নতুন সব তথ্য
আমাদের শরীর যখন যে-কোনো ধরনের রোগ-জীবাণু কিংবা ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়, তখন সেগুলো থেকে শরীরকে রক্ষা করে আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। সুতরাং, যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যতটা ভালো, তার রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ততই কম। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কিছু অংশ আমরা জন্মের সময়ই অর্জন করি আর বাকিটা আমাদের জীবনযাপন পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। তাই শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলে নিচের নিয়মগুলো মেনে চলা খুব জরুরি। এগুলো হলো:
ধূমপান এবং যে-কোনো ধরনের নেশাদ্রব্য থেকে দূরে থাকুন। আপনি যদি ধূমপায়ী হোন তবে যে-কোনো রোগে আপনার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অধূমপায়ীদের থেকে অনেক বেশি।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। তেল, চর্বি ও বেশি মশলাযুক্ত খাবারের বদলে শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। চিনিযুক্ত খাবার কম খাওয়াই ভালো। চা-কফি অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো।
প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। নিয়মিত আধাঘণ্টা জোরে জোরে হাঁটা শরীরের জন্য খুব ভালো ব্যায়াম।
নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
মানসিক চাপ কমাতে হবে। কাজের পাশাপাশি পরিবার ও বন্ধুদেরকে সময় দেওয়া কিংবা কোনো ধরনের সখের কাজ মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। ঘুমের পরিমাণ বয়সের সাথে সাথে কম বেশি হতে পারে। তবে সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো খুব জরুরি।
নিজেকে পরিছন্ন রাখতে হবে। বারবার সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া কিংবা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত স্যানিটাইজ করার অভ্যাস সুস্থ থাকার জন্য একটা জরুরি অভ্যাস। চোখ-মুখে হাত দেওয়া, নাক খোঁটা—এই জাতীয় অভ্যাসগুলো ছেড়ে দিতে হবে। যেখানে সেখানে থুতু ফেলার মতো বাজে অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
এসব নিয়ম মেনে চললে আমাদের শরীর রোগের বিরুদ্ধে আরো ভালো প্রতিরোধ তৈরি করতে পারবে। আর আমরাও একটা সুস্থ জীবনযাপন করতে পারব।
চল্লিশে চালশে! মানে আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেখার ক্ষমতাও কমতে থাকে। ষাট বছরে গিয়ে হয়তো একটা ডিমের সাইজের বস্তুও চশমা ছাড়া দেখতে কষ্ট হবে! ঠিক তেমনি করে চিন্তা করুনতো আপনি যখন সবচেয়ে ভালো দেখতেন বলে গর্ব অনুভব করতেন তখনও কোটি কোটি ব্যকটেরিয়া বা অনুজীবের একটা দলকে দেখতে পেতেন? না, পাননি। আমরা খালি চোখে যখন দেখিনা তখন চশমা নেই৷ চশমা যেমন যেকোন জিনিসকে কয়েকগুণ বড় করে দেখায়, অণুবীক্ষণ যন্ত্রও ব্যাকটেরিয়াকে লাখ লাখ গুন বড় করে দেখতে সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়া যে আছে সেটা অনেকে আমরা বিশ্বাসই করিনা। ধরুন আপনি চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখলেন বাঘের খাঁচার দরজা খোলা, সব বাঘ বাইরে এসে হাঁটাহাঁটি করছে। আপনি নিশ্চয়ই সে রাস্তায় যাবেন না? তাহলে আপনি ব্যাকটেরিয়া ভয়ংকর জেনেও নোংরা পানি বা খাবার খাচ্ছেন কেন যেখানে ব্যাকটেরিয়ার ঘর বসতি? নোংরা ও অপরিষ্কার হাত নাকে মুখে দিচ্ছেন কেন? যেখানে সেখানে থুতু, কফ ফেলছেন কেন? আপনার ব্যবহার্য্য জিনিস বা কাপড়, বিছানা পরিস্কার রাখছেন না কেন? পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, পাবলিক টয়লেট পরিস্কার রাখছেন না কেন? ময়লা আবর্জনা যেখান সেখানে ফেলছেন কেন?
