Travel Blogs

Nawabganj Tour

Day Tour

প্রানের ঢাকার আশেপাশে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলো বাজেট সাশ্রয়ী, কম দুরত্বের, কম সময়সাপেহ্ম ও ডেট্যুর দেওয়ার জন্য এককথায় অসাধারন। এমনই ঢাকার পাশের একটি জায়গা "নবাবগঞ্জ"। তাই আমি দেরি না করে বের হয়ে পড়ি নবাবগঞ্জ এক্সপ্লোরেশনের জন্য। এবারও আমার সাথে ছিল আমার ছায়া ও বন্ধু গুগেল ম্যাপস।

⏩Tour Spot⏪

১. জর্জ বাড়ি

২. উকিল বাড়ি

৩. কোকিল প্যেয়ারীর বাড়ি

৪. মঠ স্থাপত্য

৫. আঁধারকোঠা

৬. আদনান প্যালেস

৭. ইসামতি নদী

৮. বৌদ্ধ মন্দির

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

আপনাকে প্রথমে আসতে হবে গুলিস্থান গোলাপ শাহের মাজারের একটু সামনে। এখানে দেখবেন নবাবগঞ্জ ও মৈনটঘাটের বাস রয়েছে যেমনঃ দ্রুত পরিবহন, এন মল্লিক, বিআরটিসি, যমুনা পরিবহন ইত্যাদি। যেকোন একটায় চেপে প্রকৃতি দেখতে দেখতে ঘন্টাখানেকের মধ্যে চলে যান নবাবগঞ্জ। বাসের কন্টেকটারকে বলবেন কোকিল প্যেয়ারী স্কুলের সামনে নামবেন। নেমে পড়লে দেখবেন জর্জ বাড়ি, উকিল বাড়ি, কোকিল প্যেয়ারী বাড়ি, মঠ সবগুলো রাস্তার অপজিট সাইডে পাশাপাশি অবস্থিত। দেখা শেষ করে কাউকে জিজ্ঞাসা করে হাটা ধরবেন প্যালেস পার্কের রোড বরাবর। প্যালেস পার্কের রোডে ঢুকে ৩মিনিট হাটলে সামনে একটা মোড় পড়বে কাউকে জিজ্ঞেস করলে আধারকোঠা দেখিয়ে দিবে। হাটতে থাকলে নবাবগঞ্জের প্রকৃতি আপনাকে মুগ্ধ করবে। এটা দেখা শেষ করে আবার হাটতে হাটতে আদনান প্যালেস। টিকেট কেটে দেখা শেষ করে পাশেই ইছামতি নদীর তীরে বাকি সময়টা কাটিয়ে অটো করে চলে আসুন নবাবগঞ্জ বাজারে। পরে এখান থেকে আবার গুলিস্থান, ঢাকা।

⏩খরচপত্র⏪

১. ঢাকা - নবাবগঞ্জঃ ৬০-৭০৳ (যাওয়া+আসা=৬০+৬০=১২০৳)

২. আদনান পার্কে এন্ট্রি ফিঃ ৪০৳

৩. আদনান প্যালেস - নবাবগঞ্জ বাজারঃ ১০৳ পিস ও রিজার্ভ ৫০-৬০৳ (অটো)

এখানে খরচ বলতে কিছু নাই দুপুরের খাবার দিয়ে অনায়াসে ২৫০-৩০০টাকায় ঘুরে আসা যাবে।

🔴নোট টু ফলো🔴

⏩ নবাবগঞ্জ যাওয়ার জন্য এন মল্লিক ও দ্রুত পরিবহনের বাস ভালো। এগুলো রাস্তায় লোক তেমন উঠায়না, ডায়রেক্ট সার্ভিস।

⏩ এখানকার লোকাল মানুষ আমার কাছে সহজ সরল মনে হয়েছে তাই জায়গা চিনতে কোন সমস্যা হলে তাদের জিজ্ঞেস করলেই হবে।

⏩ সেইফটির ব্যাপার জানতে চাইলে বলব সাথে আরও কাউকে নিয়ে আসলে ভাল হবে। ২/৩জন মিলে আসলে সমস্যা নেই।

⏩ আপনারা চাইলে ঐ দিনেই মৈনট ঘাট ভ্রমন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে হাতে সময় নিয়ে সকাল ৮টার মধ্যে গুলিস্তান থেকে রওনা দিতে হবে তাহলে রিলেক্সে সব শেষ করা সম্ভব। মৈনট যেতে চাইলে কোকিল প্যেয়ারী স্কুলের সামনে থেকে কিছু বাস যায়। উঠে ২৫ টাকা ভাড়া দিয়ে মৈনট ঘাট চলে যাবেন।.

⏩ দপুরের খাবারের জন্য নবাবগঞ্জ বাজারে আসতে হবে। এখানে ২/১টা হোটেল রয়েছে। আর যদি মৈনট যাওয়ার প্ল্যান থাকে তবে দুপুরের খাবারটা ভাজা ইলিশ দিয়ে মৈনটে পেয়ে যাবেন।

⏩ জর্জ বাড়িতে ঢুকতে পারমিশনের প্রয়োজন হয় মাঝে মাঝে। তাই কর্তব্যরত গার্ডকে নিজের পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করবেন।

Rangamati Tour

Day Tour

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর রাঙ্গামাটির উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম, দক্ষিণে বান্দরবান, পূর্বে মিজোরাম ও পশ্চিমে চট্রগ্রাম ও খাগড়াছড়ি। এ জেলা আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ জেলা। দেশের এক মাত্র রিক্সা বিহীন শহর, হ্রদ পরিবেষ্টিত পর্যটন শহর এলাকা। এ জেলায় চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, মুরং, বোম, খুমি, খেয়াং, চাক্, পাংখোয়া, লুসাই, সুজেসাওতাল, রাখাইন সর্বোপরি বাঙ্গালীসহ ১৪টি জনগোষ্ঠি বসবাস করে।

⏩Tour Spot⏪

১. ঝুলন্ত ব্রীজ

২. পলওয়েল পার্ক

৩. পেদা টিং টিং

৪. চাং পাং

৫. বৌদ্ধ মন্দির বা মূর্তি

৬. জুম পাহাড়

৭. শুভলং-১

৮. শুভলং-২

৯. রাজবন বিহার

১০. চাকমা রাজার বাড়ি

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

রাঙ্গামাটি ভ্রমনের জন্য প্রথমে আপনাকে ঢাকা থেকে যেতে হবে রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার। ঢাকা হতে হানিফ, ইউনিক, শ্যামলী, সেইন্টমার্টিন হুন্দাই, এস আলম ইত্যাদি বাস যায়। রিজার্ভ বাজার নেমে ঘন্টাপ্রতি হিসাবে হোটেল ঠিক করে ফ্রেশ হয়ে নিন। সকাল ৯-১০টার মধ্যে চলে যান রিজার্ভ বাজার ঘাটে। রিজার্ভ বাজার হতে ৩-৪মিনিট হাটলেই ঘাট। ঘাটে ভালমত দামাদামি করে একটা ট্রলার রিজার্ভ করুন সারাদিনের জন্য। ট্রলারের চালককে উক্ত স্পটগুলো সব ঘুরিয়ে নেওয়ার জন্য বলবেন যাতে এগুলোর একটাও বাদ না যায়। এরপর সারাদিন প্রকৃতির অপরূপ লীলাখেলা দেখতে দেখতে ভ্রমন করুন রাঙ্গামাটি। এখানে একসাথে দেখতে পারবেন পাহাড়,লেক,টিলা,ঝর্না ও অরন্যের সংমিশ্রন। সারাদিন ঘুরে বিকাল ৪-৫টার মধ্যে ফিরে আসুন আবার রিভার্ভ বাজার। সেখান থেকে সিএনজি করে জনপ্রতি ২০৳ করে সরাসরি চলে যান আদিবাসীদের বিখ্যাত বনরূপা বাজার। এখানে নানা নতুন শাকসবজি ও অদিবাসীদের খাদ্যাভাস সম্পর্কে জানতে পারবেন। পরে আবার ফিরে আসুন রিজার্ভ বাজার সেখানে রাতের খাবার খেয়ে, রাত ৮-৮ঃ৩০মি এমন সময়ের বাসে ফিরে আসুন ঢাকা।

⏩খরচপএ⏪

১. ঢাকা - রাঙ্গামাটিঃ ৬২০৳ (ননএসি) / ১৪০০৳ (এসি)

২. রাঙ্গামাটিতে হোটেল ফ্রেশঃ ২০০-২৫০৳ (৩-৪ঘন্টা)

৩. ট্রলার রিজার্ভঃ ১৫০০-১৭০০৳

৪. দুপুরের খাবারঃ ৫০০-৫৫০৳ (২জন)

৫. রিজার্ভ বাজার - বনরূপা বাজার (সিএনজি) : ২০৳ (জনপ্রতি)

৬. রাতের খাবারঃ ৩০০-৪০০৳(২জন)

৪. ঝুলন্ত ব্রীজ টিকেটঃ ৩০৳(বোট ফি সহ জনপ্রতি)

৫. পলওয়েল পার্ক টিকেটঃ ৩০৳ (জনপ্রতি)

৬. শুভলং টিকেটঃ ১৫৳ (জনপ্রতি)

🔴নোট টু ফলো🔴

⏩ বাসে রওনা দেওয়ার জন্য রাত্রি ১০-১১টার যেকোন বাসে রওনা দিলে একদম ভোরে(৬-৬ঃ৩০টা) পৌছে যাবেন। রাঙ্গামাটি থেকে মেক্সিমাম বাস ছাড়ার শেষ সময় রাত ৮ঃ৩০মিঃ। তাই ডেট্যুরের জন্য সকালেই বাসের ফিরতি টিকেট কেটে নেওয়া ভাল।

⏩ রিজার্ভ বাজারে কিছু হোটেল রয়েছে যেখানে ঘন্টা হিসাবে রুম ভাড়া নেওয়া যায়। দামাদামি করে ভোরের দিকে একটা রুম নিতে পারেন ৩-৪ঘন্টা ফ্রেশ হওয়ার জন্য।

⏩ এখানে ট্রলার ভাড়া নিয়ে নানা সিন্ডিকেট রয়েছে যারা আপনাকে কিভাবে ঠকাবে আপনি বুঝতেই পারবেননা। কেউ ভাড়া অতিরিক্ত চাবে তো কেউ কৌশলে সব জায়গা দেখাবেনা। তাই ট্রলার ঠিক করার আগেই দামাদামি করে এবং কতগুলো স্পট ঘুরবেন তা ক্লিয়ার করে নিয়ে তারপর যাএা শুরু করবেন।

⏩ দপুরের খাবারের জন্য চাংপাং, জুমঘর, পেদা টিং টিং ইত্যাদি রয়েছে। তবে খাবারের মান নিয়ে কথা বললে জুমঘরের মান আমার কাছে ভাল লেগেছে। এগুলোতে খাবার আগে অর্ডার করে যেতে হয় তবে চাইলে কিছুহ্মন বসে থেকে একবারে খাবারও খেতে পারবেন তবে আমার সাজেশন অর্ডার করে বাকি স্পট ঘুরে ফেরার পথে খেয়ে যাওয়া আর খাবার খেতে ভালভাবে দাম বুঝে অর্ডার করবেন।

⏩ যারা গোসল করতে চান তারা শুভলং-২ এ পানি পাবেন এখন এবং আমার মতে রাঙ্গামাটির আসল সৌন্দর্য আগষ্ট-অক্টোবরের মধ্যে পাওয়া যাবে।

⏩ এখানকার মানুষ যথেষ্ট শান্তিপ্রিয় ও সহজ-সরল তাই লোকালদের সমস্যা হয় এমন কোন কাজ করবেননা এবং কোন ঝামেলায় জড়াবেননা।

⏩ অবশ্যই মাস্ক ও প্রয়োজনীয় সুরহ্মা সামগ্রী নিয়ে ঘুরতে আসবেন।

⏩ কেউ চাইলে রাঙ্গামটিতে একদিন স্টে করে পরেরদিন কাপ্তাইও ভ্রমন করতে পারবেন। এ হ্মেত্রে আপনাকে সিএনজি রিজার্ভ করে নিতে হবে সারাদিন কাপ্তাইয়ে ঘোরার জন্য। সিএনজি রিজার্ভ কমবেশী ১২০০-১৩০০৳ এর মধ্যে এবং চাইলে জুম রেস্তোরাঁর পাশে কায়াকিং ক্লাবে কায়াকিং করতে পারবেন ৩০০৳।

Bandarban Tour

Day Tour

বান্দরবান বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অন্তর্ভুক্ত সবচেয়ে কম জনবসতিসম্পন্ন এলাকা। চারিদিকে পাহাড়, তার দুপাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ ও সবুজের গহীন দিগন্তে ছুটে চলার নাম বান্দরবান। কি নেই এখানে? তাই একা মন ছুটছিল বান্দরবানের দিকে তবে আমরা ছিলাম মাত্র ২ জন। তাই এবার টার্গেট নিলাম শুধু বান্দরবানের অভ্যন্তরীন কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখব। যেমন ভাবা তেমন বেড়িয়ে পড়া তবে আজকে বলব কিভাবে অল্প মানুষ হলেও ডেট্যুরে বান্দরবান থেকে কম খরচে এইগুলো জায়গা ঘুরে আসা যায়।

⏩Tour Spot⏪

১. নীলগিরি

২. চিম্বুক

৩. শৈলপ্রপাত

৪. মেঘলা

৫. নীলাচল

৬. স্বর্ন মন্দির

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

ভ্রমনের জন্য প্রথমে ঢাকা থেকে হানিফ, শ্যামলী, ইউনিক ইত্যাদিতে করে সরাসরি বান্দরবান। ভোরে নেমেই সকালের নাস্তাটা হোটেল হিল ভিউয়ে সেড়ে নেই ও হোটেলে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হয়ে নেই। নাস্তা শেষে কিছুহ্মন রেস্ট করে একটু হেটে সামনেই ধনুষ চত্তরে যাই যেখানে চাদের গাড়ি রিজার্ভ কাউন্টার রয়েছে। আমরা মাত্র ২ জন হওয়ায় একটু অপেক্ষা করতে থাকি অন্য কোন গ্রুপের। কিছুহ্মন পর একটা ভালো গ্রুপ পেয়ে যাই এবং সব মিলে ১০জন হয়ে একটি চাদের গাড়ি রিজার্ভ করি সারাদিনের জন্য ৪০০০টাকায়, তবে কথা ছিল পার্কিং চার্জ ও খাওয়াদাওয়া ড্রাইভারের খরচ। এরপর যাত্রা শুরু হয় সকাল ৭ঃ৩০মি। পাহাড়ি আঁকাবাকা রাস্তা ও মেঘের খেলা দেখতে দেখতে প্রথমে যাই নীলগিরিতে। এরপরে সেখান থেকে ফেরার সময় একই পথে চিম্বুক ও শৈলপ্রপাত দেখে যাই বান্দরবান শহরে দুপুরের খাবার খেতে। তাজিংডং হোটেলে দুপুরের খাবার শেষে যাই মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে। এরপর সেখান থেকে যাই নীলাচল। বিকালটা নীলাচলে মেঘ দেখতে দেখতে কাটিয়ে ৫ঃ৩০টা নাগাদ ফিরে আসি আবার ধনুষ চত্তর। স্বর্নমন্দির বন্ধ থাকায় আর সেখানে যাওয়া হয়নি।

