at 07/11/2020

Kishor Kantha

Math Olympiad

Online

প্রতিযোগীতার সময়সূচী

রেজিস্ট্রেশন চলবে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত
অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে ৭ নভেম্বর
ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৫ নভেম্বর

গণিতকে যারা ভালোবাসে তাদের নিয়েই এই আয়োজন

পুরস্কারসমূহ

  • বিজয়ীদের জন্য থাকবে বিশেষ সার্টিফিকেট, মেডাল এবং আকর্ষণীয় শিক্ষা সামগ্রী।

  • লটারীর ভিত্তিতে যেকোন ৭৫ জনকে দেওয়া হবে কিশোরকণ্ঠের টিশার্ট।

  • সকল অংশগ্রহণকারীর জন্য থাকবে পার্টিসিপেশন সার্টিফিকেট।

অংশগ্রহণ করতে ক্লিক করুন-

আমাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

বাংলাদেশ! আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। মাথার ওপর নীল ছামিয়ানা উঁচিয়ে সদা দণ্ডায়মান আসমান। দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠে দোল দিয়ে যায় ঝিরিঝিরি বাতাস, অন্তরে বুলিয়ে দেয় প্রশান্তির ছোঁয়া। কুলুকুলু রব তুলে বহমান পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ অজস্র নদী-নালার বুকে বয়ে চলে নৌকা। বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলকে ঘিরে রেখেছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। এতো এতো রূপ-রস-গন্ধে ভরা এই অনিন্দ্য সুন্দর দেশটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে শীতের মৌসুমে অতিথি পাখিরা এসে ভিড় জমায়। কার না ভালো লাগে এই দেশ! তাইতো একেক সময় একেক দেশ তাদের কুনজর নিয়ে শাসন করতে এসেছিল এদেশকে। কিন্তু শাসনের নামে তাদের সেই শোষণকে মেনে নিতে পারেনি দেশপ্রেমিক মানুষ। বাংলামায়ের দামাল ছেলেরা তাদেরকে রুখে দিয়েছে। তথাপি এখনও থেমে নেই বিদেশীদের লোলুপ দৃষ্টি। তাই এই সুজলা-সুফলা-শস্যশ্যামলা বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার সম্ভারকে রক্ষা ও তার পরিচর্যার জন্য প্রয়োজন একদল সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক মানুষের এবং সেই সাথে প্রয়োজন আমাদের গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরার মতো নির্ভিক কলমসৈনিক।

জাতির সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য ১৯৮৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রকাশিত হয় কিশোরকণ্ঠ নামক শিশু-কিশোর মাসিক পত্রিকাটি। প্রকাশের পর থেকেই পরিণত হয় দেশের অগণন শিশু-কিশোরদের প্রিয় পত্রিকায়। ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, এমনকি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সার্কভুক্তদেশ তথা ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, আফগানিস্তানসহ সমগ্র এশিয়া মহাদেশ এবং আফ্রিকা, ইউরোপ, ওশেনিয়া ও আমেরিকা মহাদেশে। একটি পত্রিকার এতো দ্রুত সম্প্রসারণের ফলে প্রয়োজন হয়ে পড়ে একটি ফাউন্ডেশনের ভিত রচনার। তারই ফলশ্রুতিতে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ২০০২ সালে সরকারি রেজিস্ট্রিভুক্ত হয় কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন। আর পত্রিকার রেজিস্ট্রেশন হয় ২০০৪ সালের মার্চ মাসে। তবে পত্রিকাটির অফিসিয়াল নাম হয়ে যায় “নতুন কিশোরকণ্ঠ”। কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন থেকে ২০০৮ সালে সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক মাসিক পত্রিকা “কারেন্ট ইস্যু” ও কার্টুন মাসিক “নয়া চাবুক” বের করা হয়। পত্রিকা দু’টির প্রকাশনা আপাতত বন্ধ আছে।

কিশোরকণ্ঠ আজ শুধু একটি পত্রিকার নাম নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করেছে। কালের পরিক্রমায় আজ এক মহীরুহ রূপ ধারণ করেছে।

কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম

ক) সাহিত্য আসর

আগামী প্রজন্মের জন্য একঝাঁক সাহসী ও দেশপ্রেমিক লেখক-কবি ও সাহিত্যিক তৈরির উদ্দেশে খুদে কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে আয়োজন করে নিয়মিত সাহিত্য আসরের। সেখানে স্বরচিত লেখা পাঠ ও আলোচনার মাধ্যমে শুদ্ধ ধারার সাহিত্য চর্চায় উৎসাহিত করা হয়। দিক-নির্দেশনা দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রথিতযথা কবি-সাহিত্যিকদের।

খ) পাঠক ফোরাম গঠন

কিশোরকণ্ঠ পাঠকদেরকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়-উপজেলায় এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে “কিশোরকণ্ঠ পাঠক ফোরাম” গঠন করে নতুন ছাত্রদেরকে পাঠ্যসূচির পাশাপাশি নৈতিক জ্ঞানার্জনে উদ্বুদ্ধ করে চলেছে। এই ফাউন্ডেশন। মেধা ও মননের বিকাশ এবং দেশপ্রেম ও চারিত্রিক মূল্যবোধ সৃষ্টি, শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা ও কর্তব্যবোধে উজ্জীবিতকরণ পাঠক ফোরামের নিয়মিত কাজ।

গ) সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ

কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ফ্রি কোচিং কাস, দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং বৃক্ষরোপণ ও স্কুল আঙিনা পরিষ্কার অভিযানসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহ প্রদান করা হয়।

ঘ) মেধাবীদের স্বীকৃতি প্রদান

মেধাবীরাই পারে আগামীর বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে, তাই তারাই আমাদের একমাত্র প্রত্যাশার আলোকবর্তিকা। তারাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে উত্তরোত্তর সফলতার দিকে। কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন তাদেরকে আরো আত্মপ্রত্যয়ী ও সাহসী হওয়ার জন্য প্রতি বছর জেএসসি-জেডিসি ও এসএসসি-দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের কৃতী এবং মেধাবী সংবর্ধনার আয়োজন করে থাকে।

ঙ) ক্রীড়া কার্যক্রম

এতো এতো কাজের মধ্যেও কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন ছাত্রদেরকে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায় উৎসাহ প্রদান করে থাকে। কেননা, সুস্থ দেহে সুস্থ মন- এ কথা সর্বজনস্বীকৃত। আন্তঃস্কুল ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন তারই বহিঃপ্রকাশ।

চ) প্রতিযোগিতার আয়োজন

পড়ালেখার পাশাপাশি জ্ঞানের ভাণ্ডারকে আরো সমৃদ্ধ করতে কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসকে সামনে রেখে নানাবিধ প্রতিযোগিতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। কিশোরকণ্ঠ পাঠ প্রতিযোগিতা, সাধারণ জ্ঞানের আসর, কুইজ, বিতর্ক, গল্প লেখা ও রচনা প্রতিযোগিতা এর মধ্যে অন্যতম।

ছ) শিক্ষা কার্যক্রম

একাডেমিক লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্রদেরকে যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে তৈরির লক্ষ্যে কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস ও বাংলাদেশের লোকজ ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ, নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে শিক্ষা সফর, সামষ্টিক ভোজ, পাঠচক্র ও বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করে থাকে।

জ) কিশোরকণ্ঠ লেখক সম্মেলন ও সাহিত্য পুরস্কার

২০০২ সাল হতে কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন একটি শিশু-কিশোর পত্রিকার মাধ্যমে দেশের কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে লেখক সম্মেলন বাংলাদেশে প্রথম সূচনা করে। সুষ্ঠু ও গঠনমূলক সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে এই সম্মেলন এক যুগান্তকারী আয়োজন। এ সম্মেলন সকল আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক লেখক, কবি ও সাহিত্যিক তৈরির ও প্রেরণার এক বাতিঘর। প্রথম লেখক সম্মেলন থেকেই স্বনামধন্য লেখক, কবি ও সাহিত্যিকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এটিও এদেশের ইতিহাসে প্রথম সংযোজন।


আমাদের আয়োজিত আরো কিছু অনুষ্ঠান-

মাসিক কিশোরকণ্ঠ-

আমাদের কিছু প্রকাশনা-

কিশোরকণ্ঠ

কিশোরকণ্ঠের মাসিক গ্রাহক হতে অথবা কিশোরকণ্ঠ পাঠক ফোরামের সদস্য হতে যোগাযোগ করুন-