সকলে মিলে চেষ্টা করলে দেশে আর কোনো দরিদ্র থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু নিজে ভালো থাকব, সুন্দর ও আরাম আয়েশে থাকব-আর আমার দেশের মানুষ, এলাকার মানুষ কষ্টে থাকবে, এটাতো মানবতা না, এটাতো হয় না। কাজেই সকলে মিলে চেষ্টা করলে দেশে আর কোনো দরিদ্র থাকবে না।’শনিবার সকালে ‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষকে সরকারের সচিবগণের গৃহ উপহার’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ খুব সাহসী। তাদের নিয়ে যুদ্ধ করেই জাতির পিতা দেশের স্বাধীনতা সে সময় বিশ্বে অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনী হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীর গর্বিত আচরণ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘তারা খুব গর্ব করত, তাদের আবার কে হারাবে, কিন্তু বাঙালিরা তাদের হারিয়ে যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পেশাজীবী বলেন বা ব্যবসায়ী বলেন বা যে যেখানেই আছেন প্রত্যেকের কাছেই আমার অনুরোধ থাকবে, যে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং যে গ্রামে জন্মেছেন তার উন্নয়নে যেন সহযোগিতা করেন।’

করোনার মধ্যে তার সরকারের গ্রামপর্যায় পর্যন্ত সাহায্য পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টার উল্লেখ করে সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘যারা বিত্তশালী তারা নিজ এলাকায় প্রতেকেই যদি দুস্থদের দিকে যেন ফিরে তাকান। গৃহহীনকে ঘর করে দেন বা তাদের কিছু সাহায্যের ব্যবস্থা করে দেন।’

তিনি সচিবদের এই গৃহহীন প্রকল্প গ্রহণকে একটি মহৎ উদ্যোগ আখ্যায়িত করে এ জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মানুষের জন্য কিছু করার চিন্তাভাবনা থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আজ যে মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের একটা মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। একটা ঘর করে দিয়েছেন, একটা মহৎ কাজ আপনারা করেছেন।’

‘আমি মনে করি, ভবিষ্যতে মানুষজন আপনাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে এবং মানুষের পাশে দাঁড়াবে। ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠবে। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করব,’ যোগ করেন তিনি।

মুজিববর্ষে দেশের সকল গৃহহীনকে ঘর করে দেয়ার সরকারের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সচিবদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৮০ জন সচিব নিজ এলাকায় ১৬০টি গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীনদের দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী এবং এই মুজিববর্ষে (২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ) আমাদের ঘোষণা বাংলাদেশে আর একটি মানুষও গৃহহীণ থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না।

তিনি বলেন, তার সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হলেও আজ নিজ এলাকার দরিদ্র-অসহায় মানুষকে ঘর তৈরি করে দেয়ার মাধ্যমে সচিবরাও সরকারি এই উদ্যোগে শরিক হয়েছেন এবং প্রত্যেকে নিজ এলাকায় দুটি করে ঘর করে দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই আজ এই ঘর দেয়ার পর দুঃখী মানুষের মনে যে আনন্দটা আসবে, আমি মনে করি এটাই সব থেকে বড় পাওয়া।’

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম সংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো’, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিজীবনে অনেক কিছু করতে পারতেন। তারপরও দুঃখী মানুষের কথা ভেবেই তিনি সে পথ বেছে নেননি।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তিনি (জাতির পিতা) ছোটবেলা থেকেই নিজ চোখে দেখেছেন। যে কারণে তার সবসময় একটা উদ্যোগই ছিল-মানুষের জন্য কিছু করার।’

তিনি বলেন, ‘বাংলার নিপীড়িত, বঞ্চিত জনগণের সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশা ও দারিদ্র্যের কষাঘাত দেখে জাতির পিতার প্রাণ কেঁদে উঠত। যে কারণে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন এদেশের মানুষের জন্য কিছু একটা করে যাবেন। আর সেটা করতে গেলে এদেশ স্বাধীন করতে এবং এ দেশের মানুষকে একটা সুন্দর একটা জীবন দিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা নিজের জীবন উৎসর্গ করে জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে সংগ্রাম করে গেছেন। তিনিই আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়ে আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিয়ে গেছেন।’



জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী

জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী

gono press Friday, August 14,

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে পালন করে দিনটি। তবে এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হবে।


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।


পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।


জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে মহান আল্লাহর দরবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।


দেশে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতেও জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে এ মাসের প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে।


স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী ১৫ আগস্ট শনিবার সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।


শেখ কামাল বেচে থাকলে দেশের জন্য অনেক কিছুই করতে পারতেন--প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক।। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামাল বেঁচে থাকলে, দেশের জন্য অনেক কিছুই করতে পারতেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বহুমুখী প্রতিভা ও মেধার অধিকারী এই ক্ষণজন্মা ক্রীড়াবিদের পাশাপাশি রাজনীতিতেও ছিলেন সরব। দেশের ক্রীড়াঙ্গণকে এগিয়ে নিতে তাঁর স্বপ্নও ছিল আকাশছোঁয়া। শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে ভার্চুয়াল আলোচনায় এসব কথা বলেন তাঁর বড় বোন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় বসেছিলেন বলেই, ১৫ আগস্টের ঘটনার বিচার করতে পেরেছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামাল। ১৯৪৯ সালের এই দিনে বঙ্গমাতার কোলে জন্মেছিলেন বহুমুখী প্রতিভাধর এই গুণীজন।

মাত্র ২৬ বছর বেঁচে ছিলেন তুখোড় মেধাবী এই ক্ষণজন্মা। একাধারে তিনি যেমন ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, তেমনি দেশের ক্রীড়াঙ্গণ, সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামেও যথেষ্ঠ সরব ছিলেন রাজনীতির মাঠেও। টগবগে এই তরুণ যখন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ গড়ার নতুন যুদ্ধে লিপ্ত, তখনই তাকে ১৫ আগষ্ট ঘাতকের বুলেটে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের এই সন্তান বেঁচে থাকলে ৭১ বছরে পা রাখতেন। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিশেষ ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে। এতে সংযুক্ত বিশিষ্টজনরা শেখ কামালের অবদান স্বীকার করে স্মৃতিচারণ করেন। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, সম্ভাবনাময় এই তরুণের শূন্যতা কোনোদিনই পূরণ হবার নয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে ছোটবেলাতেই অনেক দায়িত্বশীল ছিল। কামাল আজকে নেই কিন্তু তার চিন্তা-ভাবনাগুলো রয়েছে।

ক্রীড়া, সংস্কৃতি, রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই দায়িত্বশীল কামালের স্মৃতিচারণ করে বড় বোন শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় না এলে হয়তো বিচারই হতো না ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের।

পরে, অনলাইনে সংযুক্ত আলোচকদের নিয়ে শেখ কামালসহ ৭৫'এর দুঃসহ রাতে প্রাণ হারানো পরিবারের শহীদ সদস্যদের জন্য মোনাজাত করেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।

news :

https://www.somoynews.tv

ছাদ থেকে পড়ে বিরল প্রজাতির হনুমানের মৃত্যু

কবির হোসেন।। কেশবপুরে একটি কালো মুখো হনুমান দুতলা ছাদকে পড়ে মারা গেছে। খাবারের খোঁজে হনুমানের আবাসস্থল কেশবপুর শহর থেকে প্রায় ৫/৬ কিলোমিটার দূরে উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের একটি দুইতলা ছাদ থেকে পড়ে তার করুন মৃত্যু ঘটেছে। সোমবার উপজেলা বন বিভাগ মৃত হনুমানটি উদ্ধার করে মাটিচাপা দিয়েছে।

এলাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের একটি বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে ২/৩ দিনে আগে হনুমানটি মারা যায়। মৃত হুনমানটিকে সোমবার সকালে বস্তার ভিতর ভরে কে বা কারা যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের তেইশমাইল নামকস্থানে ফেলে যায়।

