কোভিড-১৯ এবং পুঁজির সার্কিটসমূহ

রব ওয়ালেস, অ্যালেক্স লিবমান, রড্রিক ওয়ালেস ও লুইস ফার্নান্দো চ্যাভেস



[বিখ্যাত মান্থলি রিভিয়্যু পত্রিকার ২০২০ সনের মে সংখ্যায় রব ওয়ালেস, অ্যালেক্স লিবমান, রড্রিক ওয়ালেস ও লুইস ফার্নান্দো চ্যাভেসের যৌথভাবে লিখিত Covid-19 and Circuits of capital প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। লেখকদের মধ্যে রব ওয়ালেস একজন এপিডেমিওলজিস্ট; অ্যালেক্স লিবমান রুটজার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব ভূগোল নিয়ে পিএইচডি করছেন; ফার্নান্দো চ্যাভেস একজন ডিজিজ ইকোলজিস্ট এবং তিনি কোস্টারিকা পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা ও শিক্ষা ইনস্টিটিউটের গবেষক ছিলেন; এবং রড্রিক ওয়ালেস কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউইয়র্ক স্টেট সাইকিয়াট্রিক ইনস্টিটিউটের এপিডেমিওলজি বিভাগের গবেষণারত বিজ্ঞানী। মান্থলি রিভিয়্যুর ৭২ তম খণ্ডের ১ম সংখ্যায় প্রকাশিত এই লেখাটি অনুবাদ করেছেন সুজন চন্দ্র। সুজন চন্দ্র বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।]


হিসাবনিকাশ


২০০২ সালের পর থেকে করোনাভাইরাস SARS-COV-2 এর ফলে সংগঠিত দ্বিতীয় তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত রোগ হচ্ছে কোভিড-১৯, যা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বৈশ্বিক মহামারী। মার্চের শেষের দিক থেকে বড় বড় শহরগুলিকে থমকে দেয় এবং একের পর এক হাসপাতালগুলিকে অবরুদ্ধ অবস্থা তৈরি করে, দিনের পর দিন রোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে।


চীন প্রথম এটার প্রাদুর্ভাব কমিয়ে এনেছে এবং বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে। ইউরোপ—বিশেষত ইতালি, স্পেন এবং ক্রমবর্ধমানভাবে অন্যান্য দেশগুলিও প্রাদুর্ভাবের প্রথম থেকেই এত এত মৃত্যুভার নিতে পারছে না। লাতিন আমেরিকা এবং আফ্রিকায় মাত্র সংক্রমিত হতে শুরু করেছে… কিছু কিছু দেশ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী দেশ) অদূর ভবিষ্যৎ খুব দুর্বল দেখাচ্ছে। প্রাদুর্ভাব মে মাস অবধি শিখড়ে উঠেনি, ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাথমিক সুরক্ষা সরঞ্জাম কমিয়ে দেয়া নিয়ে আন্দোলন করে চলেছেন। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষাকেন্দ্রগুলি (Centers for Disease Control and Protection-CDC) নার্সদের খুব দুঃখজনকভাবে ব্যান্ডেজ ও স্কার্ফকে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে। নার্সেরা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন –“সিস্টেম নষ্ট হয়ে গেছে”।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ইতিমধ্যে চিকিৎসা সরঞ্জামের চাহিদায় পৃথক ‍পৃথক রাজ্যকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ তারা এগুলো প্রথমে কিনতেই অস্বীকার করেছিল। তারা সীমানা ক্রাকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে, অথচ ইতিমধ্যে ভাইরাস দেশের অভ্যন্তরে দুঃখজনকভাবে উন্মাদনার মত ছড়িয়ে পড়েছে।


