য রঞ্জন সাহু ও শ্রী পার্থসারথি চক্রবর্তী।
ফটোগ্রাফি পেশার সাথে যুক্ত মানুষদের সংগঠিত করা খুব সহজ ছিল না। কারণ প্রত্যেক ফোটোগ্রাফারের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক শিল্পীসুলভ অহংবোধ যা সংঘবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে ওঠে। কিন্তু যখন কোনও বৃহৎশক্তির আক্রমণ নেমে আসে তখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। টি-সিরিজ কোম্পানির অযুক্তিক আক্রমণে আমরা একত্রিত হয়ে জেলাস্তরে এবং সর্বপরি রাজ্য সংগঠন গড়ে তুলি। যা আজ দৃঢ় পদক্ষেপে বিস্তারিত লাভ করছে, এগিয়ে চলেছে সারা রাজ্যের অগণিত ফোটোগ্রাফার বন্ধুদের হাত ধরে।
সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য আমাদের ফটোগ্রাফারদের শিক্ষিত করে তোলা। যাতে তারা নিজেদের মূল্যায়ন নিজেরাই করতে পারে।
ফটোগ্রাফারেরা সভাবতই সাংস্কৃতিক মনস্ক হয়ে থাকেন। তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি সাধারণের থেকে আলাদা তো হতেই হবে। তাই আমাদের সেই দিকে সজাগ হয়ে নিজেদেরকে তৈরী করতে হবে।
আমাদের লক্ষ্য আগামী দিনে রাজ্যের সমস্ত ফটোগ্রাফারকে এক ছাতার তলায় এনে শিক্ষিত ফটোগ্রাফার সমাজ গড়ে তোলা।
২০১৮ সালে পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, উঃ ২৪পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি ও হুগলী মাত্র এইকটি জেলা নিয়ে রাজ্য সংগঠন গঠিত হয়। বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, দঃ ২৪পরগনা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উঃ দিনাজপুর ও দার্জিলিং এই জেলাগুলিতে সংগঠন গঠিত হয়ে রাজ্য সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়।
আমাদের বিভিন্ন জেলা সংগঠন নানা সময় বিভিন্ন রকম সামাজিক কার্যক্রম করে থাকে। যেমন রক্তদান শিবির, কৃতি অথচ দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের সহায়তা, বনসৃজন, বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের বস্ত্রদান ইত্যাদি। হুগলী জেলা সাফল্যের সাথে "সচেতনতা যাত্রা" নামক একটি সড়ক যাত্রা করে পাঁচটি থানাকে পরিক্রমা করে। এছাড়াও গরমকালে বেশ কয়েকটি জেলয় তেষ্টা মেটানোর জন্য জলছত্র করে। করোনার সময় বিভিন্ন জেলা তাদের সদস্য ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল সাধ্যমতো। আমফান ও যশ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশেও কয়েকটি জেলা যেমন উত্তর চব্বিশ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুরের সদস্যরা বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। এছাড়াও শারদ উৎসবে বিভিন্ন জেলা দুস্থদের পোশাক বিতরণ করে। আরও অনেক সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে সংগঠন তার সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছে বিভিন্ন সময়।
আমরা এর মধ্যে সংগঠনের সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছি। ২০১৯এ সাফল্যের সাথে "বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস" পালন করেছি। কলকাতায় "ইমেজ ক্রাফট" এ আমাদের সংগঠনের স্টল হয়। দিল্লিতে আকারের ফটোগ্রাফি ফেয়ার-এ আমাদের সংগঠন কে পরপর দুবছর স্টল দেয়।
আমাদের রাজ্য সংগঠন ইতিমধ্যে All India Photographic Federation এর সাথে যুক্ত হয়েছে এবং সর্বভারতীয় স্তরে ফোটোগ্রাফারদের সংগঠিত করার কাজে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে।
আমাদের নিজস্ব তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ তৈরি খুব জরুরী ছিলো। যেটি ইতিমধ্যে গঠিত হয়েছে। এখন রাজ্যের এই বিভাগ জেলা সংগঠনের তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করে চলেছে।