টীকা ও হদিস
২০১৪-এর ডিসেম্বরে ইন্ডিয়ান হিস্টোরি কংগ্রেসের প্লাটিনাম জুবিলি সেশনে এই প্রবন্ধটি প্রথম জেনারেল প্রেসিডেন্টের বক্তব্য হিসেবে পাঠ করা হয়েছিল। একটি ফেলোশিপ আর তার সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডি, সিমলায় প্রাপ্ত সুযোগসুবিধা ছাড়া এই বক্তৃতা সম্পূর্ণ করা আমার পক্ষে কঠিন হতো। গত কয়েকমাস যাবত ইন্সটিটিউটে প্রশ্ন—উত্থাপন করার সংস্কৃতির একজন অংশীদার হওয়াকে অনুমোদন করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকসমেত সকল ফেলোর প্রতি আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। অত্যাবশ্যকীয় কৃৎকৌশলগত সহযোগিতা এবং উৎসাহ প্রদান করার জন্য আমি ড. অরুণা বোম্মারেড্ডি ও ড. সুস্মিতা বসু মজুমদারের কাছে ঋণী।
১. উদাহরণস্বরূপ দেখুন, S. Bhattacharya, Talking back: The Idea of Civilization in Indian Nationalist Discourse (New Delhi, 2011).. প্রধানত ইতিহাসতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের ধরনে লেখা আর রবীন্দ্রনাথ, গান্ধী এবং নেহেরুর মতন প্রধান চিন্তকদের লেখনীর উপর ভিত্তি করে লেখা টকিং ব্যাক আদৌ আদি টেক্সটগুলোর উপলব্ধি নিয়ে ভাবিত নয়। আরো দেখুন, , idem, Introduction to the collection of essays titled Cultural Unity of India (Ramakrishna Mission Institute of Culture, Kolkata, 2013), XL-XLI.
২. http://www.wikipedia.org -এ `Unity in Diversity’— এর আওতাধীন ভুক্তিগুলো দেখুন।
৩. সাম্রাজ্যের মানচিত্রায়নের জন্য প্রথম দিককার বিপুল কর্মযজ্ঞ প্রসঙ্গে বিশদ জানার জন্য দেখুন, M. Edney, mapping an Empire: The Geographical Construction of British India, 1765-1843 (University of Chicago Press, Chicago, 1997).
৪. মনু—স্মৃতি (Manu-smrti, II.17-24). এখানে মনু—স্মৃতির The Laws of Manu শিরোনামের ইংরেজি অনুবােদের লেখক, Wendy Doniger and Brian K. Smith (Penguin Books, New Delhi,1992).
৫. বঙ্কিমচন্দ্র প্রধান জাতিগত—ভাষাগত বিভিন্ন দলের আঙ্গিকে, নানাবিধ জাতি, ধর্ম, ভাষা, রীতি ও আরো নানান আঙ্গিকে ভারতীয় সমাজে অনেক ভিন্নতার (ভেদ) ধারণা করেছিলেন। এমন প্রকোষ্ঠে—প্রকোষ্ঠে বিভাজিত ভিন্নতার রূপ তাকে ভারত—ভূমিকে মৌমাছি—পূর্ণ একটা মৌচাকের সঙ্গে তুলনার দিকে নিয়ে গিয়েছিল। দেখুন, J.C Bagal, ed., Bankim Rachanavali, vol.2 (Calcutta, 1964). The essay s titled Why is India Unfree ?, pp.234-41
৬. যে বঙ্কিমচন্ত্র আঞ্চলিক নানান দলের ভিত্তিতে ভিন্নতার কথা লিখেছিলেন, তিনিই দেশকে আদিতে মাতারূপে অনুধাবন কারীদের মধ্যে একজন ছিলেন। তার ১৮৮২ সালে উপন্যাস আনন্দমঠ প্রথমদিকের দেশপ্রেমমূলক উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই উপন্যাসে পৌরাণিক দুর্গারূপে নির্মিত মাতৃবন্দনা করা হয়েছে। বঙ্কিম রচনাবলি, প্রথম খণ্ড, ১০ম অধ্যায় (Bankim Rachanavali, vol. 1, chapter 10)| বন্দে—মাতরম গানটি দেশকে নির্দেশ করছে বলে একজন সাধারণমানুষের সন্দেহের উত্তরে সন্ন্যাসী জোর দিয়ে বলেন যে, জন্মভূমি অবশ্যই মা।
৭. ১৯০৫ সালে অঁাকা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুৃরের ভারতমাতার প্রতিকৃতিতে দেবিকে চারহাতবিশিষ্ট হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছিল। দেবির প্রতিহাতে যথাক্রমে একটি পাণ্ডুলিপি, এক গোছা ধান, একটি জপমালা আর একটুকরো কাপড় তাঁকে দেশবাসী সন্তানদের শিক্ষা—অন্ন—দীক্ষা—বস্ত্রর সংস্থানকারী হিসেবে প্রতীকায়িত করেছে। ভারত—মাতার প্রতীমালক্ষণবিদ্যা যে সুনির্দিষ্ট ছিল না তা জানার জন্য দেখুন, Sumathi Ramaswamy, The Goddess and the Nation (New Delhi edition, 2011), pp. 15-17 and passim.
