اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَحْيَانَا بَعْدَ مَا اَمَاتَنَا، وَاِلَيْهِ النُّشُوْرُ

অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহ পাকের যিনি আমাদেরকে মৃত্যু দানের পর জীবিত করেছেন এবং মৃত্যুর পর তাঁরই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৬৩২৪)


بِسْمِ اللهِ، اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ

অর্থ: আমি আল্লাহর নামে প্রবেশ করছি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট নারী ও পুরুষ উভয় প্রকার দুষ্ট জিন থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৬৩২২, সুনানে তিরমিযী, হাদীস: ৬০৬)


غُفْرَانَكَ، اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَذْهَبَ عَنِّيْ الْاَذٰى وَعَافَانِيْ

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করে দিয়েছেন এবং আমাকে নিরাপদ করেছেন। (আবু দাউদ, হাদীস: ৩০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস: ৩০১)


  بِسْمِ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ

অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।


اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ذَنْبِـيْ وَوَسِّعْ لِـيْ فِيْ دَارِيْ وَبَارِكْ لِيْ فِيْ رِزْقِيْ

অর্থ: হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করে দাও। আমার ঘর প্রশস্ত করে দাও। আমার রিযিকে বরকত দান করো। (নাসায়ী- সুনানে কুবরা, হাদীস: ৯৮২৮)


اَشْهَدُ اَنْ لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ، وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ

অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো মা’বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই, এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।


প্রথমে দুরূদ শরীফ পড়ে এ দু‘আ পড়বে

اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ اٰتِ مُحَمَّدَانِ الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَانِ الَّذِيْ وَعَدْتَّهٗ. اِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ

অর্থ: হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ দাওয়াত ও প্রতিষ্ঠিত নামাযের অধিপতি। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উসীলা ও উচ্চমর্যাদা দান করো এবং তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) আসীন করো, যার ওয়াদা তুমি তাঁর সাথে করেছ। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা ভঙ্গ করো না।


بِسْمِ اللهِ، وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ، اَللّٰهُمَّ افْتَحْ لِيْ اَبْوَابَ رَحْمَتِكَ

অর্থ: আল্লাহ তা‘আলার নামে প্রবেশ করছি। রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের উপর। হে আল্লাহ! আমার জন্য তোমার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দাও। (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ৭১৩, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস: ২৬৪৭২, ২৬৪৭৩, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস: ২৯৭৫৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস: ৭৭১)


بِسْمِ اللهِ، وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ، اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ

অর্থ: আল্লাহ তা‘আলার নামে বের হচ্ছি। রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের উপর। হে আল্লাহ! আমার জন্য তোমার করুণার দরজাসমূহ উম্মুক্ত করে দাও। (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ৭২৮, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস: ৬২৮৩)


اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْمَا رَزَقْتَنَا، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে যে রিযিক দান করেছ তাতে বরকত দান করো এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো। (ইবনুস সুন্নী, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, হাদীস: ৪৫৭)


بِسْمِ اللهِ وَبَرَكَةِ اللهِ

অর্থ: আল্লাহ তা‘আলার নামে শুরু করছি এবং আল্লাহ তা‘আলার বরকতের সাথে এ খাবার খাচ্ছি। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস: ৭০৮৪)


بِسْمِ اللهِ اَوَّلَهٗ وَاٰخِرَهٗ

অর্থ: আল্লাহ তা‘আলার নামের বরকত গ্রহণ করছিÑ খাবারের শুরুতে ও শেষে (সর্বাবস্থায়)। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ৩৭৬৭)


اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِيْنَ

অর্থ: সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ পাকের জন্য, যিনি আমাদেরকে পানাহার করিয়েছেন এবং আমাদেরকে মুসলমান বানিয়েছেন। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস: ৩৪৫৭)


اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ غَيْرَ مَكْفِىٍّ وَلَا مُوَدَّعٍ وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبَّنَا

অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, এমন প্রশংসা যা পরিমাণে অধিক, পবিত্র ও বরকতপূর্ণ। হে আমাদের প্রতিপালক! এই খাবারই শেষ নয়, এই খাবার বর্জনীয় নয় এবং এই খাবারের প্রতি আমরা অমুখাপেক্ষী নই। ( সহীহ বুখারী, হাদীস: ৫৪৫৮; সুনানে তিরমিযী, হাদীস: ৩৪৫৬)



اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি এতে বরকত দান করো এবং তা আরো বৃদ্ধি করে দাও। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ৩৭৩০)


يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْ لِيْ

অর্থ: হে মহান ক্ষমাকারী! আমাকে ক্ষমা করুন।  (শু‘আবুল ঈমান, হাদীস: ৩৯০৩)


اَللّٰهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلٰى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্য রোযা রেখেছি এবং তোমার রিযিক দ্বারা ইফতার করেছি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ২৩৫৮)

ذَهَبَ الظَّمَاُ، وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ، وَثَبَتَ الْاَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ

অর্থ: তৃষ্ণা দূরীভূত হয়েছে, শিরা-উপশিরা সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় সওয়াব অর্জিত হয়েছে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ২৩৫৭)


