রহস্য কাহিনী

August 30, 2023

Titanic The Cloud Of Mystery (Read the entire article in বার্তা 2022 )

আজকালকার দিনে এমন কেউ নেই, যাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলতে পারবে না যে টাইটানিক কিভাবে রাতের অন্ধকারে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবেছিল। উত্তরটা অবশ্যই হবে বৃহৎ আকৃতির কোন হিমশৈলের সাথে ধাক্কা লাগার ফলে জাহাজে জল প্রবেশ করে জাহাজের নিমন্ত্রণ ঘটেছিল। কিন্তু তাই?সত্যিই কি হিমশৈলের সাথে ধাক্কার ফলেই এই নিমজ্জন? এ নিয়ে সংশয় কম নয়। আজ পর্যন্ত এর আসল কারণ জানা সম্ভব হয়নি।যদিও এই ঘটনা নিয়ে এতো নানা রকম নতুন নতুন তথ্য উদঘাটন হচ্ছে, এবং যা থেকে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন থিওরি। তার মধ্যে কয়েকটি কারণ নিয়ে এই প্রবন্ধে আলোচনা করা হলো। তত্ত্বের মধ্যে প্রথমেই আসে আর্মেনীয় লেখক এর কথায়। তিনি পরবর্তীকালে তার লেখা গ্রন্থে বর্ণনা দিয়েছেন সেই রাতে কি ঘটেছিল। তার লেখাকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কারণ তিনি সেই টাইটানিকেরই একজন ধাত্রী ছিলেন। তিনি সাউদাম্পটন থেকে আমেরিকায় যাচ্ছিলেন জলপথে আর সেই পথেই ঘটেছিল দুর্ঘটনা। তার লেখায় তিনি বলেছেন, তিনি যাত্রাপথে একজন ফের সাথী পেয়েছিলেন যার নাম ছিল Moren | Vaginak নিজেও অসাধারণ ফরাসি ভাষা জানতেন এবং বলতেন, সুতরাং তাদের বন্ধুত্ব করতে অসুবিধা হয়নি। তারা দুজন বন্ধু ১৪ই এপ্রিল 1912 তারা জাহাজের ঘরে নিজেদের বিছানায় শুয়েছিলেন। এমন সময় হঠাৎই প্রবল ঝাঁকুনিতে তারা দুজনেই নিজেদের বিছানা থেকে পড়ে যান এবং সামান্য আহত হন। Vaghimak দ্রুত তার পাসপোর্ট ও ৫৪ ডলার নিয়ে জাহাজের ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে কি ঘটেছে তা বোঝার চেষ্টা করেন। কে জানত সেটাই তার শেষবার জাহাজের ঘর থেকে বেরোনো। লেখক এর সাথে তার বন্ধ Moren ও বেরিয়ে আসে ও সোজা জাহাজের ডেকে চলে যান দুজনে। তখন চারিদিকে প্রবল চেঁচামেচি শুরু হয়ে গেছে ও জাহাজ থেকে লাইফ বোট সমুদ্রের জলে নামানো হচ্ছে। কিন্তু সেই লাইফবোট পুরুষদের দেওয়া হচ্ছে না প্রথমে শুধুমাত্র মহিলাদের এবং শিশুদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোন পুরুষ যেতে চাইলে শূন্যে গুলি করা হচ্ছে। এ সময় তারা দুজন সমুদ্রের ঝাঁপ দেয়ার পরিকল্পনা করেন।Vaghinak কোথা থেকে একটি লাইভজ্যাকেট জোগাড় করে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন। সমুদ্রে ঝাঁপ দেন Moren-3।কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সাথে সাথে একটি বিশাল ঢেউ তাদের দুজনকে আলাদা করে দেয়।