Umeå Postdoc Society (UPS) 2021-2022: https://twitter.com/PostdocUmu/status/1470374886388518917/photo/1
I am working in many social groups especially career-related ones to change the student's minds so that they can think more clearly and prepare themselves for a better academic career. The Bangladeshi Students Forum Germany helps Bangladeshi students to pursue higher studies abroad by providing information and answering the questions that the students have in their minds. I have been contributing since 2014 as a founding member and have written more than 100 blogs/posts/articles regarding higher study abroad and research. The FB posts mostly are about PhD studies. Some of them are as follows. They are in Bangali :
PhD পর্ব-১ঃ আগ্রহ/পেরেশানি/ মোটিভেশন/ লেগে থাকা
PhD পর্ব-২ঃ রকমারি / ভিন্নতা/ টাইপস
PhD পর্ব-৩ঃ চিন্তা ও বাস্তবতা
PhD পর্ব-৪ঃ জার্মানিতে PhD করার পথ কয়টি?
PhD পর্ব-৫ঃ বিষয় ও ফিল্ড খুঁজে বের করা, সুপারভাইজার (প্রফেসর) ম্যানেজ করা ও ইমেইল করা
PhD পর্ব-৬ঃ DAAD Scholarship
PhD পর্ব-৭ঃ সুপারভাইজার (প্রফেসর) খোঁজা
PhD পর্ব-৮ঃ রিসার্চ বা প্রোজেক্ট প্রপোজাল
PhD পর্ব-৯ঃ কোথায় খুঁজব পিএইচডি
PhD পর্ব-১০ঃ একটি PhD সার্কুলারের ব্যাবচ্ছেদ / বিশ্লেষণ / পোস্টমর্টেম
PhD পর্ব-১১ঃ পিএইচডির ইতিহাস
PhD পর্ব-১২ঃ কে কেন পিএইচডি করেন?!
PhD পর্ব ১৩ঃ PhD ক্যাচাল
PhD পর্ব ১৪ঃ উন্মুক্ত পদ (Open PhD position)
It is a social platform works to increase awareness among local citizens about social problems, educations, higher study, creativity, in a positive way
* ক্যারিয়ার পর্ব- ১: ক্যারিয়ার কি? কেন?
ক্যারিয়ারের কাকে বলে তা আগের লেখায় আছে। সংক্ষেপে, জীবনের পথে অগ্রগতি ই ক্যারিয়ার।
অনেকেই মনে করতে পারেন ক্যারিয়ায়র শুধু HSC বা ডিগ্রি পাশ ছাত্রছাত্রিদের বিষয়। মোটেই তা নয়। এটি ছাত্র, প্রবাসি, ব্যাবসায়ি, কৃষক, চাকরিজীবী তথা সকল মানুষের, সকল পেশার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু পেশা নয়, সমগ্র কর্ম জীবন ই একজন ব্যাক্তির পূর্ণ ক্যারিয়ার। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই আপাতত দেখি। এটি ব্যাপক একটি বিষয়, অনেক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্যারিয়ারকে দেখা ও মুল্যায়ন করা সম্ভব। তাই ক্যারিয়ারের সকল কিছু বিশ্লেষণ করা কোন লেখক বা ব্যাক্তির পক্ষে একা সম্ভব নয়। আমার পক্ষ থেকে তো নয়ই। আমি নিজেকে এই বিষয়ের ছাত্র মনে করি। আমি নিজেও ক্যারিয়ার নিয়ে জানতে আগ্রহী। তবে হাঁ, আমি কিছু ধারনা দিতে পারব, কিভাবে বর্তমান মানুষেরা ও সমাজ বিষয়টিকে দেখে। সে বিষয়ে যাওয়ার আগে এর গুরুত্ব জানা দরকার।
প্রথমেই প্রশ্ন করতে চাই ক্যারিয়ার কেন গুরুত্বপূর্ণ? কেন এটা নিয়ে মানুষ চিন্তিত?
