প্রশিক্ষণের চেয়েও একজন পুলিশ অফিসারের প্রবৃত্তি বেশি কাজে দেয়। ফেইথ মিশেলের মা ফোন ধরছে না। বাড়ির সামনের দরজাটা খোলা। দরজার হাতলে রক্তের ছোপ। তার শিশুকন্যা বাড়ির পেছনের শেডে লুকিয়ে রেখেছে কেউ। অস্ত্র হাতে বিকট এক লাথি মেরে মায়ের বাড়ির দরজা খুলতেই জর্জিয়া ব্যুরোর প্রশিক্ষণে শেখা প্রায় সব শিক্ষাই ভুলে গেল মিশেল। ভেতরে বেডরুমে জিম্মি-নাটকের শুরু, দেওয়ালে বুলেটের চিহ্ন, মেঝের সবখানে জমাট না বাঁধা রক্তের দাগ, লন্ড্রি রুমে পড়ে থাকা অজ্ঞাত একজনের লাশ, শুধু খোঁজ নেই তার মায়ের।
মাকে খুঁজে বের করতে এমন সব মানুষজনদের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে তাকে, দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যারা ছিলেন দারুণ শ্রদ্ধার পাত্র।
এমন বিপদে পাশে এসে দাঁড়ালো সহকর্মি উইল ট্রেন্ট আর শুভাকাঙ্খি সারা লিনটন। তারা জানে না কাকে বিশ্বাস করতে হবে। অন্ধের মতো অন্ধকার এক জগতে পা বাড়ালো ওরা, যে জগতটি বিস্মৃত ছিলো কয়েক দশক ধরে...
বর্তমান সময়ে বিপুল জনপ্রিয় থৃলার-লেখক ক্যারিন স্লটারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এটি। প্রথম অধ্যায় থেকেই বিমোহিত করে রাখবে পাঠককে।
পৃষ্ঠা: ৩৮৪
প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী
সুরক্ষিত পেন্টহাউজে বাস করে সে, কারও সাতে-পাঁচে নেই, আপাতদৃষ্টিতে নিতান্তই গোবেচারা একজন। কঠোরভাবে মেনে চলে কয়েকটি অনুশাসন, অনুসরণ করে নিজস্ব কিছু নীতি। ছকে বাঁধা জীবন তার। এর বাইরে তার অন্য একটি পরিচয় আছে, তবে খুব বেশি মানুষ সেটা জানে না।
জীবন-মরণ সমস্যায় নিপতিত মানুষগুলো তার সাহায্য কামনা করে--তাদের কাছে সে কেবলই একজন নোহোয়ার ম্যান। প্রতিপক্ষের চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকে সব সময়, অতিমাত্রায় সতর্ক একজন মানুষ সে। কঠোর প্রশিক্ষণ কাজে লাগায় অসহায়দের পক্ষে। কিন্তু সর্বশেষ মিশনটি সবকিছু ওলটপালট করে দিলো, ছক থেকে বের হয়ে আসতে হলো তাকে। অনুশাসনের বলয় থেকেও সরে এলো ধীরে ধীরে। প্রতিপক্ষের সুচতুর চাল উন্মোচিত করে দিচ্ছে তার মুখোশ। তবে কি কেউ জেনে ফেলেছে তার গোপন পরিচয়টি? জীবনে প্রথমবারের মতো কি ব্যর্থ হতে চলেছে ‘অরফান এক্স’? প্রথমবারের মতো বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে নিলো ইভান স্মোক। অন্ধের মতো ঝাঁপ দিলো অতল এক গহ্বরে। নাকি পেতে রাখা ফাঁদে?
গ্রেগ হুরউইজের অসাধারণ সৃষ্টি ‘অরফান এক্স’ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত আর জনপ্রিয় থৃলার। বাংলাভাষাভাষি পাঠককে স্বাগতম এর আস্বাদ নেবার জন্য।
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৩৩৬
প্রকাশক: বাতিঘর প্রকাশনী
র্যাচেল ওয়াটসন ছিলো হতাশারই মূর্ত প্রতীক। প্রতিদিন সকালে অফিসগামী ট্রেনে করে লন্ডনে যায় সে, ফিরে আসে বিকেলে। মাঝে এক ছোট্ট সিগন্যালে থেমে যায় ট্রেন, তার চোখে সর্বশ্রেষ্ঠ দম্পতিটিকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখতে পায় সে। মনে মনে ওদের দুটো নামও দিয়ে দিয়েছিলো র্যাচেল, “জেসন” এবং “জেস”। নিখুঁত তারা, কয়েকদিন আগে সব হারানো র্যাচেলের সম্পূর্ণ বিপরীত!
