শ্বাস নেয়ার চিরন্তন অধিকার

আশিল এমবেম্বে


[আশিল এমবেম্বে(Achille Mbembe) ক্যামেরুনীয় দার্শনিক। জৈব-রাজনীতি বা বায়োপলিটিক্স প্যারাডাইমের সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে এবং ‘নেক্রোপলিটিক্স’ বা মারণ-রাজনীতি’র ধারণা হাজির করে এই চিন্তাকে এগিয়ে নিয়ে দার্শনিক মহলে নিজের জায়গা পোক্ত করেছেন। উত্তর-উপনিবেশিক তত্ত্বেও গুরুত্ত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর Brutalisme বইটি চলতি বছরেই প্রকাশিত হয়েছে, ফরাসি ভাষায়। শব্দটির উচ্চারণ ‘ব্রুটালিসম’ যা ইংরেজিতে brutalism হিসেবে ধরে নিতে হবে। তিনি ডাকারের Felwine Sarr of Atelier's la Perse’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা। AOC [Analyse Opinion Critique] ওয়েবসাইটে, গত ০৭ ই এপ্রিল এমবেম্বের করোনাভাইরাস মহামারী প্রসঙ্গে ফরাসি ভাষায় একটি লেখা প্রকাশিত হয়, Le droit universel à la respiration শিরোনামে। Critical Inquiry ওয়েবসাইটের ব্লগে, গত ১৩ই এপ্রিলে এমবেম্বের এই লেখাটির ইংরেজি অনুবাদ The Universal Right to Breathe শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেছেন ক্যারোলিন শ্রেড। আশিল এমবেম্বের এই লেখাটি বাংলা ভাষায় ভাবানুবাদ করেছেন আবদুল্লাহ আল মামুন; লেখাটির ফরাসি সংস্করণ ও ইংরেজি অনুবাদ দুটিকেই যৌথভাবে এ কাজে ব্যবহার করেছেন। আবদুল্লাহ আল মামুন পেশায় শিক্ষক, ঢাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ান।]



ইংরেজি অনুবাদকের ভূমিকা


কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কি কিছু অনুবাদ সম্ভব? আমরা জানি, অতীত যেমন দূর-দিগন্তে হারায়, এই ভাইরাসও তেমনই সীমানা ছাড়িয়ে সহজে মিশে যায়। এটি সংক্রামক, এটি বহুরূপী। এই সামাজিক দূরত্বায়নের দুঃশাসনের করতলে, দূরে সরে যেতে যেতে কিভাবেই বা মানুষের কাছে আসা সম্ভব? কিভাবেই বা অনুবাদে মন দেই? অনুবাদের চাইতে এত ঘনিষ্ট পঠন কিন্তু আর কোথাও নেই— রচনার অদৃশ্য সেতুতে এ এক আজব শারীরিক নৈকট্য, যাতে লেখকের হৃৎপিণ্ডের সুর শোনা যায়, হৃদয়ের ধ্বনি শোনা যায়, রক্তের চলাচল অনুভব করা যায়। লেখক আর অনুবাদকের সত্তা এমন এক বিন্দুতে মিশে যায়, বোঝা মুশকিল হয়ে পড়ে কোনটা কার নিঃশ্বাস।


খোলাখুলি বলছি, এ রচনা আমায় বাঁচিয়ে রেখেছিল। ধন্যবাদ আশিলে এমবেম্বে। এ যেন হঠাৎ খোলা হাওয়ায় শ্বাস নেয়ার অনুভূতি। হ্যাঙ্ক স্কচকেও ধন্যবাদ। আর বোদ্ধা পাঠকদেরতো ধন্যবাদ দিতেই হবে। এই লেখা আশা করি পরিস্থিতির ভার কিছুটা লাঘব করবে, কেননা আজ একসাথে শ্বাস নেয়া বড় জরুরী। স্বীকার করতেই হবে, আলাদাভাবে শ্বাস নেয়া মানে বেঁচে থাকার কোন মানে নেই।

—ক্যারোলিন শ্রেড