Smt. Sampriti Bhattacharyya

Former student, Visva-Bharati

An independent research scholar and writer

Email: sampriti.bhattacharyya.97@gmail.com


ইতি, সুনীতি: সুনীতি নামযোশির কলমে সমকামিতা ও নারীবাদের তৃতীয় ধারা


 Abstract: ভারতীয় ইংরেজি সাহিত্যে এক অভূতপূর্ব নাম সুনীতি নামযোশি।নারী পুরুষের ধ্রুব বৈপরীত্য ভেঙে দিয়ে যিনি নারীবাদের এক তৃতীয় ধারা আবিষ্কার করেছেন তাঁর লেখনীর মধ্যে দিয়ে। তাঁর লেখা ইংরেজি কিছু বইয়ের একটি পর্যালোচনা করা হয়েছে এই লেখায়। নামযোশির চেতনা কোনো মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত নয়, বরং তাঁর লেখা একত্রে টেনে এনেছে সমস্ত তৃতীয় ধারার সংগ্রামকে। তাঁর কবিতা, নীতিগল্প এবং রূপকথার বইয়ের মধ্যে দিয়ে অতি সহজ ভাষায় তিনি পুনঃনির্মাণ করেছেন ভারতীয় সাহিত্য, তথা বিশ্বসাহিত্যের। চিরাচরিত ঈশপের গল্প, গ্রীমের রূপকথা আর প্রচলিত পুরাণের গল্প আমরা ছোট থেকে শুনে আসছি, সেগুলিকে এক তৃতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেন সুনীতি নামযোশি। নামে নারীবাদী নীতিগল্প হলেও সেগুলি এক নিমেষে ভেঙে ফেলে নারীবাদের সমস্ত মূলস্রোতের চিন্তাধারা। জন্ম নেয় তৃতীয় ধারার নারীবাদ, তৃতীয় বিশ্বের এক নারী সমকামী লেখকের কলম থেকে।

Keywords: সমকামিতা, তৃতীয় ধারা, ভারতীয় ইংরেজি সাহিত্য, পুনর্নির্মাণ, নারীবাদ


“দুদিকে যায়, দুদিকে যায়, একদিকে কেউ যায়না –” 

“দুই শূন্যে”, শক্তি চট্টোপাধ্যায়। 


দুইয়ে দ্বন্দ্ব। আবার দুটি মেরু দিয়েই পৃথিবী। এই দুইয়ের কাঠামোর মধ্যে থাকতে আমরা অভ্যস্ত। আমরা দুটি চোখে দেখি, দুটি হাতে কাজ করি। এই দ্বৈত চিন্তন আমাদের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখে। হয় এখানে, নয় ওখানে। আমরা অযথা হারিয়ে যাই না। বেদুইন হওয়া আমাদের স্বভাবোচিত নয়। কিন্তু মুশকিল শুরু হয় যখন এই দ্বিমূল সংজ্ঞা ভেঙে যায়, যখনই এখানে বা ওখানে খুঁজে পাওয়া যায় না কিছু, সমস্ত প্রশ্ন বিতাড়িত হয় সমস্ত কেন্দ্র থেকে, উত্তর লুকিয়ে থাকে “অন্য কথা, অন্য কোনোখানে”, দুই শূন্য থেকে তৃতীয় শূন্যে যখন পা বাড়ায় কেউ। দুই থেকে বেরিয়ে গেলেই তিন। আর তিন এলেই সবকিছু তোলপাড় হয়ে যায়, বৃত্তের পরিধি থেকে সমস্ত বিন্দু ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে, ইয়েটসের কথায়, কেন্দ্র আর ধরে রাখতে পারেনা কোনোকিছু, শৃঙ্খলা ভেঙে যায়, রাজত্ব করে নৈরাজ্য। দ্বৈতত্ত্ব ভাঙলে বৈচিত্র্য আসে, বৈচিত্র্য আসলে ঠেলাঠেলি হয়, লড়াই হয়। স্রোত এসে আছড়ে পড়ে শান্ত নদীতটে। দুঃখের বিষয় দ্বৈত কাঠামো পুরোপুরি ভেঙে যায়না, দুর্বল হয়ে পড়ে। জন্ম নেয় চেতনার তৃতীয় ধারা, প্রশ্নের তৃতীয় উত্তর, দর্শনের তৃতীয় চোখ। এরকমই এক ধ্রুব দ্বৈতত্ত্ব নারী-পুরুষ বৈপরীত্য। আর এই দুই প্রকরণ থেকে বেরিয়ে গেলেই আসে তৃতীয় লিঙ্গ। আবার এর মধ্যে গজিয়ে উঠতে থাকে লিঙ্গ আর যৌনতার মধ্যে দ্বন্দ্ব। সেখানে ধীরে ধীরে তৈরি হয় আরও অসংখ্য সংঘাতী “discourse”, যা প্রয়োজনীয়, যা অনস্বীকার্য, যা স্থবির এবং অপরিবর্তনীয় গল্পকে এগিয়ে নিয়ে চলে, তার গায়ে শ্যাওলা জমতে দেয়না। 

