Before thinking of law, we must realize what is defined as a personal injury! When a person falls victim economically, non-economically, emotionally or anyhow for wrongful or unethical acts of another person, that situation is defined as personal injury. There can be a number of challenges or setbacks faced by the victim that needs to be analyzed in detail to derive the accurate recovery. Sometimes there can be more than one damages of different severity to recover from in the long term.
This is also true that these conclusions stand on a variety of facts from the other side. Once the victim is eligible for compensation, only then the Lawyer can help recover the damages.
Let us have a look at the different damages a civilian may fall upon:
This is exactly the way it sounds- the economic loss the victim or the family may have faced due to any kind of accident. Most commonly this includes the financial expenditure of medical treatment as well as psychological therapy.
Whether this expense lies in the future or occurred in the past,
The personal injury Lawyer holds account of the entire financial damage as a result of injury and helps recover.
Non-economic damages are uncountable and range wider than economic damage. It includes psychological trauma, loss of the quality of life, sensory impairment, emotional pain and so on. These injuries are mostly caused by sudden accidental death of a family member or a loved one.
This is definitely more severe than economic damage and experts need to handle these injuries to help the victim(s) recover. Or, even punish the guilty if irrecoverable damage has been done!
Punitive damages are very different in nature for these are the ones where the victim is not rewarded but the offender is punished. These are considered crimes with prominent laws to defend and clear rules for the civils to follow regarding defense. Although these are very visible in nature, they may be misleading hence more complicated. These damages are not always compensated because some irrecoverable damage or permanent ones. There are insurance policies available, but the insurance can stand against any allegation and often opt for keeping the payment as minimum as possible.
These cases are unpredictable regarding time to resolve. It may take a week to reach a conclusion or months to collect all the data! Experienced lawyers will defend the plaintiff with minimum time for keeping the trouble to the least and maximize the benefits as stake. It is a task of an expert with enough knowledge to provide the victim with the accurate amount of insurance compensation while fighting against both the offender and the insurance company.
HOW DOES THE PERSONAL INJURY LAWYER HEP:
Whereas the law supports any type of victim to stand up, qualifying for an injury because of another person’s misdeed takes a lot of logics and data analysis. A personal injury lawyer performs several services such as:
Whether you are eligible or not, hire a personal recovery lawyer in case of any damage. This is a wise investment that pays back itself.
Writer:
NUR-E-JANNAT SHUSMITA
Creative Professional
Source: Internet websites.
যারা পোশাক আশাক বা চলন-বলনের কায়দা নিয়ে শৌখিন, তাদের কাছে চামড়ার দ্রব্যই চূড়ান্ত স্টাইল! কিন্তু যেকোনও জিনিসের স্টাইলের সাথে টেকসই আর মানসম্পন্ন হওয়াটা খুব জরুরী। চামড়া এমন একটা জিনিস, যেটা আসল আর নকল দুরকমেরই পাওয়া যায় বাজারে- আর দুটোরই বাজারে ভিন্নরকম চাহিদা ও ক্রেতা রয়েছে।
যারা প্রথমবার চামড়ার জিনিস কিনতে চান, অথবা www.tuketaki.com থেকে অনলাইনে Viper-এর পণ্য কিনতে চান, তাদের কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিৎ।
যদি দেখেন লেবেলে লেখা রয়েছে “আসল চামড়া” (অথবা ১০০% লেদার/রিয়েল লেদার/...) তাহলে বুঝবেন এটা আসল চামড়া। Viper-এর সকল বিজ্ঞাপণ ও পণ্যের বৈশিষ্ট্যে স্পষ্ট উল্লেখ করা থাকে - Pure Leather Product.
যদি “সুইফট লেদার”/“সিনথেটিক” অন্য কিছু লেখা থাকে, বুঝবেন এটা সত্যিকারের চামড়া নয়।
আসল চামড়া কিন্তু আমাদের চামড়ার মতই। এর ক্ষেত্র বা তল অমসৃণ দেখাবে। এর মধ্যে ত্রুটি থাকবেই। যেমন Viper –এর পণ্য অমসৃণ। যদি খুব মসৃণ, নিখুঁত তল দেখেন, তাহলে তা আসল চামড়া নয়।
আবারও একই বিষয়- পশুর চামড়া আমাদের চামড়ার মতোই। ছুঁলে টের পাবেন অমসৃণ তল। আঙ্গুল দিয়ে একটু চাপ দিয়ে দেখবেন । যদি দেখেন জিনিসটা কুঁচকে গিয়েছে, আর সমান হতে সময় নেয়, তাহলে বুঝবেন এটা আসল চামড়া। Viper –এর পণ্য, যেমন কম্ফোরটেবল মেন্স শু, ওয়ালেট, ওয়েস্ট ব্যাগ, গ্লাভস, জ্যাকেট-সবগুলোই অমসৃণ ও অসমান তলের।
নকল চামড়া স্পর্শ করলে ঠান্ডা লাগে। খুব মসৃণ হয়। আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে কোঁচকায় না সহজে। আর সমান হয়ে যায় সেকেন্ডেই।
যারা এর আগে চামড়ার জিনিস কিনেছেন, বা যাচাই করেন, তারা ভাল জানেন যে আসল চামড়ার গন্ধ একটু “চামড়ার” মতই! একটু নোনতা আর ধোঁয়াটে গন্ধ থাকে তাতে। আমাদের আশেপাশের একটা চেনা গন্ধের আভাস থাকে-যেটা “প্রস্তুত” করা যায় না! Viper-এর পণ্যের ঘ্রান নিলেই বুঝবেন যে এটি pure leather product.