⏩খরচপত্র⏪

১. ঢাকা - বান্দরবানঃ ৬২০৳(ননএসি) / ১৪০০৳(এসি)

২. সকালের নাস্তাঃ ১২০৳(২জন)

৩. চাদের গাড়ি রিজার্ভঃ (৪০০০÷১০) = ৪০০৳ প্রতিজন

৪. দুপুরের খাবারঃ ১৬০-২০০৳

৫. টিকেট হিসাবঃ

নীলগিরিঃ ৬৫৳ । চিম্বুক টিকেটঃ ২০৳ ।

মেঘলাঃ ৪০৳ । নীলাচলঃ ৫০৳

৬. রাতের খাবারঃ ২০০-২৫০৳

৭. অন্যান্যঃ ২০০৳

৮. নীলগিরি পার্কিং চার্জঃ ৩০০৳ (ড্রাইভারের খরচ)

বান্দরবানে আমাদের জনপ্রতি খরচ হয়েছে ২৫০০৳ সব মিলিয়ে।

🔴নোট টু ফলো🔴

⏩ যারা আমাদের মত কম মানুষ বা কাপল তারা বান্দরবান নেমে ধনুষ চত্তর বা হিল ভিউয়ের সামনে কিছুহ্মন অপেক্ষা করলেই আপনার মত আরও মানুষ পেয়ে যাবেন। তবে যদি কোন চালক আপনাদের এসে জিজ্ঞাসা করে তারা লোক খুজে নিয়ে আসবে তার বদলে ১৫০০/২০০০ টাকা দিতে সারাদিনের জন্য তবে একদম রাজি হবেননা। শুধু একটু ধৈর্য ধরুণ তাহলেই মানুষ পেয়ে যাবেন। কেননা মানুষ যত বেশি হবে খরচ তত কমে যাবে।

⏩ বান্দরবানে সকল চাদের গাড়ির রেইট আগের থেকেই ফিক্স করা ও প্যাকেজ সিস্টেম তবে চালকদের সাথে আগেই কোন কোন জায়গা ঘুরবেন এবং কখন ফিরবেন তা ঠিক করে নিবেন। কথা ক্লিয়ার করে না নিলে ঠকে যাবেন।

⏩ দপুরের খাবার বান্দরবান শহরে করে নিবেন শহরে বেশ ভালো মানের কয়কটি হোটেল রয়েছে তার মধ্য তাজিংডং, জামান হোটেল, আমিরাবাদ ইত্যাদি ভাল।

⏩ যারা মেঘের ভালো ভিউ দেখতে চান তারা একদম সকাল সকাল চলে যাবেন নীলগিরি।

⏩ ওয়াই জংশন আর্মি চেকপোস্টে সবার আইডি চেইক করা হয় তাই NID/BC সাথে রাখবেন।

⏩ বান্দরবান বাংলাদেশ আর্মি দ্বারা সুরহ্মিত একটি এলাকা তাই সেইফটি নিয়ে বেশি চিন্তিত হওয়ার বিষয় নেই তবে একসাথে গ্রুপ করে গেলে ভাল এবং পাহাড়ি রাস্তায় চালককে ধীর গতিতে চালাতে বলবেন ও এক্সপেরিয়েন্স না থাকলে চাঁদের গাড়ির ছাদে বসবেননা।

Birulia Zamindar Bari

Day Tour

ঢাকার এই ব্যস্তময় জীবনে মন যখন অবসাদ খুজে ও সময় বেশি না থাকায় দুরত্ব মান্য করে তখন ঢাকার একদম নিকটে গ্রামীন পরিবেশে গ্রাম্য-সাধারণ মানুষের মাঝে হারিয়ে যাওয়ার মত একটি জায়গা এই বিরুলিয়া গ্রাম, ব্রীজ এবং এই গ্রামেরই রজনীকান্তের জমিদার বাড়ি।

তাই এবারও যেমন ভাবা তেমন কাজ, বেরিয়ে পড়ি জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্যে। আমার সাথে সঙ্গী বলতে আমার ছায়া ও দোস্ত গুগেল ম্যাপস। তুরাগ নদীর পাড়ে প্রাচীন জনপদ ও ছোট্ট একটি গ্রাম নাম বিরুলিয়া। জমিদার রজনীকান্তের সুদৃশ্য জমিদার বাড়ি ও সঙ্গে প্রায় ১১টি প্রাচীন স্থাপনার জন্য বিরুলিয়া বিখ্যাত।

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

আপনি বাংলাদেশ কিংবা ঢাকার যেকোন প্রান্ত থেকে চলে আসবেন প্রথমে মিরপুর ১ সার্কেলে। সেখান থেকে আলিফ বা মোহনা পরিবহনের বাস যায়। উঠে নামবেন একদম বিরুলিয়া ব্রীজ। নেমে কোন অটো, লেগুনা বা রিক্সা কিছুই নেওয়ার দরকার নেই। নেমেই হাটতে থাকবেন বিরুলিয়া ব্রীজ দিয়ে সোজা সামনে এবং তুরাগ নদী দেখতে দেখতে নির্মল বাতাসে আগাতে থাকবেন। এগোতে দেখবেন ব্রীজের শেষ মাথা থেকে হাতের বাম দিকে একটা ছোট ব্রীজ ও গ্রামীন রাস্তা বয়ে গিয়েছে। ঐ রাস্তাকে অনুসরণ করে হাটতে থাকুন এবং ব্রীজের Side view উপভোগ করুন। হাটতে হাটতে শুরু হবে বিরুলিয়া গ্রাম। গ্রামে ঢুকে যেকোন একজন মানুষকে হাসিমুখে ঠিকানা জিজ্ঞেস করুন। উনি একটা মেঠো পথ দেখিয়ে দিবে এগোতে থাকুন। হাটার সময় দেখবেন একদম গ্রামীন পরিবেশের ছোয়া এমনকি ওখানে কিছু মাটির বাড়িও রয়েছে যা ঢাকা বা আশেপাশের গ্রামে পাওয়া দুষ্কর। এভাবে ৫মিনিট হাটলেই সামনে নজরে পড়বে রজনীকান্তের জমিদার বাড়ি বা বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি। ভাড়ির পেছনেও রয়েছে ছােট নদী তবে তা এখন প্রায় মৃত। দেখা শেষ হলে ঠিক একই উপায়ে চলে আসুন।

⏩খরচ⏪

আসলে খরচ বলতে তেমন কিছুই নাই। তবুও উল্লেখ্য-

মিরপুর ১ থেকে বিরুলিয়া ব্রীজ : ২০টাকা (যাওয়া)

বিরুলিয়া ব্রীজ থেকে মিরপুর ১ : ২০টাকা(অাসা)

খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে ৪০০-৫০০টাকাতে হয়ে যাবে। এছাড়া কেউ রিক্সা বা অটো যোগে যেতে চাইলে যাওয়া যাবে জমিদার বাড়িতে সেহ্মেত্রে ভাড়া মিটিয়ে নিতে হবে।

🔴নোট টু ফলো🔴

⏩দপুরের খাওয়া দাওয়া করতে চাইলে এখানে কিছু নাই তাই বিরুলিয়া বাজারে অটোতে বা রিক্সায় করে চলে যেতে হবে। ওখানে কিছু হোটেল রয়েছে তবে তেমন ভালো মানের না।

⏩জমিদার বাড়িতে এখনো গ্রামের কিছু সর্বসাধারণের বসবাস তাই তাদের অসুবিধা হয় এমন কোন কাজ না করা।

⏩এখানকার মানুষ যথেষ্ট সহজ সরল ও ভালো মনের তাই কোন কারণে তাদের সাথে বাজে ব্যবহার না করা বা ঝামেলায় না জরানো।

⏩আলিফ বা মোহনা বাস মিরপুর ১৪ থেকে ছেড়ে আসে তাই কেউ ১৪,১০,২ নম্বরের হলে আগেই উঠে পড়তে পারবেন বাসে।

Sonargaon Tour

Day Tour

মন ভালোনা! ঘুরতে যেতে মন চায়! সময়,দুরত্ব ও খরচ সবদিকেই খেয়াল রাখতে হয়? তবে দেরি না করে ঢাকার কাছেই অতি অল্প খরচ ও সময়ে ঘুরে আসতে পারেন অতিত বাংলার রাজধানী সোনারগাঁও থেকে।

⏩Tour Spot⏪

১. সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প যাদুঘর

২. পানাম নগর বা পানাম সিটি

৩. গোয়ালদি মসজিদ

⏩সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প যাদুঘর

সোনারগাঁও বাংলার ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল প্রাচীন জনপদ। প্রায় তিনশত বছর সোনারগাঁও প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল। মুঘল সুবেদার ইসলাম খানের সময়ে ১৬০৮ সালে ঢাকায় রাজধানী স্থানান্তরিত হওয়ার পর সোনারগাঁয়ের গুরুত্ব ম্লান হয়ে যায়। তথাপি সোনারগাঁও আমাদেরকে নিয়ে যায় সোনালি অতীতের কাছে। ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে অতীত স্মৃতিকে সামনে রেখেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরামর্শ এবং আর্থিক সাহায্যে ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় গৌরবদীপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন যা সোনারগাঁও জাদুঘর নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী লোক ও কারুশিল্পের সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও পুনরুজ্জীবন করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ সরকার এক প্রজ্ঞাপন বলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে।

প্রবেশ মূল্যঃ ৫০টাকা

সাপ্তাহিক বন্ধঃ বুধবার ও বৃহস্পতিবার

⏩পানাম নগর বা পানাম সিটি

পানাম নগর বা পানাম সিটি (Panam City) বাংলাদেশীদের কাছে “হারানো নগরী” হিসাবে সুপরিচিত। ঢাকার পার্শবর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানায় ঐতিহাসিক পানাম নগর অবস্থিত। ১৫ শতকে ঈশা খাঁ সোনারগাঁয়ে বাংলার প্রথম রাজধানী স্থাপন করেন। সোনারগাঁয়ের প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে উঠে এই নগরী।২০০৬ সালে ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ডের তৈরি বিশ্বের ধ্বংসপ্রায় ১০০ টি ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায় পানাম নগর স্থান পায়। পানাম নগরী চতুর্দিক থেকে পঙ্খীরাজ খাল দিয়ে ঘেরা। পঙ্খীরাজ খাল মেনিখালী নদ নামে মেঘনা নদীতে গিয়ে মিশেছে। পানাম নগরীর পূর্ব দিকে রয়েছে মেঘনা নদী আর পশ্চিম দিকে শীতলক্ষ্যা। এই নদী পথেই মসলিন রপ্তানি হত। পানাম নগরীর প্রবেশ পথে আছে বিশাল গেট, সূর্যাস্থের সাথে সাথে এই গেট বন্ধ করা হত। পানাম নগরীর বিভিন্ন স্থাপনার নির্মাণশৈলীতে রয়েছে ভিন্নতার ছাপ। তৎকালীন ধনীক শ্রেনীর এই নগরীর প্রতিটি দালানে রয়েছে অপূর্ব কারুকার্য ও আভিজাত্য ছোঁয়া। নগরীর বুক চিরে চলে যাওয়া রাস্তার দুই পাশে রয়েছে প্রায় ৫২ টি ভবন। মূল রাস্তার উত্তর দিকে ৩১ টি এবং দক্ষিণ দিকে ২১ ভবন আছে। এই ভবন গুলো কোনটি এক তলা, কোনটি আবার দুই বা তিন তলা বিশিষ্ট।

প্রবেশ মূল্যঃ ১৫টাকা

সাপ্তাহিক বন্ধঃ এটি সর্বসাধারনের জন্য প্রতিদিন খোলা

⏩গোয়ালদি মসজিদ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন গোয়ালদি মসজিদ। পৌরসভার গোয়ালদি গ্রামে স্বাধীন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহর আমলে নির্মিত মসজিদটি পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৫১৯ সালে মোল্লা হিজাবর আকবর খান এ মসজিদ নির্মাণ করেন। সে অনুযায়ী এটি আলাউদ্দিন হোসেন শাহর (১৪৯৪-১৫১৯) রাজত্বকালে নির্মিত। আলাউদ্দিন হোসেন শাহর আমলে বাংলার শিক্ষা, শিল্প ও সাহিত্য উৎকর্ষ লাভ করেছিল। সোনারগাঁয়ে হোসেন শাহর রাজত্বকালের যেসব শিলালিপি পাওয়া যায়, তার মধ্যে এ মসজিদ-সংলগ্ন শিলালিপি অন্যতম। ভারতের গৌড়, পান্ডুয়া ও বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের ইমারতের মতো এ মসজিদের ভেতর ও বাইরের দেয়ালে পাথর এবং ইটের ওপর আরব্য অলংকরণ লক্ষ করা যায়। এক গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদের চার কোনায় চারটি টাওয়ার রয়েছে। টাওয়ারগুলো সুলতানি রীতিতে তৈরি। মসজিদটির দেয়ালগুলো ১ দশমিক ৬১ মিটার প্রশস্ত। মসজিদে প্রবেশের জন্য পাঁচটি খিলান পথ রয়েছে। প্রধান প্রবেশপথ বরাবর মূল মেহরাবটি অবস্থিত। এটি কালো পাথরের তৈরি। অন্য দুটি মেহরাব ইটের তৈরি।

প্রবেশ মূল্যঃ ফ্রী

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

ঢাকার যেকোন জায়গা থেকে গুলিস্থানের মওলানা ভাষানী স্টেডিয়ান গেইট। পরে গুলিস্থান থেকে মেঘনাগামী যেকোন বাস যেমনঃ স্বদেশ, দোয়েল ও বোরাক ইত্যাদি বাসে করে মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডের একটু আগে সোনারগাঁও যাদুঘর মোড়ে নামতে হবে। নেমে রিক্সাযোগে সরাসরি সোনারগাঁও যাদুঘর। যাদুঘর দেখা শেষ হলে রিক্সা বা পায়ে হেটে পানাম নগর। পরে পানাম নগর থেকে রিক্সা করে গোয়ালদি মসজিদ। এটা দেখা শেষ করে সরাসরি মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ড। বাসস্ট্যান্ড থেকে আবার সরাসরি গুলিস্থান।