সুস্পষ্ট শক্তিশালী অক্ষর, কিছুটা ব্যঙ্গ, কিছুটা রম্য, কিছুটা যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে এই দ্বন্দ্ব ভেঙে চলেছেন প্রখ্যাত ভারতীয় প্রবাসী গল্পকার এবং কবি, সুনীতি নামযোশি। যৌনতার তৃতীয় ধারার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় সমকামিতা। নামযোশির অনির্বচনীয় কলমে এই তৃতীয় ধারা ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে যায় তাঁর অভিবাসী লেখকপরিচয়ের সাথে। বস্তাপচা নারী-পুরুষ পৃথিবীর শিকড় উপড়ে বেড়ে চলে তাঁর ভারতীয় সমকামী নারীবাদী কবিসত্ত্বা। এ যেন ভারতীয় সাহিত্যে এক তেলেনাপোতার আবিষ্কার, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এক নতুন দুর্গার আবির্ভাব, যে দুর্গার স্বামী মহাদেব নন, যে দুর্গা পার্বতী আর শ্যামার দ্বৈতরূপ পেরিয়ে কোনও তৃতীয় চেতনার দরজা খুলে দিচ্ছেন। অস্ত্র হিসেবে তাঁর হাতে রয়েছে পুরাণ, কিছু পুরনো নীতিকথা, পুরনো রূপকথার গল্প, শেক্সপিয়ারের বহু চর্চিত লেখাজোখা। পুরনো নিয়মের, পুরনো লেখার পুনর্নির্মাণের মধ্যে দিয়ে তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে সমস্ত তৃতীয় স্রোত মিলে যাচ্ছে, কীভাবে নিয়মের সীমানা মুছে যাচ্ছে, কীভাবে লিঙ্গ ও যৌনতার মধ্যে জন্ম নিচ্ছে একটা অন্য পৃথিবী। এই ব্যাখ্যায় বারবার আনতেই হয় হোমি ভাবার “থার্ড স্পেস”, যেখানে দুটি চেতনার সংঘর্ষে জন্ম নিচ্ছে একটি নতুন চেতনা, যা আলাদা, যা স্বতন্ত্র, যার অবস্থান কোনো এক মধ্যবর্তী স্থানে, যা ক্রমাগত ভেঙে ফেলছে সমস্ত সংজ্ঞা, তৈরি করছে নতুন চিন্তন, ভেঙে ফেলছে তাকেও। এ এক অপূর্ব ভাঙা, যা সত্যিই গড়ে তোলার চেয়ে মূল্যবান। পার্থক্য একটাই, নামযোশির চেতনা কোনো মধ্যবর্তী স্থানে নয়। তা সযত্নে সংঘাতী চেতনাদের অতিক্রম করেছে। তাঁর লেখা একত্রে টেনে এনেছে সমস্ত তৃতীয় ধারার সংগ্রামকে, পেরিয়ে গিয়েছে লৈঙ্গিক, ঔপনিবেশিক,  শৈল্পিক ও জাতীয় স্তরের সমস্ত সীমানা। একই সঙ্গে তিনি গড়ে চলেছেন নারীবাদের এক তৃতীয় ধারা। উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপে এই  আন্দোলন শুরু হয়েছিল  সত্তরের দশকে,  মূলত  নারীবাদের  দ্বিতীয়  স্রোত  এবং  পুরুষ  সমকামীদের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি প্রতিক্রিয়া হিসেবে। নামযোশি ভারতীয় ইংরেজি সাহিত্যে এই প্রতিক্রিয়াকে সযত্নে তুলে এনেছেন। তাঁর নিজের যৌন চেতনা এবং পরিচয়কে তিনি ধীরে এবং সূক্ষ্মভাবে ব্যবহার করেছেন একটি আতশ কাঁচ হিসেবে, শুধুমাত্র একটি নতুন আন্দোলনের জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, সাহিত্য, পরিচয় রাজনীতি এবং স্বাতন্ত্র্যের একটি নতুন অস্ত্র, এক বৃহত্তর অলংকার হিসেবেও। তাঁর কবিতা “Various Reasons” এ আমরা দেখতে পাই ক্রমাগত নিজের অস্তিত্বের সাথে লড়ে যাওয়া, পরিচয়ের খুঁজে ফেরা এক সমকামী নারীর প্রতিচ্ছবি, যার উড়ানকে অদৃশ্য ও দৃশ্যমান গোটা সমাজ বারবার থামিয়ে দেয় : 