এরপর চমকে ওঠার মত কিছু একটা দেখতে পেলো সে। এক মিনিটের কম সময়ে দেখা দৃশ্যটা সবকিছু পাল্টে দিলো। নিজের ভেতরে তথ্যটা জমিয়ে রাখা তার জন্য ছিলো অসম্ভব। পুলিশ স্টেশনে গিয়ে সব খুলে বললো সে।
উপকার করতে গিয়ে ক্ষতি করে ফেললো না তো ও?
তার ছোট্ট জগতের প্রতিটি মানুষের জীবন যে এর সঙ্গে জড়িত!
র্যাচেল জানতো না ভুল জায়গাতে নাক গলাতে এসেছিলো সে। চরম বিপদে পড়তে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে তার কোন ধারণাই নেই!
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ২৭২
প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী
প্রকাশকাল : ২০১৫
ব্যালকনি থেকে আছড়ে পড়ে মারা গেলেন রিয়েল স্টেট মোঘল ম্যাথু স্টার । খুন নাকি আত্মহত্যা- প্রশ্নটার জবাব পাওয়ার আগেই ঘটতে শুরু করল একের পর এক নাটকীয় ঘটনা । তদন্তের দায়িত্ব পড়ল ডিটেকটিভ নিকি হিটের ওপর । পেছনে ছায়ার মত লেগে রইল বিখ্যাত সাংবাদিক জেমসন রুক।
পুরোদমে তদন্ত এগিয়ে যেতে থাকে। পরিপূর্ণ পুলিশওয়ার্ক বলতে যা বোঝায়, তাই করে চলল ডিটেকটিভ হিট । ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে থাকল সত্য আর মিথ্যের ফারাক। পার্সন অফ ইন্টারেস্ট হিসেবে চিহ্নিত মানুষগুলো মিথ্যে বলছে কেন? ম্যাথু স্টারের প্রকৃত পরিচয় কি? ব্যবসায়িক কারনে খুন হয়ে গেলেন, নাকি এর পেছনে আরও কিছু কারণ আছে? পার্সন অফ ইন্টারেস্টদের সাথে ভিক্টিমদের সম্পর্ক কি ছিল?
এক্ষেত্রেও প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ার আগেই ডিটেক্টিভ হিট এবং জার্নালিস্ট রুকের সম্পর্কে এল নাটকীয় পরিবর্তন। সত্য অনুসন্ধানের লক্ষ্যে রেইড চলছে, চলছে একের পর এক ইন্টারভিউ, হাতকড়া উঠছে একের পর এক অপরাধীর হাতে, বাতাসে শিস কাটছে বুলেট, কিন্তু প্রমাণ জুটছে না। নাগালের বাইরেই রয়ে যাচ্ছে খুনি।
নিকি হিট কি পারবে সত্যিকারের খুনিকে ধরতে?
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ২৪০
প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী
ডেভিন জোন্স, কলেজের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে কাজ নিলো জয়ল্যান্ডে। হৃদয়হীন প্রেমিকাকে ভুলে যেতেই এই কাজ নেওয়া। কিন্তু সেখানে গিয়ে মুখোমুখী হলো ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির সঙ্গে। এক কুখ্যাত খুনীর ইতিহাস, মৃতপ্রায় শিশুর ভাগ্য আর জীবনের অন্ধকার অধ্যায়গুলো মিলেমিশে একাকার হলো। তারপর যা ঘটলো, তাতে করে উল্টেপাল্টে গেল ওর চিরচেনা পৃথিবী।
কী হচ্ছে জয়ল্যান্ডে?
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ২৭২
প্রকাশক : আদী প্রকাশন
মনে করুন, একজন উন্মাদ খুনী আপনাকে দুটো মানুষের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে বললো। আপনি যাকে নির্বাচন করবেন, তাকেই ভয়ঙ্করভাবে হত্যা করবে সে। কাকে বেছে নেবেন আপনি? আদৌ কাওকে বেছে নিতে পারবেন কী? কিন্তু, খুনের দায়ভার যদি আপনাকে এড়িয়ে যেতে দেওয়া না হয়?
চতুর খুনী বিলি ওয়াইলসকে দায়ভার এড়ানোর কোন সুযোগ দেয়নি। প্রতিটি খুনের দায় চাপানো হল নিরীহ এক বারটেন্ডারের কাঁধে। পরিচিত মুখগুলো প্রাণ হারাতে শুরু করলে মরিয়া হয়ে উঠলো বিলি।
শেষ টার্গেটের নাম জানতে পেরে আঁতকে উঠলো ও!
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ২৫৬
প্রকাশক : আদী প্রকাশন