বদলে যাচ্ছে পৃথিবী...... আগামী কালকের পৃথিবীটাই আমাদের।
-মোহাম্মদ মাহ্ফুজুর রহমান-
বাইক। ছোট্ট একটি বাহন। আমরা এটিকে সাইকেল হিসাবে জানতাম। নিউ ইয়র্ক এ এটির নাম বাইক। আমার অতি-পছন্দের একটি বাহন। অনেক চালিয়েছি। প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে একেবারে বিশ্ববিদ্যালয় লেবেল পর্যন্ত। যদিও কর্ম জীবনে এসে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট-কার চালিয়েছি। কিন্তু বাইক'র সাধ এখনো মেটেনি। সকল বাহনের মাঝেও এর জায়গাটি যেন শূন্য রয়ে যায়। এখনো যেখানেই দেখি তাকিয়ে দেখি আর একটু ভাবি! এই শহরের শত আকর্ষণীয় বাহনের মাঝেও আমি এই ছোট্ট বাহনটির মধ্যে হারিয়ে যাই। আমাকে অনেক মুগ্ধ করে। আমার মনে হয়, এটি অতি সাধারণ, অতি নিরাপদ, নির্ভেজাল একটি বাহন। এটির মধ্যে নেই কোন ধন্ধ, অহংকার এমনকি হিংস্রতাও। শুধু নীরবে সকলের চাহিদা মিটিয়ে যায়।পৃথিবীর এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে এর বিচরণ নেই। হয়তো জিনিষটির রকম ভেদে কিছু পার্থক্য রয়েছে বিভিন্ন দেশে। স্থানভেদে রয়েছে দরদামের সামঞ্জস্য। সুন্দরের দিক দিয়েও এর কোন কমতি নেই। রয়েছে বহু নজর কাড়া ও লোভনীয় বাইক। যা দেখলে মনে হবে যে, সকল প্রকার সর্বাধুনিক প্রযুক্তির জিনিষ এর মধ্যেও, এমন একটি বাইক থাকা চাই। কাজের চাহিদা আর চালানোর দিক থেকে পৃথিবীর সব জায়গায় কিন্তু সমান। মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনে জিনিষটিকে দিনেরাতে খুব সহজে ব্যবহার করা যায়।
ছোট বড় আর ধনী দরিদ্রের ব্যবধান এটি করে না। সবাইকে সাদরে ভরণ করে নেয়। সবাইকে মানিয়ে নেয় নিজ গুনে। আহ্ঃ কি শৃঙ্খলতা, কি সুন্দর স্বভাব। আমার আরও কি মনে হয় জানেন, এটিকে ব্যবহার করতে লাগেনা কোন নিদিষ্ট সময়। যখন খুশি ঠিক তখন। সকাল-সন্ধ্যা, দিবা-রাত্রি, রোদ-বৃষ্টিতে কোন জঞ্জাল নেই এটির। কি? এই কথায় ভাবছেন। ঐ সেই দিনটির কথা। যে দিনটি আপনাকে দিয়ে ছিল অনেক কষ্ট, অনেক ব্যথা। সামান্য একটু বৃষ্টি হওয়ার পর, যখন কড়া রোদে আঁটা-আঁটা কাঁদা মাটিতে বাইকটি চালাতে না পেরে কাঁধে নিয়ে ছিলেন। অনেক ঘামিয়ে গিয়েছিলেন। নিজের অজান্তেই চোখে পানি এসে টলমল করেছিল। কাউকে না দেখিয়ে চুপচাপ রাস্তার একপাশে দক্ষিণের বাতাসের মুখোমুখি হয়ে বসেছিলেন। মনের জিদকে ঠাণ্ডা করার জন্য। আরে, এতো আমার মনে হয় তেমন কিছুনা। অনেক হাল্কা, ছোট্ট একটি বাহন। যদি এ বাইকটির জায়গায় আজ আরও কোন ভারী বাহন হত। যেমন: মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট-কার। তাহলে? যাই হোক মূল কথায় আসি। অন্ধকার রাত্রেও এই বাহনটি চোখে দেখে। কেন বলছি একথা, অনেক অন্ধকার রাত্রেও বহু মাইল, বহু পথ পেরিয়ে, কোন প্রকার আলো ছাড়াই নিরাপদে বাড়ী এসেছি। বিশ্বাস করবেন? শুধু বাইকটি 'শেখার সময়টি' বাদ দিয়ে, বাকী জীবনের একটি দিনও কোন প্রকার দুঃঘটনায় আমি পড়িনি বা আমার কোন প্রকার ক্ষতি হয়নি। মানুষের নিত্য প্রয়োজনে তার নিজের হাত, পা, চোঁখ যেভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে, ঠিক বাইকটিও অনুরুপ মানুষের মস্তিকের ভাষা বুঝে। কেন বলছি একথা। মনে পড়ে সেই স্মৃতি, জেলা শহরের একটি ব্যস্ততম বাজার যেখানে লক্ষ মানুষের ঢল, সেটি পার হয়ে বহুদূর পর আরও একটি বাজারে এসে পোঁছে ছিলাম। ঠিক ততক্ষণে মনে পড়লো আমি এতক্ষণ কোথায় ছিলাম, আমার মন কোথায় ছিল। মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে কখনও কখনও নানান চিন্তার মাঝে এভাবে মানুষ হারিয়ে যায়। আমিও সেরকম হারিয়ে গিয়েছিলাম ঐ দিন। কিন্তু স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমার সবকিছু ঠিকঠাক মত হয়ে গেছে। নিরাপদে তো পার হওয়ার কথা না। কিন্তু নিরাপদেই পার হলাম।
শখ করেই বাইক চালাতাম। কিন্তু মিটেনি শখ। আমার মনে হয় দু'চারটি মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট কারের মাঝেও এর জায়গাটি বড় শুণ্য রয়ে যায়। এটির নেই কোন পার্কিং এর ঝামেলা, নেই কোন ট্রাফিক ঝামেলা, নেই গ্যাসের ঝামেলা, নেই কোন স্টাটিং এর ঝামেলা। হুট করে প্রয়োজনীয় কাজ সারার জন্য বেরিয়ে যাওয়া যায়। সময়কে অনেক বাঁচিয়ে দেয়। নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে, আঁশে-পাশের রাস্তার দুরত্বকে অনেক কমিয়ে দেয়। এর গুনাগুন ও চাহিদার বিবরণ দিয়ে আমার ভাষায় শেষ করা যাবেনা। যখন আমি দেখি, একটু ভাবি! কি জিনিষ এটি?
মানুষের জীবন নিয়েও তেমন কোন প্রকার চিনি-মিনি খেলেনা। হয়তো একটু আধটু ঘাঁ লাগা, আঁচড় লাগা এটুকুই। একজন ভদ্র-নিষ্ঠ মানুষের মত তুলনা করবেন, একজন আদশর্ শিক্ষকের মত তুলনা করবেন, একটি সফল প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট দিয়ে তুলনা করবেন। এসকল কিছুর সকল বৈশিষ্টের সংমিশ্রণে বিচার করুণ না কেন, মনে হয় এর কোন কমতি হবেনা। নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সস্তা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ধনী-দরীদ্র এমন কোন মানুষ নেই যার কাছে এর স্থান নেই। যেই চড়ুক না কেন, সুন্দর মানিয়ে নেয় মুহুর্তের মধ্যেই।
যখন আমি ছোট ছিলাম। বয়স মাত্র আট বছর। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। তখন ছোট কাকার সাথে পাল্লা দিয়া আমার এই বাইক শেখা। আমাদের দু'জনের বয়সের সামান্য ব্যবধান থাকলেও চলাফেরা ছিল একই। একসাথে একই ক্লাসে পড়েছি, খেলেছি। কাকা লেখা-পড়ায় একটু অমনোযোগী থাকলেও সাহস আর খেলাধুলায় ছিল খুবই পারদর্শী। গাঁয়ে শক্তি ছিল অনেক, আর স্বাস্থ্য ও ছিল ভাল। এ জন্য আমাদের গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের সকল ছেলেদের সাথে ছিল অনেক সখ্যতার ভাব। কখনো কোন কাজে বাড়ী থেকে বের হলে আমাকে বলে যেত কোথায় যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ দু'তিনদিন লক্ষ করলাম আমাকে না জানিয়ে প্রতিদিন বিকাল বেলা কোথাও চলে যায়। তাই বন্ধু মহলের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম বাইক চালানো শিখছে। আমার দাদার কঠিন শাস্তির ভয়ে কাউকে না জানিয়ে গোপনে-গোপনে শিখছে। তারপর যখন জানতে পারলাম শিখা শেষ। তখন আমি কাকাকে বললাম। "কাকা আমি জানি, তুই সাইকেল চালাতে পারস। আমাকে শিখাবি? কাকা বলল-না তুই পারবিনা" পরে অনেকবার অনুরোধ করে নিয়ে গেলাম। প্রায় বাড়ী থেকে আড়াই মাইল দূরে 'পৌরিণ বিবির' বাজারে। ঐ বাজারটি ঘেঁষে কয়েকবার নানীর বাড়ীর দিকের আত্নীয়ের বাড়ী গিয়েছিলাম। কিন্তু বাজারে কখনো উঠা হয়নি। যাক বাইক ভাড়া করলাম। বাজারের উপর ব্রীজ। ব্রীজটা ছেড়ে একটু দুরে নির্জন জায়গায় এসে আমি বাইক এর উপর উঠি বসি আর কাকা পিছনে ধরে। কাকা বলে, এবার তুই চালা। খেয়াল রাখবি শুধু দুরের দিকে আর তাকাবিও দুরের দিকে। কাছের দিকে একধম না। তাহলে সহজে পারবি। আমি বললাম, আচ্ছা ঠিক আছে ...।
জানেন, আমার আরো একটি কথা এই জিনিষটিকে নিয়ে আপনাদেরকে জানাবার ইচ্ছা হয়। সেটি কি জানেন? একটি আক্ষেপ, একটি বৈসম্যতা। বহুদিন এই বৈষম্যতার কথা আমি আমার মনের মাঝে লালন করে আসতেছি। মনে হয়েছিল, মনের কথা মনেই থেকে যাবে। কোন দিন প্রকাশ করা হবেনা। কারণ আমিতো কোন 'লেখক' না। কি লিখবো আর কিভাবে জানাবো বুঝতে পারিনি। তবে আজ প্রযুক্তির কল্যানে সম্ভব হয়েছে, নিজের মনের ভাবটি প্রকাশ করার। তাই আমার এ লেখাটি।
সেটি হল, স্কুল জীবনের কথা। আমি তখন " হাই স্কুলের" ছাত্র। স্কুল ছুটির পর, যখন ক্ষুধার্ত অবস্থায় জোরে বাইকটি চালিয়ে বাড়ী এসে খেয়ে-ধেয়ে আরামে ঘুরা-ফেরা করছি। ঠিক তখনও আমার বোনেরা মাঝ পথে। এখনো হাঁটছে ..................।
(পাঠকের উদ্দেশ্যে দুটি কথা-নাটক যদি হয় 'মাইক' নিয়া, সিনেমা যদি হয় 'টেলিভিশন' নিয়া তাহলে আমার লেখা কেন নয় 'বাইক' নিয়া। আমি কোন পেশাগত লেখক নয়। আমি জানি আমার লেখায় অনেক অনেক ভূল রয়েছে। সংশোধন করার চেষ্টা করেছি। বাকীটুকু আপনাদের হাতে ছেড়ে দিলাম। আর আমার লেখায় আপনাদের যদি কোন একটি জায়গায়ও ভালো লেগে থাকে। তাহলে আমি মনে করবো ট্রেনের অলস সময়টি কাজে লাগিয়ে সার্থক হয়েছি। এ আমার সার্খকতা। লেখাটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন)।
এটি আমার প্রথম লেখা-
লিখেছিলাম ট্রেনের অলস সময়ে: ফেব্রুয়ারী, ২০১৪।
প্রকাশ করলাম আজ: "পবিত্র ঈদুল-উল-ফিতর ২০১৫"।
মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান (মাহফুজ)!!
নিউ ইয়র্ক।
আমাদের মেয়ে সাবরিনা রহমান নাবিহা এ বছর P.S.82Q The Hammond, Jamaica, New York. স্কুল থেকে এলিমেন্টারি(প্রাইমারী) ফাইনাল পরীক্ষায় “প্রথম” স্থান অধিকার করে ‘Valedictorian’(ভেলেডিকটেরিয়ান) হল। আমরা বাবা-মা হিসাবে সব সময় ওর পাশে থাকার চেষ্টা করছি এবং এই ভাল ফলাফলের জন্য স্কুল শিক্ষকদের পাশাপাশি ওর মায়ের অবদানটাই সবচাইতে বেশি। নাবিহা’র উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী। ধন্যবাদ। (২৮শে জুন, ২০২০)
-মোহাম্মদ মাহ্ফুজুর রহমান-
আমার এই চ্যানেলটা তৈরি করার পেছনে প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ‘প্রবাসী’ মানুষকে বিনা মূল্যে কম্পিউটার শেখানো “বেসিক থেকে এডভান্স”। কিন্তু ঐ কাজটি এখনো আমার শুরু ই করা হয়নি। কারণ হিসেবে বলতে পারি প্রথমতঃ নিজ কর্ম ব্যস্ততা আর দ্বিতীয় টি হচ্ছে মানুষের সাড়া না পাওয়া। কষ্ট করে ভিডিও বানিয়ে দর্শকের তেমন সাড়া না পেলে সার্থকতা কোথায়? যাই হোক এবার একটু পেছনে ঘুরে দাঁড়াই। প্রবাসে আসার পর ঘন ঘন চাকরী পরিবর্তন করতে হয়েছে নিজের ভাগ্য কে পরিবর্তন করার জন্য। তাই অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে। লম্বা সময় ধরে একসাথে কাজ করেছি, মিশেছি। প্রথম দিকে ফ্রি ফ্রি অনেক কম্পিউটার সারিয়েছি। যার ফলে বেশির ভাগ লোকের ভিতরটা জেনেছি। তবে অনেকের মধ্যে একটি বড় ঘাটতি পরি লক্ষিত হয়েছিল। সেটি হল ’বেসিক কম্পিউটার’ জ্ঞান না থাকা। যার ফলে একটি লেপটপ থাকলেও সেটির ব্যবহার তেমন হত না।
প্রবাসে, বিশেষ করে আমেরিকা তে সকল কাজ অনলাইন ভিত্তিক। কিছু বেসিক বিষয় জানা থাকলে কেনা-কাটা থেকে শুরু করে প্রায় সকল প্রয়োজনীয় কাজ ঘরে বসে করা সম্ভব। এখানে বাংলাদেশের মত সকালে-বিকেলে ফটোকপি র দোকানে বা কম্পিউটারে র দোকানে দৌড়া-দৌড়ি করে গাঁধায়-গাঁধায় কাগজপত্র কম্পোজ করে রেডি করার কোন কাজ নেই বললেই চলে। আমি গত এক যুগ ধরে একবারও কম্পিউটারে র দোকানে যাই নি বা যাওয়া লাগে নি। কারণ কাজ জানা থাকলে অনলাইনে বসে সব কাজ করা যায়! সকল ফরম অনলাইনে বা ওয়েব সাইটে দেওয়া থাকে। শুধু বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান থাকলে কাহারো কাছে না গিয়ে বেশির ভাগ কাজ ই বাসায় বসে করা সম্ভব! তাতে টাকা ও সময় দু’টা ই বাঁচে।
আসলে এটি তেমন জটিল কোন বিষয় নয়। প্রবাস এ প্রায় সকল এর বাসায় আন-লিমিটেড হাইস্প্রিড ইন্টারনেট রয়েছে। শুধু সময় বের করে নেট এ বসে ’বেসিক’ কিছু বিষয় শিখে নিলে হয়। যেমনঃ কম্পিউটার মাউস ও কিবোর্ডের ব্যবহার, ওয়ার্ড প্রসেসিং, ফাইল-ফোল্ডার তৈরি, ইন্টারনেট এ কোন বিষয় খোঁজ করা অর্থাৎ ব্রাউজার কি? এর ব্যবহার শেখা, প্লাশ ড্রাইভ বা পেন ড্রাইভ এর ব্যবহার, ক্লাউড ড্রাইভ এর ব্যবহার, ইমেইল আদান-প্রদান আর সফটওয়্যার ইনষ্টল ও আন-ইনষ্টল সম্পর্কে জানা থাকা। ব্যাচ! এটুকু জানলে ই হবে। আর এটুকু জানতে হলে শুধু ইউটিউব ভিডিও দেখেই শিখে ফেলা সম্ভব। এডভান্স জানতে পারলে তো কথা ই নেই। তবে তার জন্য অনেক সময় দিতে হবে। কিন্তু এডভান্স জানতে পারলে কম্পিউটার দিয়ে কম্পিউটার শিখতে পারবেন, শিখাতে পারবেন এবং তা সারাতে ও পারবেন!!
তাই আমি ভাবছি! কম্পিউটারে র একেবারে শুরু থেকে অর্থাৎ আপনার একটি কম্পিউটার রয়েছে। কিন্তু আপনি এর সঠিক ব্যবহার জানেন না। অতি শখের বস্তুটি এখন বিরক্তের বিষয়। অথবা কম্পিউটার নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে, কি কম্পিউটার কিনবেন? কিভাবে এর ব্যবহার করবেন? তার জন্য ভাবছেন? ঠিক এ রকম টা হলে, আপনার জন্য আমার এ জায়গা টা সঠিক জায়গা !! কম্পিউটার কেনার আগে যা জানতে হবে এবং কেনার পরে যা যা করতে হবে! তা নিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি —”বেসিক টু এডভান্স কম্পিউটার শেখার–সিরিজ ভিডিও”। চ্যানেলটা সাবস্ক্রাইব করে সাথে ই থাকুন! আর এ বিষয়ে আপনার মতামত জানিয়ে লিখুন- কমেন্ট বক্সে। ধন্যবাদ!! ’এম আর টেক টিউটোরিয়াল’ এর পক্ষ থেকে আমি মোঃ মাহ্ফুজুর রহমান (মাহ্ফুজ ) !!
চ্যানেল লিংকঃ https://www.youtube.com/channel/UChvAorJfFINurSLyGGwqIEw
চ্যানেলটা এখান থেকে সাবক্রাইব করুনঃ: https://bit.ly/2WmEUxD
-মোহাম্মদ মাহ্ফুজুর রহমান-
পুরোটা জীবন জুড়ে শুধু শুনে আসছি মা-বাবার সাথে ছেলে-মেয়ের বেয়াদবির গল্প। এটি অপ্রিয়-চিরাচরিত। কিন্তু একটিবার ভেবেছেন! মা-বাবা, ছেলে-মেয়েদের সাথে কি করছেন? নিজের সন্তান হিসেবে মূল্যায়ন করছেন কিনা? নাকি শুধু তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেই চলেছেন। যেমন: এটা কোত্থেকে এসেছে। আমার মত হয়নি। কার মত হয়েছে। আমিতো ছোটকাল থেকে এ রকম ছিলাম না, ঐ রকম ছিলাম। এ করেছি, ও করেছি। এর দ্বারা তো কিছু হবে না। মানুষকে ধরে ধরে আপনার সন্তানের সামনে তাঁর বদনাম করছেন। আপনার করা বাড়ী-গাড়ী, সম্পত্তির গরম দেখাচ্ছেন। একজন সন্তান যেমন-ই হোক, সে আপনারই জন্ম দেয়া সন্তান। সে যেমনটি হয়েছে তাঁর জন্য পুরোপুরি আপনি দায়ী।
অর্থাৎ, সন্তানের বাবা-মা হিসেবে আপনিই দায়ী। মানুষের কাছে সন্তানের সামনে তাঁর বদনাম না করে বরং বাবা-মা হিসেবে যতটুকু পারেন ভালবাসা দিন এবং আল্লাহর কাছে মাফ চান! আল্লাহ কেন? আপনাকে আপনার মনের মত দিল না। একটি সন্তান বড় হতে , বাবা-মায়ের কাছ থেকে তাঁর সকল বিষয়ে সহযোগিতা পাওয়া দরকার। কতটুকু আপনি দিতে পেরেছেন? কত খোঁজ-খবর নিয়েছেন বড় হওয়ার সাথে সাথে? একবারও কি তাঁর কাজে উৎসাহ যুগিয়েছেন? বা তাকে ভালবাসা দিয়েছেন? না শুধু আপনার জীবনের কৃতিত্ব তুলে ধরে তাকে প্রতিনিয়ত ছোট করছেন?
আবার দেখা যাচ্ছে বলে চলছেন! পড়া-লেখা করলে, ভাল করে করতে হবে। যাতে পত্রিকার প্রথম পাতায় সেরা রেজাল্টের হেডিং হয়ে থাকবে। নতুবা এখন থেকে ব্যবসা কর। টাকা রুজি করা শিখ। লেখা-পড়া করে লাভ নেই। কোন সন্তানই তাঁর বাবা-মায়ের কাছ থেকে জন্ম খোঁজে না। অথচ তাঁর জন্মের পর তাঁকে বিভিন্ন ভাবে তিরস্কার করছেন। খাইয়ে পরিয়ে বড় করতেছি। সহায়-সম্পত্তি সব কিছু ত তোমার জন্য করতেছি। না, এটি আপনি করতে পারেন না। আপনার প্রয়োজনে আপনি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর এই সন্তান ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত সকল দায়-দায়িত্ব আপনার। আবার যখন সে বড় হবে একইভাবে সেও সেটি করবে। সন্তানের বাবা-মা হওয়া নিয়ে সন্তানের সাথে কৃতিত্ব দেখানোর কিছু নেই। কারণ-
কবি বলেছেন- ‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা, সব শিশুরই অন্তরে’। তাঁর মানে কি দাঁড়াল? সকল সন্তানই একদিন বাবা হবে! আপনার সন্তান বেঁচে থাকলে, সেও একদিন বাবা হবে! এটিই প্রকৃতির নিয়ম, এটিই চিরন্তন সত্য। সাবধান! সন্তানকে ছোট করবেন না। তাহলে তার খেসারত, আপনাকে একদিন না একদিন দিতে হবে। শুধু মানুষ নয়, এটি প্রায় সকল প্রকার কীট-পতঙ্গ, জীব-জন্তুর ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে। আবার এক সন্তানের সাথে অন্য সন্তানের তুলনা করছেন? সন্তানের অস্বাভাবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, সেটি না করে তার সমাধানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। যেমন: অলস, অমনোযোগী, অসুখী, প্রাণচঞ্চল না হলে তাঁকে ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা করুন।
মনে রাখতে হবে, একটি পরিবারের সকল সন্তান এক রকম হবে না। আপনি বেশি বেশি সন্তানের সাথে করলে, আপনার সম্পত্তির প্রতি বা আপনার প্রতি ঐ সন্তানের আর কোন মায়া থাকবে না। তখন সন্তান চিন্তা করবে তাঁর দ্বারা ভবিষ্যৎ এ যা করা সম্ভব হবে, সেটিই তার সুখ এবং কৃতিত্ব। আপনার যেমন খুশি, তেমনি করে বড় করেছেন। আবার শেষ পর্যন্ত আপনার সকল সমস্যা তার ঘাঁড়ে তুলে দিয়ে, তাকে দিয়ে আপনার সব সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজছেন?
বদলে যাচ্ছে পৃথিবী ………………
আগামী কালকের পৃথিবীটাই আমাদের।
(হঠাৎ, মন বলছে এ প্রতিবেদনটি লিখার। তাই লিখলাম। সবার ভাল নাও লাগতে পারে!!)
মাহফুজ!!
নিউ ইয়র্ক।
January 3, 2022.