A policeman? He raised his hand? So.

He said, “Stop. But is that poetry?

Is that life? Now there are no policemen

In my mind, neither traffic, nor otherwise,

Tho’ of course its natural to assume,

But stone walls do not a prison make,

And by upbringing and birth Im not a citizen

Of a police state. Not that I hate policemen

And they dont really remind me of anything;

But the policeman said, Stop.

And, my dear, they do exist.


সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করলে অর্থ এই দাঁড়ায় যে জেলখানা মানেই যে সবসময় চারপাশে পাথরের দেওয়াল থাকতে হবে তার কোনো অর্থ নেই। যদিও চারপাশে দেখা যাচ্ছে না কোনো পুলিশ, কিন্তু তার মানেই যে তারা নেই তা নয়। তারা আছে, সবসময়, চেতনায়। বারবার কবির মস্তিষ্কে আঘাত করে চলেছে এক দুর্বিষহ বাধা, বারণ, যা সমাজ তিলে তিলে গড়ে তোলে আমাদের চেতনায়, শৈশব থেকে। কবির সমকামিতা আরও প্রকটভাবে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর দুটি লেখায় “I Give Her a Rose” এবং “Flesh and Paper”, যেখানে তাঁর গহীন দ্বন্দ্ব, সমাজের বুকে শিকড় গেড়ে বসা বস্তাপচা দ্বৈতবাদের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ, চিরাচরিত ধারার যৌনচেতনা থেকে ভেঙে ফেলার জন্য তাঁর আর্ত হাহাকার, যন্ত্রণা এবং সংগ্রাম চুঁইয়ে পড়েছে ব্যক্তিগত পরিধির সীমা ছাড়িয়ে। তাঁর দীর্ঘ কবিতা "Snapshots of Caliban” এ তিনি পুনর্নির্মাণ করেছেন শেক্সপিয়রের দ্য টেমপেস্টের ক্যালিবানকে, এখানে সে একজন সমকামী নারী, যে সমাজে বহিরাগত, “the other”. 


এরপর আসে অসাধারণ দক্ষতার সাথে পুনর্নির্মিত রূপকথা ও নীতিগল্পের বই, Feminist Fables, যা সজোরে ভেঙে ফেলে পুরাণ, রূপকথা আর নীতিগল্পের রাজনৈতিক কাঠামো। চিরাচরিত ঈশপের গল্প, গ্রীমের রূপকথা আর প্রচলিত পুরাণের গল্প আমরা ছোট থেকে শুনে আসছি, সেগুলিকে এক তৃতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেন সুনীতি নামযোশি। নামে নারীবাদী নীতিগল্প হলেও সেগুলি এক নিমেষে ভেঙে ফেলে নারীবাদের সমস্ত মূলস্রোতের চিন্তাধারা। জন্ম নেয় তৃতীয় ধারার নারীবাদ, তৃতীয় বিশ্বের এক নারী সমকামী লেখকের কলম থেকে। ভাষাকে ব্যবহার করে ভাষার অন্তর্নিহিত সমস্ত রাজনৈতিক, লৈঙ্গিক ও যৌন অসামঞ্জস্যকে তুলে ধরে Feminist Fables, সমস্ত স্তরের “জেন্ডার ট্রাবল” কে চোখে আঙুল দিয়ে নারী-পুরুষের চিরকালীন দ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে এসে এই লেখা সমগ্র ক্ষমতার অসমতার কাহিনী হয়ে ওঠে। ছোটবেলায় শোনা গল্পে এক সুন্দরীর চুম্বনে এক পশু পরিণত হয় রাজপুত্রে। সেই পাশবিকতার ধারণা নিয়ে খেলা করেন নামযোশি। নামযোশির লেখায় এক সমকামী নারী সেই পশু হয়ে ওঠে, একজন “outsider” কে আমরা যুগ যুগ ধরে পশু বানিয়ে এসেছি, দানব বানিয়ে এসেছি, ডাইনী বানিয়ে এসেছি। যাকে আমরা বুঝতে পারিনি, যা কিছু আমরা ফেলতে পারিনি “হয় এখানে, নয় ওখানে”র কাঠামোতে, তাকে আমরা তকমা দিয়েছি বহিরাগতর। “The Beauty and the Beast” এর এই “অন্য” গল্পে এই সমকামী নারীটি হয়ে উঠেছে সেই বহিরাগত, সেই পশু: “The Beast wasn’t a nobleman. The Beast was a woman. That’s  why  its love for Beauty was so monstrous.”  নামযোশির  “A Moral Tale”  হয়ে ওঠে মানুষ থেকে পশু হয়ে ওঠার গল্প, বিপরীতমুখী পরিবর্তনটি যেখানে অসম্ভব:


