Evidence Collection from Vedas (30%):
মুখ্য উপনিষদ্
অগ্নিবায়ুইন্দ্রসম্মুখে আত্মপ্রকাশকারী যক্ষরূপীউমাহৈমবতী পরব্রহ্ম ~সামবেদীয় কেনোপনিষদ৩/১২। বেম্মোসঙ্গীত নাস্তিকবৌদ্ধশূণ্যবাদীমিথ্যা
“একোহি রুদ্র ন দ্বিতীয়ায়”।অদ্বিতীয়পরমেশ্বর উমাপতিরুদ্র স্বীয়শক্তিদ্বারা ব্রহ্মান্ডশাসনকরেন ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ৩/২-৫
যেঅপরের সঙ্গীতের সমালোচনাকরে(গুরুব্যতীত), তাহারগর্ব ইন্দ্র-প্রজাপতি-মৃত্যু(কাল) চূর্ণ/ভস্ম করেন ~সামবেদীয় ছান্দোগ্যোপনিষদ ২/২২/২-৪
সর্বব্যাপী পরমেশ্বরপূর্বে হিরণ্যগর্ভরূপেজাত। তিনিই মনুষ্যশিশুরূপ অবতার ধারণ করেছিলেন/করিবেন ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ২/১৬
পরব্রহ্মের সংহারক্রিয়া দ্বাররূপী উপাসকের বিদ্বেষকারী অপ্রিয় শত্রুগণ বিনষ্ট(অকালমৃত্যু) হয় ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় তৈত্তিরীয় উপনিষদ ৩/১০/৪
যেঅজ্ঞানেআচ্ছন্নব্যক্তি নিজেকে সবজান্তাপন্ডিতভাবিয়া বৃথাগর্বকরে, সেজরাব্যধিবিভ্রান্তিদ্বারা পীড়িতহয় ~অথর্ববেদীয় মুন্ডকোপনিষদ ১/২/৮
প্রকাশ্য দিবালোকে রতিক্রিয়ায় প্রাণশক্তি ক্ষয়হয়। রাত্রিতে ঋতুকালে রতিক্রিয়া = ব্রহ্মচর্য্য বুদ্ধিমত্তা ~অথর্ববেদীয় প্রশ্নোপনিষদ১/১৩
পরমাত্মাআছেন প্রথমে ইহাবিশ্বাস পূর্বক জ্ঞানলাভের চেষ্টাকর্তব্য।অবিশ্বাসীর নিকট পরমাত্মা অপ্রকাশিত ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় কঠোপনিষদ ২/৩/১৩
শ্রেষ্ঠত্বেরক্রমঃ পঞ্চেন্দ্রিয়<মন<বুদ্ধি< আত্মা<অব্যক্তমায়া/প্রকৃতিশ্রেষ্ঠ।মনবুদ্ধিরনিয়ন্ত্রকমায়া। ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় কঠোপনিষদ ২/৩/৭
জড়বস্তুবাদীসংসারবিষয়াসক্ত, ধনমোহাচ্ছন্নব্যক্তি পরলোকতত্বঅজ্ঞাত।ইহলোকিসত্যভাবিলে বারবারজন্মমৃত্যুঘটে ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় কঠোপনিষদ১/২/৬
যেসকলঅবিবেকী নাস্তিকমূঢ়ব্যক্তি নিজেকেবুদ্ধিমান পন্ডিতমনেকরে, তাহারা নিজেঅন্ধহৈয়া অপরঅন্ধকে পথদেখায় ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় কঠোপনিষদ ১/২/৫
দেবগুরু বৃহস্পতি শুক্রের ছদ্মবেশে বস্তুবাদী পার্থিবসুখদায়ক অজ্ঞানতাশিক্ষাদ্বারা বেদশাস্ত্রকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করিয়া অসুরদিগকে ছলনা করেন। ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় মৈত্রায়ণী উপনিষদ ৭/৯। শ্রুতিশাস্ত্রঅবিশ্বাসীব্যক্তি অবশ্যই দুর্বুদ্ধিসম্পন্ন মোহগ্রস্থ অসুর
একশ্রেনীর সন্দেহবাতিকগ্রস্থ তার্কিক বৃথাতর্কদ্বারা বেদবিশ্বাসীদের বিশ্বাস নষ্ট করিতে সদাসচেষ্ট।এইসকল তামসিকপ্রানী স্বর্গের অনুপযুক্ত।~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় মৈত্রায়ণী উপনিষদ ৭/৮
ব্রহ্মা, বিষ্ণু, রুদ্র, প্রাকৃতিক শক্তিসমূহের ভিতর১জন উপাস্য কিভাবে বাছিবে?যে উপাসক যে দেবতাকে ভালোবাসেন, তাঁকেই পরব্রহ্মমূর্তিরূপে ধ্যানকরিবে।~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় মৈত্রায়ণী উপনিষদ ৪/৫-৬
এইবিশ্ব ব্রহ্মময় তবে পরব্রহ্মের শ্রেষ্ঠসগুণমূর্তিই কেবল ধ্যেয়/উপাস্য। ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় মৈত্রায়ণী উপনিষদ ৪/৬।নাস্তিক্যবাদী বৌদ্ধশূণ্যবাদ অশাস্ত্রীয়মিথ্যা কাল্পনিকতত্ত্ব
নাস্তিক্য, ঔদ্ধত্য, অবিনয়, বিষয়বুদ্ধি, কার্পণ্য, ভয়, অবসাদ, বিষাদ, প্রমাদ, শোক, তৃষ্ণা, ক্রোধ, মাত্সর্য্য, নিষ্ঠুরতা, অলসতা জ্ঞাননাশক তামসগুণের প্রাধান্য বৃদ্ধিকরে নীচপশুযোনি প্রদানকরে।~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় মৈত্রায়ণী উপনিষদ ৩/৫
অপ্রাপ্তবস্তুতে অভিলাষ, পুত্রপৌত্রাদিতে অতিস্নেহ দুর্বলতা, স্ত্রীরপ্রতি আসক্তি, ধনলোভ, পরপীড়া, অনুরাগদ্বেষ, অস্থিরতা, ব্যগ্রতা, গাম্ভীর্য্যভাব, বিদ্যাদ্বারা অন্যকে জয়, অর্থ-উপার্জনে লোভ, মিত্রকে অনুগ্রহ, গৃহস্থাশ্রমে উত্সাহ, ভোগ্যবস্তুতে প্রীতি, অস্পষ্টকথা, যশেচ্ছায় অন্নদান-এগুলি রজোগুণের উদ্রেক করে। ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় মৈত্রায়ণী উপনিষদ ৩/৫
ব্রহ্মের দুইরূপ-দৃশ্য ও অদৃশ্য।ব্রহ্মেরদৃশ্যরূপ অসত্য, অদৃশ্যরূপই নিত্য/সত্য ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় মৈত্রায়ণী উপনিষদ ৬/৩। বাহ্যপঞ্চইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুবাদীবিজ্ঞানের গাণিতিক সমীকরণ অনিত্যমায়া জলের ক্ষণস্থায়ী বুদ্বুদ।
