নীটশে প্রসঙ্গে

মিশেল ফুকোর সাক্ষাৎকার

অনেকেই জেনে থাকবেন মিশেল ফুকো এবং জিল দেল্যুজ মিলে ফ্রান্সে নীটশের সকল কাজগুলোর প্রকাশনার দায়িত্ব নেন। ১৯৬৭ সালের ২৪শে মে, ফ্রান্সের পত্রিকা “Le Monde”-এর সংস্কৃতি পাতার সম্পাদক জ্যাকুলিন পিয়াতির (Jacqueline Piatier)-এর নেয়া ফুকোর এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ফিলিপ কেনদার (Philipp Kender) এবং 'ফুকো স্টাডিজ' নামের জার্নালের ২৬তম সংখ্যায় (জুন, ২০১৯) প্রকাশিত হয়েছে। ফুকোর এই সাক্ষাৎকারটি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন আবদুল্লাহ আল মামুন। আবদুল্লাহ আল মামুন পেশায় শিক্ষক, ঢাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ান।

নীটশের রচনাবলী ফরাসীতে পুনঃপ্রকাশের প্রয়োজন অনুভব করছেন আপনারা কতদিন হতে চলল?


আসলে, বর্তমানে নীটশের যে কাজটা প্রশ্নের সম্মুখীন তা হল ক্ষমতার এষণা (ইংরেজিঃ The will to Power, জার্মানঃ der Wille zur Macht)। নীটশে বেঁচে থাকতেই অবশ্য এটা প্রকাশিত হয়েছিল; কিন্তু ততদিনে তিনি [রোগে] মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাঁর বোন মিসেস ফস্টার (Mrs. Förster) একগাদা নোট প্রকাশের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন। বলে রাখা ভালো, এই নোটগুলো ভবিষ্যতে গ্রন্থ (যার ব্যাপারে তিনি বেশ গুরুত্বও আরোপ করেছিলেন) হিসেবে প্রকাশের জন্যে তুলে রেখেছিলেন নীটশে। এবং ঐ নোটের সমষ্টিকেই কিন্তু পাঠক আজ The Will to Power নামক বই হিসেবে চিনে। ফস্টার এটাও দাবী করেছেন, এটির রূপরেখা আগেই নীটশে ঠিক করে রেখেছিলেন। মনে হয়না মহিলা এই বইয়ে নিজের মনগড়া কিছু ঢুকিয়ে দিয়েছেন, তবে ঘাপলার জায়গা হলঃ

১। তিনি এতে এমন কাঁচি চালিয়েছেন যে অর্থের পরিবর্তন চলে এসেছে।

২। এই বিচ্ছিন্ন এবং অপ্রকাশিত (নোট) বাছাই করতে গিয়ে, প্রয়োজনীয় কিছু [বিষয়] তিনি বাদ দিয়েছেন।

৩। তিনি নিজ দায়িত্বে নোটের ক্রম সাজিয়েছেন, কিন্তু দাবী করেছেন নীটশে এভাবেই সাজাতো। এ কারণে প্যাসকেলের পঁসে (pensee) বা ভাবনা’র প্রকাশনায় যে ঝামেলা তৈরি হয়েছিল, আমরাও একই ঝামেলায় পড়েছিলাম। বলার তো আর অপেক্ষা রাখেনা, ১৮৮৯ সালের আগে নিশ্চয় নীটশে এই বইয়ের ডিজাইন বা কিসের পর কি আসবে তা চিন্তা করেননি। তাঁর বোন এমনই এক রূপরেখা এনে দেখাচ্ছেন যা হয়তো নীটশে খসড়া হিসেবে করেছিলেন। কিন্তু নীটশে তো এমন বেশ কিছু খসড়া করেছিলেন যা প্রমাণ করে নীটশে বেঁচে থাকলে তাঁর বোন যে রূপরেখা হাজির করেছেন তাতে হয়তো তিনি না’ও করে দিতে পারতেন।


পাণ্ডুলিপিতে প্রত্যাবর্তন

ব্যাপার হল, নাজিরা যেভাবে নীটশের কাজকে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে তা দেখে মনে হয় তাঁর বোন তাঁর কাজকর্মকে বেশ সুকৌশলেই বিকৃত (distorted) করেছে। এ কারণেই মূল পাণ্ডুলিপি ঘেটে দেখাই উত্তম মনে হচ্ছিল— শুধু উত্তম বললে ভুল বলা হবে, জরুরত হয়ে পড়েছিল।


The Will to Power-এ মিসেস ফস্টার যে মুখবন্ধ লিখেছিলেন তা দেখেই কি এমন জরুরত বোধ করেছিলেন?