“But the Beast doesn’t change from a Beast to a human because of its love. It’s just the reverse. And the Beast isn’t fierce. It’s extremely gentle. It loves Beauty, but it lives alone and dies alone.’ And that’s what she did. Her.”


বহুপ্রচলিত শিয়াল ও সারসের গল্পটিকে অভূতপূর্বভাবে ভেঙে গড়েছেন নামযোশি। এই গল্পটিকে যেকোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় ধারার মানুষের প্রতি তথাকথিত মূলধারার মানুষের নির্বিকার নির্বোধ প্রশ্নক্ষেপণের এক রূপক গল্প বলা চলে। গল্পের শেষে লেখিকা তাঁর স্বভাবোচিত কৌতুকমিশ্রিত স্বরে বলেন, 


“In her work on Storks, Fox has computed that the average stork utters seventeen words, exactly seventeen, in every century.”


সবশেষে আসি তাঁর শক্তিশালী লেখায়, The Conversations of Cow , যার ভূমিকায় তিনি উল্লেখ করেছেন যে এই বইয়ের উদ্দেশ্য লিঙ্গের দ্বৈত সংজ্ঞাকে প্রশ্ন করা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমরা সবসময়েই একটি সরল পথ বেছে নিই, একটি নির্দিষ্ট পথ, একটি কেন্দ্রীয় মত। কিন্তু সবকিছুকে সুবিধার খাতিরে অনড় অচল আয়তনে আবদ্ধ করলে আমাদের নিজেদের পরিচয়কেই অস্বীকার করা হয়। আমরা কেউই একটি একক সত্ত্বা নই, বরং নানান সত্ত্বার এক তরল মিশ্রণ। আর একটি সত্ত্বার সংজ্ঞা এলেই আসে বিপরীত সত্ত্বার সংজ্ঞা, আর আমরা বাঁধা পড়ি একটি দ্বৈত কাঠামোয় যা নামযোশি ভেঙে ফেলেন এই লেখায়, আর আমরা অনুভব করে চলি এক তৃতীয় স্রোতকে, যা একাধারে ডায়াস্পোরিক ও সমকামী।  সুনীতি, একজন নারীবাদী সমকামী, এবং ভদ্রবতী নাম্নী এক গাভীর মধ্যে চলে কথোপকথন। তাদের সংগ্রাম, তাদের দ্বন্দ্ব, তাদের কোনো এক নির্দিষ্ট কাঠামোয় খাপ খাওয়াতে না পারার যন্ত্রণা এই সব ফুটে ওঠে অনধিক ১৫০ পাতার এই বইয়ে। এ যেন এক বোধের স্রোত, এক অন্তর্লীন তর্কযুদ্ধ, তৃতীয় বিশ্বের এক ডায়াস্পোরিক ও সমকামী নারীবাদের উপাখ্যান।