⏩খরচ⏪

১. গুলিস্থান - মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডঃ ৪০-৪৫টাকা

যাওয়া+আসাঃ ৪৫+৪৫=৯০৳

২. মোগরাপাড়া - সোনারগাঁও যাদুঘরঃ ৩০টাকা(রিক্সা)

৩. যাদুঘর - পানাম নগরঃ ১৫টাকা(রিক্সা)

৪. পানাম নগর - গোয়ালদি মসজিদঃ ১৫-২০টাকা (রিক্সা)

৫. গোয়ালদি মসজিদ - মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডঃ ৪০টাকা

সবমিলিয়ে ৫০০টাকায় ভালোমত হয়ে যাবে সবকিছু। আর বাজেট ট্রাভেলার হলে ৩০০তেই সম্ভব।

🔴নোট টু ফলো🔴

⏩ গলিস্থান থেকে বাসে উঠলে স্বদেশ ও দোয়েল ডায়রেক্ট সার্ভিস এবং বাসটি দ্রুত যায়। সময় বেশি লাগবেনা।

⏩ আগে বোরাকের এসি সার্ভিস ছিল যা বর্তমানে বন্ধ। তবে বোরাকের লোকাল বাসগুলা যাতায়াত করে সরাসরি মোগরাপাড়া পর্যন্ত। এটি যাএাবাড়ি পর্যন্ত যায়।

⏩ যাদুঘর কিংবা পানাম সিটির আশেপাশে খাবার দোকান রয়েছে তবে তা তেমন ভালমানের নয়। তাই খেতে চাইলে মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ড ভাল হবে।

⏩ এখানে যাতায়াতের জন্য রিক্সা ও অটো দুই পাওয়া যায় তবে ভালভাবে দামাদামি করে উঠতে হবে।

Puran Dhaka Tour

Day Tour

পুরনো ঢাকা বা পুরান ঢাকা ঢাকা মহানগরীর আদি অঞ্চলটিকে বলা হয়। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাধারণ বাঙালী সংস্কৃতি থেকে এখানকার সংস্কৃতি অনেকটাই ভিন্নতর। পুরান ঢাকা পূর্ব-পশ্চিমে সূত্রাপুর মিল ব্যারাক থেকে হাজারীবাগ ট্যানারি মোড় পর্যন্ত এবং দক্ষিণে ঢাকা সদর ঘাট থেকে নবাবপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। ইতিহাস পর্যবেক্ষণে জানা যায়, পুরান ঢাকা একসময় অত্যন্ত সুপরিকল্পিত, সুন্দর ও ছিমছাম একটি শহর ছিলো। কিন্তু মুঘল শাসকদের পতনের পর থেকে পুরান ঢাকার ভাগ্যে বিপর্যয় নেমে আসে।

তবুও পুরান ঢাকা বহন করে বেরাচ্ছে সেই সময়ের ঐতিহ্যে। নানা স্থাপনা ও ভিন্নধর্মী সুস্বাদু খাবারে সমৃদ্ধ এই পুরান ঢাকা। তাই প্ল্যান করা এই পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটা জায়গা একবারে কমপ্লিট করব তাও আবার পায়ে হেঁটে। যেমন ভাবা তেমন কাজ, বের হয়ে পড়লাম পুরান ঢাকার উদ্দেশ্যে। আর আকর্ষন ছিল কোন জায়গা ভালমত চেনাজানা ছাড়াই নিজের ট্যুরকে গুগল ম্যাপস এরকাছে বিসর্জন দেওয়া এবং এটাকেই ছোটখাটো এডভেন্চার হিসাবে নেওয়া। " এক্সপ্লোরেশন শুরু লালবাগ কেল্লা থেকে এবং শেষ লালবাগের মদিনা মিষ্টান্ন ভান্ডারের জাফরান ভোগ খাওয়ার মাধ্যমে"

⏩Tour Spot⏪

১. লালবাগ কেল্লা

২. বড় ও ছোট কাটরা

৩. আর্মেনিয়াম চার্চ

৪. তারা মসজিদ

৫. অহসান মনজিল

৬. রূপলাল হাউস

৭. লালাকুঠি

৮. বিউটি বোর্ডিং

৯. বুড়িগঙ্গা

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

যখন দোস্ত গুগেল ম্যাপস সাথে রয়েছে তখন আর কি লাগে?

খরচঃ

এটা না বল্লেও চলে তবে খাওয়া-দাওয়া ও সব মিলিয়ে ৪৫০-৫০০ টাকায় সবগুলো স্পট অনায়াসে কভার করা সম্ভব। বাজেট ট্রাভেলার হলে ৩০০টাকাতেই যথেষ্ট।

🔊মন্তব্য🔊

মূল কথা হল এই ট্যুরে আমার টোটাল হাটতে হয়েছে ১৫-১৮কিমি এর মত। প্রতিটি জায়গাগুলো মোটামুটি কাছাকাছি তবে যে জ্যাম এতে হেটে দেখাই ভাল। তাই যারা এমন ট্যুর দিতে চান তাদের যথেষ্ট ধৈর্য নিয়ে হাঁটার পরিকল্পনা নিয়ে আসতে হবে। বলতে পারি এটাও একটা স্মরনীয় দিন হয়ে থাকবে। দুপুরের খাবারের জন্য ঐতিহ্যবাহী বিউটি বোর্ডিং তো রয়েছেই লিস্টে এছাড়া বিকালের নাস্তাটা মদিনা মিষ্টান্ন ভান্ডারে করে নেওয়া যাবে। এখানে রয়েছে হরেক রকমের সুস্বাদু মিষ্টি। যার মধ্য জাফরান ভােগ, সরমালাই, মালাইচপ ইত্যাদি বিখ্যাত।

Chapainawabganj Tour

Day Tour

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বা ইতোপূর্বে এই এলাকা নাম ছিল ‘নবাবগঞ্জ’। এই এলাকাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন অঞ্চল বলে মনে করার কারণ হচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলেই সবচেয়ে প্রাচীন পুরাকীর্তি ও প্রত্নবস্ত্তর সন্ধান পাওয়া গেছে। আর বরেন্দ্রভূমির ইতিহাসের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের ইতিহাস জড়িত। কি নেই এখানে? যেমন রয়েছে প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন সম্বলিত নানা স্থাপনা, প্রাচীন শাহী আমলের নানা মসজিদ, মন জুড়িয়ে যাওয়া সারি সারি আমবাগান যা গুনে শেষ করা সম্ভব নয় এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এক সংমিশ্রণ এছাড়া এখানকার ঐতিহ্যেবাহী কালায় রুটি বাদ যায় কিভাবে!?

⏩Tour স্পট⏪

১. ছোট সোনা মসজিদ

২. তাহখানা ও তিনগম্বুজ মসজিদ

৩. বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন খানা জাহাঙ্গীর সমাধি

৪. দারাসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা

৪. খানিয়া দীঘি মসজিদ

৫. সোনা মসজিদ স্থলবন্দর

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

প্রথমে বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে যেতে হবে উওরের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে। ঢাকা - কানসাটের সরাসরি কিছু বাস রয়েছে যেমনঃ দেশ ট্রাভেলস, গ্রামীন, ন্যাশনাল, নিউ বিপ্লব ইত্যাদি এবং নামতে হবে কানসাট বাজার। নেমে সকালের নাস্তা শেষ করে লোকাল অটোতে জনপ্রতি বা চাইলে রিজার্ভ নিয়ে সরাসরি ছোট সোনা মসজিদ। এই যাত্রাপথে নজরে পড়বে সারি সারি আমগাছের বাগান এবং এত এত আমবাগান যা দেখে ও গুনে শেষ করার মত নয়,দুচোখ যেদিকে যাবে শুধুই আমবাগানের সারি। সোনা মসজিদ পৌছে এটি দেখা শেষ করে পাশেই বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সমাধি ও মুঘোল কিছু সমাধি স্তম্ভ দেখা শেষ করে একটি লোকাল ভ্যান ভাড়া করে নিন ও সবগুলো জায়গার নাম ভালভাবে বলে নিন যাতে কোনটা বাদ না যায়। এরপর দেখতে থাকুন আপন মনে ও প্রকৃতির মাঝে একদম মিশে যান। সবার প্রথমে সরাসরি স্থলবন্দের কিছুসময় কাটিয়ে খানিয়াদিঘী মসজিদ,দারাসবাড়ি মসজিদ+মাদ্রাসা,তাহখানা দেখা শেষ করে সোনামসজিদের সামনে থেকে আবার লোকাল অটোতে করে কানসাট বাজার চলে আসুন বিকাল ৩/৪টার মধ্যে এবং এখানে দুপুরের খাবার খেয়ে নিন। খেয়ে লোকাল সিএনজি করে চলে আসুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শান্তিমোড়। নেমে নবাবগঞ্জ শহর ঘুরে ফিরে রাতের বাসে রওনা দিন ঢাকার উদ্দেশ্যে। চাইলে এখান থেকে সরাসরি রাজশাহীও চলে যেতে পারেন এহ্মেত্রে বিশ্বরোড আসলে প্রতি ১০মিনিট অন্তর অন্তর রাজশাহীর উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায় এবং বাসগুলো গেইটলক সার্ভিস।

⏩খরচপত্র⏪

১. ঢাকা - কানসাটঃ ৬০০৳ (বাস)

২. কানসাট - ছোট সোনামসজিদঃ ১৫৳ (অটো)

৩. ব্যাটারিচালিত ভ্যান রিজার্ভঃ ১৫০-২০০৳

৪. কানসাট - চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫০৳ (সিএনজি)

৫. চাঁপাইনবাবগঞ্জ - রাজশাহীঃ ৭০৳ (বাস)

৬. দুপুরের খাওয়াঃ ২০০-২৫০৳

🔴নোট টু ফলো🔴

১. এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা খুবই স্বাভাবিক ও সহজ সরল তাই তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করুন।

২. এখানকার কিছু স্পট যেগুলো এখনো মসজিদ হিসাবে ব্যবহৃত হয় ও মুসল্লিরা নামায পড়ে, এইসব স্পটগুলোতে অহেতুক হইহুল্লো করা হতে বিরত থাকুন ও শালীনভাবে পরিদর্শন করুন।

৩. শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ নয় চাইলে পাশাপাশি জেলা রাজশাহী,নওগা,বগুড়া,পাবনা,নাটোর ইত্যাদি ঘুরতে পারেন সঠিক ট্যুরপ্ল্যান নিয়ে।

৪. বিকালের সময়টা চাঁপাই শহরে মহানন্দা ব্রীজ ও বিখ্যাত কালাই রুটি আর হাঁসের মাংস দিয়ে রাতের খাবার খেতে পারেন।

৫. দুপুরের খাবারের জন্য কানসাট বাজার ভাল হবে কেননা এখানে ভালো মানের কিছু হোটেল রয়েছে।

৬. ভ্যান ঠিক করার সময় ভালোভাবে দামাদামি করে আর জায়গাগুলোর নামগুলো ভালভাবে বলে ঠিক করুন।

Chittagong Tour

Day Tour

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার অন্তর্গত একটি স্থান কুমিরা। চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৪০কিঃমি দূরে অবস্থিত ছোট্ট একটি অঞ্চল এটি। এই কুমিরাতে অবস্থিত রয়েছে কুমিরা ঘাট বা কুমিরা ব্রীজ। প্রায় ১কিঃমি বিসৃত একটি ইট-সিমেন্টের রাস্তাই এই ব্রীজ। মূলত এটি কুমিরা-সন্দীপ ফেরীঘাট নামে সবার কাছে পরিচিত৷ চট্টগ্রামের এই রুটটি মূলত সন্দীপের সংযোগ স্থল। ব্রীজের পথ ধরে কিছুহ্মন হাটতে হাটতে এগোলে মনে হবে চরিদিকে শুধু অথৈজল বেষ্টিত পানি আর পানি। এ যেন এক অন্যরকম আনন্দ।

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

মূলত কুমিরা অনেক ভাবেই আসা যায়। আমি একদম সরাসরি কুমিরা আসার সম্ভাব্য দুটো রুট বলে দেইঃ

#(ঢাকা - কুমিরা ব্রীজ) : আপনাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোন বাসে করে সরাসরি বাশবাড়িয়া বাজার নামতে হবে। নেমে বাশবাড়িয়া বাজার থেকে মিনি অটো, লেগুনা বা সিএনজিতে করে আসতে হবে বড় কুমিরা। বড় কুমিরা নেমে রিক্সা করে ১০মি. এর ব্যবধানে সরাসরি কুমিরা ব্রীজ।

#(চট্টগ্রাম - কুমিরা ব্রীজ) : চট্টগ্রাম থেকে আসতে চাইলে প্রথমে অলংকার মোড় বা একে খান মোড় থেকে কিছু বাস যায় যেমনঃ সেইফ লাইন সরাসরি কুমিরার উদ্দেশ্যে। সময় লাগবে ৪০-৪৫মি. ও নামতে হবে ঘাটঘর রোড মোড়ে। নেমে রিক্সা করে সরাসরি কুমিরা ঘাট।

⏩খরচপএ⏪

ঢাকা - কুমিরা ব্রীজঃ

১. ঢাকা - বাশবাড়িয়া বাজারঃ ৪৫০-৪৮০৳

২. বাশবাড়িয়া বাজার - বড় কুমিরাঃ ১৫৳

৩. বড় কুমিরা - কুমিরা ব্রীজঃ ৩৫-৪০৳

চট্টগ্রাম - কুমিরা ব্রীজঃ

১. অলংকার বা একে খান - ঘাটঘর মোড়ঃ ৩০-৩৫৳

২. ঘাটঘর মোড় - কুমিরা ঘাটঃ ২০৳

🔴নোট টু ফলো🔴

⏩ মলত যারা এখানে আসবেন তারা চাইলে নতুন ট্যুর প্ল্যান নিয়ে আসতে পারেন যেমনঃ প্রথমে মহামায়া-গুলিয়াখালী-কুমিরা ব্রীজ। এভাবে আসলে সময় সঠিকভাবে ম্যানেজ করা সম্ভব হবে। এছাড়া কুমিরা ব্রীজ বিকালে গেলে দেখতে আরও ভালো লাগবে।

⏩ যারা ফেরত যাবেন সরাসরি কুমিরা থেকে তাদের সীতাকুণ্ড চলে আসতে হবে একই উপায়ে এসে বাস ও ট্রেন দুই পাওয়া যাবে। আবার চাইলে সরাসরি চট্টগ্রাম সদর থেকেও ঢাকায় রওনা দিতে পারেন।