নীটশের বোনের বিয়ে হয়েছিল এমন এক মানুষের সাথে যিনি ছিলেন জার্মানীতে অ্যান্টি-সেমেটিক আন্দোলনের (anti-semetic movement) প্রথম দিককার দিশারী। নীটশে তাঁর চিঠিপত্রে অসংখ্যবার ঐ লোকের সাথে বাদানুবাদে জড়িয়েছেন, ভিন্নমত জানিয়েছেন। কিন্তু নীটশের প্রকাশিত কাজে ঐ সকল দ্বিমতের কোন আলামত নেই। মনে রাখবেন, যেহেতু এই সময় থেকে নীটশের কাজগুলোর কোন ক্রমানুসারী তালিকা নেই, আমরাও জানিনা শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়াবে! কার্ল শ্লেক্টা (karl Schlecta) যুদ্ধের পর এই কাগজপত্র আবার পড়তে শুরু করেন অর্থাৎ রিভিয়্যু করা শুরু করেন। কিন্তু তিনি পুরোপুরি বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হননি।


তাহলে The Will to Power বইয়ের এই সংস্করণে নতুন কি থাকছে?

বলতে পারেন, এই ভুয়া কাজটা নস্যাৎ হবে। পাণ্ডুলিপিটা তার আদিরূপ ফিরে পাবে। আদিরূপ বলতে আমি সেই রূপ বোঝাচ্ছি ঠিক যেমনটি নীটশে আমাদের জন্যে রেখে গেছেন। দুই ভল্যুমের এই সংস্করণে মরণোত্তর কিছু খণ্ডাংশ (fragments) রাখা হবে।


নীটশের অন্যান্য কাজগুলো কি অপরিবর্তিত থাকবে?

সকল কাজের সামঞ্জস্য রাখার জন্যে ক্লদ গালিমার্দ (Claude Galimard) অল্পকিছু সংখ্যক বিশেষজ্ঞের অনুবাদ নিচ্ছেন। পিয়ের ক্লসৌস্কি, যিনি আজ The Gay Science (জার্মানঃ Die fröhliche Wissenschaft) এবং এই বই লেখার সময় নীটশের যে সকল কাজ অপ্রকাশিত ছিল [সেগুলো] প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। তিনি নীটশের পরের দিকের কাজগুলো অনুবাদ করবেন, রভিনি Human, All too Human (জার্মানঃ Menschliches, Allzumenschliches: Ein Buch für freie Geister)জরাথ্রুস্ট বললেন (জার্মানঃ Also sprach Zarathustra: Ein Buch für Alle und Keinen) এবং এ সংক্রান্ত অপ্রকাশিত লেখা অনুবাদের দায়িত্বে থাকবেন। এম. দ্যো গান্দিলাক (M. de Gandillac) দায়িত্বে নেবেন নীটশের শুরুর দিকের কাজগুলোর। আপনারা জানেন, শুরুর দিককার ঐ সকল কাজগুলো কমবেশী অবহেলাও করা হয়েছে আবার ভুলও বোঝা হয়েছে। ছয়-সাত জনের ছোট এক অনুবাদক দল নিয়ে কাজটা আগানো হবে, যদিও কাজের পরিমাণ নেহাত কম নয়।


আপনি যে অপ্রকাশিত কাজগুলো[র কথা] বলছেন সেগুলো থেকে আমরা কি আশা করতে পারি? ঐসব পড়ে নীটশের ব্যাপারে আমাদের যে ধারণা তা কি পরিবর্তিত হতে পারে?

কিছু ব্যাপার’তো অবশ্যই পরিষ্কার হয়ে যাবে, খাস করে ঐ ব্যাপারগুলো যার কারণে নীটশে আগ্রহ নিয়ে সমসাময়িক দর্শনের দিকে ঝুঁকেছেন।


১। তাঁর প্রথম দিককার লেখাতো সব মিলিয়ে গ্রীক দর্শন দ্বারা প্রভাবিত ছিল। ভাষার ব্যাপারটা আমলে নিয়েই তিনি দর্শনের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। যাহোক, অষ্টাদশ শতকে, এমনকি দেকার্তের পর থেকে, পশ্চিমা দর্শন বিজ্ঞানের দিকে— বিশেষ করে পদার্থবিদ্যা আর গণিতের দিকে ঝুঁকে ছিল। তবে স্পিনোজা ব্যতিক্রম; কেননা তিনিও দর্শনে প্রবেশ করেন হিব্রু-ভাষাবিদ্যা এবং বাইবেলের তাফসীরের মারফত। দার্শনিকদের মাঝের অধিকাংশ গ্রীক এবং হিব্রু [পরম্পরা] লিখিত ভাষার ব্যাপারে আগ্রহে কাছাকাছি ধরনের। শুধু তা-ই নয়, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আধুনিক দর্শন এবং এটার ভাষা-প্রশ্নে বোঝাপড়ার যে গবেষণা তাতেই নীটশে প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে।


তাহলে এটা কি বলা যায়, সমসাময়িক দর্শন যে ভাষার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করছে তা নীটশেরই প্রভাব?