একশ্রেণীর মানুষ আছেন, যাঁরা অর্থের জন্য যক্ষ, পিশাচ, রাক্ষস, ভূতপ্রেতাদি, সর্প প্রভৃতির সংস্পর্শে থাকেন ও অকারণে লোক প্রতারণার জন্য রক্তবর্ণবস্ত্র, কানে দুল ও হস্তে মড়ারখুলি ধারণ করেন। এছাড়াও রয়েছে বেদবিশ্বাস নষ্টকারী কুতার্কিক শ্রেণী। ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় মৈত্রায়ণী উপনিষদ ৭/৮
একশ্রেণীর মানুষ আছেন, যাঁরা দুষ্ট প্রকৃতির, মস্তকে জটা ধারণ করেন, ব্যবসাদ্বারা অর্থ উপার্জন করেন, ভ্রমণকারী, মানসিকভাবে দৈন্য, অভিনয়পটু, রাজকার্য্যে অপটুতার জন্য অসম্মানিত। ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় মৈত্রায়ণী উপনিষদ ৭/৮
মনুষ্যলোক একমাত্র পুত্রেরদ্বারা জয়করিতে পারাযায়।পিতৃলোক কর্মদ্বারা ও দেবলোক বিদ্যাদ্বারা জয়করিতে হয়।ইহার অন্যথা হয়না।ত্রিলোকের ভিতর দেবলোক সর্বোত্তম, তাই বিদ্যাই প্রশংসনীয়। ~শুক্লযজুর্বেদীয় বৃহদারণ্যক উপনিষদ্ ১/৫/১৬
ব্রাহ্মণজাত্যভিমানী একক প্রজাপতি কর্মসম্পাদনার্থে ক্ষত্রিয়জাতীয়দেবগণ সৃষ্টি করেন - ইন্দ্র, বরুণ, সোম, রুদ্র, পর্জন্য(মেঘ), যম, মৃত্যু, ঈশান।ক্ষত্রিয় হৈতেশ্রেষ্ঠ কেহনাই তবুও রাজসূয় যজ্ঞশেষে নিজউত্পত্তিস্থল ব্রাহ্মণকেই আশ্রয় করেন। ~শুক্লযজুর্বেদীয় বৃহদারণ্যক উপনিষদ্ ১/৪/১১
ব্রাহ্মণরূপ প্রজাপতি ক্ষত্রিয়েরপর বৈশ্যজাতীয় দেবসঙ্ঘসৃষ্টি করেন - বসুগণ, রুদ্রগণ, আদিত্যগণ, বিশ্বদেবগণ, মরুদ্গণ।তত্পশ্চাত শূদ্রজাতীয় দেবতা পূষা(পৃথিবী)কে সৃষ্টি করেন, যিনিসমগ্র প্রাণীজগতকে পোষণ করেন। ~শুক্লযজুর্বেদীয় বৃহদারণ্যক উপনিষদ্ ১/৪/১২-১৩
জগত্পুরুষ বিরাটাত্মা সৃষ্টিপূর্বে নিজেকে একাদেখিয়া ভীতহৈলেন।তাই মনুষ্য অদ্যাপি একাকীত্বে ভীতহয়।পরক্ষণে ভাবিলেন অন্যকেহ নাথাকিলে কারথেকে ভয়পাচ্ছি? তখন তাঁহার ভয় দূরহৈল।কারণ দ্বিতীয় কেহ থাকিলে তবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভয় হৈতে পারে। ~শুক্লযজুর্বেদীয় বৃহদারণ্যক উপনিষদ্ ১/৪/২
প্রজাপতির দুইসন্তানকুল-দেবগণ ও অসুরগণ, লোকাধিপত্যের নিমিত্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।দেবতারা সংখ্যালঘু, অসুরেরা সংখ্যাগুরু ~শুক্লযজুর্বেদীয় বৃহদারণ্যক উপনিষদ্ ১/৩/১।উচ্চযোগ্যতাসম্পন্ন জ্ঞানীগুণীরমতের বিপক্ষে কোটীকোটী অযোগ্যভোট মানে রাষ্ট্রে আসুরিক রাজনীতির আধিপত্য।
নির্গত শুক্রমার্জন কালে পাঠ্য-"আজ আমার যে রেতঃ পৃথিবীতে স্খলিত হয়েছে বা যে রেতঃ ওষধি ও জলেতে নির্গত হয়েছে, আমি সেই রেতঃ গ্রহণ করছি।ইন্দ্রিয় পুনরায় আমাতে প্রত্যাগত হোক ও কান্তি, সৌভাগ্য, জ্ঞানও পুনরায় আমাতে ফিরে আসুক।" ~শুক্লযজুর্বেদীয় বৃহদারণ্যক উপনিষদ ৬/৪/৫
মুখ্য শাক্ত উপনিষদ
একাকী শ্রীবিদ্যা মহাত্রিপুরসুন্দরী বিবিধনামে অভিহিত হন - বালা, অম্বিকা, বগলা, মাতঙ্গী, স্বয়ম্বরকল্যাণী, ভুবনেশ্বরী, চামুন্ডা, চন্ডী, বারাহী, তিরস্তকরিণী, রাজমাতঙ্গী, শুকশ্যামলা, লঘুশ্যামলা, অশ্বারূঢ়া, প্রত্যঙ্গিরা, ধূমাবতী, সাবিত্রী, সরস্বতী, গায়ত্রী, ব্রহ্মানন্দকলা ~ঋগ্বেদীয় বহ্বৃচ্ উপনিষদ ৮
সৃষ্টিরপ্রারম্ভে একাকীদেবী (আদ্যামূলাপ্রকৃতি) বিদ্যমান ছিলেন যিনি কামকলা ও শৃঙ্গারকলারূপে আগমে বিদিত।ব্রহ্মা, বিষ্ণু, রুদ্র, হৈতে সকল মরুত্গণ, গন্ধর্বগণ, অপ্সরাগণ, কিন্নরগণ, সকল অন্ডজ, স্বেদজ, জরায়ুজপ্রাণী, উদ্ভিদ, স্থাবর, জঙ্গমপদার্থ, মনুষ্য তাঁহার অঙ্গসম্ভূত ~ঋগ্বেদীয় বহ্বৃচ্ উপনিষদ্ ১-২
সমস্তরূপে আদ্যামূলাপ্রকৃতি মহাত্রিপুরসুন্দরীই একমাত্র বিদ্যমান।তুমি, আমি, এইবিশ্ব, সকলদেবতা, অন্যসকলবস্তু ললিতা মহাত্রিপুরসুন্দরী নামক একমাত্র চিরন্তনসত্য অদ্বিতীয় অখন্ড পরব্রহ্ম। ~ঋগ্বেদীয় বহ্বৃচ্ উপনিষদ ৫
একাকী শ্রীবিদ্যা মহাত্রিপুরসুন্দরী বিবিধনামে অভিহিত হন - বালা, অম্বিকা, বগলা, মাতঙ্গী, স্বয়ম্বরকল্যাণী, ভুবনেশ্বরী, চামুন্ডা, চন্ডী, বারাহী, তিরস্তকরিণী, রাজমাতঙ্গী, শুকশ্যামলা, লঘুশ্যামলা, অশ্বারূঢ়া, প্রত্যঙ্গিরা, ধূমাবতী, সাবিত্রী, সরস্বতী, গায়ত্রী, ব্রহ্মানন্দকলা ~ঋগ্বেদীয় বহ্বৃচ্ উপনিষদ ৮
মুখ্য শৈব উপনিষদ
পৈপ্পলাদ জিজ্ঞাসিলেন-হেভগবান, প্রথমে কিজাত হৈল? মহাদেব বলিলেন-সদ্যোজাত, ক্রমান্বয়ে অঘোর, বামদেব, তত্পুরুষ, ঈশান পঞ্চাম্নায়-সকলদেবতা ও যোগীগণের অতীত ও ভবিষ্যতেরপ্রভু। ~কৃষ্ণযজুর্বেদীয় পঞ্চব্রহ্মোপনিষদ ১ (মুখ্য শৈব-উপনিষদ)
দেবগণ জিজ্ঞাসিলেন-আপনিকে? ভগবান রুদ্র বলিলেন আমি একা ভূত, ভবিষ্যত্, বর্তমান। আমাব্যতীত কিছুইনাই। প্রাণীর অন্তরে-বাহিরে সকলদেবতা, নিত্য/অনিত্য, ব্যক্ত/অব্যক্ত, চতুর্দিক, উর্দ্ধ-অধঃ, স্ত্রীপুরুষ-ক্লীবও আমি। ~অথর্ববেদীয় অথর্বশির উপনিষদ ১ (মুখ্য শৈব-উপনিষদ)