যদি খুব রাসায়নিক/ সুগন্ধী/ তীব্র গন্ধ পান, সেটা নকল চামড়া।
কেনার সময় যদিও এই পরীক্ষাটা করতে পারবেন না আপনি। তবু জেনে রাখার উচিত। আপনি যদি চামড়ার জিনিসের খুব কাছে লাইটারে আগুন জ্বালেন, আসল চামড়া কিছুক্ষণ পর পুড়তে শুরু করে। কোনও শিখা না জ্বেলে, অনেকটা মাংস পোড়ার মতো গন্ধ নিয়ে পুড়ে যায়।
নকল চামড়া উত্তাপ পেলেই উজ্জ্বল শিখা নিয়ে জ্বলে উঠে, বুদবুদ হয়ে গলে যায় আর প্লাস্টিক পোড়ার তীব্র গন্ধ ছড়ায়।
যারা সত্যিকারের সত্যিকারের শৌখিন, তারা জানেন প্রকৃত চামড়ার দাম বেশি। কারণ একটা জৈবিক দ্রব্যকে প্রক্রিয়াকরণের খরচ অনেক বেশি। নকল চামড়া দেখতে সুন্দর, দামে কম। কিন্তু মানসমপন্ন বা টেকসই হয় না।
সবচেয়ে ভাল হয় যদি সবসময় সুপরিচিত ব্র্যান্ড থেকেই চামড়ার জিনিস কিনেন। বাংলাদেশে সুপরিচিত ব্যান্ড VIPER - ১০০% খাঁটি চামড়ার জন্য। এখন Tuketaki.com থেকে ঘরে বসেই অর্ডার দিয়ে নিতে পারেন। শৌখিন পুরুষের টুকিটাকি এখন tuketaki.com-এ!
Written for:
on introducing VIPER in Tuketaki
পেশার ক্ষেত্রে সবাই একটা নেতার ভূমিকায় যেতে চায়। যেকোনও প্রতিষ্ঠানে অবস্থানের একটা ধারাবাহিকতা থাকে। তাই যখন কেউ কাজ শুরু করে তখন না হলেও, একটা সময় পর যখন এগিয়ে যেতে চায় সবার চেয়ে, তখন বস-এর পজিশনটাই চায়। আর কিছুটা সিনেমায় দেখা মোটিভেশনাল হিরোদের দেখে উৎসাহিত হয়ে চায়। সবাইকে নিজের অনুসরণকারী হিসেবে দেখতে কার না ভাল লাগে!
মাঝে মাঝে আমি নিজেই অনেক অদ্ভুত প্রশ্নের সম্মুখীন হই। যেমন:
“আপনার তো কোনও টেনশন নাই। সব কাজ অধীনস্থরাই সামলায়”!
অথবা,
“আসলে উদ্যোক্তা হওয়াটাই আরামের। নিজের নিয়মমতো, সুবিধামতো টাইম সেট করা যায়”।
মাঝে মাঝে রাগ হয়। আবার ভাবি, এগুলো যারা বলছে তারা নিজেদের বস বা অফিসে এমনটা দেখে অভ্যস্ত তাই বলছে। আমাদের দেশ অফিস কালচার বা ওয়ার্ক কালচার নিয়ে খুব একটা এগিয়ে নেই। এখনও আমরা অনেকেই জানি না অফিসের পরিবেশ মানুষের কর্মক্ষমতাকে কতখানি প্রভাবিত করে!
যারা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কোনও লিডিং পজিশনে আছেন, আজকের লেখাটা তাদের জন্য। আপনার কাজের জায়গায়, নিজের টিমের জন্য এমন কিছু করবেন যাতে তারা বুঝে আপনি তাদের মূল্যায়ন করেন। কোনও বাধাধরা নিয়ম নেই, তবুও কিছু বিষয় আমরা করতে পারি সবার জন্য। যেমন:
এটা খুব কমই সম্ভব, বছরে দুই তিন বারের বেশি সম্ভব না। হুট করে একদিন আপনি টিমের সবাইকে ছুটি দিবেন। আর এজন্য সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করবেন না। বিশেষ করে রমজানের মাঝামাঝি। এসময় সবাই একটু দুর্বল অনুভব করে কাজের বাড়তি চাপে। যদি সম্ভব হয়, কোনও একদিন অঘোষিত ছুটি দিবেন। অবশ্য সেটা অন্য সময়ও হতে পারে। আমাদের আবহাওয়া এখন অনেক চরমভাবাপন্ন হয়ে গিয়েছে। খুব গরমের সময় কোনও একদিন ছুটি দিবেন।
সবাই সরাসরি না বললেও বুঝবে যে আপনি তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
বছরে অন্তত দুইবার আপনার টিমের সবার কাছ থেকে অভিযোগ জানতে চাইবেন। এটা মূল্যায়ন করার জন্য না। সবাই যেন কোনও নাম প্রকাশ না করে আপনার প্রতি বা নিজের কাজের প্রতি অভিযোগ থাকলে জানায় আপনার কাছে। আর আপনিও গোপনীয়তা রক্ষা করবেন। যতখানি সম্ভব সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন। বেশির ভাগ সময় কর্মচারীরা খুব সামান্য বিষয়গুলো চেপে যায়। এই সুযোগে আপনাকে জানাতে পারলে খুশি হবে।
কর্মচারী বা সহকর্মীরা যতই খুশি থাকুক না কেন, একটা না একটা সময় একঘেয়েমি চলে আসে কাজে। মাসে একটা দিন, অথবা প্রতি দুই মাসে একদিন টিমের সবাই মিএ সিনেমা দেখতে যাবেন। এখন অনেক সিনেপ্লেক্স হচ্ছে আর নতুন নতুন সিনেমা নিয়ে অনেক চর্চা হয়। একদিন সবাই মিলে পছন্দ করে একটা সিনেমা হলে গিয়ে দেখবেন। পরের অনেক দিন দেখবেন সবার মন অনেক হালকা হয়ে যায়।
নিয়মমাফিক মূল্যায়নের বাইরেও আপনার টিম মেম্বারদের ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানান। সব মানুষের পরিশ্রম সমান হয় না। কেউ হয়ত খুব বড় কোনও অর্জন দেখাতে পারছে না, কিন্তু তার পারিবারিক অনেক সমস্যা হয়ত এর জন্য দায়ী। তার দিকটা বুঝবেন। শুধু তার দায়িত্বটা ঠিকভাবে পালন করছে বলেই তাকে ধন্যবাদ দিন। এতে সে নিজের গুরুত্বটা বুঝবে। এমন প্রত্যেকের নিজস্ব শক্তি বা সীমাবদ্ধতা থাকে। তাদেরকে জানবেন এবং তাদের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ দিবেন।