১। মানুষ সফল হতে চায়, তাই ক্যারিয়ার নিয়ে মানুষ আগ্রহী। একটি সুচিন্তিত ক্যারিয়ার প্লান তাঁকে এগিয়ে দিবে অন্যদের চেয়ে এটাই স্বাভাবিক। ছাত্রজীবনে ক্যারিয়ার নিয়ে যে বইটি প্রথম আমি পড়ি (ক্যারিয়ার- বিকশিত জীবনের দ্বার *) তাতে লেখক আবু জিহাদ ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তার গুরুত্ব বুজাতে বলেনঃ
''ক্যারিয়ার অর্জনে একটি সুস্পষ্ট ও সুউচ্চ টার্গেট মানুষের সাধনা ও গতিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। মূলত এর অভাবেই আমরা নিজকে একটি সুন্দর পর্যায়ে উন্নীত করতে পারি না। যে সময় পারস্য সম্রাজ্য ছিল বিশ্বব্যাপী এক অপরাজেয় শক্তি আর মুসলমানেরা ছিল হাতে গোনা সামান্য ক’জনার মিলিত শক্তি, ঠিক সেই সময়ই মুসলিম শক্তি কর্তৃক পারস্যের পদানত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন আল্লাহর রাসূল সা. । এটি একদিকে যেমন কাফেরদের হাসাহাসির কারণ হয়েছিল অপরদিকে মুসলমানদেরকে দীপ্ত সাহসী ও পরিশ্রমী করেছিল। আর এভাবেই পরবর্তিতে পারস্য বিজয় সম্পন্ন হয়েছিল।
এক কাঠুরিয়ার ছেলে সুদৃঢ় স্বপ্ন দেখেছিল সে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবে। সাধনার বলে তিনিই হয়েছিলেন আব্রাহাম লিংকন। সুতরাং ক্যারিয়ার অর্জন বা মৌলিক সাফল্যের জন্য একটি সুস্পষ্ট ও সুউচ্চ টার্গেট নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ববিজয়ী এক অনন্য বীর জুলিয়াস সিজার বলতেন, অধিকাংশ মানুষ বড় হতে পারে না, কারণ সে সাহস করে আকাশের মত সুউচ্চ টার্গেটের দিকে তাকাতে পারে না।''
২। আমাদের জীবনে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজনীয় বিষয় আছে। সেগুলো কিছু দুনিয়া কেন্দ্রিক, আবার কিছু পরকালিন প্রয়োজন পূরণের জন্য দরকার। উভয় উদ্দেশ্যকে সামঞ্জস্য করার জন্য ক্যারিয়ার পরিকল্পনা জরুরী।
৩। জীবনের গতি থমকে দাঁড়ায় মাঝে মাঝে। তাই ক্যারিয়ার প্লান থাকা উচিত।
৪। আমাদের দুর্বলতা গুলো কাটিয়ে উঠা, ভবিষ্যৎ কেমন হবে, নিজের উন্নতি, আত্মবিশ্বাস, কোয়ালিটি লাইফ, নিজের শক্তির উম্মেস ঘটানো, সর্বপরি সুখ ও শান্তি , নিরাপত্তার জন্য ক্যারিয়ার নিয়ে সবাইকে চিন্তা করতে হয় বা করা উচিত। তাই ক্যারিয়ার প্লানিং এর বিকল্প নেই।
একটা উদাহরণ পেয়েছি লখকের বইতে। যেমনঃ ''তুমি সিলেটে যাবে। এ উদ্দেশ্যে রেল স্টেশনে দিয়ে হাজির হয়েছো। ভুলবশত বা অন্য কোন কারণে জেনে নাওনি কোন ট্রেন সিলেটে যাবে। পাশাপাশি দুটো প্লাটফর্মে দাঁড়ানো দুটো ট্রেনের যে কোনটিতে উঠেই কি তুমি সিলেটে যেতে পারবে? না পারবে না। তোমার জীবনের ঈপ্সিত গন্তব্যস্থলেও পৌছার ব্যাপারে একই ধরনের সমস্যায় ফেলবে তোমাকে। সঠিক পরিকল্পনা নিতে হবে তোমাকে এবং সঠিক সময়েই তা নিতে হবে এই লক্ষ্যে পৌছার জন্যে। আর যদি লক্ষ্যই ঠিক না হয়ে থাকে তবে কোথায় যাবে তুমি শেষ পর্যন্ত? এভাবে এদেশের অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তহীনতা সমস্যা সৃষ্টি করছে সঠিক পেশায় পৌছার ব্যাপারে। তাই প্রয়োজন ক্যারিয়ার প্ল্যানিং অর্থাৎ প্রথমে পেশা নির্বাচন এবং পরে সে অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তোলা।''
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমি কোন ধরনের পেশা নির্বাচন করব? বা আমি আসলেই সিলেট যাব কিনা? কোন পথে যাব, ট্রেনে, বাসে, প্লেনে? যদি যা চাই তা না পাই! বিকল্প কি?