আহত বাচ্চা হনুমানের বিচারের দাবিতে হনুমানরা থানা ঘেরাও করেছে

কেশবপুরের প্রায় ৫শ’ হনুমান তীব্র খাবার সংকটে রয়েছে। সরকারিভাবে তাদের যে খাবার দেয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় একবারে কম। পেটের জ্বালায় হনুমানগুলো সারাদিন কেশবপুর শহরের উপজেলা পরিষদ, যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক, থানা, হাসপাতালসহ বিভিন্ন অফিস চত্তর ও বাসাবাড়িতে দাপিয়ে বেড়ায়। হাসপাতালে রোগির জন্য নেয়া খাবার এবং বিভিন্ন খাবারের দোকান থেকে হনুমানরা হামলে পড়ে খাবার কেড়ে কেড়ে খায়। আবার প্রায়ই খাবারের জন্য দলছুট হয়ে অনেক হনুমান উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবার অনেক সময় মালবাহী ট্রাকের উপর বসে দেশের বিভিন্ন একলাকায় চলে যায়।

ডেস্ক।। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকল রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে।

যশোরের কেশবপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার শুক্রবার বিকেলে মাইকেল মধুসূদন এর নামে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন।

মাইকেল-মধুসূদন-দত্ত সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদুর রহমান বকুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আমির হোসেন,সংস্কৃতিকর্মী অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী, সুকুমার দাস, দীপঙ্কর দাস রতন, আওয়ামী লীগের কেশবপুর শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে এসএম রুহুল আমিন, গাজী গোলাম মোস্তফা, বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম, দিলীপ মোদক, সাংবাদিক আশরাফ উজ জামান খান, মোতাহার হোসাইন প্রমুখ।

ডিজিটাল সুরক্ষা আইনে কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ফটো সাংবাদিক সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে দেখানোর জন্য গোয়েন্দারা ঢাকার একটি আদালতে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন।

ডেস্ক।। মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য পুলিশ গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা ২২ জুলাই চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদনটি জমা দেন।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ আগামীকাল ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই আবেদনের শুনানি করবেন; আসামির হেফাজতকারী কেরানীগঞ্জের Jailাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল কর্তৃপক্ষকে ভার্চুয়াল লিঙ্ক পাঠানো হয়েছে।

১১ ই মার্চ, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমাইয়া চৌধুরী বান্না ডিএসএর অধীনে কাজলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

২৩ শে জুন, শের-ই-বাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা মামলায় কাজলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। মামলাটি মাগুরা -২ আসনের ক্ষমতাসীন দলের আইনজীবি সাইফুজ্জামান শিখোর করেছেন।

২৮ শে জুন, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য উসমান আরা বেলী হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা অপর একটি মামলায় ১০ মার্চ কাজলকে দুই দিনের রিমান্ডে রাখেন।

তার নিখোঁজ হওয়ার তেতাল্লিশ দিন কাজুলকে বেনাপোলের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ তিন মে পেয়েছিল।

এরপরে তাকে দোষারোপের অভিযোগে প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তবে যশোরের একটি আদালত তাকে জামিন দিয়েছিল।

তবে, একইদিন সন্ধ্যায় তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ অনুচ্ছেদে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ আদালতকে জানায় যে কাজলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় এখন আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

এরপর আদালত তাকে যশোরেজেল প্রেরণ করেন।


সর্বশেষ খবর



মহাকবির জন্মভূমি সাগরদাঁড়ি পরিদর্শন করলেন তথ্যমন্ত্রী

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি পরিদর্শন করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ । বুধবার বিকেলে তিনি সাগরদাঁড়ির মধুপল্লী, কবির স্মৃতিবিজড়িত কাঠবাদাম গাছ তলা ও কপোতাক্ষ নদের পার ঘুরে দেখেন ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব সাবান মাহমুদ, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোয়েব আহমেদ খান, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দিন, সিনিয়র জেলা তথ্য অফিসার এ এস এম কবির, সহকারী তথ্য অফিসার এলিন সাইদুর রহমান, মধুপল্লীর কাস্টোডিয়ান মো: যায়েদ ও চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক দিপক দত্ত।

মন্ত্রী মধুপল্লীতে উপস্থিত হলে কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ উজ জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসাইন ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় তাদের সাথে প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সামছুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মশিয়ার রহমান, ক্রীড়া ও সাহিত্য সম্পাদক শেখ শাহিনুর রহমান, গ্রন্থাগার সম্পাদক শাহিনুর রহমান, সদস্য নুরুল ইসলাম খান ও আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ।

