গঠনতন্ত্রঃ
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
সোনারগাঁও প্রবাসি কল্যাণ সংগঠন
স্থানঃ সোনারগাঁও, সোনারগাঁ উপজেলা,
২০২০ সালে প্রণীত "সোনারগাঁও প্রবাসি কল্যাণ সংগঠন "সংগঠনের গঠনতন্ত্র" সোনারগাঁও প্রবাসি কল্যাণ সংগঠন"
একটি আর্থ সামাজিকও প্রবাসি কল্যাণমূখী অরাজনৈতিক সংগঠন । সংগঠনের সুশৃংল ও অবিচল পথ চলার জন্য ।
গঠনতন্ত্র ধারা সমূহ:
১। সংগঠনের নাম " সোনারগাঁও প্রবাসি কল্যাণ সংগঠন "।
২। সংগঠনের নির্ধারিত মেয়াদকাল (৫) বছর।তবে কাম্য হল যতদিন সম্ভব । যাত্রা শুরু (১লা সেপ্টেম্বর ২০২০)
৩। সংগঠনের সদস্য সংখ্যা সর্বউচ্চ ২০ জন । তবে কাম্য হল চল্লিশর্ধ্ব।
৪। সদস্যদের মাসিক কিস্তি ৫০০০ টাকা। রিজার্ভ ফান্ড বাবদ ১০০০ টাকা এবং বার্ষিক এক কালীন ৬১০০০ টাকা এক বৎসরে।
ক) পরিচালনা কমিটিঃ (কে কে তাহাদের নাম ও পদবি)এই ডিপার্টমেন্টের কাজ হলো সংগঠনের সার্বিক পরিচালনার ভার বহন করা। সংগঠনের
পরিচালনা কমিটি নির্বাচিত হবে সংগঠনের সদস্যদের মধ্য হতে যোগ্য ও অভিজ্ঞ লোকদের মাধ্যমে এবং নির্বাচন করা হবে সকল সদস্যদের সর্বসিদ্ধান্তের ভিত্তিতে।
খ) সভাপতি নির্বাচনঃ সংগঠনের সভাপতি নির্বাচন সদস্যদের মধ্য হতে যোগ্য ও অভিজ্ঞ লোকদের মাধ্যমে এবং নির্বাচন করা হবে সকল
সদস্যদের সর্বসিদ্ধান্তের ভিত্তিতে।
গ) সভাপতির মেয়াদ (২) সভাপতির মেয়াদ (২) হওয়ার পর নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। এবং তা করা হবে সকল সদস্যদের সর্বসিদ্ধান্তের ভিত্তিতে। অভিজ্ঞ লোকদের অগাধিকার দেওয়া হবে ।
৫। সংগঠনের সদস্য পদ লাভের জন্য সংগঠনেরনিজস্ব ফরমে আবেদন পূর্বক ভর্তি হতে হবে এবং ফরম বাবদ একশত পঞ্চাশ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
সদস্যদের থেকে নেয়া ভর্তির সকল টাকা সংগঠনের রিজার্ভ ফান্ডে জমা হবে। শসুধুমাত্র রিজার্ভ ফান্ড বাবদ ১০০০ টাকা এবং বার্ষিক সোনারগাঁও প্রবাসি কল্যাণ সংগঠন এর খাতা কলম গরিব দুস্থ অসহায় লোকদের সাহায্য বাবত রাখা হবে । এবং তা ব্যায় করা হবে সকল সদস্যদের সর্বসিদ্ধান্তের ভিত্তিতে।
৬। সংগঠনের সদস্য পদে ভর্তি হওয়ার মেয়াদ ১লা সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত। উক্ত মেয়াদের পরে কোন আগ্রহী ব্যক্তি সংগঠনের সদস্য পদে ভর্তির আবেদন করলে পূর্বোক্ত সকল টাকা পরিশোধ করার শর্তে বিশেষ বিবেচনায় তাকে ভর্তি করা যেতে পারে।
৭। সংগঠনের মূল ভিত্তি হলো “মুশারাকাহ” তথা ‘লাভ-লোকসানের ক্ষেত্রে সকলেই সমান’।
৮। "সোনারগাঁওপ্রবাসি কল্যাণ সংগঠনের " সকল ফান্ডের অর্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য সকল টাকা সংগঠনের নামে হিসাব তিন সদস্য বিশিষ্ট অনলাইন
ব্যাংক ব্যাংকে “চলতি হিসাব (current a/c) একাউন্টে জমা রাখা হবে ।
৯। সদস্যদের মাসিক কিস্তির টাকা মাসের ১/ ২৮ তারিখের মধ্যে "সভাপতির "কাছে জমা দিবেন
১০। সংগঠনের ১/২ বছর অতিবাহিত হলে সঞ্চয়ের টাকা নিষ্ক্রীয় না রেখে বৈধ কোন লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা হবে। এবং তা করা হবে সকল সদস্যদের সর্বসিদ্ধান্তের ভিত্তিতে।
১১। কোন সদস্য ইচ্ছা করলে সংগঠনের একাধিক সদস্যপদ রাখতে পারবে। এজন্য তাকে সংগঠনের নিদৃষ্ট ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
