Writing is one of my core creative passions. I enjoy expressing thoughts, stories, and ideas through words—whether it's fiction, informative articles, or personal reflections. For me, writing is not just a skill but a way to connect, inspire, and communicate meaningfully with others.
Below are a few samples of my writing that reflect my style, creativity, and voice. These pieces cover different themes and formats, showcasing my ability to express ideas clearly and engage readers through words.
আমি আর হিমু
হিমুর মতো হতে চাওয়া কি দোষের কিছু?
আমার মনে হয় না।
আমি হিমু হতে চাই—পুরোটাই না, খানিকটা।
যতটুকু হলে জীবনটা হালকা হয়, বুকটা ফাঁকা হয়, চিন্তাগুলো আর চাপ দেয় না।
হিমুর কিছু গুণ আছে,
যেগুলো মানুষ না চাইলেও মনের ভিতরে বাসা বাঁধে।
আমি ইচ্ছে করেই সেই গুণগুলোর জন্য একটা ছোট্ট ঘর বানিয়ে রেখেছি আমার ভেতর।
ওরা এসে থাকে। কথা বলে। মাঝেমধ্যে চুপ করে বসে থাকে জানালার ধারে।
হিমুর মতো হেঁটে যেতে পারি না,
তবু ইচ্ছে করে, রাতের রাস্তায় হাঁটি, মাথার উপর তারা দেখি,
আর ভাবি—এইটুকুই তো জীবন, এর বেশি কিছু না।
আমি হিমুর মতো নির্ভার থাকতে চাই,
কোনো কিছুতে জড়িয়ে না পড়ে, অথচ গভীরভাবে অনুভব করে বাঁচতে চাই।
হিমুর গুণগুলো জুতোর মতো নয়, যেটা ইচ্ছেমতো পরে ফেলা যায়।
এগুলো রক্তে মিশে যায়—ধীরে, নিঃশব্দে, ঠিক যেমন করে ভোর আসে।
তবে একটা জায়গায় আমি হিমুর মতো হতে চাই না।
হিমু কখনো রূপার দিকে পুরোটা এগিয়ে যায়নি।
সে দূরে দাঁড়িয়ে থেকেছে—চুপচাপ, নীরব ভালোবাসার প্রতিমা হয়ে।
আমি চাই না সেই নীরবতা।
আমি আমার রূপার হাত শক্ত করে ধরতে চাই।
যদি ঝড়ও আসে, যেন হাত ছুটে না যায়।
আমি চাই, রূপা আমার পাশে হেঁটে যাক।
নীল শাড়ি পড়ে বারান্দায় না দাঁড়িয়ে—আমার হাত ধরে রিকশায় উঠে পড়ুক।
হিমু অসম্পূর্ণ থেকেছে নিজের ইচ্ছায়।
আমি পূর্ণ হতে চাই—রূপাকে নিয়ে, ভালোবাসা নিয়ে।
একটা জীবন, খুব ছোট।
তার ভেতর আমি হিমুর হালকা হাওয়া চাই,
আর চাই একটা উষ্ণ হাত—যেটা চিরকাল আমার থাকবে
"অদৃশ্য ডাক"
শীতলপাটি বিছানো চেয়ারটায় বসে আছেন ড. আরিফ। ছোটখাটো মানুষ, বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। কপালে গভীর ভাঁজ, চোখে স্থির দৃষ্টি। পেশায় মনোবিদ, তবে তার বিশেষ পরিচিতি রহস্য-গবেষক হিসেবে। আজকের সেশনটা কিছুটা অদ্ভুত, কিছুটা অস্বাভাবিক।
ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা ছুঁই ছুঁই। ঘরটি নিস্তব্ধ। জানালার বাইরে বাতাস বইছে, যেন কারো দীর্ঘশ্বাস। সামনে বসে থাকা তরুণ, অভি, বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে, যেন সময় থেমে থাকবে। তার শরীরে কিছু একটা অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে, যেন কিছু ঘটতে চলেছে।
— "আপনি কি নিশ্চিত, ডাকটা আসবে?" অভি প্রশ্ন করল, তার কণ্ঠে অদৃশ্য আতঙ্ক।
ড. আরিফ ঠোঁটে মৃদু হাসি ফুটিয়ে বললেন, “অবশ্যই আসবে। অপেক্ষা করো।” তাঁর গলায় শান্তি, কিন্তু চোখে রহস্যের চিহ্ন।
হঠাৎ কোথা থেকে যেন একটি ডাক শোনা গেল—
"অভি... অভি..."