৮. ভারতবাসীদের উল্লেখ করা হয়েছিল একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গানে। ১৯০৮ সালে বৃটিশরা বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুকে ফাঁসি দেয়াকে স্মরণ করতে এই গানটি রচিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। বাংলায় এই গানটি এখনো অব্যহতভাবে ব্যাপক জনপ্রিয়। গানটির নানা সংস্করণ ও তার বিশ্লেষণ জানার জন্য দেখুন, অরুণ কুমার নাগ, গল্প ও তার গরুতে অন্তভুর্ক্ত দ্বীপান্তরী অভিরাম, কলিকাতা, ২০০৫, পৃ. ১০৯—১২৭।
৯. Radhakumud Mookerji, The Fundamental Unity of India (London, 1913; New Delhi edition, 2003), passim.
১০. Sabyasachi Bhattacharya, Talking Back , passim; also idem, Introduction.
১১. Sabyachi Bhattacharya, Introduction, p xxi.
১২. যদি বঙ্কিমচন্দ্রের ভিন্নতার অনুধাবন অনেক জাতির অস্তিত্ত্বের মধ্যে থাকে এবং অন্যভাবে বললে, ঐক্যের অনুভবের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, অন্যান্যরা অনেক ভাষা, অনেক পোষাকের রীতি, অনেক বিশ্বাস ও মতামত থাকা সত্ত্বেও মহামিলনের গান গাইতে পেরেছিলেন [উদাহরণ, অতুলপ্রসাদ সেনের, নানা ভাষা, নানামত নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখি মিলন মহান, দেখুন, গীতিগুঞ্জ (কলিকাতা, ১৯৩৫)।]
১৩. ঋগ্বেদ (Rg veda 10.22.8); আরো দেখুন, B.D Chhattopadhyaya, Accommodation and Negotiation in a culture of Exclusivism; some Early Indian perspectives, in Bipan Chandra and Sucheta Mahajan, eds, composite culture in a Multicultural society (National Book Trust, New Delhi, 2007), pp.145-65
১৪. বৌধায়ন ধর্মশাস্ত্র (Baudhayana Dharmasutra, 1.2.9-14)
১৫. মনু মধ্যদেশ ও আর্যাবর্তের মধ্যে পার্থক্য করেছেন। আর্যাবর্ত তুলনামূলকভাবে মধ্যদেশের চাইতে বড়, (2.21-2, Doniger and Smith, p .19).
১৬. কাব্যমীমাংসা, ১৭ অধ্যায়। যে সংস্করণ ব্যবহার করা হয়েছে সেটা হল নগেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর রাজশেখর ও কাব্যমীমাংসা (শান্তিনিকেতন, ১৯৬০), পৃ. ১৬৯। কাব্যমীমাংসা থেকে প্রদত্ত অন্যান্য উল্লেখও এই এই সংস্করণেরই।
১৭. দেখুন, Ananda K. coomaraswamy, ‘The Nature of Folklore and Popular Art’, in Rama P. Coomaraswamy, ed, The Essential Ananda coomaraswamy (The Bloomington World wisdom, Bloomington, 2029), pp. 215-22. কুমারস্বামী এভাবেই গঠিত (সংস্কৃত) এবং প্রাদেশিক ( দেশী) কিংবা মহাপথ (মার্গ) এবং একটি স্থানীয় বা শাখাপথ (দেশী)— এর ফারাক করেছেন। “… ব্রাক্ষ্মণের (যারা পৃথিবীতে ঈশ্বরের সমতূল্য) দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করলে বলা যায় যেখানে স্বর্গীয় অবয়ব—রূপগুলো সঠিকভাবে অনুকৃত হয়েছে সেই একটি পবিত্রভূমি (আর্যাবর্ত) থেকে যাকিছু ভৌগলিকভাবে এবং/কিংবা গুণগতভাবে মূল কেন্দ্র থেকে দুরে সরিয়ে ফেলা হয় তাইই একইসময়ে ভৌগলিক ও আধাত্মিকভাবে ‘প্রাদেশিক’ হবে; তারাই প্রধানত দেশী যারা সীমার বাইরে বসবাসকারী বর্হিভাগের বর্বর, আর তাই দেশী হলো পৌত্তলিকের, বা বিধর্মীর/হিদেন সমতূল্য।
১৮. এপ্রসঙ্গে পূনার্ঙ্গ আলোচনার জন্য দেখুন, B.D.chattopadhyaya, ‘Space History and cultural process; some Ideas on Ingredients of sub-regional Identity’, in H. Kulke and G. Berkemer, eds, Centres Out There? facets of sub-regional Identities in Orissa (New Delhi, 2011), pp.21-38. আরো দেখুন, B.D. Chattopadhyaya, ‘A survey of Historical Geography of Ancient India’ (Calcutta, 1984)-— এর বিভিন্ন জায়গায়; একই রচয়িতার, ‘The Concept of Bharatavarsa and its Historiographical Implications’ (বর্তমান বইয়েই অন্তভুর্ক্ত প্রবন্ধ).
