PhD পর্ব ১ঃ আগ্রহ/পেরেশানি/ মোটিভেশন/ লেগে থাকা
অনেক কথা শুনা যায়। যেমনঃ পি এইচ ডি পেতে হলে এটা, ওটা,সেটা সব ঠিক ঠাক হতে হবে বা করতে হবে, না হলে হবে না, সবই বৃথা,ব্লা ব্লা ব্লা। আসলে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আপেক্ষিক।একেক জনের ব্যাপার একেক রকম। “আগ্রহ” থাকতে হবে।
যাই হোক সরাসরি কাজের কথায় চলে আসি। পি এইচ ডি করতে হলে সবার আগে যে জিনিস টা দরকার তা হল “ আগ্রহ”। ব্যাপারটা কেমন শুনায় !"আগ্রহ" তো আছেই। কি যে বলেন ?!
আসলে গভীর ভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে এ ব্যাপারে পেরেশানি না থাকার কারনেই অনেকের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও হচ্ছে না। আমি গতানুগতিক 'আগ্রহের' কথা বলছি না। তা হলে কোন 'আগ্রহের' কথা বলছি?
সেই আগ্রহের কথা বলছি,
- যে আগ্রহ, আপনাকে আপনার 'স্টাডি এরিয়া' খুঁজে বের করতে ইন্টারনেটের সামনে বসাবে। শুধু ফেসবুকে নয়।
- যা আপনাকে আপনার থিসিসের রেফারেন্স গুলো চেক করে অধ্যাপক দের খুঁজে বের করার শক্তি যোগাবে।
- যা উন্নত বিশ্বের আপনার পড়াশুনা সম্পর্কিত ডিপার্টমেন্টের তালিকা বা টপিক এর সাথে সম্পর্কিত প্রজেক্ট বা গ্রুপ খুঁজে বের করার, একটি ফাইল সংরক্ষণ করার, বিভিন্ন দেশের স্কলারশিপের 'at a glance' যেটিতে থাকবে ও ইমেইল করার অনুপ্রেরনা যোগাবে।
- যা বিভিন্ন স্কলারশিপ এর রিকয়ারমেন্ট সম্পর্কে আইডিয়া নেওয়া ও তাতে চোখ রাখা্র অনুপ্রেরনা যোগাবে।
- যেই আগ্রহ, নিজের উপর আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। দুইদিন খুঁজেই হবে না বলে যে মন ছেড়ে দিবে না।
- যে আগ্রহ নিজেকে তৈরি করবে PhD র উপযোগী করে।
সর্বপরি যা বছরের পর বছর ধরে উপরোক্ত কাজে লেগে থাকার ধৈর্য আনবে। কারন হয়ত সারা বছরেএকটি সুযোগ আসল (প্রকৃত অর্থে অনেক বেশি) যেটার জন্য আপনিই একমাত্র ভাল যোগ্যতা সম্পূর্ণ, কিন্তু খবর রাখলেননা। ব্যাস অন্য কেউ আপ্লাই করে নিয়ে নিল।
(চলবে)
PhD পর্ব ২- রকমারি / ভিন্নতা/ টাইপস
আপনি মাস্টার্স করছেন। থিসিস যেখানে করছেন সেই প্রজেক্টে বা ডিপার্টমেন্টে বা তার পাশের গ্রুপে টাকা বা ফান্ড আছে, এবং তাদের কাজের পরিধিও আরও বাড়বে। চেষ্টা করে গেলেন। সার্কুলার হল। আপনি ওই প্রজেক্টের অনেক কিছুই জানেন । সুতারাং আপনার চান্স বেশি। এবং আপনিই শেষে এসে 'কোয়ালিফাইড'হয়েছেন। এইরকম ডজন খানেক বন্ধু আছে আমার, যারা এখন ভাল করছে।
অথবা নতুন এক দেশে বা নতুন জায়গায় লোক লাগবে। আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন এলাকার বা দেশের। কিন্তু কিছু অভিজ্ঞতা আছে যা এদের প্রয়োজন বা আপনাকে পরে তৈরি করে নিতে পারবে, এইরকম বিশ্বাস আছে। দুই কুলের সুপারভাইজাররা এক জন আরেকজনের কাজের ব্যাপারেও জানে বা মোটামুটি আইডিয়া আছে। তাই আপনাকে তারা পছন্দ করল।ব্যাস হয়ে গেল।
আপনাকে কেউ চিনে না। একটা/অনেকগুলো পোস্ট দেখলেন, টাকা পয়সা দিবে ভাল। এপ্লাই করে দিয়েছেন। আপনার যোগ্যতা খারাপ না, ঘুরছেন অনেক জায়গায়, কাজের টুকটাক অভিজ্ঞতাও আছে। রেজাল্ট ভাল বা মোটামুটি । আগের মিডিয়াম ইংরেজি বা IELTS বাGRE তে ভাল স্কোর আছে। তাদের পছন্দ হইছে বা ডেভেলপিং দেশের কোটা বা মহিলা কোটা আছে। নিয়ে নিল।
শুধু ফান্ড আছে। বা ফান্ডিং বডি আছে। কমিটি আছে বা সংগঠন আছে। আপনাকে 'প্রোজেক্ট প্রফোজাল' বানাইতে হবে। সাবমিট করতে হবে। তাদের পছন্দ হইলে ফান্ড পেয়ে যাবেন। ওই দেশে বা দুই দেশ মিলিয়ে পি এইস ডি করলেন।
তাছাড়া, নির্দিষ্ট দেশে, নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে, নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট টপিকে/টপিকগুলোতে , নির্দিষ্ট'কয়ালিফিকেসন শো' করে,সব কিছু 'সাবমিট'করলেন, মেধার ভিত্তিতে বা যে কোন ভিত্তিতে আপনাকে নিয়ে নিল।
এছাড়া আরও আনেক রকমারি থাকতে পারে। আপনি নিজেকে এর যেকোন গ্রুপে আবিষ্কার করলেন। তাহলে আপনি চেষ্টা চালিয়ে যান। হয়ত হবে, হয়ত হবে না।
বি; দ্র;সবাইকে PhD করতে হবে এই দৃষ্টিভঙ্গি অবাস্তব। তাহলে পৃথিবী চলবে কিভাবে। আপনাকে হয়ত অন্য কোথাও দরকার। যা হয়ত এর চেয়েও ভাল, আপনার জন্যও ভাল।
(চলবে)
PhD পর্ব ৩- চিন্তা ও বাস্তবতা
এক,জার্মানে অধ্যায়নরত ২জন বাংলাদেশীর মধ্যে কথা হচ্ছিল, কথার মাঝে প্রসঙ্গ আসল, বাংলাদেশে যারা আছে এদের মগজ বিদেশে আসার ব্যাপারে কিভাবে চিন্তা করে?
শুরুতে যে পয়েন্ট গুলো উঠে আসে সেগুলো হল এইরকম, যেমনঃ'এমন কেউ কি নেই যিনি আমার এডমিশন টা করিয়ে দিবেন। কিছু টাকা পয়সা না হয় দিলাম। এমন কেউ কি নেই যে আমার দায়িত্ব টা নিবে! দুই,'এখন অনার্স শেষ বর্ষে, পাশ করেই বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করব।তারপর আবেদন করাও শুরু করব।বা ব্যাচেলরে যাব না মাস্টার্সে, না পিএইচডি তে। আশাকরি একদিক না একদিক হবেই।' তিন,'বিদেশে পড়াশুনা করতে গেলেই অনেক টাকা কামানো যায়।যারা যায় তারা নিশ্চিত অনেক টাকা কামাচ্ছে। সুতরাং টাকা আর টাকা।' চার, 'সেঞ্জেনভুক্ত দেশ। যদি কোন সমস্যা হয় অন্য দেশে চলে যাব। ব্যাস।'ইত্যাদি ইত্যাদি।
অনেকেই বলবে চিন্তা গুলো খুব বাজে, ভ্রান্ত, অযুক্তিক। আমি বলব এইরকম চিন্তা আসতেই পারে। এটা স্বাভাবিক বলে আমি মনে করি। কারণ বাংলাদেশে থেকে বিদেশ সম্পর্কে শুধু ধারনাই করা যায়, স্বপ্নই দেখা যায়। বাস্তবতা টের পাওয়া যায় শুধু বাহিরে আসলে পরে বা কেউ বললে।
তো বাহিরে আসলে কি টের পাওয়া যায়? এক,কেন শুধু শুধু এজেঞ্চিকে/না জানা লোককে দিয়ে/ এতগুলো টাকা অপচয় করলাম/ অল্প জানলাম কেন, আরেকটু চোখ কান খোলা রাখলে ভাল হত, নিজেই তো চেষ্টা করে এই সহজ কাজ টা করতে পারতাম। এজেঞ্চির বা অন্যের মাধ্যমে না করলে নিজে হয়ত ভাল জায়গা খুঁজে আপ্লাই করতে পারতাম। নিজে যদি কিছুটা রেডি হয়ে বা কাগজ রেডি করে কোন ভাইয়াকে একটু সাহায্য করার জন্য বলতাম তা হলে ভাইয়াও উপকার করত আর ব্যাপারটা কতই না সুন্দর হত।
উপলব্ধি ২, ইস বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনাটা যদি অনার্স ২য়/৩য় বর্ষে বা ৪র্থ বর্ষেও নিতাম।IELTS এবং কোথায় কোথায় ভবিষ্যতে পড়ব একটু চোখ রাখতাম তাহলেই আর এত গুলো মূল্যবান সময় বা বছর লাগত না, নষ্টও হতনা। এখানে সমস্যা হয় অন্যভাবে,যদি কেউ অনার্স শেষ করে তারপর প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে তাহলে একসাথে অনেকগুলো চিন্তায় পড়ে, কারণ তার হাতে মোটামুটি তিনটা অপশন- চাকরি, দেশে মাস্টার্স, বা বিদেশের প্রস্তুতি। সে যদি দেশের মাস্টার্স টা না ধরে তা হলে পিছিয়ে পড়ার ভয়। আবার ওইদিকে চাকরির পড়াশুনা, নাIELTS প্রস্তুতি!
টাকা কামানো যায় ঠিকই, কিন্তু তা কখনও পরিমেয়, কখনও চলে যায় এমন, কখনও বাড়িতে কিছু পাঠানোর মত। কারন ক্যারিয়ার গড়া আর টাকার নেশা দুটি ভিন্ন জিনিস।বিদেশে আশার পরে প্রধানত, দুই ধরনের ট্রেন্ড তৈরি হয় ছাত্রদের মাঝে।১, কেউ শুধু পড়াশুনা তারপর ওই পড়াশুনা দিয়ে সামনের দিকে চলা বা একাডেমিক লাইফে ক্যারিয়ার গড়ার, পিএইচডি বা লেকচারার,বা রিসারস এসিস্টেন্ট বা অন্যকিছুর চিন্তায় থাকে (স্কলারশিপ প্রাপ্তরা),২)আবার কেউ এসে ভাষা শিখেই পার্টটাইম চাকরিতে ঢুকে (সময় লাগে) পড়াশুনা ও চাকরি একসাথে মনোযোগ দিতে হয় ( নিজ খরচে যারা আসেন), যা অনেক কষ্টের। পরে পড়াশুনা ভাল হলে উচ্চতর শিক্ষা ১ম ক্যাটাগরির মত বা ভাষা ভাল হলে ভাল চাকরি হতে পারে ( কঠিন),রেজাল্ট ও ভাষা খারাপ হলে অন্যদিকে, অন্য ক্যারিয়ারে(বাধ্য হয়ে) চলে যেতে হয়। আর তিন বা চার বছর পর দেশে গিয়ে আবার ভাল করে শুরু করতে হয়। সব মিলিয়ে একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ,যা অনেকে পারে, আবার অনেকেই নিতে পারে না। বাস্তবাতা আরও কঠিন হচ্ছে দিন দিন। তারপরেও আশা ছাড়ে না কেউ।আর অন্য দেশে গিয়ে অবৈধ হয়ে থাকাও অনেক কষ্টের ও ঝামেলার, জীবন হয়ে পড়ে দুর্বিষহ। এছাড়া কেউ ৪-৮ বছর কষ্ট করার পরে দেখা গেল ইউরুপের কোন এক দেশে গিয়ে দাড়ায়, রেস্টুরেন্ট দেয় বা ওইরকম চাকরি করে । নিজের পায়ে দাড়ায়। ইত্যাদি ইত্যাদি। যার যা করলে জীবন চলে ও খুশি আমিও সেটাতেই খুশি। কারন কাজ নিজের কাছে। কি করল এটা অনেকেই দেখে না। দেখা উচিত ও না।
শেষে এসে কেউ সহজে টপকিয়ে যায় আবার কারো অনেক বেশী সময় লাগে, কেউবা বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে ভাল করে, কেউ হয়ত অনেক ভোগে। আর কেউ কেউ পিএইচডি পায়, কেউ পায় না, কেউ সহজে, কেউ অনেক পরে। তকদির আল্লাহ্ জানেন।
আর তকদিরে বিশ্বাস রাখতেই হবে, কারণ মানুষের সব তাঁর পক্ষ থেকেই হয়। 'মানুষ তাই পায় যা সে করে'। আল্লাহু আলম।
বি দ্রঃ সবার জীবনে একি ঘটনা ঘটে তা নয়।
তো শুরু হোক আজকে থেকেই।
(চলবে)
PhD পর্ব ৪: জার্মানিতে পিএইচডি করার পথ কয়টি?
পথ দুটি -
১, স্বতন্ত্র বা গতানুগতিক PhD:
এই পথে নিজেই নিজের প্রজেক্ট দাড় করাতে হয়, রিসার্চ প্রপোজাল তৈরি করতে হয়, এবং তা দিয়ে আবেদন করতে হয়। এবং ভাগ্য ভাল হলে তা একসেপ্ট হবে ও ছাত্র স্কলারশিপ পাবে। এইখানে নিজেই নিজের কাজ সম্পূর্ণ ভাবে করার সুযোগ পায়। তবে সুপারভাইজার তাকে পরামর্শ দিবে ও থিসিস লেখাতে সাহায্য করবে। এই পদ্ধতিতে ছাত্র তার পুরো পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩-৫ বছর সময়ের মধ্যে ডিগ্রি শেষ করে। এক্ষেত্রে কাজের নমনীয়তা থাকে বা ইচ্ছা অনুযায়ী সময় সাজিয়ে নেয়া যায়। নিজের মত করে শিখার সুযোগ থাকে অনেক কিছু।
এই গতানুগতিক ডিগ্রিগুলো করতে প্রথম যে কাজটি করতে হয় তাহলো কোথায় করব নির্বাচন করা ? তিন যায়গায় করা যায়। ১, ইউনিভার্সিটি, ২, নন ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অরাগানাইজেশন**, ৩, ইন্ডাস্ট্রি**। এর পরের কাজ হচ্ছে সুপারভাইজার ম্যানেজ করা। তাঁকে সহ প্রপোজাল ঠিক করা ও সাবমিট করা। আবার প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেও করা যায় যেমন DAAD এর মাধ্যমে।
*** www.daad.de/research-explorer
*** http://www.hochschulkompass.de/en/home.html
** http://www.research-in-germany.de/…/…/Category-Overview.html
২, কাঠামোগত PhD:
কাঠামোগত বলা হয় কারন এই প্রোজেক্ট গুলো খণ্ডকালীন চাকরির মত। জার্মান সিস্টেমে আপনার বেতনভাতা দেয়া হবে। জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর প্রফেসর বা রিসার্চারেরা প্রোজেক্ট দাড় করিয়ে তা অফার করে। প্রতিবছর প্রায় ৭০০ এর বেশি অফার/প্রোগ্রাম থাকে। এটা অন্যান্য দেশের ইংরেজি মাধ্যমের মতই অনেকটা। এখানে একজন বা একাধিক সুপারভাইজার থাকবে বা গ্রুপ থাকবে যারা সবসময় গাইড করবে ও পরামর্শ দিবে। থাকে ইন্টেনসিভ কেয়ার, যাতে করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সে ডিগ্রি শেষ করতে পারে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সেমিনার , প্রেজেন্টেশন ও কোর্স করা লাগতে পারে বা কিছু সময় ইন্টার্নই বা অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করা লাগতে পারে। এতে করে তার অনেকগুলো স্কিল খুব তাড়াতাড়ি আয়ত্ত হয়। যেমন, সাইন্টিফিক লিখা, প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি। এইখানে প্রজেক্টটিকে পুরো PhD প্রোগ্রামের সাথে মিলিয়ে নিতে হয়।
প্রতিষ্ঠান বা ভার্সিটি এই পিইচডি গুলো অফার করে বিভিন্ন ট্রেনিং/রিসার্চ গ্রুপে বা গ্রাজুয়েট স্কুলে যেটার অর্থায়ন করে জার্মান রিসার্চ ফাউন্ডেশন (DFG)* বা এক্সিলেন্স ইনিটিয়েটিভ** বা কাউন্সিল।
*http://www.dfg.de/…/research_fun…/programmes/list/index.jsp…
**http://www.excellence-initiative.com/start
(চলবে)
PhD পর্ব ৫- 'বিষয়, স্টাডি এরিয়া খুঁজে বের করা, সুপারভাইজার ম্যানেজ করা ও ইমেইল করা '
শুরু করার আগে বলে রাখি, জার্মানিতে সাধারণত পিএইচডি তে জয়েনিং সারা বছর ধরেই হয়, তবে অনেক সময় শুরু হয় অক্টোবর থেকে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণঃ 'স্কলারশিপ পিএইচডি'র জন্য ৬ মাস বা ১ বছর আগে থেকেই সব শুরু করা লাগে। আর 'অফারড পিএইচডি'র সারকুলার ১-৬ মাস আগে দেয়। তাই অধিকাংশ অফার, সার্কুলার কিন্তু অলরেডি হচ্ছে বা হয়ে গিয়েছে বা হবে। কিছুর হয়ত এখন ও সময় আছে। আবার কিছু আছে সারা বছর যাবত ই হয়। তাই বসে থাকা বা দেরী করা ঠিক হবে না।
এবার আসা যাক, কিভাবে স্টাডি এরিয়া খোঁজা শুরু করবঃ
১। আপনার ডিপার্টমেন্ট বা ফ্যাকাল্টি খুঁজে বের করুন। আপনি জানেন না কিভাবে বের করবেন ! সোজা চলে যান নিচের লিংকগুলোতে। যদি মিল মত খুঁজে না পান তাহলে গুগল সার্চ দিন । আপনার টপিক, ডিপার্টমেন্ট বা ফ্যাকাল্টি খুঁজে বের করুন। তবে হা ধৈর্য না থাকলে এই পোস্ট ই আর পড়ার দরকার নাই। যারা মোটামুটি ধৈর্য ধরে এখন ও আছেন। খুঁজে বের করুন আপনার বিষয়। এর পর একটি লিস্ট করুন। কি কি পেলেন (সুযোগ, আপনি যোগ্য কিনা, কোথায় এপ্লাই করতে হবে, ইমেইল বা কোন প্রেফেসর, কে বা কার কাজকে আপনার পছন্দ হয়েছে এই বিষয়গুলো) সে অনুযায়ী আবেদন ক্রুন।
* PhD ডাটা বেইজ> https://www.daad.de/…/pro…/phd/en/13306-phdgermany-database/
২। এবার আসি কিভাবে প্রফেসর / সুপারভাইজার ম্যানেজ করবেন। এটা খুব সহজ, আবার খুব কঠি্ আবার মাঝে মাঝে বিরক্তিকর। তাই ধরাবাঁধা কোন নিয়ম নেই। তবে এই বিষয়ে কিছু ট্রেন্ড আলোচনা করা যেতে পারে। যেমনঃ
- অনেক প্রফেসর বা সুপারভাইজার আপনার মেইল নাও পড়তে পারে
- মনোযোগ আকর্ষণ করে এমন কিছু ইমেইলের সাবজেক্ট লাইনে লিখতে হবে
- To the point এ লেখা, হাবিজাবি না লেখা (সেটা কি, নিচে আছে)
- তাঁর কাজ কারবার, মানে রিসার্চ সম্পর্কে অগ্রিম কিছুটা ধারনা রাখা (কি নিয়ে কাজ করে, দুই একটা আর্টিকেলে চোখ বুলানো)
- প্রথম ইমেলে টাকা পয়সা কত দিবে জিজ্ঞাস না করে , পড়ালেখা করতে আপনি আগ্রহী জানানো, এবং যদি ফান্ড লাগে কিভাবে হতে পারে জানা
- ইন্ডিয়ান বা বাংলাদেশী টার্ম গুলো না লেখা, যেমনঃ 'আমি L4 S 2 তে আছি', 'আমি DU তে পড়ি', 'SSC' , 'অমুক তুমুক না লিখা।
* একটি ইমেইল কেমন হবে তার নমুনাঃ https://biology.nd.edu/…/example_of_emails_sent_to_a_profes…
* দেখামাত্রই বাতিল হবে ও একটি ভাল ইমেইল কেমন হতে পারেঃhttp://theprofessorisin.com/…/how-to-write-an-email-to-a-p…/
৩। কিছু কিছু PhD position আছে প্রফেসর ম্যানেজ করতে হয় না। শুধু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দিয়ে আপ্লাই করতে হয় (PhD পর্ব- ৯ এবং ১০ দেখা যেতে পারে)।
উপরে বর্ণিত সব কিছুই তাত্ত্বিক আলোচনা, সব সময় যে সত্যি হবে কোন নিশ্চয়তা নেই, আইডিয়া মাত্র। সুতরাং PhD খোঁজার মাঠে নেমে পড়া শ্রেয় নয় কি?