অভির শরীরের সমস্ত লোম খাড়া হয়ে গেল। হৃদপিণ্ডের গতি বাড়ে। কোথা থেকে এই কণ্ঠ আসছে, কীভাবে এত সুনির্দিষ্টভাবে তার নাম উচ্চারণ হচ্ছে?
— "আপনি শুনলেন?" অভি এক হাতে চেয়ারের রিস্টে ধরে, অন্য হাতে কপালে হাত রেখে ড. আরিফকে প্রশ্ন করল।
ড. আরিফ মাথা নাড়লেন। “শুনলাম।”
— "কে ডাকছে আমাকে? এটা কি স্বপ্ন, নাকি সত্যি?" অভি তার চোখে ঘরটা দেখতে দেখতে বলল।
ড. আরিফ একটু থামলেন, তারপর প্রশ্ন করলেন, “তুমি কি নিশ্চিত তুমি জীবিত?”
অভি হতভম্ব হয়ে গেল। “মানে?”
— “আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।”
অভি কিছুক্ষণ কিছু বলতে পারল না। ঘরের বাতিটা একটু একটু করে ম্লান হয়ে আসছে। যেন কেউ আলো টেনে নিচ্ছে।
সে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, “আপনি কি বলতে চাইছেন আমি... আমি মৃত?”
ড. আরিফ মৃদু হাসলেন। “সেটা নিশ্চিত হতে হবে তোমাকেই।”
ঘরটি নিঃস্তব্ধ হয়ে গেল। বাতাস যেন থেমে গেছে। আবার সেই ডাক শোনা গেল—
"অভি... অভি..."
এবার অনেক কাছে, অভির কানের পাশ থেকে। তার গা শিউরে উঠলো। ঘরটি এখন আরও অন্ধকার হয়ে এসেছে। অভি পা ফেলতে গিয়েও যেন থেমে গেল।
এসময় ড. আরিফ একটু নড়ে উঠলেন, তাঁর চোখে এক ধরনের গহীনতা, যেন তিনি জানেন, এই ঘটনা তাকে কোথায় নিয়ে যাবে।
— "তুমি কি জানো, এই জায়গাটা কোথায়?" ড. আরিফ জিজ্ঞেস করলেন, তার গলার আওয়াজ যেন আরো রহস্যময় হয়ে উঠেছে।
অভি কাঁপতে কাঁপতে বলল, “না... কোথায়?”
ড. আরিফ চুপ করে কিছু সময় পরে বললেন, “তুমি এখন যেখানটায় আছো, সেটি মৃত্যু আর জীবনের মাঝের এক সীমানা। তুমি এখন মৃত না জীবিত, তা তোমাকেই বুঝতে হবে। কিন্তু, তোমার ভেতর কি কিছু অনুভূত হচ্ছে?”
অভি নিঃশব্দে মাথা নেড়ে দিল। সে বুঝতে পারছে না কেন এই অনুভূতি আসছে। তবে, তার মনে হচ্ছে— কিছু খুব অস্বাভাবিক ঘটছে।
এদিকে বাতাস আরও তীব্র হচ্ছে। ঘরের বাতি আর ম্লান হয়ে এসেছে। হঠাৎ আবার দরজা খোলার শব্দ হলো— অদৃশ্য শক্তি যেন দরজা খুলেছে। অবাক হয়ে অভি দরজার দিকে তাকালো। দরজা তখন হালকা খোলা ছিল। তবে, ভেতরের দৃশ্য খুব স্পষ্ট ছিল না, কেবল সাদা ছায়াগুলি মৃদু আলোতে কাঁপছিল।
এবার অভি হঠাৎ বুঝতে পারলো— তার সামনে কোনো দরজা নেই, তার চারপাশে অন্ধকার ছড়িয়ে পড়েছে। তার চারপাশে তার নিজের অস্তিত্বটাই বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছিল, সে একে একে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
এদিকে, কিছু যেন খুব দ্রুত ঘটতে যাচ্ছে।
অভি তার স্মৃতির পাতা উল্টাতে লাগলো। গত রাতের কথা মনে পড়ল— তার নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকা অবস্থায় হঠাৎ বাইরে থেকে একটা কষ্টদায়ক চিৎকার শোনা গিয়েছিল। এক নারীর শ্বাসরোধ করার শব্দ! সেই চিৎকার তাকে ভীত করেছিল, কিন্তু সে সেটা উপেক্ষা করে বসে ছিল। এরপর, আর কিছু মনে পড়ে না। তবে কিছু একটা ছিল, যা তাকে বাধা দিচ্ছিল— কোনো অদৃশ্য শক্তি।
অভি মাথায় হাত দিয়ে চিৎকার করে বলল, “আমি কোথায়? আমি কী করছি?”