⏩ কেউ সন্দীপ যেতে চাইলে ঘাটে থাকা স্প্রীডবোর্টে করে জনপ্রতি ২০০-২৫০টাকায় সন্দীপ যেতে পারবেন।

⏩ এখানে খাবার মত মোটামোটি কয়েকটা হোটেল রয়েছে এর জন্য আপনি বড় কুমিরা এসে খাওয়া দাওয়া করে নিতে পারেন কিংবা চট্টগ্রাম গিয়ে কুটুম বাড়িতে জম্পেস খাবার খেতে পারেন।

⏩কেউ এখানে রাতে থাকতে চাইলে বড়কুমিরাতে কিছু

সংখ্যক হোটেল রয়েছে তবে আমার মতে থাকার জন্য সীতাকুণ্ড ভাল হবে।

Manikganj Tour

Day Tour

✔️বালিয়াটি জমিদার বাড়িঃ

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে আনুমানিক আট কিলোমিটার পশ্চিমে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের ১৯ শতকে নির্মিত অন্যতম প্রাসাদ। এই প্রাসাদ চত্বরটি প্রায় ১৬,৫৫৪ বর্গমিটার জমির উপর ছড়িয়ে থাকা ৭টি দক্ষিণমুখী দালানের সমাবেশ।। বালিয়াটি জমিদার বাড়ির সবগুলো ভবন একসাথে স্থাপিত হয় নি। এই প্রাসাদের অন্তর্গত বিভিন্ন ভবন জমিদার পরিবারের বিভিন্ন উত্তরাধিকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে স্থাপিত হয়েছিল।

✔️পাকুটিয়া জমিদার বাড়িঃ

পাকিস্তান আমলের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তৎকালীন ব্রিটিশ রাজাধানী কলকাতার সাথে মেইল স্টিমারসহ মাল এবং যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিস চালু ছিল। একপর্যায়ে নাগরপুরের সাথে কলকাতার একটি বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে পশ্চিম বঙ্গ কলকাতা থেকে আসেন রামকৃষ্ণ সাহা মন্ডল ।ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে তিনি পাকুটিয়ায় জমিদারী শুরু করেন। প্রায় ১৫ একর এলাকা জুড়ে একই নকশার পর পর তিনটি প্যালেস বা অট্টালিকা নির্মাণ করা হয় (১৯১৫)। তখন জমিদার বাড়িটি তিন মহলা বা তিন তরফ নামে পরিচিত ছিল।

✔️তেওতা জমিদার বাড়িঃ

সতেরশ' শতকে তেওতা গ্রামে অবস্থিত এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি নির্মাণ করেছিলেন পঞ্চানন সেন নামক একজন জমিদার। জনশ্রুতি অনুসারে, পঞ্চানন সেন এক সময় খুবই দরিদ্র ছিলেন ও দিনাজপুর অঞ্চলে তিনি তামাক উৎপাদন করে প্রচুর ধনসম্পত্তির মালিক হওয়ার পর এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তিতে এখানে জমিদারি প্রতিষ্ঠিত করে জয়শংকর ও হেমশংকর নাম দুজন ব্যক্তি। ভারত বিভক্তির পর তারা দুজনেই ভারত চলে গেলে বাড়িটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।

⏩Tour স্পট⏪

১. বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

২. পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

৩. তেওতা জমিদার বাড়ি

৪. নবরত্ন মঠ

৫. প্রমিলা দেবীর বাড়ি

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

ঢাকা থেকে বাসে বালিয়াটি আসতে হলে প্রথমে গাবতলী থেকে সরাসরি সাটুরিয়াগামী (এস বি লিংক) বাসে করে প্রকৃতি দেখতে দেখতে চলে আসুন সাটুরিয়া বাজার। বাজারে নেমে সেখান থেকে অটো বা ভ্যানে করে চলে যান বালিয়াটি জমিদার বাড়ি। ৭টি স্থাপনা ও জমিদার বাড়ি দেখা শেষ করে অটোতে করে চলে যান পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি। জমিদার বাড়িটি দেখে আবার ফিরে আসুন সাটুরিয়া বাজার। সেখান থেকে সিএনজি বা লোকাল বাসে যেতে হবে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে। বাসস্ট্যান্ড নেমে ওভার ব্রীজ ক্রস করে আরিচাগামী যেকোন বাসে করে চলে যান আরিচা ঘাট। ঘাট থেকে রিক্সা নিয়ে চলে আসুন তেওতা জমিদার বাড়ি। পথে পড়বে একদম গ্রামীন পরিবেশের আনাগোনা ও বিশালাকার সরিষা ক্ষেত। তেওতা ভ্রমন শেষ করে ফিরে আসুন আরিচা ঘাট। সেখান থেকে যেকোন বাসে আবার ঢাকা।

⏩খরচপএ⏪

১. গাবতলী - সাটুরিয়া বাজারঃ ৭৫-৮০৳ (বাস)

২. সাটুরিয়া বাজার - বালিয়াটি জমিদার বাড়ি জনপ্রতিঃ ১০৳ (ভ্যান বা অটো)

৩. বালিয়াটি - পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি জনপ্রতিঃ ২৫-৩০৳ (অটো)

৩. সাটুরিয়া - মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড জনপ্রতিঃ ৪০৳(সিএনজি)

৪. বাসস্ট্যান্ড - আরিচাঃ ২৫৳(বাস)

৫. আরিচা - তেওতা জমিদার বাড়িঃ ৩০৳ (রিক্সা)

৬. আরিচা - ঢাকা (গাবতলী) : ৭০-৮০৳ (বাস)

৭. দুপুরের খাবারঃ ১০০-১৫০৳

সব মিলিয়ে ৫০০৳ দিয়ে খুব সুন্দরভাবে ঘুরে আসতে পারবেন।

🔴নোট টু ফলো🔴

⏩ ভরমনে ভদ্রতা বজায় রাখি ও লোকালদের সম্মান করি এবং অহেতুক কোন ঝামেলাতে না জড়াই।

⏩ তেওতা জমিদার বাড়িটি একদম ধ্বংসাত্মক অবস্থা তাই প্রশাসন ও প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষন করি বাড়িটি সংস্কারের জন্য।

⏩ আরিচা ঘাট থেকে ঢাকা ফেরার সরাসরি ভাল বাস না পেলে ১০৳ অটো করে উথিলা মোড়ে আসলে নীলাচল, সেলফি পরিবহনের বাস রয়েছে।

⏩তেওতা পৌছানের পর জমিদার বাড়ির পাশেই নবরত্ন মঠ ও প্রমিলা দেবীর বাড়ি রয়েছে। তেওতা জমিদার বাড়ি কিছুটা গ্রামের ভিতরে হওয়ায় বিকালের মধ্যে ফিরে আসাটাই উওম।

South Town Jame Masjid Tour

Day Tour

ফ্রী ছিলাম, মনটাও ছিল বিষন্ন। সময়ও বেশি ছিলনা। তবে ঘুরতে বড্ড মন চাচ্ছিল। ঢাকার আশেপাশে ডেট্যুর দেওয়ার কথা ভাবতেই মনে পড়ল কেরানীগঞ্জের "সাউথ টাউন জামে মসজিদের" কথা। ঢাকার এত নিকটে থাকা সত্বেও কোনদিন যাওয়া হয়ে উঠেনি। তাই দেরি না করে বের হয়ে পড়লাম সাউথ টাউনের উদ্দেশ্যে। এবারও আমার সঙ্গী আমার ছায়া ও দোস্ত গুগল ম্যাপস।

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

সাউথ টাউন যেতে হলে প্রথমে আপনাকে ঢাকার যেকোন প্রান্ত থেকে আসতে হবে যাত্রাবাড়ীতে। যাত্রাবাড়ী থেকে সিএনজি বা লেগুনাতে করে যেতে হবে পোস্তগোলা ব্রীজের গোড়ায় এবং গোড়ায় নেমে আবার নতুন সিএনজি যোগে যেতে হবে ব্রীজের ঐপাড়ে। ঐপাড়ে নামার পর দেখবেন সারি সারি সিএনজি দাড়িয়ে থাকে উঠে বলবেন নতুন জেলখানা। এরা রিজার্ভে আবার লোকালে যায় আপনি লোকালে যাবেন বলবেন। সিএনজি চলবে আর আপনি ফাকা-সুন্দর রাস্তা দেখতে দেখতে এগোবেন। নতুন জেলখানার গেইট দেখলে সিএনজি ড্রাইভারকে বলবেন একটু এগিয়ে নিয়ে সাউথ টাউন গেইটে নামিয়ে দিতে। আপনাকে গেইটের এপাড়ে নামিয়ে দিলে ৩মিনিট হেটে রাস্তা ক্রস করে ঐপাড়ে গিয়ে মেইন গেইট দিয়ে ঢুকে গার্ডকে সাউথ টাউন জামে মসজিদ বললে দেখিয়ে দিবে। আবাসিক এলাকার মধ্যদিয়ে সোজা রাস্তা চলেগিয়েছে দুপাশে বৃহ্মবেষ্টিত সুন্দর রাস্তা ও পাখির কোলাহল। পাকা রাস্তা শেষ হতেই ডান পাশে দিয়ে আবার সোজা হেটে গেলেই দেখা মিলবে মসজিদটির। দেখা শেষ হলে একই উপায়ে আবার ফিরে আসতে হবে।

⏩খরচ⏪

১. যাত্রাবাড়ী - পোস্তগোলা ব্রীজের গোড়াঃ ১০টাকা (প্রতি)

যাওয়া+আসাঃ ১০+১০=২০৳

২. পোস্তগোলা ব্রীজের গোড়া - ব্রীজের ঐপাড়ঃ ১০টাকা(প্রতি)

যাওয়া+আসাঃ ১০+১০=২০৳

৩. ঐপাড় - নতুন জেলখানাঃ ৩০টাকা (প্রতি)

যাওয়া+আসাঃ ৩০+৩০=৬০৳

এছাড়া খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে ২৫০-৩০০টাকায় সব হয়ে যাবে।

🔴নোট টু ফলো🔴

⏩জায়গাটি একটি আবাসিক এলাকা শহর থেকে অনেকটা দূরে কোলাহল মুক্ত ফাকা পরিবেশ। গেটে গার্ড থাকে সবসময় ও সাধারণ কিছু মানুষের বিচরণ রয়েছে । তাই গেলে সাথে আরও ১/২জন বা গ্রুপ নিয়ে যাওয়া ভালো।

⏩এখানে যাওয়ার আরও নানা উপায় রয়েছে। গুলিস্থান বা যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়াগামী বাস যেমনঃ ইলিশ,বসুমতি আরও অনেক বাসে করে সরাসরি নতুন জেলখানা নামা যায়। এছাড়া আবদুল্লাহপুর বা উওরা থেকে আসতে চাইলে প্রচেষ্টা পরিবহন রয়েছে এটিও মাওয়াগামী তবে যদি পাস্তগোলা ব্রীজের গোড়া সরাসরি উওরা থেকে এসে নামতে চান তবে রাইদাতে করে আসতে পারবেন।

⏩সাউথ টাউনের আশেপাশে কোন খাবারের জায়গা নেই। এর জন্য আপনাকে জেলখানা গেইটে এসে জেলখানার সদর দরজা দিয়ে ঢুকে কারা কেন্টিন বা খাবার হোটেল রয়েছে সেখানে খেতে পারেন সাথে সাথে কেন্দ্রীয় কারাগার একটু হাটাহাটি করে দেখে নিতে পারেন।

⏩কোন জায়গা চিনতে বা বুঝতে সমস্যা হলে লোকাল মানুষদের সাহায্য নিন।

Pabna Tour

Day Tour

মধ্যযুগীয় আদি-বাংলার অাভিজাত শ্রেনীর ভূমিধীকারীরা এখন আর নেই তবে রয়ে গিয়েছে তাদের তৈরীকৃত গ্রীক প্যাটার্নের অসম্ভব সুন্দর স্থাপত্য ও নিদর্শনগুলো। এমনই একটি স্থাপত্য যা এখনও ঐসময়ের স্বাহ্ম্য বহন করছে তা হল " তাড়াশ জমিদার " বাড়ি। পাবনা সদরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি বিশেষ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হল এই " তাড়াশ ভবন " , যা এখনও অহ্মত ও অমর থেকে সেই ইতিহাসকে মনে করিয়ে দেয়। পাবনা শহরের নান্দনিক সৌন্দর্য আর স্থাপত্যের অনন্য অমর কীর্তি এ ভবনটি তাড়াশের রাজবাড়ী নামেও অনেকের কাছে সুপরিচিত। আঠারশত শতাব্দীতে পাবনার সবচেয়ে বড় জমিদার বনমালী রায়বাহাদুর তাড়াশ ভবন স্থাপন করেন। তবে বনমালী রায়ের পূর্বপুরুষরা প্রথমে পাবনায় বসবাস করতেননা। এটি বনমালী রায় নিজের জমিদারির অবসর সময় যাপনের জন্য তৈরী করেছিলেন। বগুড়া জেলার চান্দাইকোনার কাছে 'কোদলা' গ্রামে বাসুদেব নামক কায়স্থজমিদার ছিলেন যিনি তাড়াশ রাজবংশের পূর্বপুরুষ। জমিদার বাসুদেব নবাব মুর্শিদকুলি খানের রাজস্ব বিভাগে চাকরি করতেন। নবাব মুর্শিদকুলি খান তার সততা ও গুনে মুগ্ধ হয়ে তাকে 'রায় চৌধুরী' খেতাব দেন এবং এভাবেই গঠিত হয় তাড়াশ জমিদার বংশের জমিদারিত্ব।

শোনা যায়, ১৯৪২ সালে যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় তখন এই আতঙ্কে জমিদার পরিবার তাড়াশ ভবনে অবস্থান নিয়েছিলেন অনেকদিনের জন্য। তাড়াশ ভবন স্থাপনের কয়েক বছর পর জমিদার বনমালী রায় ও বনওয়ারীলাল রায় তাড়াশ ভবনের পাশেই বনমালী ইনস্টিটিউট, টাউন হল জগন্নাথদেবের মন্দির ইত্যাদি প্রতিষ্টা করেন। বনমালী রায়ের স্মৃতির পরশ ও অর্থায়নে ব্রিটিশ শাসনামলে তাড়াশ ভবনটি ইউরোপীয় রেনেসাঁ রীতিতে গড়ে ওঠে পাবনার বুক চিরে। এই প্রাসাদস্বরূপ ভবনটির মাধুর্য নজর কেড়েছে সেই সময়ের সকল মানুষের ও কালের ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয় ছুয়েছে। তাড়াশ ভাবনটি দ্বিতলবিশিষ্ট এবং আয়তাকার প্রকৃতির একটি প্রাচীন গ্রীক ধাচের পূরাকীর্তি বা স্থাপত্যশিল্প। এই ভবনটির দোতালার কহ্মটি চারটি সুডৌল বৃত্তাকার স্তম্ভ সংযোগে গঠিত। ভবনটি দৈর্ঘ্যে ৩০.৪০ মিটার (১০০ফুট) এবং প্রস্থে ১৮.২৮ মিটার (৬০ ফুট)।ভবনটিতে চারটি কোরিনথিয়ান স্তম্ভের উপরে আকর্ষনীয় দ্বিতল গাড়িবারান্দা রয়েছে।