(চলবে)
PhD পর্ব ৬ - 'DAAD Scholarship'
কাদের জন্যঃ যারা মাস্টার্স বা সম মান শেষ করেছেন
কতদিনেরঃ ৩ বছর, কিছু ক্ষেত্রে ৪ বছর
স্কলারশিপে কি কি দিবেঃ • বৃত্তি হিসেবে প্রতিমাসে ১০০০ ইউরো • বাংলাদেশ টু জার্মানি বিমান ভাড়া এককালীন• ইউনিভার্সিটি টিউশন ফি ছাড় • DAAD হেলথ ইন্সুরেন্সটি বহন করবে• শুরুতে ৬ মাসের ভাষা শিক্ষা (টিউশন ফি, বাসা, কিছু পকেট খরচ)• বউ/স্বামী জন্য একটা নির্ধারিত টাকা, অতিরিক্ত বাসা ভাড়া *শর্তসাপেক্ষ
যোগ্যতা ও শর্তঃ• ফার্স্টক্লাস মাস্টার ডিগ্রি, বা ডিপ্লোমা, কিছু স্পেশাল ক্ষেত্রে ব্যাচেলর• পড়াশুনার বিরতি (মাস্টার্স থেকে এপ্লাই পর্যন্ত মাঝখানের সময়) ৬ বছরের বেশি থাকা যাবে না• জার্মান প্রফেসর বা সুপারভাইজার থেকে প্রাপ্ত এক্সেপ্টেন্স লেটার যেখানে ইউনিভার্সিটির প্যাডে একটি পরিষ্কার রেফারেন্স ও সুপারভিশনের কথা উল্লেক থাকবে।
• ভাষাঃ ইংরেজির দক্ষতা দেখাতে হবে ন্যাচারাল সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এ। আর সাথে কিছুটা জার্মান জানা লাগবে আর্টস, সোশ্যাল সায়েন্স, ল্য এর ক্ষেত্রে (*তবে দেখে নিতে হবে)
অথবা
• ইউনিভার্সিটি কর্তৃক ভর্তি পত্র বা এডমিসান লেটার (সরাসরি PhD প্রোগ্রাম)• একটি রিসার্চ প্রপোজাল যেখানে কাজের শিডিউল ও অতিত কাজের বর্ণনা থাকবে• এপ্লিক্যান্ট বাংলাদেশে বসবাস করে এমন হতে হবে বা জার্মানিতে ১৫ মাসের কম সময়ের জন্য ছিল এমন হতে হবে। জার্মানিতে ১৫ মাসের বেশি বাস করেছে এমন প্রার্থী যোগ্য নয়
অনলাইনে আপ্লাই করতে হবে। (http://goo.gl/P35uQL)
কি কি কাগজপত্র লাগবেঃ
• পুরনকৃত অনলাইন ফরম
• CV বা বায় ডাটা , সর্বোচ্চ ৩ পাতা
• প্রফেসর থেকে পত্র যেখানে লেখা থাকবে সে আপনাকে গাইড করতে আগ্রহী। বা এডমিশন লেটার বা এমন কোন প্রমাণ যে আপনার এডমিশন বিবেচনা করা হয়েছে।• রিসার্চ প্রপজালঃ প্রোজেক্ট এর বর্ণনা ও খরচ ও সময়সূচী সহ সর্বোচ্চ ১০ পাতার একটি লিখিত প্রপোজাল । যেখানে সুপারভাইজার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিষের এগ্রিমেন্ট থাকবে এমনকি পূর্বের রিসার্চের তথ্য ও থাকতে পারে। • সকল সনদ ও মারকশিটের সত্যায়িত ফটোকপি (স্কানড ফাইল বা PDF)। ইংরেজি বা জার্মান ভাষার হতে হবে।
• IELTS: Band 6, for TOEFL: 550 paper based, 213 computer based, 80 internet based
অলরেডি প্রজেক্ট রেডি সেক্ষেত্রে -• ইউনিভার্সিটির সরাসরি এডমিশান লেটার বা একসেপ্টেন্স লেটার • লিস্ট অফ পাবলিকেশন । সবমিলিয়ে সর্বচ্চ ১০ পাতা। • সকল সনদ ও মারকশিটের সত্যায়িত ফটোকপি। ইংরেজি বা জার্মান ভাষার হতে হবে।
*** অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখঃ ১লা অক্টোবর
পরে -
অ্যাপ্লিকেশান সামারি, হেলথ সার্টিফিকেট ও সদ্য সাইন করা ২ টি রেফারেন্স লেটার DAAD হেড অফিসে পাঠাতে হবে। বিস্তারিতঃ https://goo.gl/0whkXU
অনলাইন এপ্লিকেশন এর নিয়মঃ http://goo.gl/P35uQL
স্কলারশিপের তালিকাঃ https://goo.gl/vhG6im
PhD পর্ব ৭ঃ জার্মানিতে সুপারভাইজার খোঁজা
জার্মানিতে কোন কেন্দ্রীয় ভর্তি নেই বা ডক্টরেট ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট কোন অফিস নেই। তাই সঠিক ভাবে অগ্রসর না হলে PhD পাওয়া দুরহ। অতএব, আপনার প্রথম ধাপ হচ্ছেঃ
- একজন উপযুক্ত অধ্যাপক খুঁজে বের করা বা রাজি করানো, যিনি আপনার সুপারভাইজার হতে পারে অথবা
- ওপেন পিএইচডি সার্কুলার খুঁজে বের করা।
#### অনুসন্ধানের জন্য টিপস
১) আপনার বর্তমান সুপারভাইজারস বা অধ্যাপক বা বিশ্ববিদ্যালয় জার্মানিতে একটি উপযুক্ত বিভাগের বা সম্ভাব্য সুপারভাইজারের সাথে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারে, বা পরামর্শ দিতে পারে বা কিছু লিঙ্ক ধরিয়ে দিতে পারে ( এটি বেশি মূল্যবান, তাই আপনার বর্তমান সুপারভাইজারের সাথে খাতির রাখুন)।
২) আরেকটি উপায় জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট বা ডিপার্টমেন্ট গুলো সার্চ করা, আপনার অতীত পড়াশুনার আলোকে খোঁজা, প্রাসঙ্গিক রিসার্চ গ্রুপ খোঁজা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । অনুরূপ ইন্সটিটিউট বা ডিপার্টমেন্ট সন্ধান করার জন্য নিচের অনলাইন সার্চ ইঞ্জিন বা লিঙ্ক গুলো সাহায্য করতে পারে। এতে করে আপনি একটি উপযুক্ত সুপারভাইজার খুঁজে পেতে পারেন:
# সার্চ ইঞ্জিন বা লিঙ্ক সমূহ
* www.daad.de/research-explorer
(এগুলো জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় এবং নন-বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এখানে ১৯০০০ হাজারের বেশি ইনস্টিটিউট আছে)
( এই ডাটাবেজ জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারন্যাশনাল অফিস এবং জার্মানিতে ডক্টরেট অধ্যয়নের জন্য সুযোগের উপর তথ্য দিয়ে তৈরি)
### অনুসন্ধানের পর
আপনি একটি সম্ভাব্য সুপারভাইজারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তার নিকট সরাসরি আবেদন করুন (যেটা প্রযোজ্য, ইমেইল ও করতে পারেন)। আপনি বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারেন তাঁকে। সেও আপনাকে প্রশ্ন করতে পারে। ইমেইল , আবেদন বা এপ্লাই করার সময় আপনি আপনার পূর্বের একাডেমিক সাফল্য, মাস্টার্স থিসিসের বিষয় , সাবজেক্ট এরিয়া এবং আপনি যে বিষয়ে স্পেশিয়ালিস্ট হতে চান তা উল্লেখ করুন বা জানান। আপনার অ্যাপ্লিকেশনের সাথে একটি সুচিন্তিত (আপনার নিজস্ব ) রিসার্চ প্রপোজাল দিতে ভুলবেন না।
# ভাগ্য যদি সুপ্রসন্ন হয়
সুপারভাইজার রাজি হলে ওই ইউনিভার্সিটি বা বিভাগ বা ডক্টরেট কমিটি আপনাকে ডক্টরেট প্রার্থী হিসেবে আপনার যোগ্যতা নিশ্চিত করতে বলতে পারে (requirement পুড়ন করা) বা নির্দিষ্ট নিয়মে এপ্লাই করতে হতে পারে।
শেষ কথা কয়েকটিতে আবেদনে সফল না হলে । হাল ছাড়া যাবে না।
(চলবে)
PhD পর্ব ৮ঃ রিসার্চ বা প্রোজেক্ট প্রপোজাল
A B SIDDIQUE BIPLOB·SATURDAY, OCTOBER 8, 2016
রিসার্চ প্রপোজাল PhD এর অন্যতম বড় একটি অংশ। এর উপর ভিত্তি করে একজন PhD ছাত্রের গবেষণা দাঁড়ায়। তাই এর সম্পর্কে জানা ও তৈরি করার ব্যাপারে যত্নবান হতেই হবে। এটা এমন না যে কারো একটা প্রপোজাল কপি পেস্ট বা একটু পরিবর্তন করে দিলেই সুন্দর একটি প্রপোজাল হয়ে যাবে। বরঞ্চ এরকম করলে লাইফ হেল হয়ে যাবে :D । তবে ফরমেট নিতে পারেন।
এই ধরনের প্রপোজাল তৈরি একটু সময় নিয়ে করতে হয়, তবে একবারেই কঠিন নয়। এই নিয়ে অনেকেই আগে লিখেছেন তাই আমার কাছে নতুন করে লিখার কিছু নেই। তাদের নির্বাচিত লেখা গুলিই (নিচে দ্রষ্টব্য) আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি কিছু লিঙ্ক দেয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে করে আপনাদের উপকার হয়। বিশেষ করে জার্মানিতে আপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে DAAD স্কলারশিপ এর কথা সামনে চলে আসে। তাই এই স্কলারশিপে র জন্য প্রোজেক্ট বা রিসার্চ প্রপোজাল কেমন হতে হবে জানা জরুরী? তা নিচে পাবেন। এছাড়া এই বিষয়ের উপর আর কি কি জানা দরকার, তাও যুক্ত করার চেষ্টা করেছি। তবে ধৈর্য ধরে না পড়লে এর কিছুই আয়ত্ত করা সম্ভব হবে না। তাই --
Have a nice reading ! :)
নির্বাচিত লেখা ও লিঙ্ক সমূহ
DAAD স্কলারশিপ এর জন্য রিসার্চ প্রপোজাল কেমন হবে goo.gl/BqmOGB , goo.gl/ZWHe6V
DAAD এর জন্য একটি সম্ভাব্য ফরমেট goo.gl/UuvHMS
DAAD, সাধারণ প্রশ্ন goo.gl/8SJci5
কীভাবে পিএইচডি ফান্ডের জন্য আবেদন করবেন goo.gl/Sa3cpt
রিসার্চ প্রপোজাল করবেন যেভাবে goo.gl/4gyhcX
হাউ টু রাইট অ্যা রিসার্চ প্রপোজাল? - ১ goo.gl/x9dj7O
হাউ টু রাইট অ্যা রিসার্চ প্রপোজাল? - শেষ পর্ব goo.gl/YhQ1tL
রিসার্চ প্রপোজালের দরকারী তথ্য goo.gl/d3cCtx or goo.gl/FPQhtJ
কিছু ন্মুনা/ ফরমেট goo.gl/mLSWCX
প্রজেক্ট প্রপোজাল goo.gl/F3cm42
আরও জানতে হলে, পড়তে হবে goo.gl/JOm8wv
(চলবে)
PhD পবব ৯ঃ কোথায় খুুঁজব PhD পজিশন
আমরা সাধারণত PhD খুঁজে পাইনা। কারন কোথায় খুঁজব সে সম্পর্কে খুব একটা ভাল ধারনা থাকে না। আমরা সাধারনত স্কলারশিপ ডাটাবেজ গুলো খুঁজে বেড়াই। কিন্তু এই ডাটাবেজ গুলো ছাড়াও আর অনেক সাইট ডাটাবেজ আছে যেখানে ৯০% PhD এর সার্কুলার হয়। এইরকম কয়েকটি সাইট ও লিঙ্ক নিচে দেয়া হল
1. DAAD ডাটাবেজ https://goo.gl/GvCT9U
2. COMPASS http://goo.gl/uLqlqE
3. একাডেমিক Academics.de/.com
5. drarbeit.de
6. findphd.com
7. jobvector.de
9. https://www.linkedin.com/jobs/
10. studyportals.com
11. naturejobs.com
12. https://www.euraxess.de/jobs/search
13. PhD Funding: http://goo.gl/dPsI3y
-
PhD পবব ১০ঃ একঠট PhD সাকুবোলরর ব্যাবচ্ছেদ, পোস্টমর্টেম
পরে আপলোড করব
পিএইচডির ইতিহাস পর্বঃ ১১
PhD এর মানে ডক্টর অফ ফিলসফি। কিন্তু ফিলসফি মানে তো দর্শন। মানে দর্শন শাস্ত্র ! তাহলে কি সবাই দর্শন শাস্ত্র নিয়েই গবেষণা করে! কিন্তু না, একেকজন তো একেক বিষয়ে পিএইচডি করে! কিভাবে?
আসলেই এটা একটা দর্শন তবে বিষয়টা শুধু দর্শন না। এটার পিছনে একটা মজার ব্যাপার আছে। ব্যাখ্যা করা যাক- এখানে এই ফিলসফি শব্দটা ব্যাপক অর্থে ব্যাবহার হয়েছে। গ্রিক ভাষায় ফিলসফি মানে সোজা বুঝায়ঃ 'Love of wisdom' বা তাঁদের কাছে বিষয়টা হচ্ছে 'জিবনের মানে জানার' আগ্রহ। জ্ঞানের আলোকে সিদ্ধান্তে পৌঁছার প্রজ্ঞা। ইউরোপে জ্ঞানের সব সেক্টরকেই তাঁরা ফিলসফির বা দর্শনের আওতায় চিন্তা করত। তাই তাঁরা সব কিছুর মধ্যেই ফিলসফি খুঁজত।
সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি হচ্ছে এই পিএইচডি একসময় মাস্টার্স পাশের সমানই ছিল। নামে ভিন্ন হলেও মান একই ছিল। সম্ভবত সর্বপ্রথম পিএইচডি এওয়ার্ডে ভূষিত করা হয় ১১৫০ সালে, প্যারিসে। তখন মেডিয়াভাল যুগ ছিল, তখন ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই সুতায় গাঁথা ছিল। অর্থাৎ ইউরোপের দেশগুলোর নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একটা ক্লাস্টার আকারে ছিল। উনবিংশ শতাব্দীতে এসে এই ডিগ্রির মান বাড়ে এবং তা স্বতন্ত্র হিসেবে ভীত লাভ করে। তবে এই ডিগ্রির ব্রান্ডিং এর পিছনে অবদান জার্মানিরই বলতে হবে।
১৬৫২ সালের আগে কোন জার্মান পিএইচডি অর্জন করে নি। ১৮১০ সালের পর জার্মান পড়াশুনা ও কারিকুলামে পরিবর্তন আসে। পরিবর্তন আসে তাঁদের শিক্ষা ব্যাবস্থায়ও। উনিশ শতকের মাঝামাঝি তাঁরা বিদেশি ছাত্রদের আকর্ষণ করার জন্য এই ডিগ্রিকে অগ্রাধিকার দেয়। জার্মানির টার্গেট ছিল অ্যামেরিকার ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের দেশে আসবে ও পড়াশুনা করবে এবং ভাল গবেষণা করবে আর আখেরে দুই দেশেরই লাভ। আসলে হয়েছিলও তাই! দলে দলে আমেরিকান ছাত্ররা চলে এল এই দেশে। তখন অ্যামেরিকার কলেজে ব্যাচেলর শেষ করেই তাঁরা পিএইচডি পড়তে চলে আসত জার্মানিতে। এটা আমেরিকানদের এতটাই চিন্তিত করেছে যে তাঁরা অবশেষে পিএইচডি প্রোগ্রাম খুলতে বাধ্য হল। আর তখনি শুরু হয় পুরোদমে থিসিস লিখা ও জমা দেয়া আর ডিগ্রি নেয়া। পরে এই ডিগ্রি ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও চালু হল এবং ভিন্ন ভিন্ন ফ্যাকাল্টির নামে দেয়া শুরু হল। এই ডিগ্রি মাস্টার্সের উপরে উঠল এবং দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। যার কারনেই আমরা দেখি
প্রতি বছর আমেরিকা থেকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ পিএইচডি করে, আর ২য় হচ্ছে জার্মানি।
--- আবু বকর সিদ্দিক বিপ্লব
উৎসঃ https://cs.wikipedia.org/wiki/Ph.D.
কে কেন পিএইচডি করেন?! পর্বঃ ১২
আমাদের অনেকের পিএইচডি নিয়ে ভুল ধারনা আছে। বা জানে না তা কে, কি, কেন করবে। অনেকটা এই রকম 'PhD কি জিনিস!! খায় না মাথায় দেয়'। তাই PhD র উদ্দেশ্য সম্পরকে কিছু সরল গরল আলোচনা করা যাক।
যিনি পিএইচডি করেন তাঁর একটা না একটা উদ্দেশ্য থাকেই। হয়ত অনেক গুলো উদ্দেশ্যও থাকে। আমার এই ছোট্ট জীবনে অনেককে এই ডিগ্রি অর্জন করতে দেখেছি ও সিদ্ধান্ত নিতে দেখেছি এবং নিজেও কিছু উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি। তাঁর আলোকেই লিখছি- কে কেন পিএইচডি করে!?
