কোনাপাড়ায় এতো সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ছিলো আগে জানাই ছিলো না। আমাদের ধারনা অনুযায়ী আমরা ৭০ প্যাকেট বিতরন করি। কিন্তু এই স্বল্প প্যাকেট দোতালা মসজিদ এর সামনে কিছু মহিলা ও শিশু, ফার্মের মোড়ে কিছু বয়স্ক লোক, শাহজালাল রোডে মার্কেট এর আশেপাশে বয়স্ক লোক ও শিশু, কোনাপাড়া মাতুয়াইল নিউমার্কেট এর সামনে বয়স্ক মহিলা ও শিশুদের বিতরন করে আস্তে করে গাড়িতে অটোতে উঠে চলে আসি কারন প্যাকেট শেষ হয়ে গেছে।
ছোট একটা শিশু মেয় ইফতার পেয়ে বলে বাসায় আমার একটা বোন আছে আরেকটা দিবেন আমাকে!!!
অটোতে করে চলে আসার সময় অটোর ড্রাইভার কাকুকে একটা ইফতার দিবো চিন্তা করে এক প্যাকেট কার্টুনে রেখেছিলাম এমন সময় দেখি একজন বয়স্ক লোক রুমাল বিছিয়ে বসে আছে পলি ক্যবল এর উল্টো পাশে একটা পা নাই পাঞ্জাবী টুপি পড়ে বসে আছে অটো থামিয়ে ড্রাইভার কাকুর ইফতার তাকে দিতে গেলাম সে বল্লো আমি ইফতার পেয়েছি একজন এসে দিয়ে গেছে। বলে রাখা ভালো আমরা দুটো অটোতে ভাগ হয়ে ইফতার বিতরন করেছি। সে চাইলে রেখে দিতে পারতো কিন্তু তা করে নাই।
এই রকম ছোট খাটো আরো কিছু গল্পের সৃষ্টি হয়েছে আপনাদের সকলের ক্যলানে। আপনাদের ক্লাব মেম্বারশীপ ফরমের অর্থ ও কয়েকজনের বাড়তি সহযোগীতায় অল্প সময়ে এটা আয়োজন করা হইছে।
তাদের দোয়া সকলের জন্য কারন একা এত কিছু করা কখনো সম্ভব নয় তবে আজ সারাদিন যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে সময় দিয়ে, বাজার করে, বাবুর্চি কে সহযোগিতা করে প্যাকিং ও বিতরন করে তাদের নাম না বল্লে অন্যায় হয়ে যাবে। আকাশ, মিঠু, বাতেন, বল্টু সাকিব, পূন্য, তূষার, শিশির, বায়েজীদ সহ আরো অনেকে।
বিঃদ্রঃ বিতরনের কোন ছবি তোলা হয় নাই আসলে ছবি তোলার চেয়ে কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যৎ আমরা আরো বড় পরিসরে কিছু একটা করবো আপনাদের সকলের সহযোগিতায়। অনেকেই আসতে চেয়েছিলেন তাদের শেষ পর্যন্ত আসতে বারন করেছি বিষয়টার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি কারন আমার ৮০ জনের জন্য মুরগি রান্না করছি