ভগবান রুদ্র বলিলেন আমি গায়ত্রী-সাবিত্রী-সরস্বতী, ত্রিষ্টুপ-জগতী-অনুষ্টুপছন্দ, গাভী, যজ্ঞাগ্নি, চতুর্বেদ, জ্যেষ্ঠ-শ্রেষ্ঠ-বরিষ্ঠ, অবিনাশী, অসীম সকলি আমি।মনুষ্য আমাকে জানিলেই সকল দেবতা, বেদবেদাঙ্গ জ্ঞাতহয়। ~অথর্ববেদীয় অথর্বশির উপনিষদ ১ (মুখ্য শৈব-উপনিষদ)
হরি পরাত্পরব্রহ্মের অতীত।ঈশ (শিব) হরিরও অতীত।ঈশ(শিব)-এর সমতুল্য বা তাঁহাহৈতে শ্রেষ্ঠ কেহই নাই।শিবব্যতীত সকলই মিথ্যা।শিব একাকী অজর-অমর।তাই সকলেরই সংসারমোচক মহেশ্বরশিবে মনোনিবেশ/ধ্যান করাকর্তব্য। ~অথর্ববেদীয় শরভ উপনিষদ ৩১-৩৩ (মুখ্য শৈব-উপনিষদ)
নাস্তিক, কৃতঘ্ন/বিশ্বাসঘাতক, দুর্বৃত্ত, দুরাত্মা, দাম্ভিক, নৃশংস, শঠ/প্রতারক, কটূভাষীকে উপনিষদ বলিবেনা।কেবলমাত্র গুরুভক্ত, শান্তদান্ত, ঋজুচেতা/সরলহৃদয়, অনুগত শিবভক্ত, ব্রহ্মকর্মনিষ্ঠকে উপনিষদ বলিবে। ~অথর্ববেদীয় শরভ উপনিষদ ৩৪-৩৭ (মুখ্য শৈব-উপনিষদ)
গৌণ শাক্ত উপনিষদ
Evidence Collection from Smritis (10%):
যেরাষ্ট্রে পন্ডিতের(বিজ্ঞানী+শাস্ত্রজ্ঞ)ভোগ্যবস্তু মূর্খ(ব্যবসায়ী/ম্যানেজার) ভোগকরে,সেখানে অনাবৃষ্টি/মহাভয় উত্পন্নহয়~অত্রিসংহিতা২৩
কুকুরস্পর্শকরিলে স্নানকর্তব্য। কুকুরমুখেচাটিলে/স্পর্শেরপর অস্নাতপশুপ্রেমীর উচ্ছিষ্টভোজনে প্রায়শ্চিত্তকৃচ্ছ্রব্রত ~অত্রিসংহিতা৭৩,৮১
মস্তকসুরালিপ্ত হৈলে ৬দিন উপবাস প্রায়শ্চিত্ত ~অত্রিসংহিতা২০৬।ফুটবল/ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতারপর কারাযেনো শ্যাম্পেনপার্টিতে মদ উড়িয়েছিল?
আগুনেপুড়ে,জলেডুবে, অনশনে আত্মঘাতীব্যক্তিরআত্মীয়ের অশৌচবিধি৩দিন।চতুর্থদিনেশ্রাদ্ধ~অত্রিসংহিতা২১৪-২১৫।স্বাধ্যায়বিহীনব্যক্তির চিরঅশৌচ
একাক্ষর শিক্ষকগুরুকেও যেব্যক্তি সম্মান করেনা, সেশতবার কুকুর জন্মের পরে চন্ডালত্ব (শবদাহকারী নীচযোনি) প্রাপ্তহয়। ~অত্রিসংহিতা ১০
স্ত্রীসর্বদাই পবিত্র।চন্দ্র,গন্ধর্বগণ, অঙ্গিরা,অগ্নি উহাদের শুচিতাপ্রদান করেছেন ~অত্রিসংহিতা১৩৯।রজঃস্বলা অপবিত্র বাক্যটি কুসংস্কার
স্ত্রী উপপতি (পরকীয়া সামান্যপাপ) করিলেও দুষ্টাহৈবেনা।ঋতুমতী হৈলেপর কাঞ্চনের ন্যায়পুনঃ শুদ্ধহৈবে, তাহারপূর্বেনয় ~অত্রিসংহিতা১৮৯-১৯৪
যেনারী স্বামী জীবিত থাকিতে উপবাসব্রত করে, সে স্বামীর আয়ুহরণ করে, নরকে গমন করে ~অত্রিসংহিতা১৩৬। সধবার কোনোক্রমেই কোনোরূপ উপবাসনিষেধ
১জনবেদজ্ঞ পন্ডিতদ্বিজের (দীক্ষিতত্রিবর্ণ) আচরণইধর্ম।দশসহস্রমূর্খের স্বেচ্ছাচার ধর্মনহে~অত্রিসংহিতা১৪২।শাস্ত্রমূর্খের গণতন্ত্রবাতিল
পশুগমনে/বেশ্যাগমনে প্রাজাপত্যব্রত।গোগমনে চান্দ্রায়ণব্রত প্রায়শ্চিত্তবিধি ~অত্রিসংহিতা২৬৭।গমনশব্দে রেতঃপাত বুঝায়।সিলিকনের কথাবলানাই
অমানুষীস্ত্রীতে (ভূতিনী/যক্ষিণী), রজস্বলায়, অযোনি(পুরুষে/ক্লীবে), জলেরেতঃসেক করিলেসান্তপনব্রত~অত্রিসংহিতা২৬৮।মানে বাহিরেফেলিতেপারে
ক্ষত্রিয়ের৫টি কার্য্য।যজন-দান-অধ্যয়ন=তপস্যা, অস্ত্রব্যবহার-প্রাণিরক্ষা=জীবিকা ~অত্রিসংহিতা১৪।বাঙালী জেনারেলকাষ্ট কায়স্থ=ক্ষত্রিয়, SC, ST, OBC নহে।বিদেশে বেশীক্ষত্রিয়, reservation নাই।
বৈশ্যের যজন-দান-অধ্যয়ন=তপস্যা, কৃষি-বাণিজ্য-গোরক্ষা-কুসীদ(ঋণদান)=জীবিকা ~অত্রিসংহিতা১৫।বাঙালী জেনারেলকাষ্ট বৈদ্যজাতি=বৈশ্য, SC, ST, OBC নহে।পৈতাথাকিলেও বা সুদখোর ধনীহৈলেও অধিকারে কায়স্থ অপেক্ষা উচ্চনহে
স্ত্রীলোকের আচরিত কার্য্যে কোনোরূপ শৌচ-অশৌচ বিচার নাই, স্ত্রী সদাপবিত্র ~অত্রিসংহিতা২৩৮।শৌচ-অশৌচবিধি কেবলমাত্র পুরুষের নিমিত্তই নির্মিত।
যেব্যক্তি বিবাহ নাকরিয়া (বেদাগমোক্ত, ব্রাহ্ম, শৈব ইত্যাদিমতে) গৃহস্থভাবে থাকে (মানে live-together, unmarried couple etc.), তাহার অন্ন অভক্ষ্য কারণ তাহা দেবপিতৃগণ ভোজন করেননা ~অত্রিসংহিতা২৫০
যে ব্রাহ্মণ বেদ/পরমাত্মতত্ত্ব কিছুই জানেনা, কেবল যজ্ঞোপবীত/পৈতার বলে অতিশয় গর্ব প্রকাশকরে, এরূপপাপে সেইবিপ্র পশুবলিয়া কুখ্যাত হয়। ~অত্রিসংহিতা৩৭২
বেদঅধ্যয়নে কিছুজ্ঞান নাজন্মিলে স্মৃতিপড়িবে।তাহা নিষ্ফল হৈলে পুরাণপাঠী।তাহাও অকৃতকার্য্য হৈলে কৃষিকর্ম্মে রতহও।তাহাও বিফল হৈলে মনুষ্য ভাগবত(অশাস্ত্রীয় ভন্ডবৈষ্ণব, ভেগান বৌদ্ধজৈন)ধর্ম্ম অবলম্বন করে ~অত্রিসংহিতা৩৭৫
Evidence Collection from Puranas (30%):
মহাপুরাণ
নারী প্রগাঢ় রতিপ্রদাতা পুরুষকে পুত্রঅপেক্ষাও অধিক স্নেহকরে।নারী বহুসম্ভোগেপ্রীতা, স্বল্পসম্ভোগে অতিদুঃখিতা ~দেবীভাগবতম্ ৯/১৮/৪১,৩৯