ড. আরিফ শান্ত গলায় বললেন, “তুমি মারা গেছো, অভি। তুমি এখানে এখন একটা সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছো। জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানে।”
অভি এক সেকেন্ড থেমে রইল, তারপর ঘোর লাগা কণ্ঠে বলল, “মৃত্যু... না... আমি... আমি মারা যাইনি!”
কিন্তু তখনই ঘরটি আরও বেশি অন্ধকার হয়ে গেল। আর সেই অদৃশ্য ডাকও আরও স্পষ্ট হলো—
"অভি... তুমি এখনও আমাকে ভুলে যাওনি, তাই না? আমাকে ডেকেছিলে তুমি..."
এই কণ্ঠটা যেন একেবারে অভির বুকের মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকলো। তখন তার মাথায় এক ভয়াবহ জ্বালা অনুভূত হলো। সে একেবারে নিশ্চিত হয়ে গেল— সে এখন কোথায়, কী হচ্ছে, তার কোনও বুঝ নেই। সে জীবিত না মৃত— কেউ জানে না।
ড. আরিফ দাঁড়িয়ে বললেন, “এখন তুমি সিদ্ধান্ত নাও— তুমি কোথায় যাবে? কিন্তু মনে রেখো, এই জায়গায় কোনোই ফিরতি পথ নেই।”
অভি আবার অন্ধকারে ডুবে গেল, তখন তার মনে হল, কী এক ভয়াবহ অদৃশ্য শক্তি তাকে টেনে নিচ্ছে। সে কখনও হয়তো সেখান থেকে ফিরে আসবে না।
উড়তে থাকা পাখি কি কখনও আকাশ ভেদ করে উড়তে পারে ?
আমরা ছিলাম খাঁচায় থাকা একজোড়া পাখির মতো । কোনরকম বাঁধা , দরজা ছাড়া খাঁচা । তোমার খাঁচা পছন্দ না ।
আমি আকাশ হয়ে গেলাম , যার বুকে তুমি উড়ে বেড়াতে পারবে আপন মনে । তুমি বললে রোদ তোমার পছন্দ না । আমি মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেলাম ।
হালকা অন্ধকার নেমে আসায় তুমি চোখ ফাঁকি দিয়ে উড়ে গেলে গভীর বনে ।
আমি খুঁজতে গিয়ে দেখি তুমি অন্য এক খাঁচায় ।
আমি বৃষ্টি হয়ে নেমে আসলাম ।
তুমি সোজা উড়ে গেলে আকাশের দিকে । আকাশ ভেদ করার চেষ্টায় , বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ।
শাহরিয়ার হোসেন তানভীর
সোমবার , সেপ্টেম্বর ৯ , ২০২৪
আমি কখনই কাউকে মিস করি না । মিস করার মত কিছু নেই । জীবনে চলার পথে অনেক মানুষের সাথে দেখা হয়েছে সামনে আরো মানুষের সাথে দেখা হবে। সবার সাথেই ভালো সময় কাটানোর চেষ্টা করেছি । নির্দিষ্ট কারো জন্য আমি কখনই মন খারাপ করিনি। মন খারাপ সব সময় হয়েছে নিজের উপর, অন্য কারো উপর না । মিস করার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ আছে , আমি সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত।
ওইযে হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন " অন্ধকার বলতে কিছু নেই , আমরা আলোর অনুপস্থিতিকে অন্ধকার বলি । ঠিক তেমনি দুঃখ বলে কিছু নেই "
আমি সব সময় বাস করছি একটা লাইট নিয়ে । মনের সাহসের লাইট। যার কারণে অন্ধকার এখনো আমাকে গ্রাস করতে পারেনি । লাইট শেষ হওয়া মানে মৃত্যুর কাছে চলে যাওয়া
আজকে থেকে তুমি মুক্ত । যদিও আগে থেকেই মুক্ত ছিলে তুমি তবুও মনের বিশাল এক অংশ ভেবে বসেছিল তুমি আসবে ।
প্রায় সময় ভাবতাম যদি তোমাকে পেয়ে যাই তাহলে কি এই জীবনে আমার আর কোন আক্ষেপ থাকতো ? আমার কি আর কিছু চাওয়ার থাকতো ?
মানুষকে আক্ষেপ নিয়েই বাঁচতে হয় ।
তুমি আমার সেই পবিত্র আক্ষেপ ।
তুমি আমার কাছে আকাশের মত , যত কাছে যাই ততোই মনে হয় আরো অনেক দূরে চলে গেছে ।
তোমাকে মুক্ত বলছি কেন যান ?
