পৃথিবীর নব বিধান

কার্ল স্মিট



[কার্ল স্মিট (Carl Schmitt) প্রখ্যাত জার্মান আইনজ্ঞ ও রাজনীতি তাত্ত্বিক। তাঁর Der Nomos der Erde im Völkerrecht des Jus Publicum Europaeum নামের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থটি সমকালীন জলবায়ু ও অ্যান্থ্রোপোসিন বিষয়ক আলাপে বারংবার ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে The Nomos of the Earth in the International Law of the Jus Publicum Europaeum শিরোনামে। স্মিটের এই গ্রন্থটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন জি এল উলমেন (G. L. Ulmen) এবং প্রকাশিত হয়েছে টেলোস প্রেস পাবলিশিং থেকে। সমকালের পরিবেশ, জলবায়ু,অ্যান্থ্রোপোসিন ও প্লানেটারি বিষয়ক আলাপে বহুল উদ্ধৃত এই গ্রন্থের পঞ্চম অংশের পরিশিষ্টের তৃতীয় অধ্যায়টি (The New Nomos of the Earth) যৌথভাবে অনুবাদ করেছেন কাজী রবিউল আলম ও রাদিয়া আউয়াল তৃষা। অনুবাদকদ্বয় উভয়েই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে পড়ান।]



আমি পৃথিবীর একটি নতুন বিধানের কথা বলছি। এর অর্থ হলো যে, এই পৃথিবী নামের যে গ্রহে আমরা বসবাস করছি সেটিকে আমি একটি সমগ্র, একটি বিশ্ব হিসাবে বিবেচনা করছি এবং এর বৈশ্বিক বিভাজন বিন্যাসকে বোঝার চেষ্টা করছি। এই বিভাজন এবং বিন্যাসকে বোঝার জন্য আমি গ্রীক শব্দ নোমোস (nomos) ব্যবহার করেছি, যা গ্রীক ক্রিয়াপদ nomo থেকে এসেছে। গ্রীক nomos কিংবা némein আসলে জার্মান nehmen (গ্রহণ করা) শব্দের সমার্থক। প্রথমত বিধান অর্থ Nahme (কোন কিছু অধিকৃত করা); দ্বিতীয়ত এটি যা অধিকৃত করা হয়েছে তার বাঁটোয়ারা এবং বন্টনকেও বোঝায়; তৃতীয়ত বন্টনের ফলাফল হিসেবে যা ভাগে পাওয়া যায় তার উপযোগীতা, তদারকি ব্যবহারকে, অর্থাৎ উৎপাদন ভোগকে নির্দেশ করে। অধিকৃত করা, বাঁটোয়ারা এবং উৎপাদন হলো মানব ইতিহাসের তিনটি আদ্য প্রক্রিয়া, আদি নাটকের তিনটি অঙ্ক। এই তিনটি অঙ্কের প্রতিটিরই নিজস্ব কাঠামো এবং প্রক্রিয়া আছে। উদাহরণস্বরূপ, বাঁটোয়ারা অনুযায়ীই কাকে, কি পরিমাণে, কতটুকু দেওয়া তা নির্ধারিত হয়। ওল্ড টেস্টামেন্টের দানিয়েলের নবুতি খণ্ডের (Book of Daniel*) পঞ্চম অধ্যায়ের তিনটি দৈব শব্দ গণনা (MENE), ওজন (TEKEL), বিভক্ত (UPHARSIN) – পৃথিবীর এই নতুন বিধানের তিনটি আদি নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্যকেই নির্দেশ করে।