১৯. K. Sivathamby, ‘Early South Indian Society and Economy: The Tinai Concept’, Social Scientist, vol 3, no 5 (1974), pp. 29-37; G.D. Sontheimer, Pastoral Deities in Western India, translated by Anne Feldhaus (New York; Oxford 1989), chapter 2.
২০. B.D. chattopadhyaya, Aspects of Rural Settlements and Rural Society in Early Medieval India (Calcutta, 1990), Chapter I.
২১. বিজয়যাত্রার সফল সমাপ্তির পরে বিশ্বজিৎ যজ্ঞ করা হতো বিশ্ব জয়কে বোঝাতে। যদিও বিশ্বকে এখানে ভৌগলিক অর্থে বোঝানো হয় নাই। কালিদাস রঘু দিগজিগীষুর বিজয় শোভাযাত্রা চিত্রিত করেছেন। রঘু চতুর্দিক জয় করার জন্য যাত্রা শুরু করেছিলেন পূর্বদিক থেকে এবং বিশ্বজিৎ যজ্ঞ করেছিলেন পূর্বদিকেই যাত্রা শেষ করার পরে। রঘুবংশ ((Raghuvamsam in C.R. Devadhar, Works of Kalidasa, vol. 2 (poetry) (New Delhi, 2002), 4th sarga)|
২২. দেখুন, D.C. Sircar, ‘Cakravartī-kṣetra’, in Studies in the Geography of Ancient and medieval India (Delhi,1971), Chapter I
২৩. মনুস্মৃতি (Manusmṛti 7.154-8); Doniger and smith, pp. 143-4.
২৪. কৌটিল্য অর্থশাস্ত্র (Kautiliya Arthasastra), 6.239-40. অর্থশাস্ত্রের যে টেক্সট এখানে ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো, , R.G Basak, Kautikiyam Arthasastram in two pasts (Calcutta, 1964). The translation is by R.P. Kangle , The Kautiliya Arthasastra part 2 (An English Translation with Critical and Explanatory Notes) (University of Boambay, 1963)
২৫. Kangle, কৌটিল্য অর্থশাস্ত্র (Kautiliya Arthasastra), p.371.
২৬. অর্থশাস্ত্র (Arthasastra), 6.1.18, প্রাগুক্ত।
২৭. S.K. Chatterji, Contributions of Different Languages-Culture Groups in H. Bhattacharya, ed. The cultural Heritage of India Vol. I (Calcutta, 1958), p.90 – এ উল্লিখিত।
২৮. মহাভারত, বনপর্ব, অরণ্যেয়—পর্বাধ্যায়। ধর্ম কী — যক্ষর এই প্রশ্নের উত্তরে যুধিষ্টির বলেন: ‘বিভিন্ন বেদ আলাদা। বিভিন্ন স্মৃতিও আলাদা; এমন কোনো মুনি নাই যার মত (অন্যদের মতের তুলনায়) আলাদা নয়। ধর্মের ধারণা গুহাভ্যন্তরে থাকে (অর্থাৎ, রহস্যময় থাকে); সেই পথই ধর্ম যা প্রজ্ঞাবান অতিক্রম করেন।’ প্রকৃতপক্ষে, ধর্মের অর্থ কী — যক্ষের এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে, যুধিষ্টির কতগুলো রীতিকে উল্লেখ করছেন যেগুলো কোনো একটি সম্প্রদায়কে মেনে চলতে দেখা যেতে পারে।
২৯. মনু—স্মৃতি (Manu-smṛti, 7.203 and7.208); Doniger and Smith, p. 149.
৩০. যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃৃতি (Yājñavalkya Smṛti, 1.342-3).