এবার একটি তথ্য দিতে চাই, সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আমাদের বাংলাদেশে প্রায় ৫০% শিক্ষিত ছেলে বেকার। প্রায় ৯০% চাকরিজীবী তাঁদের চাকরি নিয়ে খুশি নয় **। এর কারন কি, সমাধান কি?
উপরের প্রশ্ন গুলোর কারন ও উপায় বের করব পরের লেখায়, ইন শা আল্লাহ। সঙ্গেই থাকুন। আপনাদের মতামত ও সংযোজন বিষয়টি আরও প্রানবন্ত করবে।
(চলবে)
সুত্রঃ
* http://www.pathagar.com/book/detail/295/1
** http://www.prothom-alo.com/…/%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0…
https://www.facebook.com/groups/gbchhayani/permalink/1569386146454889/
ক্যারিয়ারঃ পর্ব ২
ভাষা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
আমাদের ছয়ানীতে প্রবাসী বেশি। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মিডেলইস্ট বা আফ্রিকা প্রবাসী। উনাদের মধ্যে অনেকে উচ্চতর পড়াশুনায় মনোযোগ দেননি অথবা দিতে পারেননি। ইতি টানেন নানান কারনে। অল্প বয়সে, পরিবারের চাপে বা বাস্তবতায় বিদেশে চলে আসতে হয়। আবার কেউ ইচ্ছে করেই চলে আসেন। দেশে ভাল কিছু করতে পারেন না বলেও অনেকে চলে আসেন, এবং ভালও করছেন, সন্দেহ নেই। এটাও সত্য, আসার পরেই অনেকের ঘটে বিপত্তি। বেশী দূর যেতে হবে না। উদাহরন গুলো আমাদের আশেপাশেই আছে। আমার কাছের মানুষ যারা বাহিরে এখন আছেন বা ছিলেন তাঁরা কেউ এখন দেশে ফিরেছেন, কেউ মনে করছেন দেশেই ভাল কিছু করা যেত, কারো অনেক টাকা গচ্ছা, অসন্তুষ্ট নিজের অবস্থা নিয়ে। কেউ পরিকল্পনা করছেন বাংলাদেশে চলে আসবেন। কেউ আছেন, বিদেশ থেকে ফিরতে পারছেন না। পরিবারের জন্য খরচ যোগাতে হয়। কারো উপলব্ধি আরেকটু প্রস্তুতি নিয়ে বিদেশে আসতে পারতাম, তাহলে আরও ভাল হত। তাই যারা চিন্তা করছেন দেশে কিছু করবেন বা আগামীতে বিদেশে যাবেন তাঁদের সময় এখনি। একটু বুজে শুনে এগুলেই একটি সুন্দর ক্যারিয়ার/জীবন হতে পারে, ইনশাল্লাহ।
মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে ভাষা আরবি। এই ভাষা আয়ত্তে আনলে যে কেউ অন্যদের থেকে একটু এগিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। চাকরি বা ব্যাবসা ভাল চলবে কোন সন্দেহ নাই। বেকার থাকবে না অনেক দিন। শুধু তাই নয়। দেশেও এই ভাষার গুরুত্ব অনেক। যেমনঃ আমি একজনকে চিনি যিনি আরবী জানার কারনে এখন সঊদি এমবাসিতে চাকরি পেয়েছেন, বাংলাদেশেই। অনেকে ভাল করছেন বিদেশে। এই ভাষার গুরুত্ব না দিলেও, ধর্মীয় কারণে আমরা কিছু কিছু বলতে ও পড়তে পারি। তাই বেশী কঠিন না। দরকার অজুহাত বাদ দেয়া, শিখতে বসে যাওয়া। সাচ্চা মুসলিম হলে তো আরবি আজ না হয় কাল শিখা উচিত আমাদের, ইসলাম জানা ও মানার জন্য।
ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা কানাডায় ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব আছে। আর দেশে ইংরেজিতে ছাত্রছাত্রীদের পড়তেই হয়। বাহিরে পড়তে আসার জন্য ইংরেজির দক্ষতা চাই ই চাই। কিন্তু ব্যাচেলর পাশ করেও আমাদের ছাত্রছাত্রীরা ইংরেজিতে তেমন কিছুই পারে না। কারন আমাদের ইংরেজি শিখানোর পদ্ধতি ও পরিবেশ ভাল নয়। নিজের চেষ্টাই এখন ভরসা। তাই সময় এখন সবার, ভাষা শিখার, এটা একটি দক্ষতা। আমাদের অনেক জিবিসি মেম্বার ভাল ইংরেজি জানেন। তাঁদের সাথে ইংরেজিতে চ্যাট করা যেতে পারে। পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। IELTS বিজ্ঞ ও আছেন। যেমন, আমাদের প্রিয় Rayhan Chowdhury ।
শুদ্ধ বাংলাও অনেক জায়গায় আমাদের অবস্থান করে দেয়। টিভি চ্যানেল, রেডিও ইত্যাদি।
তাছাড়া, চাইনিজ, জাপানিজ, জার্মান, ফরাসি ভাষাও শিখা যেতে পারে। কিভাবে করবেন? অনলাইনে বা ভাষা শিখায় এইরকম প্রতিষ্ঠানে।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সাথে ক্যারিয়ার জড়িত।
শিক্ষিত কৃষক সহজেই ভাল ফলন ফলাবে একজন অশিক্ষিত কৃষকের চেয়ে। তাইতো আমরা উচ্চতর লেখাপড়ি শিখি, প্রশিক্ষণ নিই বিভিন্ন বিষয়ে। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ অনেক ভাবে হতে পারে। সেটা ইন্টারনেটে, গাছ তলায়, বাসায়, অফিসে বা স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে হতে পারে। তাই শিক্ষা কোন ডিগ্রি দিয়ে পরিমাপ করা কঠিন। আপনি স্কুলে না গিয়েও, নিজে নিজে শিখে ভাল কৃষক, চাকরিজিবি, উদ্দেগতা, ব্যাবসায়ি হতে পারেন। সম্ভব।
গত পর্বে লিখেছিলাম, আপনি কি করতে চান তা ঠিক করা। অর্থাৎ আপনি কি সিলেট যাবেন কিনা? যদি মনে করি সিলেট যাবেন অর্থাৎ আপনি শুধু বিদেশ করবেন, বা ব্যাবসা বা চাকরি, তাহলে তার উপর প্রস্তুতি নিন। কিন্তু আমরা তা করি না। যেমন পরিবার , আত্মীয় সবাই চায় আপনি মিডেল ইস্টে যান। তাই আপনি বাধ্য হয়ে চলে গেলেন। কিন্তু দুঃখেকষ্টে আপনি ভেঙ্গে পরলেন, তা ঠিক নয়। যেটা উচিত, তা হল, আপনি যদি ওইদিকে যেতে চান তাইলে দক্ষ হয়ে যান। আপনি কাজ শিখেন। সবার আগে ভাষাটা ( যেমন আরবি শিখেন)। তার পাশাপাশি, কারপেন্ট্রি, রাজমেস্ত্রি, ইলেকট্রিক কাজ, ড্রাইভিং ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি ব্যাবসা করতে চান। ব্যাবসার সুযোগ খুঁজুন।
কেন বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক শিক্ষিত বেকার? কারন, ১। কারিগরি ও বিশেষায়িত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের চাকরির বাজার ভালো কিন্তু আমরা সাধারন শিক্ষায় বেশী গুরুত্ব দেই। ২। পড়াশুনার মান ভাল না আমাদের দেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের। ৩। শুধু ডিগ্রি আছে আর কিছুই পারে না আমাদের ছাত্রছাত্রীরা, নাই সামজিক কাজ, নাই বই পড়া বা লেখালেখি, নাই কম্পিউটারের ভাল জ্ঞান, নাই নিজে পার্টটাইম কিছু করা, না করে টিউশানি, না ভাল সংগঠন, নাই কোন সরকারি চাকরীর জন্য় পড়াশুনা, ইত্যাদি ইত্যাদি।