আমাদের দেশের যারা পিএইচডি করেন তাঁদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা কোন রিসার্চ প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবী। সরকারী ও রিসার্চ প্রতিষ্ঠানের ব্যাক্তিদের পিএইচডি করার পিছনে দুটি কারন আমি খুঁজে পেয়েছিঃ
১। প্রমোশন পাওয়া। এটি একটি প্রধান উদ্দেশ্য কারন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গুলোতে একটা সিস্টেম আছে যে, পিএইচডি ছাড়া প্রফেসর বা সিনিয়ার অফিসার বা অন্য পদে পদাশীন হওয়া কঠিন বা লম্বা পথ বা কিছু ক্ষেত্রে অসম্ভব। তাই ক্যারিয়ার ও প্রমোশনের কথা ভেবেই তাঁরা পিএইচডি করেন।
২। অনেকে রিসার্চকে ভালবেসেই পিএইচডি করেন যাতে করে দেশে গিয়ে কিছু গবেষণা করা যায় বা প্রতিষ্ঠানে নতুন কিছু বা প্রযুক্তি যোগ করা যায়।
আর উপরের বাহিরে যারা, যারা নিজে নিজে পিএইচডি করেন তাঁরা বিদেশে প্রথমে মাস্টার্স করে থাকেন (অথবা সরাসরি পিএইচডি করেন)। মাস্টার্সের পর তাঁদের সামনে অনেকগুলো পথের মধ্যে একটি পথ হল পিএইচডি করা। তাঁরাও বিভিন্ন উদ্দেশ্য কে সামনে এই ডিগ্রি করে থাকেনঃ
১। অনেকে নিজের আগ্রহ থেকেই করেন। কিছু আবিষ্কারের/জানার নেশায় প্রচণ্ড আগ্রহ।
২। অনেকে বিদেশে সেটেল হওয়া অর্থাৎ ভিসা ঠিক রাখা/ পিআর/পাসপোর্ট কে সামনে রেখে পিএইচডি করে থাকতে পারেন।
৩। অনেকে সত্যিকারের একাডেমিক শিক্ষক/রিসার্চার হওয়ার জন্য এই ডিগ্রি অর্জন করে থাকেন।
৪। অনেকে পিএইচডি করেন আবেগের বশে। পরে নিজেকে মানিয়ে নেন রিসার্চের পথে।
৫। অনেকে অনেক নাম হবে হয়ত এই জন্যই পিএইচডি করেন। যেটা নাম সর্বস্ব। দেশে তাঁদের অনেকেই আছেন। বিভিন্ন সময় আমরা তাঁদের জালিয়াতির খবর পাই।
তবে এই এক বা একাধিক দিক বিবেচনা করে অনেকে পিএইচডিই একমাত্র পছন্দের পথ হিসেবে বেছে নেন।
কে কি করছেন?
আমার আশেপাশে যারা বিদেশে আছেন পিএইচডি শেষ করেছেন, তাঁদের মধ্যে মুরুব্বী যারা তাঁদের মধ্যে কয়েকজন আছেন এখন প্রফেসর হিসেবে দেশি ও বিদেশী ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত। কয়েকজনকে চিনি যারা লেকচারার ও সিনিয়র লেকচারার। বিদেশে লেকচারার মানে উনার পিএইচডি আছে, হয়ত পোস্টডকও করেছেন। আমাদের দেশের মত লেকচারারদের সাথে তাঁদের তুলনা করলে ভুল করবেন। উনারা অধিকাংশই আমাদের দেশের সাধারন প্রফেসরদের সমান যোগ্যতা রাখেন।
কয়েকজন পিএইডি ধারীকে চিনি যারা ইন্ডাস্ট্রিতে মুভ করেছেন। অর্থাৎ বিভিন্ন কোম্পানি ও অর্গানাইজেশনে জয়েন করেছেন। কয়েকজনকে চিনি যারা ইউরোপ আমেরিকা ও এশিয়াতে পোস্টডক রিসার্চার অর্থাৎ খণ্ডকালিন (১-৫ বছর) গবেষক। যারা পরবর্তীতে নিজেই একটি রিসার্চ গ্রুপ বা প্রতিষ্ঠিত একাডেমিসিয়ান বা রিসার্চার হন। অথবা তিনি অন্যদিকে ক্য়ারিয়ারকে নিয়ে যান। আবার অনেক কে চিনি যারা দেশে ফিরে শিক্ষক হয়েছেন। এবং এখন নাম করা প্রফেসর। তাঁদের অনেক ছাত্ররা এখন বিদেশে পিএইচডি করছে।
আবার, আমি কয়েকজনকে চিনি যিনি সায়েন্সের পিএইচডি করছেন, কিন্তু পরে শিক্ষকতা ও পিএইচডিকে বাদ দিয়ে দিব্বিই ফটোগ্রাফি করছেন, একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হিসেবে ব্যাবসা দাঁড় করিয়ে ফেলেছন। এটাই এখন উনার পেশা। আবার একজনকে চিনি যিনি পার্লার দিয়েছেন!
তবে শেষ কথা এই, PhD করতে ৩-৫ বছর লাগে, আর এতে লেগে থাকা অনেক চ্যালেঞ্জিং, তাই চিন্তা করেই আগানো উচিত। আর এটা কে কি উদ্দেশ্যে করবেন এবং এটি দিয়ে কি করবেন তা একান্তই ব্যাক্তিগত। "Remember, the PhD is a path, not an end".
PhD পর্ব ১৩ঃ PhD ক্যাচাল
গত কালকে এক পিএইচডি ছাত্রের সাথে কথা হচ্ছিলো। সে বলল, 'ভাই পিএইচডি তে এত কম টাকা দেয় কেন?' যথারীতি এই প্রশ্নে আমার কোন উত্তর নাই।
তাঁর মেনে নিতে কষ্ট হয়। সে বলল 'অথচ এটা একটা দামি জায়গা। ভাল ছাত্রগুলোই তো পিএইচডি করার রিক্স নেয়। একজন পিএইচডির ছাত্র ১০-১২ ঘণ্টাও মাঝে মাঝে কাজ করে'।
সে আরও বলল 'তার পরিচিত একজন মাস্টার্স করে একটা কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছে, বেতন পায় ২৮০০ ইউরো (ব্যাংকে আসে)। আর সে PhD তে পায় ১৪৫০ ইউরো (ফ্যামিলি সহ ১৮৫০)'।
তাঁরে কইলাম 'DAAD ১০০০ ইউরো দিয়ে সবচেয়ে ট্যালেন্ট টারেই উড়াইয়া নিয়ে আসে এখানে, আর তোমার শুরুই ১৪৫০ দিয়ে'। হয়ত উত্তরটা তাঁর কিছুটা ভাল লেগেছে। এটাও বললাম, 'তবে হ্যাঁ, মনে নেশা, আশা ও আনন্দ না থাকলে সব পিএচডি ছাত্রই কত আগেই পিএইচডি রেখে পালাত। কাজের প্রতি ভালবাসা বা বাস্তব অবস্থাই হয়ত তাকে টিকিয়ে রেখেছে।
এর কিছুদিন আগে কথা হচ্ছিল এক চাকরিজীবীর সাথে যিনি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। জার্মানিতে মাস্টার্স করেই ঢুকলেন। তাঁর খুব ইচ্ছে তিনি পিএইচডি করবেন। তাঁকে বললাম বেতন দিবে এইরকম (১৪০০-১৮০০), করবেন? সে বলল, 'ভাই এখনকার বেতনেই (২৮০০) কুলায় না, পিএচডি করলে চলব কেমনে!? কিন্তু পিএইচডিও করতে মন চায়।'
তাঁকে বললাম মন কেন চায় ভেবে দেখুন। 'কেন'-টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার জন্য, ভেবে দেখুন। তারপর যা মন চায় করুন। কারন সুখ আর সার্থকতা কাছাকাছি কিন্তু দুটো ভিন্ন জিনিস। আপনার কোনটা চাই?
অবশেষে কোন সমাপ্তি ছাড়া তাঁদের সাথে কথা শেষ হল।
মনে পড়ল কে যেন বলেছিল 'পিএইচডি একটা পথ, কোন ডেসটিনেশন নয়'। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস PhD নতুন পথ ও গন্ত্যব্যের সন্ধান দিবে, যেটা PhD তাঁদের দিয়ে যাচ্ছে।
PhD পর্ব ১৪ঃ উন্মুক্ত পদ (Open PhD position)
'ওপেন পিএইচডি পজিশন' এর আরেক নাম কাঠামোগত PhD (structural PhD)। এটি একটি খণ্ডকালীন চাকরি। এটি PhD ঘরানায় এক পরিচিত নাম। স্কলারশিপের বাহিরে PhD পাওয়ার এটিই একমাত্র ও আমার চোখে সবচেয়ে ভাল অবলম্বন। যাদের জন্য স্কলারশিপে যাওয়া পছন্দ নয় বা পাওয়া কঠিন তাঁরা অনায়েসে ওপেন পজিশন এ এপ্লাই করতে পারেন এবং PhD র অফার পেতেও পারেন। বাস্তবে ইউরোপে স্কলারশিপের চেয়ে ওপেন পজিশন অনেক অনেক বেশি। সেটা আনুমানিক দশ থেকে বিশ গুন বেশি বা আরও বেশি হতে পারে।
ওপেন পজিশনে PhD করার সুবিদা কি কি ?
১। ৯০% ওপেন পজিশনেই কোন প্রফেসর বা সুপারভাইজার ম্যানেজ করতে হয় না। কারন সেটা ম্যানেজ হয়েই আছে।
২। কোন প্রজেক্ট প্রফোজাল লাগে না। কারন প্রফোজাল পাশ/তৈরি করাই আছে।
৩। টাকা দিবে বেতন স্কেলে হিসেবে, যেটা ঐ দেশে সেটেল হতে খুবই সাহায্য করবে।
৪। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টাকার পরিমান স্কলারশিপের টাকার চেয়ে বেশি। যেমনঃ DAAD দেয় ৯৫,০০০-১,০০,০০০ টাকা, ওপেন পজিশন (TV-13, 65%) ১,৪৫,০০০-১,৮০,০০০* টাকা। * = পরিবর্তনশীল।
৫। PhD শেষে ১ বছর বেকার ভাতার সুযোগ, যা স্কলারশিপ শেষে নেই।
৬। সবচেয়ে আমার চোখে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেটা তা হলো PhD প্রজেক্টটা খুবই আধুনিক ও যুগোপযোগী রিসার্চ মেথড অনুযায়ী হয়। অনেক কিছু শিখা যায় যা ব্যাক্তিকে ইউরোপের রিসার্চার হিসেবে গড়ে তুলে।
এই ধরনের PhD নিয়ে নিচের দুটি লেখা পড়া যেতে পারে, যেখানে এই ধরনের PhD তে আবেদন করার নিয়মাবলী দেয়া আছে এবং এই রকম একটি ওপেন পজিশনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা আছে।
সত্য কথা বলতে কি আমাদের প্রতিবেশী দেশ চীন, ভারত, পাকিস্থান থেকে অনেকেই এই পজিশন গুলোতে অহরহ আসছে ও ভাল করছে। বাংলাদেশীরাও আছে কিন্তু পরিমানে তা খুবই নগণ্য যা হাতে গনা। হয়ত আমরা অনেকেই এটি সম্পর্কে জানি না। তাই আমাদের মেধাবীরা বসে থাকবে কেন? যাত্রা শুরু হোক।
লেখা দুটিঃ
১। PhD পর্ব-৪ঃ জার্মানিতে PhD করার পথ কয়টি?-https://goo.gl/3HqyE6
২। PhD পর্ব-১০ঃ একটি PhD সার্কুলারের ব্যাবচ্ছেদ / বিশ্লেষণ / পোস্টমর্টেম -https://goo.gl/hXBG3G
(চলবে)
PhD পর্ব ১৫ঃ চ্যালেঞ্জ নেয়া
হোটেলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত ১১.০০ টা। রুমে ঢুকেই মনটা ভাল হয়ে গেল। একজন গেস্টের জন্য যত আয়োজন তার সবই আছে এই রুমে। কিন্তু দেখার সময় কই! পরের দিন সকাল থেকে একটি রিসার্চের প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রেজেন্টেশান। গাইড আসবে সকাল ৮ টায় নিতে। তাই বেশী দেরি না করেই ঘুম।
ঘুম থেকে উঠে হোটেলে নাস্তা সেরে আমি ৮ টায় হল রুমে উপস্থিত। দেখি, আমি একা নই! ২০-২৫ জনের একটি দল হয়ে গেল। পরিচয় পর্ব শুরু। কে কোথায় থেকে এসেছে, কেন এসেছে, ইত্যাদি। কেউ এসেছে PhD ভাইভা দিতে কেউবা আমরা পোস্ট ডক্টরেট ভাইভা, মোট ১৫ টা পোস্ট। একটি মেয়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই পাশ থেকে ইংরেজিতে প্রশ্ন ছেড়ে দিল, তোমার বাড়ি কোথায়? জানার পরপরই একটা দম নিয়ে, রিলাক্সের সুরে বলল, 'প্রতিবেশি! আমার বাড়ি কলকাতায়, যাক বাংলা বলতে পেরে খুব ভাল লাগছে' (শিলিগুড়ির বা হাওড়া র পাশে বাসা এইরকম বলল)। বাঙালি শুধু আমরা দুজন। আমাদের কথা বার্তা জমে উঠল। সে কি করে এসেছে, কেন এসেছে, কয়দিনের জন্য, তার অভিজ্ঞতা, আমি কি করি ইত্যাদি ইত্যাদি।
২৫ মিনিটে আমরা সবাই হেঁটে চলে এসেছি, কনফারেন্স হলে।
এই সময়ের মধ্যে আমাদের অনেক কথা হল। যা বুঝলাম, সে কলকাতা থেকে MSc করেছে। সাবজেক্টের টপিকের সাথে তার থিসিস টপিকের থিউরিটিক্যাল মিল আছে। সে এপ্লাই করেছে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে,iDiv.de। তার পোস্টে অনেক প্রার্থী। তাঁদের মধ্য থেকে তাঁকে সহ দুইজনকে ওরা 'শর্ট লিস্টেড' করেছে। শুধু তাই নয়! আমাদের প্রত্যকের আশা যাওয়া ও দুইদিনের থাকা খাওয়াও প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে। তাও আবার বুফে, জানলাম দুপুরের খাবার সময়ে। যতজন এসেছি তাঁর মধ্যে সেই একমাত্র ব্যাক্তি, যে প্রায় সাত হাজার মাইল দূর থেকে এসেছে। বললাম তুমি শুধু সাক্ষাতকার দিবে তাই এত আয়োজন! PhD তে নিবে কি নিবে না তার কোন গ্যারান্টি নেই! সে মাথা নেড়ে বলল, 'ভিসা, প্লেন ভাড়া সহ সব খরচও আয়োজকরাই দিচ্ছে'। তার প্রেজেন্টেশান দেখতে পারলাম না। কারন, পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরেট আলাদা আলাদা রুমে। একেক গ্রুপে ৩০-৪০ জন করে প্রফেসররা সহ। আয়োজন দেখে যে কেউ বলবে, চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে রীতিমত কনফারেন্স!!
যাইহোক দিনশেষে ক্লান্ত শরীর টেনে আমি হোটেলে। এরপরের দিন ভাইভা দিয়ে আমরা সবাই লাইফসিগ(শ) শহরটা দেখালাম, আয়োজক কিন্তু তারাই। তাঁকে বাসায় দাওয়াত দিলাম, বললাম আমার বউ তোমাকে ইলিশ খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছে। কিন্তু তাঁর ভিসা শুধু ৫ দিনের তাই তার সময় হল না।
পিএইচডি করার কতটুকু ইচ্ছা থাকলে, একটি বাঙালি মেয়ে এতদূর আসে, একটি PhD পজিশনে ভাইভা দিতে! আর আবেদন করা ও সুযোগ! সে তো খুঁজে নিতে হয়।
PhD পর্ব ১৬ঃ কেন পিএইচডি পাচ্ছি না?
একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। ৩ বছর আগের ঘটনা। আমি পিএইচডি শেষ করার পর পোস্টডক খুঁজছি। খেয়াল করলাম, আমি যত না পোস্টডক খুঁজে পাচ্ছি তার চেয়ে বেশি খুঁজে পাচ্ছি পিএইচডি পজিশন। অবাক হলাম। আরে! এই পিএইচডি পজিশন গুলো আগে কোথায় ছিল? ৩ বছর আগে এগুলোই 'কত' খুঁজেছি! চিন্তা করতে থাকলাম কেন তখন PhD খুঁজে পেতাম না?
