নেক্রোপলিটিক্সঃ ফিলিস্তিন থেকে কসোভো ও মৃত্যু উপত্যকার নির্মাণ



নেক্রোপলিটিক্সের ধারণাকে প্রথমে তত্ত্ব আকারে হাজির করেন ক্যামেরুনে জন্ম নেয়া তাত্ত্বিক এমবেম্বে। এমবেম্বে নেক্রোপলিটিক্স নিয়ে লিখছেন ২০০২ সালে। এর দুই দশক আগে মিশেল ফুকো বায়োপলিটকাল স্টেটের ব্যখ্যা হাজির করে।সোসাইটি মাস্ট বি ডিফেন্ডেড শীর্ষক বক্তৃতায় ও শীর্ষক বক্তৃতায় ও হিস্ট্রি অফ সেক্সুয়ালিটি বইয়ের প্রথম ভল্যিউমের শেষ অধ্যায়েই মূলত তিনি বায়োপলিটিক্স নিয়ে আলাপ করেন তার সময়ের শাসন ব্যবস্থা বুঝতে গিয়ে। এমবেম্বের নেক্রোপলিটিক্স একই সাথে ফুকোর বায়োপলিটিক্স তত্ত্বের সমালোচনা ও সংযুক্তি। তিনি মনে করেন তার সময়ে দাঁড়িয়ে ফুকোডিয়ান বায়োপাওয়ারের ধারণা দিয়ে শাসন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ব্যখ্যা করা সম্ভব না।

The most accomplished form of necropower is the contemporary colonial occupation of Palestine


বায়োপাওয়ারের সাথে এমবেম্বে নেক্রোপাওয়ার বা নেক্রোপলিটিক্স ধারণার অবতারণা করেন। ফিলিস্তিন, কসোভো ও আফ্রিকার প্রসংগ টেনে এনে উনি দেখান যে সার্বভৌমের ক্ষমতা কিভাবে মৃত্যুর অঞ্চল তৈরী করে, যেখানে মৃত্যুই হয়ে দাঁড়ায় কর্তৃত্ব চর্চার সর্বোচ্চ দশা আর প্রতিরোধের প্রাথমিক ধাপ। তিনি মনে করেন,

নেক্রোপলিটিক্স হত্যা করার অধিকারের থেকেও বেশি কিছু-

জনগণকে মৃত্যুর মুখে উন্মুক্ত করে দেয়ার অধিকার।


নেক্রোপলিটিক্স হন্টনরত মৃতের তত্ত্ব। এটি ব্যখ্যা করে কিভাবে এই সময়ে মৃত্যুর ক্ষমতার কাছে জীবন পরাধীন হয় এবং এই প্রক্রিয়া কিভাবে কিছু শরীরকে জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে অন্য কোথায় আটকে রাখে।

To exercise sovereignty is to exercise control over mortality and to define life as the deployment and manifestation of power


নেক্রোপলিটিক্সের তত্ত্বায়নকালে আরেক ফরাসী তাত্ত্বিক জর্জ বাতাইর(Bataille) কাছে ফিরে যান এমবেম্বে। এছাড়া কার্ল স্মিটের সার্বভৌমত্বের ধারণা ও মৃত্যুর সাথে মানুষের অধীনস্থ হওয়ার সম্পর্ক সংক্রান্ত হেগেলের বয়ানকেও টেনে আনেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এপারথাইডের ব্যখ্যা প্রদানকালে সার্বভৌমত্বের গুরুত্বপূর্ণ এক ইন্টারপ্রেটেশন দাঁড় করান। “এইক্ষেত্রে সার্বভৌম বলতে তাকেই বোঝানো হয় যে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যে কোন জীবনের গুরুত্ব আছে আর কোন জীবনের নেই, কাকে ছুঁড়ে ফেলা যায় আর কাকে যায়না”। ফিলিস্তিনের ঘটনা ব্যখ্যা করতে গিয়ে তিনি এটির একটি স্থানিক পাঠ নির্মাণ করেন। ফিলিস্তিনে ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের তিনটি বৈশিষ্ট্য হাজির করেনঃ টেরিটোরিয়াল ফ্র্যাগমেন্টেশন, ভার্টিকাল সোভেরেইনটি, ও স্প্লিন্টারিং অকুপেশন।


পাঠ-সহায়িকাঃ




পাদটীকাঃ এটি কোনো মৌলিক লেখা না। নেক্রোপলিটিক্স নিয়ে পড়তে গিয়ে আমরা যেই ম্যাটেরিয়ালগুলির সন্ধান পেয়েছি তা থেকে মূলত প্যারাফ্রেইজ ও অনুবাদ করে লেখা।



প্রথম প্রকাশঃ ১৭ই আগস্ট, ২০১৯

সর্বশেষ সংশোধনঃ ১৭ই আগস্ট, ২০১৯

লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/notes/342731160153748/