তাড়াশ ভবনের মূল এতিহ্য হল এর বিশালাকার প্রবেশ তোরণ। প্রাসাদাকার এ ভবনটির সামনে প্রবেশ তোরণের দুপাশে দুটি করে মোট চারটি স্তম্ভ এবং মাঝে বিশালাকৃতির অর্ধবৃত্তাকার খিলানে প্রবেশ পথটি সৃষ্টি করা হয়েছে। কথিত রয়েছে, বনমালী রায়ের ২টি হাতি ছিল এবং হাতির প্রবেশ পথে যেন তোরণ বাধা না পায় সেজন্য প্রবেশ তোরণকে এতটা বৃহদাকারভাবে গঠন করা হয়। প্রাসাদের প্রবেশ ফটকটির সৌন্দর্য সহজেই যে কারও মন হরণ করে যেন। ১৯১৪ সালে পাবনার শ্রেষ্ঠ জমিদার বনমালী রায় মারা যান এবং তিনি মারা যাওয়ার পর জমিদার বাড়ি তার জমিদারী সাজ আস্তে আস্তে হারাতে থাকে। কালের ক্রমে আজ সব বিলীন। নেই সেই সমাগম, নেই সেই আমেজ, নেই সেই জমিদার, নেই সেই সকালের কোকিলের ডাক, আর থাকলনা সেই চিরচেনা রূপ। আজ বিখ্যাত সেই তাড়াশ বাড়ি রূপান্তরিত হয়েছে নিদর্শনে ঘেরা স্থাপত্যেশৈলে। ১৯ শতকের শেষ দিকে তাড়াশ ভবনকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসাবে আখ্যায়িত করা হয় এবং জায়গাটির দেখাশোনার দায়িত্ব বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের (আপাতত পাবনা পৌরসভা) উপরে।

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

তাড়াশ জমিদার ভবনের অবস্থান এ. হামিদ রোড, গোলাপপুর, পাবনা। পাবনার বাইপাস টার্মিনাল হতে সরাসরি এখানে যেতে হলে ২ভাবে যাওয়া যায়। প্রথমত রিক্সায় ও দ্বিতীয়ত অটোতে। রিক্সায় করে গেলে সরাসরি তাড়াশ জমিদার বাড়ি বা তাড়াশ ভবন বললেই নিয়ে যাবে সেখানে। রিক্সায় যেতে সময় লাগে ১৫মিনিট ও ভাড়া ২৫-৩০/-।

আর অটোতে যেতে হলে, শহরগামী যেকোন অটোতে উঠে তাড়াশ জমিদার বাড়ি যাবেন বললেই নামিয়ে দিবে। অটোতে সময় লাগবে ৭-১০মিনিট ও ভাড়া ১৫/-

Sylhet Tour

Day Tour

এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন চা বাগান। মালনীছড়া চা বাগান বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের বৃহত্তম এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান। ১৮৪৯ সালে লর্ড হার্ডসন ১৫০০ একর জায়গার উপর এটি প্রতিষ্ঠা করেন।এই চা বাগানটি সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত। বাগানের ভিতরে বিশাল এলাকা জুড়ে যত দূর চোখ যায় শুধু চাবাগান। বড় বড় চায়ের টিলা ও রাবার বাগান। আর বর্ষার এই সিজনে বাগানটি পুরাদমে ভরপূর হয়ে উঠেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে।

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

প্রথমে ঢাকা থেকে আসতে হবে সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্টে। সেখান থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে যেতে হবে মালনিছড়া।

⏩খরচপএ⏪

ঢাকা - সিলেট : ৪৮০/- (ননএসি) ও ৯৫০-১২০০/- (এসি)

আম্বরখানা পয়েন্ট - মালনিছড়া : লোকাল ৪০/- (পার পারসন) ও রিজার্ভ ২৫০-৩০০/-

বাগানের এন্ট্রি ফি : ৫০/-

গাইড খরচ : ১০০-১৫০/- (যদি প্রয়োজন হয় তবে)

Chittagong Tour 02

Day Tour

বাশবাড়িয়া সী বীচঃ চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা যেন সব প্রাকৃতিক রূপ নিয়ে বসে আছে। এখানে আছে পাহাড়, লেক, ঝর্ণা, সমুদ্র সৈকত, প্রাচীন স্থাপনা সহ নানা কিছু। বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত তেমনই পর্যকটকের জন্যে একটা আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ঝাউ গাছের সারি, খোলামেলা পরিবেশ, জেগে উঠা সবুজ ঘাসের চর, আছে পিকনিক স্পট, সব মিলিয়ে বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত অপূর্ব সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষা করছে দর্শনার্থীদের জন্য।

গুলিয়াখালীঃ গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। স্থানীয় মানুষের কাছে এই সৈকত ‘মুরাদপুর বীচ’ নামেও সুপরিচিত। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে গুলিয়াখালি সি বীচের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। অনিন্দ্য সুন্দর গুলিয়াখালি সী বিচ কে সাজাতে প্রকৃতি কোন কার্পন্য করেনি। একদিকে দিগন্তজোড়া সাগর জলরাশি আর অন্য দিকে কেওড়া বন এই সাগর সৈকতকে করেছে অনন্য।

কম খরচে যেভাবে ঘুরে আসবেন এই জায়গাগুলো সেটা বলব আজ।

⏩যাতায়াত ও খরচপত্র⏪

✔️ঢাকা - সীতাকুন্ড ⏩১০০-১২৫/- (মেইল ট্রেন) ⏩৩৬০-৪৮০/- (বাস)

✔️সীতাকুন্ড বাজার - গুলিয়াখালী ⏩২০০-২৫০/- (সিএনজি রিজার্ভ Up-Down)

✔️সীতাকুন্ড - বাশবাড়িয়া বাজার ⏩১০-১৫/- (ট্যাম্পু টাইপ গাড়ি)

✔️বাশবাড়িয়া বাজার - বাশবাড়িয়া বীচ। ⏩২৫-৩০/- (রিক্সা)

🔴নোট টু ফলো🔴

১. যেহেতু গুলিয়াখালী যাওয়ার জন্য সীতাকুণ্ড নামতে হবে তাই আপনি চাইলে চন্দ্রনাথ পাহাড় Track করে আসতে পারেন। এহ্মেএে সীতাকুন্ড বাজার হতে আপনাকে সিএনজি / অটো (ভাড়া ২০/- জনপ্রতি) করে যেতে পারবেন।

যদি মাইন্ড Tracking এর জন্য প্রস্তুত থাকে তবে সময় না নস্ট করলে আপনি একদিনেই ইচ্ছা করলে তিনটি স্পট শেষ করতে পারবেন। আর চন্দ্রনাথ গেলে সাথে অবশ্যই হালকা খাবার নিবেন।

২. বাশবাড়িয়া বীচ দেখা শেষ করে আপনি আবার ঠিক উল্টোভাবে সীতাকুণ্ড বাজার চলে আসুন। এসে এখান থেকে খাবার খেয়ে নিন। এখানে অনেক ভালো মানের হেটেল রয়েছে তাই খেতে কোন সমস্যা হবেনা। ৭০-৮০/- এর মধ্যে খাওয়া দাওয়া হয়ে যাবে।

৩. গুলিয়াখালী বীচে ১২টার সময় বা তার পরে গেলে ভাল হবে এসময় জোয়ার ভালমত থাকে তাই সময় ভাল কাটবে।

৪. যদি আপনার মনে হয় আপনি একদিন থাকবেন?? তাহলে সীতাকুণ্ড বাজারে অনেক ভাল মানের হোটেল(৫০০-১০০০/-) রয়েছে। আর তা নাকরে আপনি চাইলে চট্টগ্রাম শহরেও যেয়ে থাকতে পারবেন। এহ্মেএে বাশবাড়িয়া / সীতাকুণ্ড থেকে বাসে করে চলে যাবেন এ. কে খান রোড।

৫. জোয়ারের সময় : লোকাল মানুষের মতে:

• গুলিয়াখালী : ৩:৩০ - ৫টা

• বাশবাড়িয়া : সকাল ১১-১২টা আর বিকাল ৪-৫টা

Kushtia Tour

Day Tour

যারা বিভিন্ন জেলা ভ্রমনে আগ্রহী, তাদের জন্য কুষ্টিয়ার বিখ্যাত দুটি জায়গার বর্ননা দেওয়া হল :

⏩বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরর কুঠিবাড়ি :

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (1861-1941) কুঠিবারীতে তাঁর জমিদারির প্রশাসনের সাথে থাকতেন এবং সেই সময়ে তাঁর গুণগত লেখার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতেন। এখানে থাকার সময় তিনি অনেক স্মরণীয় কবিতা লিখেছিলেন। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে জমিদার হিসেবে রাজস্ব আদায় করার জন্য তিনি তার বাসভবন / কার্যালয় হিসেবে এটি নির্মাণ করেন। এটি এখন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আর্কাইভ বিভাগের অধীনে একটি যাদুঘর। তার কুঠিবাড়ি কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহগ্রামে অবস্থিত।

⏩লালন ফকিরের মাজার :

লালন শাহ্, লালন ফকির বা মহাত্মা লালন নামেও পরিচিত ছিলেন (1772-1890; বাঙালি: 1 কার্তিক 1179) ছিলেন একজন বিখ্যাত বাঙালি দার্শনিক, বাউল , গীতিকার, সমাজ সংস্কারক ও চিন্তাবিদ । জাতি ও ধর্মের বৈষম্য রোধ ও ব্যাপকভাবে ধর্মীয় সহনশীলতার একটি উপমা হিসাবে তিনি তার কর্মকে রেখে গিয়েছেন। তাঁর গানগুলিতে লালন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখেন যেখানে সব ধর্ম ও বিশ্বাস একত্বে থাকবে। কুষ্টিয়া রেল স্টেশন থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার (1.2 মাইল) চেওরিয়ায় লালন আকরা নামে পরিচিত ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শিষ্যরা বেশিরভাগই বাংলাদেশে এবং পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করেন। প্রতিবছর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে লালন আকরাতে তাঁর হাজার হাজার শিষ্য এবং ভক্তরা তাঁর গান ও দর্শনের উদ্বোধন ও আলোচনার মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এটিও কুমারখালি উপজেলায় অবস্থিত।

⏩যেভাবে যাবেন⏪

১. ঢাকা - কুষ্টিয়া : এস.বি পরিবহন - ভাড়া : ৪৫০/- (ননএসি) ও ৬০০/- (এসি)

২. কুষ্টিয়ার এনএস রোড হতে অটোতে করে লালন শাহের মাজার : ২০-২৫/-

৩. লালন শাহের মাজার হতে আালাউদ্দিন মোড় : ২০/-

৪. আলাউদ্দিনের মোড় হতে কুঠিবাড়ি : ২০/-

আপনারা চাইলে একবারে কুঠিবাড়ি পর্যন্ত অটো রিজার্ভ নিতে পারবেন ( রিজার্ভ ৪০০/- যাওয়া আসা)। কুষ্টিয়া এনএস রোড হতে কুঠিবাড়ির দুরত্ব ১৮কি.মি. প্রায়। আর কুষ্টিয়া এনএস রোড থেকে যাএা শুরু করলে প্রথমে লালন শাহের মাজার পরবে এবং তারপরে কুঠিবাড়ি পরবে। তাই আপনারা যারা যাবেন , তারা প্রথমে লালন শাহের মাজার আসবেন। তারাপর চলে যাবেন আলাউদ্দিন মোড়,এরপর আবার অটো করে চলে যাবেন কুঠিবাড়ি। পরে ঠিক এভাবেই আবার ফিরে আসবেন এনএস রোড। কোন জায়গাই বেশিদুরে নয়। পাশাপাশি অবস্থিত। কুষ্টিয়ার রোড একটু খারাপ তাই মানিয়ে নিতে হবে।

🔴নোট টু ফলো 🔴

★ কুঠিবাড়িতে ঢুকতে ২০/- দিয়ে টিকিট কাটতে হয়।

★ লালন শাহের মাজার - আলাউদ্দিন মোড় যেতে আরেকটা স্পট পড়বে। যার নাম কবি মীর মোশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা। তবে জায়গাটায় একবারেই কিছু নেই বিধায় উল্লেখ করা হয়নি। তবে আগ্রহীরা দেখে আসতে পারেন।

★ রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি থেকে ৫-১০মি. এর দুরত্বে শিলাইদহ ঘাট। যেটা পাবনা ও কুষ্টিয়ার সীমান্ত। ইচ্ছা হলে সেটি দেখে আসতে পারেন।এটার অপর নাম পদ্মার পাড়।

★ দুপুরের খাওয়া দাওয়া এনএস রোডে এসে করে নিন। আর রাতে থাকতে চাইলে এই রোডে আবাসিক হোটেল রয়েছে (ভাড়া ৫০০ /- থেকে শুরু)

★যারা একদিনের অধিক থাকবে তারা দ্বিতীয় দিন ঘুরে আসতে পারেন ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ।

এনএস রোড - বাসস্ট্যান্ড (২০/-) তারপর বাসে (৪০-৫০/-) করে ঝাউদিয়া নেমে রিক্সা/ ভ্যানে করে সোজা ঝাউদিয়া মসজিদ।

RAJSHAHI TOUR 01

Day Tour

পুঠিয়া রাজবাড়ির মনোমুগ্ধকর প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনের জন্য রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বর্তমানে এক প্রসিদ্ধ ভ্রমন জনপদ। রাজবংশের রাজা-রানী, মহারানীদের জীবনকথা ও রাজ্য পরিচালনার ইতিহাস নানা চমকারিত্বে ভরপুর এই পুঠিয়া। তাদের প্রতিষ্ঠিত বিভিন স্থাপনা,ইমারত দৃষ্টিনন্দন পুরাকীর্তি হিসাবে আজ আমাদের কাছে সমাদৃত। এগুলো আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির স্বাক্ষর বহন করে চলছে ও হারহামেশাই দেশি-বিদেশী শতশত পর্যটক দর্শনার্থীদের ভীড়ে মুখরিত হওয়া পুঠিয়া রাজবাড়ির প্রত্নতাতিত্ব গুরুত্ব ক্রমেই বেড়ে চলছে। সুনিপুন কারুকার্যময় সুপ্রাচীন ইমারত সমূহ ও এগুলোর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সম্বন্ধে ঐতিহ্য অনুসন্ধীৎসুদের আগ্রহ, ভ্রমন বাসনা ও কৌতুহলের যেন শেষ নেই।