আজকে এর উত্তরটা খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু উত্তরটা একটা পরীক্ষা দিয়ে বুঝাতে চাই। পরীক্ষাটার নাম 'প্রজাপতি দেখা'*। ধরুন, আমার এই পোস্ট এই মুহূর্তে ১০০ জন পড়ছেন। যারা পড়ছেন তাঁদেরকে আমি যদি জিজ্ঞেস করি আপনি শেষ কবে প্রজাপতি দেখেছেন? ৫ থেকে ১০ জন হয়ত শেষ ২ মাসে দেখে থাকতে পারেন। ধরে নিলাম এই সংখ্যাটা কিছুটা বেশিও হতে পারে। এখন যারা শেষ ২ মাসে বা ৬ মাসে প্রজাপতি দেখেননি, অর্থাৎ বাকি ৯০ জন কে যাদি বলি আপনি আগামিকাল সকাল থেকে প্রজাপতি দেখার ইচ্ছা পোষণ করে বের হবেন। শুধু মাথায় রাখবেন, আর বেশি কিছু না। তাহলে প্রবল সম্ভাবনা আছে আপনি ২ দিনের মধ্যেই প্রজাপতি দেখতে পাবেন। আর এটাই প্রাজাপতি দেখা পরীক্ষা।
আমাদের পিএইচডি খুঁজে না পাওয়ার কারন এই প্রজাপতি পরীক্ষার মতই। আমরা এতই ব্যাস্ত যে আমার পিএইচডি পজিশান খোঁজার কথা মাথায় থাকে না বা শক্তি থাকে না বা শক্তি কাজে লাইগাই না। মাসে বা সপ্তাহে একদিন কোন রকম ১০ মিনিট খুঁজেই শেষ। এক কথায়, আমি পিএইচডি খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা খোঁজার ক্ষেত্রে শক্তি ব্যায়ে ইচ্ছুক নই, ফোকাসড নই। আমাদের ভিতরে সম্ভবত পিএইচডি সার্কুলার/ প্রজাপতি খোঁজার ধারাবাহিক ইচ্ছাই নেই, সেখানে আবেদন করাতো অনেক দূরের কথা। ইন্টার্ভিউ ও অফার পাওয়া তো আরও দূরে। আমারা নিজেদের সম্ভাবনা ভুলে যাই। স্মরণ থাকে শুধু এটাই যে আমি মনে হয় পিএইচডি পাব না। আমরা মনে করি প্রজাপতিটা কেউ একজন ধরে আমার জন্য নিয়ে আসবে। যা খুব কমই হয়। এটা আমার মধ্যেও ছিল। তাইতো বেশি পিএইচডি খুঁজি নাই, তাই পাইও নাই। প্রফেসর নিজের শক্তি খরচ করে, প্রজাপতি খোঁজার কাজটা নিজে করে আমাকে একটা লিঙ্ক দিয়েছিল। শুধু তখনই আমি আবেদন করেছি। আল্লাহ চেয়েছেন, তাই পিএইচডি টা পেয়েছিলাম। এই অভিজ্ঞতা থেকেই পিএইচডি করা কালিন আমার ল্যাবের মাস্টার্সের ছাত্রটিকে বললাম, প্রজাপতি দেখার ইচ্ছাটা মাথায় রাখ। সে করেছেও তাই। সে ডিপেন্স দেয়ার ২-৩ মাস পরে এসে বলে ভাই চারিদিকেই তো প্রজাপতি, ৪ টা প্রজাপতি আমার হাতে এসে বসেছে একসাথে, কোনটা ধরি কোনটা ছাড়ি!? তার মানে, সে পিএইচডি খুঁজেছে মাথায় রেখে, আবেদন করেছে, তার মধ্যে ৪টি জায়গা থেকে পিএইচডি অফার চলে এসেছে। সে মধুর বিপদে পড়েছে! কোন পিএইচডি টা করবে এটা নিয়ে :) তাই বলি, আমাদের আশেপাশেই পিএইচডি পজিশান/সারকুলার/স্কলারশিপ আছে। কিন্তু আমরা খুঁজে পাচ্ছিনা?! কেন!? কারন আমরা খুঁজতে ইচ্ছুক নই বা মাথায় থাকে না বিষয়টা। খুঁজে পাব বলে বিশ্বাস করি না। বা বিশ্বাস করি না যে এই পজিশান গুলো আমার আশেপাশেই আছে। তাই যখন কেউ PhD পায় সে বলে ভাই আমি PhD পাব বলে বিশ্বাসই করিনি।
তাই আজ থেকে সবাইকে বলব হয়ে যাক নিজেকে নিয়ে প্রজাপতি পরীক্ষা। আর চেষ্টা করি নিজের সম্ভাবনা চেখে দেখার। সেটা যে কোন কিছুই হতে পারে, মাস্টার্স বা পিএইচডি বা পোস্টডক।
*প্রজাপতি পরীক্ষার কথা জানলাম বাংলাদেশী জনাব মাহমুদুল হাসান সোহাগ (rokomari.com) থেকে। তিনি একটা বই পড়েছিলেন নাম 'e-squared', লেখক 'পাম গ্রাঊট'। সেখানে এইরকম নিজেকে নিয়ে ৯টি পরীক্ষার কথা বলা আছে। নিজেকে যাচাই করার পরীক্ষা কিন্তু খারাপ না। আজকে এই পর্যন্তই।
(২.৫ বছর আগের লেখা)
PhD পর্ব ১৭ঃ PhD, স্কলারশিপ না ওপেন পজিশন?
সাধারনত পিএইচডি দুটি উপায়ে পাওয়া বা করা যায়। একটি স্কলারশিপ আর আরেকটি সরাসরি ওপেন পজিশন থেকে। সংখ্যায় স্কলারশিপ বেশি না ওপেন পজিশন বেশি?
উত্তরঃ অবশ্যই ওপেন পজিশন!
সারা পৃথিবীর পিএইচডি পজিশন গুলোকে এক জায়গায় করলে দেখা যাবে আনুমানিক ৫-১০% (বা তারও কম) পিএইচডি পজিশন গুলো হচ্ছে স্কলারশিপ বেইজড যা প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে ওপেন হয়। আর বাকি ৯০% পিএইচডি পজিশন হচ্ছে ওপেন অর্থাৎ সার্কুলার পিএইচডি, যা সারা বছরই পাওয়া যায়। এখন আমরা যদি শুধু স্কলারশিপ পিএইচডি-র পানে চেয়ে থাকি আর সময় নষ্ট করি তাহলে সেটা হবে বোকামি। যেমন: DAAD স্কলারশিপ। কারন স্কলারশিপ সংখ্যায় অল্প, পাওয়াও অনেক দুষ্কর। আর ওপেন পজিশন পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। অনেক ক্ষেত্রে ওপেন পিএইচডি পজিশন হচ্ছে চাকরি করার মত। টাকা ভাল দেয়, পাশপাশি ট্যাক্স রিটার্ন ও পিএইচডি শেষে একবছরের বেকার বাতা* পাওয়া যায় (চাকরি না পেলে)। *জার্মানি, ডেনমার্ক ও সুইডেন সহ কয়েকটি দেশে এই সুবিধা আছে।
এখন এই ওপেন পিএইচডি পজিশনগুলো কোথায় পাব?
১। প্রতিটা দেশের প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে। সেই ওয়েবসাইটে job, vacancy, career নামে কিছু ওয়ার্ড বা হাইপারলিঙ্ক থাকে সেখানে গেলে আপনি এই কাঙ্ক্ষিত পিএইচডি পজিশান গুলো খুঁজে পাবেন।
২। কিছু পরিচিত ও মোক্ষম ওয়েবসাইটে, যেমন Euraxess.eu, euraxess.de, jobvector, all-acad.com, Linkedin, Researchgate ইত্যাদি ইত্যাদি। এইছাড়া বিভিন্ন বিষয় ও একাডেমিক ডিপার্টমেন্ট ভেদে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থাকতে পারে। সেখানেও উঁকি মারতে হবে। তারপর সুযোগ বুজে আবেদন করতে হবে ও ইন্টার্ভিউ (অধিকাংশ skype) দিয়ে এই পজিশন গুলো বাগিয়ে নিতে হবে।
আপনি পারছেন না! ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি, চাইনিজ রা ঠিকই পারছে। তারা পারলে আপনিও পারবেন। শুধু আগ্রহ ও চেষ্টা থাকতে হবে।
নোটঃ ওপেন পজিশন গুলোও এক ধরনের গ্রান্ট তবে তা প্রফেসর, শিক্ষকরা বা রিসার্চার রা পেয়ে থাকেন। তা দিয়ে তিনি পিএইচডি স্টুডেন্ট নিতে পারেন।
PhD পর্ব ১৮ঃ একটি PhD (ওপেন পজিশন) অফার কিভাবে হয়?
সম্প্রতি আমাদের রিচারস গ্রুপে একটি পিএইচডি সার্কুলার হয়। সেই সার্কুলার আমার ওয়ালে এবং এই গ্রুপে আমি পোস্টও করেছিলাম। ডেডলাইন পার হবার একদিন পর, প্রফেসর আমাকে ডেকে পাঠালেন। আবেদন গুলো স্ক্রিন করার বাড়তি দায়িত্ব দিলেন, নিজেও নিলেন। সেই স্ক্রিনের অভিজ্ঞতাই লিখছি।
সর্বমোট ১৭টি আবেদন জমা পড়ে। সবগুলো আবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দিয়েই জমা পড়ে। সবার সব নথিপত্র (কভার লেটার, সিভি, সনদপত্র ইত্যাদি) একটি পিডিএফ ফাইল হিসেবে আমরা পাই। ১৭ টি আবেদন মিলেই পরে একটি পিডিএফ করে ইউনি আমাদের পাঠায়, যা খুব সহজেই খুঁজে নেয়া যেত। আবেদনকারীদের মধ্যে এক বাংলাদেশি, একজন ইন্দিয়ান, এক ইরানিয়ান, দুই সুইডিশ সহ আরও কয়েকটি দেশের প্রার্থীরা ছিল।
আমি চিন্তা করলাম কিভাবে খুব সহজে 'সর্ট লিস্ট' করা যায়। কভার লেটার ও সিভি থেকে সবার হাঁড়ির খবর বেরিয়ে আসে। সবার আগে আমি সিভি গুলো নিয়ে বসলাম। তাদের পড়াশুনার ডিগ্রিগুলো দেখলাম তারপর কাজের ফিরিস্তি দেখলাম। ৫ জন পেলাম যারা মোটামুটি আমাদের কাজ রিলাটেড কিছু পড়াশুনা করেছে ও টুকটাক কাজ জানে। এবার গেলাম এই ৫ জনের কভার লেটারে। দেখি কার রিলেভেন্সি কত কাছাকাছি? কে পারবে এই পিএইচডি কাজ কমপ্লিট করতে?
কভার লেটার বলছে কে কি করেছে যা আমাদের কাজের সাথে রিলাটেড। কে কত মোটিভেটেড, কেন সে এই পিএইচডির জন্য উপযুক্ত ইত্যাদি ইত্যাদি ছিল সেখানে। কভার লেটার পড়ে ২ জন পেলাম, যারা সব চেয়ে বেশি উপযুক্ত। তাই তাঁদেরকে 'সর্ট লিস্ট' করা হল। প্রফেসর ও আমার স্ক্রিনিংয়ের ফলও একই। বাকি আরও ২ জন ছিল যারা কাছাকাছি, কিন্তু যোগ্যতায় ও প্রাসঙ্গিকতায় তাঁরা একটু দূরে। তাই তাঁদেরকে সিরিয়াল ৩ ও ৪ মার্ক করা হলো। সর্ট লিস্তেড দুজনকে স্কাইপি/জুম ইন্টার্ভিউতে ডেকে ইমেইল দেয়া হলো। প্রফেসর এই সপ্তাহে তাদের ইন্টার্ভিউ নিয়েছে। এই দুইজনের বুকে এখন আশাঃ কবে আসবে সেই মহেন্দ্রক্ষন, সেই ইমেইল!
কাঙ্ক্ষিত বা অনাকাংখিত!
"Dear ...... . .........that we offer you the PhD position ..... .."
আবেদনকারীদের সিভি ও কভার লেটার নিয়ে কথা হবে আরেক দিন।
PhD পর্ব ১৯ঃ একটি সত্যিকারের আগ্রহ নিয়ে লেখা ইমেইল
একই বা কাছাকাছি বিষয়ের সিনিয়রদের/পিএইচডি/পোস্টডক/মেন্টর/ প্রফেসরদের কিভাবে ইমেইল করতে হয় বা কানেক্ট করতে হয়? নিচের ঘটনা ও ইমেইলটি তাঁর একটা চাক্ষুস অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতাটা আমারই।
গতকাল আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি একটি লেকচার দিই। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই ছিলেন। ছিলেন অনলাইনে অন্য অনেকেও। সেই লেকচারে অন্য বিশ্বিবিদ্যালয়ের (Lund university, Sweden) একটি ছেলে জয়েন করে এবং লেকচার শেষে পরিচয় দিয়ে টেকনিক্যাল একটি প্রশ্ন করে, যা আমার রিসার্চের সাথেই সম্পর্কিত ছিল। আমিও আগ্রহ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেই। পরে বিকেলে ইমেইল ইনবক্সে তাঁর একটি ইমেইল পাই। ইমেইলটি নিচে দেয়া হল। সেখান থেকে জানতে পারি সে সম্প্রতি মাস্টার্স পাশ করা একটি ছেলে। তাঁর মাস্টার্স থিসিসের কাজ আমার রিসার্চ ক্ষেত্রের সাথে সম্পর্কিত। তাই সে আমার থেকে এই বিষয়ে আরও শিখতে চায়। তাই সে রিসার্চ এসিস্টান্ট হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী, এখন অথবা ভবিষ্যতে, যখন সুযোগ আসে।
আমি মেইলটি পেয়ে খুশিই হলাম। প্রোএক্টিভ ছেলে। মনে মনে ভাবি আমি যদি কোন কাজে ভবিষ্যতে কাউকে লাগে তাঁকে জানাব বা সোর্স জানাব যদি না সে ততদিনে ফ্রি থাকে। কিন্তু আমার বিশ্বাস, সে অচিরেই কিছু একটা পেয়ে যাবে। কারন সে জানে কিভাবে খুঁজতে হয়, লিখতে হয়, কানেক্ট হতে হয়। মাস্টার্স পাশ ছাত্র হিসেবে সে এখন সারা পৃথিবীতে পিএইচডি করার শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছে।
আমাদের নবীনরা কবে খুঁজবে তাঁদের সিনিয়রদের! কবে লিখবে তাঁদের খুঁজে পাওয়া ভবিষ্যৎ সুপারভাইজারদেরকে?!
"Dear Dr. Abu Bakar Siddique
I attended your seminar today and I must say that it was very interesting!
I am a newly graduated ecologist from Lund University, where I did my thesis on metabarcoding of soil fungal communities. However, during the course of this small thesis project, I did not feel like I had the time to go in depth with this technique (it was only a 30 ECTS thesis), and therefore I am looking to learn more about sequencing of fungal communities elsewhere. I would like to get more hands-on lab experience and hopefully also a deeper insight into the analysis of this kind of community data! In this connection, I was wondering if you by any chance are looking for a research assistant (either now or maybe later)? If so, I would be very interesed!
In any case, I would like to thank you for a nice seminar - and good luck for your future research!
Best regards
Rxxxxx "
PhD (+postdoc) পর্ব ২০ঃ সার্চing
বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেন লেকচারার, প্রফেসর (Assistant, Associate Prof, Prof) এবং রিসার্চার (PI, Postdoc, Researcher) লেভেলের সবাই। তাঁরা তাদের কর্ম ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে ফান্ডের/গ্রান্টের জন্য আবেদন করেন। এই আবেদন করার পরে তারা অপেক্ষা করেন চার-পাঁচ-ছয় থেকে সাত মাস। পরে তারা ফান্ডের/গ্রান্টের সিদ্ধান্ত পান। যারা পান তাঁরা বাংলাদেশি টাকায় কোটি পতি হয়ে যান। ইউরোপের ক্ষেত্রে সময়টা নভেম্বর-ডিসেম্বর। এই সময়ে তাঁরা পিএইচডি এবং পোস্টডক সার্কুলার দেন। এই টাকা তাঁরা শুধুমাত্র পিএইচডি এবং পোস্টডকদের পিছনেই খরচ করেন (নিজের জন্য নয়)।
এই সার্কুলার দেখে যারা আবেদন করেন তাদেরকে ইন্টারভিউর মাধ্যমে সিলেক্ট করে পিএইচডি এবং পোস্টডক হিসেবে নিয়োগ দেন। সাধারণত প্রতি বছরে নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি-মার্চ সময়ে নিয়োগ সবচেয়ে বেশি হয়।
তাই যারা পিএইচডি কিংবা পোস্টডক খুঁজছেন তাদের জন্য এটাই মোক্ষম এবং উপযুক্ত সময় সার্চ করার। বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং তাদের সোশ্যাল মিডিয়া গুলো খুঁজে বের করা ও সেই পোর্টালগুলো থেকে 'ভ্যাকেন্সি' অথবা 'ক্যারিয়ার' অথবা 'জব' লিঙ্ক সার্চ করে সেখান থেকে চলমান পজিশনগুলো খুঁজে বের করা ও আবেদন করা দরকার। তা না হলে আপনাকে হয়ত আবার একটি বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে আগামী বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাই অতি দ্রুত বিভিন্ন দেশে আপনার পছন্দনীয় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘুরে আসুন। পিএইচডি পোস্টডক খ্যাত ওয়েবসাইট গুলো দেখতেও ভুল্বেন না যেন। সেই ওয়েবসাইট গুলো থেকে আপনার কাংখিত পিএইচডি ও পোস্টডক জন্য এপ্লাই করুন।
আবার এর অর্থ এও নয় যে, 'শুধু এই সময়ে পাওয়া যায় অন্যসময়ে পাওয়া যায় না'। অন্যসময়ে আরো বিভিন্ন ফান্ডগুলোর জব বা সার্কুলার দেওয়া হয়ে থাকে এবং সেগুলো থেকেও রিক্রুটমেন্ট হয়ে থাকে। তাই সারা বছরই আসলে রিক্রুটমেন্ট হয়। কিন্তু আমার মতে এই সময়টা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি রিক্রুটমেন্টের সার্কুলার হয়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায়, যেই সময়ে রিক্রুটমেন্ট সবচেয়ে বেশি হয় সেই সময়ে আবেদন করা বা উঠেপড়ে লাগা বুদ্ধিমানের কাজ।
হ্যাপি সার্চing
PhD (+postdoc) পর্ব ২১ঃ স্বপ্ন
হোম অফিসে কাজ করছি। হঠাৎ একটা ফোন কল। তুলে দেখি আমার একজন প্রিয় ছাত্রের ছবি। তার কণ্ঠ শুনেই মনে হল তার চোখে মুখে আক্ষেপ ও আনন্দ দুটোই ভর করেছে। আমি কনফিউজড। কাহিনী কি?
আরও জানতে হবে।
পরিবার পরিজনের খবর নেয়ার পর জিজ্ঞেস করলাম পিএইচডি কেমন চলছে। যদিও আমি জানি সে পিএইচডি শেষ করা নিয়ে যুদ্ধ চালাচ্ছে, নিজের সাথেই। শেষবার যখন কথা বলি, তখনও তার কোন পিএইচডি পাবলিকেশন হয়নি। আজ সে বলল তার কোন পাবলিকেশন এখনও হয়নি। তবে সে সাবমিট করবে থিসিস। সামনেই ৪ মাসের মাধ্যে,
কয়েকটা মানুসচক্রিপ্ট নিয়ে কিউমুলাটিভ থিসিস হিসেবে। বললাম ভাল পরিকল্পনা।
এবার সে বলল তার সাথে এক প্রফেসরের কিছু আলাপ হয়েছে, এই প্রফেসর তার ইন্টার্ভিউও নিয়েছে। এই প্রফেসর তার বর্তমান সুপারভাইজারের বন্ধু ও পরিচিত। তার বর্তমান প্রফেসরই তাকে রেফার করেছে এই প্রফেসরের সাথে কথা বলতে। এই প্রফেসর একজন পোস্টডক রিসার্চ ফেলো নিবে সামনের হেমন্তেই। ইন্তারভিউ শেষে তাকে এই ইয়াং প্রফেসর তিন বছরের পোস্টডক অফার করেই বসল! তার একমাত্র কাজ এখন শুধু পিএইচডি ডিফেন্স দেয়া। আমিতো আনন্দে বিমোহিত! কেমনে কি? মুখে হাসি নিয়ে বললাম তোমার মত পিএইচডি স্টুডেন্টরে সে নিবে?! সে আমাকে স্মরণ করিয়ে দিল আমার বলা পুরনো একটি কথাঃ 'তোমার রিজিক তোমাকে ঠিক জায়াগাই নিয়ে যাবে যদি ভরসা রাখ আল্লাহর উপরে আর কাজ করে যাও'। এর বাইরে মোদ্দাকথা হল তার বর্তমান কাজের অভিজ্ঞতাই তাকে এনে দিল এই অফার। সে আমাকে হামবুর্গ, জার্মানিতে যাওয়ার দাওয়াত দিল যদি সব আল্লাহ তার জন্য ঠিক রাখেন তখন পর্যন্ত। আমিও তাকে সুইডেনে আসার দাওয়াত দিয়ে কথা শেষ করলাম।
ফোন রেখেই মনে পড়ল জার্মানিত থেকে চলে যাওয়া তার মত আরেকজনের কথা। যার পিএইচডি করার খুবই আগ্রহ ছিল যা এখনও আছে যা তিনি সব সময় বলতেন। কিন্তু ভাগ্যের লিখন তিনি পিএইচডি পজিশন না পেয়ে আজ বাংলাদেশে। পারিপার্শ্বিক অবস্থা, বাস্তবতা ও সঠিক চেষ্টার অভাবে, পিএইচডি খুঁজে না পেয়ে তাঁকে বাংলাদেশে চলে যেতে হল।
স্বপ্নগুলো কারো পুরন হয় আর কারো অধরা রয়ে যায়। কিন্তু তাঁর সময় শেষ হয়ে যায়নি।
PhD পর্ব ২২ঃ আমার জানা দুই জন পিএইচডির গল্প
১ম জন, সে কানাডিয়ান। সে কানাডা থেকেই স্কুল ও কলেজ শেষ করে। তার স্বপ্ন ছিল সে ফিল্ম মেকার হবে। টুকটাক মাঝেমধ্যে ভিডিও ধারন করত, বন্ধুদের দেখাত। ব্যাচেলর শেষে সে অস্ট্রেলিয়ায় যায়, একটা ফিল্মের প্রগ্রাম করবে বলে। দুবার রিজেক্ট হয়। তাঁর আর ফিল্মের উপর কাজ শিখা হয় না। পরে ফিজিক্সে পিএইচডি শুরু করে। কিন্তু পিএইচডি টপিক নেয় মাল্টিমিডিয়া নিয়ে, গবেষণার বিষয় ছিল কিভাবে শিক্ষা মুলক কন্টেন্ট বা ভিডিও বানালে মানুষ ভালভাবে শিখে বা মনে রাখে। এইটা দিন শেষে ফিজিক্সেরই পার্ট! ফিল্ম কই? তাই পিএইচডিতে থাকতেই স্কুল পোলাপানকে পড়ানোর জন্য ভিডিও বানাতে শুরু করে সে।
পিএইচডি শেষ করে প্রফেশনাল ফিল্মের প্রগ্রামে আবার এপ্লাই করে, তার আবেদন পত্র রিজেক্তেড পুনরায় হয়। কি আর করা। সে আস্তে আস্তে ভিডিও, টিভি সিরিজে টুকটাক কাজ ও ডকুমেনটারি বানাতে শুরু করে। তখনও ইউটিউব আসে নি, যখন আসে সে তাঁর ভিডিও আপলোড শুরু করল। কিন্তু সাড়া নেই তত। সে বিভিন্ন কম্পানির সাথে থেকে প্রামাণ্যচিত্রের কাজ শিখল। সে সাহস করে লেখক, উপস্থাপক, পরিচালক হিসেবেও কাজ শুরু করল টুকটাক। তাঁর বিভিন্ন প্রামান্য সিরিজ ও পর্ব জনপ্রিয় হতে লাগল। তাঁর বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে করা ইউটিউব ভিডিও ততদিনে তুমুল জনপ্রিয় হল। কিছু ভাইরাল হল। কিছু টিভি সিরিজ করল। ভাল ভাল পুরষ্কার পেল কিছু দেশে। আর এখন! ডেরেক মুলারের (বয়স ৩৮) ইউটিউব ফলোয়ার ৫০ লক্ষ। শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে করা ভিডিও গুলো প্রায় ভাইরাল হয়। ১০-৫০ লক্ষ ভিউ হয় এখন প্রতিটা, বেষ্ট টা ৬০ লক্ষ হয়েছিল। কে জানত সে তাঁর পিএইচডি কে এইভাবে কাজে লাগাবে। তাঁর চ্যানেলে বিভিন্ন কম্পানি স্পন্সর করতে আসে। কত বৈচিত্র তাঁর জীবন। তাঁর ভিডিও ছাড়লে আমার চোখ স্ক্রিনে আটকে যায়।
২য় জন, তিনি বাংলাদেশি। বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ছিলেন। ফটোগ্রাফি তাঁর শখ ছিল, টুকটাক ছবি তুলতেন, ফেসবুকে দিতেন। মালয়শিয়া থেকে পিএইচডি করলেন। দেশে এসে এসিস্টেন্ট/কিংবা এসোসিয়েট প্রফেসর হলেন। কিন্তু হঠাত চাকরি থেকে রিজাইন দিলেন। কানাডা চলে গেলেন ইমিগ্রান্ট হিসেবে। শখের বসে, না নেশার বসে, জানা নেই। তবে ওখানে গিয়েই একটা ছোট ফটোগ্রাফিক ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজ খুলে কাজ শুরু করলেন, ওয়েডিং (বিয়ে) ফটো ও সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে। আস্তে আস্তে সব জমজমাট হতে শুরু করল। ক্যামেরা লাইট অত্যাধুনিক সব যন্ত্র কিনে কাজ এগুতে লাগলেন। ৪-৫ বছরে তিনি আরও সহকর্মী নিয়োগ দিলেন তাঁর ফার্মে। এখন বিশাল কাজ কারবার। বিয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ ফটো বা সিনেমাটোগ্রাফির কাজ মাত্র ২ লক্ষ টাকা। যা ১-২ টা পিএইচডি ছাত্রের মাসিক বেতন। মাসে কয়টা প্রোগ্রাম তিনি সম্পূর্ণ করেন জানা নেই। জানাশুনা আছে তাই তাঁর নাম নিলাম না (বয়স ৪০)। আমার চোখে তিনি একজন প্রফেশনাল 'ওয়েডিং ফটোগ্রাফার ও ভিডিওগ্রাফার'। সখ টাকে যিনি প্রফেশন প্রফেশনে রুপ দিলেন।
তাই তো বলে, 'ডু হোয়াট ইউ লাভ & লাভ হোয়াট ইউ ডু'
ডক্টরাল ডিগ্রি অন্য যে কোনও ধরনের ডিগ্রির চেয়ে ভিন্নরকমের। আর তাই, কি কি করলে পিএইচডি প্রস্তুতি খুব ভাল হবে তা অনেকে পিএইচডি শুরুর সময় বুজতে পারেন না। নিচের গাইডলাইনটি কিছু জিনিস ব্যাখ্যা করবে যা আপনাকে আপনার পিএইচডির প্রস্তুতি নিতে বা শুরু করতে সহায়তা করতে পারে।
১। সম্পর্ক তৈরি করুন
পিএইচডি অর্জনের জন্য আপনার প্রস্তুতির শুরুতে বেশ কয়েকজন মূল ব্যক্তির সাথে কার্যকরী সম্পর্ক গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি পিএইচডি করার মাধ্যমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে পেশাদার সম্পর্ক গড়ে তুলবেন তা হ'ল আপনার সুপারভাইজারের সাথে । সে/তারাঃ
আপনার ডক্টরাল গবেষণায় আপনাকে সহায়তা করবে।
আপনার পিএইচডি অধ্যয়নের সমন্বয় করতে সহায়তা করবে
আদেশ দিবে।
আপনার কাজের উপরে গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া জানাবে (চূড়ান্ত থিসিসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এই কাজ করবে)।
তবে আপনার সুপারভাইজারের প্রকৃত ভূমিকা এবং দায়িত্বগুলি প্রকৃতপক্ষে নির্ভর করে গবেষণা ধরনের উপর, বিশ্ববিদ্যালয়, আপনি ও আপনার সুপারভাইজারের কাজের ধরন এবং ব্যক্তিত্বের উপর।
সুতরাং, আপনার সুপারভাইজারের সাথে কার্যকরী সম্পর্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘন ঘন যোগাযোগ, বিশেষত আপনার পিএইচডি প্রস্তুতির অংশ হিসাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
আরও কিছু মূল সম্পর্ক রয়েছে যা বিকাশ করা উচিত। সে সম্পর্ক হতে পারে সহকারী সুপারভাইজার, পোস্টডক, পিএইচডি কলিগ, অন্যান্য গবেষণা কর্মী এবং সহায়তা কর্মীর সাথে।
আপনার বিভাগ / ল্যাব গ্রুপের সাথে জড়িত হওয়া
বেশিরভাগ গবেষণা বিভাগ এবং ল্যাব গ্রুপ নিয়মিত সভা করবে এবং এতে পিএইচডির শুরুতে জড়িত হওয়া দরকারি। আপনার বিভাগ সম্ভবত গবেষণা সেমিনার করবে - যেগুলি আরেকটি সুযোগ, এখানে আগ্রহ দেখানো দরকার এবং এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য একাডেমিশিয়ানের সাথে জড়িত হওয়ার সুযোগ আসে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে অন্যান্য ইভেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্য এবং গাইডেন্সের দরকারী সোর্স হওয়ার পাশাপাশি, আপনার বিভাগ বা ল্যাব গ্রুপের অন্য সদস্যরা আপনার বন্ধু হতে পারে। তাদের সাথে পেশাদার এবং সামাজিক সম্পর্ক স্থাপন আপনার পিএইচডি করার সময় সহায়ক হবে।
আমি যদি আমার সুপারভাইজারের সাথে মানিয়ে নিতে না পারি?
যদি কোনও কারণে আপনি যদি মনে করেন যে, আপনার সুপারভাইজারের সাথে আপনার সম্পর্কটি উল্টাপাল্টা, তবে বেশ কয়েকটি জিনিস করা যায়।
প্রথমত, অনেক ছাত্র সুপারভাইজার সম্পর্ক সঙ্গে সমস্যা একটি হল 'যোগাযোগের অভাব'। আপনার সমস্যাগুলি সম্পর্কে একটি সৎ এবং মুক্ত আলোচনা কার্যকর সম্পর্ক তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।
সমস্যা যদি সুপারভাইজারের কাজের স্টাইলে থাকে, যেমন খবর নেয়ার অনুপস্থিত বা বাড়াবাড়ি আচরণ, তবে মিটিং যোগাযোগ এটি সমাধান করতে পারে। আপনাকে সহায়তা করার জন্য অতিরিক্ত সুপারভাইজারও থাকবে।
আপনার যদি এখনও সমস্যা হয় তবে সমস্যাটি সমাধান করার জন্য আপনার ২য় সুপারভাইজার অথবা অন্যান্য স্টাফদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। যদি সম্পর্ক অপূরণীয় হয় তবে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্দেশনা সহ সুপারভাইজারকে পরিবর্তন করা সম্ভব।
২। আপনার গবেষণা পরিকল্পনা করুন
আপনার পিএইচডির শুরুতে, বা আপনি শুরু করার আগে গবেষণা পরিকল্পনা (Extended research Proposal).
এর অর্থ রিসার্চ পরিকল্পনা প্রসারিত করা। আপনি যদি একটি লিখেও থাকেন তা প্রস্তাবিত, প্রকল্পটির আরও গবেষণা সম্প্রসারণ করা যায় এমন। আপনি পিএইচডি গবেষণা শুরু করার আগেই গবেষণা ক্ষেত্রটি সম্পর্কে আরও জ্ঞানী হওয়া খুবই কাজ দেয়।
যেহেতু পিএইচডি প্রায় একটি স্বাধীন গবেষণা প্রকল্প সেহেতু আপনি পরিকল্পনা এবং পরিচালনা জুড়ে দায়বদ্ধ থাকবেন। এই পরিকল্পনার মধ্যে স্মার্ট SMART (specific, measurable, actionable, relevant, time-bound) লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কিনা যাচাই করা দরকার।
আমার গবেষণার ফোকাস বদলে গেলে কী হবে?
আপনার গবেষণার জন্য যে পরিকল্পনাগুলি করেছেন তা আপনার পিএইচডি জুড়ে একই থাকবে বলে সম্ভাবনা কম। সমস্যা মোকাবেলা বা নতুন কিছুর অন্তর্ভুক্তি গবেষণার ফোকাস বা দিক পরিবর্তন করবে। তবে পিএইচডির শুরুতে কার্যকর পরিকল্পনা একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় যা এখানে সহায়তা করবে।
৩। উপযুক্ত কাজের পরিবেশের সন্ধান করুন
উপযুক্ত কাজের পরিবেশ আপনার পিএইচডিতে সফল হতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 'পিএইচডির উপর ফোকাস করা' সহজ করার জন্য সবকিছু 'সেট-আপ' করা উচিত।
যেমনঃ
আপনি যে গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ/অধ্যয়ন করছেন তার কাছাকাছি দূরত্বে বাস করা।
উপযুক্ত কাজের জায়গা খুঁজে বের করা যেটি একটি পরিষ্কার এবং পরিপাটি অফিস, যেখানে মন অন্য কোন দিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে না।
গবেষণা সম্পন্ন করার জন্য সরঞ্জাম থাকা। যেমনঃ- কম্পিউটার, লাইব্রেরিতে অ্যাক্সেস ইত্যাদি।
আপনি যদি পিএইচডি করার জন্য কোনও নতুন শহর বা দেশে বসতি স্থাপন করেন তবে এটি আরও প্রাসঙ্গিক হতে পারে। আপনি যত তাড়াতাড়ি এগুলো করবেন তা তত ভাল। এটি আপনার সুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত কাজের পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি, আপনার প্রয়োজনীয় যে কোন দরকারে আপনি হাতের কাছে পান এইরকম সুযোগ-সুবিধা আপনাকে বাড়তি সুবিধা দিবে।
৪। আপনার অভিষেক সম্পূর্ণ করুন
আপনার পিএইচডি শুরু করার পরে, আপনি সাধারণত কিছুটা অভিষেকের মধ্য দিয়ে যাবেন। এটি আপনার বিশ্ববিদ্যালয়, একটি নির্দিষ্ট বিভাগ বা আপনার সুপারভাইজার দ্বারা পরিচালিত হবে।
অভিষেক আপনাকে কিছু তথ্য সরবরাহ করবেঃ
প্রশিক্ষণ
স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা
বিধি-নিষেধ (বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিএইচডি প্রোগ্রাম, উভয়ের)
সভা ও সেমিনার, সংগঠন
পিএইচডি শুরুর সময় আপনাকে 'প্রশিক্ষণের প্রয়োজন বিশ্লেষণ' Training Needs Analysis (TNA) এর মতো দক্ষতা নিরীক্ষণের কাজ শেষ করতে বলা হতে পারে । এটি আপনার শক্তি ও দুর্বলতাগুলি চিহ্নিত করার এবং আপনার ডক্টরেট জুড়ে আপনার দক্ষতা উন্নত করার উপায় অনুসন্ধান করার একটি পথ। এটি আপনার পড়াশোনার শুরুতে শুরু করা হবে এবং আপনার পিএইচডি যাত্রা জুড়ে নিয়মিত আপডেট করা লাগতে পারে।
এই সময়, আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় বা বিভাগীয় ছাত্র সমিতিগুলিতে পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে এবং সামাজিক ইভেন্টগুলিতেও আমন্ত্রিত হতে পারেন।
তবে, অভিষেক আপনাকে পিএইচডি সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা সরবরাহ করবে না । যেহেতু ডক্টরাল গবেষণা স্ব-শিক্ষিত অধ্যয়ন, আপনি আপনার সমস্ত প্রশিক্ষণ এবং বিকাশের প্রয়োজনীয়তার সাথে আপ-টু-ডেট থাকার জন্য নিজে দায়বদ্ধ থাকবেন।
৫। লিখতে শুরু করুন
আপনার পিএইচডির কার্যকর প্রস্তুতি এবং পরিচালনার জন্য আপনার গবেষণার শুরুতে লেখার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত । আপনার পিএইচডি শুরু করার আগেও এটি শুরু করা যেতে পারে।
আপনাকে প্রথম যে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে তা হ'ল একটি 'অতীত কাজের পর্যালোচনা' (Literature review)। আপনাকে লিখিত কাজের কিছু ড্রাফট জমা দিতে হতে পারে। অতীত কাজের পর্যালোচনা (literature review) শুরু এবং শেষ যত তাড়াতাড়ি হবে আপনার পিএইচডি অর্জনের জন্য তা তত বেশি সুবিধা করে দিবে। এই অতীত কাজের পর্যালোচনা' (literature review) এমনকি আপনার চূড়ান্ত থিসিসের অংশও হয়ে যেতে পারে।
৬। গবেষণা পরিচালনা এবং তাড়াতাড়ি ফলাফল সংগ্রহ করুন
যদিও সাধারণত আপনার বেশিরভাগ গবেষণা এবং ফলাফলগুলি আপনার পিএইচডি অধ্যয়নের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বছরে উদ্ভব হবে, তথাপি আপনার পিএইচডির শুরুতেই আপনার গবেষণা শুরু করা অত্যন্ত উপকারী হতে পারে ।
কার্যকর পরিকল্পনা এবং পরিচালনা আপনাকে গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার অনেক ভাল ফলাফল অর্জনের দ্বার উন্মোচন করবে।
এটি পরবর্তীকালে আপনার পিএইচডি তে গঠনমূলক কাজের অনুশীলন এবং অভ্যাসের বিকাশ ঘটাবে।
আমার প্রাথমিক গবেষণাটি যদি দুর্বল / কাজ না করে তবে কী হবে?
প্রাথমিক পর্যায়ে যে গবেষণাটি নিম্ন মানের বা কম গুরুত্বের সাথে শেষ হয় তা বৃথা যাবে না। এই কাজটি 'গবেষণা কৌশলগুলির' ক্ষেত্রে মূল্যবান 'অভিজ্ঞতা' সরবরাহ করবে এবং কার্যকর না হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানাবে। এই নেতিবাচক ফলাফলগুলি শেষপর্যন্ত আপনার চূড়ান্ত থিসিসের অংশও হতে পারে।
---------------------------------
PhD পর্ব ২৪ঃ- সামাজিক মাধ্যম
গত দুদিন আগে সকালে এক প্রিয় মাস্টার্স স্টুডেন্টের ফোনঃ
- ভাইয়া আপনি কি বাসায়? আমি কি আপনার বাসায় আসতে পারি?
- হ্যাঁ আমি বাসায়, তবে দুপুরে আসতে পার।
দুপুরে সে আসল। সোফায় গা এলিয়েই চাপা আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
- কি? কোন সংবাদ আছে নাকি?
- জী, আছে, আমি পিএইচডি অফার পেয়েছি!
- আমি আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে বলে উঠলাম। আলহামদুলিল্লাহ! খুবই ভাল সংবাদ!! তো, কোথায় পেয়েছ?
- মাক্সপ্লাঙ্ক (জার্মানি), কিন্তু পোস্টিং প্যারিস ফ্রান্সে।
- খুবই ভাল পোস্টিং! কিভাবে পেলা পিএইচডি? কাহিনীটা বলতো শুনি!