পরে উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রাবেয়া ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ খাতুন কেশবপুরের কুটির শিল্পের তৈরি কাঠের নৌকা উপহার দেন মন্ত্রীকে ।

সাগরদাঁড়ির আলোকচিত্র শিল্পী মুফতি তাহেরুজ্জামান তাছু তার সম্পাদনায় প্রকাশিত মহাকবির স্মৃতিবিজড়িত এ্যালবাম মন্ত্রীকে উপহার দেন।

সুরের যাদুকর গায়ক মুকেশ

সাজেদ রহমান।। তাঁর গানে শুধু সুর নয়, জাদু মিশে ছিল। তাঁর গানে ‘কভি কভি’ নয়, ‘খয়াল’ আসত সব সময়। তাঁর গানেই দশকের পর দশক, প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষ বুঁদ হয়ে থেকেছে। তিনি গায়ক মুকেশ।

আজও সেই সব অমর সৃষ্টি বহু বিনিদ্র রাত, প্রেম ভরা বিকেল, সান্ধ্য মজলিশের আসর ভরিয়ে তোলে অবলীলায়। আজ তাঁর ৯৭তম জন্মদিন।দশম শ্রেণী অবধি পড়াশুনা করেছিলেন কিংবদন্তী এই গায়ক। এরপর স্কুল ছেড়ে দেন।স্কুলের পাঠ চুকিয়েয় ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক ওয়ার্কের কাজে ঢুকেছিলেন মুকেশ। সেখানেই প্রথম নিজের গান রেকর্ড করান।সঙ্গীতশিল্পী হিসাবেই জনপ্রিয় হয়েছিলেন।

কিন্তু অনেকেই জানেন না ১৯৪১ সালে ‘নির্দোষ’ ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। জানেন কি এক আত্মীয়ের বিয়েতে গান গেয়ে ভাগ্য খুলেছিল মুকেশের। এক তুতো বোনের বিয়েতে তাঁর গান শুনে মোতিলাল নামে মুকেশের এক আত্মীয় তাঁকে পণ্ডিত জগন্নাথ প্রসাদের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন।পরবর্তীকালে অনেকেই তাঁকে নকল করে গাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি কার ফ্যান ছিলেন জানেন? এ কে সয়গলের দারুণ ভক্ত ছিলেন মুকেশ। চেষ্টা করতেন তাঁর মতো করে গাইতে।

পরে নওশাদ আলির সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক অমর সৃষ্টি করেছেন মুকেশ। নওশাদই তাঁকে সাহায্য করেছিলেন সয়গলের প্রভাব থেকে বেড়িয়ে আসতে।কেরিয়ারে ১,৩০০-এর বেশি গান রেকর্ড করেছেন তিনি।ছবিতে রাজ কপূর মানেই তাঁর লিপে অবশ্যই মুকেশের গলা। ১৯৭৬-এ মুকেশ মারা যাওয়ার পর রাজ কপূর বলেছিলেন ‘‘আমি আমার কন্ঠস্বরকে হারালাম।’’

করোনা ভাইরাস: কোভিড-১৯ ঠেকাতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা নিরাপদ ও রোগ ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিশীল

কবির হোসেন।।

জাতীয়

করোনাভাইরাস ঠেকাতে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত টিকাটি মানব শরীরের জন্য নিরাপদ এবং সেটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জীবিত করে তুলতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে।

প্রায় ১,০৭৭ মানুষের ওপর পরীক্ষার পর দেখা গেছে, এই টিকার ইনজেকশন তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি এবং হোয়াইট ব্লাড সেল বা শ্বেতকণিকা তৈরি করে, যা শরীরের ভেতর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

একে একটি বড় রকমের প্রতিশ্রুতিশীল আবিষ্কার হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। তবে এটি পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারবে কি-না, তা বলার সময় এখনও আসেনি। এ নিয়ে ব্যাপক আকারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও চলছে।