প্রত্যেক টিমের কাজের নিজস্ব ধরণ থাকে। কখনও কখনও লিডারকে কঠিন হতে হয়। সব সময় সবাই বুঝবে না-এটাই স্বাভাবিক। তবে কিছু ছোটখাটো আয়োজন দিয়ে আপনি বুঝিয়ে দিতে পারেন যে আপনিও তাদের “টেনশনে”, দায়িত্বে, সময়ে, সমান অংশীদার। লিডার মানে যে সব্বাইকে সাথে নিয়ে চলে- সবার উপরে বসে না। আপনি যেমন বস হবেন, আপনার টিমও তেমন উৎসাহ নিয়ে কাজ করবে।
আপনাদের নিজস্ব মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান অথবা শেয়ার করুন সবার সাথে।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
Written for:
about.farabee.me/blog
Valentines’ Day বছরের সবচেয়ে আনন্দের উৎসব- বিশ্বজুড়ে তরুণ তরুণীদের মাঝে, এমনকি মধ্যবয়স্কদের মাঝেও, যারা ভালবাসা উদযাপনে উৎসাহী! খুব রোমাঞ্চকর একটা দিন তাঁদের সবার জন্য যারা ভালবাসায় বিশ্বাসী, সম্পর্কে আবদ্ধ।
ঠিক বিপরীত একটা দিন তাঁদের জন্য যারা এই দিনটায় একা- কোনও প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ নন। হতে পারে তারা ভালবাসায় বিশ্বাসী, মনে মনে ভালবাসেন কাউকে, কিন্তু সেই মানুষটা নেই তাঁদের সাথে। অথবা যারা পুরনো কোনও স্মৃতিতে এতোটাই আহত, যে ভালবাসায় আর বিশ্বাস করতেই পারছেন না। কেউ এমনও আছেন, যারা অপেক্ষা করে আছেন কারও জন্য, কিন্তু এই দিনটায় না চাইলেও হতাশায় ডুবে যান- আশেপাশের সবার ভরপুর ভালবাসা দেখে, নিজের সময়টা খুব শূন্য মনে হয়!
আজকের এই লেখাটা সেই একা মানুষগুলোর জন্য, যারা আসন্ন ভালবাসা দিবসের আতংকে ভুগছেন।
এই লেখাটা আপনাকে আশা দেবার জন্য না। আমরা বলছি না যা আছে তা নিয়ে খুশি থাকুন, অথবা, আপনার এই একাকীত্বের চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট আছে মানুষের জীবনে- তাই নিজের জীবন নিয়ে খুশি থাকুন! কারণ আমরা জানি, জীবন এতো সহজ সমীকরণ নিয়ে আগায় না। আর সবার জন্য একই সূত্র তো না-ই।
তবে, আমরা এইটা খুব জোর দিয়ে বলছি- একা একা কিন্তু খুশি থাকা যায়। অনেক অসম্ভব মনে হয় যদিও। আপনার জন্য এটা সম্ভব করে দিতে আমরা যতটা পারি, সাহায্য করছি।
এই বিভ্রমে পড়বেন না। এটা জেনে রাখুন, যেই মানুষগুলোর ভাল থাকা (অথবা সম্পর্ক) দেখে আপনার নিজেকে অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে, সেই সম্পর্কগুলোর পূর্ণ চিত্র যদি আপনার সামনে আসে, আপনি নিজের জন্য সেটা চাইবেন না কখনও। এর চেয়ে বাস্তব পরামর্শ আপনাকে কেউ দিবে না, বাস্তবে বা ইন্টেরনেটে! Social Media-তে তো না-ই! ভালবাসা দিবস জনপ্রিয় হয়েছে mass media দিয়ে, বাণিজ্যিক কারণে; আর তার বিস্তার করছে social media.
এই দিনে social media থেকে দূরে থাকুন যদি সম্ভব হয়। না হলে, কোনও তথ্যকেই গুরুত্ব দিবেন না।
সুতরাং, অন্যদেরকে বাদ দিয়ে চিন্তা করুন নিজের অবস্থাটা । দেখবেন যতটা নিঃসঙ্গ অনুভব করছেন আপনি- তার বেশিরভাগটাই অপ্রয়োজনীয়।
এর চেয়ে নির্মম কী হতে পারে, যদি আপনি আপনাকে ভাল না বাসতে পারেন? হতে পারে আপনি অনেক ভুল করেছেন, নিজের একাকীত্বের জন্য নিজেকে দায়ী করছেন। মানলাম সবই সত্যি… কিন্তু আপনি নিজেকে ক্ষমা করতে না পারলে অবস্থাটা পালটাবে না কখনও।
কোন পরিস্থিতিতে, নিজের কী সীমাবদ্ধতার জন্য আপনি যা-ই করেছেন, তা আপনার চেয়ে ভাল কেউ জানে না। নিজের প্রতি সহনশীল হোন- নিজেকে ক্ষমা করুণ। আর নিজেকে উপলব্ধি করার চেয়ে ভাল কোনও আরম্ভ হতে পারে না।
অথবা, যদি পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, মানুষগুলোর প্রভাবে (বিচারে) এই চিন্তা তৈরী হয়, যে আপনি যথেষ্ট না, আপনার কমতি অনেক, তাহলে প্রথমে এই পরিবেশ বা মানুষগুলোকে নিজের চিন্তা থেকে দূরে রাখুন। আপনি অবশ্যই অসাধারণ, যে কোনও কিছু অর্জনের যোগ্যতা আপনি রাখেন। হোক তা ভালবাসা অথবা আর্থিক সাফল্য, বা যা কিছু। নিজের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। নিজেকে বিশ্বাস করুন। নিজেকে সাহস দিন সবসময়য়- যেমন সবচেয়ে কাছের বন্ধুকে দিতেন।
তারপরেও অনুরোধ করছি- এই একটা দিক থেকে চিন্তা করে দেখুন।
যেই মানুষটা আপনাকে আঘাত করেছে, তার কাছে আপনার কোনও সীমাবদ্ধতা ছিল, কোনও দুর্বলতা ছিল, বা কোনও গুরুত্ব ছিলই না!আপনাকে যতখানি বলা হয়েছে, তার বাইরে কিন্তু আপনি জানেন না! একাধিকবার যদি এমন অভিজ্ঞতা হয়, তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করতে শুরু করে মানুষ-
“আমি কি নিজেকে প্রকাশ করতে পারি না? আমার মধ্যে ভালবাসার মতো কিছুই নেই? সবাই শুধু টাকা/(…) দেখে, ভিতরের মানুষটাকে কেউ বুঝল না!’’
এক পর্যায়ে সে নিজেও এটা বিশ্বাস করতে শুরু করে এবং সবার থেকে নিজেকে আড়াল করতে শুরু করেন। তারপর আবার এই হতাশায় ডুবে যান- “আমাকে কেউ বুঝল না!”
এখন শুনেন, আপনার ভিতরের সবচেয়ে দামী যা আছে, তা অন্য কেউ তখনই বুঝবে যখন আপনি প্রকাশ করবেন তার সামনে।
হতেই পারে, এই গুণটাকেই কেউ আঘাত করেছে। এই দিকটাই দুর্বল করে দিয়েছে। সেটা আবার হবে যদি না আপনি আলাদা করতে পারেন- সঠিক মানুষ কারা আর ভুল মানুষ কারা। আর আলাদা করতে পারবেন তখনই যখন নিজেকে বের করে আনবেন সবার সামনে। শিক্ষিত হন আপনি।
ধরে নিন, আপনার সবচেয়ে বড় গুণ আপনি খুব হাসিখুশি। সবসময় হাসিখুশি থাকবেন। মন খারাপ থাকলেও। যেকোনো খানে, যে কারও সাথে হাসিমুখে কথা বলবেন। মন-খারাপ মানুষগুলোর সাথে আরও বেশি হাসিমুখে কথা বলবেন।
আপনার সবচেয়ে বড় গুণ যদি হয় যে আপনি খুব শান্তশিষ্ট, যে কোনও অবস্থায় মন শান্ত রাখতে পারেন; আপনি সবার কথা শুনবেন। মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। অস্থির মানুষগুলোকে সবচেয়ে বেশি সময় দিবেন।
আপনার সবচেয়ে ভাল দিক যদি এই হয় যে আপনি খুব শ্রদ্ধাশীল; সবাইকে দেখান সেটা। দূরে থাকবেন না। পথে ঘাটে, বাস স্টপে, যেখানে যে কারও যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনি বিনীত আচরণ করুন। তাঁদের ব্যাগটা ধরে সাহায্য করুন, দরজা খুলে সাহায্য করুন- যেভাবে পারেন।
সঠিক মানুষটা যে কোথায় কোন কোণ থেকে আপনাকে দেখছে আপনি জানেন না। সে চিনবে কীভাবে যদি আপনাকে দেখে সে না-ই বুঝে আপনি কেমন? হয়ত কেউ মনে মনে খুঁজছে হাসিখুশি কাউকে/ শ্রদ্ধাশীল কাউকে/ শান্তশিষ্ট কাউকে/…। অনেকের ভিড়ে সে যাতে আপনাকে চিনে নেয়, আপনার কাছে আসতে পারে- সেই সুযোগটা তো দিবেন আপনি তাকে?
এতকিছু এই জন্যই বলা-
ভালবাসার দিনটা কারও জন্য কঠিন না হোক। এই দিনটা কারও মনে তিক্ততা তৈরি না করুক। এইটা একটা আধুনিক উদযাপন। বাণিজ্যিক উৎসব। আশেপাশের পরিবেশ এই দিনটা একা মানুষদের জন্য খুব কঠিন করে দেয়। আমরা চাই না, সময়ের অস্থরিতায় ভালবাসাও একটা বিতর্কিত বিষয় হয়ে যাক কারও জন্য।
তাই নিজেকে ভালবাসুন। নিজেকে উদযাপন করুন। আপনি নিজেই কিন্তু নিজের জীবনসঙ্গী সবার আগে। আপনার নিজের প্রতি এই ভালবাসা দৃঢ় হোক! সময়ের অস্থিরতা যেন স্পর্শ করতে না পারে আপনার এই সত্ত্বাকে।
ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা আপনাকে
[প্রচ্ছদের লাইন দুটি কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতা থেকে নেয়া।]
ভালবাসা দিবস নিঃসন্দেহে বছরের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত একটা উৎসব তরুণ তরুণীদের কাছে। যদিও তরুণরা পালন করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে যায় প্রায়ই, কারণ, বান্ধবীকে কী উপহার দিতে হবে, আর একটা দিনের উদযাপন মানে বিশাল আয়োজন! এদিক থেকে মেয়েরা আবার খুব আবেগী – অধিকাংশ সময়ই তারা একান্তে সময় পেলেই খুশি। সাথে একটা কার্ড আর চকলেটের বাক্স থাকলেই হয়। কিশোরী থেকে উঠতি বয়সের মেয়েরা এই কার্ড আর চকলেটের বাক্স র্যাপিং পেপার না খুলেই রেখে দেয়।
ভালবাসা জিনিসটাই এমন- মানুষের নিয়ন্ত্রণ নষ্ট করে দেয়।
বছরের এই সময়টায় সবখানে দেখি- ভালবাসা দিবসে কী কী উপহার দেয়া যায় বান্ধবীকে, এই নিয়ে টিপস! অনেকটা মনে হয় উৎসবটা মেয়েদের জন্যই। এমনটা হবের কারণ আছে। ছেলেরা এতো উপহার উপহার করে না। তারা যাকে ভালবাসে, তার সময় পেলেই খুশি।
সমস্যাটা হয়ে যায় যখন দুইজনের চাওয়া-পাওয়া একসাথে মিলাতে হয়।
একবার যদি ছেলেদের চোখ দিয়ে দেখি, ভালবাসা দিবস জন্মদিন বা অন্য কোনও বিশেষ দিনের মতই- মনে থাকে না!