ইম্পেরিয়াল কলেজের এপিডেমিওলজি (রোগবিস্তার-সংক্রান্ত বিদ্যা) টিম অনুমান করেছিল যে, প্রশমনের (mitigation) প্রচার-প্রচারণা বা ক্যাম্পেইন (শনাক্তকৃত রোগীর কোয়ারেন্টিন এবং বয়স্কদের সামাজিক দূরত্ব মেইনটেইন করালে প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব) এখনও যুক্তরাষ্ট্রকে ১.১ মিলিয়ন লোক নিহত এবং ক্রিটিক্যাল-কেয়ার-বেডের (critical care beds) তুলনায় প্রায় ৮ গুণ রোগী বেশি অবস্থায় রাখবে। রোগ দমনে এবং ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অবসান করতে জনস্বাস্থ্যকে আরও চীনা-স্টাইলে রোগীর (পরিবারের সদস্য’সহ) কোয়ারেন্টিন, কম্যুনিটি দূরত্ব বজায় রাখা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ করার দিকে নিয়ে যাবে। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমিত মৃত্যু ২ লাখের আশেপাশে নামিয়ে আনবে হয়ত।


ইম্পেরিয়াল কলেজের টিমটি অনুমান করে—কঠোরভাবে একটি সফল ক্যাম্পেইন কমপক্ষে আঠারো মাস ধরে চলতে হবে এবং তা অর্থনৈতিক সংকোচন সহ কম্যুনিটি পরিসেবাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কম্যুনিটি কোয়ারেন্টিন চালু-ও-বন্ধ করার (toggling) মাধ্যমে দলটি রোগের নিয়ন্ত্রণ এবং কম্যুনিটির অর্থনৈতিক চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলেছিল, কারণ ততদিনে ক্রিটিক্যাল-কেয়ার-বেডের সবই প্রায় ভরাট হয়ে গিয়েছিল।


অন্যান্য মডেল যারা দিয়েছেন তাঁদের ভিন্নমত রয়েছে। ’ব্লাক সোয়ান’ খ্যাত নাসিম তালেবের (Nassim Taleb) নেতৃত্বাধীন দল ঘোষণা করেছে যে, ইম্পেরিয়াল কলেজের মডেলটি যোগাযোগের নিশানা খুঁজে বের করা (contact tracing) ও ঘরে-ঘরে নজরদারির ব্যাপারটি অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁদের পাল্টাপ্রস্তাব মিস-করেছে যেটা তাহল এই প্রাদুর্ভাব অতীতের অনেক সরকারের Cordon Sanitaire (বেষ্টনী, যেখানে ঢোকা বা বের হওয়া নিষিদ্ধ) জড়িত করার ইচ্ছাকে ভেঙে দিয়েছে। এটা ততক্ষণ হবে না, যতক্ষণ না প্রাদুর্ভাবের কমতি শুরু হয়, তখন অন্য অনেক দেশ এজাতীয় পদক্ষেপগুলিকে (আশা করি কার্যকরী এবং নির্ভুল নিরীক্ষার মাধ্যমে) পরীক্ষা করে দেখবেন। এক হাস্যরসিক যেমনটা লিখেছিলঃ “করোনাভাইরাস বড্ড বেশি র‍্যাডিকাল। আমেরিকার দরকার আরও মডারেট একটা ভাইরাস, যা থেকে ক্রমবর্ধমানভাবে আমরা জবাব বা প্রত্যুত্তর পেতে পারি।


কোন পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি বিলুপ্তির দিকে যাবে তা নিয়ে গবেষণা করতে ইম্পেরিয়াল কলেজের অস্বীকৃতির বিষয় তালেব গোষ্ঠী নোট করেন। এই ধরনের বিনাশের মানে আক্রান্ত একেবারে শূন্য তা নয়, বরং যথেষ্ট সঙ্গনিরোধ একক ক্ষেত্রে সংক্রমণের নতুন চেইন তৈরির কোন সম্ভাবনা থাকেনা। চীনে একজন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে কেবল ৫ শতাংশই সংক্রমিত হয়েছিল। বাস্তবে তালেব গোষ্ঠী চীনের দমন-পীড়নের পক্ষপাতি এবং এভাবে রোগ দমন ও তার ফলে অর্থনীতিতে শ্রমের কমতি না হওয়া নিশ্চিত করার ইদুর-বিড়াল যে ম্যারাথন নাচন তার সমাধান না করেই তিনি প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চলে গেছেন। অর্থাৎ, চীনের কঠোর (এবং নিবিড় সংস্থান) পদ্ধতি লোকজনকে কয়েক-মাসের দীর্ঘ (কিম্বা এমনকি বহুবছরের-দীর্ঘ) ধারাবাহিকতা থেকে মুক্তি দেয়। ইম্পেরিয়াল কলেজের দলটি অন্যদেরও এই পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দেয়।