যুক্তরাজ্য এর মধ্যেই ১০ কোটি টিকার জন্য চাহিদা জানিয়েছে। খবর–বিবিসি

কেশবপুরে এলজিএসপি'র কাজে অনিয়মের অভিযোগ

বিশেষ সংবাদদাতা, কেশবপুর।।

কেশবপুরে এলজিএসপি প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারী বিধি উপেক্ষা করে নিন্মমানের ইট দিয়ে চলছে প্রকল্পের কাজ। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় কেশবপুরের ১১ টি ইউনিয়নে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫শ’৬১ টাকার মোট ১শ’৭৫ টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ইটের সোলিংকরন, সোলার লাইট স্থাপন, অফিসের প্রিন্টার, স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ, অনলাইন ডিজিটাল ম্যানেজমেন্ট, বিলবোর্ড নির্মান কাজ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এলজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যমে ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে ১৩ লাখ ২২ হাজার ৭শ’৬৭ টাকার ১৫ টি, সাগরদাড়ি ইউনিয়নে ২২ লাখ ৩ হাজার ৭শ’৫০ টাকার ২১ টি, মজিদপুর ইউনিয়নে ১৮ লাখ ৫০ হাজার ৩শ’১৯ টাকার ১৬ টি, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে ১৫ লাখ ৬ হাজার ৭শ’৪৮ টাকার ১২ টি, মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ৫শ’৪৫ টাকার ১৭ টি, কেশবপুর ইউনিয়নে ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার ১৫ টি, পাঁজিয়া ইউনিয়নে ১৯ লাখ টাকার ১৪ টি, সুফলাকাটি ইউনিয়নে ১৫ লাখ ১৪ হাজার ২শ’৫৪ টাকার ১৩ টি, গোরৗঘোনা ইউনিয়নে ১৭ লাখ ২০ হাজার ৫শ’৭৯ টাকার ১৮ টি, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৩ টাকার ১৯ টি ও হাসানপুর ইউনিয়নে ১৪ লাখ ৬ হাজার ৫শ’২৬ টাকা ব্যয়ে ১৫ টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

বিভিন্ন প্রকল্পে দেখা যায়, একাধিক রাস্তার অর্ধেক কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সরকারি কাজে এক নম্বর ইট ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রায় সকল রাস্তাই ইটের সোলিং প্রকল্পে নি¤œমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তায় ব্যবহার করা এবং রাস্তার পাশে রাখা প্রায় সব ইট নি¤œমানের। এসব ইটের অধিকাংশগুলোতেই রয়েছে রেইন স্পট (বৃষ্টির দাগ)। রাস্তার মাটি কাটার পর বেডে ৬ ইঞ্চি পরিমাণ বালি দেয়ার কথা থাকলেও ২ থেকে ৩ ইঞ্চির বেশি বালি দেয়া হয়নি।

এলজিএসপি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের আগে কোটেশন টেন্ডার আহবান করতে হয়। সর্বনিন্ম দরদাতাকে ঠিকাদার নিয়োগ করে কার্যাদেশ দিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করার নিয়ম থাকলেও কাগজে কলমে কোটেশন টেন্ডার আহবান ও ঠিকাদার নিয়োগ দেখিয়ে প্রকল্পের শুরুর কার্যস্থলের পাশে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এটা করা হয়েছে শুধু লোক দেখানোর জন্যে।

হাসানপুর ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল জব্বার জানান, তার ওয়ার্ডে এলজিএসপি প্রকল্পের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ইটের সোলিংয়ের কাজ করা হয়েছে। কোটেশন টেন্ডারের মাধ্যমে একজন ঠিকাদার নিয়োগ করে চেয়ারম্যান নিজে ইট কিনে দিয়েছেন। যা দিয়ে আমি নিজে ওই সোলিংয়ের কাজ করেছি।

হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক জুলমাত আলি জানান, এলজিএসপির কাজে অনিয়মের সুযোগ খুবই কম। রাস্তার কাজের মান ভাল রাখার জন্য ইট, বালি ও শ্রমিক নির্ধারণ করে দেয়া হয়। ওয়ার্ডের মেম্বাররা তদারকি করে কাজ শেষ করে।

সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন দফাদার জানান, তার ইউনিয়নে এলজিএসপি প্রকল্পের ১৩ টি রাস্তার ইটের সোলিং কাজ রয়েছে। কোটেশনের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার নির্বাচিত করে কাজ করার নিয়ম থাকলেও মেম্বাররা একজন ঠিকাদারের লাইসেন্স ব্যবহার করে সকল কাজ সম্পন্ন করেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মুনছুর রহমান জানান, এলজিএসপি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ ইউনিয়ন পরিষদ করে থাকে। তবে চেয়ারম্যানরা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর থেকে প্রাক্কলন তৈরী করে নিয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, এলজিএসপি প্রকল্পের অনিয়মের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অনিয়মের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এলজিএসপি প্রকল্প-৩ এর জেলা ফ্যাসিলিটেটর আব্দুল হালিম বলেন, এলজিএসপির কাজের তদারকির জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেয়া আছে। তাদের তত্ত্বাবধানে এ কাজ সম্পন্ন হয়। কোন ইউনিয়নের কাজে অনিয়ম পেলে তদন্ত করে বিল আটকে দেয়া হবে।

কেশবপুরে মাদ্রাসার ছাত্রীর উত্ত্যাক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটের হামলায় ২ শিক্ষক আহত

ডেস্ক রিপোর্ট।। কেশবপুরে এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে উত্ত্যাক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটের হামলায় ওই ছাত্রীর দুই চাচাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে। হামলা শিকার কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়াহেদুজ্জামান ও মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বদরুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী অফিস, শিক্ষক সমিতি ও কেশবপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ২ শিক্ষককে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নতুন মূলগ্রামের কামরুজ্জামানের মেয়ে কোমরপোল ফাজিল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী (১৯) কে একই গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে আবু তাহের দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাবসহ মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে রাস্তায় উত্ত্যাক্ত করে আসছিল।

নিরুপায় হয়ে ওই ছাত্রী তার বাড়িতে ঘটনাটি জানায়। পরিবারের পক্ষ থেকে তার চাচা বখাটে আবু তাহেরকে উত্তক্ত করা থেকে বিরত থাকতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার বিকেলে বখাটে আবু তাহেরের নেতৃত্বে ওই এলাকার আবুল খায়েরসহ একদল ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্রীর চাচা কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়াহেদুজ্জামান ও মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বদরুজ্জামানের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে আহত করে।

এলাকাবাসী গুরুতর আহত দুই শিক্ষককে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। বখাটে আবু তাহের পিতা আতিয়ার রহমান বলেন, আমাদেরকে তারাও মারপিট করেছে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসীম উদ্দীন বলেন অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।--কবির/আজিজুর

কেশবপুরে গরুর সাথে পালসার ফ্রি

এবারের ঈদ অফার! শান্তবাবুকে একনজর দেখতে ভীড় বাড়ছে

কবির হোসেন।। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য কেশবপুরে এবারের কোরবানির ঈদে এক গরুর মালিক জনসম্মুখে ঘোষনা দিলেন গরু কিনলে পালসার মটর সাইকেল ফ্রি দেয়ার। এমন পুরষ্কারের ঘোষনায় গরুর মলিকের বাড়িতে শান্তবাবু নামের গরুটি দেখার জন্য ভীড় করছেন মানুষ।

কেশবপুর উপজেলার কাস্তা গ্রামের আজিজুর রহমান সানার ছেলে সোহরাব হোসেন বাড়ীতে পালনের জন্য গত ৩ বছর আগে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরু ক্রয় করেন। অন্যান্য গরুর তুলনায় এই গরুটি খুব শান্তশিষ্ট হওয়ায় সোহরাবের পরিবার সখ করে গরুটির নাম রাখেন শান্তবাবু।

পরিবারের সকলেই গরুটিকে শান্তবাবু নামে ডাকেন। দেখতে দেখতে শান্তবাবু বিশাল দেহের অধিকারী হয়ে উঠেছে। গরুর মালিক সোহরাব হোসেন বলেন, আমরা সবাই শান্তবাবুকে আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে মনে করে অতি আদর যত্ন দিয়ে তাকে নিজের ছেলের মত করে বড় করেছি। অতি অল্প সময়ে সে আমাদের সকলের কাছে অতি প্রিয় হয়ে উঠেছে।

প্রিয় বস্তুুর বিদায়টা স্মরনীয় করে রাখতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শান্তবাবুকে যে ক্রেতা ন্যায্য মূল্য দিবে তাকেই একটি পালসার মটরসাইকেল উপহার দেওয়া হবে। দাম পেলেই ঈদ উপহার স্বরুপ শান্তবাবুর সাথেই ক্রেতার হাতে এই উপহারটি তুলে দেওয়া হবে।

গরুর ওজনের কথা বলতে তিনি বলেন, শান্তবাবুর ওজন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মন হবে। ৫ লাখ দাম হলে তিনি শান্তবাবুকে বিক্রি করবেন বলে জানান। এদিকে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে গরুটি এক নজর দেখার জন্য উপজেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ কাস্তা গ্রামের সোহরাবের বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন। কোরবানির ঈদে গরুটি বিক্রয়ের ঘোষনা দেওয়ায় গরুটি ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন এলাকার গরুর ব্যাপারীরা তার বাড়ীতে গিয়ে দর কষাকষি করছে।

এখনও পর্যন্ত কোন ব্যাপারী তার গরুর উপযুক্ত দামে উঠতে পারেনি বলে তিনি জানান। কেশবপুরে এই প্রথম কোন গরুর মালিক ক্রেতাকে পালসার উপহারের ঘোষনা দিলেন।

কবির হোসেন।। স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার জেরে তীব্র বিতর্কের মুখে পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে জনপ্রশাসন সচিবের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তার পদত্যাগের ব্যাপারে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, হ্যাঁ, তিনি পদত্যাগ করেছেন। তবে আমাকে তিনি জানাননি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গিয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

এর আগে নমুনা ফেলে দিয়ে হাজারো মনগড়া কোভিড-১৯ রিপোর্ট দেয়ার প্রসঙ্গে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর দেয়া বিবৃতিতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ডিজি কালাম আজাদ। সাবরিনার ভাষ্য মতে, কোভিড নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ফেলে ভুয়া রিপোর্ট তৈরির প্রতারণার বিষয়ে আগেই জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে।

স্বাস্থ্যের ডিজিকে শোকজ

পাশপাশি চলমান পরিস্থির প্রেক্ষিতে প্রতারণা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বন্ধ হয়ে যাওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব প্রদানকালে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালম আজাদ ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’ বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন, সে বিষয়ও প্রশ্নবিদ্ধ হন। পরে স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নানের কাছে চিঠির মাধ্যমে সে প্রসঙ্গে নিজের ব্যাখ্যা জানান স্বাস্থ্য ডিজি। তবে তার সেই জবাবে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।

১৯ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযান পরিচালনাকালে প্রায় দেড় ঘন্টা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডিজিকে রুদ্ধদ্বার জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) চার সদস্যের একটি দল। এর ২ দু’দিন পরেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

কুপিয়ে আহত

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥ কেশবপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১ যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার বাগদহা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ গাজীর ছেলে রইস উদ্দীন উজ্জল (৩২) এর সাথে একই উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের মৃত নফর আলী শেখের ছেলে ইসহাক মুন্নার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। বুধবার গভীর রাতে রইস উদ্দীন কেশবপুর থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইসহাক মুন্না দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রইস উদ্দীনকে গুরুতর আহত করে। এলাকাবাসীরা গুরুতর আহত ইসহাক মুন্নাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত রাম দা (দেশীয় অস্ত্র) উদ্ধার করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল। এ ব্যাপারে ইসহাক মুন্না জানান, আমি বর্তমানে ঢাকাতে আছি। আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। রইস উদ্দীনের উপর হামলার ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই ।

ডেস্ক রিপোর্ট।। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। এটার অনুমোদন যদি পেয়ে যাই তাহলে কথা দিতে পারি, আগামী বছর জলাবদ্ধতা তৈরি হবে না। আমরা ২৬টি জায়গা চিহ্নিত করেছি। পর্যায়ক্রমে এই বর্ষায় ১০টি এলাকা ঠিক করে ফেলতে পারব।--খবর জাগোনিউজ