কিন্তু, একটা সময়ে আসে যখন সব পুরুষ এই দিনটার জন্য আরাধনা করে থাকে… যখন প্রেমে পড়ে নতুন। সরাসরি বলবে কীভাবে, কখন- তখন মনে হয় ভালবাসা দিবসের চেয়ে ভাল কোনও দিন হয় না। আর যখন সরাসরি প্রেমিকাকে বিয়র প্রস্তাব দিতে হয়, তখনও। দিনটাই এমন রোমান্টিক, অর্ধেক কাজ তাতেই হয়ে যায়। এরপর বলার অপেক্ষা!
ভালবাসা দিবসে আপনার সেই বিশেষ বান্ধবীকে কী উপহার দিবেন?
খুব টুকটাক কিছু দিয়েই মেয়েদের মন জয় করে ফেলা যায়। কিন্তু, সেটা বছরের যে কোনও সময়ের জন্য প্রযোজ্য। টুকটাক ভালবাসার কিছু উপহার আপনি সারা বছরই দিতে পারেন এবং অবশ্যই দিবেন। ভালবাসা দিবস একটা বিশেষ দিন – যখন আপনার ভাবনার গভীরতা প্রকাশ করতে পারেন আপনি একটা উপহারের মধ্য দিয়ে।
চেষ্টা করবেন একটু শৌখিন উপহার দিতে এই দিনটায়।
সারা বছর আপনি কম খরচে সামান্য কিছু উপহার হিসেবে দিতেই পারেন, প্রিয়জন এতেই খুশি হয় ঠিক। কিন্তু আপনার দিক থেকে তাকে খুশি করার যে চেষ্টা থাকে, তা হারিয়ে যায় সময়ের সাথে। এই দিনটায় তাকে আপনি মনে করিয়ে দিতে পারেন যে তার হাসিমুখ দেখার জন্য আপনি অপেক্ষা করে থাকেন।
প্রেমিকার প্রিয় রঙ, তার পছন্দের ধরণ অনুযায়ী গহনা কিনে দেয়াটাই সবচেয়ে ভাল। তবে তার যদি পোশাকের প্রতি দুর্বলতা থাকে, সেটাও সম্ভব। আর যেকোনও সময়ের সাপেক্ষে handbag খুব ভাল আর প্রয়োজনীয় একটা জিনিস। আমাদের ওয়েবসাইটে শৌখিন ডিজাইনের ব্যাগ পাবেন যা যে কোনও নারীর পছন্দ হতে বাধ্য।
www.tuketaki.com থেকে ঘরে বসেই কিনে ফেলতে পারেন এই উপহারগুলো।
অবশ্যই ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানাবেন।
দোকানের কার্ডে অনেক সুন্দর কথা লেখা থকে, আমরা জানি। এই কথাগুলো যেকোনও দিন, যখন তখন বলে দেখুন, বা মেসেজ করে দেখুন, বান্ধবীর আনন্দটা দেখতে পাবেন আপনি। কারণ এই সাজানো কথাগুলো শোকেসে খুব ভাল লাগে, কেউ নিজ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে বললে তার প্রতি নতুন করে ভালবাসা জন্মায়।
কিন্তু, ভালবাসা দিবস একান্ত আপনাদের দুই জনের। যদি দোকানে কোনও কার্ড না থাকতো, ফেসবুকে কোনও Quote না থাকতো, বা যদি ইন্টারনেট না থাকতো, তখনও আপনি ভালবাসতেন তাকে, তাই না? তখন আপনার নিজের কথাগুলোই বলতেন।
সেই কথাগুলি নিজে হাতে লিখে উপহারের সাথে তাকে অবশ্যই দিবেন। অনেক মানসম্পন্ন পুরুষ যারা, নিজের কথা প্রকাশ করতে তাঁরা দ্বিধা বোধ করেন না। আর নিজের ভালবাসার মানুষের কাছে তো দ্বিধার কিছু নেই!
