hi, let Avik connect you.

** You can give your thought about this content and request modifications if needed from Ask For Modifications page. Thank You.

** You can check all the posts on the Posts page.

** More about me in the About Me section.

Network Packet এর সাথে একটু কোলাকুলি - ১

টুংং... ... ...

এই যে একটা মেসেজ আপনাকে কেউ পাঠালো ... মেসেজের উত্তর আপনি দিলেন ... সেটা চলেও গেলো ওনার কাছে। কিন্তু কিভাবে? ম্যাজিক? মোটেও না। এর মধ্যে কিছু সুন্দর সুন্দর ইঞ্জিনিয়ারিং লুকিয়ে আছে। আজকে আমরা হাল্কা করে সেটাই দেখবো। 

এই যে এত মেসেজ, ফাইল ইত্যাদি এসবের আদান প্রদান হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভাষায় আমরা এগুলোকে বলি Data ( ডাটা। ইয়েস কুমড়ার ডাটা )। এখন আপনি একটা মেসেজ আরেকজনকে পাঠাচ্ছেন মানে হচ্ছে আরেকজনকে আপনি কিছু ডাটা পাঠাচ্ছেন। তো মোটামুটিভাবে এরপর থেকে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে যা কিছুই আদান প্রদান করেন না কেন সেগুলোকে সাধারণ ভাষায় আমরা ডাটা হিসাবে চিহ্নিত করবো। 

এখন ধরেন আপনি আপনার প্রেমিকা কে এক দিস্তা কাগজের খাতার একটা চিঠি পাঠালেন (মানে অনেক দিন কথা বার্তা হয় না আর কি! 😜 ) । পোস্ট অফিস কি এটা নেবে? বলবে ছোট করে পাঠান যাতে আমাদের এই খামে ( সাদা চিঠির প্যাকেটে ) এর জায়গা হয়। নেটওয়ার্কের বেলায় ও ব্যাপার টা একইরকম। আপনি হয়তো মেসেজ দেবার সময় বিশাল সাইজের মেসেজই দিলেন কিন্তু আপনার নেটওয়ার্কের পোস্টম্যান ঠিকই কিছু ছোট ছোট প্যাকেটে এই ডাটা গুলো পাঠায়। 

প্রশ্ন হচ্ছে - এই প্যাকেটে আসলে কেন পাঠাতে হচ্ছে? 

ধরেন আপনার একটা চিঠি ঢাকা থেকে নিউইয়র্কে যাবে। আপনি আপনার কাছের পোস্ট অফিসে চিঠি টা দিয়ে আসলেন। পোস্ট অফিস আপনার চিঠি রিসিভ করে সেখানে সিল দিয়ে দিলো। এবার এই চিঠি গেলো জিপিও তে। তারা এই চিঠি রিসিভ করার পর একটা সিল দিলো। চিঠি কে এরপর কাস্টমস এ পাঠানো হলো। সেখানে রিসিভ এর পর আরে একটা সিল দেয়া হলো। এরপর চিঠি প্লেনে উঠলো। চিঠি আমেরিকার কাস্টমস এ পৌছালো। তারাও ওই চিঠির উপর একটা সিল দিলো। এরপর সেটা গেলো নিউইয়র্কের পোস্ট অফিসে। এভাবে করে যতগুলো পোস্ট অফিস হয়ে চিঠি টা তার গন্তব্যে পৌছানোর আগ পর্যন্ত যত গুলো পোস্ট অফিস হয়ে যাবে তারা এরকম একটা একটা সিল দিতে থাকবে। 

এই সিল হচ্ছে অথরাইজেশান। এই সিল দেখে চিঠির প্রাপক এবং মধ্যবর্তী পোস্ট অফিস গুলো বুঝতে পারে যে চিঠি টা ঠিক পথে ঠিক ভাবেই এসেছে। 