বুধবার (২২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকার জলাবদ্ধতা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনের সামনে তাজুল ইসলাম বলেন, আগে যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হয়েছে, অর্থাৎ ড্রেনের পাইপ যত মোটা করা হয়েছে, যতটুকু পানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার চেয়ে আরও বেশি স্পেস (জায়গা) লাগবে। কতগুলো বিষয়ে কাজ করা দরকার। যেমন- খাল ভালো করে পরিষ্কার করা। যদিও আমরা এসব বিষয়ে প্রথম থেকে পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু সবগুলো এখনো ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না।

তিনি বলেন, এজন্য আমি আজ মাঠে পরিদর্শনে এসেছি। যেসব তথ্য পাচ্ছি, সে অনুযায়ী একটা স্থায়ী সমাধানের জন্য ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যাব। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার ত্রুটি ছিল। যেমন এখানে পানি আউটলেট হওয়ার মতো যথেষ্ট স্পেস নেই। অর্থাৎ যে ব্যবস্থাপনা আছে, এ ব্যবস্থাপনার ত্রুটি আছে। এখানে আরও বর্ধিত ব্যবস্থাপনা লাগবে। আমরা ভবিষ্যতে এসব প্রকল্প নিয়ে কাজ করব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শহরের মানুষ যাতে দুর্ভোগের সম্মুখীন না হয় সে জন্য চেষ্টা করব।

তিনি আরও বলেন, একটা হচ্ছে সাফিশিয়েন্ট পাম্প লাগাতে হবে, যাতে পানি হাতিরঝিল থেকে পানি ওপারে যায়। আমাদের কানেক্টিভিটি আরও স্ট্রং করতে হবে। আমরা দেখেছি মগবাজারে কী অবস্থা। আমি মন্ত্রীকে বলেছি ঢাকা শহরের কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মীরবাগ, মধুবাগে পানি জমে। জলাবদ্ধতা কেন সৃষ্টি হচ্ছে? ওয়াসার কাজগুলো আমাদের দিন। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, নগরবাসীকে আমরা যে কথা বলি সে কাজ করি। কথার সাথে কাজের মিল আছে।

পরিদর্শনকালে প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

গলায় উড়না দিয়ে আত্নহত্যা

কেশবপুরে প্রতিবেশীর মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে রেখা মন্ডল নামের এক চা বিক্রেতা গলায় উড়না দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিথ্যে অপবাদ দিয়ে গালিগালাজ করায় সোমবার সকালে উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের আড়–য়া গ্রামের অসিম মন্ডলের স্ত্রী রেখা আত্নহত্যা করেন। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে।

এলাকাবাসি ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছর ধরে আড়–য়া গ্রামের গ্রাম্য পুলিশ অসিম মন্ডলের স্ত্রী রেখা মন্ডল (৩৫) তার বাড়ির পাশে মানিকতলা মোড়ে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাপলা খাতুন বলেন, তার এলাকার শ্যমল বৈরাগী অধিকাংশ সময় ওই দোকানে বসে চা পান করত। বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারেনি শ্যামলের স্ত্রী নমিতা বৈরাগী ও ছেলে পরান বৈরাগী। এ নিয়ে প্রায় সময় রেখা মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে নমিতা বৈরাগী ও পরান বৈরাগী গালিগালাজ করত। পূর্বের ন্যায় রবিবার রাতে ও সোমবার সকালে রেখা মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে তারা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মারপিটের হুমকি দেয়। এতে ক্ষোভে এক সন্তানের জননী রেখা মন্ডল বাড়ির ঘরের আড়ার সাথে উড়না দিয়ে আতœহত্যা করেন। ঘটনার পর শ্যামল বৈরাগী তার স্ত্রী নমিতা বৈরাগী ও ছেলে পরান বৈরাগী গা ঢাকা দিয়েছে।

রেখা মন্ডলের স্বামী অসিম মন্ডল বলেন, আমার স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য পার্শবর্তী শ্যমল বৈরাগী তার স্ত্রী নমিতা বৈরাগী ও ছেলে পরান বৈরাগী দায়ী। আমার বাড়িতে এসে তারা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারপিট করে প্রণনাশের হুমকি দেয়। আমার স্ত্রী অপমান সইতে না পেরে আত্নহত্যা করেছে। তিনি অপরাধিদের ধরে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক তাইজুর ফকির বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে যশোর জেরারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফটো গ্যালারী

আর্ন্তজাতিক

youtube