নয়া প্রতিফলন

জর্জিও আগামবেন



[করোনাভাইরাস মহামারী প্রসঙ্গে গত ২২শে এপ্রিলে ইতালীয় এক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে জর্জিও আগামবেনের সাক্ষাৎকার। প্রসঙ্গত এটি তাঁর তৃতীয় সাক্ষাৎকার। প্রকাশিত বৃহৎ সাক্ষাৎকারের সংক্ষেপিত রূপ Nuove riflessioni (নয়া প্রতিফলন, New Reflections) শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে যথারীতি Quodlibet ওয়েব পোর্টালে। সাক্ষাৎকারটির কোন ‘অফিসিয়াল’ ইংরেজি অনুবাদ এখনও প্রকাশিত হয়নি। তবে একটি ‘আন-অফিসিয়াল’ ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে এপ্রিলের ২৩ তারিখে। অ্যালান ডীনকৃত (Alan Dean) ‘আন-অফিসিয়াল’ ইংরেজি অনুবাদ থেকে আগামবেনের এই সাক্ষাৎকার বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন কাব্য কৃত্তিকা। কাব্য কৃত্তিকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য মাস্টার্স শেষ করেছেন।]‌



বর্তমানের এই জোরপূর্বক বন্দীদশার মধ্য দিয়ে আমরা কি একটা নতুন সর্বাত্মকবাদের (totalitarianism) অভিজ্ঞতা লাভ করছি? ‌


অনেক মহলেই ইদানীংকালে এই হাইপোথিসিস দেখা দিতে শুরু হয়েছে যে আমরা বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক অধিকার, সংসদ এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের উপর দাড়িয়ে থাকা যে পৃথিবী তার সমাপ্তিলগ্নের মুখোমুখি হচ্ছি। এটা একটা নতুন অত্যাচারী শাসনের পথ দেখাচ্ছে—যেমন ধরা যাক, নিয়ন্ত্রণের ব্যাপ্তি এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিভক্তি—যেটা আমাদের চিরচেনা সর্বাত্মকবাদ থেকে আরও বাজে হবে। আমেরিকার রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এটাকে নিরাপত্তাবাদী রাষ্ট্রঅনেক মহলেই ইদানীংকালে এই হাইপোথিসিস দেখা দিতে শুরু হয়েছে যে আমরা বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক অধিকার, সংসদ এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের উপর দাড়িয়ে থাকা যে পৃথিবী তার সমাপ্তিলগ্নের মুখোমুখি হচ্ছি। এটা একটা নতুন অত্যাচারী শাসনের পথ দেখাচ্ছে—যেমন ধরা যাক, নিয়ন্ত্রণের ব্যাপ্তি এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিভক্তি—যেটা আমাদের চিরচেনা সর্বাত্মকবাদ থেকে আরও বাজে হবে। আমেরিকার রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এটাকে নিরাপত্তাবাদী রাষ্ট্র (Security stateSecurity state) বলেন। এটা একটা এমন অবস্থা যেখানে “নিরাপত্তার কারণে” (বর্তমান অবস্থার ক্ষেত্রে, “জনস্বাস্থ্য”র দোহাই দেয়া হচ্ছে, এই প্রত্যয়টি ত্রাসের সময়ে জনস্বাস্থ্যের কুখ্যাত কমিটিসমূহকে নির্দেশ করে) ব্যাক্তির স্বাধীনতায় যেকোন সীমারেখা চাপিয়ে দেয়া যায়। সর্বোপরি, ইতালিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাহী আদেশে জরুরী অবস্থার ফরমান জারী’তে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। ফলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের যে ভিত্তির উপর গণতন্ত্র দাঁড়িয়ে থাকে তার নীতিসমূহকে এটা নিশ্চিহ্ন করে ফেলে। ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে এবং এখন প্রস্তাবিত মুঠোফোনের মাধ্যমে যেই নিয়ন্ত্রণের চর্চা করা হচ্ছে তা ফ্যাসিবাদ বা নাৎসিবাদের মতন সর্বাত্মকবাদী রেজিমের অধীনে চর্চিত হওয়া নিয়ন্ত্রণের চেয়েও অনেক দূর পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে।


তথ্যের কথা বললে— আমাদের মুঠোফোন থেকে সংগ্রহীত তথ্য— এ ব্যাপারেও কথা বলা উচিৎ যে এই তথ্য অসংখ্য সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে, প্রায়শই অসম্পূর্ণভাবে বা ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। ‌


এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এটা এই প্রপঞ্চের গোড়াকে স্পর্শ করে। জ্ঞানতত্ত্ব বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন কেউ আশ্চর্য না হয়ে পারবে না যে, এতগুলো মাসের পর মাস ধরে কিভাবে গণমাধ্যম কোন ধরনের বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণহীন তালিকা প্রকাশ করে গেছে। প্রথমত, প্রাপ্ত তথ্যকে এই সময়ের বার্ষিক মৃত্যুর হারের তুলনা না করে এবং দ্বিতীয়ত, মৃত্যুর কারণসমূহকে নির্দিষ্ট না করে তারা এটা করেছে। আমি না ভাইরাস বিশেষজ্ঞ, না ডাক্তার এবং আমি নির্ভরযোগ্য দাপ্তরিক তথ্যসূত্রের উল্লেখ করা পর্যন্তই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখছি। কোভিড-১৯’এর ফলে ২১,০০০ মৃত্যুর হিসাব অবশ্যই মারাত্মক। কিন্তু যদি আপনি এটাকে বার্ষিক পরিসংখ্যানের তথ্যের সাথে তুলনা করেন, তাহলে বিষয়গুলো— যেমনটা হবার কথা—একটা ভিন্ন আঙ্গিক গ্রহণ করে। Istat (Istituto Nazionale di Statistica, ইতালীয় জাতীয় পরিসিংখ্যান ইন্সটিটিউট)-এর মহাপরিচালক ড. জিয়ান কার্লো ব্ল্যানজিয়ার্দো কয়েক সপ্তাহ আগেই এই সংখ্যাকে গত বছরের মৃত্যুর হারের সাথে তুলনা করেছেন: ৬,৪৭,০০০ মৃত্যু (বা দিনপ্রতি ১৭৭২ মৃত্যু)। আমরা যদি এই মৃত্যুর কারণসমূহকে বিশদভাবে পর্যালোচনা করি তাহলে আমরা দেখতে পাবো, সম্প্রতি প্রাপ্ত ২০১৭ সালের নথিবদ্ধ তথ্যে ২,৩০,০০০ মৃত্যু হৃদরোগের কারণে হয়েছে, ১,৮০,০০০ মৃত্যুর কারণ ক্যান্সার এবং ৫৩,০০০ মৃত্যু হয়েছে শ্বাসতন্ত্রের রোগবালাইয়ের কারণে। কিন্তু একটা বিষয় বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের গভীরভাবে ভাবায়।


কোনটা?


আমি ড. ব্ল্যানজিয়ার্দোর কথাই উদ্ধৃত করছি: ‘২০১৯ সালের মার্চে ১৫,১৮৯ জন শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় ভুগে মারা গেছে এবং ১৬,২২০ জন তার আগের বছরে মারা গেছে। ঘটনাক্রমে, এটা লক্ষ্য করার মত যে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে কোভিড ১৯-এর কারণে মৃতের সংখ্যা (১২,৩৫২) থেকে এই সংখ্যা অনেক বেশি।’ এটা যদি সত্য হয় এবং আমাদের সন্দেহের কোন অবকাশ না থাকে, তাহলে মহামারীকে গুরুত্ব দিয়েও আমাদের এই প্রশ্ন অবশ্যই করতে হবে যে এটা আমাদের স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে দেয়ার পদক্ষেপগুলোকে বৈধতা দিচ্ছে কিনা, যা আমাদের দেশের ইতিহাসে আগে কখনোই প্রয়োগ করা হয়নি, এমনকি দুটি বিশ্বযুদ্ধের সময়েও না। আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া এবং জনগণকে তাঁদের ঘরে একাকী বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে একটা নায্য সন্দেহ সৃষ্টি হয়, তারা সরকারের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বসমূহকে জনগণের উপরে চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে কিনা। সরকার প্রথমে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবাকে নষ্ট করেছে এবং তারপর লোম্বার্ডিতে মহামারী মোকাবিলায় ভয়াবহ ভুলভ্রান্তি করেছে।


প্রকৃতপক্ষে, এমনকি বিজ্ঞানীরাও এই ব্যাপারে ভাল কোনো কিছু দেখাতে পারেনি। দৃশ্যত তাঁদের কাছ থেকে যে প্রশ্নগুলোর সদুত্তর আশা করা হয়েছিল সেটাও তাঁরা দিতে পারেনি। এ ব্যাপারে আপনার কি অভিমত?


বিজ্ঞানী বা ডাক্তারদের সিদ্ধান্তসমূহকে সন্দেহাতীতভাবে বিশ্বাস করা খুবই বিপদজনক। এগুলো শেষতক নৈতিক ও রাজনৈতিক। আপনি দেখতে পাবেন, ঠিকভাবেই হোক কিংবা ভুলভাবে হোক বিজ্ঞানীরা সরল বিশ্বাসে নিজেদের যুক্তিকে অনুসরণ করে। এই বিষয়টাই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ দিয়ে তাঁদেরকে চিহ্নিত করে এবং এর নামে তাঁরা যেকোন ধরনের নৈতিক বিষয়কে বলি দিতে প্রস্তুত থাকে—ইতিহাস এবিষয়ে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য দেয়। আপনাকে এটা স্মরণ করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই যে, নাৎসিদের অধীনে অনেক সম্মানিত বিজ্ঞানীরা সুপ্রজননবিদ্যক নীতিমালার নিজেদের যুক্তিকে অনুসরণ করে। এই বিষয়টাই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ দিয়ে তাঁদেরকে চিহ্নিত করে এবং এর নামে তাঁরা যেকোন ধরনের নৈতিক বিষয়কে বলি দিতে প্রস্তুত থাকে—ইতিহাস এবিষয়ে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য দেয়। আপনাকে এটা স্মরণ করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই যে, নাৎসিদের অধীনে অনেক সম্মানিত বিজ্ঞানীরা সুপ্রজননবিদ্যক নীতিমালার[i] নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ক্যাম্পের বন্দী অবস্থার সুযোগ নিয়ে তাঁদের প্রাণঘাতী পরীক্ষাগুলি চালিয়ে যেতে দ্বিধা বোধ করে নাই। তাঁরা বিশ্বাস করতেন যে, এই প্রাণঘাতী পরীক্ষাগুলো বিজ্ঞানের অগ্রগতির ক্ষেত্রে এবং জার্মান সৈনিকদের পরিচর্যার ক্ষেত্রে কেজো হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে, এটা একটা ভিন্ন রকমের প্রদর্শনী। গণমাধ্যম যদিও এটাকে লুকাচ্ছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এমনকি বিজ্ঞানীদের মধ্যেও কোনো মতের ঐক্য নেই। এদের মধ্যে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ফরাসী ভাইরাস বিশেষজ্ঞ দিদিয়ের আহায়্যুঁ(Didier Raoult)ও এই মহামারীর গুরুত্ব এবং বিচ্ছিন্নকরণের(isolation) পদক্ষেপ নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি এটাকে মধ্যযুগীয় সংস্কার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আমি এর আগে একটা লেখায় উল্লেখ করেছিলাম যে,

বিজ্ঞান আমাদের সময়ের ধর্মতন্ত্রে(religion) রূপান্তরিত হয়েছে। ধর্মতন্ত্রের সাথে বিজ্ঞানের তুলনাকে আক্ষরিক অর্থেই নিতে হবেঃ ধর্মতাত্ত্বিকগণ যদিও ঘোষণা করেছেন যে তাঁরা “ইশ্বর” কি বস্তু তা সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারেন না, তবুও তাঁর নামেই তাঁরা মানব আচরণবিধি নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন এবং ধর্মদ্রোহীদের পুড়িয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেন নি; ভাইরাস বিশেষজ্ঞরাও স্বীকার করেছেন যে তাঁরা সঠিকভাবে জানেন না একটা ভাইরাস কি বস্তু, কিন্তু এর নামে তাঁরা মানুষের কিভাবে বেঁচে থাকা উচিৎ সেই সিদ্ধান্ত দেবার চেষ্টা করছেন।


আমাদের বলা হয়েছে—অতীতেও যেমনটা ঘটেছে—কোন কিছুই আর আগের মতন থাকবে না এবং আমাদের জীবন অবশ্যই বদলে যাবে। কি ঘটবে আপনার হিসাবে?


