বারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক মাফিয়া সর্দারের নাম ঢাকার রাস্তায় আবারও শোনা যাচ্ছে। এক যুগ ধরে মৃত, কাঠিন্য আর কোমলতার মিশ্রণে ভয়ঙ্কর সেই মানুষটি যেন পুণরুত্থিত হয়েছে! কাজেই, ঘটতে শুরু করলো ঘটনা।
নিরেট নিখুঁত ভদ্রলোক, তুখোড় মেধাবি ছাত্র তাহের একটার পর একটা মিথ্যে বলতে শুরু করলো। উদ্ভিন্ন যৌবনা, প্রকৌশলী নিশির জীবনটা ওলট-পালট হতে সময় লাগলো মোটে এক সপ্তাহ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের ঝামেলায় খুন হয়ে গেল পাড়ার মাস্তান। ঢাকার অন্ধকার গলিতে ঘুরে বেড়ানো আততায়ীকে বার বার বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হলো। আলোড়ন উঠলো মাঝারি ব্যবসায়িদের মহলে। সদ্য কৈশোর পেরুনো অপূর্ব সুন্দরি তরুণী নাভার ওপর কেউ একজন চোখ রাখতে শুরু করলো।
আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাচক্রগুলো কি আসলেই বিচ্ছিন্ন? এক সময় যাদের হাতে অস্ত্র ছিল তারা নিজেদেরকে ক্ষমতাবান ভাবতো, তবে আজকের পৃথিবীতে যার কাছে তথ্য তার হাতেই সর্বময় ক্ষমতা!
গডফাদার আলমাস। স্ট্রাইকার। সিন্ডিকেট। এলাকার টপটেরর। রাজনৈতিক নেতা। তথ্যবিক্রেতা। মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব। ডিটেক্টিভ মুক্তার আর প্রকৌশলী ছাত্র তাহের। অনেকগুলো পক্ষ। কিন্তু এদেরই একজন বন্দুক নয় শুধুমাত্র মগজ আর তথ্য ব্যবহার করে শহরটার ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে চলেছে । কে, কেন এবং কিভাবে-তার উত্তর মিলবে উপন্যাসটিতে। তথ্যের মারপ্যাঁচে সৃষ্টি হতে চলেছে এক আনকোড়া-অন্ধকার মাফিয়া জগত। পাঠককে সে জগতে সুস্বাগতম।
পৃষ্ঠা: ৩৬৮
প্রকাশক: বাতিঘর প্রকাশনী
খ্যাতনামা এক বাংলাদেশি বিজ্ঞানীকে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলো। ডাক পড়লো ডিটেক্টিভ আসিফ আহমেদ ও তার দলের। অনিশ্চয়তার সঙ্গে যুক্ত হলো একটি কিডন্যাপ কেস।
তদন্ত শুরু হতেই খুব দ্রুত পাল্টে গেলো ঘটনা প্রবাহ-রসায়ন থেকে অ্যালকেমি, খ্রিস্টের জন্মের চার হাজার বছর আগ থেকে বর্তমান বাংলাদেশে-কল্পনাতীতভাবে বিস্তৃত এই রহস্যের সমাধান লুকিয়ে আছে সামনে থাকা তথ্যগুলোর এক এবং কেবল একটিমাত্র অংশে। সেটাই খুঁজে বের করতে হবে।
স্বভাবতই এলো বিপত্তি। সার্বক্ষণিক বাধা আসছে অদৃশ্য কোন গুপ্তসঙ্ঘের ইশারায়। প্রধান সাসপেক্টকে হাতের নাগালে পেয়েও কেসটার মিমংসা করা গেলো না। প্রতিঘণ্টায় কাহিনীর মোড় ঘুরে যাচ্ছে। কোটি কোটি মানুষের চোখের সামনে থাকা সত্যটা খুঁজে বের করতে গিয়েও গলদঘর্ম হয়ে উঠলো ডিটেক্টিভ। কিন্তু কারও ধারণাও নেই, সত্যটা কাঁপিয়ে দিতে পারে গোটা বাংলাদেশকে।
কিশোর পাশা ইমনের প্রথম মৌলিক থৃলার উপন্যাস ‘মিথস্ক্রিয়া’ পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেবে রহস্যময় এক অতীত আর অজানা বাস্তবতাকে।
পৃষ্ঠা : ৩৫২
প্রকাশক: বাতিঘর প্রকাশনী
১৯৭১।
রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সেলিম। ২৫শে মার্চের রাত তার জীবনটা ওলোট-পালোট করে দিলো একেবারে। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় অতি অল্প সময়ে পথ করে নিলো সমরক্ষেত্রে।
পাকিস্তানের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এবং পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক জহির রায়হান। বাঙালি জাতির পরিচয় তছনছ করে দেওয়া সেই রাতের পর পথে নামলেন তিনি। গন্তব্য? ভারত। উদ্দেশ্য? স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ নিয়ে আসা। জহির রায়হান জানেন, সে দক্ষতা তাঁর আছে।
একজন যুদ্ধ করে গেলেন শক্ত মাটিতে দাঁড়িয়ে, চাক্ষুস শত্রুর সঙ্গে। অপরজন লড়ে গেলেন এক অন্যরকম যুদ্ধ। মিডিয়া ওয়ার। এ লড়াইয়ের দাবীতেই যুদ্ধরত বাংলাদেশের কিছু মুখোশধারী শত্রুর বিরুদ্ধে কাজ করে গেলেন নিরলস।
১৯৭২।
দুইজন অকুতোভয় দেশপ্রেমিকের পথ একটা সময় ছেদ করলো।
স্বাধীন বাংলায় দাঁড়িয়ে একত্রে কাজ করতে শুরু করলেন তাঁরা।
কিন্তু তাঁরা কি জানতেন, আগুনের দিন তখনও শেষ হয়নি?
১৯৭২ সালে বাংলাদেশের দুইজন শহীদ সূর্যসন্তানের জীবনের বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসিকা, “আগুনের দিন শেষ হয়নি”।
পৃষ্ঠা : ১১২
প্রকাশক: হৃদি প্রকাশ