এই যে থাকা, ভেতরে অথবা বাইরে, এখানে অথবা ওখানে, এই যে বাঁচা, থেকে অথবা না থেকে, দেখে অথবা না দেখে, এই যে বলা, লিখে অথবা না লিখে, বুঝে অথবা না বুঝে, এই যে ক্ষণিক শূন্যে আর ক্ষণিক বাতাসে ভেসে বেড়ানো, এই কি আমরা নই? যদি তাই হয়, তাহলে শক্তির সংগ্রামে বিপরীতমুখী স্রোতেরা কেন একা? কাগজ আর শরীরের মিলনে এই প্রশ্নই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আনেন নামযোশি, খুঁজে দেখতে চান ক্ষমতার লড়াইতে তৃতীয় ধারার মানুষের স্থান। নামযোশির এই তৃতীয় ধারার মূল ধারার মতো কোনো দৃঢ় সংজ্ঞা নেই, এ ধারা সমস্ত দ্বৈতবাদী ধারাদের অতিক্রম করার, সমস্ত একমুখী গল্পের পাঁজরে বহুমুখী দাঁড়ের শব্দকে খুঁজে চলার, সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে এমন কোনো বিশ্বের সন্ধান পাওয়া যেখানে সকলের উড়ান সমান, সকলের কথা পৌঁছয় সকলের কানে, বহিরাগত বলে যেখানে কিছু নেই। 


তথ্যসূত্র: 

1. Namjoshi, Suniti. Poems. Calcutta: Writers Workshop, 1967, Print.  


2. Namjoshi, Suniti. More Poems. Calcutta: Writers Workshop, 1971, Print.


3. Namjoshi, Suniti. Cyclone In Pakistan. Calcutta: Writers Workshop, 1971, Print.  


4. Namjoshi, Suniti. The Jackass and the Lady. Calcutta: Writers Workshop, 1980, Print.  


5. Namjoshi, Suniti. The Authentic Lie. Fredericton, N.B: Fiddlehead Poetry Books, 1982, Print. 


6. Namjoshi, Suniti. From the Bedside Book of Nightmares. Fredericton, N.B.: Fiddlehead Poetry Books & Goose Lane Editions, 1984, Print. 


7. Namjoshi,  Suniti. Flesh  and  Paper  (with  Gillian  Hanscombe).  UK:  Jezebel  Tapes  and  Books,  1986; Charlottetown, P.E.I.: Ragweed Press, 1986, Print. 


8. Bajaj, Rashmi. Women Indo – Anglian Poets: A critique. New Delhi: Asian, 1996, Print. 


9. Beauvoir, Simone de. The Second Sex. Trans. H.M. Parshley. NewYork: Vintage, 1952, Print. 


10. Butler, Judith. Gender Trouble: Feminism and the subversion of identity. New York: Routledge, 2007, Print. 


11. De Souza, Eunice, ed. Nine Indian Women poets: An Anthology. New Delhi: Oxford, 1997, Print. 12. Freud, Sigmund. The Interpretation of Dreams. Vol. 4. London: Penguin, 1991, Print. 


13. Goel, Savita  Suniti Namjoshi’s  Feminist Fables:  A Minor  Feminist Classic. Indians  Women Writers:  Critical Perspectives. Ed. Jaydipsinh k. Dodiya. New Delhi: Sarup, 2000. 177-82, Print. 


14. Gupta, Tanu. “Indian Women’s Poetry: A study in schizophrenic Experience.” New Delhi: Prestige Books, 2011, Print. 


15. Jain, Sunita. Sensum: Collected Poems (1965-2000). New Delhi: Read Books, 2007, Print. 


16. Millett, Kate. Sexual Politics. New York: Doubleday, 1970, Print. 


17. Moi, Toril. Sexual/ Textual Politics: Feminist Literary Theory. 2nd ed. London: Routledge, 1988, Print. 


18. Rajan, Rajeswari Sunder. Real and Imagined Woman: Gender, Culture and Post Colonialism. London: Roultedge, 1993, Print. 


19. Verma, Monika. Facing Four: A Critical Opinion on the Poetry of Suniti Namjoshi, Gauri Deshpande, Kamla Das, Bharati Sarabhai. Calcutia: Writers Workshop, 1973, Print. 


20. VijayaSree. C. Suniti Namjoshi: The Artful Transgressor. Jaipur: Rawat, 2001, Print. 


21. Showalter, Elaine. Feminist Criticism in the Wilderness: Modern criticism and Theory. Ed. David Lodge. Delhi: Pearson Education, 1988. 307-30.