⏩Tour Spot⏪

১. পুঠিয়া রাজবাড়ি

২. পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দির

৩. দোলমন্দির বা দোল মঞ্চ

৪. বড় শিব মন্দির

৫. বড় আহ্নিক মন্দির

৬. ছোট গোবিন্দ মন্দির

৭. গোপাল মন্দির

৮. চরআনি আহ্নিক ধ্বংসস্তুূপ

৯. রথ মন্দির

ইতিহাসঃ

সপ্তদশ শতকে মোগল আমলে তৎকালীন বাংলার বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পুঠিয়া জমিদারি ছিল প্রাচীনতম। কথিত যে জনৈক নীলাম্বর মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের (১৬০৫—২৭ খ্রি.) থেকে ‘রাজা’ উপাধি লাভ করার পর সেটি পুঠিয়া রাজবাড়ীরূপে পরিচিতি লাভ করে। ১৭৪৪ সালে জমিদারি ভাগ হয়। সেই ভাগাভাগিতে জমিদারের বড় ছেলে পান সম্পত্তির সাড়ে পাঁচ আনা এবং অন্য তিন ছেলে পান সাড়ে তিন আনা।১৯৫০ সাল পর্যন্ত জমিদারি প্রথা ছিল। প্রথা বিলুপ্ত হলে পুঠিয়া রাজবাড়ীর জমিদারিও বিলুপ্ত হয়। কিন্তু জমিদারি বিলুপ্ত হলেও সে আমলে নির্মিত তাদের প্রাসাদ, মন্দির ও অন্যান্য স্থাপনা ঠিকই এখনো টিকে রয়েছে। অপরূপ এ প্রাসাদটি ১৮৯৫ সালে মহারানী হেমন্ত কুমারী দেবী তার শাশুড়ি মহারানী শরৎ সুন্দরী দেবীর সম্মানে নির্মাণ করান।

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে বাস বা ট্রেনে সরাসরি আমের রাজ্য রাজশাহী। সেখান থেকে বাসে পুঠিয়ার ত্রিমোহনী বাজার বা পুঠিয়া বাজার। বাজার থেকে ভ্যানযোগে পুঠিয়া রাজবাড়ি। এখানেই আশেপাশে ছড়িয়ে রয়েছে একএকটি স্থাপত্য।

⏩খরচপএ⏪

১. ঢাকা - রাজশাহীঃ ৪৫০-৪৮০৳(বাস) / ৩৫০-৭০০৳(ট্রেন)

২. রাজশাহী - পুঠিয়া বাজারঃ ৩০৳(বাস)

৩. পুঠিয়া বাজার - রাজবাড়িঃ ১০৳(ভ্যান)

🔴নোট টু ফলো🔴

⏩ এখানকার মানুষ অতি সাধারণ এবং সহজসরল তাই তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করি।

⏩ ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে শালীনতা ও আদব বজায় রাখি।

⏩ লোকালদের সাথে অহেতুক ঝামেলায় না জড়ানো।

Chittagong Tour 03

Day Tour

দেশের বন্দর নগর এবং বাণিজ্যিক শহর বলা হয় চট্টগ্রামকে। শুধু ব্যবসা বাণিজ্য নয়, সৌন্দর্যেও চট্টগ্রামের কমতি নেই! পাহাড়, সমুদ্রে এবং উপত্যকায় ঘেরা শহরটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে প্রাচ্যের রাণী হিসেবে বিখ্যাত। এই জেলার উল্লেখযোগ্য খাবার হল মেজবান ও শুটকি। পুরো জেলায় রয়েছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। যারা একদিনে একটা ব্যাপক ট্যুর দিতে চান এই পোষ্টটি তাদের জন্য :

⏩Tour স্পট⏪

১. মহামায়া লেক

২. গুলিয়াখালী সি বীচ

৩. বাশবাড়িয়া বীচ

৪. কুমিরা ব্রীজ

৫. বন্দর ভবন

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

ঢাকার টিটিপাড়ায় স্টার লাইন,এনা পরিবহনের কাউন্টার রয়েছে। রাতে স্টার লাইন বা এনাতে করে চলে যান সরাসরি ফেনী শহর এসএসকে রোডে।সেখানে রাত টুকু কাউন্টারে থেকে ভোরে ফেনীর মহিপাল মোড় হতে চট্টগ্রামগামী বাসে করে চলে যান মিরসরাই এর ঠাকুরদীঘি বাজার।বাজার হতে cng করে চলে যাবেন মহামায়া ইকো রেসোর্ট।ঘোরা শেষ করে ফিরে আসুন ঠাকুরদীঘি বাজারে।

সেখান থেকে আবার বাসে করে চলে যান সীতাকুন্ড বাজার। বাজারে গিয়ে cng reserve করে নিয়ে যাবেন গুলিয়াখালি বীচ।দেখা শেষে সীতাকুন্ড বাজারে এসে, লেগুনা করে চলে যান বাশবাড়িয়া বাজার। বাজার হতে রিক্সা করে সোজা বাশবাড়িয়া বীচ। বীচ ঘুরে চলে আসুন বাশবাড়িয়া বাজারে। সেখান থেকে লেগুনা বা মিনিবাসে করে চলে যাবেন বড় কুমিরা বাজার।বাজার হতে রিক্সা/cng করে চলে যাবেন কুমিরা ব্রীজ এবং আবার ফিরে আসবেন বড় কুমিরা বাজার। সেখান থেকে মিনিবাস বা লেগুনার মত গাড়িতে চলে যান চট্টগ্রাম শহরের অলংকার মোড়ে।ঐখানে পেয়ে যাবেন ১১ নং রুটের বাস। উঠে বলবেন বন্দর ৪নং গেট ( কাস্টম)। নেমে বন্দর ভবন ঘুরে আবার ১১নং রুটের বাসে করে চলে আসুন অলংকার মোড়ে। ২মি. হেটে চলে আসুন একে খান রোডে।ঐখানে সকল ঢাকাগামী বাসের কাউন্টার।টিকিট কেটে ফিরে আসুন ঢাকায়।

⏩খরচপত্র ও সময়⏪

১. ঢাকা - ফেনী বাসে : ননএসি-২৮০/- ও এসি-৩৫০ (৩-৩.৩০ঘন্টা)

২. ফেনীর মহিপাল হতে ঠাকুরদীঘি বাজার : ৪০-৫০/- (৪০-৫০মি.)

৩. ঠাকুরদীঘি - মহামায়া cng up+down : ১৫+১৫=৩০/- (যেতে ৫-৭মি.)

এবং মহামায়া লেকে ঢুকতে ১০/- ফি দিতে হয়

ও কায়াকিং ১ঘন্টা ২০০-৩০০/- (student ২০০/-)

৪. ঠাকুরদীঘি - সীতাকুন্ড বাজার : ৪০-৫০/- (৩০-৩৫মি.

৫. সীতাকুন্ড বাজার - গুলিয়াখালি বীচ Full Cng reserve: ২৫০/- (up+down) (যেতে ১৫-২০মি.)

৬.সীতাকুন্ড বাজার - বাশবাড়িয়া বাজার : ১৫/- (১৫মি.)

৭. বাশবাড়িয়া বাজার - বাশবাড়িয়া বীচ : ২০+২০ =৪০/- (up+down) (যেতে (১০-১৫মি.)

৮. বাশবাড়িয়া বাজার - বড় কুমিরা : ১০/- (১৫মি.)

৯. বড় কুমিরা - কুমিরা ব্রীজ রিক্সায় : ২০+২০ =৪০/- (up+down) (যেতে ১০-১৫মি.)

১০. বড় কুমিরা - চট্টগ্রাম অলংকার মোড় : ২৮-৩০/- (৪০-৪৫মি.)

১১. অলংকার মোড় - বন্দর : ২০+২০ = ৪০/- (যেতে ২৫মি.)

১২. ঢাকা ফেরা : ননএসি ৪৮০/- ও এসি ১২৫০/- (৬-৭ ঘন্টা)

★আমাদের ট্যুর শেষ করতে মোট খরচ : ১৭১০/- প্রতি জনে★

🔴নোট টু ফলো🔴

আমরা গিয়েছিলাম দুজন। এখানে per person এর খরচ দেওয়া হয়েছে। দুজন থাকায় আমাদের খরচ একটু বেশি পরে। তবে এগুলা একদম basic খরচ যা না করলেই নয়। সকাল,দুপুর ও রাত এর খাওয়া দাওয়ার খরচ আপনাদেরর নিজের উপর। আর যত বেশি মানুষ হবে,আপনাদের খরচও কমবে।

আর মুল কথা হল যে, আপনাকে মহিপাল থেকে রওয়ানা দিতে হবে সকাল ৭-৭:৩০টা এর মধ্যে। যদি না দিতে পারেন তবে একদিনে cover করতে কষ্ট হয়ে যাবে। আর এভাবে follow করলে একদিনেই আপনি এই জায়গাগুলো দেখে আসতে পারবেন। আমার সব জায়গা শেষ করে ঘড়িতে সময় বিকাল ৫.২০ মি.।

আর গুলিয়াখালি ও বাশবাড়িয়া সন্ধ্যার আগেই complete করতে হবে।কেননা সন্ধ্যার পর জায়গাটা safe না।

Cox'sBazar Tour

Day Tour

আপনারা কমবেশি প্রায় সবাই কক্সবাজার গিয়েছেন বা যাচ্ছেন বা যাবেন। তাদের জন্য প্রায় সকল তথ্য ও খরচপত্র সব মিলিয়ে এই পোস্ট করা। আমার ট্যুর : কক্সবাজার + হিমছড়ী + ইনানী

#যাতায়াত :

ঢাকা - কক্সবাজার : ৮০০/- ♦️ এসি : ১৬৫০-২৫০০/-

#হোটেল : পয়েন্ট যেহেতু তিনটা (কলাতলী, সুগন্ধা, লাবনী) তাই আশা করি থাকার কোন সমস্যা হবেনা। তবুও যারা হেটেল নিবেন তারা অবশ্যই ওখানে দরদাম করে হোটেল নিবেন। তারা যে দাম বলবে তার থেকে ৫০০-১০০০/- কমিয়ে দাম বলবেন।

হোটেল গুলো বিভিন্নমানের রয়েছে। বীচের সবচেয়ে কাছের হেটেলগুলো হল : সায়মন,সীপ্রিন্সেস,সীগাল,নীলিমা বীচ রিসোর্ট, প্রাসাদ প্যারাডাইস,কক্স টুডে কল্লোল ইত্যাদি। আরও খোজ নিলে পাবেন তবে এগুলো খ্যাতনামা।

কাপলদের জন্য বিশেষ আকর্ষন নীলিমা বীচ রিসোর্ট( পার নাইট ২৫০০-৩০০০/-) । আর যারা আরাম আয়েশ পছন্দ করেন তাদের জন্য রয়েছে ৪+৫তারকা : কক্স টুডে, সায়মন ইত্যাদি। কম দামের মধ্যে কল্লোল, সুগন্ধা ভাল।

সব মিলিয়ে হোটেল খরচ : ৫০০ - ২০০০০/- পর্যন্ত এখন আপনি আপনার মন বুঝে পছন্দমত বেছে নিন।

#খাবার :

খাবার নিয়ে বললে অনেক কথা তবে সুগন্ধ পয়েন্ট এ আল্লাহর দান হেটেলের মুরগির মাংস ও আলু ভর্তার কথা আজীবন মনে থাকবে(ভাল হিসাবে)। এখানে আপনারা সব রকমের সামুদ্রিক আইটেম পাবেন। যেমন : রূপচাদা, কোরাল,ককড়া,অক্টোপাস, চিংড়ি ইত্যাদি। আপনারা বাছাই করে নিবেন ওরা ফ্রাই করে দিবে। আর খাবারের দাম মূলত একটু থেকে বেশিই নেয় এখানে।

#বীচ : ১. চেয়ার বসা : ৩০/- (ঘন্টা)

২. টায়ার : ২০/- (ঘন্টা)

৩. ওয়াটার বাইক : হাফ রাউন্ড : ১৫০-২৫০/-

ফুল : ৩৫০-৪৫০/-

৪. স্যান্ড বাইক : ৩০০-৪০০/- (ফুল)

৫. ক্যামেরা সিন্ডিকেট : ৩-৫/- (পার পিক)

এছাড়া বীচে নানা খাওয়ার আইটেম পাওয়া যায় যার দাম স্বাভাবিক এর চেয়ে ৫-১০/- বেশি।

#হিমছড়ি_ও_ইনানী : কক্সবাজার ডলফিন মোড় হতে অটো বা সিএনজি রিজার্ভ করে নিবেন। ৭০০-১০০০/- নিবে ওরা। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি ও ইনানী যেতে পড়বে মেরিন ড্রাইভ রোড। এখানেই প্যারাসেইলিং পয়েন্ট রয়েছে। আপনার ইচ্ছা থাকলে করতে পারেন।

হাফ : ৫০০-৮০০/- ও ফুল : ১৫০০-২০০০/-

যাএা পথে প্রথমে পড়বে হিমছড়ি। ওখানে ঢুকতে ৩০/- দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। হিমছড়ি পাহাড়ে উঠলেই দেখতে পারবেন মেরিন ড্রাইভ এর অপরূপ সুন্দর দৃশ্য।

এর পরে চলে যান ইনানী বীচ। এই রোডেই আরও পড়বে মারমেইড বীচ রিসোর্ট যাদের নিজস্ব বীচ পয়েন্ট রয়েছে ও রয়েল টিউলিপ রিসোর্ট।

🔴নোট টু ফলো🔴

১. সব জায়গায় নানা সিন্ডিকেটে ভরপুর। সব কিছুতেই দরদাম নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় তাই দামাদামি করে নিবেন।

২. খাওয়া দাওয়া + অটো/রিক্সা সব জায়গায় দাম আগে শুনে কাজ করবেন। বিশেষত অনেক ধান্দাবাজ রিক্সাওয়ালা রয়েছে যারা আপনাকে হোটেল নিয়া নানা বুজ দিবে তবে আপনাকে শক্ত হয়ে এটার মোকাবেলা করতে হবে।