৩১. নাট্যশাস্ত্রের যে টেক্সট এখানে ব্যবহার করা হয়েছে তা সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও ছন্দা চক্রবর্তী কতৃর্ক সম্পাদিত আর দুই খণ্ডে বিভক্ত (কলকাতা, ৪র্থ পুনমুর্দ্রন, ২০১৩)। নাট্যশাস্ত্র, ১.৪১—৫।
৩২. নাট্যশাস্ত্র, চতুর্দশ অধ্যায়।
৩৩. প্রাগুক্ত, অষ্টাদশ অধ্যায়।
৩৪. প্রাগুক্ত।
৩৫. নাট্যশাস্ত্র, অষ্টাদশ অধ্যায় (১৮.৫২—৫.)
৩৬. নাট্যশাস্ত্র, ১৮.২৬।
৩৭. নগেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, রাজশেখর ও কাব্যমীমাংসা, তৃতীয় অধ্যায়।
৩৮. প্রাগুক্ত, অনন্তান = অপি হি দেশাংশ = চতুর্র্ধা = ইভ = আকল্য কল্পযন্তি = চক্রবর্তী—ক্ষেত্রং সামান্যয়েন তদ = অনন্তরা—বিশেষয়ঃ পুনার = অনন্তা এভা ইতি যায়াভার্য।
৩৯. দেখুন, Wendy Doniger and Sudhir Kakar: Vātsyāyana Mallanāga: Kāmasūtra (A New Complete English Translation of the Sanskrit Text ) (New York, 2002),5.12, pp. 49-50.
৪০. Doniger and Kakar, p. 50
৪১. Manomohan Ghosh, Glimpses of Sexual Life in Nanda-Maurya India (Translation of the Caturbhāṇi together with a critical edition of the text ) (Calcutta, 1975). ঘোষ এই ভানগুলোর টেক্সটের সময়কাল নন্দ—মৌর্য যুগ হিসেবে নির্ধারণ করলেও কোনো গ্রহণযোগ্য পরিপূরক আলামত এই সময়কালকে সমর্থন করে না।
৪২. Manomohan Ghosh, Sexual Life, pp. 130-67, 71-81 (text).
৪৩. প্রাগুক্ত, পৃ. ১১১, আরো দেখুন, পৃ. ৭৬ (টেক্সট), যথা দেশ—জাতি—কুল—তীর্থ সময় ধর্ম …; পৃ. ৮৭ (টেক্সট)।
৪৪. প্রাগুক্ত, পৃ. ১২৬ (টেক্সট)
৪৫. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৩১—৩; পৃ. ৯১ (টেক্সট)।
৪৬. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৩৫; পৃ. ৯৩ (টেক্সট)।
৪৭. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৫৫; পৃ. ১০৮ (টেক্সট)।
৪৮. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৫৬—৫৭; পৃ. ১১০ (টেক্সট)।
৪৯. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৫৭; পৃ. ১১০ (টেক্সট): বানরী নিষ্কুজিতোপমানি চীৎ—কার—ভূয়ি—স্থং—অপরাত্যভিঙ্গেয়— ব্যঞ্জজনানী কিঞ্চিত—করেণানতরাণী প্রদেশিনীধালন—মাত্র সূচিন্তানি।
৫০. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৬৫; পৃ. ১১৬ (টেক্সট), গান্ধারকেণ হস্তিমুর্খেন।
৫১. S.K. Nambiar, Prabodhacandrodaya of Krsna Misra (Sanskrit text with English translation, a critical Introduction and Index) (Delhi, second edition, 1998), p. 26: দক্ষিণ—রাঢ়—প্রদেশাদ—আগত …
৫২. প্রাগুক্ত, পৃ. ২৬। তার বিপুল জানাশোনার প্রকাশযোগ্য গর্ব হলো অহঙ্কার। পশু—প্রবৃত্তির অবিশ্বাসী/হেরেটিক, শৈব এবং পাশুপতদের সম্পর্কে তার নিজের মতামত হলো, এমনকি তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বললেও মানুষজন নরকে যাবে। দুর থেকেও তাদের চোখের সামনে আসা পরিহার করা উচিৎ: পৃ. ২৯।
৫৩. বাদ শব্দটি এসেছে বদ বা বলা থেকে। কোনো একটি মতবাদের কেন্দ্রীয় কথ্য বিতর্ক অর্থেই এই শব্দের মূল প্রয়োগ।
৫৪. তার দ্বাদশ প্রধান শিলা লিপিতে (Major Rock Edict XII), তিনি ঘোষনা করেছিলেন যে, তিনি তার রাজত্বের সকল মতাবলম্বীকে (পাষড) উপহার ও অন্যান্য দানসামগ্রী দিয়ে সম্মান করছেন। অশোক সকল মতাবলম্বীকে বাক সংযম চর্চা করতে এবং অন্যদের মতের নিন্দা করে নিজেদের মত প্রচার করা থেকে নিবৃত্ত থাকতে আদেশ করেন। তাঁর মতে, এই চর্চা আদপে কারো নিজের সম্প্রদায়ের উপকারও করে না। লিপিটি ও তার সংস্কৃত সংস্করণের জন্য দেখুন, D.C. Sircar, Select Inscriptions Bearing n Indian History and Civilization, vol. I (second edition. Calcutta University, Calcutta, 1965), pp. 32-4.