- ভাইয়া, আমি আমার ফিল্ডের কিছু নামকরা প্রফেসরদের সামাজিক মাধ্যমে ফলো করতাম। মাস্টার্স থিসিস করা কালিন থেকেই। এবং সেটা টুইটারে। তো, তাঁদের একজন কয়দিন আগে দুইলাইনের একটা পোস্ট দিলেন, যে তার ল্যাবে পিএইচডি ছাত্র/ছাত্রী লাগবে। ব্যাস একটা ভাল ইমেইল প্রস্তুত করে পাঠিয়ে দিলাম। আমাকে অবাক করে তিনি রিপ্লাই দিলেন। ভাইভা নিতে চাইলেন। ভাইভা নিলেন, কিছু এসাইন্মেন্ট দিলেন (পেপার সামারি)। তারপর আমি সেটা করে ইমেইলে পাঠিয়ে দিলাম। তিনি আবার বসতে চাইলেন। আবার বসলাম আমরা অনালাইনে। আমি প্রেজেন্টেশান দিলাম, তিনি সবকিছু আলোচনা করলেন এবং শেষে তিনি পিএইচডি অফার করেই বসলেন! আমিও ভেবেচিন্তে হ্যাঁ বলে দিলাম।
- আমি বললাম, তারমানে সামাজিক মাধ্যমের সঠিক ও মোক্ষম ব্যাবহার করেছ তুমি ! তাৎক্ষনিক একটা সেলিব্রেশনতো করতেই হয়! চল দুপুরের খাবার খাই, তোমার ভাবী অপেক্ষা করছে গরম গরম খাবার নিয়ে, আর বাকি কথা বলি।
#টুইটার
------------------------------------------------------------------------------
HD পর্ব ২৬ঃ অচলাবস্থা / DEADLOCK / DEAD END
গত তিন মাস যাবত পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন দেশের পাঁচ জনের সাথে কথা হয়েছিল। তিনজন বাংলাদেশি, দুইজন বিদেশি। উনারা সবাই বাংলাদেশের বাইরে থাকেন। তাঁরা সবাই তাঁদের বর্তমান অধ্যায়নরত পিএইচডি গবেষণা ছেড়ে দিতে চান, যতক্ষন না অন্য জায়গায় পিএইচডি বা অন্যকিছু না হয়।
তাদের ব্যাপারগুলো ব্যাখা করছি প্রথমে, তারপর কেন এমন হয়, এই পরিস্থিতিতে কি করা উচিৎ তা নিয়ে আলোচনা করব।
এক
তিনি অনার্স করেছেন বাংলাদেশে, মাস্টার্স করেছেন আরেক মহাদেশে, পিএইচডি জয়েন করেছে্ন আরেক মহাদেশে। সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ। খাপ খাওয়াতে পারছেন না। সুপারভাইজারস ও ল্যাবের মেম্বারদের সাথে রিসার্চ ইথিক্স (গবেষণায় সম্মিলিত কাজের জন্য প্রয়োজনীয় মূল্যবোধের ব্যাপার) নিয়ে তাঁর সাথে সমস্যা তৈরি হয়েছে। যেমনঃ কন্ট্রিবিউশনের মুল্য না দেয়া, পিএইচডির বাইরে অন্য কাজ করানো ইত্যাদি। এখন তিনি অন্য যায়গায় বা অন্য দেশে পিএইচডি খুঁজছেন।
দুই
বিদেশি। পরিবার আছে। উপরের মতই তাঁর অবস্থা, তাঁর মতে তাঁর বস তারে দিয়ে অন্যদের (পিএইচডি ও পোস্টডকদের) কাজ করিয়ে নিচ্ছে। তাঁর পিএইচডি কাজের কোন খবর নাই। বস বলেঃ 'আরে তোমারটা পরে করতে পারবা'। তিনি মনে করেন তাঁর বস অনেক কিছুই জানে না, নাইলে তাঁকে অন্যদের কাজ করে দিতে হবে কেন! তাঁকে বস হিসেবে মানাচ্ছে না, এই বস হয়ত তাঁকে গাইড করতে পারবে না। তিনি ওই দেশেই আরেকটা পিএইচডি খুঁজছেন।
তিন
তিনি পিএইচডি ছাড়তে চাইছেন কারন তাঁর বস তাঁকে খুব বকেন। যা ইচ্ছে তাই বলেন। তাই তিনি ওই বসের অধিনে পিএইচডি করবে না। অন্য দেশে পিএইচডি খুঁজছেন।
চার
এই ছাত্র তাঁর পিএইচডির ৩-৪ বছর প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। এখন তাঁর মনে হচ্ছে তিনি যেই দেশে আছেন সেদেশের অর্থনীতি খুবই খারাপ, ভবিষ্যৎ অন্ধকার মনে হয় এই দেশে। এবং এই সময়ে তিনি তেমন কিছু শিখতে পারেন নি । তাই এই পিএইচডি ছেড়ে তিনি অন্য দেশে পিএইচডি করতে চান। ওই দেশে বা বাংলাদেশে গিয়ে ভাল কিছু করতে চান। অথবা এমত অবস্থায় কি করলে তাঁর ভাল হবে।
পাঁচ
এইজন বিদেশি, যখন এই লেখা লিখছি তিনি অলরেডি পিএইচডি ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি একাডেমিয়ার বাইরে তাঁর ক্যারিয়ার করবেন বলেছিলেন। এই ল্যাবের এর আগে আরও এক কি দুই জন পিএইচডি ছেড়েছেন।
অবশ্যই আমি ব্যাক্তিগতভাবে উনাদের প্রত্যেককেই কিছু পরামর্শ দিয়েছি। তবে এইরকম পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়ার কারন ও করনীয় নিয়ে লিখছি।
আমি তেমন খারাপ কাউরে পাই নাই। তবে নেট ঘেঁটে কিছু খারাপ সুপারভাইজার এর লক্ষণের দেখা পাইলামঃ-
তিনি সর্বদা আপনাকে সাহায্য বা পরামর্শ দেওয়ার পরিবর্তে আপনাকে নিচু করে বা আপনার অগ্রগতি এবং ক্ষমতাকে উপেক্ষা করে ।
তারা আপনার একাডেমিক লক্ষ্য বা উন্নয়ন সম্পর্কে কোন আগ্রহ বা যত্ন দেখায় না ।
তারা আপনাকে টিম কোন দিকে যাচ্ছে, তাদের ভবিষ্যৎ কলাবরেশন সম্পর্কে আপনাকে অবহিত করে না। বা কোন ডিরেকশান না দেয়া।
অফিস বা ল্যাবের বিভিন্ন সদস্যের সাথে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করা, পক্ষপাতিত্ব দেখানো এবং সকল সদস্যের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য এমন কোনো নিয়ম তৈরি বা মেনে না চলা।
আপনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য লোক নিয়োগ না করা।
তিনি আপনার গবেষণার লক্ষ্য এবং আপনি কী অর্জন করতে চান সে সম্পর্কে যত্নশীল না হওয়া।
আপনি কতদূর কাজ করেছেন তার প্রশংসা করবেন না।
আপনাকে অনেকগুলি প্রকল্পের মধ্যে ডুবিয়ে দিবে এবং আপনাকে বলবেন যে আপনি কীভাবে ধীর গতির কারণ, আপনি ওগুলোতে কোন অগ্রগতি করেননি।
র-ডেটা না দেখিয়ে এবং আপনাকে ব্যাখ্যা না করে আপনাকে একটি প্রকাশনার মানসম্পন্ন টেবিল,ফিগার বা টেক্সট লিখে আনতে বলবেন।
তাঁর সার্কেলে মধ্যে আপনাকে প্রচার করতে ব্যর্থ হয়।
আপনি জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত আপনাকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে না ।
অন্যেরা যা বলে তার দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হয় এবং তার নিজের বিচার নেই।
ব্যঙ্গাত্মকভাবে আপনাকে দেখান যে আপনি যে পুরস্কারের জন্য আবেদন করছেন তার জন্য আপনি কীভাবে অযোগ্য ।
কোন কিছুর জন্য (গ্রান্ট বা কোর্স) আবেদন করতে আপনাকে উৎসাহিত করবেন না
আপনার গ্রুপ মিটিংয়ে আপনাকে অপমান করে ।
যতটা সম্ভব আপনার ডিফেন্সের তারিখ বিলম্বিত করে।
চাকরির বা অন্যকিছুর জন্য আপনার রেফারেন্স বিলম্বিত করে বা দিতে চায় না।
আপনি 'প্রথম অথর' পেপার জমা দিতে না দেয়া। বা লেখকত্ব বা পেটেন্টের আপনাকে ক্রেডিট দেবে না।
সব সময় বলবে 'এটা যথেষ্ট না'।
এবার আসি আপনি কেন পিএইচডি ছাড়বেন বা একজন শিক্ষার্থী পিএইচডি ছেড়ে দেওয়ার পিছনে কি কি কারণ থাকে! যেমন-
মোটিবেশন ও আগ্রহ-উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলা।
আপনার গবেষণার 'বিষয়' নিয়ে আপনি খুব বিরক্ত।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ-সুবিধার অভাব।
আসেপাশে বুদ্ধিবৃত্তিক গোষ্ঠীর অভাব।
পিএইচডি সুপারভাইজার অরগানাইজড না, স্মার্ট লোক কিন্তু প্রকল্প পরিচালনা করতে পারে না।
এরকম পিএইচডি সুপারভাইজার পান যিনি এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেন না যে একজন তরুণ পিএইচডিকে পরামর্শ দেওয়া তাদের কাজের প্রধান অংশঃ মেন্টরিং আগে, প্রকাশনা বা ডেটা নয়।
আপনার সুপারভাইজারের মধ্যে আপনার বিষয়ে জ্ঞানের অভাব, যদিও সে লোক ভাল।
পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী বা সিনিয়ররা জীবন বা ক্যারিয়ার গড়তে সক্ষম হননি (পুরাতন গ্রুপের ক্ষেত্রে)।
গ্রুপে ফান্ড শেষ হয়ে গেছে।
আপনি জীবনে অধ্যাপক হওয়ার জন্য পিএইচডিতে করছেন তবে জীবনের ৩-৪ বছর পরে আপনি বুজতে পারেন যে এটা আপনার 'কাপ অফ টি' নয়, বা সিদ্ধান্ত নিলেন যে আপনার দ্বারা কাজের ৫০ ভাগ সময়ে গবেষণার নথিপত্র বা পেপার লেখা-লেখি বা তৈরি করা বা নথিপত্র রক্ষনাবেক্ষন করা সম্ভব নয়।
আপনার হঠাৎ মনে হইল প্রকৃত গবেষণা করার জন্য আপনার আসলে পিএইচডি করার প্রয়োজন নেই। আপনি গ্যারেজ থেকেও ভাল কাজ করতে পারেন (যেমন ইন্ডাস্ট্রি) ।
স্বামী / স্ত্রী / পিতামাতার ভূমিকা পালন করতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার উপক্রম।
একটি উচ্চ বেতনের (যে কোনও বেতনযুক্ত) চাকরি পেলেন যা পার্মানেন্ট বা এইরকম কিছুর দিকে পরিচালিত করে।
করনীয়ঃ
হুটহাট কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে সময় নিয়ে পরিস্থিতি আঁচ করা, তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া, সেটা যেটাই হোক। এক্ষেত্রেঃ-
বড়ভাই বা মেন্টর বা স্কলারদের সাথে আলোচনা করা।
নিজের যোগ্যতা ও কাজের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হওয়া।
কনফ্লিক মেনেজ করে আগের কাজেই (পিএইচডিতে) ফিরে যাওয়া। প্রয়োজনে বসের সাথে খোলাখুলি মিটিং করা।
অনেক ভার্সিটিতেই স্টুডেন্ট সাপোর্ট ডিপার্টমেন্ট আছে তাদের সাথে মিটিং করা।
আপনার বিতৃষ্ণা ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ছেড়ে দিয়ে নতুন কিছু চেষ্টা বা নতুনভাবে পিএইচডি করা। অবশ্যই জীবন ও পরিবার আগে।
আপনি পছন্দ করেন এইরকম ভাল ক্যারিয়ারে মন দেয়া।
অন্যের কথায় পিএইচডি না করা। বা নামের আগে ড. লাগবে এইরকম মনে করে পিএইচডি না করা বা এইরকম চিন্তায় পিএইচডিতে এসে জীবনকে বিষিয়ে না তোলা।
পিএইচডি পরবর্তী ক্যারিয়ারের ব্যাপারে বা একাডেমিয়াতে ক্যারিয়ারের ব্যাপারে যতপারা যায় বিস্তর জানা তাতে আপনার সিন্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
রিজিকের মালিক তো আল্লাহ। আপনি আপনার মেধা ও কাজ দিয়ে চেষ্টা করে যাবেন মাত্র। তিনি রিজিক পোঁছাবেনই। ইনশাআল্লাহ্।
#PhD: Finding a supervisor
We know that finding a supervisor takes a lot of effort. Here is a collection of some pieces of advice that might be useful when first contacting a German professor.
- Make sure your email does not contain any grammatical or typing mistakes. Keep in mind that you want to convince the German professor that you are capable of producing academic work of the highest standard.
- Avoid impersonal letters (“Dear Sir/Madam”). Research has shown that you are more likely to receive a reply if your mail is geared towards a specific person. Never ever send the same email to more than one person.
- Keep in mind that being informal and using casual phrases is mostly not appreciated in first contacts.
- Explain to the professor your reason for contacting him/her. The reason should be matching research areas (name them) and not a general phrase like “I know you are a renowned professor”.
- Attach a concise description of the kind of research you would like to conduct. You may also want to attach a short CV so that the professor can get a more comprehensive picture of you.
- Do not ask the professor about funding your PhD in your first email. At first, you should only want to establish contact and find out whether the professor has general interest in your topic.
Finding a supervisor might take several months. So do not feel discouraged if some of your emails remain unanswered. Please understand that many professors are extremely busy and will only get back to you if they are seriously interested in your research proposal and can offer adequate supervision. It is not easy to find a supervisor even for German PhD-candidates.
Post courtesy: Research in Germany
জার্মানিতে বিষয় নির্বাচন বা খোঁজার ওয়েবসাইট (ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পি.এইচ.ডি ইত্যাদি)
* শুধু পি.এইচ.ডিঃ http://goo.gl/S4MYA8
How to read a scientific or research paper.
কীভাবে গবেষণা পত্র বা রিসার্চ পেপার পড়বেন
While studying in Bachelor or in Masters or in PhD students need it badly. The following links may help you. After reading them you can make your own procedure.
* https://www.facebook.com/ragibhasan/posts/10152189097578670
* http://violentmetaphors.com/…/how-to-read-and-understand-a…/
* http://web.stanford.edu/~siegelr/readingsci.htm
* http://www2.fiu.edu/~collinsl/Article%20reading%20tips.htm
* http://www.sciencebuddies.org/…/top_science-fair_how_to_rea…
* http://www.huffingtonpost.com/…/how-to-read-and-understand-…
প্রয়োজনে যে মরিতে (জার্মানী ছাড়িতে/ মাস্টার্স শেষ করিতে) প্রস্তুত বাঁচিবার (পিএইচডি পাইবার) অধিকার তাহারই :D :)
আমাদের প্রিয় Neelakash Hossain (নুর হোসেন) ভাই জার্মানি থেকে মাস্টার ডিগ্রি সম্পূর্ণ করে ফিনল্যান্ডে পিএইচডি -র তথা রিসার্চের অফার পেয়েছেন। তাঁকে অভিনন্দন। তাঁর জন্য অনেক শুভ কামনা। তিনি Ruhr-Universität Bochumথেকে এনালাইটিকাল ক্যামিস্ট্রি র উপরে MSc করেছেন।
ইউরোপের জীবন
বিদেশ জীবন কি স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি সিঁড়ি !?
একটি সাধারণ ছাত্র আর্থিক ও মানসিক অনেক কষ্ট করার পর তারপরেই ইউরোপে আসতে সক্ষম হয়। কিন্তু এতেই কি তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়! কেটে যায় কি সকল হতাশা, বা মিটে যায় সকল আশা !!! উত্তরটা সময়ই বলে দেয়।হ্যা বা না।
স্বপ্নগুলো অনেকে লুকিয়েই রাখে। বিদেশ হয় তাঁর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। বিদেশে অধিকাংশ বাংলাদেশীকেই নিজের খরচে পড়তে আসতে হয় । তাদের থাকা খাওয়ার টাকা যোগাড় করতে হয়। শুরু হয় নতুন পেরেশানি। একদিকে পড়াশুনা আর অন্যদিকে চাকরি খোঁজা।বিদেশে চলার মত কাজ পেতেও নাকের ঘাম পায়ের ধুলা এক হয়ে যায়। এর পরে বাড়ি থেকে জিজ্ঞেস করে, বাবা কবে টাকা পাঠাবা? যুক্ত হয় নতুন নতুন পেরেশানি বা চিন্তা, ভাইয়ের পড়ালেখা, বোনের বিবাহ দেওয়া, বাড়িটা একটু ঠিক করা, বাবা মায়ের ডাক্তার ও ওষধ খরচ ইত্যাদি ইত্যাদি। দিতে হয়। দায়িত্ব এসে যায়। নিজের বিয়েটাও অনেকে ভুলে যায়।এই চাপ মাথায় নিয়েই একজন বাংলাদেশির সকালের ঘুম ভাঙ্গে।
আবার পড়াশুনা শেষে যে নিশ্চিত কোন 'পার্মানেন্ট পজিশান' হবে তাঁর ইয়াত্তা নেই। শুরু হয় আবার দৌড় ঝাপ। আছে ভাষার চ্যালেঞ্জ। ভাষা না জানলে সবাই কেমন চোখে যেন তাকায়।তাদের চাহনি, কোন উজবুক যেন তাদের সামনে দাঁড়িয়ে্! তাই সব কষ্ট নিয়ে আমরা চলি, চলতে হয়।না হলে যে পিচলে যে কেউ অন্ধকারে পড়ে যেতে পারে।অথবা জীবনের মোড় অন্য দিকে ঘুরে যায়। যা কখনও ভাল বা কখনও মন্দ।চেষ্টা ও সময় বলে দেয় সব। সময়ের ভেলায় চলে হয়ত কারও স্বপ্ন ধরা দেয়।নিজেকে একটি যায়গায় নিতে পারে।তাই জ্ঞানী লোকেরা বলেন, 'তুমি যদি আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখ তবে তুমি মেঘকে ছুঁতে পারবে'।
আল্লাহ সকলকে সুন্দর আগামিতে নিয়ে যান।আমিন
Guidelines for good scientific practice
http://www.biologie.uni-muenchen.de/…/guidelines-good-pract…
https://www.tu-dortmund.de/…/Rules-of-Good-Scientific-Pract…
IELTS
আমার জন্য ছিল এক বিভীষিকাময় টেস্টের নাম। ৭ বছর আগের স্মৃতি। এখনও টাটকা মনে আছে। স্পিকিং টেস্টে গলা শুকিয়ে এসেছিল। গা থরথর করছিল। কারন তেমন কিছুই না। হঠাৎ করে, কয়েক মাসের প্রস্তুতি নিয়ে টেস্ট দেয়ার জন্য গেলে আমার এমনই হয়। যাই হোক, যে জিনিসের উপর নির্ভর করে আমি, আপনি কোথায় চান্স পাব, কোন দেশে, কোন শহরে বা কোন ভার্সিটিতে পড়তে যাব, সেটা নিয়ে হেলাফেলা করা আদৌ ঠিক নয়। কয়েক মাসের পড়াশুনায় সাময়িক সাফল্য আসবে, কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ততা আসবে না, আসবেনা দখল যেটা দরকার উচ্চতর শিক্ষায়। ইংরেজি নিতে হবে সেলফ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট হিসেবে। তাই প্রাকটিসে মন দেয়া উচিত।
Read, listen, write and speak everyday or 4 hours/week, at least.
IELTS বেশী জানতে >
'দেশে ও বিদেশে'
আমি তখন ঢাকায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর শেষ করলাম। মাথায় একটা চিন্তাই বেশি ছিল, বিদেশ যাব, মাস্টার্স করব এবং পরে এটা, ওটা, PhD ব্লা ব্লা ব্লা আরও কত কি চিন্তা !
কিভাবে কি করব বুঝতামনা, বড় ভাইদেরকে খুব বিরক্ত করতাম, তারা কিছু লিংক ধরাইয়া দিত, ফাইল কেউ প্রসেসিং করত না, বা দায়িত্ব নিত না। ব্যাপারটা খুব খারাপ লাগত। কিন্তু কি আর করা। শেষে নিজের উপর নিজেই বিরক্ত হতাম !
এখন এদিকের প্রেক্ষাপটটা বুঝি, কেন এইরকম হত, তার কিছু কারন-
১। আমি মনে করতাম উনারা প্রসেস করলেই চান্স হবে, আমি করলেই ভুল হবে। এখন বুঝি যে নিজের মনের বলই আসল। দরকার সাহস, আর আত্মবিশ্বাস
২। তাদের খেয়ে দেয়ে তারা আমায় সাহায্য করবে কেন? দায় তো আমারই, পড়াশুনা তো আমাকেই করতে হবে
৩। যথাযথ প্রস্তুতি না নেয়া, যেমনঃ IELTS, Ref letter, Motivation letter, সার্টিফিকেট ও মার্কসশিট, birth certificate সহ অন্যান্য কাগজপত্র রেডি না রাখা। তাঁদের সহায়তা না করার এটা অন্যতম একটি কারন,
৪। আর সব কিছু রেডি না থাকার কারনে ডেড লাইন অনুযায়ী এপ্লাই করতে না পারা বা অপূর্ণাঙ্গ এপ্লিকেশনের কারনে চান্স না পাওয়া ও এর অন্যতম কারন।
এখন ফেইসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ আছে, আমরা সহায়তা করতে চাই, তথ্য দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে, দেশের একটি ছেলে বা মেয়ে যদি বিদেশে বিনা বেতনে বা স্কলারশিপ পায় এটাতো তার ও দেশের জন্যই ভাল। তাই সময় থাকতে গ্রুপের সব পোস্ট, ফাইল, ডকুমেন্ট পড়ে কোথায় কি লাগবে নিশ্চিত হয়ে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রস্তুতি নেয়া বা আপ্লাই করার পরামর্শ রইল। সময় চলে গেলে, সাধন হবে না
'HiWi' একটি স্টুডেন্ট জব বা মিনি জব (ল্যাব/অফিস)। যার বড় নাম স্টুডেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট, সায়েন্টিফিক এসিস্ত্যান্ট। জার্মানিতে পড়াশুনার জন্য যারা চলে এসেছেন তাদের জন্য এটা একটা সুযোগ হতে পারে।
জার্মানিতে প্রফেসর বা তাঁর Postdoc, PhD ছাত্রের অধীনে এই 'Hiwi' বা মিনি জব করার সুযোগ আছে। এটা হয়ত অনেক বাঙালি ছাত্রছাত্রীরা জানে না বা জানলেও তাঁদের হয়ত চেষ্টা করা হয়ে উঠে না। হাঁ, আসলেই তাই। পোস্টডক ও পিএইচডি ছাত্রের প্রয়োজন অনুযায়ী একটা অপশন থাকে সহযোগী/স্টুডেন্ট নেয়ার। এই জন্য তার প্রজেক্টে ৩০০০ ইউরোর একটা বাজেটও থাকে (DFG ফান্ডেডের বেলায়)। সেই 'বাজেট' দিয়ে সে একটা ছাত্র নিতে পারে। গতকালকে আমার সিটিতে একজন Hiwi এই অফার পেল। তাই মনে হল বিষয়টি শেয়ার করা যাক।
মাস্টার্স বা ব্যাচেলর করা কালীন সময়েই এই কাজটি করা যায়। সপ্তাহে ১০-১২ বা ২০ ঘণ্টার এই চাকরি থেকে আপনি ৪৫০ ইউরো অনায়েসে পেতে পারেন।
এই জন্য যা করতে হবে। ক্লাস-পরীক্ষার অংশ নেয়ার পাশাপাশি ডিপার্টমেন্টে বিভিন্ন নোটিশ বোর্ড, অফিসিয়াল সাইট নিয়মিত দেখতে হবে। পেতে হলে আপনার ডিপার্টমেন্টের প্রফেসরদের সাথে এবং তার অধীনে যারা PhD বা postdoc করছে তাঁদের সাথে পরিচয় হতে হবে, তাঁদের 'ফিল্ড' জানতে হবে। তাদেরকে নিজের 'ইন্টারেস্টের' কথা জানাতে হবে। সময় নিয়ে একটু চাপ দিতে হবে ও 'কনভিন্স' করতে হবে। তাহলেই এক সময়ে আপনাকে সে 'অফারটি' দিবে।
পড়াশুনায় মনযোগী একটি ছাত্রের জন্য এই ছোট্ট চাকরি অনেক 'টেনশান' থেকে মুক্তি দিবে। যে শহরে চাকরি স্বল্পতা সে শহরে এটা একজন ছাত্রের জন্য বিরাট কিছু। এই অভিজ্ঞতা পরে থিসিস, PhD,TA, RA, -র সুযোগ এনে দিতে পারে!
তাহলে শুরু করা যাক।
সব দিকে নেমে পড়া
'বিদেশে উচ্চ শিক্ষার চেষ্টা' কে একটি খন্ডকালীন টিউশানি বা চাকরির মত নেয়া উচিত। শুরুতে কেউ জানে না তাঁকে কি করতে হবে, কোন দেশে যেতে পারবে। অধিকাংশ বাংলাদেশি ধারনা করে বসে থাকে। আর এইসব ধারনা অনেকক্ষেত্রেই ভুল বা মিথ্যা। এর অন্যতম কারন হল পড়ে জানার অনীহা। এইজন্য অনেকেই বলা যায় 'ধরা খায়'। দালালের খপ্পরে বা ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আমি অনেককেই দেখেছি, যাদের মধ্যে জানার আগ্রহ প্রবল। তাঁরা উচ্চ শিক্ষার চেষ্টা কে খন্ডকালীন টিউশানি বা চাকরি মনে করেই এগোয়। আমি দুটি ছেলেকে চিনি তাঁরা জার্মানিতে পড়তে আগ্রহি (নিজ খরচে), সব কিছু জেনেছে এবং আবেদনও করেছিল। কিন্তু তাঁরা শুধু যে জার্মানিতে এপ্লাই করেছে তাই নয়। তাঁরা অন্য দেশেও খোঁজ রেখেছিল। তাঁদের দুজনের চায়নাতে স্কলারশিপ সহ মাস্টার্সে এডমিশান হয়ে গেল। তাই তাঁদের অপেক্ষাও করতে হয়নি জার্মানিতে হবে কি হবে না। ঠিক তেমনি মাস্টার্স শেষেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করে অনেকে ভাল অপশন খুঁজে পেয়েছে। অনেকেই এখন কানাডায়, কোরিয়ায়, জাপানে। ঠিক উল্টোটাও হতে পারে। আপনি জাপান, চীনে খুজছেন। আর হয়ে গেল জার্মানিতে!
LinkedIn প্রোফাইল
#news_bsfg #masters_bsfg #job_bsfg
ছেলেটির ইচ্ছে ছিল পাবলিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হবে। ব্যাচেলরে মেরিটে সে ২য় ছিল। প্রস্তুতিও নিচ্ছিল বিদেশে মাস্টার্স করবে। তাই DAAD স্কলারশিপের জন্য আবেদন করল। এবং স্কলারশিপ সহ জার্মানিতে পড়তে আসল। পড়াশুনার পাশাপাশি খোঁজ রাখত তাঁর ইউনিভার্সিটির সেই প্রিয় ডিপার্টমেন্টের, যেখানে সে শিক্ষক হতে চায়। ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানই তাঁকে উৎসাহ ও প্রেরণা যুগিয়েছিল। তাই সে ২৪ মাসের পড়াশুনা ২২ মাসে শেষ করেই দেশে ফিরল। সার্কুলার হল। নিয়ম মাফিক আবেদন করল। সব সহজ ভাবেই যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ দেখা দিল বিড়ম্বনা। যারা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরা অসদুপায় অবলম্বন শুরু করল। টাকা-পয়সা ও দলাদলি শুরু হল। টাকা লাগবে, দলের হতে হবে, হেন-তেন। সে তো কোন দলের নয়। অবশেষে ওই পোস্টে টাকা দিয়ে অন্যরা চাকরি পেল যাদের হয়ত ভাল মাস্টার্স নেই, কোয়ালিটি নেই। যাদের টাকা /অবৈধ লবিং/ দলই একমাত্র ভরসা। তাঁরা কেউ মেরিটে ১ থেকে ৭ এর মধ্যেও ছিল না। সেই চেয়ারম্যানও যেন কিছুই করতে পারে নি তাঁর সবচেয়ে ভাল ছাত্রটিকে নিতে! সিস্টেমের কাছে সবাই বন্ধী ! এটা ছিল একটা হাহাকার কাহিনী।
ছেলেটি মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে অন্য পথে পা বাড়াল। জার্মান ভিসা থাকা সত্ত্বেও সে ফিরল না। সে একটি প্রাইভেট চাকরি জুটিয়ে নিল। চলেই যাচ্ছিল। টুকটাক PhD র জন্যও আবেদন করছিল। এইভাবেই কয়েক মাস চলে গেল।
হঠাৎ একদিন একটি কল আসল। একটি HR কোম্পানি থেকে। তাঁরা বলল, একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে Environmental Expert পদে আমরা আপনাকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছি (১-২ জন)। আপনি কি আগ্রহী?
সে তো খুবই অবাক! সে বলল, আমিতো কোথায়ও এই বিষয়ে আবেদন করিনি, কিন্তু আমি সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলাম কিভাবে? তাঁরা বলল আমরা আপনাকে LinkedIn থেকে খুঁজে বের করেছি, আপনার প্রোফাইল দেখে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচন করেছি। মনে মনে, যাক বাবা! এই হল তাহলে কাহিনী। সে ভাবল বাংলাদেশেও এমন সুযোগ আছে!
যাইহোক, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তাঁর ভাইভা নিল। এবং তাঁকেই মেধার ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সিলেক্ট করল এবং চাকরীটা দিয়ে দিল। সে তো মহা খুশি। শুরুই তাঁর ৬++++ মাইনে দিয়ে। গুলাশান ২,পরিবেশও বিশ্বমানের। হয়ত বিদেশেও পোস্টিং হতে পারে সামনে, আছে অনেক সুযোগ। অবশেষে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হল।
মোরালঃ কেউ যদি নিজেকে গড়ে তোলে তাহলে সে মুল্যায়িত হবেই। আর তকদীর! সে তো নির্দিষ্টই। LinkedIn প্রোফাইল! সে তো একটা মুখপত্র!
© BSFG
জার্মানি তে ইন্টার্নশীপ এর সম্ভাবনা ও বিভিন্ন দিক : ( পর্ব -০১ )
লেখক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
----------------------------------------------------------------------
মূলত আমরা অনেকেই মনে করি জার্মানির কোম্পানিগুলোতে আমাদের ইন্টার্নশীপ অথবা ব্যাচেলর / মাস্টার্স thesis পাওয়া অনেক কঠিন। তবে আমাদের কল্পনা জগতে বিষয়টাকে যতই জটিল আকারে রূপদান করি না কেন বিষয়টা তত জটিল নয়। আবার বিষয়টা যে একেবারে সহজ ঠিক তাও নয়। একটি ভালো কোম্পানিতে ইন্টার্নশীপ পাবার জন্য ভালো একাডেমিক রেজাল্ট এর পাশাপাশি প্রয়োজন হয় অাত্নবিশ্বাস , গঠনমূলক পরিকল্পনা এবং এই দুইটা র সমন্বয়ে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাবার আপ্রাণ প্রচেষ্টা। তবে বলে রাখা ভাল , একাডেমিক রেজাল্ট অনেক সময় সহনশীল ভাবে ও দেখা হয় , তার মানে আপনার একাডেমিক রেজাল্ট অনেক ভালো হতে হবে এমনটা নয় , জার্মান গ্রেিডং অনুযায়ী মোটামুটি ভালো রেজাল্ট হলেই যথেষ্ট। একটি ভাল কোম্পানিতে ইন্টার্নশীপ ভবিষ্যতে ভাল জব পাবার জন্য একটি গুরত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে। তাই এই বিষয়টা তে খুবই মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন . যদি একটু গঠনমূলক ভাবে কাজ করে ভাল topic ও কোম্পানিতে ইন্টার্নশীপ করা যায় তবে মন্দ কি ? তাহলে আসুন আসল আলোচনায় আসা যাক।
পূর্ব শর্ত :
-------------
যে বিষয়টা সর্ব প্রথম খুবই গুরত্বপূর্ণ তা হলো আপনার ধৈর্যশীলতা । জার্মানি র কোম্পানিতে আপনি ২০ টি এপ্লিকেশন করার পর যদি ১৯ টি তেই rejection আসে তবে আপনাকে ধৈর্যের সাথে বাকি একটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এমনটা কখনই মনে করা যাবেনা যে আমাকে দিয়ে আর হবেনা অথবা আমার যোগ্যতা নেই। এখানে এটা খুবই স্বাভাবিক যে আপনি ৫০ টি এপ্লিকেশন করলে ২-৩ টি তে ইন্টারভিউ এর জন্য কল পাবেন। অবস্য এই ধরনের rejection এর অনেক কারন থাকে যেটা আপনার যোগ্যতার সাথে সম্পর্কিত নয়, যেমন ইতিমধ্যে নিয়োগ হয়ে গেছে অথবা কোম্পানি এই পোস্ট এর জন্য আর এপ্লিকেশন নিবেনা ইত্যাদি। সুতরাং এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভেঙ্গে পরার কোন কারন নেই , এটাই স্বাভাবিক।
আবেদন করার সময় :
-------------------------
ইন্টার্নশীপ এর এপ্লিকেশন করার ক্ষেত্রে এপ্লিকেশন করার সময় টা খুবই গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যেই সেমিষ্টার এ ইন্টার্নশীপ শুরু করতে আগ্রহী তার পূর্বের সেমিষ্টার এর প্রথম দিকেই এপ্লিকেশন শুরু করা উচিত।তার মানে নূন্যতম ০৪ মাস আগে এপ্লিকেশন শুরু করতে হবে এবং ইন্টার্নশীপ confirm হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে এপ্লিকেশন চালিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে এমনটি করা যেতে পারে যে , আপনি সিদ্ধান্ত নেবার পর প্রতি সপ্তাহের নির্দিষ্ট একটি দিন বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ৪-৫ টি এপ্লিকেশন করার পরিকল্পনা করতে পারেন। যদি কেও এমনটি মনে করে যে, ১-২ মাস আগে এপ্লিকেশন করে ইন্টার্নশীপ manage করে ফেলবে তাহলে ওই সেমিস্টার টি মিস করার risk থেকে যায় পাশাপাশি কোম্পানি পছন্দ করার ক্ষেত্রেও সীমাবদ্দতা এসে যায়। এমনকি কিছু কিছু কোম্পানি প্রায় ২-৩ মাস আগেই ইন্টার্নশীপ এর জন্য student দেরকে কনফার্ম করে, তাই ইন্টার্নশীপ যেহেতু করতেই হবে তাহলে একটু আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে সবকিছুই সুন্দরভাবে করা সম্ভব। । সুতরাং প্রথম দিক থেকেই সময় অপচয় না করে সময় কে কাজে লাগাতে হবে।
...... চলবে
জার্মানি তে ইন্টার্নশীপ এর সম্ভাবনা ও বিভিন্ন দিক ( পর্ব -০2 ) :
****************************************************************
কোম্পানি ও topics নির্বাচন :
--------------------------------
এই বেপারে লেখার আগে প্রথমে ই একটু বলে নেই , স্বপ্ন যখন দেখবই তাহলে উত্তম স্বপ্নটা কেন নয়। এপ্লিকেশন করার সময় সর্বপ্রথম টার্গেট হওয়া উচিত ভালো ও আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত কোম্পানি গুলো। যেহেতু এপ্লিকেশন করতে কোন টাকা খরচ হবেনা তাহলে ভালো কোম্পানিতে কেন নয় ? ১০ টি ভাল কোম্পানিতে apply করলে যে কোনো একটিতে আল্লাহ চাইলে হয়ে যেতেই পারে। এই ক্ষেত্রে আপনার পড়াশুনার সাথে যেই যেই কোম্পানি গুলোতে ইন্টার্নশীপ অফার করে তাদের একটি লিস্ট তৈরী করা যেতে পারে এবং এমন ভাবে এপ্লিকেশন করতে হবে যাতে তাদের একটিও মিস না হয়। আমরা অনেক সময় হিনমন্যতায় ভোগী যে আমাদের কে দিয়ে এত ভালো কোম্পানিতে হবেনা , কিন্ত কেন ভুলে যাই আমাদের মত কোনো না কোনো স্টুডেন্ট ই same position-এ নিয়োগ পাচ্ছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন আমাদের অনেক বাঙালি ভাই BMW,Continental, AUDI ,Siemens, ZF, Bosch, Roolls Royce এর মত কোম্পানিতে ইন্টার্নশীপ করেছেন, অনেকেই এখনো করতেছেন ,আবার তাদের মধ্যে অনেকেই এই ধরনের কোম্পানিগুলুতে জব করছেন।সুতরাং তারা পারলে আমিও কেন তাদের মত করার জন্য চেষ্টা করবোনা ?
topics এর ক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার আপনি যেই সাবজেক্ট এ পড়াশুনা করছেন আপনার ইন্টার্নশীপ ও যেন একই topics এ হয় , যাতে করে future এ জব পাবার পাশাপশি নিজের ফিল্ড এ কিছু প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। পাশাপাশি পড়াশুনার সাথে যদি ইন্টার্নশীপ এর সাবজেক্ট মিলে থাকে তাহলে ইন্টার্নশীপ পাইতে ও অনেক সুবিধা হয়। এটা কখনই উচিত হবেনা যে আমি পড়াশুনা করছি এক সাবজেক্ট এ কিন্তু এপ্লিকেশন করছি অন্য সাবজেক্ট এ , এমনটা হলে নিজের ফিল্ড এ কিছু জানার পরিবর্তে সময়টাই নষ্ট হবে। তবে কারো যদি কোন ফিল্ড এ খুব আগ্রহ থাকে সেটা অন্য কথা। সুতরাং কোম্পানি ও topics নির্বাচন এর ক্ষেত্রে আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।
কোথায় এবং কিভাবে apply করতে হবে ?
-------------------------------------------------
মূলত অধিকাংশ কোম্পানিগুলোর নিজস্য ওয়েব সাইট এ career নামক একটি পোর্টাল থাকে। আপনি যদি স্পেশাল কোন কোম্পানিতে apply করতে চান তাহলে গুগল সার্চ এর মাধ্যমে কোম্পানীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বের করে পছন্দ মত topics এ apply করতে পারেন। সবচাইতে মজার বেপার হলো প্রায় ৯৯% কম্পানিতেই অনলাইন application করা যায় তাতে অনেক সময় ও save হয়। আবার অনেক কোম্পানিতে রেজিস্ট্রেশন করার একটি option থাকে , এই ধরনের কম্পানিগলুতে একবার রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে পছন্দমত সবগুলো position এ apply করা যায় , এক্ষেত্রে শুধু position অনুযায়ি Motivation letter টি পরিবর্তন করতে হয়। কেও যদি পাশাপাশি অন্যান্য কোম্পানি তেও apply করতে চান তাহলে stepstone ,jobstairs ইত্যাদি সাইট গুলো ভিসিট করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই গুগল মামার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
জার্মান ভাষা সীমাবদ্ধতা ?