৩. বীচের সেফটি + পর্যটকদের সেফটি নিয়া চিন্তার কোন কাহিনী নাই কারণ টুরিস্ট পুলিশ রয়েছে আপনাদের পাশে। স্যালুট জানাই তাদের কাজে।

৪. কাপলদের হ্মেএে এনআইডি, জন্মনিবন্ধন ও কাবিননামার কাগজ সাথে রাখবেন এতে আপনি নিজের কাছে পরিষ্কার থাকবেন।

GOLAP GRAM TOUR

Day Tour

এখন বলব বর্তমানের অত্যন্ত আকর্ষনীয় জায়গা, গোলাপগ্রামের কথা।

আজই ঘুরে আসলাম ঐ সৌন্দর্য সুবাশিত গোলাপগ্রাম থেকে। আসলে জায়গাটিকে নিজের চোখে না দেখলে আমি বেঝাতে পারবনা কতটা সুন্দর।

আমি জানতাম বাংলাদেশ সুন্দর। আজ তার প্রমান দেখলাম এই জায়গায় ঘোরার পর। ঢাকা শহরের এত কাছে যে এত সুন্দর একটা জায়গা আছে যা না দেখলে বিশ্বাস হবেনা।

আপনাদের মধ্যে যারা সবুজ ও লালকে ভালবাসেন তাদের জন্য জায়গাটি হবে আদর্শ।

লাল ভালোবাসার রং। আর গোলাপগ্রাম হচ্ছে সেই রঙের বাস্তবতা।তাই আর দেরি না করে অাগ্রহীরা ঘুরে আসতে পারেন।

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

আমি সবচেয়ে সহজ পথটা বলছি :

প্রথমে মিরপুর ১ সার্কেল হতে আলিফ পরিবহনে উঠবেন।উঠে বলবেন বিরুলিয়া ব্রীজ যাব।তারপর বিরুলিয়া বীজ নেমেই পেয়ে যাবেন অটোবাইক। অটোবাইকে করে সোজা চলে যাবেন গোলাপগ্রাম।

অনেকেই সাদুল্লাহপুর বলে থাকেন। তবে সাদুল্লাহপুর এর বাগানের চেয়ে গোলাপগ্রাম আরও বড় এবং সুন্দর। আর সব বাগান গুলো পাশাপাশি যার জন্য খুব কঠিন হবেনা। সোজা গোলাপগ্রাম যাওয়াই ভালো।

⏩খরচপত্র⏪

মিরপুর ১ - বিরুলিয়া ব্রীজ: ১৫-২০৳ (আলিফ পরিবহন)

বিরুলিয়া ব্রীজ - গোলাপগ্রাম : ২০৳ (জনপ্রতি)

এখানে খরচ বলতে তেমন কিছুই নেই। ৩০০-৪০০৳ খরচ করে অনায়াসে ঘুরে আসা যাবে।

🔴নোট টু ফলো🔴

১. লোকালদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন

২. অহেতুক ঝামেলা করবেননা ও ঝামেলায় জড়াবেননা।

৩. গোলাপ চাষীদের একটি গোলাপও ছিড়ে তাদের হ্মতি করবেননা

৪. ভ্রমনে ভদ্রতা বজায় রাখুন

TANGAIL TOUR 01

Day Tour

সিএনজি যখন পুকুরের পাশ দিয়ে ক্রস করছিল তখন সাদা চাদরে ঢাকা মহারাজ আমলের সুবিশাল প্রাসাদগুলো দেখে বুকের মাঝে এক অন্যরকম আকর্ষনের ঢেউ খেলে গেল। আকর্ষন যেমন ছিল তার চেয়ে উওেজনা ছিল অনেক বেশি।

এত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং শক্তপোক্ত সুসংরক্ষিত প্রাসাদ আজও আছে? কৌতুহল আর জিজ্ঞাসা নিয়েই টাঙ্গাইলের মহেড়া জমিদার বাড়িতে হাজির হলাম এই দৃশ্যের স্বাক্ষী হয়ে থাকতে। মহেড়া জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইল সদর থেকে প্রায় ১১ কিমি পশ্চিমে আট একরের সবুজ শ্যামল পরিবেশ জুড়ে বিস্তৃত। আমার মতে এত সুন্দর ও সযত্নে সংরক্ষিত জমিদারবাড়ি বাংলাদেশে আর দ্বিতীয়টি নেই বললে ভুল হবেনা। শুধু কি তাই, যদি এই সুবিশাল জমিদার বাড়ির সাথে চিড়িয়াখানা, পার্ক, সুন্দর পুকুর ও দীঘি, পিকনিক স্পট ও বোট রাইড একসঙ্গে পাওয়া যায় তবে যেন ষোল আনা পূর্ন হয়।

এখন মূল কথা হল ঢাকা থেকে দিনে গিয়েই মহেড়া জমিদার বাড়ি ঘুরে দিনেই ফেরা সম্ভব।

মহেড়া জমিদার বাড়িতে রয়েছে বিশাল প্রাচীন সংরক্ষিত প্রধান তিনটি ভবন। সেগুলো হলঃ

✔️চৌধুরী লজঃ মূল ফটক দিয়ে জমিদার বাড়িতে প্রবেশের পরেই চোখে পড়ে চৌধুরী লজ। ভবনটির পিলার গুলো রোমান স্থাপত্য শৈলীতে নির্মাণ করা হয়েছে।

✔️মহারাজ লজঃ বাইজেনটাইন স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত মহারাজ লজ ভবনের সামনে ৬ টি কলাম আছে। ভবনটিতে মোট কক্ষের সংখ্যা ১২টি। এই লজের সামনে রয়েছে সিঁড়ির বাঁকানো রেলিং ও ঝুলন্ত পাশাপাশি ভবনটির সামনে বাগান ও পেছনে একটি টেনিস কোর্ট রয়েছে। এই ভবনটি শুটিং স্পট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

✔️আনন্দ লজঃ মহেরা জমিদার বাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভবন হচ্ছে আনন্দ লজ। নীল ও সাদা রঙের ভবনটির সামনে ৮ টি সুদৃশ্য কলাম রয়েছে। তিন তলা অবস্থিত ঝুলন্ত বারান্দা এ ভবনকে করেছে আরো দৃষ্টিনন্দন।

আরও একটি হল -

✔️কালীচরণ লজঃ জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির শেষের দিকে নির্মিত এই কালীচরণ লজ অন্য ভবন থেকে অনেকটা আলাদা। ইংরেজি ‘ইউ’ (U) অক্ষরের আদলে এই ভবনটি ইংরেজ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত।

শুধু তাই নয় মহেড়া জমিদার বাড়িতে আরও রয়েছে রানী মহল, কাছারিঘর, নায়েব সাহেবের ঘর এবং গোমস্তাদের ঘর। বাড়ীর সামনেই আছে বিশাল এক দীঘি নাম বিশাখা সাগর। ভবন গুলোর পিছনে আছে পাসরা পুকুর এবং রানী পুকুর নামে দুইটি পুকুর।

মহেড়া জমিদার বাড়ি বর্তমানে পুলিশ ট্রেনিং একাডেমির অংশ, তাই অনুমতি নিয়ে ও টিকেট কেটে প্রবেশ করতে হবে।

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

ঢাকা থেকে মহেড়া আসার সহজ পথ দুটি। ঢাকার খালেক তেল পাম্প থেকে সোনিয়া বাসে করে সরাসরি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার নামতে হবে এবং নেমে সিএনজি রিজার্ভ করে বা জনপ্রতি মহেড়া যাওয়া যাবে। এছাড়া ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বিনিময়, নিরালা, ধলেশ্বরী ইত্যাদি বাসে করে নাটিয়াপাড়া বাসষ্ট্যান্ডে নেমে সিএনজি বা বেবীটেক্সী রিজার্ভ করে যাওয়া যাবে মহেড়া জমিদার বাড়ি। পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার চিনতে সমস্যা হলে বাসের সুপারভাইজারকে মহেড়া বললেই হবে এছাড়া মহাসড়কে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার লিখা বিশাল সাইনবোর্ড আছে। আর যারা উত্তরবঙ্গ থেকে আসবেন তারা যে কোন ঢাকাগামী বাসে টাঙ্গাইল পার হয়ে নাটিয়াপাড়া বাসষ্ট্যান্ডে নেমে একইভাবে যেতে পারেন।

⏩খরচপত্র⏪

১. ঢাকা - নাটিয়াপাড়া বা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারঃ ১৫০-২৫০৳ (বাস)

২. সিএনজি রিজার্ভঃ ১০০৳ ও জনপ্রতি গেলে খরচ ২০-২৫৳

৩. টিকেট মূল্যঃ ৮০৳

৪. খাবারঃ ২০০৳

সবমিলিয়ে ৬০০৳ দিয়ে ঘুরে আসা যাবে।

🍱খাবার ব্যবস্থা🍽

মহেড়া জমিদার বাড়ীর মূল গেটের সাথেই ‘হ্যালো’ নামের একটি ক্যান্টিন আছে, এখানে দুপুরের খাবার খেতে পারেন তবে দাম একটু বেশি এছাড়াও পাশরা পুকুরের পাশে ২ টি ছোট ক্যান্টিন রয়েছে। এছাড়া জমিদার বাড়ির বাহিরে কিছু ছোট টংয়ের মত ভোজনালয় রয়েছে। যাদের বাজেট কম তারা খেতে পারেন তবে এগুলোর খাবারের মান তেমন সস্তোষজনক নয়।

🔴নোট টু ফলো🔴

⏩ ভরমনে শালীনতা বড়ায় রাখি কেননা এটি এখনও পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে।

⏩ লোকালদের সাথে ভাল ব্যবহার করি ও অহেতুক কোন ঝামেলায় না জড়ানো

⏩ বোট রাইডের জন্য ভালভাবে দরদাম করে নেওয়া ভাল।

Natore tour 01

Day Tour

নাটোর জেলা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত একটি জেলা। জেলাটির আয়তন ১৯০৫.০৫ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক দিয়ে নাটোর বাংলাদেশের ৩৫ তম জেলা। পুরোনো নিদর্শনের মধ্য এই জেলার এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে।

⏩ট্যুরস্পট

১. নাটোর রাজবাড়ী

২. উওরা গনভবণ

৩. পাটুল মিনি কক্সবাজার

💠ইতিহাস💠

উত্তরা গনভবণঃ

উত্তরা গণভবন আঠারো শতকে নির্মিত দিঘাপতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান। নাটোর শহর থেকে প্রায় ২.৪ কিমি দূরে প্রাসাদটি অবস্থিত। ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিঘাপতিয়া রাজবাড়ীকে উত্তরা গণভবন নামকরণ করেন।

দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা দয়ারাম রায় (১৬৮০-১৭৬০) ১৭৩৪ সালে প্রায় ৪৩ একর জমির উপর দিঘাপতিয়া প্রাসাদের মূল অংশ ও এর সংলগ্ন কিছু ভবন নির্মাণ করেন। রাজবংশের ষষ্ঠ রাজা প্রমদানাথ রায়ের আমলে, ১৮৯৭ সালের ১০ জুন নাটোরের ডোমপাড়া মাঠে তিনদিনব্যাপী বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের এক অধিবেশন আয়োজন করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ অনেক বরেণ্য ব্যক্তি এ অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন। তবে শেষের দিন ১৮৯৭ সালের ১২ জুন প্রায় ১৮ মিনিটব্যাপী এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে রাজপ্রাসাদটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে রাজা প্রমোদনাথ রায় সম্পূর্ণ প্রাসাদ কমপ্লেক্সটি পুনর্নির্মাণ করেন। রাজা প্রমোদনাথ রায় চারদিকে সীমানা প্রাচীর দিয়ে বেষ্টিত রাজবাড়ির ভেতরে বিশেষ কারুকার্য খচিত মূল ভবনসহ ছোট-বড় মোট ১২টি ভবন নির্মাণ করেন। তিনি ১৮৯৭ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছর সময় ধরে বিদেশি বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী ও চিত্রকর আর দেশি মিস্ত্রিদের সহায়তায় সাড়ে ৪১ একর জমির উপর এই রাজবাড়িটি পুনর্নির্মাণ করেন। তিনি মোঘল ও প্রাশ্চাত্য রীতির মিশ্রণে কারুকার্যময় নান্দনিক এই ভবনটিকে এক বিরল রাজ ভবন হিসেবে গড়ে তোলেন।

নাটোর রাজবাড়ীঃ

নাটোর রাজবাড়ি নাটোর রাজবংশের একটি স্মৃতিচিহ্ন। অষ্টাদশ শতকের শুরুতে নাটোর রাজবংশের উৎপত্তি হয়। ১৭০৬ সালে পরগণা বানগাছির জমিদার গণেশ রায় ও ভবানী চরণ চৌধুরী রাজস্ব প্রদানে ব্যর্থ হয়ে চাকরিচ্যুত হন। দেওয়ান রঘুনন্দন জমিদারিটি তার ভাই রাম জীবনের নামে বন্দোবস্ত নেন। এভাবে নাটোর রাজবংশের পত্তন হয়। রাজা রাম জীবন নাটোর রাজবংশের প্রথম রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন ১৭০৬ সালে, মতান্তরে ১৭১০ সালে এবং ১৭৩৪ সালে তিনি মারা যান। ১৭৩০ সালে রাণী ভবানীর সাথে রাজা রাম জীবনের দত্তক পুত্র রামকান্তের বিয়ে হয়। রাজা রাম জীবনের মৃত্যুর পরে রামকান্ত নাটোরের রাজা হন। ১৭৪৮ সালে রাজা রামকান্তের মৃত্যুর পরে নবাব আলীবর্দী খাঁ রাণী ভবানীর ওপর জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। রাণী ভবানীর রাজত্বকালে তার জমিদারি বর্তমান রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর, রংপুর, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহ জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪

বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে প্রথমে আসতে হবে নাটোরের মাদ্রাসা মোড় এখানে নেমে পাশের ইসলামিয়া পচুর হোটেল থেকে সকালের নাস্তা সেড়ে নিন। সেখান থেকে রিক্সায় করে রাজবাড়ী বললেই নিয়ে যাবে এবং সময় লাগবে ৫-১০মিঃ। নাটোর রাজবাড়ি দেখা শেষ কিছুটা পথ হেটে এসে লোকাল অটোতে ১০মিনিটের ব্যবধানে গনভবন বা দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি। গনভবনে সময় কাটানের পর মূল ফটক থেকে অটোতে করে চলে আসুন আবার মাদ্রাসা মোড়। এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিন পচুর হেটেলে। দুপুরের খাবার শেষে চলে যাবেন