৫৫. S. N. Dasgupta, A History of Indian philosophy, vol. I (Cambridge University Press,1963), pp. 67-8.
৫৬. ঔপনিবেশিক ইতিহাসতত্ত্বের সূত্রপাত ঘটানো এবং একটি তাৎপর্যপূর্ণ সংখ্যক দক্ষিণ এশীয় ইতিহাসবিদের গ্রহণ করা ভারতীয় ইতিহাসের সাম্প্রদায়িক সংস্করণকে নাকচ করতে গিয়ে, প্রায়শই আমরা একদম বিপরীত মেরুতে গিয়ে প্রাক—ঔপনিবেশিক ভারতে ধর্মীয় শান্তির একটি আদর্শায়িত ছবি প্রক্ষেপ করি। যদিও সামাজিক জীবনের একমাত্র মোটিফ হিসেবে নয়, বরং একটি মাত্রা হিসেবে রেষারেষি ও সহিংসতা ভারতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন যুগেই অস্তিত্বশীল ছিল। কয়েকটি উদাহরণের জন্য দেখুন, B. D. Chattopadhyaya, Representing the Other? Sanskrit Sources and the Muslims: Eighth to Fourteenth Century (New Delhi, 1998), passim. Idem, other or the others? Varieties of Difference in Indian Society at the Turn of the First Millennium and Their Historiographical Implications, in studying Early India, Archaeology, Texts and Historical Issues (Delhi, 2003), pp. 191-224.
৫৭. A. Chakravarti, editor and publisher, Neelakesi (second edition, Jaipur, 1994),
৫৮. নগেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর রাজশেখর ও কাব্যমীমাংসা, পৃ. ৬০ (বঙ্গানুবাদ ও টিকাসহ অংশ)—এ উল্লিখিত। সম্প্রদায়গত বিদ্বেষের ব্যঞ্জনা রাজশেখরের নিচের বিবৃতিতে স্বতঃসিদ্ধভাবেই শনাক্তযোগ্য। তিনি কামকে সম্বোধন করে একটি শ্লোক উদ্ধৃত করেন। সেখানে কামকে স্বরূপ উন্মোচন করতে নিশ্চয়তা প্রদান করে বলেন যে, তার সঙ্গীরা সবাই কেবল বৈষ্ণব আর শঙ্কর আশেপাশে নাই। (রূপম দর্শর্য় নাত্র শঙ্কর—ভয়ম সর্বে ভয়ং বৈষ্ণবাঃ), প্রাগুক্ত, ষোড়শ অধ্যায়, পৃ. ১৩৪।
৫৯. ফাউলিস গ্রানোফ (Phyllis Granoff) মধ্যযুগে জৈন গদ্যসাহিত্যের প্রাচুর্য ও বৈচিত্র্যের কথা বলেছেন, The Forest of Thieves and the Magic Garden (An Anthology of Medieval Jain Stories) (Penguin Books, New Delhi, 1998), p. 5. বৈচিত্র্যময় কাহিনির হলেও পরিশেষে সেগুলো নীতিশিক্ষামূলক। সঙ্কলনটির পাশাপাশি দেখুন, The Forest of Thieves and the Magic Garden, আরো দেখুন, The Clever Adulteress and Other stories (A Treasury of Jaina Liteature), edited by Phyllis Granoff (1st Indian edition 1993), পুরো বই দেখুন।
৬০. S. K. Nambiar, Prabodhacandrodaya, পুরো বই দেখুন।
৬১. ‘Matta-vilāsa: A Farce by Mahendravikrama-varman’, translated by L. D Barnett, Bulletin of the School of oriental studies, Vol 5, 1930. pp. 697-710. এই প্রহসন নিয়ে একটি অন্তদৃষ্টিসম্পন্ন আলোচনার জন্য দেখুন, G. subbiah, ‘Matta-vilāsaprahasanam: Countering a Counter Culture’, in Pathways to Literature, Art and Archaeology (Pandit G. N. Bahura Felicitation Volume, Jaipur, n.d.), pp. 50-8.
৬২. এমন রেষারেষি ও সংঘাত সম্পর্কে এই সাম্প্রতিক পর্যালোচনার জন্য দেখুন, D. N. Jha, ed. Contesting Symbols and Stereotypes; Essays on Indian History and Culture ( Delhi, 2013). বিশেষভাবে দেখুন, Chapters 2 and 3.
৬৩. Hans Georg Gadame, cited in M. G. phillips, ‘What is Tradition when it is Not “Invented”? A Historiographical Introduction’, in M. G. Phillips and G. Schochet, Questions of Tradition (Toronto, 2004), pp. 3-32.
