বাংলার নাট্য কলাকুশলীদের সাথে এবং তাঁদের পাশে
২৭ ও ২৮ শে জুন ২০২০ এই দুদিন ব্যাপী টেলি নাটকগুলিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন বস্টন, নিউ জার্সি, ওয়াশিংটন ডিসি ও হিউস্টনের বিভিন্ন দল।
প্রতি নাটক ছিল ভিন্ন স্বাদের, ভিন্ন মেজাজের আর ভিন্ন রসের। কোথাও সম কিংবা অসম ভালোবাসা, কোথাও রহস্য, কোথাও সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বিশ্বাসের আশ্বাস, কোথাও প্রাত্যহিক দোটানার ঊর্ধ্বে আত্মবিশ্বাস, কোথাও সম্পর্কের টানাটানি, কোথাও নতুন কিছু শিখে সর্বনাশের মুখোমুখি, আবার কোথাও সম্পর্কের দায়বদ্ধতার বিষম ভার। আঙ্গিকেও প্রতিটি নাটক নিজস্বতার দাবী রাখে।
পুরোপুরি শ্রুতি নাটক থেকে পুরোপুরি zoom কে ব্যবহার করে তাকেই পুরোপুরি স্টেজ বানিয়ে নাটক-- সব রকমই ছিল এই নাট্যমেলায়।
দর্শকরা দুদিন ধরে যেন এক উৎসবের পুরোপুরি আস্বাদ পেয়েছেন।
YouTube ভিডিও থেকে আপনারাও আনন্দ পেতে পারেন।
রচয়িতা: জয়তী ব্যানার্জী
নাট্যরূপ: জয়তী ব্যানার্জী
পরিচালনায়: জয়তী ব্যানার্জী
অংশগ্রহণে: অমিতাভ লালা, শুভদীপ সেনগুপ্ত, পার্বতী ব্রহ্ম, রুমেলি চট্টোপাধ্যায় সেনগুপ্ত এবং জয়তী ব্যানার্জী
সময়সীমা: ১৮ মিনিট
নাটক সম্বন্ধে কিছু কথা: সব সম্পর্কের কিছু অলিখিত নিয়ম আছে। কিছু সম্পর্ক থাকে যেখানে সারা জীবন সরাসরি প্রশ্ন গুলোকে আমরা এড়িয়ে চলি। ঈষৎ অস্বস্তি থাকে, তবু সেটাকে সঙ্গে নিয়েই সেই সম্পর্কগুলির পথ চলা। কিছু প্রশ্ন থাকে, তবু উত্তর না খোঁজার থেকে হয়তো ভালো, উপেক্ষা করা।
রচয়িতা ও নাট্যরূপ: বনানী মুখোপাধ্যায়
পরিচালনায়: শৌভিক ঘোষ
অংশগ্রহণে: গার্গী ঘোষ, শ্রীজিতা চক্রবর্তী, ঈশান চক্রবর্তী ও শৌভিক ঘোষ
বেহালা: নীলাঞ্জনা চক্রবর্তী (কিশোর শিল্পী)
সময়সীমা: ১৮ মিনিট
নাটক সম্বন্ধে কয়েকটি কথা: আধুনিক এই যুগে যেখানে সম্পর্ক অনেকটাই লেনদেনের মাপকাঠিতে, সেখানে অসমবয়সী অনাত্মীয় দু'জন মানুষ কেমন করে যেন খুঁজে পেতে চায় প্রেম নয়-- শুধু নিটোল দাবীবিহীন ভালোবাসার এক স্পর্শকাতর সম্পর্ক। এমন কিছু কি আছে এই পৃথিবীতে ?
রচয়িতা: আলী তারেক
নাট্যরূপ: আলী তারেক
পরিচালনায়: আলী তারেক
অংশগ্রহণে: আলী তারেক, নাহিদ সুলতানা, মনিরুল হক ফয়সাল, সেলিনা রহমান, সৌরিন মাইতি।
সময়সীমা: ১৮ মিনিট
নাটকের সম্বন্ধে কয়েকটি কথা: ইকারুসের মত পাখা বানাতে নয়, পাখি হতে চেয়েছিলেন। অসম্ভবের বিপরীতস্রোতে ইচ্ছাপূরণের ঘটা ডেকে নিয়ে এল এক নিদারুণ ঘনঘটা।
রচয়িতা: মালতী যোশী
নাট্যরূপ: শান্তশ্রী সেন ও মানস সাহা
পরিচালনায়: মানস সাহা
অংশগ্রহণে: শান্তশ্রী সেন, পার্থ সেন, মানস সাহা, বলাকা সাহা, সুচেতনা মুখোপাধ্যায় ও বাণীব্রত সেন
সময়সীমা: ১৮ মিনিট
নাটকের সম্বন্ধে কয়েকটি কথা: দাদার টেলিগ্রাম পেয়ে সুমিত্রা তাড়াহুড়ো করে বাপের বাড়িতে এসে দেখে যে তার দাদার এবং ভাইয়ের মধ্যে একটি বিশেষ দ্বন্দ্ব চলছে। ভাই যাকে বিয়ে করতে চাইছে, দাদা তাকে বাড়ির বৌ করে ঘরে আনতে চান না। কেন? এই অবস্থার পরিণতি কি জানতে হলে আপনাকে নাটকটি দেখতে হবে। নানাবিধ পরিস্থিতি এক সময় আমাদের সবাইকেই জীবনের মুখোমুখি এনে দাঁড় করায় !
রচয়িতা: দেবাশিস মজুমদার
নাট্যরূপ: দীপক দেব
পরিচালনায়: দীপক দেব
অংশগ্রহণে: দীপান্বিতা দেব, দেবালিনা শেঠ, নবনীতা নাগ, স্বাতী চক্রবর্তী, শ্রেয়সী চাকদার, অরূপ রায়, সৌমিত্র পাল, দীপক দেব ও কৃষ্ণা দেব
সময়সীমা: ১৮ মিনিট
নাটকের সম্বন্ধে কয়েকটি কথা: একটি কল্পিত প্রেক্ষাপটে, কিছু সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে গড়া দেখা যায় নাটকের মধ্যে নাটক — কল্পনায় গড়া একটি দেশে শুধু নিজেদের রক্ষায় ব্যস্ত রাজা আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা কী ভাবে দেখতে পায় নিজেদের আসল রূপ আর সাধারণ মানুষ দেখতে পায় এক সুন্দর স্বপ্নের দেশ । তাদেরই গল্প একটু একটু করে ফুটে উঠবে আরশিতে ।
ভাষা: বাংলা ও ইংরিজি
রচয়িতা ও নাট্যরূপ: সৌমীনি চক্রবর্তী ও মিতা পাল
পরিচালনা: মিতা পাল ও দিব্যেন্দু পাল
অংশগ্রহণে: শুভাঙ্গিনি চক্রবর্তী, ইজানা ঘোষ সান্যাল, অর্না ব্যানার্জি, অরুণিমা ঘোষ, সুরজিৎ দাসগুপ্ত, অনুষা দাসগুপ্ত
প্রযোজনা: এবং থিয়াট্রিক্স
সময়সীমা: ১৮ মিনিট
নাটক সম্বন্ধে কিছু কথা: পলার বয়েস চোদ্দ – মেধার জোরে নিজের স্কুল থেকে স্থান পেয়েছে ম্যাগনেট স্কুলে। বাবা মায়ের অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা তাকে নিয়ে। কিন্ত প্রথম দিন থেকে পলার ভাগ্যে জুটল শুধু বর্ণবৈষম্য ও বক্রোক্তির খোঁচা। সে স্কুলে যেতে চায় না – গুম হয়ে বসে থাকে সারাদিন। মা বাবা কি পারবে তাকে বোঝাতে যে এরকম বৈষম্য জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে বিরাজমান? কি করে তারা পলাকে শেখাবে লড়াই চালিয়ে যেতে? পলা কি পারবে এই প্রতিকুলতা কাটিয়ে রুখে দাঁড়াতে? সে কি খুঁজে পাবে তার নিজের পরিচিতি যাতে আর কখনও কেউ তাকে না দেখার ভান না করতে পারে?
রচয়িতা: ভগীরথ মিশ্র
নাট্যরূপ: গোপা কুমার
পরিচালনায়: গোপা কুমার
আবহ সঙ্গীত: সুজিত কুমার
অংশগ্রহণে: অপর্ণা চক্রবর্তী, মৌসুমী বাড়রী, অমিতাভ চক্রবর্তী, তীর্থঙকর বাড়রী, গোপা কুমার
সময় সীমা: ১৮ মিনিট
নাটক সম্বন্ধে কিছু কথা: অকস্মাৎ বজ্রপাতের মতন বেশ বড়সড় বোমাঘাত হল কলকাতার এক অভিজাত শপিংমলে। তারপরের আটচল্লিশ ঘন্টায় শহর তোলপাড়, জীবন ওলটপালট ও নানান অস্বাভাবিক ঘটনা। কে ও কারা? গল্পটি বলবে এই ব্যঙ্গকৌতুক নাটক গামছা-পুরাণ।
রচয়িতা: বনানী মুখোপাধ্যায়
নাট্যরূপ : বনানী মুখোপাধ্যায়
পরিচালনায়: তাপসী ভৌমিক
অংশগ্রহণে: তাপসী ভৌমিক, নন্দিতা গাঙ্গুলী, সুস্মিতা বিশ্বাস ও দেবব্রত ভৌমিক
সময়সীমা: ১৮ মিনিট
নাটকের সম্বন্ধে কয়েকটি কথা: মধ্যবিত্ত বাড়িতে পরিচারিকার প্রচলন আছে কলকাতায়। এইরকমই একটি বাড়ি। সম্পর্কটি সৌহার্দের। নাটকটি আপনাদের নিয়ে যাবে এক অন্দরমহলে যেখানে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঠিক সময় বার করে নিয়ে একটু-আধটু লেখাপড়া শেখানোও চলছে। সে পড়তে শিখছে আর সেই আনন্দে এক ভীষণ অন্যরকম অনুভূতি। একদিন, হাতে এলো এক চিঠি।
তারপর?
রচয়িতা: নিলয় মুখার্জী
নাট্যরূপ: নিলয় মুখার্জী
পরিচালনায়: নিলয় মুখার্জী
অংশগ্রহণে: সুমালিতা ভূঁইয়া, রাজা চক্রবর্তী , দেবাংশু গোস্বামী , দ্বীপমালা রায় , দেবরাজ রায়, মৌসুমী দত্ত দে , নিলয় মুখার্জী
সময়সীমা: ১৮ মিনিট
নাটক সম্বন্ধে কয়েকটি কথা: পাগলী কিছু একটা দেখেছে, কিন্তু কেউ ওকে বিশ্বাস করছে না - ও আপনাদের বলতে চায় কী দেখেছে - শুনবেন আপনারা?
রচয়িতা: পরমা সান্যাল
নাট্যরূপ: পরমা সান্যাল
পরিচালনা: পরমা সান্যাল
অংশগ্রহণে: শম্পা বসু, শ্রীদত্তা ব্যানার্জী, অরুনিমা ঘোষ, অদিতি ভট্টাচার্য, রুপা মুখার্জী, পরমা সান্যাল
সময়সীমা: ১৮ মিনিট
প্রযোজনা: তা থৈ
নাটক সম্বন্ধে কিছু কথা: বন্ধুদের আড্ডা আজকাল সবই Zoom এ । তবে বাঙালির আড্ডা বলে কথা - তারপর সাতটি অন্তরঙ্গ মেয়ে বন্ধু যারা এই করোনার আগে প্রায়ই একে অন্যের বাড়িতে থাকতো উইকেন্ডে - মেতে থাকতো নাচ, গান নাটকের রিহার্সাল-এ, পার্টি আর খাওয়া দাওয়াতে । এই তিন মাসের দেখা না হওয়া, সামনা সামনি কথা না বলাতে হঠাৎ কিছু বদলে গেছে? হঠাৎ করে হালকা আড্ডাতে বিঘ্ন ঘটে - নিজেদের নানা রকম প্রেজুডিস হঠাৎ প্রবল ঝড় তোলে তাদের মাঝে । কী হলো তারপর? সেটা জানতে হলে, আসুন আমাদের আড্ডাতে যোগ দিন ।