ফ্রেডরিখ নীটশে, লাঙ্গে ও বস্তুবাদের ইতিহাস-বিচার
ইংরেজি ভাষায় নীটশে অধ্যয়নে ফ্রেডরিখ লাঙ্গের নাম কালেভদ্রে দেখা যায়। এমনকি নীটশের চমকপ্রদ বায়োগ্রাফি লিখেছেন যিনি, আর জি হলিগডালে, তিনিও মাত্র কয়েক অনুচ্ছেদ ব্যয় করেছে নীটশেতে লাঙ্গের প্রভাব বিষয়ে। লাঙ্গের ফেনোমেনালিজম-উদ্ভূত-অজ্ঞেয়বাদ ও নীটশের দার্শনিক অবস্থানের সম্বন্ধ তিনি বুঝেছেন ও তারিফ করেছেন।
যদিও বিশ শতকের শুরুর দিককার নীটশের ভাষ্যকারদের মধ্যে বারনৌলি, ই হক্স ও হ্যান্স ফাইহিঙ্গার লাঙ্গের বস্তবাদের ইতিহাস বিচার ও যেই পটভূমিতে নীটশের অনেক দার্শনিক ভাবনা, আগ্রহ ও ঝোঁকের আবির্ভাব ঘটেছে তাদের মধ্যকার ঘনিষ্ঠতা সম্বন্ধে আলো ফেলেছে। নীটশের দর্শনের মূলে লাঙ্গের প্রভাববিস্তারী ভূমিকার কথা গুরুত্বসহকারে আলোচিত হচ্ছে সেটাও খুব বেশি দিনের কথা নয়। লাঙ্গে-নীটশে সম্বন্ধ নিয়ে কিছু সমকালীন চর্চায় Jörg Salaquarda তাৎপর্যপূর্ণ কাজ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, উনিশ শতকের বিজ্ঞান ও বস্তুবাদের বিবর্তন প্রসঙ্গে লাঙ্গের নিবিড় বোঝাপড়া নীটশের চিন্তার স্রোতে প্রবাহিত হয়েছে।
লাঙ্গের দার্শনিক অন্বেষা, জোর দেয়া জায়গাগুলো এবং জ্ঞান, প্রকৃতির জগত ও সাংস্কৃতিক ভাবাদর্শ অভিমুখী বিশেষ বেড়ে উঠার সাথে ফ্রেডরিখ নীটশের নাটকীয় ও নিরীক্ষামূলক দর্শনের যোগসূত্রের বিষয় জার্মানির বাইরে মোটামুটি অজানা। লাঙ্গের ফেনোমেনোলজি, বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর সংরক্ষনশীল ভঙ্গি, তাঁর জিজ্ঞাসা, প্রস্তাবনা এবং গভীর অনুসন্ধানের পাশাপাশি তীর্যক সমালোচনায় প্রকাশিত হয়ে পড়ে এক চওড়া পাটাতনের। এই পাটাতনে নীটশে তাঁর দার্শনিক সৌধ দাঁড় করান।
আর্থার শোপেনহাওয়ার যদি নীটশের নিরাশাবাদী প্রজ্ঞার প্রেরণাদায়ী শিক্ষক হয়ে থাকেন, সেখানে ফ্রেডরিখ লাঙ্গে ছিল তাঁর ক্রিটিকাল গবেষণা সহযোগী যিনি তাকে এম্পিরিকাল জ্ঞানের গুরুত্ব অনুধাবন করতে শিখিয়েছেন। লাঙ্গে ফিলোলজিস্ট থেকে দার্শনিক হওয়া এই যুবকের সামনে স্বাধীন বিজ্ঞানের দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন।
বিস্তারিত দেখতে- Lange and Nietzsche (BY George J. Stack)
প্রথম প্রকাশঃ ৭ই অক্টোবর, ২০১৯
সর্বশেষ সংশোধনঃ ৭ই অক্টোবর, ২০১৯
লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/bodhichittaju/posts/2074168442683716