তোমাকে বিরক্ত করা , তোমার মেসেজের অপেক্ষায় থাকা , হাজার ঝামেলা এবং মন খারাপের মাঝে তোমার কথাই বারবার মাথায় ঘুরতে থাকা আজকে থেকে আর হয়তো হবে না ।
এইসব কিছু থেকে তুমি মুক্ত ।
আমি তোমাকে আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখির মত মুক্ত করলাম ।
আচ্ছা আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখির থেকে আকাশ কাছে না দূরে ?
~~~ শাহরিয়ার হোসেন তানভীর
আমি একটা ব্যাপার লক্ষ্য করে দেখলাম যে একটা মেয়ের সাথে দুরত্ব তৈরি হতে বেশি সময় লাগে না । আবার কাছে যেতেও বেশি সময় লাগে না ।
মেয়েরা তাদের চারপাশে এক অদৃশ্য দেয়াল তৈরি করে রাখে ।
সে তার মন মত আপনার অবস্থান পরিবর্তন করবে ।
সে যদি চায় আপনি তার কাছাকাছি থাকবেন তাহলে সে আপনাকে তার দেয়ালের মধ্যে নিয়ে যাবে। আবার সে যদি চায় আপনাকে দেয়ালের বাইরে রাখবে ।
আপনি চাইলেও আপনার মন মতো দেয়ালের এই পাড় থেকে ওইপাড়ে যেতে পারবেন না ।
দেয়ালটা অত্যন্ত সূক্ষ্ম কিন্তু শক্তিশালী ।
আমি এখন দেয়ালের বাইরে রয়েছি ।
~~Shahriar Hossain Tanvir
~ আচ্ছা নীলা বলতো চাঁদের বেশি আলো নাকি সূর্যের ?
~ এটা আবার কেমন কথা বলছো তুমি ? চাঁদের নিজস্ব আলো আছে নাকি ? সে তো অন্যের আলোতে আলোকিত
~ তবুও বলো কার আলোর তিব্রতা সবথেকে বেশি ?
~ এটা আবার কঠিন কি হলো অবশ্যই সূর্যের আলোর তিব্রতা বেশি ।
~ কিন্তু আমরা কেউই সূর্যের দিকে তাকিয়ে মুদ্ধ হইনা । তাকিয়ে থাকি সেই চাঁদের দিকেই । কেন?
~ কারন সূর্যের দিকে আমরা তাকিয়ে থাকতে পারি না তার আলোর তিব্রতার জন্য কিন্তু চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকা যায় । সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকিয়ে থাকতে পারলে হয়তো আমরা তাকে দেখেই মুদ্ধ হতাম ।
~ মাঝেমাঝে সত্যিকারের ভালোবাসাও সূর্যের মতো হয়ে যায় । তিব্রতা অনেক বেশি থাকে । যা সবার চোখ দেখতে পারে না । তখন সে মুদ্ধ হয় চাঁদকে দেখে
মেঘের মন আজ খুব খারাপ
কারন আকাশ তাকে বলেছে
"সারাদিন আমার বুকে ঘুরে বেড়াতে কে বলেছে তোমায় ? অন্য কোথাও যাও" ।
মেঘ অভিমান করে বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পরলো পৃথিবীর বুকে ।
কিন্তু এই অভিমান করে আর লাভ কি?
সূর্য তার তাপে ঝড়ে পরা পানিকে জলীয় বাষ্প রুপে আবার আকাশের বুকে পাঠিয়ে দিবে ।
কিন্তু একসময় হয়তে সূর্যের আলোতে এত তীব্রতা থাকবে না ঝড়ে পরা পানিকে আবার আকাশে ফিরিয়ে দেয়ার ।
তখন আকাশ হবে মেঘশুন্য আকাশ।
কেউ তখন তার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হবে না
সময় যাত্রীর ডায়রি: আমি ভবিষ্যত থেকে এসেছি
আমার নাম মন্টু। পুরো নাম মন্টাজ উদ্দিন সরকার। আমি থাকি মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে, এক পুরনো দালানের দ্বিতীয় তলায়। পাশের ফ্ল্যাটে থাকেন ছফু কাকু—প্রাক্তন পোস্ট অফিস কর্মচারী, বর্তমানে ফুল টাইম পাগল। উনি বলেন,
— “এই সময়টা ফেক, সবটাই একটা সিমুলেশন!”