একমাত্র বেদই ধর্মের সুদৃঢ় প্রমাণ।বেদসম্মত স্মৃতি, পুরাণ, আগমশাস্ত্রও প্রমাণ।যেব্যক্তি বেদোক্তধর্ম উপেক্ষা করিয়া অন্যপ্রমাণ অনুযায়ী ধর্মের ব্যাখ্যাকরে, তাহাকে শিক্ষাদিবারজন্য যমালয়ে নরককুন্ড সুসজ্জিত থাকে। ~দেবীভাগবতম্ ১১/১/২৬-২৭
শৈব, বৈষ্ণব, সৌর, শাক্ত, গাণপত্য - পঞ্চধা আগমশাস্ত্র শঙ্করদ্বারা প্রণীত।বেদের অবিরুদ্ধ অংশগুলি বেদানুসারীদ্বিজগণ গ্রহণকরিলে কোনোদোষহয়না।তবে বেদবিরুদ্ধ অংশগুলিতে কেবল বেদেঅনধিকারীগণেরই (যবনম্লেচ্ছ-পাষন্ডদিগের) অধিকার, উহাদের কল্যাণার্থে ~দেবীভাগবতম্৭/৩৯/৩০-৩২
যেব্যক্তি আপদভিন্ন সময়েও নিজবেদমার্গত্যাগ করিয়া নাস্তিকের(পাষন্ডের) অনুসরণ করে, সে অসিপত্রবন নরকে পতিতহৈয়া তীব্রযাতনায় হায়হায়করিয়া মূর্চ্ছিতহয় ~দেবীভাগবতম্ ৮/২২/১৮-২১।তবে চরমআপদকালে নাস্তিককে অনুসরণের মিথ্যাছলনা করিলে কোনোদোষ হৈবেনা।
জগদ্গুরু শঙ্কর আমার(দেবীর) ইচ্ছাক্রমে বেদাঙ্গসঙ্গত পূজাবিধিক্রমযুক্ত সুমনোহর আগমশাস্ত্র রচনা করিয়াছেন,যাহা সযত্নে গোপন করিবে (পাষন্ডনাস্তিকহৈতে)।সহস্রব্যক্তির ভিতর কেবলমাত্র একজন পরম্পরাক্রমে আমার(দেবীর) মন্ত্রোপাসক হৈবে ~দেবীভাগবতম্ ৯/১২/৬৪-৬৭।মহাদেবীর উপাসনা এগরোল-চাউমিন-ফুচকারদোকানের গণভোট নহে।
শ্রীদেবী বলিলেন-সৃষ্টিরপূর্বে কেবল আমিই ছিলাম।অপর কোনো বস্তুই ছিলনা।আমার সেই আদিমূলাপ্রকৃতি আত্মস্বরূপই চিত্সম্বিত্ ও পরব্রহ্মাদি নামে সকল বেদান্তশাস্ত্রে ব্যাখ্যাত ~দেবীভাগবতম্ ৭/৩২/২
শ্রীদেবী বলিলেন-এমনকি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর পর্যন্ত ব্রহ্মরূপিণী আমার মায়াশক্তি কর্তৃক পরিচালিত হৈয়াই সমুদয় কার্য্য করেন।তিনি রজ্জুকল্পিত সর্পবত্ আমাতেই কল্পিত, সর্বদা মদীয় শক্তির অধীন, তাহাতে সংশয় নাই। ~দেবীভাগবতম্ ৭/৩২/৪৯-৫০
শ্রীদেবী বলিলেন-আমিই ঈশ্বর।আমাকেই ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর ও ব্রহ্মাণী, বৈষ্ণবী, মাহেশ্বরীশক্তি জানিবে।গগনের চন্দ্র, সূর্য্য, তারকা, পশুপক্ষী হৈতে চন্ডাল, তস্কর, ব্যাধ, সাধু, সকল স্ত্রী, পুরুষ, ক্লীব সকলি আমি।আমাভিন্ন অন্তরেবাহিরে কোনো বস্তুর অস্তিত্ব অলীককল্পনামাত্র। ~দেবীভাগবতম্ ৭/৩৩/১২-১৭
রুদ্রাক্ষ পথেরকুকুর হৈতে গর্দভ অবধি উদ্ধারকারী পবিত্রবস্তু।যেকেহ রুদ্রাক্ষধারণ করিতেদেখিয়া নিন্দাকরে, তাহার উত্পত্তিতে সাঙ্কর্য্যদোষ রহিয়াছে।অর্থাত্ সে অবশ্যই জারজ। ~দেবীভাগবতম্ ১১/৩/৩১-৩২
রুদ্রাক্ষধারণ করিতে যাহাদের লজ্জাহয়, তাহারা কোটিকোটি জন্মেও মুক্তহৈতে পারেনা।রুদ্রাক্ষধারণে নিষিদ্ধবস্তু দর্শন, শ্রবণ, স্মরণ, আঘ্রাণ, ভোজন, প্রলাপকথন, অকার্য্যকরণ জনিত সকলপ্রকার পাপহৈতে মুক্তিঘটে। ~দেবীভাগবতম্ ১১/৩/২৭-২৯
যেকোনো স্থানে যেকোনোব্যক্তি শ্রদ্ধায়/অশ্রদ্ধায় সমন্ত্রক/অমন্ত্রক কেবল রুদ্রাক্ষধারণ করিলেই সর্বপাপহৈতে মুক্তহৈয়া তত্ত্বজ্ঞানলাভ করিতে সমর্থহয়।রুদ্রাক্ষমাহাত্ম্য আমি সম্পূর্ণরূপে বলিতে অক্ষম।তাই সকলেরই রুদ্রাক্ষধারণ কর্তব্য। ~দেবীভাগবতম্ ১১/৩/৩৯-৪০
যেব্যক্তি শ্রাদ্ধদান ও শ্রাদ্ধভক্ষণ করিয়া মৈথুনক্রিয়ার অনুষ্ঠান করে, তাহার পিতৃপুরুষগণ একমাস যাবত্ সেই শুক্রে শয়ন করে। ~মার্কন্ডেয়পুরাণ ৩১/৩১
যে ব্যক্তি নারীর সহিত রতিক্রিয়া করিয়া শ্রাদ্ধে আহার বা গমন করে, তাহাদিগের উভয়ের পিতৃপুরুষেরা একমাস যাবত্ শুক্র ও মুত্রপান করিয়া থাকেন। ~মার্কন্ডেয়পুরাণ ৩১/৩২
যাহারা(সাত্বিকভেগান) মোহবশতঃ জগত্প্রসূতি পার্ব্বতীর নিন্দাকরে,তাহারা রৌরবনরকে পচিতেথাকে,কোটীকল্পেও মুক্তহয়না ~কূর্ম্মপুরাণ১/১৬/১৬৭
যাহারা শ্রদ্ধাসহ ভিন্নদৃষ্টিতে অব্যক্ত বিষ্ণু ও মহাদেবের আরাধনা করে, তাহারা কখনও উভয়েরই প্রিয় হৈতে পারেনা। ~কূর্ম্মপুরাণ ১/১৬/১৬৬
কূর্ম্মপুরাণ শ্রবনে পাপিষ্ঠও পরমগতি লাভকরে। তবে নিকৃষ্টনাস্তিকের নিকটবর্ণন করিবেনা ~কূর্ম্মপুরাণ ১/১/১০। নাস্তিকদূরহৈতেই পরিত্যজ্য
উপপুরাণ
যেব্যক্তি প্রত্যহসকালে উঠিয়া মনেমনে "কালিকায়ৈ নমস্তুভ্যং" এইবাক্যটি শ্রদ্ধাসহবলে সেঅন্তেমুক্তিপায়, ইহলোকেসুখীহয় ~কালিকাপুরাণ ৯০/২৮
শঠ/ধূর্ত/বঞ্চনাকারী, সদাচঞ্চলচিত্ত, অজিতেন্দ্রিয়, ভক্তিশ্রদ্ধাহীন নাস্তিকব্যক্তিরনিকট কালিকাপুরাণ প্রকাশকরিবেনা ~কালিকাপুরাণ ৯০/৩৩
বিষ্ণুর বামমূর্ত্তি নরসিংহ। পন্ডিতগণ বাম ও দক্ষিণ দুই আচারেই এই মূর্ত্তির পূজা করিতে পারে। বালগোপাল মূর্ত্তিও বিষ্ণুর বামমূর্ত্তি। এই বালগোপাল মদ্যমাংসভোজী ও সর্বদা রমণীলোলুপ ~কালিকাপুরাণ (উপপুরাণ) ৭৪/২০৮-২০৯