-------------------------------
অনেকেই ভয় পেয়ে থাকেন জার্মান ভাষার সীমাবদ্দতার কারনে। আসলে এই বিষয়ে ভয় পাবার কারন নেই। যদি কোনো ইন interview invitation পাওয়া যায়। তাহলে দেখা যায় ইন্টারভিউ এর প্রথম দিকে পরিচিতি পর্ব থাকে প্রায় ৫-৭ মিনিট। আপনাকে এই সময় টাকে কাজে লাগাতে হবে। পরিচিতি পর্বে খুব সুন্দর ও মার্জিত ভাবে আপনার পরিচয় দিন। যদি এতেও problem হয় প্রয়োজনে ইন্টারভিউ তে যাবার আগে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যান অথবা নিজের পরিচিতি ভালোভাবে মুখস্ত করে যান। তারপর যখনি টেকনিকাল অথবা আপনার topics এর দিকে যাবে তখন খুব মার্জিতভাবে বলতে পারেন যে , আমাকে যদি এই ইংলিশ এ explain করার সুযোগ দিন তাহলে আমি ভালো explain করতে পারব, তাহলে নিশ্চিত থাকুন প্রায় ৯০% সম্ভাবনা আছে আপনার ইন্টারভিউ ইংলিশ এ switch করার, অধিকাংশ কোম্পানি তেই যারা ভালো position এ জব করেন তাদের অধিকাংশই ভালো ইংলিশ বলতে পারেন , এমনকি কখোনো কখনো কোন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট দের দেখলে ওনারা নিজে থেকেই জিজ্ঞাসা করেন কোনটা ভালো হবে ইংলিশ অথবা জার্মান. আর ইংলিশ এ switch করার পর তো আপনি নিজেই ....!! . তবে মনে রাখতে হবে জার্মানীতে জব করতে হলে জার্মান ভাষার প্রয়োজনীতা অপরিহার্য , তাই কোন ক্রমেই জার্মান ভাষাকে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। যদি স্বাভাবিক কথা বার্তা গুলো জার্মান ভাষায় বলা যায় তবে এটা একটা ভালো সুযোগ করে সহকর্মীদের সাথে আন্তরিক হবার জন্য । সুতরাং জার্মান ভাষার ও কোনো বিকল্প নেই।
(চলবে)
জার্মানি তে ইন্টার্নশীপ এর সম্ভাবনা ও বিভিন্ন দিক (সমাপনী পর্ব)
***************************************************************
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট :
**********************
মূলত এপ্লিকেশন করার জন্য CV, Motivation letter, Mark sheet, যদি পূর্বের কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তার সার্টিফিকেট ইত্যাদি প্রয়োজন হয় । এক্ষেত্রে অবস্যই কোম্পনীর requirements ভালোভাবে পরে নিতে হবে , যদি কোম্পানি অতিরিক্ত কোন ডকুমেন্টস চায় তবে তাও দিতে হবে। একটা বিষয় খুব ভালোভাবে মনে রাখতে হবে যে জার্মানি তে মূলত দুই ধরনের ইন্টার্নশীপ হয় ১. একাডেমিক বাধ্যতামূলক ২. একাডেমিক বাধ্যতামূলক নয়। এক্ষেত্রে যারা ব্যাচেলর স্টুডেন্টস তাদের জন্য বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশীপ , যারা মাস্টার্স এ পরেন তাদের অনেকের জন্য বাধ্যতামূলক আবার অনেকের জন্য নয় , এই বিষয়গুলো মূলত ভার্সিটি ও সাবজেক্ট এর উপর নির্ভর করে। আপনি যেই ধরনের ইন্টার্নশীপ ই করেন না কেন আপনার Motivation letter এ তা উল্লেখ করে দিতে হবে যে আপনি কোন ধরনের ইন্টার্নশীপ করতে চান। যদি একাডেমিক বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশীপ হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই কোম্পানি ইউনিভার্সিটি থেকে একটি সার্টিফিকেট দিতে বলে , এক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি র Student Service Department এ যোগাযোগ করুন। আপনার CV এবং Motivation letter জার্মান ভাষায় হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।প্রয়োজনে আশেপাশের কোন জার্মান ফ্রেন্ড কে দিয়ে অনুবাদ করিয়ে নিন। মনে রাখতে হবে আপনি application করার পর কোম্পানি আপনাকে শুধু আপনার CV এবং Motivation letter দেখেই ইন্টারভিউ এর জন্য invite করবে, তাই CV এবং Motivation letter যত ভালো ও মার্জিত ভাবে উপস্থাপন করা যায়। Motivation letter এ আপনার অভিজ্ঞতা , দক্ষতা , আপনার টপিকস এ apply করার কারণ এবং এই position এর জন্য নিজেকে যথার্থ যোগ্য হিসাবে সুন্দর ও মার্জিত ভাবে বর্ণনা করুন । যদি কারো CV এবং Motivation letter এর format এর প্রয়োজন হয় তাহলে এই গ্রুপ এর অ্যাডমিন দের সাথে যোগাযোগ করুন , আশা করি ওনারা আপনাদের কে এই বিষয়ে সাহায্য করতে পারবেন। CV এবং Motivation letter এর বেপারে সর্বশেষ কথা হলো : এখানে আপনি আপনার নিজেকে যতটুকু সম্ভব সুন্দর ও পরিমার্জিত বর্ণনা করুন যাতে করে কোম্পানি এগুলো পরার পর আপনার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে অবস্যই অহেতুক বিষয় অথবা নিজে যা পারেন না সেই বিষয়ে লেখা থেকে বিরত থাকুন। পরবর্তিতে আপনি যদি কোম্পানি তে নির্বাচিত হন তাহলে কোম্পানি অন্যান্য ডকুমেন্টস গুলো চাইবে যেমন পাসপোর্ট , ওয়ার্ক পার্মিট ইত্যাদি।
সারমর্ম ও short টিপস :
************************
১. পরিমার্জিত CV এবং Motivation letter তৈরী করুন।
২. নূন্যতম ০৪ মাস আগে থেকে application শুরু করুন।
৩. টপ লেভেল কোম্পানি গুলোর একটি লিস্ট তৈরী করুন এবং প্রত্যেকটি তে নূন্যতম ৫-৮ টি
application করুন.
৪. ইন্টারভিউ তে যাবার পূর্বেই নির্দিষ্ট টপিকস এর ওপরে নিজেকে প্রস্তুত করে নিন।
৫. অনেক rejection আসবে ধৈর্য হারানো যাবেনা।
----- যারা ইন্টার্নশীপ করছেন বা করবেন তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে নিয়মনুবর্তিতা , সমযনূবর্তিতা ইত্যাদি বিষয়গুলো ভালোভাবে মান্য করুন। মনে রাখবেন আপনার বেক্তি উপস্থাপন এর মানেই হলো বাংলাদেশ কে উপস্থাপন। এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন যা আপনার ও দেশের প্রতি খারাপ দৃষ্টিভঙ্গি র সহায়ক হবে। মনে রাখবেন আপনার আচরণ এবং performance পরবর্তিতে অন্য আরেকজন বাংলাদেশী কে সহায়তা করবে।
------- যারা internship করছেন বা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন সবার প্রতি শুভ কামনা এবং সফলতা কামনা করছি . আমার জন্য দোআ করতে ভুলবেন না যেন .....!!
-
লেখক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
How do you search Doctoral Programs in Germany?!
Here it comes with some useful links as follows:
1. Research Explorer, Subject-Area Search:
2. Doctoral studies in Germany – Advanced search
http://www.hochschulkompass.de/…/searc…/advanced-search.html
3. Daad search tool: https://www.daad.de/deutschl…/studienangebote/studiengang/…/
4. Doctoral programs in Berlin:
জার্মানদের অভিজ্ঞতা
২০১৪ ফেব্রুয়ারিতে প্রজেক্টের কাজে গিয়েছিলাম মিউনিখ এ, ওই শহরেই একসময় প্রফেসর ও বিজ্ঞানী Ohm কাজ করতেন, রোধের একক (Ω) নিয়ে তার আবিষ্কার বিজ্ঞানের সবাই মোটামুটি কমবেশি জানে।
আসল কথায় আসি। তার পাশেই LMU ভার্সিটির এর বায়োলজি ফ্যকাল্টি। সে ফ্যাকাল্টিরই এক শিক্ষক, গ্রুপ লিডার ও ডিএনএ ল্যাবের হেড এর ডাক নাম আন্দ্রিয়াজ। সে PhD করেছিল USA থেকে। সে যাই হোক, তো দিনের কাজ শেষে সে একসাথে ডিনার করার প্লান জানাল।এক ইতালিয়ান রেস্টুরেন্টে। তাঁর জানামতে সবচেয়ে ভাল মাছ নাকি ওখানেই রাঁধে ! (যা আমার গলদকরন করতে সময় লেগেছে, নষ্ট মুখে ঘি সয় না অবস্থা )। যাওয়া ও খাওয়া চলা কালীন সময়ে অনেক কথা হল। তাঁর কিছু কথা শেয়ার করব; বিশেষ করে তাঁর বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি ছাত্রছাত্রীর নিয়ে (যারা সবে জার্মানিতে পা দিয়েছে)।
সে যা বলল তার সার সংক্ষেপ এইরকমঃ
কোন একদিন সে সেমিস্টারের ক্লাস নেয়ার জন্য ক্লাসরুমে গেল। ঢুকেই সে অনাকাংখিত ঘটনার মুখোমুখি। তার চোখ কপালে উঠে গেল। সে দেখল যেই মাত্রই সে ঢুকল কিছু ছাত্র সটান দাঁড়িয়ে গেল এবং কিছুক্ষণ পর বসে পড়ল। সে চিন্তা করল কেন তারা এমনটি করল! সে বুজল না। কিন্তু মুখে কিছু বলল না।
আরেক দিন সে তার অফিসে বসে আছে। কিছু ছাত্র তার কাছে এসেছে। এসাইনমেন্ট নিয়ে বা জমা দিবে বলে। তো তারা এসে কাচু মাচু শুরু করল। স্যারের সামনে সোজা হয়ে না দাঁড়িয়ে মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে, অত্যান্ত আড়ষ্ট ভঙ্গীতে দাঁড়ালো। সে এখানেও অবাক, আর চিন্তা করছিল যে ছেলেগুলোর শারীরিক কোন সমস্যায় আছে কিনা, না কোন কিছু চেপে আছে। কিন্তু সে কোন কিছুই কুল কিনারা করতে পারল না। আর সে কিছু বললে শারীরিক অবস্থা জি স্যার টাইপের হয়ে যেত।
সব শুনে আমি মিটিমিটি হাসছি। আমি বললাম এগুলো হল শিক্ষকদের সম্মান দেখানোর আমাদের দেশীয় স্টাইল। যা আমাদের দেশে প্রচলিত, কিন্তু আপনাদের দেশে নেই।
আরেকটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার জানলাম, তার স্ত্রীও এক সময় PhD করেছিল। কিন্তু সে এখন পার্লার দিয়েছে, তা নিয়ে সে ব্যাস্ত। আমি জিজ্ঞেস করলাম, সে গবেষণা চালিয়ে গেল না কেন! বা শিক্ষিকা হল না কেন! সে বলল তার স্ত্রীর ওটাই এখন ভাল লাগে। আমি বললাম ওয়াও! তারমানে কাজ কর সেটা, যেটা তোমার ভাল লাগে।
আরেকটা বিষয় জানলাম, আন্দ্রিয়াজ PhD করার পর USA তেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করার অফার পেয়েছিল। আমি প্রশ্ন করলাম, করেননি কেন? সে বলল আমার বাবা-মা বৃদ্ধ, দেখভাল করার ও পাশে থাকার তেমন কেউ নেই, তাই সব বিচার করে দেশেই চলে আসলাম। তাঁদের সাথেই আছি। ভাল লাগছে। যদিও ক্যারিয়ারে কিছুটা ছাড় দিতে হয়েছে।
আরও অনেক কিছু সে বলেছে। যা সত্যিই মজার ও শিক্ষণীয় বটে।
থাক আজ এ পর্যন্তই
ইউরোপ ও স্কান্দিনেভিয়া সহ উত্তরের দেশগুলো তে এই সমস্যাটি প্রবল। বাংলাদেশে এটির প্রাদুর্ভাব কম। এটাকে রোগ না বলে Seasonal affective disorder (SAD) ও বলা হয়ে থাকে। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এসে কিছু মানুষের 'মুডের' একটু পরিবর্তন হয় যা বছরের অন্য সময়ে স্বাভাবিক থাকে। প্রায় প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ এই SAD তে ভোগেন। এর কিছু উপসর্গ হচ্ছে, আশাহীনতা, দৈনিক কাজকর্মে অনিহা, ঘুম এবং ক্ষুধা সমস্যা, একাগ্রতা না থাকা, অধিক ঘুমানো, সকালে উঠতে সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়া, বেশি বেশি খাওয়ার প্রবণতা, ইত্যাদি। তবে যে কারনে একজন বিষণ্ণ তা আরেকজনের বিষণ্ণতার কারন নাও হতে পারে।
এটি মারাত্মক কোন অসুখ নয়। এটি কেন হয় তার প্রকৃত কারন এখন ও জানা যায়নি। তবে শীতের কম আলো ও নিজেকে ঘরবন্দী করে রাখা দেহের উপর প্রভাব ফেলে যা 'মুড' নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে এবং এটি বিষণ্ণতা সৃষ্টিতে সহায়ক বলে মনে করা হয়।
এটি কাটানোর উপায় সম্পর্কে গবেষণা বলে যে, দিনে ১ ঘণ্টা হাটা, অধিক আলোর ট্রিটমেন্ট নিলে এ সমস্যা দ্রুত কাটানো যায়।
এছাড়া, বাহিরে ঘুরতে যাওয়া, উষ্ণ থাকা, আলো দেখা, পরিমান মত খাওয়া, ব্যায়াম করা কর্মোদ্যম বাড়িয়ে দেয়। বন্ধুদের সাথে দেখা করা, কথা বলা এটি কাটাতে সহায়ক। অধিক সময় ধরে বিষণ্ণতা থাকলে ডাক্তার দেখানো যেতে পারে।
সুত্রঃ ইন্টারনেট
(পরিমার্জিত)
এই জীবনে কিসে আমাদের সুখী ও স্বাস্থ্যবান রাখে? ভবিষ্যতে কোথায় আমরা সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করব?
উত্তর দেয়ার আগে কিছু আলোচনা করা যাক। 'মিলিনিয়াল' নামে একটা জেনারেশন আছে। এই জেনারেশন হচ্ছে তারা যারা ১৯৮২ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছে। এদেরকেই মিলিনিয়াল জেনারেশন বলে। আমি ও আমাদের অনেকেই হয়ত এই জেনারেশনের অন্তর্ভুক্ত। এদের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। সেগুলা ইন্টারনেটে খুঁজলে জানা যাবে। সেদিকে যাচ্ছিনা। তো, এই মিলিনিয়াল জেনারেশনের মানুষগুলোকে জিজ্ঞেস করা হল তাঁদের জীবনের লক্ষ্য কি? উত্তরে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ বলল তারা ধনী হতে চায়। ২য় বার আবার জিজ্ঞেস করলে তাঁদের ৫০% উত্তরে বলল তারা খ্যাতি অর্জন করতে চায়, ফেমাস হতে চায়।
আমরা সব মানুষের জীবনকাহিনী জানি না। কোন কোন সিদ্ধান্তগুলো তারা জীবনের বিভিন্ন সময়ে নিয়েছে। সেগুলো কি ছিল, সেগুলোর ফল কি হল, ইত্যাদি। জানলেও যতটুকু তারা বলে ততটুকু জানি। যা সময়ের স্কেলে খুবই অল্প। যদি এমন হত যে মানুষের জীবনের সব কিছুই রেকর্ড করা থাকত আর আমরা পৃষ্ঠা উলটিয়ে উলটিয়ে টা পরতে পারতাম আর জানতাম তারা কখন কি করেছে। কিসে তার জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছে? এমনটি কি সম্ভব?
হাঁ সম্ভব। অন্তত অল্পপরিসরে। বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশবিদ্যালয় এই জানার কাজটিই করেছে কিছু মানুষের উপর। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ৭৫ বছর ধরে ৭৪০ জন অ্যামেরিকান মানুষকে নিয়ে গবেষণা করেছিল। গবেষকেরা তাঁদের উপর সার্বক্ষণিক নজর রেখেছিল, তাঁদের উপর জরিপ চালিয়েছিল, তাঁদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। এই ব্যাপ্তি তাঁদের শিশুকাল (১৯৩৫ সাল থেকে) থেকে বৃদ্ধ হওয়া বা মারা যাওয়া পর্যন্ত ছিল। তাঁদের মধ্যে ৬০ জন এখনও জীবিত আছে। যুবক বয়সে তাঁদের কেউ কেউ ভাল ব্যাবসায়ি, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অন্যকিছু হয়েছিল। এমনকি এদের একজন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত হয়েছিল। আবার তাঁদের কেউ কেউ বিপরীত কিছু হয়েছিল। মাস্তান, ড্রাগ ডিলার বা গডফাদার বা তার চেয়েও খারাপ। তো, ৭৫ বছর এতগুলো মানুষের উপর গবেষণা করে কি পাওয়া গেল? কি এমন আবিষ্কার করল গবেষকেরা?
এই ৭৪০ জন মানুষের জীবন থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বা বিষয় জানা গেলঃ
১। মানুষের সাথে সুসম্পর্ক-ই হচ্ছে জীবনে সুখী ও সমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যবান হওয়ার মূল রহস্য।
২। সামাজিক বন্ধনগুলো আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। আর একাকিত্য আমাদের মেরে ফেলে। যারা পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়, পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্কযুক্ত তারা তত বেশি সুখী, উদ্যমী, বাঁচে বহুদিন। আর যাদের সম্পর্কগুলো বিষাক্ত তারা অসুখী, অস্বাস্থ্যবান আর বাঁচেও কম।
৩। যারা জীবন জুড়ে মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়েছে, রেখেছে, মানুষের জন্য কিছু করেছে আর এর মাধ্যমে নিজেরা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হয়েছে, যাদের সম্পর্ক গুলো বেশি গভীর ও টেকসই ছিল তারাই জীবনে বেশি ভালভাবে অতিবাহিত করেছে এবং তারাই তত সফল হয়েছিল। তারা বৃদ্ধ বয়সেও সুখী ছিল। তার মানে সুসম্পর্ক আমাদের দেহকে শুধু বাঁচায় না, বাঁচায় আমাদের মনকেও।
মেলিনিয়াল জেনারেশন মনে করেছিল খ্যাতি, সম্পদ ও বিশাল অর্জন এর পিছনে লাগাই হচ্ছে 'ভাল জীবন' পাবার পথ। কিন্তু গবেষণা বলছে- যারা পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সামাজ ও মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়েছিল, আঁকড়ে ধরেছিল ও লেগে থেকেছিল বিভিন্ন ছড়াই-উত্রাইতে তারাই বেশি সফল ও সার্থক জীবন পেয়েছিল। আর খ্যাতি ও প্রয়োজনীয় ধন তাঁদের যাত্রাপথে হয়ে গিয়েছিল।
তাই, আমাদের সময় শেষ হয়ে যায়নি। জীবন এতই ছোট যে জগড়া, বিবাদ, ক্ষমার সময় কোথায় বরং সময় শুধু ভালবাসার, কাজ করার ও সুসম্পর্ক গড়ে তোলার।
(সংক্ষিপ্ত অনুবাদ ও পরিমার্জিত)
রেফারেন্সঃ https://www.ted.com/…/robert_waldinger_what_makes_a_good_li…