এইগুলা করা জুরুরি। আপনাকে বাংলাদেশের ওই ১০% জনগণের মধ্যে নিয়ে আসুন যারা চাকরি পায়, ওই ৪০% এর মধ্যে যারা কিছু না কিছু করে। যে যেভাবে সফল সেটাও অনুসরন করতে পারেন। ইউরোপ আমেরিকার জন্য ডিগ্রি ও ভাষা শেষ করুন। বিদেশী মানুষেরা দশম শ্রেণী শেষ হওয়ার আগেই একটি এক্সট্রা ভাষা জানে জাতে অনর্গল কথা বলতে পারে। আর ১৮-৩০ বছর বয়সের মধ্যেই ড্রাইভিং শিখে। যেহেতু আমাদের দেশে এটা শিখানো হয় না, তাই নিজে থেকে আমরা শিখতে পারি, শেখা উচিত, এটা আমার উপলব্ধি।
অনেকে যাই করুক না কেন, তা ভালবাসে না। তাই করুন, যা আপনি ভালবাসেন। তারমানে বেকার থাকা নয়। হয় প্রশিক্ষণ নিন বা শিখুন বা কিছু করুন, বেকার থাকা আর নয়। পৃথিবীর কোন কাজই ছোট বা তুচ্ছ নয়। দেখার দরকার নেই, কত কম টাকা, বা সামাজিক স্ট্যাটাস কি? লোকে কি বলবে তা না ভেবে, ভাবতে হবে আপনি যা করছেন তা কতোটা ধর্ম ও আইনের চোখে সঠিক। তাহলেই মঙ্গল। হতাশা নয় আসবে নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন।
https://www.facebook.com/groups/gbchhayani/permalink/1581703748556462/
ক্যারিয়ার পর্ব- ৩ঃ বিদেশে উচ্চশিক্ষা
১,
ঠিক যেই মুহূর্তে আমি এটি লিখছি, আমার মনে হয় দেশের অবস্থা সেই মুহূর্তে ভাল নয়, আপনাদের অনেকেই হয়ত উদ্বিগ্ন। আমারও একই অবস্থা। দেশে নেই, এলাকায় নেই, কিন্তু প্রতিদিন একবার হলেও জিবিসি তে ঢুকি। দেখি আমাদের ছয়ানী কেমন আছে? এলাকার মানুষ কি ভাবছে। আপনাদের ভাল লেখাগুলো পড়ি। ভাল লাগে এই ভেবে যে অনেকে অনেক সুন্দর চিন্তা করেন, কিছু করার চেষ্টা করেন। সবই দেখার চেষ্টা করি। হয়ত অনেক সময় লাইক, কমেন্ট করা হয়ে উঠে না। তবে আপনাদের মঙ্গল কামনা করি।
২,
মূলবিষয়ঃ এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে কয়েক বছর পর ফোন দিয়েছে। তাদের কুশল বিনিময়ের পর এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে জানাল যে তাঁর এক আত্মীয় (ইন্টার পাশ/ব্যাচেলর শুরু করবে এমন) বিদেশে যওয়ার জন্য খুব আগ্রহি। ইউরোপে ঢুকবে। একটি ভাল জীবন শুরু করবে, পরিবারের আর্থিক উন্নতি করবে। কিন্তু সমস্যা হল সেই ছাত্রটি ২ বারই ইউরোপে পড়ারশুনার ভিসা পেতে ব্যর্থ হল। এই বাবদ ১ম বন্ধুটি তাঁর আরেক বন্ধুকে অনেক টাকা দিয়েছিল, এবং দালাল ধরেছিল। তাই অনেক টাকা লস হল, ভিসাও হয়নি। এখন সে বাস্তবতা ও করনীয় জানতে চায় তাঁর এই বন্ধুর কাছে।
৩,
এলাকায় গেলে অনেকেই জানতে চায় বিদেশের হালচাল, সুযোগ সুবিধা। তেমনি একজন বাবার বয়সী মুরুব্বী জানতে চেয়েছিলেন তাঁর ছেলেকে কানাডায় পাঠাবেন পড়াশুনার জন্য। কিন্তু সমস্যা হল প্রত্যাশা ও বাস্তবতার ফারাক নিয়ে। আঙ্কেলকে বুঝিয়ে বলার পরে তিনি বুঝলেন বলে মনে হল। ছেলেকে ব্যাচেলর দেশে শেষ করে তারপর চেষ্টা করতে বললেন।
৪,
কিছুদিন আগে আমাদের ছয়ানীর এক ছোটভাই (BSc পাশ) জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে জানতে চাইল। তাকে অবস্থা ব্যাখ্যা করে, প্রয়োজনীয় যোগ্যতা দ্রুত অর্জন করার তাগাদা দিলাম। এবং কিছু দিক নির্দেশনাও দিলাম। তাকে কিছু বাড়ির কাজও দিলাম (বিষয় খোঁজা, একটি ফাইল তৈরি করা তাঁর নিজের করনীয় নিয়ে)। কিন্তু তাঁর থেকে আর কোন আপডেট এখনও আসে নি। হয়ত সে প্রস্তুতি নিচ্ছে অথবা মত পাল্টেছে! হয়ত সময় বলে দিবে।