ঔপপুরাণ
দেবীসতী বলিলেন-হেশিব আপনি আগমকর্ত্তা ও স্বয়ং বিষ্ণু/হরি বেদকর্তা।আপনি (শিব) অগ্রে আগমকর্তৃত্বে নিযুক্ত হৈয়াছেন, তত্পরে বেদকর্তৃত্ব বিষয়ে বিষ্ণু নিয়োজিত হৈয়াছেন।আগম ও বেদ দুইটি আমার প্রধান বাহু, যাহাদ্বারা সমস্ত জগত্ আমি ধারণ করি। ~বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণ (ঔপপুরাণ), মধ্যখন্ডম্ ৬/১৩৮-১৪০
দেবীসতী বলিলেন-হে ধূর্জ্জটে(শিব), যে ব্যক্তি আমার দুইবাহু বেদ ও আগম উল্লঙ্ঘন করিয়া কার্য্যকরে, সে আমার হস্ত হৈতে গলিত হৈয়া চিরকালের নিমিত্ত অধঃপতিত হয়। ~বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণ (ঔপপুরাণ), মধ্যখন্ডম্ ৬/১৪১
দেবীসতী বলিলেন-যেব্যক্তি বেদ ও আগমের যেকোনো একটিকে উল্লঙ্ঘন করিয়া অপরটির আশ্রয়গ্রহণ করে, আমিও বিকলাঙ্গী হৈয়া কখনও তাহাকে উদ্ধার করিতে পারিনা।বেদাগম উভয়পন্থা মঙ্গলদায়ক ও দুরতিক্রমণীয়।বেদাগমে বিভেদজ্ঞানকরা কদাচ উচিতনহে ~বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণ,মধ্যখন্ডম্ ৬/১৪২-১৪৩
দেবীসতী বলিলেন-যাহারা বিষ্ণুভক্তি আশ্রয়নাকরে, তাহারা শক্তিসম্বন্ধীয়বিধি কিভাবে আচরণ করিবে?সকল বৈষ্ণবমন্ত্রের আমিই দেবতা (দেবীই উদ্দেশ্য)।তাই মদুপাসকব্যক্তি বিষ্ণুদীক্ষাপ্রদানে অধিকারী।পরন্তু কেবল শক্তিদীক্ষিতই, শক্তিদীক্ষার প্রবর্ত্তক, নতুবা উভয়ের অন্ধকূপে পতন ~বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণ,মধ্যখন্ডম্ ৬/১৪৬-১৪৭
হেদেবী, আমি দুঃখ ও শোকে আচ্ছন্ন, আমি মূর্খ, আমি নির্লজ্জ, আমি অপমানিত, আমি খল, আমি জরা ও ব্যাধিদ্বারা পীড়িত, আমি (অন্তরে) নাস্তিক, (তবুও) আমাকে পরিত্রাণ করুন। ~দেবীপুরাণ (ঔপপুরাণ) ৩৬/২৪
মহাদেবীর অঙ্গদেবতা অষ্টমাতৃকাগণ পুলিন্দশবরাদি জাতিদিগকে সমাজবিরুদ্ধ বামাচারে সিদ্ধিদান করিয়া থাকেন। ঐ দেবীগণই দক্ষিণাচারে-পূজনীয়া কুলদেবতাদিরূপে শতধা বিভক্ত হইয়া নৃপাদির নিকট বিশেষতঃ অন্তঃপুর রমণীগণের নিকট বাস করিতেছেন। ~দেবীপুরাণ (ঔপপুরাণ) ৩৯/১৪১-১৪২
Evidence Collection from Agamas (30%):
রথক্রান্তার মুখ্যশাক্তাগম
সত্যযুগে বেদোক্ত, ত্রেতাযুগে স্মৃতিশাস্ত্রোক্ত, দ্বাপরযুগে পুরাণোক্ত ও সর্ব্বধর্ম্ম-বিলোপকারী, দুরাচার, দুষ্টকর্ম্ম-প্রবর্ত্তক পাপময় কলিযুগে আগমোক্ত/তন্ত্রোক্ত ধর্মাচরণ প্রবল, বিধেয় ও কল্যাণকর। ~মহানির্ব্বাণতন্ত্রম্ (রথক্রান্তার মুখ্যশাক্তাগম) ১/২০-৫০
কলিযুগে মনুষ্য সর্বদা পাপকর্ম্মে নিরত, উচ্ছৃঙ্খল (সবাই রাজা), মদোন্মত্ত (সবাই সিনেমার Hero), কামুক, লোলুপ/লোভী, ক্রূর/নিষ্ঠুর, দুর্মুখ (খিস্তিবাজ), শঠ/ধূর্তপ্রবঞ্চক হইবে। ~মহানির্ব্বাণতন্ত্রম্ (রথক্রান্তার মুখ্যশাক্তাগম) ১/৪০
কলিযুগে মনুষ্য স্বল্পায়ু, স্বল্পবুদ্ধি, রোগশোক-সমাকুল, শ্রীহীন, দুর্ব্বল, ম্লেচ্ছ-যবন নীচজাতির আচার পরায়ণ, নীচসংসর্গকারী, পরধনাপহারী, পরনিন্দাপরায়ণ, পরদ্রোহকারী, খলস্বভাবসম্পন্ন হইবে। ~মহানির্ব্বাণতন্ত্রম্ (রথক্রান্তার মুখ্যশাক্তাগম) ১/৪১-৪২
কলিযুগের ব্রাহ্মণগণ শূদ্রের ন্যায় আচারসম্পন্ন, সন্ধ্যাবন্দনবিবর্জ্জিত, লোভী, দুর্বৃত্ত ও পাপকারী হইবে। কলির ব্রাহ্মণগণ সদা অসত্যভাষী, মূর্খ, দাম্ভিক, অতিশয় প্রবঞ্চক, কন্যাবিক্রয়ী, ব্রাত্য ও তপোব্রত-পরাঙ্মুখ হইবে। ~মহানির্ব্বাণতন্ত্রম্ (রথক্রান্তার মুখ্যশাক্তাগম) ১/৪৪-৪৫
কলিযুগের ব্রাহ্মণজাতির চিহ্নের মধ্যে কেবল গলদেশে সংস্কৃত বা অসংস্কৃত সূত্রমাত্র থাকিবে। ইহাদের ভক্ষ্যাভক্ষ্য বিচার বা পানাদির নিয়ম কিছুই থাকিবেনা।ইহারা সর্বদা ধর্ম্মশাস্ত্রের নিন্দা ও নিরন্তর সাধুসন্তদিগের অনিষ্ট আচরণ করিবে, অন্তঃকরণে ধর্ম্মানুগত সত্কথার আলোচনামাত্রও থাকিবেনা। ~মহানির্ব্বাণতন্ত্রম্ (রথক্রান্তার মুখ্যশাক্তাগম) ১/৪৮-৫০
সদাশিব বলিলেন - হেপ্রিয়ে, এই ভূমন্ডলে পশুর (নাস্তিক বিধর্মী দুরাচারীর) সংখ্যা অধিক বলিয়া কোনকোন আগমশাস্ত্রে অধিকারীভেদে কুলাচারধর্ম্ম গোপন করিতে আদেশ করিয়াছি। আবার জীবগণের প্রবৃত্তির/ভোগবাসনার নিমিত্তও তদনুরূপ বিধান সম্বলিত কতকগুলি আগমশাস্ত্র প্রকটিত করিয়াছি। ~মহানির্ব্বাণতন্ত্রম্ (রথক্রান্তার মুখ্যশাক্তাগম) ২/২২-২৩
"সাকারাপি নিরাকারা মায়য়া বহুরূপিনী।ত্বং সর্ব্বাদিঃ অনাদিস্ত্বং কর্ত্রী হর্ত্রী চ পালিকা"~মহানির্বাণ৪/৩৪।প্রকৃতিকেবলমাত্র নিরাকারনয়
গ্রহগণ, বেতালগণ, চেটকগণ (অপদেবতা), পিশাচগণ, গুহ্যকগণ (যক্ষ), ভূতগণ, ডাকিণীগণ, মাতৃকাগণ রুষ্ট হৈলেও আগমোক্ত পরব্রহ্মমন্ত্র উপাসকের কিছুই করিতে পারেননা।ব্রহ্মোপাসককে দেখিয়া ভয়ে পলায়ন করেন। ~মহানির্ব্বাণতন্ত্রম্ (রথক্রান্তার মুখ্যশাক্তাগম) ৩/২৫-২৬