৬৪. R.T. H Griffith, The Hymns of the Ṛg-veda (second edition, 1896); 1.164.46: তারা তাকে ডাকে ইন্দ্র, মিত্র, বরুণ, অগ্নি, এবং তিনি স্বর্গীয় ডানা—বিশিষ্ট গরুতমান। যা কিছু এক, তাকেই ঋষিগণ বিভিন্ন ভাবে সম্বোধন করেন [;] তারা তাকে ডাকে অগ্নি, যম, মতারিস্বান।
৬৫. একই শব্দ ব্যবহার করে একই ভাবনার উপস্থিতি ভি. এ. স্মিথ (১৯১৯), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯০২) এবং ডি. ডি. কোসাম্বির লেখায় থাকা বেশ তাৎপর্যময় হিসেবে বিবেচনা করা উচিৎ। তথ্যসূত্রের জন্য দেখুন পূর্বোল্লিখিত, S. Bhattacharya, Talking Back.
৬৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভারত—তীর্থ (১৯১০)। গীতাঞ্জলি, রবীন্দ্র রচনাবলি, জন্মশতবার্ষিকী সংস্করণ (পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ১৯৬১), পৃ. ২৮০—২। এই সংস্করণে যদি গানটিতে নাম নাই, ক্রমিক নম্বর দেয়া হয়েছে। Rabindranath Thakur [Tagore], Bharata-tirtha (1910), in Gitanjali, Rabindra Rachanavali, Birth Centenary Edition (West Bengal Government, Calcutta, 1961), pp. 280-2. স্মর্তব্য, গ্রেট হিউম্যানিটি মহামানবের ইংরেজি হিসেবে সন্তোষজনক নয়।
৬৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইতিহাস, প্রবোধ চন্দ্র সেন ও পুলিন বিহারী সেন কতৃর্ক সঙ্কলিত (কলিকাতা, ১৯৫৭), পৃ. ১—১১।
৬৮. The Culture and Civilization of Ancient India in Historical Outline (Delhi reprint, 1975), p. 1
৬৯. প্রাগুক্ত (Ibid., p. 9).
৭০. প্রাগুক্ত (Ibid., p. 13).
৭১. Viṣṇu-Purāṇam, 2.3.2,5: ‘কর্ম—ভূমির—্যাম’; আরো দেখুন, ‘ন খলবন্যত্র মর্তানাং কর্ম ভূমৌ বিধীয়তে’। আরো দেখুন, ৭৬ নম্বর টিকা।
৭২. A. K. Ramanujan, ‘Is there an Indian Way of Thinking? An Informal Essay’, in Contributions to Indian Sociology, 23.41 (1989), pp. 41-58 — এর আলাপআলোচনা দেখুন। Vinay Dharwadker, General Editor, The Collected Essays of A.K. Ramanujan ( Oxford University press, New Delhi, 1999), pp. 34-61 — গ্রন্থে এই প্রবন্ধটি অন্তভুর্ক্ত হয়েছে।
৭৩. দিগ্বিজয়ের ধারণা (চতুর্দিক জয় করা যাকে প্রায়ই বিশ্বজয় হিসেবে অভিহিত করা হয়) মহাভারত, এবং কালিদাসের রঘুবংশসহ অসংখ্য আদি টেক্সটে উল্লিখিত হয়েছে। বৈশ্বিক শাসক/রাজার মর্যাদা অর্জন করার জন্য চারদিক বশীভূত করার প্রয়োজনীয়তা এর মাধ্যমে স্পষ্ট করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ দেখুন, Sabhāparva (25-32) of the Maāabhārata, translated by Paul Wilmot (Clay Sanskrit Library, New York University Press, 2006).
৭৪. V. D. Savarkar, cited by Michael Gottlob, India’s Unity in Diversity as a Question of Historical Perspective, Economic and Political Weekly , vol. 42, no. 9 (2007), pp. 779-89.
৭৫. B.D. Chattopadhyaya, ‘Space, History and Cultural process; some Ideas on the Ingredients of Sub -regional “Identity”’, in Herman Kulke and Georg Berkemer, ed., Centres out There? Facets of sub-regional Identities in Orissa, pp. 21-38
৭৬. N. Venkataramanayya and M. Somasekhara Sharma, ‘Vilasa Grant of Praloya Nayaka’, Epigraphia Indica, vol, 32 (1959), pp. 239-63; in particular, p. 260. এই লিপিটিতে ভারতবর্ষ প্রসঙ্গে নিচের অভিব্যক্তিগুলো ব্যবহৃত হয়েছে: ফলন্তি কর্মাণি কৃতানি যাত্রা/ ভাষা সমাচার—ভিদা বিভিন্নৈর—দেশৈর—অনেকৈর—বিভক্তে ( যেখানে কর্ম করা হতো ফল লাভের জন্য, আর যে—স্থান অনেক ভাষা ও আচারে বিভক্ত, অনেক দেশে বিভক্ত ছিল)
