We Collect the neWe Collect the news and connect it with the time.
We Collect the neWe Collect the news and connect it with the time.
নায়িকা মৌসুমীকে নিয়ে মুখ খুললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী সম্প্রতি ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, তিনি মারা গেলে তার লাশ যেন কেউ না দেখে এবং তার ছবি যেন সবাই ডিলিট করে দেয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নানা জন নানা কথা বলছেন। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন আসসুন্নাহ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বুধবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে দশটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে শাখ আহমাদুল্লাহ। সেখানে তিনি লিখেছেন মৌসুমীর বোধোদয়ের কথা।
পাঠকদের জন্য শায়খ আহমাদুল্লাহর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
অভিনয় জীবনের ত্রিশটি বছর পার করার পর বাংলাদেশের সুপরিচিত এক অভিনেত্রী দর্শকদের কাছে অনুরোধ করেছেন, যাদের কাছে তার ‘ধুমধাড়াক্কা’ ছবি (সিনেমা) সংরক্ষিত আছে, মৃত্যুর পর সবাই যেন তা ডিলিট করে দেয়। তাছাড়া মৃত্যুর পর তার লাশ যেন কেউ না দেখে, দ্রুত গোপনে যেন তাকে দাফন করা হয়—এমন অনুরোধও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
গত কয়েক বছর ধরে এদেশের সর্বসাধারণের মধ্যে দীন পালনের যে আকাঙ্ক্ষা পরিলক্ষিত হচ্ছে, এই ঘটনা তারই ধারাপরম্পরা।
আলোচিত এই নায়িকা স্টুডিওতে বসে ক্যামেরার সামনে যখন কথাগুলো বলেন, তখন ক্যামেরার পেছনে কোনো ক্যামেরাম্যান ছিল না। নায়িকাকে নির্জনে বিশেষ কিছু বলবার জন্যে উপস্থাপক বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্টুডিও থেকে।
এমন একান্ত মুহূর্তে গভীরভাবে লালন করা আত্মগত বিশ্বাসই মানুষ নিবিড়ভাবে ব্যক্ত করে। যেন নিজের সঙ্গে নিজের গোপন বিশ্বাসের কথা বলা। নায়িকার এই উপলব্ধিকে আমরা স্বাগত জানাই।
নারী-স্বাধীনতার মুখরোচক স্লোগানে আত্মহারা হয়ে অনেক বোন নারিত্বের খোলস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। যাকে তারা মুক্তির উজ্জ্বল দীপশিখা ভেবে উন্মত্ত হন, দিন শেষে বুঝতে পারেন, আসলে তা অগ্নিগহ্বর ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু সেই উপলব্ধি আসতে আসতে জীবনের অনেক কিছুই তারা হারিয়ে ফেলেন। আলোচিত নায়িকা তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
প্রিয় বোন, এমন ক্যারিয়ার গড়বেন না, যেখান থেকে দীনে ফিরে আসাটা দুর্গমগিরি কান্তার মরু পাড়ি দেয়ার মতো কঠিন হয়ে যায়।
লাইফস্টাইল ও ক্যারিয়ার বাছাইয়ে সতর্ক না হলে হয়তো এমন দিন আসবে, যখন আপনার বোধোদয় হবে, কিন্তু পৃথিবীর বুক থেকে আপন পাপের চিহ্ন মুছে ফেলতে পারবেন না। সেদিন আপনার আফসোসই বাড়বে শুধু।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে পুলিশের একটি দল তাকে আদালতে নিয়ে যায়।
বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকে শামসকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা।
ওই দিনই যুবলীগের এক নেতা দৈনিক প্রথম আলোতে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা একটি মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদককে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে বিরোধী দল বিএনপি শামসের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি একটি ‘ভয়াবহ ঘটনা’।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনও প্রথম আলোর সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে।
এছাড়া প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ১৯ মিনিটে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।
সূত্র: UNBUNB
দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ততক্ষণে গড়া হয়ে গিয়েছিল। লিটন কুমার দাসের সামনে হাতছানি দিচ্ছিল দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তিও। যা হতে পারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। কিন্তু রানের গতিতে একটু ছন্দপতন ও অস্থিরতার খেসারত দিয়ে শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্ক ছোঁয়া হলো না তার। সুযোগ হারিয়ে ম্যাচ শেষে তার কণ্ঠে ফুটে উঠল আক্ষেপ।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বুধবার ১৮ বলে ফিফটি করে প্রায় ১৬ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে দেন লিটন। ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মোহাম্মদ আশরাফুলের ২০ বলের ফিফটি এত দিন ছিল এই সংস্করণে বাংলাদেশের দ্রুততম পঞ্চাশ।
ফিফটির পরও দারুণ গতিতে ছুটতে থাকেন। বাংলাদেশের সেঞ্চুরি খরার অবসান মনে হচ্ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। সেই ২০১৬ বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে তামিম ইকবালের ৬৩ বলে ১০৩ রানের ইনিংসটি ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কোনো সেঞ্চুরি নেই। তামিম সেদিন শতরান ছুঁয়েছিলেন ৬০ বলে।
লিটন এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরও গতিতে। ১০ ওভার শেষে তার রান ছিল ৩৪ বলে ৭৯। একাদশ ওভারে হ্যারি টেক্টরের আঁটসাঁট বোলিংয়ে আসে ৪ রান। পরের ওভারের প্রথম ৫ বলে কোনো বাউন্ডারি দেনণি লেগ স্পিনার বেন হোয়াইট। দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি লিটন। তার শরীরী ভাষায় ফুটে উঠছিল খানিকটা অস্থিরতা।
লিটন যে কোনো মূল্যে আক্রমণ করবেন বুঝেই হয়তো ওভারের শেষ বলটি স্টাম্পের বেশ বাইরে করেন হোয়াইট। টার্ন করে তা ওয়াইড হয়ে যাচ্ছিল প্রায়। লিটন সেটিই তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। তার ইনিংস থামে ৪১ বলে ৮৩ রানে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন বললেন, রেকর্ড নিয়ে তার কোনো ভাবনা কখনোই নেই।
“না (রেকর্ডের কথা আগে থেকে জানতেন কি না)…আমি আগেও বলেছি সাক্ষাৎকারে যে কখনও রেকর্ড নিয়ে চিন্তা করি না।”
তবে সেঞ্চুরিতে যে তার চোখ ছিল, তা বলে দিলেন সরাসরিই। আক্ষেপ করলেন ওই সময়টায় আরেকটু সময় না নেওয়ার জন্য।
“আমার মনে হয়, আমি একটু বেশি তাড়াহুড়ো করছিলাম। মাঝখানে আবার স্পিনাররাও খুব ভালো বল করছিল, উইকেটেও তাদের সাহায্য করছিল। আমি যদি আরেকটু সময় নিয়ে পেসারগুলো বল খেলতাম, তাহলে হয়তো আজকে ৮৩-৮৪ রানের জায়গায় ১০০ও হতে পারত। ঠিক আছে এটা।"
“ভালো লাগা কাজ করছে (ফিফটির রেকর্ডে)… ১০০ করতে পারলে খুব ভালো লাগত।”