মঙ্গল অভিযাত্রা : ২০৫০ সালের মধ্যে ১ মিলিয়ন মানুষ পাঠানোর এক ভয়ংকর মিশন


অসম্ভবকে সম্ভব করার এক অদ্ভুত মনোভাব নিয়েই হয়তো জন্মেছে মানুষ। হয়তো পৃথিবীর এমন কোনো স্থান নেই যেখানে মানুষের পদধূলি পরেনি। এভারেস্ট এর চূড়া থেকে শুরু করে রহস্যে ঘেরা মারিয়ানা ট্রেন্চ (Mariana Trench) পর্যন্ত সকল স্থানে গবেষণা বিরাজমান। (যদিও মারিয়ানা ট্রেন্চ এর একদম গভীর পর্যন্ত যাওয়া এখনও সম্ভব হয় নি।) পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের উপগ্রহ চাঁদকে জয় করার পর মানুষের মনের অন্তরালে জন্ম নিয়েছে বিশাল স্বপ্ন। স্বপ্ন হানা দিচ্ছে উপগ্রহ ছাড়িয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহ অর্থাৎ মঙ্গলের দিকে। এই গ্রহটি নিয়ে প্রতিনিয়ত জন্ম নিচ্ছে নতুন নতুন তথ্যের। জন্ম নিচ্ছে রহস্য ঘেরা নতুন নতুন প্রশ্নের।


মহাকাশ গবেষণার কথা শুনলেই প্রথমেই যে প্রতিষ্ঠানের কথা মাথায় আসে তা হলো 'NASA'। তবে ধীরে ধীরে আসছে সে ধারণায় পরিবর্তন। নাসা তো রয়েছেই, তবে এখন জন্ম নিচ্ছে আরো কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের। বর্তমানে মঙ্গল অভিযাত্রা কিংবা Road to Mars এর নাম শুনলে যে মানুষটার কথা সবথেকে বেশি আলোড়িত হয় তিনি হলেন 'ইলন মাস্ক' (Elon Musk) এবং তার সনামধন্য প্রতিষ্ঠান 'স্পেস এক্স' (SpaceX)। যা ধীরে ধীরে নাসাকে টেক্কা দিতে চাচ্ছে।


হ্যাঁ আজ আমরা কথা বলবো সেই ইলন মাস্কের দুঃসাহসী মঙ্গল জয়ের কিছু পরিকল্পনা নিয়ে। যেই পরিকল্পনায় আছে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবী থেকে ১০ লক্ষ মানুষকে মঙ্গলে স্থায়ী বসবাসের জন্য প্রেরণ করার পরিকল্পনা।


তাঁর পরিকল্পনার অংশবিশেষ শুরু করার আগে আসুন তাঁর সফলতার কিছুটা ধারণা দেই।


ইলন মাস্ক একজন সনামধন্য ইঞ্জিনিয়ার এবং একই সাথে উদ্যোক্তা। যাকে ইঞ্জিনিয়ারদের ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়। নিচের ছক দ্বারাই হয়তো বুঝতে পারবেন কেনো তাকে ইঞ্জিনিয়ারদের ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়।