গাণিতিক-মহামারীবিদ রড্রিক ওয়ালেস (আমাদের দলেরই একজন) পুরোপুরি এই মডেলিং টেবিলকে উল্টে দেন। কখন এবং কোথা থেকে শুরু করতে হবে তা জরুরী-অবস্থার মডেল নির্মাণ (যদিও তা প্রয়োজনীয়) মিস করে ফেলে। অবকাঠামোগত কারণগুলোও জরুরী অবস্থা তৈরিতে অনেক ভূমিকা পালন করে। সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা, অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার (যা লোকসানই ডেকে আনবে) বাইরে কীভাবে আমরা সবচে ভালো প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারি সেই ব্যাপারটা খুঁজে বের করতে আমাদের সাহায্য করবে। ওয়ালেস লিখেছেন, “যদি দমকল বাহিনীকে (ফায়ার সার্ভিস) পর্যাপ্ত রিসোর্স বা সংস্থান দেওয়া হয়,...”


সাধারণ পরিস্থিতিতে—বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সর্বনিম্ন হতাহত ও সম্পত্তি ধ্বংসেই আটকে দেয়া যেতে পারে। যাইহোক, এই আটকে দেবার ব্যবস্থা ক্রিটিক্যালি নির্ভর করে তুলনামূকভাবে কম রোমান্টিকদের উপর। তবে এটা কোন বীরত্বপূর্ণ উদ্যোগ নয়। এটা অবিচ্ছিন্ন, চলমান ও নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা যা নিয়মাবলীর উন্নতি ও প্রয়োগের মাধ্যমে (code development and enforcement) বিপত্তিগুলোকে কেবলই সীমাবদ্ধ করে। এটা অগ্নিনির্বাপক, স্যানিটেশন ও আবাসন রক্ষার সংস্থান দরকার অনুসারে সকলের নিকট সরবরাহ নিশ্চিত করে...

এই মহামারী সংক্রমণকালে এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা বহুজাতিক কৃষি কর্পোরেশনের মুনাফাকে প্রাইভেটাইজ বা বেসরকারীকরণ করার সুয়োগ করে দেয়, যখন কিনা মূর্তকরণ ও সামাজিকীকরণ মূল্য চুকাচ্ছে। কিন্তু অবশ্যই এটা [মূল্য চুকানো/ব্যয়] হতে হবে আইন বলবৎ (“code enforcement”, যা এসব ব্যয়কে আবার অন্তর্ভুক্ত করে যাতে নিকট ভবিষ্যতে এই ধরনের খতরনাক মহামারী এড়ানো যায়) করেই।


প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেয়া ও মোকাবিলা করার ব্যর্থতা শুধু ডিসেম্বরেই (যখন সারা বিশ্বের দেশগুলি উহানের বাহিরে ছড়িয়ে পড়াতে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হয়েছে) শুরু হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে— উদাহরণস্বরূপ এটা শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় মহামারী সুরক্ষা দল ভেঙে দেয়ার পর শুরু হয়নি কিংবা সাত’শ সিডিসি (CDC) পদ শূন্য রাখা দিয়েও শুরু হয়নি। এমনকি ২০১৭ সালের সেই অপ্রত্যাশিত মহামারীতে দেশটির অপ্রস্তুত অবস্থা, সেখানেও শুরু হয়নি।১০ রয়টার্সের শিরোনামে যেমনটা বলা হয়েছে—“ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কয়েকমাস আগে চীনে সিডিসি (CDC) বিশেষজ্ঞদের ছাটাই” দিয়েও শুরু হয়নি (যদিও চীনের এই জায়গায় মার্কিনিদের আগের কোন প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ না থাকার দরুণ এই মহামারীর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রেকে দুর্বল করেছিল খানিকটা)। অথবা ইতিমধ্যে উপলব্ধ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কতৃক সরবরাহকৃত টেষ্ট কীট ব্যবহারে অস্বীকৃতি দেয়াতেও শুরু হয়নি। একইসাথে, প্রাথমিক তথ্যগুলোর অভাব এবং টেষ্টিং মিস নিঃসন্দেহে সম্ভবত হাজার হাজার মানুষের জীবন হারিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী।১১


