MASTERS FOOD CHEMISTRY
Paper Code: 312813
FOLLOW INSTRUCTIONS AND MEET DAILY GOAL
Paper Code: 312813
RECOMMENDED BOOKS SELECTED QUESTION
আমরা ফাইনাল পরীক্ষার জন্য যা আলোচনা করব
NU SYLLABUS DETAILS
খাদ্য ও পুষ্টির সাধারণ পরিচিতি
General Introduction of Food and Nutrition
১.১ ভূমিকা
1.1 Introduction LECTURE 01
১ . ২ খা দ্য
1. 2 Food
১.২.১ খাদ্যের উৎস
1.2.1 Source of Food
১.২.২ খাদ্যের শ্রেণিবিভাগ
1.2.2 Classification of Food
১.২.৩ খাদ্যের ছয়টি উপাদান (বি.সি.এস. ২০১৪, ২০১৬)
1.2.3 Six Element of Food (B.C.S. 2014, 2016)
১.৩ ভিটামিন (বি.সি.এস. ২০১৪, ২০১৬)
1.3 Vitamin (B.C.S. 2014, 2016)
১.৩.১ ভিটামিনের বৈশিষ্ট্য
1.3.1 Characteristics of Vitamin –
১.৩.২ ভিটামিনের শ্রেণিবিভাগ (বি.সি.এস. ২০১৪, ২০১৬)
1.3.2 Classification of Vitamin (B.C.S. 2014, 2016) –
১.৩.২.১ চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিনসমূহ
1.3.2.1 Fat Soluble Vitamins
ভিটামিন-এ (C₂₀H₃₀O)
Vitamin-A (C₂₀H₃₀O) –
ভিটামিন-ডি (C₂₇H₄₄O)
Vitamin-D (C₂₇H₄₄O) –
ভিটামিন-ই (C₂₉H₅₀O₂)
Vitamin-E (C₂₉H₅₀O₂)
ভিটামিন-কে
Vitamin-K –
১.৩.২.২ পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনসমূহ
1.3.2.2 Water Soluble Vitamins –
থায়ামিন (Thiamine) বা ভিটামিন B₁ (C₁₂H₁₇N₄OS)
রিবোফ্লাবিন (Riboflavin) বা ভিটামিন B₂ (C₁₇H₂₀N₄O₆)
প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (Pantothenic Acid) বা ভিটামিন B₅ (C₉H₁₇NO₅)
নায়াসিন (Niacin) বা ভিটামিন B₃
পাইরিডক্সিন (Pyridoxin) বা ভিটামিন B₆
ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসের মধ্যে পার্থক্য
Difference between Macronutrients and Micronutrient
সমস্ত খাদ্য পুষ্টিকর নয় কিন্তু সমস্ত পুষ্টিকর খাদ্য নয়—ব্যাখ্যা
All Food are Nutrients but all Nutrients are not Food – Explanation
খাদ্য ও পুষ্টিকর খাদ্যের মধ্যে পার্থক্য
Difference between Food and Nutrients
স্বাস্থ্য রক্ষায় পুষ্টিকর খাদ্যের ভূমিকা
Role of Nutritious Food in maintenance of health
মানবদেহে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য পরিপাক
Digestion of carbohydrate in human body
মানবদেহে প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের পরিপাক
Digestion of Protein in human body
মানবদেহে চর্বি জাতীয় খাদ্যের পরিপাক
Digestion of Lipids in human body
পুষ্টি ও পরিপাকের পার্থক্য
Difference between Nutrition and Digestion
খাদ্যদ্রব্য শোষণ
Absorption of Food
পরিপাক ও শোষণের মধ্যে পার্থক্য
Difference between Digestion and Absorption
Metabolism
কার্বোহাইড্রেটের বিপাক
Metabolism of Carbohydrates
প্রোটিনের বিপাক
Metabolism of Protein
লিপিডের বিপাক
Metabolism of Lipids
START LEARNING
CHAPTER 01 :
খাদ্য ও পুষ্টির সাধারণ পরিচিতি — প্রশ্নোত্তর
.
১. প্রশ্ন: খাদ্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: খাদ্য হলো এমন কোনো পদার্থ যা জীবিত প্রাণীর শরীরে গ্রহণের পর বৃদ্ধি, শক্তি উৎপাদন ও শরীরের কার্যাবলি সঠিকভাবে সম্পাদনে সাহায্য করে।
২. প্রশ্ন: পুষ্টি কী এবং এটি কেন প্রয়োজন?
উত্তর: পুষ্টি হলো খাদ্যের উপাদানসমূহ যা শরীরের বৃদ্ধির জন্য, শক্তি উৎপাদনের জন্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
৩. প্রশ্ন: খাদ্য ও পুষ্টির মধ্যে পার্থক্য লেখ।
উত্তর: খাদ্য হলো খাওয়া হয় এমন বস্তু; পুষ্টি হলো সেই খাদ্য থেকে প্রাপ্ত উপাদানসমূহ যা শরীরকে কার্যকর রাখে। খাদ্য বাহ্যিক, পুষ্টি অভ্যন্তরীণ কাজ করে।
৪. প্রশ্ন: পুষ্টি উপাদান কয়টি? নাম লেখ।
উত্তর: পুষ্টি উপাদান প্রধানত ৬টি: কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ লবণ, এবং পানি।
৫. প্রশ্ন: ম্যাক্রো এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট কী?
উত্তর: ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট হলো যেগুলি শরীর বেশি পরিমাণে প্রয়োজন করে (যেমন: কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট)। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হলো কম পরিমাণে প্রয়োজন হয় (যেমন: ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ)।
৬. প্রশ্ন: ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর: এমন খাদ্য যা শরীরের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান সঠিক পরিমাণে সরবরাহ করে তাকে ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য বলে।
৭. প্রশ্ন: প্রোটিনের উৎস কী কী?
উত্তর: প্রোটিনের উৎস হচ্ছে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, ছোলা, সয়াবিন প্রভৃতি।
৮. প্রশ্ন: খাদ্যে পানি কেন প্রয়োজন?
উত্তর: পানি শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ, পরিপাক ক্রিয়া, পুষ্টি পরিবহন এবং বর্জ্য নিষ্কাশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৯. প্রশ্ন: অপুষ্টির প্রকারভেদ কী কী?
উত্তর: অপুষ্টির প্রকারভেদ হলো: ১) পুষ্টিহীনতা (Undernutrition), ২) অতিপুষ্টি (Overnutrition), ৩) সুনির্দিষ্ট অপুষ্টি (Specific deficiency)।
১০. প্রশ্ন: ভিটামিন 'এ' এর অভাবে কী রোগ হয়?
উত্তর: ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানা বা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়।
১১. প্রশ্ন: খাদ্য নিরাপত্তা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: খাদ্য নিরাপত্তা অর্থ এমন অবস্থা যেখানে প্রতিটি মানুষ যেকোনো সময় পর্যাপ্ত, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যে প্রবেশাধিকার রাখে।
১২. প্রশ্ন: পুষ্টিহীনতার ফলে কী কী শারীরিক সমস্যা হতে পারে?
উত্তর: দুর্বলতা, বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রোগপ্রবণতা বৃদ্ধি, মনোযোগে ঘাটতি ইত্যাদি দেখা দেয়।
১৩. প্রশ্ন: আয়রনের অভাবে কী রোগ হয়?
উত্তর: আয়রনের অভাবে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া হয়।
১৪. প্রশ্ন: দুধ কেন সম্পূর্ণ খাদ্য বলা হয়?
উত্তর: কারণ দুধে প্রায় সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান—প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ।
৫. প্রশ্ন: পুষ্টি চাহিদা বয়সভেদে কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
উত্তর: শিশু, কিশোর-কিশোরী, গর্ভবতী নারী ও বৃদ্ধদের পুষ্টি চাহিদা আলাদা, কারণ বয়স ও শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে চাহিদা।
১৬. প্রশ্ন: চর্বি ও তেলের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: চর্বি সাধারণত প্রাণীজ এবং কঠিন, আর তেল উদ্ভিজ্জ এবং তরল অবস্থায় থাকে।
১৭. প্রশ্ন: খাদ্য পিরামিড কী?
উত্তর: খাদ্য পিরামিড হলো একটি চিত্র যা বিভিন্ন খাদ্যগোষ্ঠীর গুরুত্ব অনুযায়ী গ্রহণের পরিমাণ নির্দেশ করে।
১৮. প্রশ্ন: প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিক কী?
উত্তর: প্রোবায়োটিক হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং প্রিবায়োটিক হলো এমন খাদ্য উপাদান যা এসব ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি সহায়তা করে।
১৯. প্রশ্ন: ফুড অ্যালার্জি ও ফুড ইনটলারেন্সের পার্থক্য কী?
উত্তর: ফুড অ্যালার্জি হলো ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া, আর ফুড ইনটলারেন্স হলো পরিপাকজনিত অসহ্যতা বা অসুবিধা।
২০. প্রশ্ন: খাদ্যের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ কীভাবে সম্ভব?
উত্তর: পুষ্টিকর খাদ্য শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে, ফলে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
২১. প্রশ্ন: ন্যূনতম ক্যালোরি চাহিদা কীভাবে নির্ণয় করা হয়?
উত্তর: বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক কার্যকলাপ এবং শারীরিক ওজন বিবেচনায় দৈনিক ক্যালোরি চাহিদা নির্ণয় করা হয়।
২২. প্রশ্ন: খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কী এবং এর প্রভাব কী?
উত্তর: খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ মানে খাদ্য সংরক্ষণ বা স্বাদ বৃদ্ধির জন্য তার স্বাভাবিক রূপে পরিবর্তন আনা; এতে পুষ্টি কমতেও পারে।
২৩. প্রশ্ন: শরীরে কার্বোহাইড্রেটের ভূমিকা কী?
উত্তর: কার্বোহাইড্রেট হলো প্রধান শক্তির উৎস এবং মস্তিষ্ক ও পেশি কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ।
২৪. প্রশ্ন: দেহে ভিটামিন 'ডি' এর ঘাটতি হলে কী হয়?
উত্তর: হাড় নরম হয়ে যাওয়া বা রিকেটস রোগ হতে পারে।
২৫. প্রশ্ন: খাদ্যাভ্যাস কীভাবে জনস্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে?
উত্তর: সুষম খাদ্যাভ্যাস জনস্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে; অপরদিকে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে অসংক্রামক রোগের কারণ হয়।
MORE
১. খাদ্য উপাদানসমূহের রসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ কর।খাদ্য উপাদানসমূহ মূলত ৬টি শ্রেণিতে বিভক্ত – কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, লিপিড, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি।
কার্বোহাইড্রেট: সি, এইচ ও ও দিয়ে গঠিত; সাধারণ ফর্মুলা Cₙ(H₂O)ₙ। উদাহরণ: গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆)।
প্রোটিন: অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে গঠিত; প্রতিটি অ্যামিনো অ্যাসিডে একটি অ্যামিন (-NH₂) ও একটি কার্বক্সিল (-COOH) গ্রুপ থাকে।
লিপিড: গ্লিসারল ও ফ্যাটি অ্যাসিড দ্বারা গঠিত; লিপিডে হাইড্রোকার্বন চেইন থাকে।
ভিটামিন: ক্ষুদ্র জৈব যৌগ; যেমন ভিটামিন A (C₂₀H₃₀O), D, C ইত্যাদি।
খনিজ লবণ: Zn, Fe, Ca, Mg, Na ইত্যাদি।
২. ভিটামিনের শ্রেণিবিন্যাস ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।ভিটামিন ২টি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত:
Fat-soluble (চর্বিতে দ্রবণীয়): ভিটামিন A, D, E, K – গঠন জৈবিক এবং হাইড্রোফোবিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
Water-soluble (পানিতে দ্রবণীয়): ভিটামিন B কমপ্লেক্স ও C – এরা হাইড্রোফিলিক এবং সহজে নিঃসৃত হয়।
৩. বিভিন্ন প্রোটিনের অ্যামিনো অ্যাসিড প্রোফাইল তুলনা কর এবং তাদের জৈবিক মান ব্যাখ্যা কর।প্রাণিজ প্রোটিন (যেমন ডিম, দুধ) পূর্ণাঙ্গ অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে, উদ্ভিজ্জ প্রোটিনে কিছু অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড অনুপস্থিত থাকে। জৈবিক মান নির্ধারিত হয় দেহ কতটা কার্যকরভাবে প্রোটিন ব্যবহার করতে পারে তার উপর ভিত্তি করে।
