বিভাগীয় সমবায় দপ্তর, চট্টগ্রাম।

১. প্রাথমিক সমবায় সমিতি নিবন্ধন করতে কি কি কাগজপত্র দরকার হয় ?


উত্তর: সর্বনিম্ন ২০ জন সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ২০ জন সদস্যের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও সমিতির অফিস ঘরের চুক্তিনামাপত্র।






২. কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি নিবন্ধন করতে কি কি কাগজপত্র দরকার হয় ?



উত্তর: সর্বনিম্ন ১০টি প্রাথমিক সমবায় সমিতির প্রতিনিধির স্বাক্ষরিত ০৩ প্রস্ত উপ-আইন, নির্ধারিত আবেদন ফরম, সমবায় সমিতির প্রতিনিধিগনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারন সভা/সাংগঠনিক সভার কার্যবিবরনী।  







. অনলাইনে কিভাবে সমবায় সমিতির নিবন্ধনের আবেদন করতে হয় ?



প্রথমে যেকোন কম্পিউটার হতে https://service.rdcd.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপরে নিজের নাম, মোবাইল নং দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপরে সমিতির নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে।








৪.কত বছর পর পর সমিতির অডিট সম্পাদন করতে হয় ?

প্রতি বছর জুন মাস শেষ হওয়ার সাথে সাথে অডিট সম্পাদন করতে হয়।

৫. সমিতির অডিট সম্পাদনের কত দিনের মধ্যে বার্ষিক সাধারন সভা করতে হয় ?

উত্তর : সমিতির :অডিট সম্পাদনের ৬০ দিনের মধ্যে বার্ষিক সাধারন সভা করতে হয় ।

. সমিতির অডিট সম্পাদনের কত দিনের মধ্যে অডিট সংশোধনী প্রদান করতে হয় ?

উত্তর : সমিতির :অডিট সম্পাদনের ৬০ দিনের মধ্যে বার্ষিক সাধারন সভা করতে হয় ।

. সমিতির কত বছর বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হয় ?

উত্তর : প্রতি প্রতি ৩ বছর পর পর সমিতির নির্বাচন করতে হয় ।

৮. অভিযোগ কি ?

উত্তর: সরকারি দপ্তর অথবা আইনের আওতায় নিবন্ধিত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রতিশ্রুত সেবা বা পণ্য এবং/অথবা সেবাপদ্ধতি সম্পর্কে সেবাপ্রত্যাশীদের অসন্তুষ্টি অথবা প্রদেয়/প্রদত্ত সেবার সঙ্গে সম্পর্কিত বিধি-বহির্ভূত কাজ অথবা সেবাপ্রত্যাশীদের বৈধ অধিকার প্রদানে অস্বীকৃতির বিষয়ে ইলেকট্রনিক বা প্রচলিত পদ্ধতিতে (নির্ধারিত ফরমে) দায়েরকৃত দরখাস্ত অভিযোগ হিসেবে বিবেচিত হবে। 

৯. কোন কোন দপ্তরের ক্ষেত্রে অভিযোগ দাখিল করা যাবে ?

উত্তর : সকল সরকারি দপ্তর এবং আওতাধীন প্রতিষ্ঠান/সংস্থার জন্য প্রযোজ্য হবে। আইনের আওতায় নিবন্ধিত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি দপ্তর অভিযোগ প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

১০. কিভাবে অভিযোগ দাখিল করবেন ?

উত্তর : অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট (www.grs.gov.bd)-এর মাধ্যমে অভিযোগ দাখিল করা যাবে। এ ছাড়া ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে (ইমেইল, ই-ফাইল অথবা কল সেন্টারের মাধ্যমে) অথবা প্রচলিত পদ্ধতিতে (সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উপস্থিত হয়ে অথবা ডাকযোগে) অভিযোগ দাখিল করা যাবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সেলে দাখিলযোগ্য অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতিতে সচিবালয়ের গেটে অবস্থিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্রে দাখিল করা যাবে। অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ফরম (সংযোজনী ‘খ-১’) ব্যবহার করতে হবে।  

১১. অভিযোগ নিস্পত্তির সময়সীমা কত ?

উত্তর : ওয়েব-ভিত্তিক অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থায় প্রাপ্ত অথবা আপলোডকৃত অভিযোগসমূহের ট্র্যাকিং নম্বর সংবলিত এসএমএস এবং/অথবা ইমেইল অভিযোগকারীকে প্রদান করতে হবে। ওয়েব-ভিত্তিক সিস্টেম চালু না থাকলে এসএমএস, ইমেইল অথবা ডাকযোগে প্রাপ্তিস্বীকার প্রদান করতে হবে।

অনলাইন অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ওয়েবসাইটে (www.grs.gov.bd) ‘অভিযোগের অবস্থা জানুন’ বাটনে ক্লিক করে প্রাপ্ত ট্র্যাকিং নম্বর ব্যবহার করে অভিযোগ নিষ্পত্তির সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে। এছাড়া ব্যবহারকারী হিসেবে লগইন করে অভিযোগের তালিকা থেকে অভিযোগ নিষ্পত্তির সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন।

১২. আপীল কতৃর্পক্ষ কে ?