বিসমিল্লাহ বলে পরিধান করে এই দু‘আ পড়বে:

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ كَسَانِـيْ هٰذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّىْ وَلَا قُوَّةٍ

অর্থ: সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ পাকের জন্য, যিনি আমাকে এই কাপড় পরিধান করালেন এবং আমার শক্তি ও সামর্থ্য ব্যতীতই এটা আমাকে দান করলেন।


اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ،اَللّٰهُمَّ كَمَا حَسَّنْتَ خَلْقِىْ فَحَسِّنْ خُلُقِىْ

অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহর, হে আল্লাহ! যেমনিভাবে তুমি আমার আকৃতি সুন্দর করেছ তদ্রুপ আমার স্বভাব-চরিত্রকেও সুন্দর করে দাও। (ইবনুস সুন্নী, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, হাদীস: ১৩৬)

اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَّامَّةٍ

অর্থঃ সকল শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদ নজর থেকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় চাচ্ছি। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৩৩৭১)


بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ

অর্থ: আমি আল্লাহ তা‘আলার নামে বের হলাম। আমি আল্লাহ তা‘আলার উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর তাওফীক ছাড়া গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা বা কোনো নেক কাজ করা সম্ভব নয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ৫০৯৫)

يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ

অর্থঃ হে চিরঞ্জীব সকল বস্তুর ধারক! আমি তোমার রহমতের সাহায্য প্রার্থনা করছি। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস: ৩৫২৪)

اَللّٰهُمَّ يَسِّرْ لَنَا اُمُوْرَنَا

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের কাজসমূহ সহজ করে দিন।


اَللّٰهُمَّ ارْحَمْنِيْ بِتَرْكِ الْمَعَاصِيْ

হে আল্লাহ! গুনাহ বর্জনের শক্তি দিয়ে আমার প্রতি দয়া করো। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস: ৩৫৭০)


 لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِىْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ حَىٌّ لَّا يَمُوْتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ

অর্থঃ আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কোন মা‘বূদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। সকল রাজত্ব তাঁরই এবং তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা। তিনিই জীবিত করেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন এবং তিনি চিরঞ্জীব-অমর। তিনি কখনও মৃত্যুবরণ করেন না। তাঁর হাতেই সকল কল্যাণের চাবিকাঠি। তিনি সর্বশক্তিমান।


اَللّٰهُمَّ صَيِّبًا نَّافِعًا

অর্থঃ হে আল্লাহ! (এই বৃষ্টিকে) কল্যাণকর, বরকতপূর্ণ এবং উপকারী বানিয়ে দাও। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ১০৩২)


اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ، بِاسْمِ اللهِ وَلَجْنَا، وَبِاسْمِ اللهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى اللهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রবেশস্থলের কল্যাণ এবং বের হওয়ার স্থানের মঙ্গল কামনা করছি। আমরা আল্লাহ তা‘আলার নামে প্রবেশ করলাম এবং আল্লাহ তা‘আলার নামে বের হলাম এবং আমরা আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার উপর ভরসা করলাম। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ৫০৯৬)

উক্ত দু‘আ পড়ে সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করবে।

বি.দ্র. শুধু বিসমিল্লাহ বলে সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করলেও সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে এবং আল্লাহ তা‘আলা ঘরকে শয়তান থেকে হেফাজত করবেন।


১ নং দু‘আ

اَللّٰهُمَّ بِاسْمِكَ اَمُوْتُ وَاَحْيَا

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই নামে মৃত্যুবরণ করি এবং তোমারই নামে জীবিত হই। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৬৩২৪)


২ নং দু‘আ

بِاسْمِكَ رَبِّـىْ وَضَعْتُ جَنْبِيْ وَبِكَ اَرْفَعُهٗ اِنْ اَمْسَكْتَ نَفْسِيْ فَارْحَمْهَا وَاِنْ اَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِه عِبَادَكَ الصَّالِحِيْنَ

অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! তোমার নামে আমার পার্শ্বদেশ রাখলাম (শয়ন করলাম) এবং তোমার নামেই তা উঠাবো (জাগ্রত হবো)। তুমি যদি আমার হায়াত শেষ করে দাও তাহলে আমার প্রতি দয়া করো। আর যদি হায়াত শেষ না করো, তাহলে নেককার বান্দাদের মত হেফাজত করো। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৬০৮৫)


সহবাসের পূর্বে এ দু‘আ পড়বে

بِسْمِ اللهِ،  اَللّٰهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

অর্থঃ আল্লাহর নামের সাথে শুরু করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে শয়তান থেকে রক্ষা কর এবং তুমি আমাদেরকে যে সন্তান দান করবে তাকে শয়তান থেকে রক্ষা কর। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৫১৪১)

বীর্যপাতের সময় (মনে মনে) এ দু‘আ পড়বে

اَللّٰهُمَّ لَا تَجْعَلْ لِلشَّيْطَانِ فِيْمَا رَزَقْتَنَا نَصِيْبًا

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে যে সন্তান দান করবে তাতে শয়তানের অংশ রাখিও না। (ইবনে আবী শাইবা, হাদীস: ১৭৪৩৯)