৪. মিনারেলস বা খনিজ পদার্থের শোষণ প্রক্রিয়া ও রসায়ন ব্যাখ্যা কর।খনিজ পদার্থ (যেমন Fe²⁺, Ca²⁺) সরাসরি অন্ত্রের মিউকোসাল কোষ দিয়ে শোষিত হয়। শোষণের হার pH, প্রতিযোগী আয়ন এবং চেলেশন কারকের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে।
৫. শরীরে ভিটামিন সি এর বায়োরাসায়নিক ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।ভিটামিন C একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এটি কোলাজেন সংশ্লেষণ, আয়রন শোষণ এবং ইমিউন প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। রাসায়নিকভাবে এটি একটি ল্যাকটোন যা সহজেই অক্সিডাইজড হয়।
৬. খাদ্য দ্রব্যে অ্যামাইন গঠনের রাসায়নিক প্রক্রিয়া কীভাবে ঘটে? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।খাদ্য পচনের ফলে প্রোটিন ভেঙে পেপটাইড ও অ্যামাইন গঠিত হয়। যেমন, হিস্টিডিন থেকে হিস্টামিন, টাইরোসিন থেকে টাইরামিন তৈরি হয়। এগুলো বায়োজেনিক অ্যামাইন।
৭. খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থগুলোর কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি আলোচনা কর।সালফাইট, সোডিয়াম বেনজোয়েট, নাইট্রাইট ইত্যাদি খাদ্য সংরক্ষক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসবের অতিরিক্ত গ্রহণ ক্যান্সার, অ্যালার্জি, হাইপারঅ্যাকটিভিটির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
৮. কার্বোহাইড্রেটের শ্রেণীবিন্যাস এবং প্রতিটির গঠন ও বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।কার্বোহাইড্রেট ৩টি ভাগে বিভক্ত:
মনোস্যাকারাইড (যেমন গ্লুকোজ)
ডাইস্যাকারাইড (যেমন সুক্রোজ)
পলিস্যাকারাইড (যেমন স্টার্চ, সেলুলোজ)।
মনোস্যাকারাইড হলো মৌলিক একক, পলিস্যাকারাইড হলো বহু গ্লুকোজ এককের পলিমার।
৯. শরীরে ফ্যাট অ্যাসিডের বিপাকক্রিয়া কীভাবে ঘটে তা রাসায়নিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ কর।বেটা-অক্সিডেশন প্রক্রিয়ায় ফ্যাটি অ্যাসিড ভেঙে অ্যাসেটাইল-CoA উৎপন্ন হয়, যা TCA চক্রে প্রবেশ করে শক্তি উৎপাদন করে।
১০. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য ও খাদ্যে এর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন C, E, ফ্ল্যাভোনয়েড—এরা ফ্রি র্যাডিক্যাল নিষ্ক্রিয় করে কোষের ক্ষতি রোধ করে। রাসায়নিকভাবে এরা ইলেকট্রন দান করে র্যাডিক্যাল স্ট্যাবিলাইজ করে।
১১. খাদ্যে এনজাইমের ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট রসায়ন বিশ্লেষণ কর।খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে এনজাইম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদাহরণ: অ্যামাইলেজ স্টার্চকে চিনিতে রূপান্তর করে, পেপসিন প্রোটিন ভেঙে দেয়। এনজাইম প্রোটিন জাতীয়, যাদের সক্রিয় কেন্দ্র (active site) থাকে যা নির্দিষ্ট সাবস্ট্রেটের সাথে বিক্রিয়া করে। pH ও তাপমাত্রা এনজাইমের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে।
১২. পুষ্টি উপাদানসমূহের বিশ্লেষণে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদ্ধতির তুলনামূলক আলোচনা কর।
কার্বোহাইড্রেট: ফেনোল-সালফিউরিক অ্যাসিড পদ্ধতি
প্রোটিন: কেলডাহল পদ্ধতি (নাইট্রোজেন নির্ধারণ)
ফ্যাট: সক্সলেট এক্সট্রাকশন
ভিটামিন ও মিনারেল: এইচপিএলসি, এটমিক অ্যাবজর্পশন স্পেকট্রোস্কপি।
প্রত্যেক পদ্ধতির নির্ভুলতা, সংবেদনশীলতা ও খরচ অনুযায়ী সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে।
১৩. খাদ্যে ফুড অ্যাডিটিভস (Food Additives) এর রসায়ন এবং কার্যকারিতা বিশ্লেষণ কর।ফুড অ্যাডিটিভস খাদ্যের স্বাদ, রং, গন্ধ, সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়।