উত্তর : অভিযোগ প্রতিকার-সংক্রান্ত আপিল নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সকল সরকারি দপ্তরে একজন আপিল কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন:

১৩. প্রচলিত পদ্ধতিতে অনলাইনে/অফলাইনে অভিযোগ দাখিল করা যাবে কি ?

উত্তর : যে সকল দপ্তরে ওয়েব-ভিত্তিক অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা চালু হয়নি সে সকল দপ্তরে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে (ইমেইল, ই-ফাইল অথবা কল সেন্টারের মাধ্যমে) অথবা প্রচলিত পদ্ধতিতে (সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উপস্থিত হয়ে অথবা ডাকযোগে) অভিযোগ দাখিল করা যাবে। তবে যে সকল দপ্তরে ওয়েব-ভিত্তিক অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা চালু হবে সে সকল দপ্তরে অনলাইনে অভিযোগ দাখিলকে উৎসাহিত করতে হবে।  

. সমবায় সমিতি আইন ও বিধিমালার অধীন কত ধরনের সমবায় সমিতি নিবন্ধন করা যায় ?

উত্তর : ৩৫ ধরনের। ধরনগুলো হল।  ১। কৃষি বা কৃষক সমবায় সমিতি ২। মৎস্যজীবি বা মৎস্যচাষী ৩। শ্রমজীবি ৪। মৃৎশিল্পী ৫। তাঁতী ৬। ভূমিহীন ৭। বিত্তহীন ৮। মহিলা ৯। অটোরিক্সা ১০। হকার্স ১১। পরিবহন মালিক ১২। কর্মচারী ১৩। দুগ্ধ ১৪। মুক্তিযোদ্ধা ১৫। যুব ১৬। পানি ব্যবস্থাপনা ১৭। সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন ১৮। গৃহায়ন ১৯। ফ্ল্যাট মালিক/ এপার্টমেন্ট মালিক ২০। দোকান মালিক/ব্যবসায়ী ২১। ভোগপন্য ২২। সঞ্চয় ও ঋণদান ২৩। কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ২৪। কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি ২৫। বহুমুখী ২৬। কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক ২৭। উপজেলা বা থানা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি ২৮। কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ ২৯। বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ৩০। উৎপাদনমুখী ৩১। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৩২। পেশাজীবি ৩৩। ক্ষুদ্র নৃ-নাত্ত্বিক ৩৪। প্রক্রিয়াজাতকরন ৩৫। পযর্টন শিল্প সমবায় সমিতি

. নিবন্ধন আবেদন এর কতদিনের মধ্যে নিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হয় ?

উত্তর : ৬০ দিনের মধ্যে

. ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে নিবন্ধন সনদ ইস্যু না করা হলে বা কোন কিছু জানানো না হলে আপনার করনীয় কি ?

উত্তর : নিবন্ধনের আবেদনকারীকে  এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না জানানো হলে এবং নিবন্ধন সনদ ইস্যু না করা হলে আবেদনকৃত সমিতির নিবন্ধিত বলে গন্য হয়।

. লিখিতভাবে নিবন্ধন নামঞ্জুরের বিষয়ে জানানো হলে কি করতে পারেন ?

উত্তর : সিদ্ধান্ত প্রদানকারী কতৃপক্ষের পরবর্তী উদ্ধর্তন কতৃর্পক্ষের নিকট নামঞ্জুর সংক্রান্ত জারীকৃত স্মারক/পত্রের জারীর তারিখ হতে 30 (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আপীল করতে পারেন।

১৮. আপীল আবেদন নিষ্পত্তির সময়সীমা কত ? 

উত্তর : ৩০ (ত্রিশ) দিন।

১৯. সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব কি ?

উত্তর : সমিতির বাৎসরিক নিরীক্ষা করানো এবং এজিএম সম্পাদন করা, এছাড়া আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা।

. উপ-আইন সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে ?

উত্তর : সমিতির রেজুলেশনের কপি, সদস্যদের স্বাক্ষর, উপ-আইনের ফটোকপি, সমিতির আবেদন।

. কোন কোন বিষয়ে তথ্যের আবেদন করতে পারবেন ?

উত্তর : সমিতির বাৎসরিক নিরীক্ষা করানো এবং এজিএম সম্পাদন করা, এছাড়া আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা।

. কোন কোন বিষয়ে তথ্য প্রদান বাধ্যতামুলক নয় ?