৫,
আমাদের এলাকার অনেকেই বিভিন্ন মহাদেশে পরাশুনা করছেন। আমি মনে করি তাদের সবাই ভাল করছেন, করবেন। তাদের লব্ধ অভিজ্ঞতা গুলো অনেক মুল্যবান। কারন আমাদের অনাগত প্রজন্মের জন্য এই বিষয়গুলো জানা আসলেই জ্রুরি। তাহলে তাঁরা অনেকেই বিদেশে সহজেই পড়তে আসতে পারবে অথবা বিদেশ বাদ দিবে। নিজেকে গড়তে ও তৈরি করতে পারবে, পরিবার ও ছয়ানীর মুখ উজ্জ্বল করবে। এই রকম মানুষগুলো কিন্তু আমাদের জিবিসিতেই আছেন। আমাদের তরুণরা, উচ্চ শিক্ষার্থীরা ও গার্ডিয়ানরা তাঁদের সাথে পরিচিত হতেই হবে, নিজের ইচ্ছার কথা জানাতে হবে ও উনাদের পরামর্শও জানতে হবে। এর মাধ্যমেই নতুন পথের ও নতুন যুগের সৃষ্টি হবে। যেমনঃ-
Mohammed Alamgir ভাই, Dr. Nizam Uddin ভাই, Sohug Yasin ভাই, ইয়াসিন এলাহী, Rayhan Chowdhury সহ আরও অনেকে (আপনারা তাঁদের নাম ট্যাগ করুন।)
দেশে ও বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন এইরকম ভাইদের নিয়ে জিবিসি ক্যারিয়ার আড্ডা বা অনুষ্ঠানের আয়জন করে থাকে। তাই এইরকম ভাইদের তথ্য আমাদের দরকার। কেউ কি আছে এলাকায় যে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করবে? তাদেরকে এই পোস্টে বা কমেন্তে ট্যাগ করা যেতে পারে। আমাদের তরুণদের নিয়ে কিছু ক্যারিয়ার আড্ডা অতীতে হয়েছিল। সামনেও হবে। আমার মনে হয় এডমিন প্যানেল এই ব্যাপারে খুবি আন্তরিক।
৬,
বিদেশে পড়াশুনা করেন না, এইরকম অনেকেই আছেন যারা ভাল ব্যাবসায়ি, চাকরিজীবী ও ইমিগ্রান্ট। তাঁদেরও অভিজ্ঞতার ঝুলি আছে যেটা হয়ত আরও বড়। তারাও তাঁদের লিখা, বক্ত্যব্য শেয়ার করলে আমাদের গার্ডিয়ান ও শিক্ষার্থীদের উপকার হবে। জিবিসি প্লাটফরম করে দিবে নিশ্চয়ই। সবচেয়ে বড় বড় ও সফল মানুষ আমাদের দেশেই আছেন। তাঁদেরকে নিয়েও একই ধরনের আড্ডা অনুষ্ঠান হতে পারে।
ভবিষ্যতে তাঁদের নিয়ে লিখব ইনশা আল্লাহ।
https://www.facebook.com/groups/gbchhayani/permalink/1957592500967583/
* ক্যারিয়ার পর্ব- ৪: আমাদের প্রবাসীরা
চাচাকে ফোন দিলাম ঈদ উপলক্ষে। কুশল বিনিময় শেষে ওই দেশের অবস্থা জিজ্ঞেস করলাম। চাচা একরাশ বিষণ্ণ মন নিয়ে বললেন, ওই দেশে বাঙ্গালীদের আর তেমন সুযোগ নেই। মানুষ যারা কয়েক বছর ধরে আছেন তারাও ভাল নেই, যারা নতুন আসছেন তারাও। তার উপর আকামা করা, আরও কি কি কাগজ এখন নতুন করে লাগে যা অনেক টাকায় করতে হয়। অনেক সময়, মাস শেষে কিছু তো থাকেই না উল্টো কর্য হয়ে যায়।
আমাদের পরিবারের ছোট চাচাই সবার আগে দেশের বাহিরে যান। আমার মনে আছে আমাদের যৌথ পরিবারে চাচার চিঠির জন্য আমরা বসে থাকতাম। এরোপ্লেনের জলছাপ দেয়া খাম, আর রুল করা কাগজের চিঠি স্কুল থেকে এসে সবাইকে পড়ে শুনাতাম। খুবই ভাল লাগত। আর ব্যাংক ড্রাফট ছিল খাঁটি সোনা!
