For Emergency Blood ▶
আজ ১৪-ই জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস-২০২২ ইং, হৃদয়ে মধুপুর ব্লাড সোসাইটির পক্ষথেকে সকল রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবী ভাই-বোন সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ সত্যিই আনন্দের। আর জীবন বাঁচানোর গর্বের। এই মহান কাজে সকলকে সম্পূক্ত করতেই স্বেচ্চায় রক্তদান কার্যক্রম। আসুন সকলের রক্তে প্রুপ জেনে নেই স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রমের অংশীদার হই। আপনার সুস্থ জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
প্রতি মূহুর্তেই আমাদের কেউ না কেউ গুরুতর অসুস্থ হচ্ছে। রক্ত স্বল্পতা এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ যার ফলে সিজার,পিওথলীর অপারেশন, কিডনীর পাথর অপারেশন, পাইলস অপারেশন, অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের হার মাত্রতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবারাহের অভাবে দূর্ঘটনা হারও লক্ষ্য করা যাচ্চে। এ অবস্থায় স্বেচ্ছায় রক্ত দানে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। তাছাড়াও চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, প্রতি ৪ মাস পর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানব দেহে রক্ত পরিবর্তিত হয় এবং প্রয়োজন মতো গড়ে উঠে। সতরাং রক্ত দানে কোন ক্ষতি নেই।
১৮-৫৫ বছর বয়সী যে কোন নারী-পুরুষ অনায়াসেই বছরে ৩-৪ বার রক্তদান করতে পারবেন। ওজন পুরুষ-৪৭ কেজি, মহিলা-৪৫ কেজি। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে এবং হিমোগ্রোবিনের পরিমাণ ৭৫% বা তার উর্ধ্বে থাকলে।
রক্ত সঞ্চলন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
রক্তদান একটি পূণ্যের কাজ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
মানুষে মানুষে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
রক্তদানে হৃদরোগ, হেমোক্রোমাসিস, রক্তশূন্যতা প্রভৃতি রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় শরীরে বড় কোন রোগ আছে কি না যেমন; হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস), ম্যালেরিয়া ইত্যাদি।
“রক্ত দিন জিবন বাঁচান, নিজে বাঁচুন-অন্যকে বাঁচান।