[প্রিয় রাশীদ স্যার গত মার্চে আমাদের ছেড়ে গেছেন। আজ তাঁর জন্মদিন। মাত্র পঁয়তাল্লিশ বছরে পা দিতেন তিনি আজকের এই দিনে (১৬ই আগস্ট, ২০২১)। রাশীদ স্যারের জন্মদিনে, বোধিচিত্তের তাঁকে স্মরণ করবার সুযোগ করে দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের কিছু শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বোধিচিত্তে রাশীদ স্যার দুইটি আলাপ করেছিলেন। দ্বিতীয়টি অর্থাৎ "ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল ও পলিটিক্যাল কারেক্টনেস" শিরোনামের আলাপটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সনে, এই আগস্ট মাসেই। অর্থাৎ ঠিক তিন বছর আগে। এই আলাপটির শ্রুতিলিখন করেছেন মিতা রহমান, মাহমুদা ফাতেমা, রাদিয়া আউয়াল তৃষা, রিফাত হাসান আদর, এস. এম. রিয়াদ, সাঈফ আহমেদ, সাদিয়া শান্তা, নূর মোর্শেদা ও ইলোরা সুলতানা। এবং সম্পাদনা করে দিয়েছেন কাজী রবিউল আলম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বখতিয়ার আহমেদ সহ প্রত্যেকের নিকট বোধিচিত্ত কৃতজ্ঞ। প্রিয় শিক্ষক রাশীদ মাহমুদকে তাঁর ৪৫তম জন্মদিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বোধিচিত্ত লিখিত রূপে প্রকাশ করছে তাঁর দেয়া "ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল ও পলিটিক্যাল কারেক্টনেস" বক্তৃতাটি।]




ধন্যবাদ সবাইকে আজকের আলাপে এসে উপস্থিত হওয়ার জন্য। আজকে পার্টিসিপেন্ট ক্রাউড কম্প্যারাটিভ্লি কম। এটার একটা কারণ সম্ভবতঃ শহীদুল আলম সহ যে ২২ জন শিক্ষার্থীকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এবং যাদের গণগ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তির দাবীতে আজকে ঢাকায় সমাবেশ, শাহবাগে। এবং ক্যাম্পাস থেকে অনেকেই..আমাদের বোধিচিত্তের একজন অলিউর সান, ওঁও ঢাকায় আছে। সেদিক থেকে বিবেচনা করে আজকে ক্রাউড কম্প্যারাটিভ্লি কম। আমরা মনে করি না যে, জ্ঞান চর্চা এবং রাস্তার আন্দোলন আলাদা কোন বিষয়। এটা বরঞ্চ একটা আরেকটার সাথে কমপ্লিমেন্ট করে।


আজকের আলাপের বিষয় ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল ও পলিটিক্যাল কারেক্টনেস। রাশীদ স্যার বলছিলেন যে কারেক্টনেসের বাংলা আসলে যথার্থতা হয় না। কয়েকটা হচ্ছিলো— একটা হতে পারে যে রাজনৈতিক শুদ্ধতাবাতিকগ্রস্ততা। হতে পারে, কিন্তু পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের যে নোশন সেটা কমিউনিকেট করার জন্যই ইংরেজিটা রেখে দেয়া হয়েছে। আজকে আলোচনা সম্ভবত আগাবে এরিক ফ্রম (Erich Fromm) যেভাবে ফ্রয়েডবাদ, সাইকোঅ্যানাল্যাইসিসের এবং মার্ক্সবাদের যে মিলন ঘটান অথবা যে সিন্থেসাইজ করেন সেটা একটা দিক হবে। আর ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের কালচার ইন্ড্রাস্ট্রির যে অন্যান্য অপরাপর বিষয়-আশয়, সেগুলো[ও] উঠে আসবে।

বোধিচিত্ত


https://www.youtube.com/watch?v=kMNzjor-7so&list=PLXNK5v3ZlfLcGyzuzlSrbvCqC8ASe92-S&index=9




ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল ও পলিটিক্যাল কারেক্টনেস

রাশীদ মাহমুদ



ধন্যবাদ সবাইকে। বোধিচিত্তকে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি এরকম একটি ফোরামে বলবার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। আমি সবার সাথে একটু পরিচয় করিয়ে দিতে চাই, আমার সাথে আরো একজন এসছেন। তাঁর নাম হচ্ছে ফাহমিদ আল জায়িদ। উনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক। এবং বিশেষ করে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল সহ ক্রিটিক্যাল ভাবনার যে জগৎ সে ব্যাপারে তাঁর বিশেষ আগ্রহ আছে, পড়াশুনা আছে এবং সে কারণেই সে আমার সাথে চলে এসছে। এবং আমার মনে হয় যে, আলাপ পর্বে এসে বেশ ভালো কন্ট্রিবিউট করতে পারবে। আমরা তাঁর কাছ থেকেও অনেক কিছু জানতে পারব।


তো, বোধিচিত্তকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। আসলে এর আগে আমার একবার আসার সুযোগ হয়েছিল যেখানে ফুকো এবং রাষ্ট্র ভাবনা, হিস্ট্রি অফ সেক্সুয়ালিটি নিয়ে আমি বলেছিলাম [দেখুন, এখানে ]। এবং তারপর তারা সেই রোজার সময় থেকেই আসলে আমাকে চেজ করছে। আমি নানানভাবে কেটে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেছিলাম, অস্বীকার করবো না। কিন্তু আসলে ওদের সাথে পেরে ওঠা গেলো না। তো, যাই হোক..

ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল নিয়ে বলতে এসে আমার প্রথম যেটা মনে হয়েছে যে, এর আগে যে ফুকো নিয়ে বলেছিলাম আসলে তখন যদি জানতাম যে পরবর্তীতে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল নিয়ে বলতে হবে, তাহলে আমার প্রস্তাবটা থাকতো যে তাহলে আগে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল নিয়ে বলি তারপরে ফুকো নিয়ে বলি। এটা খানিকটা ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেয়ার মতো হয়ে গেছে আরকি.. যে ফুকো নিয়ে বলার পরে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল নিয়ে বলছি। কারণ, গতকাল বা গত পরশুও ফাহমিদ আল জায়িদ আমাকে ফুকোর একটা সাক্ষাৎকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিল। যেখানে ফুকো বলছেন যে আমার লেখালেখি গুলোর আগে আমি যদি ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল পড়তাম তাহলে আমি অনেক কিছুই আর লিখতাম না। সে কারণেই আসলে আগে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল হলে ভালো লাগতো আরকি। যাই হোক.. এখনো খারাপ লাগার মতো খুব ব্যাপক কিছু ঘটেনি।