এখন চাচার গ্যাস্ট্রিক, পা ও হাঁটুর জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যাথা। ডায়াবেটিস এর মাত্রা ১৪০-১৬০ (নরমাল ১১০-১১৫) । ডাক্তার দেখিয়েও কুল কিনারা নাই। অন্য এক চাচাও গিয়েছেন বিদেশে, একই অবস্থা। মন মত কিছু না পেয়ে, কোমর ব্যথা নিয়েই বিদেশ গিয়েছেন। কাজ করে চলেছেন অনেক বছর। এখন ফিরতে চান। আর কত বিদেশ করবেন। কাউকে যে নিবেন সেই অবস্থাও নেই। শুধুমাত্র কাজ জানা মানুষের এখন কদর। আগে কিন্তু এলাকায় যিনি কোন কাজ জানেন না তিনিই সাধারনত মিডেল ইষ্টে যেতেন বা পাঠিয়ে দেয়া হত, গিয়ে কাজ শিখতেন। কিন্তু এখন কাজ না জানা লোকের কদর নেই সেখানে। বাবা কাছে না থাকায় বাচ্চারাও গা এলিয়ে দিচ্ছে। পড়াশুনায় অমনোযোগী হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের বিদেশ যাওয়ারও কোন পথ বের হচ্ছে না।
একসময় একটা জেনারেশন ছিল, কিছু না হইলে দুম করে বিদেশ যেত বা পাঁঠিয়ে দেয়া হত। এখন সেই অবস্থাও নেই বা অনেক কমে গেছে। এলাকার স্কুল-কলেজ বাদ দেওয়া ছোটদের কথা মনে আসলেই ব্যাকুল হই। কি করবে তারা। পথ কি?
আমাদের সময় তো ২-৩ লাখ টাকায় বিদেশ যাওয়া যেত। না গেলেও সমস্যা ছিল না। প্রবাসী বাপ-চাচাদের টাকায় সংসার চলত। আর আমরা আয়েশ করতাম। পড়াশুনা ফাঁকি দিলেও গায়ে লাগত না। কারন ফেল মানেই বিয়ে বা বিদেশ। এখন তো সেটাও সম্ভব নয়। এমন এক সময় এখন এসেছে, প্রবাসীরা ঘরে ফিরবেন আর তাঁদের ছেলেরা এখনও বাচ্চা, ছাত্র বা বেকার ঘুরছে।
কি ভাবছে আমাদের তরুণরা যাদের পিতা বা পরিবারের প্রধান বিদেশে বা কর্মে আর সক্ষম নয়? কি কি তাঁরা করতে চায়? কিভাবে?