সংরক্ষক: সোডিয়াম বেনজোয়েট, সালফার ডাই-অক্সাইড – মাইক্রোবিয়াল বৃদ্ধি রোধ করে।
রং: টারট্রাজিন (C₁₆H₉N₄Na₃O₉S₂) – খাবারে আকর্ষণীয় রং দেয়।
স্বাদ বৃদ্ধিকারক: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (MSG) – উমামি স্বাদ প্রদান করে।
অতিরিক্ত ব্যবহার করলে অনেক অ্যাডিটিভ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
১৪. খাদ্য ও পুষ্টির মধ্যে রসায়ন কীভাবে সম্পর্কিত তা ব্যাখ্যা কর।পুষ্টির মূল উপাদানগুলো (কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল) সবই রাসায়নিক যৌগ। খাদ্য গ্রহণের পর এনজাইম দ্বারা হাইড্রোলাইসিস হয় এবং তা বিপাকীয় রসায়ন দ্বারা শরীরের উপযোগীভাবে কাজে লাগে।
১৫. পানীয়জাত খাদ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান এবং তার প্রভাব বিশ্লেষণ কর।
কার্বনেটেড পানীয়: কার্বনিক অ্যাসিড (H₂CO₃), ফসফরিক অ্যাসিড (H₃PO₄)
রং ও সংরক্ষক: সোডিয়াম বেনজোয়েট, অ্যাসপারটেম
ক্যাফেইন: উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।
এসব উপাদান অতিরিক্ত গ্রহণে কিডনি ও দাঁতের ক্ষয় হতে পারে।
১৬. খাদ্যে চিনি (sugar) ও বিকল্প মিষ্টিকারক পদার্থের রসায়ন তুলনা কর।
প্রাকৃতিক চিনি: সুক্রোজ, গ্লুকোজ – মনো ও ডাইস্যাকারাইড
বিকল্প: অ্যাসপারটেম (C₁₄H₁₈N₂O₅), স্যাকারিন – ক্যালরি নেই কিন্তু শতগুণ বেশি মিষ্টি।
বিকল্পগুলো কৃত্রিম হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
১৭. খাদ্যে চর্বিজাত উপাদান শনাক্তকরণে ব্যবহৃত রাসায়নিক পরীক্ষাগুলোর বর্ণনা দাও।
১৭. খাদ্যে চর্বিজাত উপাদান শনাক্তকরণে ব্যবহৃত রাসায়নিক পরীক্ষাগুলোর বর্ণনা দাও।খাদ্যে চর্বির উপস্থিতি শনাক্তে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক পরীক্ষা ব্যবহার করা হয়:
সুডান III পরীক্ষা: এটি একটি লিপিড দ্রবণশীল ডাই যা চর্বির উপস্থিতিতে লাল বা কমলা রঙ সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, খাদ্যের নমুনায় সুডান III যোগ করলে যদি তা লাল রঙ ধারণ করে তবে চর্বি আছে বোঝা যায়।
বিস্তারিত:
সুডান III একটি অরেঞ্জ-রেড বর্ণের অরগানিক রং যা লিপিড বা ফ্যাট শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত ইথানল বা এলকোহলে দ্রবীভূত করে প্রস্তুত করা হয় এবং তারপর খাদ্য নমুনার সাথে মিশিয়ে পরীক্ষা করা হয়। যদি নমুনায় লিপিড থাকে তবে রঙ পরিবর্তিত হয়ে লাল বা কমলা আকার ধারণ করে, কারণ সুডান III শুধুমাত্র লিপিডে দ্রবীভূত হয় এবং অন্য কোন জলের উপাদানে দ্রবীভূত হয় না। এটি একটি গুণগত (qualitative) পরীক্ষা যা ফ্যাটের উপস্থিতি দেখায়।
সোপোনিফিকেশন টেস্ট: ক্ষার যোগে চর্বি ভেঙে সাবান ও গ্লিসারল তৈরি করে।
Sudan III Test (English Explanation):
The Sudan III test is a qualitative chemical test used to detect the presence of lipids (fats) in a food sample. Sudan III is a fat-soluble dye with an orange-red color that stains lipids red or orange when present. The dye is typically dissolved in alcohol (ethanol) and then added to the food sample. If lipids are present, the dye dissolves in the fat and gives a red or orange color, indicating a positive result. Since Sudan III is not soluble in water, it only stains fat, making it a reliable indicator for the presence of lipids.
