কুহকের ডাক

শূন্য, ভগ্ন হৃদয় কীইবা প্রার্থনায় নিমগ্ন,

যখন অন্ধকার সময়ের শেষ ঘন্টাটা বেরসিকভাবে বেজে ওঠে?

নিশীথের অশীতিপর বৃদ্ধের শুষ্ক শ্বাস কিংবা

জরাগ্রস্ত হলদে পাতার দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ফসিলসম দেহ -

কোনোটিই কি পেতে পারতো না ত্রিকালজ্ঞের স্নেহভরা মমতা?

অমলিন স্বরে ধ্বনিত হয় সন্ধ্যেবেলার করুণ আর্তনাদ – বিনিদ্রের

কাকুতি ফিরে ফিরে আসে পর্বতের কঠিন গাত্র হতে।

সারিবাঁধা পিঁপড়ার দলের মতন রেলগাড়ির বগিগুলো ছুটে যেতে থাকে,

স্ফূট এক কান্নার সুর তুলে – ডপলার অথবা অতিপ্রাকৃত কোনো প্রভাবে।

প্রচন্ড সবল জলস্রোত যেমন মানে না কোনো বাধা –

কিন্তু ফেনসমেত জমে থাকে কোনো এক কোণে। মনের গহীনে

ভালোবাসা যেন কাছে এসে বিষাক্ত,

পরম প্রেম যেন দূরে থেকেই বিশুদ্ধ।

জীবনানন্দ পেতেও পারেন দুদন্ড শান্তি।

ট্রামের তলায় বা পিচঢালা রাস্তার ’পরে

জমাট-বাঁধা কালচে রক্ত যখন চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে –

বনলতারা তখন দূর থেকেই সুন্দর - চির-পবিত্র, মোহিনী, কুহকিনী।

(মিনিয়াপলিস || জুন ৪, ২০২০)