আত্মঘাতী ব্যতীত আরকোন ব্যক্তিইবা ব্রহ্মনিষ্ঠ ব্রহ্মোপাসককে উপদ্রব করিতে ইচ্ছাকরে? যে খলপাপাত্মা পরব্রহ্ম-উপাসকের অনিষ্টাচরণে প্রবৃত্ত হয়, তাহারা নিজেদেরই অনিষ্ট করে। ~মহানির্ব্বাণতন্ত্রম্ (রথক্রান্তার মুখ্যশাক্তাগম) ৩/২৮-২৯
যখন কলি প্রবল হৈবে ও অন্যান্য সমুদায় ধর্ম্ম রহিত হৈয়া নাস্তিকতার দৌরাত্ম্য বাড়িবে, ঐ সময় আগমশাস্ত্রোক্ত কৌলধর্ম্ম গোপন নিষেধ । ~মহানির্ব্বাণতন্ত্রম্ ৮/২০৩ (রথক্রাক্তার মুখ্য শাক্তাগম)
যে ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক আপনার নগ্ন/উলঙ্গ অবস্থা প্রদর্শন করিবে অথবা যে ব্যক্তি অন্য কাহাকেও উলঙ্গ করিবে, সেই ব্যক্তির শুদ্ধিলাভ/প্রায়শ্চিত্তবিধি হইল ত্রিরাত্রি উপবাস। ~মহানির্ব্বাণতন্ত্রম্ (রথক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ১১/৫০। ডঃ জনিসিন্স তো মরে যাবে!
যদি কেহ পত্নীকে দুর্বাক্য বলে, তাহা হইলে প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ সে একদিন উপবাস করিবে। পত্নীকে প্রহার করিলে ত্রিরাত্রি উপবাস ও প্রহার করিয়া রক্তপাত করিলে সপ্তরাত্রি উপবাস প্রায়শ্চিত্ত বিধি। ~মহানির্ব্বাণতন্ত্রম্ (রথক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ১১/৬৪
বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্যশাক্তাগম
যেব্যক্তি আগমশাস্ত্র(তন্ত্র), তন্ত্রবক্তা সাক্ষাত্ জগদ্গুরু শঙ্কর ও তান্ত্রিকীক্রিয়ার নিন্দাকরে, ভৈরবগণ তাহার মাংসাস্থি চর্বণে উদ্যত হয়।তাই তন্ত্রজ্ঞসাধককে কোন স্বহিতাকাঙ্ক্ষীব্যক্তি নিন্দাকরেননা, দেখিয়া হাসেননা, হিংসা/কটাক্ষও করেননা। ~মুন্ডমালাতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্যশাক্তাগম) ২/৮/৪২-৪৪
যেব্যক্তি প্রথমে শক্তিমার্গে অনুরক্ত থাকিয়া পরে অন্যমার্গে গমন করে, শাক্তগণ তাহার মুখদর্শন করেননা।হে জগদ্ধাত্রী, যেবাগ্জালশাস্ত্রদ্বারা মোহিত/উদ্ভ্রান্ত, সে দুর্গাকে ত্যাগ করিয়া অন্যদেবতার ভজনা করে। ~মুন্ডমালাতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্যশাক্তাগম) ২/৮/৩৮-৩৯
মানুষ যখন আমার পুত্র, আমার স্ত্রী, আমার ধন, আমার বন্ধুবান্ধব এইসব বলতে থাকে, তখন কালরূপ বৃক তাকে জোর করে বধ করে। এটি করা হয়েছে, এটি করতে হবে, এটি খানিকটা করা হয়েছে, কিছুটা বাকি, এরূপ ইহাযুক্ত ব্যক্তিকে মৃত্যু গ্রাস করে । ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ ১/৪০-৪১
মাংসের টোপের লোভে মাছ যেমন লৌহশঙ্কু/বড়শী দেখতে পায়না, তেমনি সুখের লোভে মানুষ যমপীড়া দেখতে পায়না। যারা হিতাহিত জানেনা, নিত্য কুপথগামী, উদরপূরণেই কেবল অনুরাগ, সেই অবোধেরা নারকী। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ ১/৬৭-৬৮
মানুষ প্রভাতে মলমূত্রের দ্বারা, মধ্যাহ্নে ক্ষুধাতৃষ্ণা দ্বারা ও রাত্রে কাম ও নিদ্রাদ্বারা পীড়িত হয়। অজ্ঞানমোহিত সবপ্রাণী স্বীয় দেহধর্ম অনুগত ও দারাদিনিরত হয়। হায়হায়, এরা শুধু জন্মায় আর মরে । ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ ১/৭০-৭১
ধন ও অন্ন অর্জনে নিযুক্ত দাম্ভিক লোকেরা সংসারে জ্ঞানীর মতো বেশ ধারণ করে ঘুরে বেড়ায় ও অন্যদের ঘুরিয়ে মারে। সাংসারিক সুখে আসক্ত যেব্যক্তি বলে আমি ব্রহ্মজ্ঞ, সে শাস্ত্রবিহিতকর্ম ও ব্রহ্ম উভয় থেকে ভ্রষ্ট। অন্ত্যজের ন্যায় এরকম লোককে বর্জন করতে হবে। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ ১/৭৭-৭৮
দেবী, পরতত্ত্ববিমুখ ব্যক্তিরা এটা জ্ঞান এটি জ্ঞেয় এরূপ চিন্তা করতে করতে দিনরাত বই পড়ে। কাব্যালঙ্কারশোভিত ছন্দোবদ্ধ বাক্যে প্রকাশিত ভাবের দ্বারা মূঢ় ব্যক্তিরা দুঃখিত-ব্যাকুল হয়ে পড়ে। পরতত্ত্ব একরকম, আর লোকে জানে অন্যরকম। শাস্ত্রের অর্থ এক, আর লোকে ব্যাখ্যা করে অন্যরকম। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ ১/৯০-৯২
সব বন্ধুবান্ধবেরা আমার নিন্দা করুক, স্ত্রীপুত্রাদি আমাকে ত্যাগ করুক, লোকে আমাকে দেখে হাসুক বা রাজারা আমায় দন্ড বিধান করুক।তবু ওগো পরদেবতা পরমেশ্বরী, আমি পুনঃপুনঃ তোমারই সেবা করব। কায়মনোবাক্যে ও কর্মে তোমার ধর্ম ত্যাগ করব না। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ ২/৫৪-৫৫ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম)