১৮. খাদ্যে বিষাক্ত ধাতুর উপস্থিতি এবং তার স্বাস্থ্যগত প্রভাব আলোচনা কর।
Pb, Hg, Cd ইত্যাদি ভারী ধাতু খাদ্যে থাকলে স্নায়বিক সমস্যা, কিডনি বিকলতা ইত্যাদি ঘটায়।
সীসা (Pb) মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমায়, পারদ (Hg) স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করে।
১৯. খাদ্যে ভেজাল শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক পরীক্ষাগুলোর বর্ণনা দাও।
দুধে স্টার্চ: আয়োডিন টেস্ট – নীল রঙ তৈরি হয়।
মিষ্টিতে চিনি নয় এমন উপাদান: ফেহলিং টেস্ট, বেনেডিক্ট টেস্ট।
মসলা বা তেলে খনিজ রঙ: সলভেন্ট দিয়ে নিষ্কাশন।
২০. খাদ্য পচনের রসায়ন এবং এতে এনজাইমের ভূমিকা আলোচনা কর।খাদ্য গ্রহণের পর এনজাইমের মাধ্যমে তা ভেঙে যায়:
অ্যামাইলেজ: স্টার্চ → মালটোজ
প্রোটিয়েজ: প্রোটিন → অ্যামিনো অ্যাসিড
লিপেজ: ফ্যাট → গ্লিসারল + ফ্যাটি অ্যাসিড
২১. খাদ্যে পানির ভূমিকা এবং এর রসায়নিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।পানি খাদ্যে দ্রাবক হিসেবে কাজ করে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং এনজাইমিয়াটিক বিক্রিয়া সম্ভব করে। পানি একটি পোলার যৌগ, হাইড্রোজেন বন্ড তৈরি করে।
২২. খাদ্যদ্রব্যের হাইড্রোজেনেশন প্রক্রিয়া ও স্বাস্থ্যগত প্রভাব বিশ্লেষণ কর।তরল তেলে হাইড্রোজেন প্রবাহিত করে স্যাচুরেটেড ফ্যাট তৈরি করা হয়। এতে ট্রান্স-ফ্যাট তৈরি হয় যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। রাসায়নিকভাবে, ডাবল বন্ডে হাইড্রোজেন যুক্ত করে এটি সম্পৃক্ত করা হয়।
২৩. খাদ্যদ্রব্যে রাসায়নিক সংরক্ষণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
নাইট্রাইট: মাংস সংরক্ষণে
সোডিয়াম বেনজোয়েট: পানীয়
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড: জ্যাম ও জেলিতে
এরা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে বাধা দেয়, কিন্তু অতিরিক্ত গ্রহণে ক্ষতি হতে পারে।
২৪. খাদ্যে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম রংয়ের পার্থক্য ও রসায়ন ব্যাখ্যা কর।
প্রাকৃতিক রং: বিটা-ক্যারোটিন, ক্লোরোফিল – সাধারণত নিরাপদ
কৃত্রিম রং: টারট্রাজিন, সানসেট ইয়েলো – যৌগিক রং, কখনো কখনো অ্যালার্জির কারণ
প্রাকৃতিক রং সাধারণত জৈব যৌগ যা খাদ্য উপাদান থেকেও আসে।
২৫. খাদ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক সংযোজকগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও মাননিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা আলোচনা কর।BFSA (বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ), BSTI খাদ্য মান নিয়ন্ত্রণ করে। সংযোজকের অনুমোদিত সীমা নির্ধারণ, লেবেলিং নীতি প্রণয়ন ও বাজার তদারকি এদের প্রধান কাজ।
GAME 01 : PLAY NOW :
উপরের প্রশ্ন গুলো পড়াশেষ করে following ইডুগেইমটি খেলবেন এবং ফলফল এর স্ক্রিন শর্ট দিবেন হোটসঅ্যাপ -০১৮৫৪৫৫০১৮৪
EXAM ONE
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর শতভাগ দিয়ে নিজের প্রশ্ন গুলোতে এগুবেন । নিচর অংশটি রচনা মূলক । শর্ট প্রশ্ন গুলো পড়া শেষ করে একটি স্ক্রি শর্ট দিলেই এবং সন্তোশ জনক নন্বর অর্থাৎ ৭৫% মাকর্স পেলেই আপনি পরের অংশে যেতে পারবেন
EXAM : 02
উপরের পরীক্ষা ২টা সম্পূর্ণ করে আপনার RESULT এর স্ক্রিন শর্ট দিন এবং রচনা মুলক শুরু করুন