৭৭. Michael Gottlob, India’s Unity in Diversity, op. cit, p. 780.
৭৮. এই দুটি পরস্পর বিরোধী পদ ব্যবহারের আলাপের জন্য দেখুন, G.D. Sontheimer, ‘The Vana and the Kṣetra: The Tribal Background of Some Famous Cults’ in G.C. Tripathi and Hermann Kulke, eds, Religion and society in Eastern India: Anncharlott Eschmann Memorial Lectures, vol. I (1978-86) (Bhuvaneshwar , 1987), pp. 117-64.
৭৯. এই আন্দোলনের বিশদ পর্যালোচনার জন্য দেখুন, Ishita Banerjee-Dube, Religion, Law and Power: Tales of Time in Eastern India 1860-2000 (London, New York, Delhi, 2012), particularly Chapters I and II.
৮০. Indranath Chaudhuri, Fundamental Unity of the Indian polity in Bulletin of the Ramakrishna Mission Institute of Culture, vol. 65 no. 6 (June2014), pp. 264-70.
৮১. R.S. Sharma, Rajasasana: Meaning Scope and Application in proceedings of the Indian History Congress, 37th Session (calicut,1976), pp. 76-7.
৮২. for the explication of the expression. See S. Bhattacharya, Intro-duction in Cultural Unity of India. op. cit., pp. xxii-xxiii.
৮৩. M.B. Emeneau, Linguistic prehistory of India. In Anwar S. Dil, ed., Language and Linguistic Area: Essays by M.B. Emeneau (Stanford University Press. 1980). p. 90.
৮৪. প্রাগুক্ত। আরো দেখুন নিচের মন্তব্যগুলো : ‘ তিন গোষ্ঠীর (ইন্দো—ইউরোপীয়, দ্রাবিড়িয় ও মুন্ডা) ঐতিহাসিক সম্পর্ক বৃহদার্থে পুনর্গঠন করার বিষয়বস্তু। মধ্যভারতে তিন গোষ্ঠীর মধ্যকার সীমানাগুলোর ভৌগলিক প্রকৃতি থেকে একথা স্পষ্ট হয় যে, ইন্দো—ইউরোপীয়র সম্প্রসারনের আগে দাবিড়িয়র উত্তর দিকের সীমানা অনেক দিন যাবতই দক্ষিণদিকে পশ্চাদপসরণ করছে। প্রধান সীমানার উত্তর দিকের দ্রাবিড়িয় বচনের ছোট ছোট দ্বীপ এখনো বিলুপ্ত না—হওয়া পরস্পর বিচ্ছিন্ন ছোপ ছোপ দাগের মতন। একইভাবে, মুন্ডার ক্ষেত্রে সেগুলো বৃহৎ বা ক্ষুদ্র বিস্তারের পরস্পর বিচ্ছিন্ন সব দ্বীপ আর এগুলো হয় ইন্দো—ইউরোপীয় নয়ত দ্রাবিড়িয়দের দ্বারা পরিবেষ্টীত এবং চাপের ফলে সঙ্কুচিত। এই কারণে মনে হওয়া উচিৎ যে মুন্ডা ও দ্রাবিড়িয় উভয়ের জন্যই বিস্তৃতি অনেক বড় ছিল আদিযুগগুলোতে।’ M.B. Emeneau, India as a Linguistic Area in Anwar S.Dil, op. cit, p. 100.
৮৫. Roger Blench, ‘Re-evaluating the Linguistic Prehistory of South Asia’, in Toshiki Osada and Akinori Uesugi, eds., Occassional paper 3: linguistics, Archeology and the Human Past ( Kyoto 2008), pp. 159-78
৮৬. এই অভিব্যক্তি বা পদটি শেলডন পোলক ব্যবহার করেছেন, ঝযবষফড়হ চড়ষষড়পশ, Sheldon Pollock, ‘The Sanskrit Cosmopolis, 300-1300: Transculturation, Vernacularization, and the Question of Ideology’, in J.E.M. Houben, Ideology and Status of Sanskrit: Contributions to the History of Sanskrit Language (Leiden, 1998), Chapter 8. আরো দেখুন, Sheldon Pollock, The Language of the Gods in the World of men: Sanskrit Culture and Power in Premodern India (University of California press: Berkley, Los Angeles, London, 2006), part I.