১২। সংগঠনের যে কোন প্রয়োজনে কোন সদস্যকে আহবান করা হলে কিংবা কোন মিটিং ডাকা হলে প্রত্যেক সদস্যের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।প্রতি মাসে "শুক্রবারে"এ বাংলাদেশ টাইম ৮ টায় সমিতির চার‘টি ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হবে,
১৩। কোন সদস্য যদি সঞ্চয়ের টাকা দিতে গড়িমসি করে তাহলে সংগঠনের কর্তৃপ তারবিরুদ্ধে যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। তবে কেউ একান্ত সমস্যার
কারণে দিতে দেরি হলে সংগঠনের তা বিবেচনা করে দেখবে। পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে গ্রীহিত সকল সিদ্ধান্ত সর্বোতভাবে কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।
১৪। সংগঠনের যে কোন পদের সদস্য থেকে সংবিধানে প্রণীত নীতিমালার পরিপন্থী কোন কাজ প্রকাশ পেলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত কিংবা স্থায়ী বরখাস্তসহ যে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার রাখবে
১৫। কোন সদস্য যদি সঞ্চয়ের টাকা ১/২ বৎসর জমা রাখে এবং সে যদি তার সদস্য পদ প্রত্যাহার করে সভাপতি বরাবর আবেদন করে তবে বিনা শর্তে ৩০ দিনের মধ্যে তাহার জমার সমস্ত টাকা বুজাইয়া দিতে বাদ্য থাকিবে
১৬। কোন সদস্য যদি মারা যায় তাহার নমিনি তথা পরিবার যদি সংগঠনে থাকার ইচ্চছা করে পারবে আর তা না চাইলে সভাপতি বরাবর আবেদন করে তবে বিনা শর্তে রিজার্ভ ফান্ড উঠাইয়া তাহার জমার সমস্ত টাকা বুজাইয়া দিতে বাদ্য থাকিবে ।
কর্মপদ্ধতি
সভাপতিঃ
" সোনারগাঁও প্রবাসি কল্যাণ সংগঠনের "
১। সভাপতি মূলত সংগঠনের মহা-পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে থাকবেন। সংগঠনের সার্বিক পরিচালনার দায়িত্ব তার উপর। সংগঠনের প্রতিটি বিষয়ে তিনি সার্বক্ষণিক নজরদারি করবেন এবং সকল সদস্য ও দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগসহ পরামর্শ, মতামত ও সিদ্ধান্ত আদান-প্রদান করবেন। প্রত্যেক
বিভাগের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি কাজ সম্পর্কে সংবাদ তার জানা থাকবে। প্রয়োজনে নতুন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার অধিকার থাকবে। তবে তা অবশ্যই সদস্যদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে। সংগঠনের সার্বিক ক্ষমতা তার হাতে থাকবে। সর্বক্ষেত্রে তার রায় চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। তবে সংগঠনের মূলনীতির পরিপন্থী না হতে হবে এবং একচেটিয়া মনোভাব না থাকতে হবে।
২। সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হবে সদস্যদের সর্ব সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে। সভাপতির মেয়াদ (কত) মাস । তিনি কোন পদে রদ-বদল করতে চাইলে তা সদস্যদের সর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করতে হবে। সভাপতির মাঝে সংগঠনের সংবিধানে প্রণীত মূলনীতি পরিপন্থী ও ক্ষতিকারক কোন কিছু পরিলক্ষিত হলে কিংবা দায়- দায়িত্বের ব্যাপারে উদাসীনতা দেখা দিলে সকল সদস্যের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে নির্ধারিত মেয়াদের পূর্বেই তাকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে এবং নতুন সভাপতি নিয়োগ দেয়া হবে।সংগঠনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে সভাপতির মঞ্জুরি ও স্বাক্ষর অপরিহার্য বলে গণ্য হবে।