উত্তর : এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলীতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন কোন নাগরিককে নিম্নলিখিত তথ্যসমূহ প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে না, যথা : 

(ক) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হইতে পারে এইরূপ তথ্য;

(খ) পররাষ্ট্রনীতির কোন বিষয় যাহার দ্বারা বিদেশী রাষ্ট্রের অথবা আন্তর্জাতির কোন সংস্থা বা আঞ্চলিক কোন জোট বা সংগঠনের সহিত বিদ্যমান সম্পর্ক ক্ষুণ্ন হইতে পারে এইরূপ তথ্য;

(গ) কোন বিদেশী সরকারের নিকট হইতে প্রাপ্ত কোন গোপনীয় তথ্য; 

(ঘ) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন তৃতীয় পক্ষের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারে এইরূপ বাণিজ্যিক বা ব্যবসায়িক অন্তর্নিহিত গোপনীয়তা বিষয়ক, কপিরাইট বা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ (Intellectual Property Right) সম্পর্কিত তথ্য;

(ঙ) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন বিশেষ ব্যক্তি বা সংস্থাকে লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্থ করিতে পারে এইরূপ নিম্নোক্ত তথ্য, যথা :–

(অ) আয়কর, শুল্ক, ভ্যাট ও আবগারী আইন, বাজেট বা করহার পরিবর্তন সংক্রান্ত কোন আগাম তথ্য;

(আ) মুদ্রার বিনিময় ও সুদের হার পরিবর্তনজনিত কোন আগাম তথ্য;

 (ই) ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা ও তদারকি সংক্রান্ত কোন আগাম তথ্য ;

(চ) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত হইতে পারে বা অপরাধ বৃদ্ধি পাইতে পারে এইরূপ তথ্য;

(ছ)কোন তথ্য প্রকাশের ফলে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হইতে পারে বা বিচারাধীন মামলার সুষ্ঠু বিচার কার্য ব্যাহত হইতে পারে এইরূপ তথ্য;

(জ) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হইতে পারে এইরূপ তথ্য;

(ঝ) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন ব্যক্তির জীবন বা শারীরিক নিরাপত্তা বিপদাপন্ন হইতে পারে এইরূপ তথ্য;

(ঞ) আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তার জন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক গোপনে প্রদত্ত কোন তথ্য;

(ট) আদালতে বিচারাধীন কোন বিষয় এবং যাহা প্রকাশে আদালত ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা রহিয়াছে অথবা যাহার প্রকাশ আদালত

(ঠ) অবমাননার শামিল এইরূপ তথ্য;

তদন্তাধীন কোন বিষয় যাহার প্রকাশ তদন্ত কাজে বিঘ্ন ঘটাইতে পারে

এইরূপ তথ্য;

(ড)কোন অপরাধের তদন্ত প্রক্রিয়া এবং অপরাধীর গ্রেফতার ও শাস্তিকে প্রভাবিত করিতে পারে এইরূপ তথ্য;

(ঢ) আইন অনুসারে কেবল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে এইরূপ তথ্য;

(ণ) কৌশলগত ও বাণিজ্যিক কারণে গোপন রাখা বাঞ্ছনীয় এইরূপ কারিগরি বা বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ কোন তথ্য;

(ত) কোন ক্রয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ হইবার পূর্বে বা উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ক্রয় বা উহার কার্যক্রম সংক্রান্ত কোন তথ্য;

(থ) জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিকার হানির কারণ হইতে পারে এইরূপ তথ্য; (দ) কোন ব্যক্তির আইন দ্বারা সংরক্ষিত গোপনীয় তথ্য;

(ধ) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বা পরীক্ষায় প্রদত্ত নম্বর সম্পর্কিত আগাম তথ্য; (ন) মন্ত্রিপরিষদ বা, ক্ষেত্রমত, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপনীয় সার- সংক্ষেপসহ আনুষঙ্গিক দলিলাদি এবং উক্তরূপ বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত কোন তথ্য :

তবে শর্ত থাকে যে, মন্ত্রিপরিষদ বা, ক্ষেত্রমত, উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক কোন

গৃহীত হইবার পর অনুরূপ সিদ্ধান্তের কারণ এবং যেসকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করিয়া সিদ্ধান্তটি গৃহীত হইয়াছে উহা প্রকাশ করা যাইবে।

. আপনি কত দিনের মধ্যে তথ্য প্রাপ্তির অধিকার রাখেন ?

উত্তর : ২০ (বিশ) কর্মদিবসের মধ্যে

. জেলার তথ্য :অধিকার প্রদানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তথ্য প্রদান না করলে কোথায় আপীল করবেন ?

উত্তর :উপ-নিবন্ধক (প্রশাসন), বিভাগীয় সমবায় দপ্তর, চট্টগ্রাম।