নিজের পোশাকের প্রতি মনযোগ দিন।
কোঁচকানো পাঞ্জাবী, এলোমেলো শার্ট পরে এখন খুব একটা কেউ দেখা করতে যায় না প্রেমিকার সাথে। কিন্তু খুব একটা যত্নও থাকে না একটা সময় পরে, যখন অভ্যস্ত হয়ে যান একে অপরের সাথে। কিন্তু এই একটা দিনে, আপনি দেখা করতে যাবেন অবশ্যই formal বা decent পোশাক পরে। এবং নিজের চেহারা, চুল সবকিছুর প্রতি এই দিন মনোযোগ দিবেন। সামনের মানুষটা যখন দেখবে, তার কাছে আসার জন্য আপনি বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছেন, তার মন এমনিতেই ভরে যাবে।
আপনার প্রয়োজনীয় টুকিটাকি – শ্যাম্পু,বডি কেয়ার প্রোডাক্টস, বডি স্প্রে ইত্যাদি সব পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে।
আর সবশেষে, যাদের জীবনে বিশেষ কেউ নেই, তাঁদের বলছি- সবচেয়ে ভালো যা করতে পারেন আপনারা, তা হল নিজের যত্ন নেয়া। ভবিষ্যতে যে মানুষটা আসবে আপনার জীবনে, তার প্রতি শ্রেষ্ঠ উপহার হবেন আপনি নিজে। তাই নিজের সেরা অবস্থাটা গড়ে তুলুন।
জীবনের টুকিটাকি চেষ্টা আর ক্রিয়ার সমন্বয়ে হয়ে উঠি আমরা একেকটি চরিত্র। আর এইসব সময়ের পাশে আছি আমরা আপনাদের।
ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে।
অগ্নিঝরা মার্চের মুখ্য আলোচনা স্বাধীনতা। একটা স্বাধীন জাতির নিজস্ব পরিচয় উদযাপনের মাস মার্চ। এর পেছনের ইতিহাসটাও বিশাল! প্রত্যেক স্বাধীনতার ইতিহাসই আসলে একটা বিপ্লবের ইতিহাস। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি খুব সন্দর বলেছিলেন এই নিয়ে-
“অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ হল বিপ্লবের ইতিহাস। সেইসব মানুষের বিপ্লব যারা স্বাধীনতা চেয়েছিল।“
এই বিপ্লবগুলো বইয়ের পাতায়, সিনেমার পর্দায় দেখতে অদ্ভুত লাগে, শিহরণ খেলে যায় শরীরে! খুব ইচ্ছা করে এমন কোনও ইতিহাসের অংশ হতে। কিন্তু তা কি সম্ভব? সেই চেতনা কি আছে আজও মানুষের মধ্যে?
মানুষ কিন্তু আমরা প্রত্যেকে- এই কথাটা ভুলে যাই আমরা সবাই। বিপ্লব শুরু হয় নিজের ভিতর থেকে। আর সেটা খুব কঠিন। প্রায় অসম্ভব একটা ব্যপার… নিজের ভিতর বিপ্লব বা বিদ্রোহ ধারণ করা। যদিও আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় কোনও একটা বিশ্বাস রাখা (বলে ধারণা করা) এবং সেটা কখনও কখনও আড্ডা আলোচনায় উল্লেখ করলেই বিপ্লব হয়; বিদ্রোহী হওয়া যায়। অন্তত সিনেমাগুলি দেখা থাকলে বিষয়টা তেমনি দাঁড়ায়; যদিও একেবারেই তা না।
যাঁরা খুব বিপ্লবী, বিদ্রোহী- ইতিহাসে না শুধু, বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও; তাঁরা কিন্তু এই মাধ্যমগুলোর প্রভাব থেকে মুক্ত ছিলেন। তাঁদের মাধ্যম ছিল বই, পত্রিকা। আর অস্ত্র ছিল লেখালিখি। আর সবকিছুর ঊর্ধ্বে, তাঁদের জীবন উৎসর্গ ছিল কাজে, তাঁরা সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন কাজের মাধ্যমে। বর্তমানে যদিও ডিজিটাল/ সামাজিক মাধ্যমে বিরাজ করেন অনেকেই। শুধু Facebook update দেখে তাঁদের আলাদা করা সম্ভব না।
যাঁরা খুব নিষ্ঠার সাথে নিজেদের লক্ষ্যে কাজ করে যান, তাঁদের হাত ধরেই পরবর্তী বিপ্লব আসবে। আর যাঁরা স্বাধীওনচেতা, কিছু বৈশিষ্ট্য তাঁদের দৈনন্দিন সব আচরণে থাকে।
যাঁরা খুব স্বাধীন, বৈপ্লবিক- তাঁরা কিন্তু সচরাচর দায়িত্বহীন না। যদিও উপন্যাস বা চলচ্চিত্রে তেমনটাই দেখায়। যিনি জবাব দিতে চান না কারও কাছে- তিনি দায়িত্ব পালন করেন সেভাবে, যাতে কোনও প্রশ্নের অবকাশ না থাকে।
Live and Let Live
এই প্রবাদটা শুনে নি কে? আর মানতে পারে কয়জন? যাঁরা খুব দৃঢ় চরিত্রের মানুষ, তাঁরা অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যে কোনও মানুষের নিজস্ব বিশ্বাস বা জীবনাদর্শ আছে। প্রকৃত স্বাধীন ব্যক্তিরা কখনও ব্যক্তিসত্ত্বাকে আঘাত করেন না। প্রত্যেকটা মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা খুবই কঠিন সাধারণ মানুষের জন্য; এটা বিপ্লবীরা স্বাভাবিক ভাবেই পালন করেন।
যাঁরা একটু স্বতন্ত্র্য ব্যক্তিত্বের, তাঁরা খেয়ালী হলেও কোনও একটা লক্ষ্যে থাকেন অবিচল স্থির। আর তাঁদের জীবনযাপন সেই লক্ষ্যের সাথে জড়ানো। সকালের চা খাওয়া থেকে শুরু করে বাসের পিছনের সিটে বসা,এমনকি ফুটপাতে ভীড়ের পিছনে হাঁটা- সব কিছু তাঁদের সেই লক্ষ্য অর্জনের আকাংক্ষা থেকে নেয়া সিদ্ধান্ত। সাধারণ মানুষেরে পক্ষে প্রতি মুহূর্ত এতো প্রভাবিত হয়ে থাকা অসম্ভব।
বিপ্লবীদের চলচ্চিত্রে, কখনও কখনও উপন্যাসে খুব বদরাগী মনে হয়। কেউ কেউ ছিলেনও সত্যিই…তবে বাস্তবে দুর্বল মানসিকতা ছাড়া কেউ অন্যের প্রতি রুঢ় আচরণ করে না। আর যাঁরা বিপ্লবে বিশ্বাসী, তাঁরা মানুষের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল। এই মানুষগুলি সবাইকে সাহায্য করেন সুযোগ পেলেই। অন্যকে সাহায্য করতে খুব সামান্য সামান্য সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন তাঁরা!
