মরিস ব্লাঁশো প্রসঙ্গে এমানুয়েল লেভিনাস



আমি যতদিন স্ট্রসবার্গে ছিলাম তার প্রায় পুরোটা সময় ব্লাঁশোর সাথেই ছিলাম। ও হয়তো আমার দু তিন বছর পরে জন্ম নিয়েছে। আমি আপনার কাছে ওকে ব্যাখ্যা করতে পারবোনা।


ও তো ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত ছিল। ওর চিন্তা পুরোদস্তুর অভিজাত ঘরানার ছিল। রাজনৈতিক অবস্থানের কথা বিবেচনা করলে ঐ সময়ে আমরা ছিলাম দুই মেরুতে। আমি জানিনা এটা বলার প্রয়োজন আছে কিনা। ও ডান দিকেই হেলে ছিল। কিন্তু আমরা খুব দ্রুতই একে অন্যকে বুঝতে পেরেছি। ও মাঝে মধ্যে ওর বইয়ে আমার কথা উল্লেখ করেছে। ওর কাজ আমাকে ওপরে টেনে তোলে। আমি বলতে চাচ্ছি যে ওর ইন্টারভেনশগুলি আমাকি উন্নীত করে । অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের চিন্তা এক বিন্দুতে মিলে যায়। কিন্তু ও নিজে একটা পুরোদস্তুর নিজস্ব বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। ও কোনদিন সুবিধাবাদীর মত কিছু করেনি। নৈতিকতার বিচারে ওঁ একজন সুবিধাবাদহীন মানুষই বটে।


https://www.youtube.com/embed/jiXPmq5LRfM


ও দর্শন-সাহিত্যের আঙ্গিনায় হাটাহাটি করেছে। হেটেছে প্রাউস্ট ও ভ্যালেরিকে নিয়ে। আমরা পরাবাস্তববাদ নিয়ে খুব বেশি কথা বলিনি। কিন্তু প্রাউস্ট ও ভ্যালেরিকে নিয়ে কথা হয়েছে। ফেনোমেনোলজির বিষয়বস্তু নিয়ে ও খুব অল্প বয়স থেকেই আগ্রহী ছিল। এটা আমাকে খুবই বিমূর্ত উপায়ে আবিষ্ট করেছে। ক্ষণিকের আচমকা ঝলকগুলি নিয়ে ও ব্যতিব্যস্ত ছিল। আমাদের ঐরকম অর্থে কোন মজার স্মৃতি আমার মনে নেই। তার মানে হচ্ছে, সবসময়েই এই সকল ভাবনার মধ্যে, এই সকল উন্নত জায়গায় আমি ওকে দেখেছি বলে অনুভব করি।

______________


প্রথম প্রকাশঃ ২৩শে অক্টোবর, ২০১৯

সর্বশেষ সংশোধনঃ ২৩শে অক্টোবর, ২০১৯

লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/notes/357791878781115/