নীচাবাজারে অবস্থিত মৌচাক মিষ্টান্ন ভান্ডারে। এখানে পাবেন নাটোরের সেরা কাঁচাগোল্লা ও আরও কিছু সুস্বাদু মিষ্টি। চাইলে বিকালের সময়টা পাটুল থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।

⏩খরচপত্র⏪

১. ঢাকা - নাটোর (বাস) : ৩৫০-৪০০৳ (ননএসি) / ৮০০-৯০০৳(এসি)

২. মাদ্রাসা মোড় - রাজবাড়ীঃ ১৫-২০৳(রিক্সা)

৩. রাজবাড়ী - গনভবণঃ ১০-১৫৳(অটো)

৪. মাদ্রাসা মোড় - নীচাবাজারঃ ৫৳(অটো)

৫. নাস্তাঃ ৫০৳

৬. দুপুরের খাবারঃ ১৫০৳

৭. টিকেটঃ ২০৳

🔴নোট টু ফলো🔴

নাটোরের মানুষজন অত্যন্ত স্বাভাবিক ও সহজ সরল তাই লোকালদের সাথে অযথা ঝামেলায় জড়াবেননা।

বিকালের সময়টা পাটুল গিয়ে নৌকায় করে ঘুরতে পারেন তবে তার জন্য ভাল সময় জুন- সেপ্টেম্বর। নৌকায় চারটি গ্রাম ভ্রমনে খরচ পড়বে ২০০-২৫০৳।

প্রতিটি প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনে গিয়ে হস্তকর্ম ও নানাবিধ চিত্রকর্ম করা থেকে বিরত থাকুন ও শালীনতা বজায় রাখুন।

Pabna diary 01

Day Tour

💠সুচিত্রা সেনের জীবনকালঃ

ভারতীয় বাংলা চলচিত্রের কিংবদন্তি ও মহানায়িকা সুচিত্রা সেন ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা জেলা সদরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর জন্মগত নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। তার বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন এক স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মা ইন্দিরা দেবী ছিলেন গৃহবধূ। তিনি ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান ও তৃতীয় কন্যা। পাবনা শহরেই তার বেড়ে ওঠা ও তিনি পড়াশোনাও করেছিলেন এই শহরেই। তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী। ১৯৪৭ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি আদিনাথ সেনের পুত্র দিবানাথ সেনের সঙ্গে সুচিত্রা সেনের বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র কন্যা মুনমুন সেনও একজন খ্যাতনামা অভিনেত্রী। তিনি মূলত বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রে উত্তম কুমারের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।১৯৬৩ সালে সাত পাকে বাঁধা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সুচিত্রা সেন "সিলভার প্রাইজ ফর বেস্ট অ্যাকট্রেস" জয় করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করে।শোনা যায়, ২০০৫ সালে তাঁকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল; কিন্তু সুচিত্রা সেন জনসমক্ষে আসতে চান না বলে এই পুরস্কার গ্রহণ করেননি। ২০১২ সালে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মাননা বঙ্গবিভূষণ প্রদান করা হয়।১৯৫৫ সালের দেবদাস ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেন, যা ছিল তার প্রথম হিন্দি ছবি। উত্তম কুমারের সাথে বাংলা ছবিতে রোমান্টিকতা সৃষ্টি করার জন্য তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বিখ্যাত অভিনেত্রী। ১৯৬০ ও ১৯৭০ দশকে তার অভিনীত ছবি মুক্তি পেয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পরও তিনি অভিনয় চালিয়ে গেছেন, যেমন হিন্দি ছবি আন্ধি। এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন নেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বলা হয় যে চরিত্রটির প্রেরণা এসেছে ইন্দিরা গান্ধী থেকে। এই ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং তার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করা সঞ্জীব কুমার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন।

⏩যাতায়াত ও খরচপত্র⏪

সুচিএা সেনের বাড়িতে যেতে হলে আপনাকে বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে প্রথমে আসতে হবে ঐতিহ্যবাহী পাবনা জেলায়। পরে জেলার টার্মিনাল বাসস্ট্যান্ড বা শহর বাসস্ট্যান্ড থেকে অটো বা সিএনজি করে পলিটেকনিকেল এসে নামলেই পাশেই পাবেন সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়ি ও বর্তমানে এটি সংগ্রহশালা। সোমবার সপ্তাহিক ছুটি ছাড়া প্রতিদিন ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে সংগ্রহশালা।

ঢাকা - পাবনাঃ ৪০০৳(ননএসি) / ৮০০৳(এসি)

পাবনা বাসস্টপ - পলিটেকনিকেলঃ ১৫৳ (অটো)

প্রবেশ টিকেট মূল্যঃ ১০৳

RAJSHAHI TOUR 02

Day Tour

💠ইতিহাস💠

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা। জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় দিঘাপাতিয়া রাজপরিবারের জমিদার শরৎ কুমার রায়, আইনজীবী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এর শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আবদান রয়েছে। ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে তারা বাংলার ঐতিহ্য ও নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করেন। ঐ বছরে তারা রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন সংগ্রহ করেন। এই নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করার জন্য শরৎ কুমার রায়ের দান করা জমিতে জাদুঘরটির নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষ হয় ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে। একই বছরের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেল জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা জাদুঘর অকস্মিক এতে সংরক্ষিত সকল নিদর্শন দাবি করে বসে। তখন তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেলের প্রচেষ্টায় ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে জারীকৃত একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরেন্দ্র জাদুঘরকে এর নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যপারে স্বাধীকার প্রদান করা হয়।

১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের সাথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের খনন কাজ শুরু করে। পরবর্তিতে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির একক প্রচেষ্টায় পাহাড়পুর থেকে ২৫৬টি নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের পরে জাদুঘরটির অস্তিত্ত্ব নিয়ে সংকট দেখা দেয় এবং (১৯৪৯-১৯৬১) খ্রিষ্টাব্দ পযর্ন্ত জাদুঘরটির অর্ধেকাংশ মেডিকেল স্কুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে জাদুঘরটি একদম বন্ধ হবার উপক্রম হলে, ঐ বছরের ১০ অক্টোবর তারিখে এর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিগ্রহণ করে। জাদুঘরটির পরিদর্শকদের মধ্যে রয়েছেন মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসসহ আনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি পরিচালনা করে থাকে।

💠সংগ্রহসমূহ💠

বরেন্দ্র জাদুঘরের সংগ্রহ সংখ্যা ৯ হাজারেরও অধিক। এখানে হাজার বছর আগের সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। মহেনজোদারো সভ্যতা থেকে সংগৃহীত প্রত্নতত্ত, পাথরের মূর্তি, খিষ্ট্রীয় একাদশ শতকে নির্মিত বুদ্ধ মূর্তি, ভৈরবের মাথা, গঙ্গা মূর্তি সহ অসংখ্য মূর্তি এই জাদুঘরের সংগ্রহের অন্তর্ভুত। মোঘল আমলের রৌপ্র মুদ্রা, গুপ্ত সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের গোলাকার স্বর্ণমুদ্রা, সম্রাট শাহজাহানের গোলাকার রৌপ্য মুদ্রা বিশেষ ভাবে উল্যেখয়োগ্য। এখানে প্রায় ৫০০০ পুঁথি রয়েছে যার মধ্যে ৩৬৪৬টি সংস্কৃত আর বাকিগুলো বাংলায় রচিত। পাল যুগ থেকে মুসলিম যুগ পযর্ন্ত সময় পরিধিতে অঙ্কিত চিত্রকর্ম, নূরজাহানের পিতা ইমাদ উদ দৌলার অঙ্কিত চিত্র এখানে রয়েছে। এছাড়া এই জাদুঘরে ১২ সহস্র গ্রন্থ সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থশালা রয়েছে।

⏩যাতায়াত ও খরচপত্র⏪

জাদুঘর ভ্রমনে বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে প্রথমে বাস/ট্রেনে আসতে হবে বনলতা সেনের রাজশাহী। রাজশাহীর ভদ্রা কিংবা জিরো পয়েন্ট থেকে অটো বা রিক্সা দুউপায়েই যাওয়া যাবে বরেন্দ্র জাদুঘর। রিক্সায় ভাড়া পড়বে ২৫-৩০টাকা ও অটোতে ১০-১৫টাকা।

ঢাকা - রাজশাহীঃ ৩৫০-১০০০৳(ট্রেন) / ৪৫০-১০০০৳(বাস)

🔴নোট টু ফলো🔴

১. জাদুঘরে প্রবেশের পর ভদ্রতা বজায় রাখি ও অযথা হইহুল্লো না করি

২. প্রতিটি প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনের কোন প্রকার ক্ষতি না করি

৩. রাজশাহীতে আরও অনেক ভ্রমনের স্থান রয়েছে চাইলে এটি দেখা শেষ করে বাকি স্পটগুলো দেখতে পারেন।

Pabna diary 03

Day Tour

💠ইতিহাস💠

জোড় বাংলা মন্দির পাবনা সদর উপজেলার দক্ষিণ রাঘবপুরে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। যেহেতু এই মন্দির নির্মানের ব্যাপারে সঠিক শিলালিপি পাওয়া যায়নি তাই এর সঠিক ইতিহাস সম্বন্ধে তেমন ধারণা পাওয়া যায়না। তবে স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে, জোড় বাংলা মন্দিরটি ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মাণ করেছিলেন ব্রজমোহন ক্রোড়ী নামক একজন যিনি মুর্শিদাবাদ নবাবের তহশীলদার ছিলেন। জোড় বাংলা মন্দিরটি ইটনির্মিত একটি মঞ্চের উপর স্থাপন করা হয়েছে। উপরের পাকা ছাদটি দোচালা প্রকৃতির। মন্দিরটির সামনে তিনটি প্রবেশ পথ রয়েছে যেগুলো ২টি স্তম্ভের সাহায্য নির্মাণ করা হয়েছে। দেয়ালের নকশা ও কারুকার্যের ভিত্তিতে এটি কান্তনগর মন্দিরের অনুরূপ স্থাপনা। ১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পে মন্দিরটির বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমান বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করে সংস্কারের কাজ করেছে।

⏩যাতায়াত ও খরচপত্র⏪

পাবনার বাইপাস টার্মিনাল বা শহরস্ট্যান্ড হতে সরাসরি এখানে যেতে হলে ২ভাবে যাওয়া যায়। প্রথমত রিক্সায় ও দ্বিতীয়ত অটোতে। রিক্সায় করে গেলে সরাসরি জোড় বাংলা বললেই নিয়ে যাবে সেখানে। রিক্সায় যেতে সময় লাগবে ১০মিনিট ও ভাড়া ২০-২৫৳।

আর অটোতে যেতে হলে, বাইপাসগামী বা শহরগামী যেকোন অটোতে উঠে অনন্ত বাজার নেমে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে। অটোতে সময় লাগবে ৫-৭মিনিট ও ভাড়া ১০৳ জনপ্রতি।

🔴নোট টু ফলো🔴

১. ঘুরতে গেলে পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি ও লোকালদের সাথে দূর্ব্যবহার পরিহার করি এবং কোন রকম ঝামেলায় না জড়ানো।

২. বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করি। মাস্ক ব্যবহার করি ও সুস্থ থাকি।

সাত গম্বুজ মসজিদ ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত মুঘল আমলে নির্মিত একটি মসজিদ। এই মসজিদটির চারটি মিনারসহ সাতটি গম্বুজের কারণে মসজিদের নাম হয়েছে 'সাতগম্বুজ মসজিদ'।

ইতিহাস

মসজিদটি মুঘল আমলের অন্যতম একটি নিদর্শন। ১৬৮০ সালে মুঘল সুবাদার শায়েস্তা খাঁর আমলে তার পুত্র উমিদ খাঁ মসজিদটি নির্মাণ করাণ, লালবাগ দুর্গ মসজিদ এবং খাজা আম্বর মসজিদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ রেখে। এর ছাদে তিনটি বড় গম্বুজ এবং চারকোণের প্রতি কোনায় একটি করে অনু গম্বুজ থাকায় একে সাত গম্বুজ মসজিদ বলা হয়। এর আয়তাকার নামাজকোঠার বাইরের দিকের দৈর্ঘ্যে ১৭.৬৮ মিটার এবং প্রস্থ ৮.২৩ মিটার। মসজিদটির পূর্বদিকের গায়ে ভাঁজবিশিষ্ট তিনটি খিলান এটিকে বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছে এবং পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মিহরাব রয়েছে। এরজন্য দূর থেকে মসজিদটি অত্যন্ত সুন্দর দেখায়। মসজিদের ভিতরে ৪টি কাতারে প্রায় ৯০ জনের নামাজ পড়ার মত স্থান রয়েছে।

মসজিদের পূর্বপাশে এরই অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে রয়েছে একটি সমাধি। কথিত আছে, এটি শায়েস্তা খাঁর মেয়ের সমাধি। সমাধিটি ‘বিবির মাজার’ বলেও খ্যাত। এ কবর কোঠাটি ভেতর থেকে অষ্টকোনাকৃতি এবং বাইরের দিকে চতুষ্কোনাকৃতির। বেশ কিছুদিন আগে সমাধিক্ষেত্রটি পরিত্যক্ত এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল। বর্তমানে এটি সংস্কার করা হয়েছে। মসজিদের সামনে একটি বড় উদ্যানও রয়েছে। মসজিদের পশ্চিম পাশে বাংলাদেশের বিখ্যাত মাদরাসা জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া অবস্থিত। একসময় মসজিদের পাশ দিয়ে বয়ে যেত বুড়িগঙ্গা। মসজিদের ঘাটেই ভেড়ানো হতো লঞ্চ ও নৌকা। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় তা কল্পনা করাও কষ্টকর। বড় দালানকোঠায় চারিদিক ভরে উঠেছে মসজিদের দেয়ালগুলো।

যাতায়াত ও খরচপত্র

ঢাকার যেকোন প্রান্ত থেকে এখানে আসা অনেক সহজ। আপনাকে প্রজাপতি, রজনীগন্ধা, বিআরটিসি, তরঙ্গ, মিডলাইন ইত্যাদি যেকোন বাসে এসে নামতে হবে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড। নেমে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে মসজিদ।

সারাদিন মিলিয়ে ১০০-২০০টাকার মধ্যেই খাওয়া-দাওয়াসহ ঘোরা যাবে।

নোট টু ফলো

১. করোনা মহামারির সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করি। মুখে মাস্ক রাখি ও হাত পরিষ্কার করি।

২. মসজিদে এখনো মুসল্লিরা নামায পড়ে ও পাশেই মাদ্রাসা তাই অযথা হইহুল্লো ও চেঁচামিচি থেকে বিরত থাকি।

৩. চাইলে বিকালের সময়টা মধুসিটিতে কাটিয়ে আসতে পারেন।