আমি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি যে, কোন ধরনের স্বৈরতন্ত্র আমরা আশঙ্কা করছি এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের বিরামহীনভাবে সতর্কতা জারি রাখতে হবে। কিন্তু, এক মুহুর্তের জন্যও যদি আমরা বর্তমান ঘটনার পরিসর ছেড়ে যাই এবং পৃথিবীতে মানবজাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিষয়গুলিকে আমলে নেয়ার চেষ্টা করি, তখন আমার বিখ্যাত এক ডাচ বিজ্ঞানী লুডভিগ বোও(Ludwig Bolk)আমি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি যে, কোন ধরনের স্বৈরতন্ত্র আমরা আশঙ্কা করছি এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের বিরামহীনভাবে সতর্কতা জারি রাখতে হবে। কিন্তু, এক মুহুর্তের জন্যও যদি আমরা বর্তমান ঘটনার পরিসর ছেড়ে যাই এবং পৃথিবীতে মানবজাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিষয়গুলিকে আমলে নেয়ার চেষ্টা করি, তখন আমার বিখ্যাত এক ডাচ বিজ্ঞানী লুডভিগ বোও(Ludwig Bolk)[ii]-এর কথাই মনে পড়ে। তাঁর মতে, পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার প্রাকৃতিক সঞ্জীবনী প্রক্রিয়াগুলোর প্রগতিশীল আত্মসচেতনতা দিয়েই মানবজাতিকে বৈশিষ্ট্যায়িত করা হয়। এটা কিনা কৃৎকৌশলগত কলকব্জার (যা উল্টো প্রকৃতিকে মানুষের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়) এক অস্বাভাবিক (hypertrophic)-এর কথাই মনে পড়ে। তাঁর মতে, পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার প্রাকৃতিক সঞ্জীবনী প্রক্রিয়াগুলোর প্রগতিশীল আত্মসচেতনতা দিয়েই মানবজাতিকে বৈশিষ্ট্যায়িত করা হয়। এটা কিনা কৃৎকৌশলগত কলকব্জার (যা উল্টো প্রকৃতিকে মানুষের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়) এক অস্বাভাবিক (hypertrophic)[iii] বৃদ্ধির দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। যখন এই প্রক্রিয়া একটা নির্দিষ্ট সীমাকে ছাড়িয়ে যায় যেখানে এটা অনুৎপাদনশীল হয়ে পড়ে, তখন এটা ঐ প্রজাতিরই ধ্বংসের কারণে রূপান্তরিত হয়। আমাদের বর্তমান যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে তা আমার কাছে এভাবেই প্রতীয়মান হয় যে, আমরা সেই সীমায় পৌঁছে গেছি এবং যেই ওষুধের কাজ ছিল আমাদের অসুস্থতা ঠিক করা তা এখন আরও বড় ভয়াবহতার ঝুঁকি তৈরি করছে। যেকোন মূল্যেই হোক আমাদের এই ঝুঁকির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

____________

২২শে এপ্রিল, ২০২০

অনুবাদকের টীকা


[i] সুপ্রজননবিদ্যীয় নীতিমালা(Eugenic policy): এটা পূর্বপুরুষের শুদ্ধ জিন ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে।

[ii] এই নামে গুগল করে কাউকে পাওয়া যায়নি। আগামবেন সম্ভবত লদেভিক ‘লুহি’ বোও(Lodewijk 'Louis' Bolk)’র কথা বলছেন। লুহি বোও ডাচ শরীরতত্ত্ববিদ। তাঁর মানব দেহের 'নিষেক তত্ত্ব'(fetalization theory) জ্যাক লাকাঁ ব্যবহার করেছেন।

[iii] অস্বাভাবিক বৃদ্ধি (hypertrophic growth): আগামবেন এখানে চিকিৎসাবিদ্যীয় পরিভাষা ব্যবহার করেছেন। তিনি hypertrophic নিয়েছেন Hypertrophic cardiomyopathy (HCM) থেকে। এটি এক ধরণের হৃদরোগ যেখানে হৃদযন্ত্রের মাংসপেশি (মায়োকার্ডিয়াম) অস্বাভাবিকভাবে স্ফীত হয়ে যায়। ফলে হৃদযন্ত্র সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে পারে না এবং এর স্বাভাবিক ক্রিয়া ব্যহত হয়।



প্রথম প্রকাশঃ ১১ই মে, ২০২০

সর্বশেষ সংশোধনঃ ১১ই মে, ২০২০

লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/notes/1038716286593382/