নিরহঙ্কার খুব সাধারণ একটা শব্দ। নিজেকে চাকচিক্যের মধ্যে না রাখা, সবার সাথে সমান আচরণ করা- এগুলি নিরহঙ্কার মানুষের গুণ।
অহঙ্কারের এর খুব কঠিন একটা প্রতিশব্দ আছে, প্রায় সমার্থবোধক- দম্ভ। দম্ভ খুব ভয়ঙ্কর একটা অসুখ, ধংসাত্বক। নিজেকে অন্যের চেয়ে কোনও অংশে শ্রেয় ভাবা, অথবা সবার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ভাবা একটা দোষ। আর সবার সাথে আচরণে তাচ্ছিল্য রাখা অস্বাভাবিক একটা বিকার। যদিও সামাজিক মাধ্যমের গুণে অনেকের মধ্যেই এই বিকার এখন স্বাভাবিক আচরণের মাত্রায় চলে এসেছে।
কিন্তু, আবারও সেই কথাটাই উল্লেখ্য এখানে- বিপ্লবীরা যে কোনও মাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্ত। তাঁরা নিজেদের আদর্শের জন্য প্রয়োজনীয়, আর ক্ষতিকর ধারণা আলাদা করতে পারেন। শৌখিন অনেক প্রচলনকে অনায়াসে বর্জন করতে পারেন। এজন্যই তাঁরা ইতিহাস তৈরি করতে পারেন!
আমাদের প্রত্যেকের জন্য একান্ত অনিবার্য নিজের ব্যক্তিগত একটা পরিচয় তৈরি করা এবং নিজের একটা স্থায়ী চিহ্ন রাখা প্রত্যেক কাজে, প্রত্যেক আচরণে। সামাজিক মাধ্যমে না- নিজের কাছে, নিজের প্রতিটি ক্ষেত্রে- ক্যামেরা না রেখে। মানুষ তখনই স্বাধীন, যখন টুকিটাকি প্রতিটি কাজে আনন্দ খুঁজে পায়- কেউ না দেখলেও; নিজের ভিতরে যখন সম্পূর্ণ একটা সত্ত্বা বিরাজ করে! এই মানুষগুলো আজও আমাদের মাঝে আছে- হয়ত আমরা খেয়াল করি না আর সামাজিক মাধ্যমে না দেখলে কাউকে…
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা
স্বাধীনতার মাসে যদি স্বাধীনতার অর্থটা আরেকবার ভেবে দেখি আমরা, দেখা যাবে প্রত্যেকের স্বাধীনতার মানেটা আলাদা। আর কিছুটা বিকৃতও বটে। এ যুগে স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা। যখন যেখানে যা খুশি যেভাবে খুশি করার স্বাধীনতা। নিয়ম ভাঙ্গার স্বাধীনতা, অসম্মানের স্বাধীনতা, হেয় করার স্বাধীনতাই এখন “Trending”! একটা বিষয় ভুলেই গেছি আমরা- স্বাধীনতা মানে “স্বাতন্ত্র্য”। অনেকের ভীড়ে নিজেকে হারিয়ে না ফেলা । আর এখান থেকেই গড়বড় শুরু হয় । কিছু ভ্রান্তি আমাদের মন থেকে দূর করা উচিৎ নিজের ভালর জন্যই।
যখন কারও মতো হতে ইচ্ছে করে, তখন আসলে আমরা নিজেদের ছোট করি। যারা বিরোধিতা করে, তাদেরকে ঘোর শত্রু মনে হয়। কাউকে ভাল লাগাটা খুব স্বাভাবিক, কিন্তু তাকে বা তাদেরকে না বুঝে অনুকরণ করাটা বোকামি ও হীনমন্যতার চিহ্ন। এরপর যখন কারও কোনও কিছু ভাল লাগবে, খেয়াল করুন কেন তা ভাল লাগছে। কোন বৈশিষ্ট্যটার জন্য পছন্দ করছেন। আর নিজের মধ্যে সেই গুণটাকে খুঁজে বের করুন।
যে মানুষ নিজেকে সম্মান করে, নিজেকে ভালবাসে, সেই মানুষটা স্বাধীন। আর নিজের জন্য অন্য কাউকে যদি অসম্মান বা অবমাননা করতে হয়, সেটা ঔদ্ধত্ব বা বড়াই। কোনও গুণ না কিন্তু। যে মানুষ নিজেকে সম্মান করে, সে-ই অন্যকে সম্মান করে। বিষয়টা উলটা না কিন্তু!
আপনার সম্পূর্ণ অধিকার আছে নিজের ভাল লাগা অনুযায়ী চলার, কিন্তু সেটা যদি অন্য কারও সমস্যার কারণ হয়, তাহলে স্বেচ্ছাচারী আচরণ। নিজের খেয়াল খুশি মেনে চলার সবচেয়ে ভাল উপায় হল কাউকে জানতে বুঝতে না দেয়া। এবং এটা খুব বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ !
আত্মতৃপ্তি অনেক বিশাল একটা গুণ। নিজের ভিতর একটা মানুষ যখন সুখী, সন্তুষ্ট- তখন অদ্ভুত একটা শান্তি বিরাক করে তার মনে। সেই সময়, আশে পাশে কেউ থাকুক বা না থাকুক, সেই মানুষটা খুব সুখী। আর এই অনুভূতি থেকে স্বাধীনতা আসে। যখন অন্য কারও মতামত, আচরণ, বিশ্বাস দিয়ে নিজের সত্ত্বা প্রভাবিত না হয়, তখন মানুষ স্বাধীন আক্ষরিক অর্থে।
যদি কোনও পারিপার্শ্বিক প্রভাব ছাড়া ভাল থাকতে পারেন, তাহলে আপনি একজন স্বাধীন মানুষ। ফেসবুক, টেলিভিশন, ইউটিউব না দেখলেও আপনার দিনটা খুব ভাল যায় যদি, আর আপনি ভাল আছেন এটা কাউকে জানানোর (যে কোনও মাধ্যমে) তাড়না যদি কাজ না করে, তাহলে আপনি সত্যিকার অর্থেই একজন স্বাধীন মানুষ।
আর যদি তা না হয়, তাহলেও আপনার পক্ষে সম্ভব স্বাধীনতা অর্জন করা। যেই ঘটনাগুলি বা ধারণাগুলি খুব বিচলিত করবে আপনাকে, সেইগুলি একটা কাগজে লিখে ফেলুন। কম্পিউটারে বা মোবাইল ফোনে টাইপ করে নয়- হাতে কলমে লিখুন। তারপর এই প্রশ্নগুলোর জবাব লিখুন-
কী? – কেন? – কে/ কারা? – কখন? – কীভাবে?
দেখবেন বেশিরভাগ সময়েই আপনার অস্থিরতার কারণ আপনি নিজে না। কয়েকবার নিয়মিত করলেই দেখবেন আপনার মানসিকতায় খুব শান্ত একটা পরিবর্তন এসে যাবে। আর অবশ্যই এই নিজস্ব ভাবনাগুলো ফেসবুকে শেয়ার করবেন না! মানুষের মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া আবার আপনাকে প্রভাবিত করবে। সেই সুযোগটা দিবেন না কাউকে।
মনে রাখবেন মানুষ পৃথিবীতে স্বাধীন মানসিকতা নিয়ে আসে। প্রাণখোলা, নির্মল, অবিচলিত মন নিয়ে আসি আমরা পৃথিবীতে। আস্তে আস্তে বাহ্যিকতার সাথে পরিচিত হই আর মনে সীমানা তৈরী হয়। আবার কিন্তু বেরিয়ে আসতে পারি আমরা চাইলেই…
একবার চেষ্টা করে দেখি সবাই?
Written for
[5.5 K shares on Facebook]
শৈশবের চেয়ে চমৎকার সময় ছিল কি কারও জীবনে? কারও জীবনেই না।
কোনও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের স্মৃতিতে সবচেয়ে স্পষ্ট হয়ে যেই সময়টা থাকে সেটা শৈশব।
আর বলা হয়ে থাকে, কিছু মানুষের জীবনের পুরোটা জুরেই থাকে শৈশব। কিছু মানুষের বয়স কখনওই বাড়ে না- এটা মনে হয় আমরা সবাই দেখেছি জীবনে!
কিন্তু পুরো বিষয়টা কি আসলেই বয়সের? আকৃতির? সেই চাঞ্চল্য, সারল্য কেন সারা জীবন থাকে না- আর শৈশবের স্থায়িত্ব আসলে কত দিন?
সত্যি কথাটা হল, শৈশবে আমাদের মস্তিষ্কটা থাকে ছোট আর হৃদয়টা থাকে বিশাল। নিখাদ মনে জীবনটা সম্পূর্ণ করে যাপন করতে পারি আমরা ঐ বয়সেই। কিছু বিষয় থাকে যা বয়সের ভারে চাপা পড়ে যায়। কেউ খেয়াল করি না আমরা হয়ত, কিন্তু এমন কেউ আছেন যারা ব্যতিক্রম?
গুণীজন, মনীষীরা সবাই শিশুমনের অনুরাগী ছিলেন। মনীষী বলেছেন-
“যদি বুঝতে চাও জীবনের মানে কী- কোনও দুই বছরের শিশুর সাথে সময় কাটাও।“
কীভাবে আমাদের শৈশব এতো দ্রুত চলে যায় আর পূর্ণ বয়সে জীবনের সাথে তাল মেলাতে হিমশিম খাই? কারণ শৈশবে আমরা চারপাশটা আর এই মুহূর্তটা খুব মনোযোগ দিয়ে উপলব্ধি করি। জীবনের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে নিজেদের দিকে তাকাতে ভুলে যাই। মুগ্ধ হওয়াটা দুর্বলতা মনে করি, প্রশংসা করলে পিছিয়ে যাব ভাবি, আর সবাইকে সমান চোখে দেখা তো মুণী-ঋষীদের কাজ বলে ভাবি! শিল্পীদের এমন খামখেয়ালী হলে মানায় কিন্তু সাধারণ জীবন যাপন করতে গেলে নিছু নিয়ম মানতেই হয়!
এটা সত্যি কথা- জীবন জটিল আর সময়ের সাথে সাথে তা আরও জটিলতার দিকে যাচ্ছে। যাদের মন আসলেও শিশুসলভ, আধুনিকতা এই মানুষগুলোকে অসহায় করে দিচ্ছে কেবলই…
তবে যারা স্বাভাবিক আর যৌক্তিক, তাঁরা চাইলে শিশুর মতো নতুন চোখে জীবনটাকে দেখতে পারেন আবার। খুব সহজে- দিনে অন্তত কয়েক মিনিট নিজের চারপাশটা দেখুন গভীরভাবে। এখন আই মুহুর্তে যাখানে আছেন আপনি, সেখানে কোন রঙটা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে? কোন শব্দটা একটু খেয়াল করলে শোনা যায়? পায়ের তলার অনুভূতিটা কেমন? … এমন একটা একটা জিনিস পুঙ্খানুপুঙ্খ খেয়াল করুন কিছুক্ষণ… দেখবেন মনটা কেমন শান্ত লাগে!
পর পর কয়েকদিন করলে দেখবেন জীবনটাই কেমন নতুন লাগে!
বয়সের সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়ে আর দৃষ্টির সীমা বাড়ে। শৈশবের বিশালতা লুকিয়ে থাকে মনে। চেষ্টা করলেই সেই সারল্য দিয়ে জীবনটাকে টের পেতে পারি আবার।