একেবারেই তা নয়। এটা বরং আপনি কাকতালীয় বলতে পারেন। সমসাময়িক এই চিন্তাপদ্ধতির ভিত্তিমূল হিসেবে আছে গণিতবিদ ও যুক্তিবিদ বার্ট্রান্ড রাসেলের অনুসন্ধান, জার্মানীর হুসার্লের কাজ, অচেতনের ডিসকোর্সে ফ্রয়েডের ঝোঁক এবং সস্যুরীয় ভাষাবিজ্ঞান। এখন আমরা আবিষ্কার করলাম নীটশেও ভাষার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবং একজন দক্ষ ভাষাতত্ত্ববিদ বা ফিলোলজিস্ট হিসেবে তিনি ভাষাকে ধরাবাঁধা কঠিন নিয়মের মারফত শুধু যা-লেখা আছে তার বরাবর অর্থ বের করার চেষ্টা করেছেন তেমনটা নয়; বরং একজন সু-কৌশলী ব্যাখ্যাকার (exegete) হিসেবে তিনি ভাষার লুকানো অর্থ বের করার ব্যাপারে সচেষ্ট ছিলেন। এটা তিনি করেছেন আমাদের অস্তিত্বকে প্রশ্ন করার জন্যে, এবং জগতের অস্তিত্বের ধরনকে— যা কার্যত নির্ভর করে আমরা কি বলি তার পর— প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে, এবং তিনি এটাও খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন যে-সকল কিছু বলা হচ্ছে তা আসলে কে বলছে [pour savoir qui parle]।


২। নীটশের কিছু অপ্রকাশিত কাজ ছিল যা একটা নির্দিষ্ট সময়ে, একসাথেই করা হয়েছিল। পরে তা অবশ্য ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। পূর্বের ঐ কাজের আলোকে চিন্তা করলে তার শেষ দিকের লেখাগুলো অন্য মাত্রা পায়। একজন লেখক ধারাবাহিকভাবে ডিসকোর্স রচনা করার সময় যে খসড়া করে থাকে, ঐ খসড়ার সাথে মূল লেখার কম বেশি পার্থক্য হয়। রচনার ধরন যদি হয় সারগর্ভ-সমৃদ্ধ (যাকে ইংরেজিতে বলে এফোরিস্টিক) তবে ঐ পরিত্যাক্ত খসড়া লেখা থেকেই আরেকটা রচনা উঠে আসতে পারে। মূল এবং খসড়া দুটোই যখন (সময়ের ব্যবধানে) ছাপা হয়, তাদের যে শেকড় একই তা প্রায়শঃ ধরা পড়েনা। অন্যদিকে, সব লেখা যখন একসাথে প্রকাশিত হয়, তাদের অ্যাফোরিজমের যে কুহেলিকার আবরণ তা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। লেখক তার যে লেখাগুলো ছাপাখানায় পাঠায় তার ছায়ায় অন্যান্য আরো রচনা লুকানো থাকে -- অন্যান্য বলতে এখানে অন্যান্যই (others); আপাত দৃষ্টিতে তা যতই এক মনে হোক না কেন। এভাবেই, প্রকাশিত লেখা এবং তার ছায়ায় লুকিয়ে থাকা অপ্রকাশিত লেখা মিলে এক বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পরিণত হয়। যাইহোক, এই প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত লেখার মাঝে এক ধরনের সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে -- হতে পারে তা রহস্যময় পুনরাবৃত্তির, হতে পারে তা বিরোধের, বিয়োজনের এবং পরিবর্তনের। এভাবে ব্যাকরণ এবং নিয়মনীতির যোগসাজশের বাইরে ঘটনার মেঘের আড়ালে ডিসকোর্স হাজির করা হয়। ফলে যে চিন্তা নাজিল হয়, যে বক্তব্য নিজেকে নিজে হাজির করে, যে ডিসকোর্সের অগ্ন্যুৎপাত হয় তা সমস্যাই বৈকি যার খপ্পরে পড়েছিল নীটশে এবং তার সমসাময়িক মালার্মে। এই সমস্যায় আজও আমরা ঘুরপাক খাচ্ছি।


তাহলে এসব জ্ঞানগর্ভ-সংক্ষিপ্ত-বাণী বা অ্যাফোরিস্টিক ধাঁচ অনুসরণ করে কি আমরা নীটশের কাজের “তত্ত্বীয়” মূলে পৌঁছাতে পারব?

নীটশের তত্ত্বের মূলে আছে হওয়া (becoming) এবং নিরন্তর প্রত্যাবর্তন বা ফিরে আসার (eternal recurrence) সমস্যা। কিংবা অন্যভাবে বললে, অপর (the other) এবং একই (the same)-এর সমস্যা। যা অপর তা অবশ্যই হওয়া বা বিকামিং (becoming)— একটি বিস্ফোরণ। ডায়ানোসিয় (Dionosyian) পদ্ধতিতে সময়কে এফোঁড়-ওফোঁড় করে ফেলা, যাকে আপনি চিন্তার বিস্ফোরণও বলতে পারেন। কিন্তু নীটশে মনে করে, যা আসলে বিকামিং অবস্থায় আছে তা সবসময় একই। যা অপর তা [আদতে] একই। বলতে পারেন, এ এক নিরন্তর প্রত্যাবর্তন বা একইয়ের নিরন্তর ফিরে আসা। এ কারণে জ্ঞানগর্ভ-সংক্ষিপ্ত-বাক্য বা অ্যাফোরিজম আর তাকে ঘিরে থাকা [অদৃশ্য ও অনুক্ত] টেক্সটসমূহ সম্পর্কের দিক থেকে ভিন্নতার দাবীদার হলেও, আসলে একই। নীটশের বয়ানের একেবারে মূল সমস্যাটা এখানে আবার হাজির হবে।


তাহলে বিকামিং আর নিরন্তর প্রত্যাবর্তন কি একই চিন্তার দুই অক্ষ?

হ্যাঁ। বিকামিং-এর ব্যাপারটা তাঁর The Birth of Tragedy’র মতো শুরুর দিকের রচনাতে পাওয়া যায়। আর নিরন্তর প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারটা পাওয়া যায় The Gay Science আর জরাথ্রুস্ট বললেন গ্রন্থে। গোড়ার দিকে নীটশের বিকামিং সত্যিই এক মর্মান্তিক অভিজ্ঞতাঃ কেননা বিকামিং-এ ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র্য হারায়, যেমনটি ব্যাক্তিস্বাতন্ত্র্যের লোপ হয় ইচ্ছা বা এষণা (will)-তে।


ডিসকোর্স ও ইতিহাস


৩। পরিশেষে, নীটশের শেষদিকের অপ্রকাশিত কাজগুলোর অবদান বোঝা গেলো। নীটশে ভাবতেন, যে বই লেখার প্রস্তুতি তিনি নিচ্ছিলেন তা বিশ্বকে সমূলে কাঁপিয়ে দেবে। আমরা দেখি, দর্শনের ব্যাপারে নীটশের মতিগতি হলো, এটা অনুমানও নয় আবার অনুশীলনের তত্ত্বও নয়। ভাষা এবং ডিসকোর্সে দুনিয়া বোঝা যায়না, বরং এইসব এই পৃথিবীরই অংশ। অন্যদিকে কিন্তু, আবার ভাষা এবং ডিসকোর্সে যা বলা হয় তা’ই পৃথিবীর শিরদাঁড়া। এ কারণেই নীটশে মনে করতেন তাঁর শেষ যে কাজ তা দর্শনের বয়ান বা ডিসকোর্সকে কাঁপিয়ে দেবে, এবং ঐ পথ ধরে পৃথিবীকেও বদলে দেবে।


তাহলে কি আমরা বলতে পারি, নীটশের মনে যা ছিল তার ধারণা পেয়ে গেছি?

আসলে, তিনি এর ব্যাপারে কিছুই বলেননি— অন্ততপক্ষে The will to Power [শক্তির এষণা]-এ যেসব রচনা সন্নিবেশিত হয়েছে তাতে নয়। অপ্রকাশিত কাজগুলো কি আরও বিশদ, আরও স্পষ্ট? আমার সন্দেহ আছে। তিনি যদিও কি দিয়ে এই চরম পরিবর্তন [সম্ভব হবে তা] না জেনেই মনে হয় দূর থেকে তা অনুধাবন করেছিলেন। নীটশে সেই সন্দেহাতীত সত্তাকে অতিমানব (জার্মানঃ ubermensch, superman) নামে আখ্যায়িত করেছেন, যা মানুষকে সাময়িক এনলাইটেনমেন্ট বা চেরাগায়নের ধারণা থেকে সরিয়ে দেবে।

______________

২৪শে মে, ১৯৬৭


প্রকাশঃ১১ই পৌষ, ১৪২৮:::২৬শে ডিসেম্বর, ২০২১