https://www.facebook.com/groups/gbchhayani/permalink/2001303033263196/
ক্যারিয়ার পর্ব ৫ঃ ভাল রেজাল্ট ও রাজনীতি
এক, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর রেজাল্ট
গত এক-দুই দিন আগে প্রাথমিক ও জুনিয়র স্কুল এর পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। এই কারনে হয়ত অনেক অভিবাবক ও ছাত্রছাত্রীর মন আনন্দে উদ্বেলিত অথবা বিষাদে খারাপ হয়ে আছে। যারা ভালভাবে পাশ করেছে তাঁদের জন্য এই রেজাল্ট একটি অনুপ্রেরণা বা স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু যারা আশাহত হয়েছে মনমত গ্রেড আসেনি, তাঁদের মন খারাপ বা বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। কারন এই রেজাল্ট ১৫-২০ বছর পরে কেউ আপনাকে বা আপনার ছেলেমেয়েকে ডেকে জিজ্ঞেস করবে না। চাকরি বা ব্যাবসায় বা ক্যারিয়ারে এই রেজাল্টর কোন গুরুত্ব নেই। তখন আপনি কি জানেন ও কি পারেন সেটাই মুখ্য হবে। সেটাই আপনার সন্তানের বা ভাইয়ের/বোনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, গ্রেড নয়।
আমরা কি কক্ষনো আমাদের শিক্ষক বা প্রতিবেশী বা আত্মীয় বা এলাকার চেয়ারম্যান বা এম্পির প্রাইমারী বা হাইস্কুলের পাসের গ্রেড জানতে চেয়েছি? চাই নি। ঠিক তেমনি আপনার আমার সন্তানদের রেজাল্ট কেউ জানতে চাইবে না।
যেটা আমরা জানতে চাই, তা হল তিনি কত ভাল শিক্ষক বা কত ভাল প্রতিবেশী বা আত্মীয় বা কত ভাল চেয়ারম্যান বা কত ভাল এম্পি, সর্বপরি কত ভাল মানুষ বা ধার্মিক। আর এটাই ক্যারিয়ার। কারন, ক্যারিয়ার কাজের সাথে জড়িত, ভাল গ্রেডের সাথে নয়। রেজাল্ট এর প্রধান উদ্দেশ্য হতে পারে নিজেকে যাচাই, প্রতিষ্ঠানের ভাল মন্দ যাচাই, বা স্যাররা ঠিক মত পড়ায় কি না ইত্যাদি। বিদেশে এটাই উদ্দেশ্য।
দুই, রাজনীতি
রাজনীতি একটি ভাল ও মহৎ ক্যারিয়ার। এটি করার মাধ্যমে দেশ ও এলাকার মানুষের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়। অনেক বড় আঙ্গিকে কিছু করার সুযোগ তৈরি হয়। ত্যাগ করতে হয় অনেক কিছু। নেলসন মেন্দেলা, মারটিন লুথার,ঈশ্বর-চন্দ্র বিদ্যাসাগর, গান্ধী, আবুল কালাম আযাদ, জিন্নাহ, এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু তার উৎকৃষ্ট উদাহরন। আমাদের সমসাময়িক অনুকরণীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে এদের নাম আসেই।
কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের যারা রাজনীতি করেন তাঁরা তাঁদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কে ঠিক করতে পারেন নি বা অন্য লাইনে নিয়ে গেছেন। যেমনঃ অনেককেই দেখি কিছু পাওয়ার আশায় রাজনীতি করছেন বা দলে নাম লিখিয়েছেন। কেউ পদ, কেউ চাকরি, কেউ ব্যাবসা, কেউ শুধু দল জিতাবেন। যারা দেয়ার জন্য রাজনীতি করছেন তাঁদের সংখ্যা হাতেও গোনতে গেলে, নাম আসে না মুখে। কি কারনে এমন হল? রাজনীতি না জানা! অশিক্ষা! পরিবেশ! না আমাদের চিন্তার অভাব! না অন্য কিছু? আমাদের জিবিসির মেম্বার যারা রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত তাঁরা নিশ্চয়ই কিছু পাবার আশায় রাজনীতি করছে না, রাজনীতি করছেন নিশ্চয়ই দেয়ার আশায়। কিন্তু কি দিবেন, তা আমরা জানিনা। তাঁরা জানেন কি?
আমাদের ভাল নতুন হাইস্কুল বা মাদ্রাসা নেই। যা আছে তা এলাকার ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় খুবই কম। আর কলেজ! সেটার তো নাম গন্ধও নেই। একটা এলাকার উন্নয়ন মানে হচ্ছে আমার দৃষ্টিতে সবার আগে নতুন স্কুল, কলেজ ও মান সম্মত শিক্ষাদান নিশ্চিতকরণ। এলাকার কোন রাজনীতিবিদ আছেন কি যিনি এটি নিশ্চিত করছেন বা করবেন বা করাবেন? আছেন কি কেউ এমন, যার ক্যারিয়ার সত্যিকারের রাজনীতি?!
-------------
আগের লেখাগুলোঃ
It was a weekly international radio program in Umea, Sweden organized by PREI (project for integration). The main object of the radio program was to share bio, music, history of the countries, food, festival etc