কারন ভয়ংকর জিসটা আমরা দেখিনা। এখানে দরকার মানসিকতার পরিবর্তন। আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে ব্যাকটেরিয়া বলে ক্ষতিকর কিছু আছে। ভালোকথা সব ব্যাকটেরিয়া কিন্তু খারাপ নয়। আমরা মূলত খারাপ ব্যাকটেরিয়া নিয়ে কথা বলছি যারা রোগ তৈরি করে ও আমাদের ক্ষতি করে। ভালো ব্যাকটেরিয়াও কিন্তু আছে। যারা আমাদের বিভিন্নভাবে উপকার করে। সেটা আরেকদিন বলা যাবে। আমরা শুধু ব্যাকটেরিয়ার কথা বললে ভুল হবে। মাইক্রোবস্ মানে কিন্তু শুধু ব্যাকটেরিয়া নয়। মাইক্রোসকোপে যা দেখা যায় তাই হলো মাইক্রোবস্। সে হিসাবে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও আরো অনেক এককোষী জীবকে বুঝায়।
এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্ট বিষয়টা একটু জটিল। রেজিসট্যান্ট কি এবং কিভাবে মাইক্রোবস রেজিসট্যান্ট হয় তার জন্য একটু সময় নিয়ে কথা বলতে হবে। বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থা (WHO) ১৮-২৪ নভেম্বর বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স সতর্কতা সপ্তাহ পালন করছে। সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়েও উদযাপিত হচ্ছে সপ্তাহটি। “এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স বন্ধ করা সবারই সমন্বিত দায়িত্ব” এটাই হলো এবারের প্রতিপাদ্য।
মাইক্রোবস্ কি? এন্টিবায়োটিক কি? কিভাবে ব্যাকটেরিয়া রেজিসট্যান্ট হয়, ওষুধ অধিদপ্তর বিশেষ কি ব্যবস্থা নিয়েছে, ওষুধ কোম্পানিগুলো এখনও কেন এতটা সোচ্চার নয়, আমাদের কি করনীয় সে ব্যাপার পরে কয়েকটি ধারাবাহিক পর্বে আলোচনা করবো আশা করছি।
অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর ইউজ উইথ দ্য রিস্ক উইথ কিডনি স্টোন
BMJ ওপেন: প্রকাশিত, অক্টোবর, 2023
এই গবেষণার লক্ষ্য 2007 থেকে 2018 সালের জাতীয় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরীক্ষা সমীক্ষা (NHANES) ডেটা বিশ্লেষণ করে PPI ব্যবহার এবং কিডনি পাথরের মধ্যে সম্ভাব্য সম্পর্ক অনুসন্ধান করা।
হোম বার্তা নিয়ে
এই বৃহৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ক্রস-বিভাগীয় গবেষণার লেখকরা দেখেছেন যে প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর (পিপিআই) ব্যবহার কিডনিতে পাথরের পাশাপাশি বারবার পাথর হওয়ার প্রবণতার সাথে যুক্ত ছিল, প্রতি বছর নতুন পাথর হওয়ার ঝুঁকি 4% বৃদ্ধি পায়। পিপিআই ব্যবহার এবং বারবার পাথর হওয়ার ঝুঁকি 7% বৃদ্ধি পায়।
এই গবেষণাটি দীর্ঘমেয়াদী পিপিআই ব্যবহার এবং নতুন এবং পুনরাবৃত্ত কিডনি পাথর রোগ উভয়ের ঘটনাগুলির মধ্যে একটি সম্পর্ক দেখায়।
কিডনিতে পাথরের ইতিহাস বা ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের এই সমিতিতে পরামর্শ দেওয়া উচিত।
মানবদেহের ওজন বহনকারী যে কটি অস্থিসন্ধি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাঁটু। এই হাঁটুর ব্যথা প্রধানত বয়স্ক ব্যক্তিদের বেশি হয়ে থাকে। তবে যেকোনো বয়সেই হাঁটুর ব্যথা হতে পারে।