৮৭. বিভিন্ন স্ব স্ব ভাষাগোষ্ঠীকে এবং ( যেমন, ইন্দো—ইউরোপীয়, দ্রাবিড়িয়, ইত্যাদি) দ্যোতিত করার জন্য এই পদাবলির প্রয়োগের জন্য দেখুন, Roger Blench, Re-evaluating the linguistic prehistory, op. cit. অভিজাতশ্রেণি এবং আমলাতান্ত্রিক মনে সংস্কৃতের হেজিমনিক দখলদারিত্ব নিচের বিবৃতিতে স্পষ্টভাবেই প্রকাশিত হয়: … ভারতের জনগণ এমন এক অনুভূতির সঙ্গে সংস্কৃতকে ভালোবাসে আর ভক্তি করে যে অনুভূতি কেবল ভারত মাতার প্রতি দেশপ্রেমের পরেই আসে। দেখুন, Report of the Sanskrit for the Nation, Modern Asian Studies, 33.2 (1999), pp. 339-81.
৮৮. কখনো কখনো বর্ণব্যবস্থাকে বৈধতা দেয়া হয় ভগবদগীতার উল্লেখ করে। এক্ষেত্রে দাবি করা হয় যে, গুণ ও কর্মর উপরে ভিত্তি করে কৃষ্ণ চাতুর্বন্য সৃষ্টি (সৃষ্টম) করেছেন। কৃষ্ণ একইসঙ্গে এই ব্যবস্থার স্রষ্টা এবং স্রষ্টা নন (অকরতা); যা ব্যবস্থাটির স্বর্গীয় উৎপত্তিকেও প্রচ্ছন্নভাবে নির্দেশ করে। এধরনের বৈধতা প্রদান একথা স্বীকার করতে ব্যর্থ হয় যে, এই বিভাজন অপরিবর্তনীয় ও উত্তরাধিকার সূত্রে লভ্য ছিল (iv 13-18)। মনু (চতুর্থ অধ্যায়) স্পষ্ট করেছিলেন যে, বর্ণ অলঙ্ঘনীয় আর বর্ণ—সঙ্কর হলো অশুভ; মনু যাদের ‘হিংস্র’ অস্পৃশ্য চণ্ডাল বলেছেন মানুষের মধ্যে ‘নিকৃষ্টতমদের’ নিটশে হচপচ (hotchpotch) মানবকুল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন (Doniger and Smith, pp. xx and p. 236) — এ উল্লিখিত। উপরিল্লিখিত, ভারততীর্থ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ অন্যান্য সামাজিক বর্গগুলোর সঙ্গে সঙ্গে ব্রাক্ষ্মনদেরও ডেকেছেন একত্রে মাতৃভূমির প্রতিষ্ঠার জন্য। তবে তিনি ব্রাক্ষ্মণদের আহ্বান করছেন: ‘এসো ব্রাক্ষ্মণ, শুচি করি মন/হাত ধরো সবাকার’। ব্রাক্ষ্মণদের মন শুচি করার এই আহ্বান সেই মর্যাদার পুরোপুরি উল্টো যে মর্যাদায় সে শুচিতার—ক্রমবিন্যাসে সবার উপরে তার অবস্থান।
৮৯. ২০১৪ সালের জুন মাসে হিমাচল প্রদেশের বাস্পা উপত্যকার ছিটকুল নামের এক দুরবর্তী গ্রামে একবার যাওয়ার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উপরে ভিত্তি করে একথা বললাম।
৯০. যারা এই বিশ্বাসে অটল যে আমিষাহার ভারতীয় ঐতিহ্যের বিরোধী এবং পাশ্চাত্য থেকে আসা একটা ঘৃণ্য তামসিক অভ্যাস তাদের জন্য বিভিন্ন প্রমাণ যেসব গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে Om Prakash, Food and Drinks in Ancient India (New Delhi, 1961, passim and Appendix VII) | । এছাড়াও রয়েছে প্রচুর প্রত্নতাত্ত্বিক উপাত্ত যা এই বিশ্বাস ভুল প্রমাণ করতে পারে। এরপরেও, যে—কেউ বাল্মীকির রামায়নে (অযোধ্যা—কাণ্ড, সর্গ ৮৫.২১—৭৭) নির্বাসনে থাকা রামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময় ভরতের সেনাবাহিনীকে ঋষি ভরদ্বাজ কীভাবে আপ্যায়ন করেছিলেন তার বিবরণী পড়ে দেখতে পারেন।
প্রথম প্রকাশঃ ১২ই কার্তিক, ১৪২৮ ::: ২৮শে অক্টোবর, ২০২১
[ লিঙ্কঃ https://swadhinsen.com/2021/10/28/191/?fbclid=IwAR1AjemD6HM6GANrSmza95CFMq-emk0TMTBBairN9dYWutAI6oedHqtubwA ]
পুনঃপ্রকাশঃ ২৮শে অগ্রহায়ণ,১৪২৮ ::: ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২১