সবসময়ই পৃথিবীর কিছু বিধান ছিল। মানবজাতির সকল যুগেই পৃথিবী অধিকৃত, বিভক্ত এবং কর্ষিত হয়েছে। কিন্তু, মহা আবিষ্কার যুগের পূর্বে অর্থাৎ আমাদের গণনাকালের ১৬ শতকের আগে, বসবাসরত গ্রহ সম্পর্কে মানুষের কোন বৈশ্বিক ধারণা ছিল না। নিশ্চিতভাবেই পৃথিবী এবং স্বর্গ, ভূ-পৃষ্ঠ এবং সমুদ্র সম্পর্কে তাদের বিভিন্ন ধরনের পৌরাণিক ধারণা ছিল। কিন্তু পৃথিবী তখনও বৈশ্বিক হিসাবে বিবেচিত হয়নি, এবং মানুষ তখনও পর্যন্ত মহাসাগরে পাড়ি জমায়নি। স্থলই ছিল তাঁর কাছে পৃথিবী। সকল ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা নিজেদেরকেই পৃথিবীর কেন্দ্র এবং তাদের রাজত্বকেই স্বাধীনতার আবাসস্থল ভাবত। আর বাইরের পৃথিবীটা তাদের কাছে ছিল যুদ্ধ, বর্বরতা এবং বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। বাস্তবে যার অর্থ দাঁড়ায় যে ন্যায়পরায়ণতার সাথে যে কেউ এই বাইরের দুনিয়া দখল লুণ্ঠন করতে পারত। তখন তারা বেড়া দিল, সীমারেখা টানলো, চীনের প্রাচীর নির্মাণ করলো অথবা হারকিউলিসের স্তম্ভ কিংবা সমুদ্রগুলোকেই পৃথিবীর শেষ সীমা বলে ভাবতো। পৃথিবীর অধিকৃত অংশকেই (গ্রীক ভাষায় তথাকথিত oikonome) কেবল তারা তাদের সাম্রাজ্য বলে মনে করতো। মানুষ যখন পর্যন্ত এই গ্রহকে বৈশ্বিক ভাবা শুরু করেনি এবং মহাসাগরগুলো তাঁর কাছে অনতিক্রম্য ছিল সেই প্রথম পর্যায়ে এগুলোই ছিল পৃথিবীর বিধান।



৫০০ বছর পূর্বে মানুষ যখন মহাসাগরগুলোকে জয় করা শুরু করলো তখনই পৃথিবীর এই বিধানগুলো তছনছ হওয়া শুরু হলো। জলপথে পৃথিবী পরিভ্রমণ শুরু হলো; আমেরিকা নামে সম্পূর্ণ নতুন, অজানা, এমনকি যার কথা কখনো কল্পনা করা হয়নি এমন একটি মহাদেশ আবিষ্কৃত হলো। এই ধরনের সমুদ্র এবং স্থলভাগ আবিষ্কার থেকেই পৃথিবীর দ্বিতীয় ধরনের বিধানগুলো উৎসারিত হয়। এই আবিষ্কারগুলো আহূত ছিল না। এগুলো আবিষ্কৃত জনগোষ্ঠীর কোন ভিসা ইস্যু করা ছাড়াই সম্ভব হয়েছিল। এই আবিষ্কারকরা ছিলেন ইউরোপীয়, যারা গ্রহটিকে অধিকৃত, বিভক্ত ব্যবহার করেছিল। এর ফলে পৃথিবীর দ্বিতীয় বিধানগুলো হয়ে পড়লো ইউরোপকেন্দ্রিক। নব্য আবিষ্কৃত আমেরিকা মহাদেশটিই সর্বপ্রথম কলোনি হিসাবে ব্যবহৃত হলো। এশিয়ার বিশাল ভূমিকে একই রকমভাবে অধিকৃত করা সম্ভব হয়নি। বিধানগুলোর এই ইউরোপকেন্দ্রিক কাঠামো কেবল আংশিকভাবে বিস্তৃত হয়েছিল, যেমন মুক্ত ভূমিগুলো অধিকৃত করা। অন্যান্য ক্ষেত্রে এটি রক্ষাকারী, ইজারা, বাণিজ্য চুক্তি এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ধরনে; সংক্ষেপে একটা স্থিতিস্থাপক উপযোগিতার ধরনে বিস্তৃত হয়েছিল। বিংশ শতকে এসে কেবল ভূমি অধিকৃত ইউরোপীয় শক্তি আফ্রিকাকে বিভক্ত করেছিল।



পৃথিবীর এই দ্বিতীয় বিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য নিহিত রয়েছে প্রথমত, এর ইউরোপকেন্দ্রিক কাঠামোর মধ্যে এবং দ্বিতীয়ত, প্রথমটির থেকে ভিন্ন, তখনও পর্যন্ত বিদ্যমান পৃথিবী দ্বারা বেষ্টিত সমুদ্রের বিশ্বের পৌরাণিক ধারণার মধ্যে। ফলে, যদিও এটি বৈশ্বিক ধারণাই ছিল, কিন্তু তখনও পর্যন্ত স্থল সমুদ্র দ্বারা বিভাজিত বৈশ্বিক ধারণা। চাষযোগ্য জমিগুলো রাষ্ট্র, উপনিবেশ, অঙ্গরাজ্য, প্রভাবিত এলাকা প্রভৃতিরূপে বিভক্ত ছিল। বিপরীতে, সমুদ্র ছিল মুক্ত। রাষ্ট্রগুলো এটাকে মুক্তভাবে ব্যবহার (মাছ ধরা, লবন সংগ্রহ, মুক্তা সংগ্রহ প্রভৃতি কাজে) করতে পারতো। এর কোন সীমানা ছিল না, এটা ছিল উন্মুক্ত। এটা স্বাভাবিকভাবে অবধারিত ছিল যে অবারিত সমুদ্র যুদ্ধ পরিচালনার স্বাধীনতাকেও নির্দেশ করত। ফলাফলস্বরুপ, শক্তিশালী নৌশক্তিগুলোই পৃথিবীর সমুদ্রগুলো অধিকৃত করেছিল। বৃহৎ স্থলশক্তিগুলোর পরেই শক্তিশালী বৃহৎ নৌশক্তির আবির্ভাব ঘটে। ইংল্যান্ড তার সব ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বী স্পেন, হল্যান্ড, ফ্রান্স এবং জার্মানিকে সমুদ্রশক্তির জন্যই পরাজিত করতে পেরেছিল।



পৃথিবীর এই ইউরোপকেন্দ্রীক বিধান প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮) পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। এটি দ্বৈত ভারসাম্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ছিল। প্রথমত স্থলভাগ এবং সমুদ্রের ভারসাম্য। ইংল্যান্ড একা সমুদ্র শাসন করত এবং সমুদ্রশক্তির ক্ষেত্রে কোন ভারসাম্য অনুমোদন করত না। বিপরীতে, ইউরোপীয় মহাদেশে স্থলশক্তির ভারসাম্য ছিল। আর এর নিশ্চয়তা দিত ইংল্যান্ডের সমুদ্র শক্তি। স্থলভাগ এবং সমুদ্রের এই ভারসাম্য একটা ভিত্তি তৈরী করেছিল যার উপর নির্ভর করেই ভূমিগুলো পুনরায় বিশেষ ভারসাম্যের দ্বারা বিপরীতক্রমে ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছিল।



ভূমি সমুদ্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন বর্গের। সেখানে ভূমির জন্য একটা আন্তর্জাতিক আইন এবং সমুদ্রের জন্য আরেকটি পৃথক আন্তর্জাতিক আইন ছিল। আন্তর্জাতিক আইনে, স্থলভাগের যুদ্ধ নৌযুদ্ধ থেকে সম্পূর্ণরুপে আলাদা ছিল। স্থলভাগের যুদ্ধে কোন সাধারণ নাগরিক নয়, বরং বিরোধী সেনাবাহিনী শত্রু হিসাবে বিবেচিত হত। স্থলভাগের যুদ্ধ জনগণের মধ্যে সংঘটিত হত না, বরং ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হত। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি লুন্ঠনযোগ্য ছিল না। সমুদ্র যুদ্ধ ছিল বাণিজ্য যুদ্ধ। বাণিজ্য সম্পর্ক আছে এরকম প্রতিদ্বন্দ্বী যে কোন রাষ্ট্রই সমুদ্র যুদ্ধে শত্রু বলে বিবেচিত হতো।



যুদ্ধরত দেশগুলোর নাগরিকদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি, এমনকি শত্রু দেশের সাথে বানিজ্য সম্পর্ক রয়েছে এমন নিরপেক্ষ-দেশের সম্পত্তি লুট করা অবরোধ এবং পুরস্কার আইন অনুযায়ী ন্যায্য ছিল। যুদ্ধ, শত্রু এবং লুন্ঠন সম্পর্কিত সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারণা নিয়ে পুরোপুরি আলাদা দুইটি জগৎ হিসাবে স্থলভাগ এবং সমুদ্র পরস্পরের মুখোমুখি হত।