জনস্বাস্থ্যকে যুগপৎ উপেক্ষিত ও বাণিজ্যিক (monetized) করা হয়েছিল; এবং এইরূপে ব্যর্থতাগুলি প্রকৃতপক্ষে কয়েকদশক আগে থেকেই ছকবদ্ধ বা প্রোগ্রাম করা হয়েছিল।১২ ব্যক্তিবাদের দ্বারা আক্রান্ত একটি দেশ সংজ্ঞানুসারেই চীনা ধরনে [মহামারী] আটকানোর পথ অনুসরণ করতে প্রয়োজনীয় রিসোর্সের ব্যবস্থা (যথাসময়ে সাড়া দিতে সক্ষম রোগবিস্তার-সংক্রান্ত-বিদ্যা [epidemiology]—বলাবাহুল্য— সাধারণ অপারেশনের জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও হাসপাতালের বেড) করতে অসমর্থ।


মডেল স্ট্রাটেজিগুলো নিয়ে তালেব দলের বক্তব্য অনুসরণ করে রোগ-বাস্তুবিদ (Disease Ecologist) লুইস ফার্নোন্দো চ্যাভেস (যিনি এই নিবন্ধের সহ-লেখক) দ্বান্দ্বিক জীববিজ্ঞানী রিচার্ড লেভিন্স ও রিচার্ড লিউন্টিনকে দোহাই মেনে বলেন— “কেবল ঘটনাকে কথা বলতে দেয়া” সমস্ত অনুমানকে নস্যাৎ করে দেয়।১৩ ইম্পেরিয়াল টিমটির মতো মডেলগুলো অধিপতি সামাজিক বিন্যাসের মাঝে সরুভাবে তৈরি প্রশ্নগুলোকে স্পষ্টভাবে বিশ্লেষণের সুযোগকে বাহ্যতই সীমিত করে। এইভাবে, বিস্তৃত বাজারের প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর শক্তি এবং হস্তক্ষেপের অন্তরালের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোকে ধরতে তারা ভুলে যায়।


সচেতনভাবে হোক বা না হোক—(অনুমানে বোঝা যায় যে, সবার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা তাদের আগ্রহের দ্বিতীয় সারিতে ছিল) সবচে নাজুক [স্বাস্থ্যের] মানুষগুলোর মধ্যে শ’য়ে শ’য়ে মারা যাবে যা কিনা একটা রাষ্ট্রকে রোগ নিয়ন্ত্রণ আর অর্থনীতির দোলাচালে ঠেলে দিবে। ফুকোডিয়ান দৃষ্টিতে—একটি রাষ্ট্রের (তার নিজের স্বার্থেই) জনগণ নিয়ে কাজ করা মানে শুধুমাত্র বোঝায় হার্ড ইমিউনিটির (যেটা ব্রিটেনের টরি সরকার এবং এখন নেদারল্যান্ডস প্রস্তাব করেছেন—জনগণের মাঝেই ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে বাঁচানো) জন্য ম্যালথাসিয়ান পুশ বা ঠেলে দেবার একটা হালনাগাদ সংস্করণ।১৪ মতাদর্শিক আশাবাদের বাহিরে এরকম খুব কম প্রমাণই মিলেছে যে, হার্ড ইমিউনিটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বন্ধের নিশ্চয়তা দিবে। জনগণের ইমিউন [সিস্টেমের] কম্বলের নিচ থেকে ভাইরাসটি আরও সহজে বিকশিত হতে পারে।