আমি ওনার কথা শুনে হেসে ফেলি। প্রতিবার।
কিন্তু গতকাল রাতে এমন কিছু ঘটলো, যেটা এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না।
ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে আমি একটা ট্রেনের কামরায় বসে আছি। ট্রেনটা হাওয়ার মতো চলছে, বাইরে টাইমলাইন স্লাইড হচ্ছে—“২০৫০… ২০৮০… ২১০০…”
একটা মোড় ঘুরতেই ট্রেন থামলো। কামরায় ঢুকলো একজন লোক—ধবধবে সাদা চুল, চোখে গোল ফ্রেমের চশমা, হাতে একটা কালো ডায়রি।
সে আমার সামনে বসে বললো,
— "তুমি মন্টাজ উদ্দিন সরকার?"
আমি বললাম,
— "হ্যাঁ…"
সে হেসে বলল,
— "আমি তোমার নাতি। আমি ভবিষ্যত থেকে এসেছি।"
আমি স্তব্ধ। আমি তো এখনো বিয়েই করিনি!
সে বলল,
— "এই ডায়রিটা তোমার, কিন্তু ভবিষ্যতের। তুমি এটা এখন লিখলে, ভবিষ্যতের সবকিছু বদলাবে।"
— “কিন্তু আমি কী লিখব?”
সে বলল,
— “যা ইচ্ছে তাই, কিন্তু সাবধান… তোমার প্রতিটা লাইন টাইমলাইনে কম্পন তৈরি করবে।”
ঘুম ভেঙে দেখি, সত্যিই টেবিলের উপর একটা নতুন ডায়রি পড়ে আছে। প্রথম পাতায় লেখা:
“সময় যাত্রীর ডায়রি – মন্টাজ উদ্দিন সরকার (জন্ম: ২০০৪, মৃত্যু: পুনর্লিখিত)”
আমি ভয় পেয়েও একরকম মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। লিখতে শুরু করলাম:
“বাংলাদেশে কেউ আর দুর্নীতির কথা ভাববেও না।”
“সব বাসে চুপচাপ লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ উঠে।”
“শিক্ষকরা বেতন পায় সময়মতো, আর ডাক্তাররা টাকা না নিয়ে রোগী দেখে।”
পরদিন সবকিছু একটু একটু করে বদলে যেতে লাগল। খবরের কাগজে হেডলাইন:
“বাংলাদেশ – পৃথিবীর সবচেয়ে সুশাসিত দেশ!”
একদিন রাতে ছফু কাকু দরজায় কড়া নাড়লেন।
তিনি ঢুকেই বললেন,
— "তুই ডায়রি পেয়েছিস, তাই না?"
আমি থ হয়ে গেলাম।
তিনি টেবিলের উপর ডায়রির দিকে তাকিয়ে বললেন,
— "ভুল করিস না। আমি একসময় লিখেছিলাম... আমার সময় শেষ। তুই এখনও থামতে পারিস।"
— "আপনি কী বলছেন?"
— "এই টাইমলাইন একটা পাতলা কাচের মতো। বেশি ঘষাঘষি করলে চিড় ধরবে। আমি নিজের বোনকে হারিয়েছি শুধু একটা ভুল লাইনের জন্য।"
তিনি পকেট থেকে একটা টাইমওয়াচ বের করলেন, সেটার কাচ ফেটে গেছে, ভেতরের ঘড়ির কাঁটা থেমে আছে ঠিক ২০৭৭ সাল।
তিনি কাঁপা কণ্ঠে বললেন,
— "ভবিষ্যত জানার চেয়ে ভবিষ্যতের প্রতীক্ষা ভালো। পুড়িয়ে ফেল ওটা। এখনই।"
আমি একরকম আচ্ছন্নের মতো ডায়রিটা নিয়ে বারান্দায় গেলাম। একটা দেশলাই জ্বালালাম, ডায়রিতে আগুন ধরালাম।
আগুনটা কেমন জানি… নীলচে। ধীরে ধীরে জ্বলে গেল সব। ছাই হয়ে যাওয়া শেষ পাতায় একটা লাইন আবছা দেখা যাচ্ছিল—
“এই ডায়রির শেষ পাঠক তুমি ছিলে। ভবিষ্যতের দরজা এখন বন্ধ।”
পরদিন সকালে উঠে দেখি, যেন সব স্বপ্ন। কিন্তু আমার বইয়ের তাকে ছফু কাকুর টাইমওয়াচটা রাখা। থেমে আছে ২০৭৭-তেই।
আমি জানি না সেটা সত্যি ছিল নাকি ঘোর…
শুধু জানি, পেছন ফিরে আর ডাকা যাবে না।
কারণ…
ভবিষ্যত জানলে মানুষ বাঁচে না, জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যায়।
More writings will be added here soon. I'm not a well-known writer—just someone who loves to write and share thoughts. Please keep me in your prayers as I continue this journey.