প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের ফলাফল হিসেবে পৃথিবীর এই ইউরোপকেন্দ্রিক বিধান ভেঙ্গে পড়ে। আজকে (১৯৫৪) আমরা যে বিশ্বে বসবাস করছি তা পশ্চিম পূর্ব দুই অংশে বিভক্ত। যারা একে অপরের সাথে শীতল যুদ্ধে লিপ্ত এবং মাঝেমধ্যে উত্তপ্ত যুদ্ধেও লিপ্ত হয়। এটাই পৃথিবীর বর্তমান বিভাজন। সর্বোপরি, পূর্ব এবং পশ্চিম হচ্ছে ভৌগলিক ধারণা। গ্রহের প্রেক্ষিতে, এই ধারণাগুলো পরিবর্তনশীল অনির্ধারিত বটে। এই পৃথিবীর দুইটি মেরু— উত্তর দক্ষিণ; এর কোন পূর্ব বা পশ্চিম মেরু নেই। ইউরোপের প্রেক্ষিতে আমেরিকা হচ্ছে পশ্চিম; আমেরিকার প্রেক্ষিতে চীন রাশিয়া হচ্ছে পশ্চিম; চীন রাশিয়ার প্রেক্ষিতে ইউরোপ পুনরায় পশ্চিম। শুদ্ধ ভৌগলিক অর্থে, কোন প্রতিষ্ঠিত সীমানা বা পারস্পরিক শত্রুতার ঘোষণা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু এই ভৌগলিক দ্বন্দ্বের পিছনে একটি গভীর আরো মৌলিক দ্বন্দ্ব দৃশ্যমান হয়। আমরা যাকে পূর্ব বলছি তা একটি বৃহদাকার ভূমি অঞ্চল তা আমরা এই ভূগোলকের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি। বিপরীতে, পৃথিবীর পশ্চিম অর্ধেক বিস্তৃত অঞ্চলটি বিশ্বের মহাসাগর— আটলান্টিক প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা আচ্ছাদিত। ফলশ্রুতিতে, পূর্ব পশ্চিমের দ্বন্দ্বের পিছনে রয়েছে একটি মহাদেশীয় একটি সমুদ্রদেশীয় বিশ্বের গভীর দ্বন্দ্ব— ভূমি সমুদ্রের দ্বন্দ্ব।



উত্তেজনার চরম মূহুর্তে পৃথিবীর ইতিহাস একটি খাঁটি সহজ উপাদানের দ্বন্দ্বে রূপান্তরিত হয়। একজন বিখ্যাত জার্মান কবি এরকম একটি ঐতিহাসিক মূহুর্তকে নিয়ে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন। সময়টা ছিল ১৮১২ সালের গ্রীষ্ম, ফ্রান্সের তৎকালীন সম্রাট নেপোলিয়ন- যখন তাঁর সামরিক রাজনৈতিক ক্ষমতার শিখরে অবস্থান করছিলেন, তখন রাশিয়া আক্রমণ করলেন এবং মস্কোর দিলে এগিয়ে যেতে লাগলেন। [ইয়োহান ভল্‌ফগাঙ্গ ফন] গ্যেটে (Goethe) নেপোলিয়নকে নিয়ে একটি প্রশংসামূলক কবিতা লিখেছিলেন, যেখানে তিনি বললেনঃ


শতাব্দী ধরে যেসব বিষয় আলোড়িত করেছিল,

সে তাঁর স্বচ্ছ মন দিয়ে বিষয়গুলোকে দেখেছিল,

সব তুচ্ছ জিনিসগুলো ঝরে পড়েছিল,

শুদ্ধ সমুদ্র এবং ভূমি এখানে বিবেচিত হল।



গ্যেটে নেপোলিয়নের পক্ষে ছিলেন; তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন যে নেপোলিয়নের শক্তি প্রজ্ঞার কারণে ইংল্যান্ডকেও জয় করবে, এই বিস্তৃর্ণ ভূমি “আবার পুরোপুরি অধিকারে আসবে”। আমরা জানি যে, নেপোলিয়ন ইংল্যান্ডের দ্বারা নয় বরং রাশিয়া, অস্ট্রিয়া, এবং প্রুশিয়ার স্থল শক্তি দ্বারা পরাজিত হয়েছিলেন। এটি দেখিয়েছিল যে পৃথিবীর সমসাময়িক (তৎকালীন) বিধান স্থল সমুদ্রের ভারসম্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল।



আমরা এখন কোথায় দাঁড়িয়ে আছি? ভূমি সমুদ্রের পৃথকীকরণের ভিত্তিতে পূর্বকার যে ভারসাম্য ছিল তা ধ্বংস হয়ে গেছে। আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশ সমুদ্রের বুনিয়াদি বৈশিষ্ট্যগুলোকে হরণ করেছে। আকাশসীমা নতুন, তৃতীয় একটি মাত্রা হিসেবে মানুষের ক্ষমতা কর্মের শক্তির পরিধি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আজকের দিনে অনেকেই মনে করেন যে, পুরো বিশ্ব—আমাদের গ্রহ—এখন কেবলমাত্র একটি অবতরণ ক্ষেত্র বা বিমানবন্দর, কাঁচামালের ভাণ্ডার এবং মহাকাশ ভ্রমণের একটি মাতৃ জাহাজ। এটি অবশ্যই চমৎকার। কিন্তু এটি সেই শক্তিকেই প্রদর্শন করছে যার মধ্য দিয়ে পৃথিবী সম্পর্কে একটি নতুন বিধানের প্রশ্নটি উত্থাপিত হচ্ছে।