সাম্য
স্বাধীনতা
ভ্রাতৃত্ব
মূলনিবাসী বহুজন ঐক্য মঞ্চ
"জাতিভেদ, শ্রেণিভেদ এবং বর্ণভেদ রূপ মহাপাপ যতদিন হিন্দুসমাজকে জর্জরিত করিবে এবং মানুষ মানুষের মধ্যে নানারূপ বিধিনিষেধ ও গণ্ডি টানিয়া কেবল দ্বন্দ্ব কোলাহল ও ভেদবুদ্ধির বিষ ছড়াইতে থাকিবে, ততদিন এই জাতির মুক্তির আশা এবং স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখা বিড়ম্বনা মাত্র।"--আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়
আমাদের মনের কথা
মূলনিবাসী বহুজন ঐক্য মঞ্চ, বিজ্ঞানী ও সমাজ দরদী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের এই উপলব্ধি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। এই বিশ্বাস কে পাথেয় করে, বাবা সাহেবের স্বপ্নের সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ এক শক্তিশালী ভারতীয় জাতির বাস্তবায়ন করতে আমাদের সংগঠন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ।
বাবা সাহেবের স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করতে, বিজ্ঞানাচর্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের চিহ্নিত ভারতীয় সমাজের সামাজিক কাঠামোর দুর্বলতা জাতিভেদ প্রথা দূরীকরণে নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই আমাদের সংগঠনের প্রাথমিক লক্ষ্য ও দায়িত্ব।
যদিও আমাদের লক্ষ্য সম্পূর্ণ ভারত, তবুও আমাদের ক্ষমতা ও সাধ্যের কথা চিন্তা করে প্রাথমিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই আমাদের কর্মকাণ্ড সীমিত রাখার পরিকল্পনা করেছি। সফলতার আভাস পেলেই আমরা সমস্ত ভারতবাসীকে আমাদের সাথে জুড়তে আহ্বান করব।
প্রাথমিক ভাবে আমরা পশ্চিমবঙ্গের তালিকাভুক্ত জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সমাজকে নিয়ে এক শক্তিশালী সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যে এদের এক ছাতার তলায় আনতে চেষ্টা করছি। এটা সফল হলেই আমরা অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার দিকে মনোনিবেশ করব। এবং এই দুটো লক্ষ্যে সফল হলেই আমাদের অর্ধেক কাজ সফল। বাকিটা? আমরা বহুজন যেদিন সংঘবদ্ধ হয়ে এক সুরে কথা বলতে পারবো সেদিন আমাদের মূলনিবাসী বহুজন যা চাইবে সেটাই তারা করতে পারবে। সেই সমাজ যদি মনে করে আমরা নিরামিষ খাবো তাই খাবে, যদি বলে বিরিয়ানী খাবো তাই খাবে, যদি চায় পোলাও,মিষ্টি, দই, চাটনি সব খাবো, তবে তাই খাবে। তখন তারাই তো ভারতের মালিক।
একটা দিক বাকি রেখেছি জাতির পিতা জ্যোতিরাও ফুলের উক্তি দিয়ে শেষ করব বলে-
মহাত্মা জ্যাতিবা ফুলের বাণী তর্জমা করে বলা যায়-
"বিদ্যার অভাবে মতি (বোধ) নষ্ট,
মতির অভাবে নীতি নষ্ট।
নীতির অভাবে গতি ( পরিবর্তনশীলতা) নষ্ট,
গতির অভাবে বিত্ত (সম্পদ) নষ্ট।
বিত্তর অভাবে শূদ্রের পতন,
তারা কেমনে করিবে পরিবর্তন?"
এজন্য বহুজনের অধঃপতন এর প্রতিটা কারণ আমরা সমাজ থেকে উৎপাটন করে ফেলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেটা সফল করতে আমাদের সংবিধানে চার জন করে সহ: সভাপতি ও সহ: সম্পাদক রেখেছি,প্রতিটা দিকেই নজরদারির জন্য।
আমাদের সংগঠনটি ১ লা এপ্রিল, ২০১৮ তে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এই পর্যন্ত আমাদের কাজের অগ্রগতি ১) আমরা পশ্চিমবঙ্গের ১৭২ টা জাতি - উপজাতির মধ্যে ১০৬ টা জাতির প্রতিনিধিবর্গের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছি। ২) একটি জেলা বাদে,বাকি ২২ টা জেলায় আমাদের প্রতিনিধি আছেন। ৩) তিনটি জেলায় জেলা কমিটি ও একটি জেলায় ব্লক কমিটি করতে সমর্থ হয়েছি। ৪) সংগঠনের লোগো, ফেসবুক, ও একটি ইউটিউব চ্যানেল করতে পেরেছি। ৫) সংগঠনের কাজের প্রধান বাঁধা টাকা। যেটা আমরা সংগঠনের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় উৎসাহী সদস্যদের কাছ থেকে টাকা নিতে পারছি না। আমরা যত শীঘ্র সম্ভব এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবো। সদস্য ভূক্তির আবেদন লিপি ছাপানো হ'লে আমাদের পয়সার অভাব আর থাকবে না। ৬) আর বাকি রইল আপনাদের সমর্থন ! আমরা আমাদের সমাজের নানা সমস্যায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সদলবলে ঝাপিয়ে পড়ছি।এটা আপনাদের নজরে এসেছে নিশ্চয়। যার জন্য আপনাদের মধ্যে অনেকেই স্বতঃস্ফূর্ত প্রশংসা করছেন।আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া এই অনুপ্রেরণা পেয়ে আমরাও আপ্লুত। আপনাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত অনুপ্রেরণা দেখে আমাদের বিশ্বাস খুব শীঘ্রই আমরা আপনাদের আমাদের সাথেই পাবো। তখন সবাই মিলে জোর কদমে আমাদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবো ও নতুন নতুন নেতা আমরা খুঁজে নিতে পারব। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এদের মধ্যে থেকেই কোনো শক্তিশালী জাতীয় নেতা বেরিয়ে আসবে আমাদের নেতৃত্ব দিতে। -
জয় ভীম, জয় ভারত !
বহুজন ঐক্য জিন্দাবাদ!