লোকে স্তুতি করুক আর নিন্দাই করুক, লক্ষ্মী যান কি থাকুন, মৃত্যু আজই হোক বা একযুগ পর, কৌলধর্ম কিছুতেই ত্যাগ করা উচিত নয় ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ ২/৫৮। তাই, তুচ্ছপিঁপড়ের গণতন্ত্র বাতিল, ডায়নোসরকুল দীর্ঘ্যজীবী হৌক।
সবজীবের কাছেই প্রত্যক্ষ সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ। যেক্ষেত্রে প্রত্যক্ষের উপলব্ধি হয়, সেক্ষেত্রে সব কুতার্কিক কুপোকাত্ হয়। কে পরোক্ষ জানতে পারে। কার কিহবে কেজানে। যা প্রত্যক্ষফল প্রদান করে, তাই উত্তমদর্শন। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ ২/৮৯-৯০ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম)
গাছপালা, পশুপাখীও জীবনধারণ করে, কিন্তু তারই জীবন সার্থক যার মন সদা কুলধর্মে নিবিষ্ট। কুলধর্মহীনের দিনগুলি আসে আর যায়। কুলেশ্বরী, যার কুলজ্ঞান নেই, সে যাক কি থাক, জেগে থাক কি ঘুমোক, তার জীবন পশুর জীবন। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ ২/৬২-৬৪
তোমার (দেবীর) ভক্তেরাই ভুক্তিমুক্তিপ্রদ গুরুকৃপালব্ধব্য এইকুলদর্শন অবগত হয়, অন্যেরা নয়। গুরুর উপদেশ পায়নি, এমন কোনোকোনো লোক নিজেদের মহান্ত (নেতা/মোড়ল/মাতব্বর) বলে জাহির করে। আগে থেকে নিজেরাই মোহগ্রস্থ, এইসব লোক সবাইকে মোহগ্রস্থ করে । ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ ২/১১৪-১১৫
মিথ্যাজ্ঞান প্রচারের দ্বারা জনগণকে বঞ্চনাকারী গুরুশিষ্য পরম্পরাবর্জিত বহুব্যক্তি নিজনিজবুদ্ধি অনুসারে কুলধর্ম কল্পনা করে। অর্থাত্ কল্পনাপ্রসূত মতের প্রচার করে। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ ২/১১৭
মদ খেলেই যদি মানুষের সিদ্ধিলাভ হয়, তাহলে যতসব মদখোর মাতাল সিদ্ধিপ্রাপ্ত হবে। মাংস খেলেই যদি পুণ্যলাভ হয়, তাহলে দুনিয়ার সব মাংশাসী প্রাণী পুণ্যাত্মা। সম্ভোগের দ্বারাই যদি মোক্ষলাভ হয়, তাহলে সম্ভোগকারী যত জীব সব মুক্ত হয়ে যায়। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ ২/১১৮-১২০
হে প্রিয়ে (দেবী), কুলযোগবিশারদেরা অসতের মত কথা বলে, অজ্ঞের মত বিচরণ করে আর পামরের মত দৃষ্ট হওয়ার ভান করে। লোকেরা যাতে তাকে অবজ্ঞা করে, তার সঙ্গ না করে, তার সঙ্গে কোনো কথা নাবলে, কুলযোগী সেইভাবে আচরণ করে। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ৯/৭০-৭১
হে মহেশ্বরী, বিদ্বান কুলেশ্বর কুলযোগী মুক্ত হলেও বালকের মতো ক্রীড়া করবে, জড়ের মতো আচরণ করবে আর উন্মত্তের মতো কথা বলবে। কুলযোগী এমন আচরণ করে যাতে সংসার তাকে দেখে হাসে, তাকে ঘৃণা করে, তার নিন্দা করে ও তাকে দেখে দূর থেকে সরে পড়ে। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ৯/৭৩-৭৪
কুমারী কন্যা, নগ্না বা উন্মত্তা নারীদের কুলযোগী কখনও নিন্দা করবে না, এদের ঘৃণা, উপহাস বা অপমান করবে না। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ১১/৬১
কুলস্ত্রীদের কখনও কুরূপা বা কৃষ্ণবর্ণা (কালো/কুত্সিতা) বলে কটাক্ষ করতে নেই।~কুলার্ণবতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ১১/৬২। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে পুরস্কারবিজয়ী নাটুনাটু/নাটাকেল্টু টোনটিট্কারী সঙ্গীত উচ্চৈঃস্বরে গাওয়া যাবে।
নারীদের অমর্য্যাদা করিলে কুলযোগিনীরা কুপিত হন। শত অপরাধ করলেও নারীদের ফুলের দ্বারাও আঘাত করতে নেই। নারীদের দোষ ধরতে নেই। তাদের গুণই প্রকাশ করতে হয়। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ১১/৬৫
হে পরমেশ্বরী, তোমার উপাসক (ভক্তশিষ্য) নাস্তিকদের সাথে কোনোরূপ কথোপকথন করবে না। নাস্তিকদের দর্শনমাত্রেই দূর থেকে সরে পড়বে, কখনও তাদের সঙ্গে থাকবে না। ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ১২/৫৮। নিকৃষ্টতম পশুর দর্শনেও ইনফেকশান ছড়ায়, শুধু বাদুর থেকেই নয়।
অশাস্ত্রীয় উপদেশ যে দেয় এবং যে গ্রহণ করে তারা উভয়ে একবিংশতি ঘোর নরক ভোগ করে।~কুলার্ণবতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ১৪/১২। আইনসম্মত নৈতিকতা বিষয়ে কোনো নাস্তিক/সন্দেহগ্রস্থ মনীষী, কবিসাহিত্যিক, সাংবাদিকের নিজস্ব মনগড়া গালগল্প কাগজের ঠোঙারূপে পরিত্যাজ্য। পরম্পরালব্ধ হিন্দুশাস্ত্র (আগম, বেদ/বেদান্ত, পুরাণ, স্মৃতি) স্বয়ং ঈশ্বর, কোনো কাব্য-উপন্যাস নয় ।
ওগো বরাননা, যদি তর্ক-বিতর্ক, বাগবিতন্ডার জন্য শাস্ত্রপাঠ করা হয়, অপরের জন্য জপ করা হয়, খ্যাতির জন্য দান করা হয়, তাহলে কি করে সিদ্ধিলাভ হবে ? ~কুলার্ণবতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ১৫/১০২
বালিকা, যৌবনে উন্মত্তা, বৃদ্ধা বা যুবতী, কুত্সিতা বা মহাদুষ্টা হইলেও নারীমাত্রেই শ্রদ্ধেয় নমস্কারযোগ্য। নারীর প্রতি প্রহার, নিন্দা, কুটিলতা বর্জন করিবে। সর্বদা এরূপ না করিলে সিদ্ধির পথ (পূর্বকৃত সুকৃতির ফল) নিশ্চয়ই অবরুদ্ধ হইবে। ~কালীতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ৮/৮-৯
স্ত্রীগণের প্রতি ক্রোধ, প্রহার বুদ্ধিমান (স্বহিতাকাঙ্ক্ষী) সাধক সর্বদা বর্জন করিবে। সকল জগত্কে স্ত্রীময় ভাবনা করিবে। এমনকি নিজেও স্ত্রীময় হইবে। কুলযুবতীকে দেখিয়া সমাহিত চিত্তে প্রণাম করিবে। ~কালীতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ৮/৪-৬
রহস্য উপাসনা ভিন্ন কেবল শ্রমমাত্র সার হয়। রহস্যরহিতা বিদ্যার কদাচ আরাধনা করিবে না। হরিনাম মন্ত্রের রহস্যবিদ্যা (অধিষ্ঠাত্রী) স্বয়ং দেবী ত্রিপুরসুন্দরী। ~রাধাতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ২/৩৭-৩৯
হে দেবী, মহাবিদ্যা ব্যতিরেকে, যেযে ব্যক্তি রাধাকৃষ্ণ স্মরণ করে, সেইসেই ব্যক্তি পদেপদে ব্রহ্মহত্যার পাপভাগী হয়। সাক্ষাত্ ব্রহ্মস্বরূপিণী পদ্মিনী রাধা মহাবিদ্যার (ত্রিপুরা/কালিকার) আরাধনা করাতে মহাবিদ্যা সিদ্ধিদায়িনী হইলেন। ~রাধাতন্ত্রম্ (বিষ্ণুক্রান্তার মুখ্য শাক্তাগম) ২২/৮-৯
গৌণশাক্তাগম
ব্যাসদেব বেদের অর্থপ্রকাশ করিতে পুরাণ রচনা করেন।বেদ আগম দ্বারাই রচিত, যেশব্দসমূহ জ্ঞানস্বরূপ দেবীত্রিপুরার সাক্ষাতমূর্তি। ~ত্রিপুরারহস্যম্ মাহাত্ম্যখন্ডম্ (গৌণশাক্তাগম) ৭৯/৬৩-৬৪
শুদ্ধাচারী সংস্কৃতদ্বিজ কেবল বেদে অধিকারী।শূদ্রাদি অন্ত্যজজাতি (যবনম্লেচ্ছমতাবলম্বী) কেবলমাত্র আগমে অধিকারী।বেদই আগম, আগমই বেদ।বেদ ও আগম উভয়প্রকার শ্রুতিতে বিন্দুমাত্র বিভেদ নাই। ~ত্রিপুরারহস্যম্ মাহাত্ম্যখন্ডম্ (গৌণশাক্তাগম) ৭৯/৭০-৭৩
বাক-শ্রী-গৌরী সকলদেবীমূর্তি আদ্যাপরমেশ্বরী ললিতা মহাত্রিপুরসুন্দরীর অভিন্নঅঙ্গ।তাঁহার ক্রোধশক্তি কালী, বচনশক্তি তারা, পরাক্রমশক্তি দুর্গা, ক্রূরতাশক্তি প্রত্যঙ্গিরা, শৌর্য্যশক্তি শূলিনী, বাকশক্তি মালিনী, প্রচন্ডশব্দশক্তি চন্ডিকা, ক্রূরদৃষ্টি ধূম্রা। ~ত্রিপুরারহস্যম্ মাহাত্ম্যখন্ডম্ ৫৯/১০৩-১০৭
স্ত্রী ক্ষুব্ধা হইলে দেবী সর্বদা ক্ষুব্ধা হন, ইহাতে সন্দেহ নাই। দেবী ক্ষুব্ধা হইলে ধন ও আয়ুর বিনাশ হয়। যিনি স্ত্রীর অপ্রিয় কার্য্য করেন তাঁহার সদক্ষিণ হোম, জপ, পূজা সমস্তই বৃথা জানিবে। ~অন্নদাকল্পতন্ত্রম্ (গৌণ শাক্তাগম) ১৬/৪৫-৪৬
স্ত্রী নিন্দাকারী ব্যক্তির বুদ্ধি, বল, যশ, রূপ, আয়ু, বিত্ত, সুতাদি সমস্ত বিনষ্ট হয়। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর এমনকি সনাতনী দেবী ভগবতী পরমেশ্বরীও যোষিত্-অপ্রিয় ব্যক্তিকে রক্ষা করিতে সমর্থ নহেন। ~অন্নদাকল্পতন্ত্রম্ (গৌণ শাক্তাগম) ১৬/৪৬-৪৮
জন্মদাতা ও মন্ত্রদাতা গুরুর মধ্যে মন্ত্রদাতা গুরুই গুরুতর (শ্রেষ্ঠ)।তন্নিমিত্ত সতত গুরুকে পিতামাতা অপেক্ষাও অধিক মনে করিতে হইবে।মন্ত্রদাতা শ্রীগুরুকে মনুষ্যজ্ঞান করিলে শিষ্যের শতকোটীকল্পেও সিদ্ধিলাভ হয়না। ~গুরুতন্ত্রম্ (গৌণ শাক্তাগম্) ৪২-৪৩
হে পার্ব্বতি, লোকের নিকট গুরুর নাম ব্যক্ত করা কদাপি কর্তব্য নহে।পরন্তু তর্পণ বা পূজাদি সময় প্রথমতঃ শ্রী, পশ্চাত গুরুর নাম, শেষে আনন্দনাথ শব্দ প্রয়োগ করিবে। ~গুরুতন্ত্রম্ (গৌণ শাক্তাগম্) ৮০
গুরু হইতে ভয়, গুরুর প্রতি ক্রোধ, গুরুকার্য্যে আলস্য, গুরুর সহিত পরিহাস, গুরুর নিকট প্রলাপ, গুরুর নিকট মিথ্যাবাক্য বা মিথ্যা ব্যবহার, গুরুর নিকট মোহাচ্ছন্নতা বা গুরুদ্রোহ, এতত্ সমুদায় সর্ব্বতোভাবে পরিত্যাগ করিবে। ~গুরুতন্ত্রম্ (গৌণ শাক্তাগম্) ৮৭
মদুক্ত এই কল্প (গুরুতন্ত্রম্) যেকোন ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করা বিধেয় নহে। বিশেষতঃ অভক্ত ও নাস্তিক ব্যক্তিকে ইহা কোনোক্রমেই প্রদান করিবেনা। ~গুরুতন্ত্রম্ (গৌণ শাক্তাগম্) ১৪৬
স্ত্রী ক্ষুব্ধা হইলে দেবী সর্বদা ক্ষুব্ধা হন, ইহাতে সন্দেহ নাই। দেবী ক্ষুব্ধা হইলে ধন ও আয়ুর বিনাশ হয়। যিনি স্ত্রীর অপ্রিয় কার্য্য করেন তাঁহার সদক্ষিণ হোম, জপ, পূজা সমস্তই বৃথা জানিবে। ~অন্নদাকল্পতন্ত্রম্ (গৌণ শাক্তাগম) ১৬/৪৫-৪৬
স্ত্রী নিন্দাকারী ব্যক্তির বুদ্ধি, বল, যশ, রূপ, আয়ু, বিত্ত, সুতাদি সমস্ত বিনষ্ট হয়। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর এমনকি সনাতনী দেবী ভগবতী পরমেশ্বরীও যোষিত্-অপ্রিয় ব্যক্তিকে রক্ষা করিতে সমর্থ নহেন। ~অন্নদাকল্পতন্ত্রম্ (গৌণ শাক্তাগম) ১৬/৪৬-৪৮