এখন নেটওয়ার্কের বেলায় এই ডাটা গুলো একটা রাউটার** থেকে আরেকটা রাউটার ( আসলে ইন্টারনেট হলো কিছু রাউটার কানেকশন ) হয়ে প্রাপকের কাছে পৌছায়। এখন প্রত্যেকটা রাউটার যখন একটা প্যাকেট পায় তখন সে ওই প্যাকেটের আগের লোকেশান টা চেক করে এরপরে নিজের লোকেশান ওটার সাথে সেটে দিয়ে পরের রাউটারে পাঠায়। প্রতিটা রাউটার (এবং আমাদের ডিভাইস মানে মোবাইল, কম্পিউটার) যেই প্যাকেট টা পায় সেটা দেখতে নিচের মত।

এখানে Layer 2 Header এ থাকে কোন পোস্ট অফিস থেকে আসলো এবং কোন পোস্ট অফিসে যাবে সেই সিলগুলো। নেটওয়ার্কের ভাষায় যাকে বলে MAC Address। এর মধ্যে দুইটা MAC Address থাকে একটা হচ্ছে কোথা থেকে দেয়া হচ্ছে সেটা এবং আরেকটা কোথায় যাবে সেটা। 

এবার Layer 3 Header এ থাকে কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিসের এর সিলগুলো। কারণ আমেরিকার কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস বাংলাদেশের গ্রামে থাকা পোস্ট অফিসগুলোকে চিনবে না। বাংলাদেশের বেলায় ও ব্যাপার টা একই। এই যে এক দেশের পোস্ট অফিসের একটা বিশেষ সিল আরেক দেশের পোস্ট অফিসের আরেকটা বিশেষ সিল কে চিনে এটাকে নেটওয়ার্কের ভাষায় IP Address বলা হয়। IP Address হচ্ছে একটা নেটওয়ার্ক এর Identity। একটি নেটওয়ার্ক (দেশ) থেকে অন্য একটি নেটওয়ার্ক (দেশ) - এ ডাটা পাঠাতে গেলে এই বিশেষ Address এর সাহায্য নিতে হবে। এখানেও দুইটা IP Address থাকে একটা যেই নেটওয়ার্ক থেকে আসছে এবং অন্য টা যেই নেটওয়ার্কে যাবে।

Layer 4 Header এ থাকবে আপনার আমেরিকার বন্ধুর বাসার ঠিকানা। Network এর ভাষায় যাকে আমরা বলবো TCP Information। আপনার ডিভাইসে অনেক গুলো এ্যাপ্লিকেশন ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে কিন্তু কোন এ্যাপ্লিকেশানের ডাটা কিন্তু অন্য কোন এ্যাপ্লিকেশানে যায় না। কারণ টা হচ্ছে আপনার ডিভাইসে থাকা এই ইনফরমেশনের কারণে।

পরবর্তী Application Layer/Data সেকশনে থাকবে ওই চিঠি খুলে কিভাবে আপনার বন্ধু পড়বেন সেটা। ধরেন আপনি এমন চিঠি পাঠালেন যেটা আগুনের কালো ধোয়ার উপরে ধরলে দৃশ্যমান হয়। এখন এটা জানেন শুধু আপনি আর আপনার সেই বন্ধু। এখন আপনার বন্ধু চিঠি টা বাতির কালো ধোয়ায় ধরে আপনার লিখা দৃশ্যমান করবে।

 একই থিওরি তে আপনার ডিভাইসে মেসেজ আসছে সেটা পড়ার জন্য মেসেঞ্জার লাগবে। আপনার ডিভাইসের মেসেঞ্জার জানে কিভাবে এই মেসেজ পড়তে হবে। বা পিডিএফ এর বেলায় আপনার ফোনের পিডিএফ রিডার জানে কিভাবে একটা পিডিএফ পড়তে হবে। 

তাই যখনই কোন একটা ডাটা আপনার ডিভাইসে এসে পৌছায় সেটা মানুষের উপযোগী করে এক্সেস জন্য ডিভাইসে বিভিন্ন এ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা থাকে। পরবর্তী অংশে থাকবে প্যাকেটের বিভিন্ন অংশ নিয়ে অল্পবিস্তর কথা বার্তা। 


** রাউটার হলো সেই ডিভাইস যা আপনার ডেটা কে অন্য গন্তব্যে পৌছাতে সাহায্য করে।


*** Special Thanks To Shajal bhai for giving me suggestions to write this content.