সেই রাতের হিমশীতল সমুদ্রের জলে তারা দুজন দুদিকে ছিটকে যান। এরপর লেখকের লেখায় আর Moren এর কোন উল্লেখ পাওয়া যায় না,সেই 28°F – এই হিমশীতল জলে লেখক সারারাত সাঁতার কাটতে লাগেন। কিন্তু তিনি হাইপোথার্থিক এর কবলে পড়েন। এমন সময় একটা লাইফবোট সেই জলে তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল  কিন্তু লাইফবোটটি ভর্তি থাকায়, ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় তাকে সেই নৌকায় নেওয়া হলো না।তিনি সেই জলের মধ্যেই অজ্ঞান হয়েযান। অর্থাৎ বাঁচার উপায় নেই বললেই চলে, কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে পরের দিন সকালে তিনি নিজেকে অন্য একটি জাহাজের(carpathia) ডেকে শুয়ে থাকা অবস্থায় আবিষ্কার করলেন। জাহাজটি USA যাচ্ছিল। সেখানে পৌঁছে লেখক কে হসপিটালে ভর্তি করা হয়, আর এখানেই এই রহস্যের উদ্ঘাটন হল যে কিভাবে তিনি সমুদ্রের জল থেকে এলেন হসপিটালে। হসপিটালে তার সাথে একজন মহিলা দেখা করতে আসেন। এই মহিলার নাম Mrs. Astor । তিনি ওই লাইফবোটের একজন যাত্রী ছিলেন। এই লাইফবোট লেখককে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল, কিন্তু তিনি কালেন যে লাইফবোট তাকে ফেলে রেখে চলে যায়নি। Mrs. Astor তাকে নিজের পুরের পরিচয় লাইফবোর্ডে তুলেছিলেন। কিন্তু তার আগেই লেখক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন।এরপরই carpathia নামক উদ্ধারকারী জাহাজে তার স্থান হয়।কিন্তু, লেখক একবারও তার সমগ্র লেখায় হিমশৈলের উল্লেখ করেননি, বরং তার লেখায় পাওয়া যায়। যে জাহাজের ফুয়েল চেম্বারে কয়লার বিস্ফোরণের ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এই তথ্যকে অনেকে সমর্থন করেন আবার অনেকে করেন না।কারণ দুর্ঘটনার পর জাহাজের অবশিষ্ট অংশকে সমুদ্র থেকে উদ্ধারের পর দেখা গেছে জাহাজের নিচের দিকে বিস্ফোরণের কারণে ফেটে যাওয়ার মত একটা চিহ্ন রয়েছে, যা এই তথ্যকে আরও মজবুত ভিত্তি প্রদান করে।অন্য একটা মত রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে একটা জার্মান সাবমেরিন টর্নেডোর মাধ্যমে টাইটানিককে আঘাত করে ও যার ফলে টাইটানিক ডুবে যায়। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের মতে যখন টাইটানিক ডুবে যাচ্ছিল তখন নাকি মাঝ সমুদ্র থেকে একটা সার্চলাইট ফেলা হচ্ছিল টাইটানিকের ওপরে কিছু সময়ের জন্য অপ্রত্যাশিত ভাবে। যদিও এই তথ্যের তেমন সমর্থন মেলে নি।কারণ, সময়টা ছিল ১৯১২ সাল, সে সময় পৃথিবীতে শাস্তি বিরাজ করছিল। এই সময় কোন দেশই কোন কারণ ছাড়া এমন নিশংস কাজ করবে না বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। এতো গবেষণার পরেও আমরা আজ পর্যন্ত এখনো টাইটানিক ডুবে যাওয়ার কোনো নিশ্চিত বা প্রত্যক্ষ কারণ আবিষ্কার করতে পারেনি। এখনো পর্যন্ত তা প্রশ্ন হয়েই ঠিকই থেকে গিয়েছে। আঘাতেই ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক নাকি ডোবানো হয়েছিল পরিকল্পনামাফিক? বিজ্ঞানের যত অগ্রগতি ঘটবে নিশ্চয়ই একদিন আমরা এর আসল কারণ জানতে পারবো।

Promit Tarafder