এই ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম অস্টিওআথ্রাইটিস বা বয়সজনিত অস্থিসন্ধি ক্ষয়। এ ছাড়া হাঁটুর লিগামেন্টে আঘাত পাওয়া, অস্থিসন্ধির মধ্যে দূরত্ব কমে যাওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন ইত্যাদি হাঁটুর ব্যথার জন্য দায়ী। সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
অস্টিওআথ্রাইটিস হলে হাঁটুতে ব্যথার পাশাপাশি হাঁটু ফুলে যাওয়া, হাঁটুর সন্ধি শক্ত হয়ে যাওয়া, হাঁটু লাল বর্ণ হওয়া, গরম অনুভব করা, হাঁটু ভাঁজ করতে সমস্যা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ সময় হাঁটাচলা বা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে সমস্যা হয়। চলাফেরার সময় হাঁটু ভাঁজ করলে শক্ত মনে হতে পারে, ব্যথা অনুভব হতে পারে। হাঁটুর শক্তি কমে যেতে পারে; ফলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয়ে থাকে।
হাঁটু ব্যথায় বরফ কিংবা গরম পানির সেঁক আরাম দিতে পারে। কখন এবং কোন প্রক্রিয়ায় সেঁক দেওয়া যাবে, সে জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আঘাতের কারণে যদি হাঁটুতে ব্যথা হয়, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে বরফঠান্ডা সেঁক আরাম দিতে পারে। তবে দীর্ঘদিন ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসজনিত ব্যথায় গরম পানির সেঁক সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম।
Ads by
হাঁটুর ব্যথার রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে পারেন। পাশাপাশি ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করলে হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনেক সময় রোগীর অস্থিসন্ধিতে ইনজেকশন দেওয়া হয়, আবার অনেক সময় শেষ চিকিৎসা হিসেবে হাঁটু প্রতিস্থাপন করার দরকার হয়। তবে ওজন কমানো ও দৈনিক জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে না পারলে হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন।
দিন দিন আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । ফলে গ্রীষ্মে যেমন বাড়ছে তাপদাহ তেমনি শীতের সময় কমে আসছে ।
কিছুদিন থেকে তীব্র গরম , বাড়ছে স্ট্রোকে পরিমান । আমরা যাকে হিট স্ট্রোক কিংবা গরম জনিত স্ট্রোক বলে থাকি। এই জঠিল পরিস্থিতি রোধ করতে মেনে চলুন নিচের পরামর্শ গুলো -
১। বাহিরে বেরনোর পূর্বে অবশ্যই ছাতা ব্যাবহার করুন।
২। সাথে পানির/সরবতের বোতল রাখার চেষ্টা করুন। বহন করা যায় এমন হাত পাখা কিংবা ইলেক্ট্রিক ফ্যান সাথে রাখুন ।
৩। শরীরের লবনের পরিমান ঠিক রাখতে খাবার স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে।
৪। কিছু সময় পরপর খাবার পানি পান করুন । নিজে পান করুন ও ছোট বাচ্ছাদের পানে আগ্রহী করে তুলুন।
৫। ছায়া আছে এমন জায়গায় অবস্থান করুন।
৬। আপনি নিজে তীব্র তাপমাত্রার ক্ষতির দিক জানুন ও অন্যদের জানিয়ে সচেতন করুন।
৭। ভরদুপুরে জরুরি কাজ না থাকলে যত সম্ভব বাড়ির বাহিরে না যাওয়া।
৮। আপনার বাসার আশপাশ কিংবা ফাঁকা জায়গায় ফলমূল / ঔষুধি গাছ লাগান।
৯। যেকোনো শারীরিক সমস্যায় বিলম্ব না করে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন/ ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।
১০। সরকার প্রদত্ত সকল গাইড লাইন মেনে চলুন।