প্রদীপ কুমার রায় ,
223-এবি মুখার্জি রোড, নুতনগঞ্জ, দিঘিরপুল, বর্ধমান-713102,
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
লেখক বহু বছর চাকরির পর এখন তার ব্যাংকিং চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। অবসর গ্রহণের সময়, লেখক এসবিআই-এর পুরশুরা শাখায় চিফ ম্যানেজার (অফিং) পদে নিযুক্ত ছিলেন। এস বি আইতে, তিনি ব্রাঞ্চ ম্যানেজার , এইচ আর ম্যানেজার, সিস্টেম ম্যানেজার ইত্যাদির মতো বিভিন্ন এসাইনমেন্টে কাজ করেছিলেন। সেই সময়ে লেখকের শখ ছিল বিভিন্ন জাদু আবিষ্কার করা এবং বিভিন্ন নিবন্ধ লেখা। তার প্রথম বই "প্রেরনা" প্রকাশিত হয় 2013 সালে। ইতিমধ্যেই তার লেখা বেশ কিছু প্রবন্ধ বিভিন্ন বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। ম্যাজিকের ক্ষেত্রে, লেখকের চিত্র সহ বায়োডাটা ম্যাজিশিয়ান ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরিতে প্রকাশিত হয়েছিল।
লেখকের শিক্ষাগত যোগ্যতা হ'ল বি.এসসি (পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স), এম.এসসি (কম্পিউটার সায়েন্স), পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার এপ্লিকেশন (পি জি ডি সি এ), সিসকো সার্টিফাইড নেটওয়ার্ক এসোসিয়েটস-গ্লোবাল (সি সি এন এ), ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংকিংয়ের সার্টিফাইড সহযোগী (সি এ আই আই বি) ।এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শংসাপত্র কোর্স যেমন এনিমেশন , হার্ডওয়্যার, কোবল প্রোগ্রামিং,ফটো, ভিডিও এবং অডিও সম্পাদনা, হিন্দির প্রাজ্ঞ কোর্স ,IRDAI থেকে সার্টিফিকেট কোর্স ইত্যাদিও করেছেন ।
অবসর গ্রহণের পরে লেখক কয়েকটি একাডেমী এর সাথে "ব্যাংকিং" এর বিশেষজ্ঞ ইন্সট্রাক্টার হিসাবেও অংশ নিয়েছিলেন এবং এখন তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পৃষ্ঠা, ওয়েবসাইট, ব্লগ, স্টক ফটোগ্রাফি , বিভিন্ন লেখালেখি , নিজের লিখিত বই প্রকাশ ইত্যাদিতে ও ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজে নিযুক্ত রয়েছেন ।
শিবপুরাণ হিন্দু ধর্মের একটি পবিত্র গ্রন্থ, যা ভগবান শিবের মহিমা, কর্মকাণ্ড, পৌরাণিক কাহিনী, ইতিহাস, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের এক বিশাল সমাহার। এই পুরাণে শিবের বিভিন্ন রূপ, যেমন অর্ধনারীশ্বর, নটরাজ, মহাকাল ও অঘোরীর বর্ণনা পাওয়া যায়। এছাড়াও, শিবপুরাণে বিভিন্ন তীর্থস্থান, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, যোগ ও ধ্যানের পদ্ধতি, পাপ-পুণ্যের বিচার, মুক্তির উপায় এবং পরকালের বিবরণও রয়েছে।
শিবপুরাণের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মের অপূর্ব সম্মিলন। এই পুরাণে বর্ণিত অনেক কাহিনীই আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে ব্যাখ্যা করা যায়। যেমন, শিবলিঙ্গের উৎপত্তি, বিশ্বব্রহ্মের সৃষ্টি ও ধ্বংস, পঞ্চভূতের সৃষ্টি, সপ্তঋষির গুরুত্ব, নক্ষত্রমন্ডলের বিভাজন, তীর্থস্থানের ভৌগোলিক গুরুত্ব ইত্যাদি। এছাড়াও, শিবপুরাণে বর্ণিত যোগ ও ধ্যানের পদ্ধতিগুলি আজও মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
শিবপুরাণের আধ্যাত্মিক গুরুত্বও অপরিসীম। এই পুরাণে ভক্তি, প্রেম, নিষ্ঠা, ত্যাগ, সৎকর্ম, ধৈর্য, ক্ষমা ইত্যাদি মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। শিবপুরাণ শেখায় যে, আত্মজ্ঞানের মাধ্যমেই মুক্তি লাভ করা সম্ভব। শিবের প্রতি ভক্তি ও নিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষ অন্ধকার থেকে আলোর দিকে, অজ্ঞান থেকে জ্ঞানের দিকে, সংসারের বন্ধন থেকে মুক্তির দিকে যেতে পারে।
অতএব, শিবপুরাণ শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় গ্রন্থই নয়, এটি বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মের একটি মহান সন্ধিস্থল। এই পুরাণ আমাদের জীবনকে সুখী, শান্তিপূর্ণ ও সার্থক করে তুলতে সহায়তা করে। শিবপুরাণের জ্ঞান ও উপদেশ আজও আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের জীবনকে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।
মাঝে মাঝে মানুষের জীবনকে সামনে এগিয়ে নিতে কিছু মোটভেশনাল কথা, গল্প, উক্তি ঘুরে দাড়ানোর মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। মানুষ এসব শিক্ষণীয় গল্প থেকে নিজেদের চলার পথে আলোর দেখা পায়। এই বইটি এমনই কিছু শিক্ষণীয় ছোট গল্পের সমাহার, যা আপনার জীবনে চলার পথে অনুপ্রেরণা জাগাবে। এই অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলি আপনাকে আপনার স্বপ্ন অনুসরণ করতে, অন্যদের সাথে সদয় আচরণ করতে এবং নিজেকে কখনও হাল ছেড়ে না দিতে উত্সাহিত করবে। আপনার চিন্তাভাবনা এবং আপনার জীবন পরিবর্তন করার শক্তি খুঁজতে উত্সাহিত করবে। ।
আমরা মানুষেরা সব সময়ই না পাওয়ার দুঃখে ভুগি । খুব কমই মনে হয় মানুষ আছেন যারা তাদের এক্সপেক্টশন এর বন্ধন থেকে মুক্ত করতে পেরেছেন। যতক্ষন পর্যন্ত আপনার অভাব থাকবে ততক্ষন আপনার মোটিভেশন এর দরকার পরবে। কিছু পাওয়ার ইচ্ছা ,কিছু হওয়ার ইচ্ছা , নিজের অবস্থা থেকে তৈরি হওয়া হতাশা সবার মাঝেই কাজ করে। আমাদের সে আবেগ গুলো আমাদের উপর এতই প্রভাব বিস্তার করতে থাকে যে আমরা এমন অবস্থায় থাকি না, যেখান থেকে চাইলেই আমরা বের হয়ে আসতে পারি। আমরা প্রায়ই মোটিভেশনাল স্টোরি শুনি। অনেক বক্তার কথায় হারিয়ে যাই। নিজের ভিতরেই একটা অদৃশ্য শক্তি অনুভব করি ।
আসলে মোটিভেশনাল স্টোরি হচ্ছে , যারা নিজের পরিশ্রমে নিজের কপাল থেকে লুজার শব্দটা মিটিয়ে “সাকসেসফুল” কথাটা লিখিয়ে নিয়েছেন। কিংবা কোন একজন মানুষ কোন বাজে অবস্থা থেকে নিজেকে টেনে এনেছেন উচ্চতার শিখড়ে কিংবা এমন কোন অবস্থায় যেখানে তার থাকার কথা না। জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে ।
মহাভারত, বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য, একটি বিশাল এবং জটিল গল্প যা পরিবার, কর্তব্য, সম্মান এবং যুদ্ধ সহ অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করে। এই মহাকাব্যের কেন্দ্রে রয়েছে কৃষ্ণের চরিত্র, যিনি গল্পের প্লট এবং থিমগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণকে হিন্দুধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেবতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তার প্রভাব ধর্মের বাইরে শিল্প, সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে প্রসারিত।
এই বইটিতে, আমরা মহাভারতে কৃষ্ণের ভূমিকা অন্বেষণ করব এবং পরীক্ষা করব কীভাবে তাঁর কর্ম এবং শিক্ষাগুলি গল্পের আখ্যান এবং বিষয়বস্তুকে গঠন করে। আমরা মহাভারতের কৃষ্ণের চরিত্রের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য পরীক্ষা করব। আমরা ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার উপর কৃষ্ণের গল্পের স্থায়ী প্রভাবের পাশাপাশি সমসাময়িক সমাজের সাথে এর প্রাসঙ্গিকতাও অন্বেষণ করব।
পুরো বই জুড়ে, আমরা প্রাচীন গ্রন্থ, পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণা এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতি সহ বিস্তৃত সূত্রের উপর আঁকব। আমরা একাধিক কোণ থেকে কৃষ্ণের গল্পটি পরীক্ষা করব, তাঁর জন্ম ও শৈশব, মহাভারত যুদ্ধে তাঁর ভূমিকা এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতে তাঁর উত্তরাধিকারের দিকে তাকালে। আমরা হিন্দুধর্মের একটি কেন্দ্রীয় পাঠ্য ভগবদ্গীতাও অন্বেষণ করব যা কর্তব্য, নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিকতার বিষয়ে কৃষ্ণের শিক্ষাগুলিকে বৈশিষ্ট্যযুক্ত করে।
সামগ্রিকভাবে, এই বইটির লক্ষ্য পাঠকদের মহাভারতে কৃষ্ণের ভূমিকা এবং হিন্দুধর্ম ও ভারতীয় সংস্কৃতির জন্য তাঁর গল্পের তাৎপর্য সম্পর্কে একটি বিস্তৃত ধারণা প্রদান করা। আমরা আশা করি এই বইটির শেষ নাগাদ, পাঠকরা মহাভারতের জটিলতা এবং গভীরতা এবং কৃষ্ণের চরিত্রের স্থায়ী উত্তরাধিকারের জন্য গভীর উপলব্ধি অর্জন করবেন।
ভগবদ গীতা হিন্দুধর্মের একটি শ্রদ্ধেয় পাঠ্য, যা সংস্কৃত ভাষায় লিখিত এবং 700টি শ্লোক নিয়ে গঠিত। এটি মহাকাব্য মহাভারতের একটি অংশ এবং এটিকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী গ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এর মূল অংশে, ভগবদ গীতা হল একটি আধ্যাত্মিক নির্দেশিকা যা ব্যক্তিদের শেখায় কিভাবে যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং ভক্তি অনুশীলনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে হয়। পাঠ্যটি থিমগুলি অন্বেষণ করে যেমন নিজের প্রকৃতি, অস্তিত্বের উদ্দেশ্য এবং একটি পুণ্যময় জীবনযাপনের গুরুত্ব।
গীতার মূল শিক্ষাগুলির মধ্যে একটি হল ধর্মের ধারণা, বা জীবনে একজনের কর্তব্য এবং দায়িত্ব। এটি ফলাফলের সাথে সংযুক্ত না হয়ে নিজের দায়িত্ব পালনের গুরুত্বের উপর জোর দেয়, বরং ঈশ্বরের সেবার একটি কাজ হিসাবে। গীতা কর্মের ধারণা, বা কারণ এবং প্রভাবের আইনও উপস্থাপন করে, যা বলে যে প্রতিটি কর্মের একটি ফলাফল আছে, তা ইতিবাচক বা নেতিবাচক। এটি ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত লাভ বা স্বীকৃতির উদ্বেগ ছাড়াই নিঃস্বার্থভাবে এবং বিচ্ছিন্নতার সাথে কাজ করতে উত্সাহিত করে। ভগবান কৃষ্ণের চরিত্রের মাধ্যমে, গীতা প্রতিকূলতার মুখে সাম্য বজায় রাখার গুরুত্ব এবং উচ্চতর শক্তির কাছে আত্মসমর্পণের শক্তি শেখায়।সামগ্রিকভাবে, ভগবদ্গীতা আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি এবং জ্ঞানার্জনের সন্ধানকারী ব্যক্তিদের জন্য একটি নির্দেশিকা হিসাবে কাজ করে, একটি পরিপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য নিরবধি জ্ঞান এবং ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
গীতার শিক্ষা মানব মনস্তত্ত্বের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে, যেভাবে আমরা নিজেদেরকে এবং আমাদের চারপাশের জগতকে বুঝতে পারি। এর নিঃস্বার্থ কর্ম এবং ফলাফল থেকে বিচ্ছিন্নতার বার্তা আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি এবং জ্ঞানের সন্ধানকারীদের সাথে গভীরভাবে অনুরণিত হয়।
কিভাবে মানবিক গুনাবলীর জাগরণ সম্ভব যা অন্তরের আলো জ্বালায়
যখন আমরা সচেতন থাকি, তখন আমাদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে উচ্চতর স্তরের উপলব্ধি এবং অন্তর্দৃষ্টিতে অ্যাক্সেস থাকে। আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ জ্ঞানে টোকা দিতে পারি এবং জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির বিষয়ে স্পষ্টতা অর্জন করতে পারি। সচেতন হওয়া আমাদের আরও গভীর স্তরে নিজেদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম করে, আমাদের সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করতে এবং প্রামাণিকভাবে বাঁচতে দেয়।
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব আমরা সবাই জানি। প্রতিটি মানুষ সবসময় অনুপ্রাণিত হতে চায়। এই অনুপ্রেরণামূলক রায়গুলি বাস্তব জীবনে সঠিকভাবে অনুসরণ করা হলে, যে কোনও মানুষের জীবন অনায়াসে বদলে যেতে পারে।
মানবিক গুণাবলীর অভ্যন্তরীণ আলোর প্রতিফলন হল চিন্তা-উদ্দীপক অন্তর্দৃষ্টি এবং মানুষের অভিজ্ঞতার প্রতিফলনের একটি সংগ্রহ। মানুষ হিসাবে, আমাদের সকলেরই আমাদের চিন্তাভাবনা, আবেগ এবং আচরণের প্রতিফলন এবং আমাদের অস্তিত্বের গভীর অর্থ অন্বেষণ করার ক্ষমতা রয়েছে।
এই বইটি মানব মানসিকতার অভ্যন্তরীণ জগতের একটি যাত্রা, যা বিভিন্ন মানবিক গুণাবলী যেমন প্রেম, সমবেদনা, ক্ষমা, কৃতজ্ঞতা এবং প্রজ্ঞার অন্বেষণ করে। এই গুণাবলীর লেন্সের মাধ্যমে, আমরা নিজেদের, আমাদের সম্পর্ক এবং আমাদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি অর্জন করি। এই বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় একটি নির্দিষ্ট মানবিক গুণাবলীর সন্ধান করে, কীভাবে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই গুণগুলিকে গড়ে তুলতে এবং মূর্ত করতে পারি তার অন্তর্দৃষ্টি এবং প্রতিফলন প্রদান করে।
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে ।সকলের জন্যই বিশেষ করে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী , কর্মপ্রার্থীদের অবশ্যপাঠ্য যার থেকে প্রত্যেকেই নতুন করে ভাবতে অনুপ্রেরণা পাবে। যদি নিজেকে না বদলাতে চাও , নিজের দুর্বলতা এবং অসফলতা নিয়েই বাঁচতে চাও তাহলে এই লেখা পড়ার কোনো মূল্য নেই। তুমি যদি এই লেখাগুলিকে শুধু কাগজে লেখা মনে করো তাতে তোমার কোনো অসুবিধা হবে না, কিন্তু সত্যই যদি নিজের জীবনকে পুর্ণতা দিতে চাও , যদি সাধারণ হয়ে না থাকতে চাও তাহলে এই লেখাগুলি পড়ো ও ভাবতে থাকো , গভীরভাবে ভাবতে থাকো এবং এই মুহূর্ত থেকেই শুরু করো। একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় যে এক বৃহত্তর সেবা করতে পারে তা হলো মানবজাতির সেবা প্রদান। বলা হয়ে থাকে যে মানবজাতির সেবা ঈশ্বরের সেবা। মানবেরা আসেন এবং যান, কিন্তু তাদের দুর্দান্ত কাজ সর্বদা স্মরণ করা হয় এবং অন্যের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে । এমত অবস্থায় লেখকের নিজস্ব ধারণা , বিভিন্ন অজানা কে জানার আগ্রহ বিভিন্ন পণ্ডিত মানুষের ব্যাখ্যা একত্র করে পাঠকদের মনোরঞ্জন এবং সচেতনতার জন্য যে প্রয়াস তা সাফল্য পাবে এটাই আমার ধারণা।
জীবনের বেশিরভাগ সময়টা অতিবাহিত করার পর নিজের মধ্যে যে সব পরিবর্তন অনুভূত হয় এবং যে সব ধারণা পরিবর্তিত হয়ে নিজের অজান্তেই নুতন ধারণার সৃষ্টি হয় তারই বহিঃপ্রকাশ এই লেখনী। এটি খুবই একজন সাধারণ মানুষের নিজের মধ্যেই নিজের পরিবর্তনের কথা ,তার আন্তরিক মননের কথা এবং তার অন্তর্নিহিত বিশ্বাসের কথা যা বাহিরজগতে সবসময় প্রকাশ করা সম্ভব হয়না। সে অর্থে আমার কিছু নেই যা জানিয়ে পাঠকের সম্মুখে দাঁড়ানো যায়। পিছে ভয়, হাস্যষ্কর না হয়ে যাই। তবে হ্যাঁ, লিখি এবং তা শরীরস্থ এক অন্ধ আবেগে তাড়িত হয়ে কিছু কথা মালা কাগজের পাতায় গুঞ্জরিত হয়, এ কথা সত্য। সেগুলো মানসম্মত হয় কিনা বা সেগুলো, কাউকে নাড়া দেয় কিনা, জানি না। এক সময় ঘুমের ঘোরে, পথ চলতে-চলতে, হঠাৎ চলন্ত বাসে, রিকশায়, সকালে হাঁটার সময় লেখার জন্ম হয়। এটা একান্তই ব্যক্তিকেন্দ্রিক কথা। যদি সেই ব্যক্তিগত আবেগ, অনুভূতি একপর্যায়ে ব্যক্তি থেকে বেষ্টিতে ছড়িয়ে পড়ে তখনই নিজের কথা নিজের ব্যাথা অন্যের কথা, অন্যের ব্যথা বা অন্যের বক্তব্য হয়ে যায়। মনে হয় একটু চেষ্টা করলেই এ বিষয়ে অনেক কিছু বলতে পারবো। কিন্তু লিখতে বসলেই কথা হারিয়ে যায়। কেন যে লিখি, কেন যে লেখা আমাকে টেনে নিয়ে তার কাছে বসায়! মাঝে মাঝে মনে হয় অনেক কিছু শেখার আছে। অনেক অনেক কিছু। বুকের ভেতরে হাজারটা লেখার উপাদান গজগজ করে। নানান শব্দ, নানান বাক্যের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় ভেতরে। আমি একজন মনোযোগী পাঠকের জন্য অপেক্ষায় আছি। যার হাতে আর কোন বই নেই। যার কাছে কেবল একটিই বই, অন্য কোন বই বা গল্প জমা নেই , আমিই তার গল্পের বই; আমিই তার গল্প। এমন কোন এক মনোযোগী পাঠক হয়তো ঠিকই অনাগ্রহ নিয়ে পড়তে পড়তে পুরো বইটা শেষ করে উঠবে। আর সবশেষে তার চোখ থেকে উপচে পড়তে থাকবে তুমুল বিস্ময়।
মহাভারত ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মহাকাব্যগুলির মধ্যে একটি, এবং এর চরিত্রগুলি দেশের সাংস্কৃতিক কাঠামোর একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। এমনই একটি চরিত্র হল শকুনি, যে তার ধূর্ত এবং কৌশলী স্বভাবের জন্য পরিচিত। যদিও শকুনি মহাভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, তার পিছনের গল্প এবং প্রেরণার অনেক কিছুই অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। এই বইটিতে, আমি শকুনির জীবনকে অন্বেষণ করি এবং তার চরিত্রকে রূপদানকারী ঘটনাগুলির সন্ধান করি।
মহাভারত হল ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য, জটিল চরিত্র এবং জটিল প্লটলাইনে ভরা। মহাকাব্যের অনেকগুলি চরিত্রের মধ্যে, একজন তার ধূর্ততা এবং কারসাজির জন্য দাঁড়িয়েছেন যিনি হলেন শকুনি । শকুনি একটি বিতর্কিত চরিত্র যার কাজ মহাভারতের গল্পে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তার গল্পটি ট্র্যাজেডি এবং প্রতারণার, এবং তার উত্তরাধিকার আজও ভারতীয় সংস্কৃতি ও সাহিত্যে অনুভূত হচ্ছে।
এই বইটিতে, আমরা শকুনির চরিত্রকে গভীরভাবে অন্বেষণ করি, তার প্রেরণা, সম্পর্ক এবং উত্তরাধিকার পরীক্ষা করি। ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ, পৌরাণিক ব্যাখ্যা এবং মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা এই আকর্ষণীয় চরিত্রের জটিল প্রকৃতি বুঝতে চাই। আপনি ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনীর অনুরাগী হন বা জটিল চরিত্রের মনোবিজ্ঞানে আগ্রহী হন না কেন, এই বইটি ভারতীয় সাহিত্যের অন্যতম বিতর্কিত ব্যক্তিত্বের একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি সরবরাহ করে।
পৌরাণিক গল্প মানেই সেগুলো শুধুই গল্প, বাস্তব পৃথিবীতে সেই ঘটনা কখনোই ঘটে নি। এই গল্পগুলো বানানো হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সকল সংগ্ৰহের অন্ত হল বিনাশ, লৌকিক উন্নতির অন্ত হল পতন, সংযোগের অন্ত হলো বিয়োগ, জীবনের অন্ত হল মরন। যা বিয়োগ তা থেকে সুখ, কেমন করে পাওয়া যাবে, সুখ ও দুঃখ থাকার নয়, যাওয়া আসা এই ভবে। যার সংযোগ হয় তার বিয়োগও হয়, সংযোগ ভোগ একই কথা, সম্মান পেলে সন্তুষ্ট হন, অপমানে পান শুধু ব্যাথা । বেদমূর্তি শ্রীনারায়ণ ব্যাসরূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে চতুর্বেদ বিভাগ করেন। তারপর ব্যাসদেব ভাবলেন, যাঁরা যাগযজ্ঞ, পঠন পাঠনে যুক্ত থাকবেন, যাঁরা মেধাবি, নিষ্ঠাবান-তাঁরা বেদের অর্থ ধারণ করে মুক্তিলাভ করবে। কম মেধাসম্পন্ন বা বেদ পঠন পাঠনের সময় নাই বা বেদার্থ জ্ঞানলাভের উপযুক্ত না, তাহলে তাদের কি হবে? এসমস্ত ভেবে ব্যাসদেব বেদের তত্ত্ব সমূহকে গল্প, উপদেশ, কাহিনি ইত্যাদির মধ্য দিয়ে মহাভারত এবং পুরাণ রচনা করলেন, যাতে মহাভারত, পুরাণোক্ত তত্ত্বের উপলব্ধি করে কম বুদ্ধিসম্পন্ন মানব প্রমুখেরা মায়ামোহ অতিক্রম করে মুক্তিলাভ/ভক্তিলাভ করতে পারে।আর বুদ্ধিমান, যুক্তিবাদী, তাঁদের পরতত্ত্ব বোঝাবার জন্য ব্যাসদেব যুক্তিতর্কের অবতারণাপূর্বক রচনা করলেন ব্রহ্মসূত্র।এসকল গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে ব্যাসদেবের উদ্দেশ্য ছিল-- বিষয়ে নিবৃত্তি, ভগবানে আসক্তি এবং মুক্তিলাভ।মনুসংহিতা অর্থশাস্ত্রাদি গ্রন্থে পুরাণকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয়েছে এবং বেদের সঙ্গে একাসনে বসানো হয়েছে। আধুনিক কালেও পুরাণের গুরুত্ব কমে নি।
মহাভারত হলো ইচ্ছার গর্ভ থেকে উৎসারিত হওয়া জ্ঞানের , এই মহাকাব্য হলো জীবনের মর্ম শিক্ষার, মনুষ্যত্বের ধর্ম শিক্ষার, পাঁক থেকে উঠে এসে পদ্ম হয়ে ওঠার শিক্ষার ,যা জীবন দর্শন সম্পর্কে, মানুষের সম্পর্কে, যুদ্ধ সম্পর্কে এমনকি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সন্ধানের সম্ভবনার দিক নির্দেশ করে এবং যা আজও প্রাসঙ্গিক । এখানেও লুকিয়ে রয়েছে মানবসভ্যতার ইতিহাস, যা বিস্ময়কর ভাবে জ্ঞান, বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ধর্ম ইত্যাদির ক্ষেত্রে মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারে । ইচ্ছা ,আশা, প্রত্যাশা ,আকাঙ্ক্ষা এ সবই তো মানব সমাজের চালিকা শক্তি। নিজের ইচ্ছাই নিজের জীবনের ব্যাখ্যা। মহাভারত আমাদের শেখায় যে কর্ম কি এবং কোনটা শুভকর্ম ও কোনটা মন্দকর্ম অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যেমন ধর্ম; সত্য প্রকাশ করাও তেমনি ধর্ম। সত্য চেপে যাওয়া এবং অন্তরে বৈষম্য পোষণ করা কোন ধর্ম নয়। বংশীয় বর্ণবাদ যারা ধর্মের নামে ধরে রাখে এবং রেখেছে, তারা অধার্মিক ও পাপী। সমাজের স্বার্থেই তাদের সঙ্গ পরিত্যাগ করা উচিত। এখানে প্রতিটি গল্পই জ্ঞানের উৎস এবং মানুষের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন করে শেখার ব্যবস্থাপনা । মহাভারতের প্রতিটা চরিত্রই শিক্ষণীয় । একটি জমির জন্য একটি পরিবারের মধ্যে লড়াই হোক বা একটি ' অবৈধ ' সন্তানের বিষয় একটি পরিবার এবং সমাজের উপর তার প্রভাব এই অসাধারণ মহাকাব্যে বেশ সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে.। দুর্ভাগ্যবশত আজও ভারতীয় সমাজ এই মহান মহাকাব্য যে জীবনে জ্ঞানের মুক্তো দেয়, তা বুঝতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে । দুর্ভাগ্যবশত ,একটি সমাজ হিসেবে এখনো একটি সমঝোতার যথার্থ মূল্য বুঝতে ব্যর্থ , যে কারণে নিজেদের ক্ষুদ্র অহংকার এবং লোভ নিজেদের যুক্তির পথে আসে এবং এর ফলে নিজেরা যথাযথ সমাধান পাওয়ার জন্য আপস করতে রাজি হন না ।
বাবা! এই শব্দটা শুনলেই মিশ্র অনুভুতির জন্ম নেয় মনের মধ্যে। কিছুটা ভয়, কিছুটা ভালবাসা, কিছুটা মনোমালিন্য আর অনেকটা ভরসা। কোনও দুষ্টুমি করলেই মায়ের কাছে কাকুতিমিনতি, যে বাবা এলে যেন বলে না দেওয়া হয়। অথচ মেয়েরা যখন বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি চলে যায়, এই লোকটাই চোখের জল চেপে কোন এক অন্ধকার ঘরে লুকিয়ে বসে থাকে! ছেলে যখন আমেরিকায় গবেষণার সুযোগ পায়, অফিসে এই লোকটার মাথা গর্বে উঁচু হয়ে যায়।
ঈশ্বর জানেন যে সন্তানের জন্যে মা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এই দুজনের খেয়াল রাখার জন্যে আরো একজন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ… তাই তিনি “বাবা”দেরকেও পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। বাবারা সারাটা জীবন নিজের সন্তানের জন্যে নিজের জীবনটা বিলিয়ে দেন , কিন্তু হয়তো তারা সেই অর্থে চর্চিত হন না। সন্তানের প্রতি ভালোবাসা কোনো পিতা হয়তো প্রকাশ করতে পারে না, তবে কোনো পিতা কখনোই সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্ব পালনে বিচ্যুত হয় না।
মানুষের জীবনের বাবা-মা এর ভূমিকা অনস্বীকার্য । মা এর ভালোবাসার মধ্যে কোনো ভেজাল নেই, নেই কোনো মলিনতা। যেকোনো পরিস্থিতি হোক না কেন, মায়েরা সবসময় তাদের সবকিছু বিলিয়ে দেয়। একজন ব্যক্তি কোনো প্রয়োজন ছাড়াই আপনাকে ভালোবাসবে, সে হলো মা। মায়ের কোল যে কত বড় জিনিস তা একজন যোগ্য সন্তান ছাড়া আর কেউ জানে না । শত চিন্তা আপনার মাথায়, একবার মায়ের কোলে মাথা রেখে দেখবেন সব চিন্তা দূর হয়ে যাবে । পৃথিবীর যেখানেই যান না কেন মায়ের কোলে যে শান্তি তা কোথাও খুজে পাবেন না ।
এখানে বর্ণিত হয়েছে বাবা- মা সম্পর্কিত কথা এবং সেই সব মা - বাবাদের অজানা ও অল্প জানা বিভিন্ন কাহিনী, যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে এবং সমাজকে মানবিক গুণে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে, এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
বর্তমানে চলা করোনার জন্য লক ডাউনে গৃহবন্দি হয়ে থাকা অবস্থায় আমি সংগ্রহ করেছি বিভিন্ন মানুষের মতামত ও বিভিন্ন ছবি ,সেটা করোনার সতর্কতাই হোক বা তাকে ট্রল করার জন্যই হোক। এই পুস্তকে ব্যবহৃত তথ্য , পরিসংখ্যান , ছবি - এগুলি কোনো তথ্যের বিকৃতি , কাউকে বা কোনো সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে অবমাননা বা প্রশংসিত করার উদ্দেশ্যে গ্রথিত হয় নি। এগুলি কেবলমাত্র গ্রথিত হলো লক ডাউনে গৃহবন্দী অবস্থায় থাকা পাঠক কুলের মনোরঞ্জন ও অবসাদ দূর করার জন্য। যতদিন যাচ্ছে, এই করোনা ভাইরাসের কারনে পৃথিবীতে মৃত্যু মিছিল ততই দীর্ঘ হচ্ছে। সারা পৃথিবী জুড়ে স্বজন হারানোর কান্না আর হাহাকারে পৃথিবীর আকাশ বাতাস আজ ভারী হয়ে আসছে । প্রিয় মানুষটিকে যে শেষ বারের মতো দেখবে সেই সামর্থ্যটুকু ও আজ মানুষের মধ্যে নেই। কি করবে মানুষ? কার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে? কার বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে? এ যে এক অদৃশ্য দানব! যাকে খালিচোখে দেখা কোনদিন সম্ভব নয়, যে মানুষ তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে? তারপর ও মানুষ এই করোনা ভাইরাস নামক অদৃশ্য দানবের সাথে প্রতিনিয়ত-ই যুদ্ধ করে যাচ্ছে? কারণ, এই যুদ্ধ যে পৃথিবীর সমস্ত মানব জাতির অস্তিত্বের লড়াই, পৃথিবীতে মানব জাতির টিকে থাকার লড়াই! আসুন আমরা সবাই মিলে. জাতির সুরক্ষাত্বে এই লড়াইয়ে অংশ গ্রহন করি আর এই করোনা নামক ভাইরাসের নাম ও নিশান চিরতরে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলে দিই । এই করোনা ভাইরাস নামক অদৃশ্য দানবের সাথে যুদ্ধ করতে হলে, আমাদের কে সরকারের দেওয়া সমস্ত গাইডলাইন অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে! । সবাই সুস্থ থাকুন এবং অন্য কেও সুস্থ রাখুন । একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে যাবেন না, পারলে ঘরে বসেই প্রার্থনা করুন ।
একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় যে এক বৃহত্তর সেবা করতে পারে তা হলো মানবজাতির সেবা প্রদান। বলা হয়ে থাকে যে মানবজাতির সেবা ঈশ্বরের সেবা। মানবেরা আসেন এবং যান, কিন্তু তাদের দুর্দান্ত কাজ সর্বদা স্মরণ করা হয় এবং অন্যের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। সৌভাগ্যক্রমে, আমাদের জাতি সত্যই কিছু মহান পুরুষ ও মহিলা দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত, যারা মানবতার জন্য ও তাদের সেবার জন্য খ্যাত: মহাত্মা গান্ধী, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাদার টেরেসা, বাবা আমতে.....কেবল কয়েকজনের নাম লিখলাম । আধুনিক ভারতে ও পুরাতন ভারতে আমাদের কিছু পুরুষ ও মহিলা রয়েছেন যারা অন্যদের সেবা করার জন্য, মানবতার সেবা করার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমরা ১৫ ই আগস্ট, ১৯৪৭ সালে আমাদের যে সাহসী মহিলা এবং পুরুষদের দ্বারা আমাদের দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে , সে সম্পর্কে আমরা সবাই সচেতন। আমাদের দেশের নতুন ও পুরাতন অপরিচিত নায়ক ,যারা আমাদের হাজার হাজার জীবনকে প্রভাবিত করেছেন এবং করছেন , আমাদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন করেছেন এবং করছেন তা আমাদের জানা সমান গুরুত্বপূর্ণ । আমার ও আপনার জন্য ভারতকে সত্যিকার অর্থে একটি আরও ভাল জায়গা করে তোলায় , যারা অসাধারণ কীর্তি অর্জন করেছেন এবং আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং যাচ্ছেন তাদের সম্পর্কে জানা আমাদের কর্তব্য । তা আমাদের জানা দরকার, মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ,সচেতনতা আর সামাজিক শৃঙ্খলা অটুট রাখার জন্য, সর্বোপরি মানুষের কল্যাণের জন্য।
সে সময় জ্বর-জ্বালা হলে বাড়ির আশপাশের গাছগাছালিই ছিল মানুষের সুস্থ হয়ে ওঠার মূল ভরসা। ঔষধি গুনে ভরা কালমেঘ, ঘৃতকুমারি, তেলাকুচো, পলতা, আকন্দ, বৈচি, থানকুনি, কুলেখাড়া, ব্রাহ্মি, কলমি, হ্যালেঞ্চার মতো কতশত নাম জানা, না জানা গুল্ম, বৃক্ষ, শাক গ্রামবাংলার পথঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল তখন। এখন যাদের অনেকগুলোই হারিয়ে গিয়েছে বা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাদের গুণাগুণ সম্বন্ধেও সচেতন নয় বর্তমান প্রজন্ম। এই যেমন ঘুসঘুসে জ্বরে নিসিন্দা পাতা, সর্দি কাশিতে বাসক, তুলসিপাতা তো আছেই। রক্তাল্পতায় কুলেখাড়া, বুদ্ধি বিকাশে ব্রাহ্মি, অনিদ্রায় শুষনিশাকের ব্যবহার তো অতি পরিচিত। কৃমির জন্য সাত সকালে কাঁচা কালমেঘ পাতা, আনারস পাতার রস তো মহৌষধ বলে মনে করা হয় এখনও। পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা, গাঁদাল পাতা ব্যবহারে ভালোফল মেলে। কেটে গেলে রক্ত বন্ধ করতে বন তুলসি, পাথর কুচি, গাঁদা বা কচার আঠা ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেওয়া— এ সব তো খুব চেনা ছিল ছোটবেলায়।
বেশ কিছুদিন আগেও ভ্যারান্ডা, জীবলি বা পলতা গাছের ডাল দিয়ে বাড়ির বেড়া দেওয়া তো খুব সাধারণ ব্যাপার ছিল একটা সময়। চৈত্র মাসে টানের সময়ে সেই ডাল পুঁতলে তার থেকে সহজেই শিকড় বেরিয়ে গাছ হয়ে যেত। এখন তো জীবলি বা পলতা মাদার গাছ প্রায় চোখেই পড়ে না। জংলি গাছগুলোর মধ্যে দাদমর্দন, পলতা মাদার (পারিজাত), কেওকন্দর মতো বেশ কিছু গাছের ফুল এত সুন্দর দেখতে যে, তাদের বাহারি গাছ হিসেবেও বাড়িতে লাগানো যেতেই পারে। চাকুন্দা, দাদমর্দন গাছের রস চর্মরোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করার রেওয়াজ আছে। এমনকি, গায়ে লাগলেই গা চুলকায় যে বিছুটি গাছকে আমরা এড়িয়ে চলি সেই গাছও চর্মরোগ, প্রস্রাবের সমস্যা, মাথাব্যথা, হাঁপানিতে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।