শিক্ষা ও গবেষণা নির্ভর দেশ চাই
সময় আর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। এ কথাটির মতোই আরও একটি বছর অতীত হয়ে গেল। এখন সবাই পুরোনো বছরের প্রত্যাশা প্রাপ্তির হিসাব মেলাতে ব্যস্ত। একই সঙ্গে নতুন বছরের পরিকল্পনাও করছে কেমন কাটবে আগামী বছর। নতুন বছরে প্রত্যাশা থাকবে- জীবনের সব জীর্ণতা-শীর্ণতা কাটিয়ে উঠুক সবাই। এ বছরে বাস্তবায়ন হয়েছে স্বপ্নের এবং গৌরবের পদ্মা সেতু।২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা স্বত্তেও বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় ছিল ২৫০০ কোটি মার্কিনডলার। আশা করি ২০২১ সালে এর আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।
নতুন বছরে প্রত্যাশা থাকবে, তরুণদের জন্য আরও বেশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকুক। আগামী বছরে একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজন বিবেচনায় রেখে নতুন নতুন গবেষণা কেন্দ্র খোলা হবে এবং বেকারত্ব দূরীকরণের ব্যাপারেও সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। সবার প্রতি শুভকামনা রইল।
E-Link:
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাহেন্দ্রক্ষণ পার করছে এখন বিশ্ব। তথ্য প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের এ সময়ে নতুন নতুন শিল্প কারখানার পাশাপাশি হিড়িক পড়েছে বর্তমান বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর শিল্প কারখানা এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তরের। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ, সুলভ শ্রমশক্তি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এ তিনটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এখন বেশ অনুকূল। ফলে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা না থাকলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ না আসার কোন কারণ নেই। এদিকে কর্মসংস্থানও বেড়েছে। বাংলাদেশ সরকার হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির (বেজা) তত্ত্বাবধানে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ। সবচেয়ে আকর্ষণের জায়গা চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৩০ হাজার একরের বেশি জায়গা জুড়ে গড়ে উঠছে সুপরিকল্পিত 'বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী'। এর উদ্দেশ্য, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করা। সবকিছু ঠিকঠাক মতো এগোলে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই শিল্পোন্নত হওয়ার পথে এক অদম্যযাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ।
E-Link:
ফুটবল মানেই ব্রাজিল
সমর্থনের কথা বলতে গেলে, আগে বলতে হবে সমর্থক হিসেবে আমি কেমন। সমর্থক হিসেবে আমি অপরচুনেস্টি নয়তো? আসলে সমর্থনের শুরুর দিকে সবাই এমন করে। আমিও করতাম, ফিক্সড কোন দল সমর্থনে ছিলো না। তখন যে দল ভালো খেলতো সেই দলকে সমর্থন করতাম। সমর্থন নানা কারণে করে। কেউ একজন ভালো খেলোয়াড়ের জন্য করে, কেউ টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য।
২০০৪ সালের কথা। আমি মাত্র কয়েকটি খেলা দেখেছি। তখন একটা খেলা দেখেছিলাম ব্রাজিলের। ওই সময় ব্রাজিলের হয়ে খেলছিলেন রোনালদো এবং কাকা। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে যেটা, এতো দ্রুত এবং এতো ফাস্ট পাস বিনিময় করতো, যেটা দেখে খুবই দারুণ লেগেছে। ব্রাজিলের ম্যাচ মোটামুটি মিস করতাম না। কিন্তু তখনোও পুরোপুরি সমর্থক হইনি। ২০০৬ এ ব্রাজিলের সমর্থক হই। কিন্তু এমন এক সময়ে সমর্থক হই তখন ফুটবল বিশ্বে নাম কুড়িয়ে নিয়েছেন মেসি। সেই সময়ই আমি আসলে ব্রাজিলের সমর্থক হই। আজ সেই ব্রাজিল ফুটবলের নক্ষত্ররা নেই। নেই রোনালদো, কাকা, রয়ে গেছে শুধু তাদের সেই খেলার স্মৃতি। কিন্তু ব্রাজিল এমন এক দেশ, যে দেশে একটা নক্ষত্র ডুবে গেলে দশটা নক্ষত্র জন্ম নেয়। বর্তমানে ব্রাজিলের প্রত্যেকটি খেলোয়াড়ই ব্রাজিল-ফুটবলের এক একটি নক্ষত্র।
E-Link: