ISR SCHOOL AND ISR STUDY HOME GUARDIANS

PHONETICS FOR KIDS .

আপনার বাচ্চাদের শেখাতে চান? কখন আর কিভাবে শুরু করব!

আপনি পড়তে উপভোগ করতে পারেন, বিশেষ করে শিশুদের গল্প বা কবিতা। অথবা হয়ত আপনি শুনেছেন যে আপনার ছোট বাচ্চাদের তাদের মানসিক বিকাশ বাড়াতে শিক্ষিত করার চেষ্টা করা উচিত, কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে বা কখন শুরু করবেন।

কারণ যাই হোক না কেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার বাচ্চাদের পড়া এবং শেখানো উপভোগ করেন। তবে এর জন্য আপনাকে কিছু বিষয় এবং তথ্য জানতে হবে। আপনাকে সাহায্য করার জন্য আমরা এইখানে।

একটি বই পড়া, একটি ছবি দেখানো বা একটি কবিতা আবৃত্তি একটি শিশুর মানসিক বিকাশ উন্নীত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় এক.

সুতরাং, ছোট বাচ্চাদের পড়ার বিষয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং এটি আপনার সন্তানকে কখন পড়তে হবে, কী পড়তে হবে এবং কীভাবে এটি করতে হবে তা নির্ধারণ করতে আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের পরামর্শ দেয় যাতে সে সত্যিই কিছু শিখতে পারে। এটা

তবে চলুন শুরু করা যাক...!

কখন বাচ্চাদের পড়ানো শুরু করবেন ?

বাচ্চাদের সামনে আবৃতি করা, পড়া কিংবা তাদের সাথে কথা বলা শুরু করার কোন বয়স নেই। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে বাচ্চারা পেটে থাকা অবস্থায়ও পরিচিত গলার স্বর চিনতে পারে। এখন কেউ যদি চান পেটে থাকা অবস্থায়ই শুরু করবেন তাতে মানা নেই। তবে তার জন্মের পর মুখোমুখি সাক্ষাতের আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভালো।

আবার, জন্মের পর বাচ্চার ঘুম, খাওয়া ও অন্যান্য কর্তব্য পালন করতে করতেই অনেক সময় অভিভাবকরা পেরেশান হয়ে যান। বিভিন্ন খেলনা নিয়ে খেলাধুলা আর পিতৃত্বের আবেগ দেখাতে গিয়ে এসব বিষয় মাথায় আসেনা। অনেকে ভাবেন আরেকটু বড় হোক তারপর দেখা যাবে।

জিরো-টু-থ্রি-এর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি আপনি সন্তানের সাথে ৪ মাস বয়সের কাছাকাছি সময়ে খেলাধুলা শুরু করেন, তাহলে এটিকে সে নিয়মিত অভ্যাসে তৈরি করে নিবে।

পড়াশোনার ব্যাপারটিও একই। কোন বয়সে শুরু করবেন এবং প্রতিদিন কতক্ষন পড়াবেন তার পুরোটাই নির্ভর করবে তার বয়সের উপর।

আপনার বাচ্চার চার-পাঁচ বছর বয়স হলে হয়তো প্রতি সেশনে ৩০ মিনিট বা তার বেশী সময় ব্যয় করতে পারবেন, কিন্তু নবজাতকের জন্য এটা প্রতিদিন মাত্র এক বা দুই মিনিট হতে পারে।

যদি দেখেন আপনার বাচ্চা পড়া বা শোনার ব্যাপারে খুব বেশি আগ্রহী না বা আশানুরূপ ভাবে এগোতে পারছেন না তবে হতাশ হবেন না। এটা সম্পূর্ণই অভ্যাসের বিষয়। সেশনের সময় কমিয়ে ছোট ছোট সেশন বাড়ান এবং যা পড়িয়েছেন তার অনুশীলন করান- এটা তার মনোযোগ বৃদ্ধি করবে।

চলুন জেনে নিই কোন বয়সে এ ব্যাপারে আপনার কাজ কি!

জন্ম থেকে ৬ মাস

অল্পবয়স্ক শিশুরাই বই পড়া থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়। সহজ ও স্পষ্ট বড় বড় ছবি দেখান। সাড়া দিতে পারুক বা না পারুক তার সাথে কথা বলুন। বিভিন্ন ছবি দেখিয়ে মৌখিকভাবে বর্ণনা করুন। বিভিন্ন জীবন্ত প্রাণী দেখান ও তাদের ডাক শোনান। এগুলো সে পছন্দ করবে।

যদি আপনি শিশুর প্রাথমিক বয়সেই বিভিন্ন ছবিযুক্ত বিষয়ের উপর তার মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হন, সময়ের সাথে সাথে তার বইয়ের সাথে সম্পর্ক হওয়ার ক্ষমতা বাড়বে।

৬ মাস থেকে ১ বছর

মনে করুন আপনার বাচ্চা এখন কিছুটা বড় হয়েছে, আপনি তার প্রথম জন্মদিন পালন নিয়ে ভাবছেন; কিন্তু এ সময়টা তার শিক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ছবিযুক্ত বইয়ে বড় বড় অক্ষর সম্বলিত পৃষ্ঠাগুলো তার সামনে ধরুন। ছবি ও লেখাগুলো তার কাছে বড় বড় উচ্চারণে ব্যাখ্যা করুন। এগুলো তার মস্তিষ্ক আয়ত্ত করবে।

এই বয়সের শিশুরা এমনিতেই বইয়ের প্রতি আগ্রহী হয়। তারা তাদের সামনে পশু-পাখি, গাড়ি, অন্য ছোট বাচ্চা ও তাদের কর্মকাণ্ড এবং ছবিসম্বলিত রুপকথার বই পড়া উপভোগ করে।

এসময়ে আপনার বাচ্চার দৃষ্টিশক্তি আগের চেয়ে উন্নত হয়। ফলে সে পড়া এবং ছবি দেখার প্রতি আরও আগ্রহী হয়।

ধ্বনি উৎপন্ন হবার বয়সে বাচ্চাদের সঙ্গ খুবই আনন্দময়। বিভিন্ন প্রানির ডাক শেখায় এ বয়সী বাচ্চারা পারদর্শিতা দেখায়। তাই ধরুন একটি বিড়ালের ছবি দেখানোর সাথে সাথে আপনি তাকে বিড়ালের ‘মিউ মিউ’ ডাকও শোনান। কিছুদিনেই সে এটা রপ্ত করে নেবে।

অনেক বাচ্চাদের ধ্বনি গঠন হতে একটু সময় লাগে। সেক্ষেত্রে তাকে বিভিন্ন বস্তু ও অক্ষর ধরতে দিন। এতে তার বিকাশ বজায় থাকবে।

১৩ থেকে ৩৬ মাস

এ বয়সে শিশুরা বই উপভোগ করে। যে বইয়ে গল্প আছে, ছবি আছে, বিভিন্ন পরিচিত চরিত্র ও কর্ম তাদের সামনে বর্ণনা করলে তারা গভীর মনোযোগে তা শুনতে আগ্রহী থাকে। ছোট ছোট ছড়া পড়ে শোনান। ঘুম পাড়ানোর সময়ও এটি চেষ্টা করতে পারেন।

একই শব্দ বার বার শোনা বা একই ছবি বার বার দেখা শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই একই বিষয়, শব্দ বা চরিত্রগুলো ঘুরে ফিরে আসে এরকম বই খুঁজে নিতে পারেন। পড়াশোনার পর্ব চলাকালীন সময়ে মাঝে মাঝে একটু বিরতি নিন, দেখুন আপনার বাচ্চা আপনাকে ছাড়াই চেষ্টা করছে কিনা।

পড়ানোর সময় বাচ্চাদের সাথে মজা করতে হবে। বইয়ের বিষয়ের সাথে তাকে নিজেকেও যুক্ত করে উদাহরণ দিতে হবে। এতে সে ব্যাপক আনন্দ পাবে।

বাচ্চাকে অবশ্যই শক্ত কাগজের বই দিন, কারন বই ছেড়ার মাঝেও সে আনন্দ পেতে পারে। তবে তাকে শেখানোর চেষ্টা করুন যেন এটা সে না করে। কিন্তু তাকে অবশ্যই তার জন্য কিনে আনা বই ধরতে দিন। সে যেন বুঝতে পারে এটা তার বই।

শিশুদের সামনে পড়া বা পড়ানোর উপকারিতা কি?

আপনার বাচ্চার সাথে আপনার পড়াশোনার সেশনগুলো আপনাদের উভয়ের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারি তা বলে শেষ করা যাবেনা।

পিতা-মাতার সাথে সম্পর্ক উন্নত করে

গবেষণায় দেখা গেছে যে পিতা-মাতার সাথে একসাথে বই পড়া শিশুদের আরো নিরাপদ বোধ করতে সাহায্য করে। এতে অভিভাবকদের প্রতি তার আবেগের গভীরতা বাড়ে। এছাড়াও এটি তাদের বইয়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যায়।

শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়

‘ন্যাশনাল সেন্টার অন আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট, টিচিং এন্ড লার্নিং’ এক গবেষণায় উল্লেখ করেছে যে আপনার সন্তানের কাছে পড়া শুধু তাদের নতুন নতুন শব্দই শেখায় না, বরং বিভিন্ন শব্দে তার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। পড়ার একটা বড় সুবিধা হচ্ছে আপনার সন্তানরা বইয়ের সুবাদে যে জিনিসগুলো দেখছে বা জানছে, তার অনেক কিছুই তারা আশেপাশের পরিবেশে বার বার দেখতে বা শুনতে পায়না।

২০১৯ সালের একটি ট্রাস্টেড সোর্সের গবেষণা হিসেব করে দেখেছে যে কিন্ডারগার্টেনে ভর্তির আগের বছরগুলোতে যে শিশুরা বাসায় বাবামায়ের সাথে নিয়মিত পড়ার সেশনে অংশ নিয়েছে, তারা অন্য শিশুদের চেয়ে সবমিলিয়ে কমপক্ষে ১০ লক্ষ্য বেশি শব্দ শুনেছে।

বিষয়ভিত্তিক ধারনা তৈরিতে ভূমিকা

বই পড়ার মাধ্যমে আপনার সন্তান বিভিন্ন শব্দের প্রায়োগিক বিষয় সম্পর্কে ধারনা লাভ করে। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকেও তাকে সাহায্য করতে হবে। ধরুন আপনি তাকে দাঁতের ছবি দেখালেন এবং তা চিনিয়ে দিলেন। তখন সে নিজেই বোঝার চেষ্টা করবে দাঁত কি কাজে প্রয়োজন।

শ্রবণক্ষমতা বৃদ্ধি ও মনোযোগ বিকাশে ভূমিকা

গল্প ও কবিতা শোনা বাচ্চাদের মনোযোগ বাড়াতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কোন বিষয়ে নিরবিচ্ছিন্ন মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়।

মানসিক বিকাশ ও বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন

বই পড়ার মাধ্যমে শিশুরা অন্য শিশুদের তুলনায় বেশি পরিস্থিতি এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখে। সমাজের প্রচলিত আচরণগুলো বইয়ের মাধ্যমে শিখলে সেটি বেশি আয়ত্ত হয়। এর ফলে তাদের ভেতরে একধরনের আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয় যে সে একাই শিশু নয়। এটি মানব জীবনের একটি সার্বজনীন ধাপ।

আপনার বাচ্চাকে পড়াশোনার অভিজ্ঞতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় কিছু বিশেষ পদ্ধতি ব্যাবহার করে দেখতে পারেন।

আন্তরিক অভিব্যক্তি

পড়ানোর মধ্যে আবেগের প্রকাশ রাখুন। যা পরবেন তা বড় বড় উচ্চারণে বিভিন্ন মুখভঙ্গি দ্বারা প্রকাশ করুন। বইয়ের বিভিন্ন চরিত্রের জন্য আলাদা আলাদা গলার স্বর ব্যাবহার করে দেখুন। হাস্যকর লাগলেও এটাই সত্যি যে আপনার বাচ্চা বিভিন্ন স্বরের উচ্চারণ শুনতেই বেশি আগ্রহী।

সর্বোপরি আপনার যদি মনে হয়  সন্তানের সুস্থ বিকাশের জন্য এবং সুস্থ স্বাধীনভাবে পড়ালেখার জন্য একজন গৃহে শিক্ষকের প্রয়োজন অথবা কম খরচে যদি কোচিং সেন্টারের অফলাইন এবং অনলাইন সহায়তা নিতে চান তাহলে এরকম একটি প্রতিষ্ঠান যেটি আপনাদের সহায়তা করতে পারে সেটি হলো  ISR STUDY HOME  visit www.massbd.org

 উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি যেমন শিক্ষক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন অনুরূপভাবে  একইপ্রতিষ্ঠানে সন্তানকে ভর্তি করে অনেক বেশি উপকৃত হতে পারবে

.আপনার সন্তানের সুস্থ মানুষের বিকাশ এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়/ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য খাদ্য সম্পর্কে জানতে  বা  ফ্রী কনসালটেন্সি এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন